শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৯

নতুনরা আগামী দিনে আমাদের সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করবে

সেলিনা হোসেন
প্রিন্ট ভার্সন
নতুনরা আগামী দিনে আমাদের সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করবে

সেলিনা হোসেন বাংলা ভাষার অন্যতম অগ্রণী কথাসাহিত্যিক। তাঁর লেখার জগৎ বাংলাদেশের মানুষ, তার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক, কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডিলিট ডিগ্রিসহ বহু পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- শেখ মেহেদী হাসান

 

আপনার জন্ম দেশভাগের উত্তাল সময়ে। কেমন ছিল আপনার শৈশব-কৈশোর?

আমার পৈতৃক নিবাস লক্ষ্মীপুর জেলার হাজীরপাড়া গ্রামে। বাবা এ কে এম মোশাররফ হোসেন ছিলেন রাজশাহী রেশম শিল্প অফিসের পরিচালক। আমার মা মরিয়ম নেসাসহ সবাই সেখানেই থাকতেন। আমার জন্ম রাজশাহীতে ১৯৪৭ সালের ১৪ জুন। আমার শৈশবের প্রথমার্ধ কেটেছে রাজশাহী তারপর বাবার বদলিসূত্রে বগুড়ায়। সেখানে লতিফপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করানো হয়। এ স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করি। বগুড়া ভিএম গার্লস হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণি পড়া শেষ হতেই পুনরায় বাবার বদলি হলো রাজশাহী। আমরা আবার রাজশাহী চলে এলাম। সেখানে পিএন গার্লস হাইস্কুলে ভর্তি হই এবং ১৯৬২ সালে ম্যাট্রিক পাস করি। তারপর এমএ পাস করা পর্যন্ত রাজশাহীতে ছিলাম। বাবার বদলির চাকরির সূত্রে শৈশব-কৈশোরে নতুন নতুন জায়গায় যেতে হতো। ছোটবেলা থেকেই শিউলি ও বকুল ফুল আমার প্রিয়। তখন অনেক হিন্দু পরিবার ছিল আমাদের বাড়ির পাশে। তারা পূজার জন্য বাড়িতে নানা ধরনের ফুলগাছ লাগাত। আমি মাঝেমধ্যে পাশের গোঁসাই বাড়িতে গিয়ে ফুল নিয়ে আসতাম। করতোয়া নদীতে জেলেদের মাছ ধরা, গুনটানা নৌকা ইত্যাদি দেখেছি। কৈশোরে জেলেদের মাছ ধরা দেখতে যাওয়া ছিল আমার শখ। আমার বাবা বই পড়ে হোমিওপ্যাথি শিখেছিলেন। তিনি গ্রামের মানুষকে ওষুধ দিতেন। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাঁর কাছে আসতেন বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে। তাদের সমস্যাগুলো আমি বাবার পাশে বসে শুনতাম। আমার বয়স তখন ১০-১২ বছর। মানুষের জটিল সমস্যাগুলো আমি বুঝতাম না। তবে ঘটনাগুলো আমার মনে রেখাপাত করত।

 

লেখালেখির প্রেরণা কী পরিবার থেকে পেয়েছিলেন?

বিষয়টি ঠিক এমন নয়।

তবে শিক্ষার উৎসাহ পেয়েছি পরিবার থেকেই। আমার আব্বা মেধাবী ছাত্র ছিলেন। ১৯৩৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে এমএ পাস করেন। আব্বার পড়ালেখায় আমার নানা খুব সহযোগিতা করেছিলেন। কিন্তু পড়ালেখার ক্ষেত্রে নানা তাঁর দুই মেয়ে আমার মা ও খালাকে ততটা সহায়তা দেননি। এ কারণে নানার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন মা। তো, আমার মা-বাবা দুজনেরই শিক্ষার প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল। আমরা যখন বগুড়ায় থাকতাম, আমার বড় বোনদের রিকশায় শাড়ি পেঁচিয়ে স্কুলে পাঠানো হতো। তখন তো মেয়েদের বাইরে চলাফেরার ব্যাপারে কঠিন পর্দাপ্রথা মেনে চলতে হতো। সেই সময় আব্বা বললেন, না, এভাবে নয়; বোনদের তিনি ভারতেশ্বরী হোমসে দিয়ে এলেন। ভেবে দেখ, সেই পঞ্চাশের দশকের পাকিস্তান আমলে বড় দুই মেয়েকে পড়ালেখা শেখানোর জন্য কতটা করেছিলেন তিনি।

আমার বয়স তখন সাত কী আট। আমাদের নয় নম্ব^র ভাইয়ের জন্মের সময় মা খুব অসুস্থ হয়ে পড়লেন। রোজার ছুটিতে বোনেরা বাড়িতে এসে বলল, মা যত দিন সুস্থ না হবে, তত দিন আমরা স্কুলে ফিরব না। সব শুনে মা বললেন, আমি মরি বাঁচি, তাতে তোমাদের কিছু যায় আসে না। যেদিন স্কুল খুলবে, সেদিনই যেতে হবে। পড়াশোনার ব্যাপারে পরিবারের এই মনোভাব আমার লেখালেখির ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রেখেছিল। তাঁদের প্রশ্রয়েই লেখালেখির শুরু। যখন তাঁরা দেখলেন, লেখালেখিটা আমি পছন্দ করি, আমার ভালো লাগে, বাধা দেননি। মনে আছে, ১৯৫৪ সালে রাজশাহীতে আন্তঃকলেজ একটা প্রতিযোগিতা হয়েছিল। আমার জীবনের প্রথম লেখা গল্পটি সেখানে প্রথম হয়। অবশ্য লেখালেখির প্রথমদিকে আমি অনেক কবিতা লিখেছি।

 

আপনার প্রথম বই কবে প্রকাশ হয়?

আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পড়াশোনা করি। ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গেও যুক্ত ছিলাম। ১৯৬৮ সালে মাস্টার্স পাস করলাম। তারপর চাকরি খুঁজছি। তখন আমার শিক্ষক আবদুল হাফিজ বললেন, যে গল্পগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় লিখেছ সেগুলো দিয়ে একটা বই করো। তাহলে তোমার সিভিতে একটা বই যুক্ত হবে। তাতে তোমার সিভিটা অন্যদের চেয়ে আলাদা হবে। আমি তাঁকে বললাম, আমার বই কে ছাপবে স্যার? তিনি সরাসরি বললেন, তোমার বই কে ছাপবে? কেউ ছাপবে না। বাবার কাছে যাও, টাকা আনো, বই ছাপ। আমি তাই করলাম। নিজের উদ্যোগে গল্পের বই প্রকাশ করলাম ‘উৎস থেকে নিরন্তর’। হাফিজ স্যার কিন্তু চাকরি পাওয়ার সুবিধার জন্য আমাকে বই করতে বলেছিলেন, লেখক হওয়ার জন্য নয়। হয়তো ওই বইয়ের সূত্রে আমার চাকরি হয়েছিল দুই জায়গায়। বাংলা একাডেমিতে এবং পিএসসিতে। পিএসসিতে হলো কলেজের চাকরি। পরে আমি বাংলা একাডেমিতে জয়েন করি।

 

আপনার কাজের অনেক জায়গাজুড়ে মুক্তিযুদ্ধ। বিষয়ে লিখতে উৎসাহিত হলেন কেন?

আমি মনে করি মুক্তিযুদ্ধ আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গৌরবময় জায়গা। আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি এই গৌরবময় জায়গাটি অর্জন করার ফলে। মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন মাত্রা আছে সেক্ষেত্রে আমি যেটুকু কাজ করেছি তা সামান্যই। এর বাইরে বিস্তৃত আকারে আরও অনেক বিষয় রয়ে গেছে। তা অনবরত খুঁজে ফেরা আমাদের লেখকদের দায়। সে দায় থেকে কাজ করলে আমরা বহু বিষয় পাঠকদের কাছে হাজির করতে পারব। সত্যজিৎ রায় আমার মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ নিয়ে ছবি বানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর তিনি সে কাজটি করতে পারেননি। তিনি একটি মাত্র ক্যারেক্টর কলকাতা থেকে আনতে চেয়েছিলেন বাকি সব শিল্পী থাকবেন বাংলাদেশের। লোকেশন তো অবশ্যই বাংলাদেশ। কিন্তু ওই সময় যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছিলেন তাদের আচরণের কারণে তিনি উৎসাহিত হননি। আমি মনে করি এটি একটি জাতীয় ক্ষতি। আমাদের শিল্পীরা সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হারালেন, দ্বিতীয়ত এই চলচ্চিত্রটি তিনি তৈরি করলে তার মাত্রাটা এমন হতো যা ইতিহাসের প্রান্ত ছুঁয়ে থাকত। যা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে আমাদের দেশ, জাতি সম্পর্কে জানতে সহায়তা করত। নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে আমরা যেন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনবরত চেষ্টা করি। সৃজনশীল ধারাটাকে অব্যাহত রাখি।

 

আপনারভূমি কুসুম-এর চরিত্রগুলো যে রাষ্ট্রকে দেখছে, এটি কতটুকু ওই চরিত্রের চোখে দেখা, আর কতটুকু আপনার নিজের চোখে দেখা?

আমি মনে করি, সবটুকুই চরিত্রের চোখে দেখা। আমি ওখানে ওদের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। সাংবাদিকদেরও অসংখ্য লেখা আমার সংগ্রহে ছিল। সেখান থেকেও মানুষ খুঁজেছি আমি : কীভাবে তারা দেখছে, কথা বলছে, দৃশ্য বর্ণনা করছে... নিজের অভিজ্ঞতা তো আছেই। এটা সম্পূর্ণ সত্যের জায়গা থেকেই দেখা। আমি কখনোই কিছু বানিয়ে লেখার চেষ্টা করিনি।

ভূমি ও কুসুম-এ আপনি কিছু সমস্যা চিহ্নিত করেছেন। এখন তো ছিটমহল সমস্যা আর নেই। প্রশ্ন হলো- আসলেই কি ছিটমহলের সব সমস্যা দূর হয়েছে? পরে আর গিয়েছেন কখনো?

আর যাওয়া হয়নি পরে। আমার ঠিক সুযোগ তৈরি হয়নি যাওয়ার, আগ্রহও তৈরি হয়নি। সমাজপ্রেক্ষিতের ভাবনা থেকে, আমার রাষ্ট্রচিন্তা থেকে, লেখার প্রয়োজনে আমার যতটুকু অনুধাবন করার প্রয়োজন ছিল, সেটুকুই আমি করেছি। ওখানে একটা স্কুল হয়েছে কি না, বাচ্চারা স্কুলে যাচ্ছে কি না কিংবা নারীরা কতটুকু অগ্রসর হলো, এসব আর দেখা হয়নি। এসব অবশ্য সময়ের ধারাবাহিকতায় আপন নিয়মেই গড়াবে।

 

আখ্যানের পাশাপাশি বিখ্যাত ব্যক্তিদের উপজীব্য করে লিখেছেন আপনি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর পূর্ববাংলাকে বিষয় করে লিখলেনপূর্ণ ছবির মগ্নতা আবার খ্যাতিমান কবি মির্জা গালিবকে নিয়ে রচনা করলেনযমুনা নদীর মুশায়েরা

এ ধরনের উপন্যাসের ক্ষেত্রে যে বিষয়ে লিখেছি, সেটা নিয়ে প্রথমে পড়ালেখা করেছি, ভেবেছি, বিষয় বিশ্লেষণ করেছি। তারপর লিখেছি। পূর্ণ ছবির মগ্নতা প্রসঙ্গে বলি- আমার সব সময়ই মনে হয়, রবীন্দ্রনাথ এ ভূখন্ডে না এলে, যাদের আমরা সাধারণ মানুষ, গরিব মানুষ বলি- কবির অদেখায় থেকে যেত এ জনগোষ্ঠী। তাতে হয়তো তাঁর জীবনদর্শনও অপূর্ণ থাকত খানিকটা। আমার পূর্ণ বিশ্বাস, আমাদের এ বাংলাই ভিন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছে রবিঠাকুরকে। সে কারণে আমার আখ্যানের ভিতরে ‘পোস্ট মাস্টার’ গল্পের রতন, ‘শাস্তি’র চন্দনা, ‘ছুটি’ গল্পের ফটিককে পুনর্র্নিমাণ করেছি। ভেবেছি, এরা তো সব আমার এলাকারই মানুষ। আর যমুনা নদীর মুশায়েরা লেখার আগে মনে হয়েছিল, একজন কবিকে নিয়ে লিখব। গালিব যেহেতু বিখ্যাত কবি এবং তাঁর সময়টি যেহেতু নানা ঘটনার সাক্ষী- সিপাহি বিদ্রোহ হলো, পতন ঘটল মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের; এসব কারণেই গালিবকে বেছে নেওয়া। এ ছাড়া বিষয় হিসেবেও এগুলো আমাকে ভাবিয়েছে। আবার বলতে পারি, গালিবের জীবন ব্যাখ্যার জন্যও উপন্যাসটি লিখেছি। তবে আমি এখানে গালিবকে বাংলাদেশের একজন বলেই ভাবতে চেয়েছি।

 

আপনার উপন্যাসে ইতিহাসের পাশাপাশি বহু গবেষণা উপাদান থাকে।

ইতিহাস ও সাহিত্যের যোগাযোগটা নিয়ে জানতে চাই। ইতিহাস সময়ের দলিল। একটি জাতির ইতিহাস তার ঐতিহ্য-উত্তরাধিকার সংলগ্ন বিষয়। সেখানে ইতিবাচক-নেতিবাচক দিকগুলো খুঁজে পাওয়া যায়। মানুষ পেছন ফিরে তাকিয়ে ইতিহাসের পাতা উল্টিয়ে জীবনের পাঠ নেয়। তা ছাড়া সাহিত্য তো মানবিক উপাখ্যান। সাহিত্য দেশ ও জাতির সীমা অতিক্রম করতে পারে। যে কারণে শেকশপিয়র, গ্যাটে, রবীন্দ্রনাথ এবং আরও অনেকে বিশ্বব্যাপী পঠিত। ইতিহাসে সাহিত্যের উপাদান লুপ্ত থাকে। যেমন বলা যায়, ইতিহাস যুদ্ধের কথা বলতে পারে, মৃত্যুর হিসাব দিতে পারে। তার অন্তরালে যে বেদনার ক্ষত থাকে, তাকে বর্ণনা করতে পারে না। তার অন্তরালে যে প্রেমের বিরহ আছে তাকে তুলে আনতে পারে। ইতিহাস থেকে উপাদান সংগ্রহ সাহিত্যের কাজ। ইতিহাস সময়ের মুখ, সাহিত্য সময়ের শিল্প। মানবজীবনের কাহিনীকে পাঠকের হাতে তুলে দেয় সাহিত্য। মানুষ সাহিত্য থেকে গল্পের মাধ্যমে বুকের তৃষ্ণা মেটায়।

 

সৃজনশীল সাহিত্যকর্মের পাশাপাশি আপনি জেন্ডার প্রসঙ্গে গবেষণা করেছেন। বিষয়ে আগ্রহী হলেন কেন?

সৃজনশীল সাহিত্যকর্মের সঙ্গে জেন্ডার ধারণার সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করি। বিশ্বজুড়ে জেন্ডার স্টাডিজ এখন মানবজীবনের মৌলিক সূত্র। এ জ্ঞান শিক্ষার্থীদের নারী-পুরুষের আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক ধারণার বোধটি স্পষ্ট করে দেয়। নারীর প্রতি পুরুষের নেতিবাচক ধারণা সমাজ বিনির্মাণে নানা বিড়ম্বনার সৃষ্টি করে। নারী সমাজের অধের্ক অংশ। নারীকে ছাড়া দেশের টেকসই উন্নয়ন স্থায়ী হয় না। নারীর জ্ঞান এবং প্রজ্ঞা পুরুষতান্ত্রিক সমাজ সঠিকভাবে মূল্যায়ন করে না। বিভিন্ন কেস স্টাডি ও কাহিনীর ভিতর দিয়ে এ ধারণাগুলো নানাভাবে পাঠকের সামনে তুলে ধরা যায়। মানুষ সাহিত্যের কাছে যায় নিজের নানামুখী তৃষ্ণা মেটাতে। জেন্ডার বিষয়কে সাহিত্যে নিয়ে আসতে পারলে পুরুষের আধিপত্যের ধারণা বদলাবে। অন্যদিকে জেন্ডার বিষয়টি যত পঠিত হবে তত শিক্ষার্থীদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাবে। নারীর মানবিক জায়গা অর্থপূর্ণ করার চিন্তায় আমি জেন্ডার বিষয়ে কাজ করতে আগ্রহ বোধ করেছি। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যসূচির বাইরে ছড়াতে চেয়েছি।

 

ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কথাসাহিত্যের তিনটি বই প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে আপনারমতিজানের মেয়েরা অন্যান্য গল্প, রশীদ হায়দারেরবৃহন্নলা অন্যান্য গল্প এবংবাংলাদেশের গল্প নামে একটি সংকলন। সংকলনটি আপনি সম্পাদনা করেছেন। উদ্যোগ সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের সাহিত্যে কতটা সুফল বয়ে আনবে?

আমি খুব আশাবাদী নই, আবার সে রকমভাবে হতাশও নই। অবশ্য এ বিষয়ে অন্যের ভিন্নমত থাকতে পারে। কিন্তু আমার মনে হয়, দুটি গল্পগ্রন্থ, একটি সংকলনে একজন লেখকের দু-একটি গল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের সামগ্রিক সাহিত্যের পরিচয় উঠে আসবে না। লেখককে চেনাও সম্ভব হবে না। বাংলাদেশের সাহিত্যে প্রতিনিধিত্বশীল গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজনের লেখা নিয়ে বেশ কয়েকটি বই এবং সংকলন প্রকাশিত হলে হয়তো বিষয়টি আরও ভালোভাবে উঠে আসতে পারে। এ ক্ষেত্রে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, হাসান আজিজুল হক, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, সৈয়দ শামসুল হক, আনোয়ারা সৈয়দ হক, রিজিয়া রহমান, রাবেয়া খাতুন, মাহমুদুল হক, ইমদাদুল হক মিলন, শহীদুল জহিরের মতো লেখকদের বই এবং এ দেশের নবীন-প্রবীণ লেখকদের লেখা নিয়ে আরও কয়েকটি সংকলন প্রকাশিত হলে তবেই আমরা প্রকৃত সুফল পাব বলে মনে হয়।

 

ভাষা আন্দোলনের ছয় দশক পরও সর্বত্র বাংলার প্রচলন সম্ভব হয়নি, কেন?

মাতৃভাষার জন্য লড়াই করা জাতি হিসেবে পৃথিবীতে আমাদের পরিচয়। বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়। কিন্তু এ দিবসটির তাৎপর্য আমরা যথাযথ তুলে ধরতে পারিনি। এজন্য সক্রিয়ভাবে আমাদের চেষ্টা করতে হবে। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলা ভাষায় রচিত গুরুত্বপূর্ণ রচনাগুলো অনুবাদ করে বিশ্বব্যাপী প্রচার করতে হবে। তা না হলে ভিন্নভাষী জনগোষ্ঠী আমাদের আন্দোলন, সংগ্রাম, ভাষা, সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবে না। অন্যরা যদি বিষয়টি না জানে তাহলে কীভাবে তাদের চর্চার মধ্যে আনবে। বাংলা ভাষার দৈন্যতা নেই। দৈন্যতা আমাদের। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, সর্বস্তরে বাংলা ভাষা ব্যবহার করতে হবে। পরবর্তী সময়ে সেটা হয়নি।

 

বাংলাদেশের কথাসাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ রচনাসমূহ তেমন অনূদিত হয়নি। ফলে বহির্বিশ্বে পাঠকের কাছে আমাদের সাহিত্য পৌঁছাতে পারছে না। কী করা যেতে পারে?

অনুবাদ আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি একটি জায়গা। দুর্ভাগ্য এই যে, স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৩ বছর পরও আমাদের অনুবাদ সাহিত্যের জায়গাটা যথাযথ তৈরি হয়নি। ইংরেজি মাধ্যমে যারা পড়ছি তাদের কাছ থেকেও অনুবাদের জায়গাটা ঠিকমতো পায়নি। আমার একটি বেদনার কথা বলি, ২০০৭ সালে আমি ইংল্যান্ডের এডিনবরা বুক ফেয়ারে গিয়েছিলাম। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ থেকেও তিনজন লেখক ছিলেন। ওখানে আমাদের কাজ ছিল নিজেদের লেখাগুলো সিনঅবসিস হিসেবে পড়া। আমি আমার বেশকিছু গল্পের সিনঅবসিস বিভিন্ন সেশনে পাঠ করেছিলাম। একদিন এক আমেরিকান প্রকাশক আমাকে বললেন, ‘আপনার সঙ্গে কি মূল বই আছে? আমি একটু পড়ে দেখতে চাই।’ তখন তাকে বাংলা একডেমি থেকে প্রকাশিত আমার ‘সিলেকটেড স্টোরি’ বইটি দিলাম। দুই দিন পর বই ফেরত দিতে এসে তিনি জানালেন- এখানে যা অনুবাদ হয়েছে তা আমাদের আমেরিকান পাঠকদের জন্য উপযুক্ত নয়। তাকে আমি বইটি আরেকটু ব্রাশ-আপ করানোর কথা বলি। তিনি অসম্মতি জানিয়ে বললেন- এতে আমার প্রচুর অর্থ ব্যয় হবে। আমি বড় একটি ধাক্কা খেলাম এবং বুঝলাম অনুবাদ যথাযথ না হলে বিদেশি পাঠকের কাছে পৌঁছানো খুবই কঠিন ব্যাপার এবং যথাযথ অনুবাদ করার জন্য তার যেমন বাংলা ভাষা জানা দরকার তেমনি ইংরেজির মাত্রাটাও সেই পরিমাণে জানা দরকার।

 

বর্তমানে কী বিষয়ে লিখছেন?

বর্তমানে আমাদের আইলা বিধ্বস্ত জনপদ সাতক্ষীরার শ্যামনগরের গাবুরা, ভেটখালী অঞ্চলের মানুষের কষ্ট, জীবন সংগ্রাম, সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় কাজ খুঁজতে যাওয়া ইত্যাদি নিয়ে একটি উপন্যাস লিখছি ‘দিনকালের কাঠখড়’ নামে।

 

নতুন লেখকদের উদ্দেশে আপনার পরামর্শ কী?

আমাদের দেশের তরুণরা অত্যন্ত মেধাবী। তারা নানারকম সৃজনশীলতার সঙ্গে যুক্ত। তাদের উদ্দেশে একটা কথাই বলব- তাড়াহুড়া করে কোনোরকমভাবে বই প্রকাশ করা উচিত নয়। সৃজনশীল সৃষ্টির ক্ষেত্রে তাড়াহুড়োর কোনো অবকাশ নেই। পত্র-পত্রিকায় অনবরত লেখালেখি করে, দেশ-বিদেশের অজস্র বইপত্র পড়ে নিজের যোগ্যতা প্রতিষ্ঠিত করা অনেক জরুরি। আমি নতুন লেখকদের লেখা নিয়মিত পড়ি। নতুনরা আগামী দিনে আমাদের সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করবে।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
জকসু নির্বাচন ঘিরে উন্মুক্ত লাইব্রেরি বন্ধে বিক্ষোভ
জকসু নির্বাচন ঘিরে উন্মুক্ত লাইব্রেরি বন্ধে বিক্ষোভ

১ সেকেন্ড আগে | ক্যাম্পাস

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ কর্মকর্তা বরখাস্ত
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ কর্মকর্তা বরখাস্ত

৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

বন্যার ঝুঁকিতে সৌদি আরব, আবহাওয়া সতর্কতা জারি
বন্যার ঝুঁকিতে সৌদি আরব, আবহাওয়া সতর্কতা জারি

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামজার জোড়া গোলে এগিয়ে বাংলাদেশ
হামজার জোড়া গোলে এগিয়ে বাংলাদেশ

১৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সাজা শেষে ৭২ প্রবাসীকে দেশে পাঠাল মালয়েশিয়াস্থ হাইকমিশন
সাজা শেষে ৭২ প্রবাসীকে দেশে পাঠাল মালয়েশিয়াস্থ হাইকমিশন

২০ মিনিট আগে | জাতীয়

গণভোটের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করছে একটি দল : তৃপ্তি
গণভোটের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করছে একটি দল : তৃপ্তি

২০ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

রাবিতে ছাত্রলীগ নেতা আটক
রাবিতে ছাত্রলীগ নেতা আটক

২৩ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

সিলেটকে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু
সিলেটকে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু

৩১ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময় বৃদ্ধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময় বৃদ্ধি

৩৪ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

উচ্চকক্ষে পিআর, সংসদের প্রথম ১৮০ দিনে সংবিধান সংশোধন
উচ্চকক্ষে পিআর, সংসদের প্রথম ১৮০ দিনে সংবিধান সংশোধন

৩৮ মিনিট আগে | জাতীয়

পরিচয় মিলেছে জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামভর্তি খণ্ডিত মরদেহের
পরিচয় মিলেছে জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামভর্তি খণ্ডিত মরদেহের

৩৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

নাটোরে মেয়ে শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিল রিড বাংলাদেশ
নাটোরে মেয়ে শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিল রিড বাংলাদেশ

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আশাশুনিকে ইকোনমিক জোন গড়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন কাজী আলাউদ্দিন
আশাশুনিকে ইকোনমিক জোন গড়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন কাজী আলাউদ্দিন

৪০ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

শ্রীপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে উপলক্ষ্যে বিএনপি’র র‌্যালি
শ্রীপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে উপলক্ষ্যে বিএনপি’র র‌্যালি

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জকসু নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসে সকল সামাজিক-সাংস্কৃতিক কার্যক্রম স্থগিত
জকসু নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসে সকল সামাজিক-সাংস্কৃতিক কার্যক্রম স্থগিত

৫৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

পিরোজপুরে আ.লীগের নৈরাজ্য ঠেকাতে জামায়াতের বিক্ষোভ
পিরোজপুরে আ.লীগের নৈরাজ্য ঠেকাতে জামায়াতের বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে পালাননি, অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন :  ডা. জাহিদ হোসেন
মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে পালাননি, অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন :  ডা. জাহিদ হোসেন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টঙ্গীতে ময়লার স্তূপ থেকে নবজাতক উদ্ধার
টঙ্গীতে ময়লার স্তূপ থেকে নবজাতক উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর পর গণভোট বিষয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি
আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর পর গণভোট বিষয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পেছালো আইভীর ৫ মামলার গ্রেপ্তার শুনানি
পেছালো আইভীর ৫ মামলার গ্রেপ্তার শুনানি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টঙ্গীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে পোশাকর্মী নিহত
টঙ্গীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে পোশাকর্মী নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০২৭ পর্যন্ত আইওএসএ সনদ পেলো এয়ার এ্যাস্ট্রা
২০২৭ পর্যন্ত আইওএসএ সনদ পেলো এয়ার এ্যাস্ট্রা

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

সাঈদ খোকন ও তার বোনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার অনুমোদন
সাঈদ খোকন ও তার বোনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার অনুমোদন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশবান্ধব স্মার্ট প্যাকেজিং উন্নয়নে কর্মশালা
গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশবান্ধব স্মার্ট প্যাকেজিং উন্নয়নে কর্মশালা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

‘নির্বাচনের দিন গণভোটের ঘোষণায় আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পথ রুদ্ধ’
‘নির্বাচনের দিন গণভোটের ঘোষণায় আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পথ রুদ্ধ’

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক শুরু, ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছেন তারেক রহমান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক শুরু, ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছেন তারেক রহমান

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তেলাপিয়া: সাশ্রয়ী মূল্যের ‘জলজ মুরগি’, বাংলাদেশের পুকুরে সাফল্যের তরঙ্গ
তেলাপিয়া: সাশ্রয়ী মূল্যের ‘জলজ মুরগি’, বাংলাদেশের পুকুরে সাফল্যের তরঙ্গ

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বৈবাহিক সম্পর্কেরও মেয়াদ থাকা উচিত: কাজল
বৈবাহিক সম্পর্কেরও মেয়াদ থাকা উচিত: কাজল

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

খাগড়াছড়িতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ওয়াদুদ ভূঁইয়ার নিবাচনী প্রচারণা
খাগড়াছড়িতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ওয়াদুদ ভূঁইয়ার নিবাচনী প্রচারণা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দাখিল ৯ম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশনের সময় ফের বাড়াল মাদ্রাসা বোর্ড
দাখিল ৯ম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশনের সময় ফের বাড়াল মাদ্রাসা বোর্ড

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট
নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অগ্নি-ককটেল সন্ত্রাস কারা করে, জানালেন সোহেল তাজ
অগ্নি-ককটেল সন্ত্রাস কারা করে, জানালেন সোহেল তাজ

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে: প্রধান উপদেষ্টা
জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে: প্রধান উপদেষ্টা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণভোটের ব্যালটে থাকছে যে প্রশ্ন
গণভোটের ব্যালটে থাকছে যে প্রশ্ন

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশে এলেন প্রভাবশালী আলেম মুফতি ফজলুর রহমান
বাংলাদেশে এলেন প্রভাবশালী আলেম মুফতি ফজলুর রহমান

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি
জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মানবতাবিরোধী অপরাধ : শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘোষণা ১৭ নভেম্বর
মানবতাবিরোধী অপরাধ : শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘোষণা ১৭ নভেম্বর

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে আনা হলো হাসিনার মামলার রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুনকে
ট্রাইব্যুনালে আনা হলো হাসিনার মামলার রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুনকে

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তৈরি পোশাক শিল্পের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
তৈরি পোশাক শিল্পের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

১৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি, গেজেট প্রকাশ
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি, গেজেট প্রকাশ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তেজগাঁওয়ে ট্রেনের পরিত্যক্ত বগিতে আগুন, হাতেনাতে আটক ২
তেজগাঁওয়ে ট্রেনের পরিত্যক্ত বগিতে আগুন, হাতেনাতে আটক ২

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াত
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াত

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিএনপিতে যোগ দিলেন জামায়াতের ১০ নেতাকর্মী
বিএনপিতে যোগ দিলেন জামায়াতের ১০ নেতাকর্মী

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পরিবারের ৫ সদস্যের পর মারা গেলেন লিশানও
পরিবারের ৫ সদস্যের পর মারা গেলেন লিশানও

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায়ের দিন ধার্য হবে আজ
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায়ের দিন ধার্য হবে আজ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি: জামায়াত
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি: জামায়াত

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চিলির সুন্দরীকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশের মিথিলা
চিলির সুন্দরীকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশের মিথিলা

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঢাকায় স্বাভাবিকভাবে চলছে গণপরিবহন, দূরপাল্লার যাত্রী কিছুটা কম
ঢাকায় স্বাভাবিকভাবে চলছে গণপরিবহন, দূরপাল্লার যাত্রী কিছুটা কম

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় কবে জানা যাবে বৃহস্পতিবার
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় কবে জানা যাবে বৃহস্পতিবার

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার রায়ের তারিখ ঘিরে আদালতপাড়ায় কড়া নিরাপত্তা
শেখ হাসিনার রায়ের তারিখ ঘিরে আদালতপাড়ায় কড়া নিরাপত্তা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হলো পেনি অধ্যায়, ২৩২ বছরের ইতিহাসের সমাপ্তি
যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হলো পেনি অধ্যায়, ২৩২ বছরের ইতিহাসের সমাপ্তি

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুকে সম্পূর্ণরূপে ক্ষমা করে দিতে বললেন ট্রাম্প
নেতানিয়াহুকে সম্পূর্ণরূপে ক্ষমা করে দিতে বললেন ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুক্তির আগেই প্রায় ৪০০ কোটি রুপি আয় করেছে বিজয়ের শেষ ছবি
মুক্তির আগেই প্রায় ৪০০ কোটি রুপি আয় করেছে বিজয়ের শেষ ছবি

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পাকিস্তানে বোমা হামলা, আতঙ্কে ফিরছেন একাধিক লঙ্কান ক্রিকেটার
পাকিস্তানে বোমা হামলা, আতঙ্কে ফিরছেন একাধিক লঙ্কান ক্রিকেটার

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৩ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৩ নভেম্বর)

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পল্লবীতে বাসে অগ্নিসংযোগ করল দুর্বৃত্তরা
পল্লবীতে বাসে অগ্নিসংযোগ করল দুর্বৃত্তরা

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রুশ এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার তথ্য চুরির চেষ্টা করেছে পাকিস্তানি গুপ্তচর?
রুশ এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার তথ্য চুরির চেষ্টা করেছে পাকিস্তানি গুপ্তচর?

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সন্ধ্যায় স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি
সন্ধ্যায় স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
আন্ডারওয়ার্ল্ড যে কারণে টালমাটাল
আন্ডারওয়ার্ল্ড যে কারণে টালমাটাল

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আগুন বোমা গুলিতে আতঙ্ক
আগুন বোমা গুলিতে আতঙ্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

জাতীয় নির্বাচন বানচালে নতুন ইস্যু গণভোট
জাতীয় নির্বাচন বানচালে নতুন ইস্যু গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য
রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য

সম্পাদকীয়

অন্তর্বর্তী সরকার পে-স্কেলের শুধু ফ্রেমওয়ার্ক দেবে
অন্তর্বর্তী সরকার পে-স্কেলের শুধু ফ্রেমওয়ার্ক দেবে

পেছনের পৃষ্ঠা

একই দিন গণভোট হলে ৫ শতাংশও ভোট পড়বে না
একই দিন গণভোট হলে ৫ শতাংশও ভোট পড়বে না

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের আগে গণভোট সম্ভব নয়
নির্বাচনের আগে গণভোট সম্ভব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

১১ মাসে ১ লাখ ৩৭ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ
১১ মাসে ১ লাখ ৩৭ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভ্রাম্যমাণ দোকানে দখল সড়ক
ভ্রাম্যমাণ দোকানে দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

সংঘাতের পথে রাজনীতি
সংঘাতের পথে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ডাকাতের ছুরিকাঘাতে এসআই আহত
ডাকাতের ছুরিকাঘাতে এসআই আহত

দেশগ্রাম

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের অসন্তোষ
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের অসন্তোষ

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে আছে লুটের টাকা
দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে আছে লুটের টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার মামলার রায় কবে জানা যাবে আজ
শেখ হাসিনার মামলার রায় কবে জানা যাবে আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশেও আছেন হকির কিংবদন্তি
বাংলাদেশেও আছেন হকির কিংবদন্তি

মাঠে ময়দানে

রপ্তানি বহুমুখীকরণ কাগজে কলমে
রপ্তানি বহুমুখীকরণ কাগজে কলমে

পেছনের পৃষ্ঠা

আমরা এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি : ইউনূস
আমরা এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি : ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসি নিয়োগে এবারও বিতর্ক
ডিসি নিয়োগে এবারও বিতর্ক

নগর জীবন

আওয়ামী লীগ ছাড়াও কেউ সন্ত্রাস করতে পারে
আওয়ামী লীগ ছাড়াও কেউ সন্ত্রাস করতে পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ছাড়া অন্য কিছুতে জনগণের আগ্রহ নেই
ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ছাড়া অন্য কিছুতে জনগণের আগ্রহ নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট
নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

ইলিশের জালে ধরা পড়ছে পাঙাশ
ইলিশের জালে ধরা পড়ছে পাঙাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

পূর্বাঞ্চলে রেলের জমি দখলের হিড়িক
পূর্বাঞ্চলে রেলের জমি দখলের হিড়িক

নগর জীবন

এক উইকেটে ৩৩৮ রান বাংলাদেশের
এক উইকেটে ৩৩৮ রান বাংলাদেশের

প্রথম পৃষ্ঠা

শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা
শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা

সম্পাদকীয়

প্রথম দিনে আজ ডাক পেয়েছে ১২টি দল
প্রথম দিনে আজ ডাক পেয়েছে ১২টি দল

প্রথম পৃষ্ঠা

কিস্তি না পেয়ে নাকফুল, দুজন বরখাস্ত
কিস্তি না পেয়ে নাকফুল, দুজন বরখাস্ত

দেশগ্রাম

এক সেঞ্চুরি ও দুই শত রানের জুটি
এক সেঞ্চুরি ও দুই শত রানের জুটি

মাঠে ময়দানে

ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য

সম্পাদকীয়