শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৯

নতুনরা আগামী দিনে আমাদের সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করবে

সেলিনা হোসেন
প্রিন্ট ভার্সন
নতুনরা আগামী দিনে আমাদের সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করবে

সেলিনা হোসেন বাংলা ভাষার অন্যতম অগ্রণী কথাসাহিত্যিক। তাঁর লেখার জগৎ বাংলাদেশের মানুষ, তার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক, কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডিলিট ডিগ্রিসহ বহু পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- শেখ মেহেদী হাসান

 

আপনার জন্ম দেশভাগের উত্তাল সময়ে। কেমন ছিল আপনার শৈশব-কৈশোর?

আমার পৈতৃক নিবাস লক্ষ্মীপুর জেলার হাজীরপাড়া গ্রামে। বাবা এ কে এম মোশাররফ হোসেন ছিলেন রাজশাহী রেশম শিল্প অফিসের পরিচালক। আমার মা মরিয়ম নেসাসহ সবাই সেখানেই থাকতেন। আমার জন্ম রাজশাহীতে ১৯৪৭ সালের ১৪ জুন। আমার শৈশবের প্রথমার্ধ কেটেছে রাজশাহী তারপর বাবার বদলিসূত্রে বগুড়ায়। সেখানে লতিফপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করানো হয়। এ স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করি। বগুড়া ভিএম গার্লস হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণি পড়া শেষ হতেই পুনরায় বাবার বদলি হলো রাজশাহী। আমরা আবার রাজশাহী চলে এলাম। সেখানে পিএন গার্লস হাইস্কুলে ভর্তি হই এবং ১৯৬২ সালে ম্যাট্রিক পাস করি। তারপর এমএ পাস করা পর্যন্ত রাজশাহীতে ছিলাম। বাবার বদলির চাকরির সূত্রে শৈশব-কৈশোরে নতুন নতুন জায়গায় যেতে হতো। ছোটবেলা থেকেই শিউলি ও বকুল ফুল আমার প্রিয়। তখন অনেক হিন্দু পরিবার ছিল আমাদের বাড়ির পাশে। তারা পূজার জন্য বাড়িতে নানা ধরনের ফুলগাছ লাগাত। আমি মাঝেমধ্যে পাশের গোঁসাই বাড়িতে গিয়ে ফুল নিয়ে আসতাম। করতোয়া নদীতে জেলেদের মাছ ধরা, গুনটানা নৌকা ইত্যাদি দেখেছি। কৈশোরে জেলেদের মাছ ধরা দেখতে যাওয়া ছিল আমার শখ। আমার বাবা বই পড়ে হোমিওপ্যাথি শিখেছিলেন। তিনি গ্রামের মানুষকে ওষুধ দিতেন। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাঁর কাছে আসতেন বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে। তাদের সমস্যাগুলো আমি বাবার পাশে বসে শুনতাম। আমার বয়স তখন ১০-১২ বছর। মানুষের জটিল সমস্যাগুলো আমি বুঝতাম না। তবে ঘটনাগুলো আমার মনে রেখাপাত করত।

 

লেখালেখির প্রেরণা কী পরিবার থেকে পেয়েছিলেন?

বিষয়টি ঠিক এমন নয়।

তবে শিক্ষার উৎসাহ পেয়েছি পরিবার থেকেই। আমার আব্বা মেধাবী ছাত্র ছিলেন। ১৯৩৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে এমএ পাস করেন। আব্বার পড়ালেখায় আমার নানা খুব সহযোগিতা করেছিলেন। কিন্তু পড়ালেখার ক্ষেত্রে নানা তাঁর দুই মেয়ে আমার মা ও খালাকে ততটা সহায়তা দেননি। এ কারণে নানার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন মা। তো, আমার মা-বাবা দুজনেরই শিক্ষার প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল। আমরা যখন বগুড়ায় থাকতাম, আমার বড় বোনদের রিকশায় শাড়ি পেঁচিয়ে স্কুলে পাঠানো হতো। তখন তো মেয়েদের বাইরে চলাফেরার ব্যাপারে কঠিন পর্দাপ্রথা মেনে চলতে হতো। সেই সময় আব্বা বললেন, না, এভাবে নয়; বোনদের তিনি ভারতেশ্বরী হোমসে দিয়ে এলেন। ভেবে দেখ, সেই পঞ্চাশের দশকের পাকিস্তান আমলে বড় দুই মেয়েকে পড়ালেখা শেখানোর জন্য কতটা করেছিলেন তিনি।

আমার বয়স তখন সাত কী আট। আমাদের নয় নম্ব^র ভাইয়ের জন্মের সময় মা খুব অসুস্থ হয়ে পড়লেন। রোজার ছুটিতে বোনেরা বাড়িতে এসে বলল, মা যত দিন সুস্থ না হবে, তত দিন আমরা স্কুলে ফিরব না। সব শুনে মা বললেন, আমি মরি বাঁচি, তাতে তোমাদের কিছু যায় আসে না। যেদিন স্কুল খুলবে, সেদিনই যেতে হবে। পড়াশোনার ব্যাপারে পরিবারের এই মনোভাব আমার লেখালেখির ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রেখেছিল। তাঁদের প্রশ্রয়েই লেখালেখির শুরু। যখন তাঁরা দেখলেন, লেখালেখিটা আমি পছন্দ করি, আমার ভালো লাগে, বাধা দেননি। মনে আছে, ১৯৫৪ সালে রাজশাহীতে আন্তঃকলেজ একটা প্রতিযোগিতা হয়েছিল। আমার জীবনের প্রথম লেখা গল্পটি সেখানে প্রথম হয়। অবশ্য লেখালেখির প্রথমদিকে আমি অনেক কবিতা লিখেছি।

 

আপনার প্রথম বই কবে প্রকাশ হয়?

আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পড়াশোনা করি। ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গেও যুক্ত ছিলাম। ১৯৬৮ সালে মাস্টার্স পাস করলাম। তারপর চাকরি খুঁজছি। তখন আমার শিক্ষক আবদুল হাফিজ বললেন, যে গল্পগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় লিখেছ সেগুলো দিয়ে একটা বই করো। তাহলে তোমার সিভিতে একটা বই যুক্ত হবে। তাতে তোমার সিভিটা অন্যদের চেয়ে আলাদা হবে। আমি তাঁকে বললাম, আমার বই কে ছাপবে স্যার? তিনি সরাসরি বললেন, তোমার বই কে ছাপবে? কেউ ছাপবে না। বাবার কাছে যাও, টাকা আনো, বই ছাপ। আমি তাই করলাম। নিজের উদ্যোগে গল্পের বই প্রকাশ করলাম ‘উৎস থেকে নিরন্তর’। হাফিজ স্যার কিন্তু চাকরি পাওয়ার সুবিধার জন্য আমাকে বই করতে বলেছিলেন, লেখক হওয়ার জন্য নয়। হয়তো ওই বইয়ের সূত্রে আমার চাকরি হয়েছিল দুই জায়গায়। বাংলা একাডেমিতে এবং পিএসসিতে। পিএসসিতে হলো কলেজের চাকরি। পরে আমি বাংলা একাডেমিতে জয়েন করি।

 

আপনার কাজের অনেক জায়গাজুড়ে মুক্তিযুদ্ধ। বিষয়ে লিখতে উৎসাহিত হলেন কেন?

আমি মনে করি মুক্তিযুদ্ধ আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গৌরবময় জায়গা। আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি এই গৌরবময় জায়গাটি অর্জন করার ফলে। মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন মাত্রা আছে সেক্ষেত্রে আমি যেটুকু কাজ করেছি তা সামান্যই। এর বাইরে বিস্তৃত আকারে আরও অনেক বিষয় রয়ে গেছে। তা অনবরত খুঁজে ফেরা আমাদের লেখকদের দায়। সে দায় থেকে কাজ করলে আমরা বহু বিষয় পাঠকদের কাছে হাজির করতে পারব। সত্যজিৎ রায় আমার মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ নিয়ে ছবি বানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর তিনি সে কাজটি করতে পারেননি। তিনি একটি মাত্র ক্যারেক্টর কলকাতা থেকে আনতে চেয়েছিলেন বাকি সব শিল্পী থাকবেন বাংলাদেশের। লোকেশন তো অবশ্যই বাংলাদেশ। কিন্তু ওই সময় যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছিলেন তাদের আচরণের কারণে তিনি উৎসাহিত হননি। আমি মনে করি এটি একটি জাতীয় ক্ষতি। আমাদের শিল্পীরা সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হারালেন, দ্বিতীয়ত এই চলচ্চিত্রটি তিনি তৈরি করলে তার মাত্রাটা এমন হতো যা ইতিহাসের প্রান্ত ছুঁয়ে থাকত। যা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে আমাদের দেশ, জাতি সম্পর্কে জানতে সহায়তা করত। নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে আমরা যেন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনবরত চেষ্টা করি। সৃজনশীল ধারাটাকে অব্যাহত রাখি।

 

আপনারভূমি কুসুম-এর চরিত্রগুলো যে রাষ্ট্রকে দেখছে, এটি কতটুকু ওই চরিত্রের চোখে দেখা, আর কতটুকু আপনার নিজের চোখে দেখা?

আমি মনে করি, সবটুকুই চরিত্রের চোখে দেখা। আমি ওখানে ওদের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। সাংবাদিকদেরও অসংখ্য লেখা আমার সংগ্রহে ছিল। সেখান থেকেও মানুষ খুঁজেছি আমি : কীভাবে তারা দেখছে, কথা বলছে, দৃশ্য বর্ণনা করছে... নিজের অভিজ্ঞতা তো আছেই। এটা সম্পূর্ণ সত্যের জায়গা থেকেই দেখা। আমি কখনোই কিছু বানিয়ে লেখার চেষ্টা করিনি।

ভূমি ও কুসুম-এ আপনি কিছু সমস্যা চিহ্নিত করেছেন। এখন তো ছিটমহল সমস্যা আর নেই। প্রশ্ন হলো- আসলেই কি ছিটমহলের সব সমস্যা দূর হয়েছে? পরে আর গিয়েছেন কখনো?

আর যাওয়া হয়নি পরে। আমার ঠিক সুযোগ তৈরি হয়নি যাওয়ার, আগ্রহও তৈরি হয়নি। সমাজপ্রেক্ষিতের ভাবনা থেকে, আমার রাষ্ট্রচিন্তা থেকে, লেখার প্রয়োজনে আমার যতটুকু অনুধাবন করার প্রয়োজন ছিল, সেটুকুই আমি করেছি। ওখানে একটা স্কুল হয়েছে কি না, বাচ্চারা স্কুলে যাচ্ছে কি না কিংবা নারীরা কতটুকু অগ্রসর হলো, এসব আর দেখা হয়নি। এসব অবশ্য সময়ের ধারাবাহিকতায় আপন নিয়মেই গড়াবে।

 

আখ্যানের পাশাপাশি বিখ্যাত ব্যক্তিদের উপজীব্য করে লিখেছেন আপনি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর পূর্ববাংলাকে বিষয় করে লিখলেনপূর্ণ ছবির মগ্নতা আবার খ্যাতিমান কবি মির্জা গালিবকে নিয়ে রচনা করলেনযমুনা নদীর মুশায়েরা

এ ধরনের উপন্যাসের ক্ষেত্রে যে বিষয়ে লিখেছি, সেটা নিয়ে প্রথমে পড়ালেখা করেছি, ভেবেছি, বিষয় বিশ্লেষণ করেছি। তারপর লিখেছি। পূর্ণ ছবির মগ্নতা প্রসঙ্গে বলি- আমার সব সময়ই মনে হয়, রবীন্দ্রনাথ এ ভূখন্ডে না এলে, যাদের আমরা সাধারণ মানুষ, গরিব মানুষ বলি- কবির অদেখায় থেকে যেত এ জনগোষ্ঠী। তাতে হয়তো তাঁর জীবনদর্শনও অপূর্ণ থাকত খানিকটা। আমার পূর্ণ বিশ্বাস, আমাদের এ বাংলাই ভিন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছে রবিঠাকুরকে। সে কারণে আমার আখ্যানের ভিতরে ‘পোস্ট মাস্টার’ গল্পের রতন, ‘শাস্তি’র চন্দনা, ‘ছুটি’ গল্পের ফটিককে পুনর্র্নিমাণ করেছি। ভেবেছি, এরা তো সব আমার এলাকারই মানুষ। আর যমুনা নদীর মুশায়েরা লেখার আগে মনে হয়েছিল, একজন কবিকে নিয়ে লিখব। গালিব যেহেতু বিখ্যাত কবি এবং তাঁর সময়টি যেহেতু নানা ঘটনার সাক্ষী- সিপাহি বিদ্রোহ হলো, পতন ঘটল মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের; এসব কারণেই গালিবকে বেছে নেওয়া। এ ছাড়া বিষয় হিসেবেও এগুলো আমাকে ভাবিয়েছে। আবার বলতে পারি, গালিবের জীবন ব্যাখ্যার জন্যও উপন্যাসটি লিখেছি। তবে আমি এখানে গালিবকে বাংলাদেশের একজন বলেই ভাবতে চেয়েছি।

 

আপনার উপন্যাসে ইতিহাসের পাশাপাশি বহু গবেষণা উপাদান থাকে।

ইতিহাস ও সাহিত্যের যোগাযোগটা নিয়ে জানতে চাই। ইতিহাস সময়ের দলিল। একটি জাতির ইতিহাস তার ঐতিহ্য-উত্তরাধিকার সংলগ্ন বিষয়। সেখানে ইতিবাচক-নেতিবাচক দিকগুলো খুঁজে পাওয়া যায়। মানুষ পেছন ফিরে তাকিয়ে ইতিহাসের পাতা উল্টিয়ে জীবনের পাঠ নেয়। তা ছাড়া সাহিত্য তো মানবিক উপাখ্যান। সাহিত্য দেশ ও জাতির সীমা অতিক্রম করতে পারে। যে কারণে শেকশপিয়র, গ্যাটে, রবীন্দ্রনাথ এবং আরও অনেকে বিশ্বব্যাপী পঠিত। ইতিহাসে সাহিত্যের উপাদান লুপ্ত থাকে। যেমন বলা যায়, ইতিহাস যুদ্ধের কথা বলতে পারে, মৃত্যুর হিসাব দিতে পারে। তার অন্তরালে যে বেদনার ক্ষত থাকে, তাকে বর্ণনা করতে পারে না। তার অন্তরালে যে প্রেমের বিরহ আছে তাকে তুলে আনতে পারে। ইতিহাস থেকে উপাদান সংগ্রহ সাহিত্যের কাজ। ইতিহাস সময়ের মুখ, সাহিত্য সময়ের শিল্প। মানবজীবনের কাহিনীকে পাঠকের হাতে তুলে দেয় সাহিত্য। মানুষ সাহিত্য থেকে গল্পের মাধ্যমে বুকের তৃষ্ণা মেটায়।

 

সৃজনশীল সাহিত্যকর্মের পাশাপাশি আপনি জেন্ডার প্রসঙ্গে গবেষণা করেছেন। বিষয়ে আগ্রহী হলেন কেন?

সৃজনশীল সাহিত্যকর্মের সঙ্গে জেন্ডার ধারণার সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করি। বিশ্বজুড়ে জেন্ডার স্টাডিজ এখন মানবজীবনের মৌলিক সূত্র। এ জ্ঞান শিক্ষার্থীদের নারী-পুরুষের আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক ধারণার বোধটি স্পষ্ট করে দেয়। নারীর প্রতি পুরুষের নেতিবাচক ধারণা সমাজ বিনির্মাণে নানা বিড়ম্বনার সৃষ্টি করে। নারী সমাজের অধের্ক অংশ। নারীকে ছাড়া দেশের টেকসই উন্নয়ন স্থায়ী হয় না। নারীর জ্ঞান এবং প্রজ্ঞা পুরুষতান্ত্রিক সমাজ সঠিকভাবে মূল্যায়ন করে না। বিভিন্ন কেস স্টাডি ও কাহিনীর ভিতর দিয়ে এ ধারণাগুলো নানাভাবে পাঠকের সামনে তুলে ধরা যায়। মানুষ সাহিত্যের কাছে যায় নিজের নানামুখী তৃষ্ণা মেটাতে। জেন্ডার বিষয়কে সাহিত্যে নিয়ে আসতে পারলে পুরুষের আধিপত্যের ধারণা বদলাবে। অন্যদিকে জেন্ডার বিষয়টি যত পঠিত হবে তত শিক্ষার্থীদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাবে। নারীর মানবিক জায়গা অর্থপূর্ণ করার চিন্তায় আমি জেন্ডার বিষয়ে কাজ করতে আগ্রহ বোধ করেছি। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যসূচির বাইরে ছড়াতে চেয়েছি।

 

ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কথাসাহিত্যের তিনটি বই প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে আপনারমতিজানের মেয়েরা অন্যান্য গল্প, রশীদ হায়দারেরবৃহন্নলা অন্যান্য গল্প এবংবাংলাদেশের গল্প নামে একটি সংকলন। সংকলনটি আপনি সম্পাদনা করেছেন। উদ্যোগ সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের সাহিত্যে কতটা সুফল বয়ে আনবে?

আমি খুব আশাবাদী নই, আবার সে রকমভাবে হতাশও নই। অবশ্য এ বিষয়ে অন্যের ভিন্নমত থাকতে পারে। কিন্তু আমার মনে হয়, দুটি গল্পগ্রন্থ, একটি সংকলনে একজন লেখকের দু-একটি গল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের সামগ্রিক সাহিত্যের পরিচয় উঠে আসবে না। লেখককে চেনাও সম্ভব হবে না। বাংলাদেশের সাহিত্যে প্রতিনিধিত্বশীল গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজনের লেখা নিয়ে বেশ কয়েকটি বই এবং সংকলন প্রকাশিত হলে হয়তো বিষয়টি আরও ভালোভাবে উঠে আসতে পারে। এ ক্ষেত্রে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, হাসান আজিজুল হক, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, সৈয়দ শামসুল হক, আনোয়ারা সৈয়দ হক, রিজিয়া রহমান, রাবেয়া খাতুন, মাহমুদুল হক, ইমদাদুল হক মিলন, শহীদুল জহিরের মতো লেখকদের বই এবং এ দেশের নবীন-প্রবীণ লেখকদের লেখা নিয়ে আরও কয়েকটি সংকলন প্রকাশিত হলে তবেই আমরা প্রকৃত সুফল পাব বলে মনে হয়।

 

ভাষা আন্দোলনের ছয় দশক পরও সর্বত্র বাংলার প্রচলন সম্ভব হয়নি, কেন?

মাতৃভাষার জন্য লড়াই করা জাতি হিসেবে পৃথিবীতে আমাদের পরিচয়। বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়। কিন্তু এ দিবসটির তাৎপর্য আমরা যথাযথ তুলে ধরতে পারিনি। এজন্য সক্রিয়ভাবে আমাদের চেষ্টা করতে হবে। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলা ভাষায় রচিত গুরুত্বপূর্ণ রচনাগুলো অনুবাদ করে বিশ্বব্যাপী প্রচার করতে হবে। তা না হলে ভিন্নভাষী জনগোষ্ঠী আমাদের আন্দোলন, সংগ্রাম, ভাষা, সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবে না। অন্যরা যদি বিষয়টি না জানে তাহলে কীভাবে তাদের চর্চার মধ্যে আনবে। বাংলা ভাষার দৈন্যতা নেই। দৈন্যতা আমাদের। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, সর্বস্তরে বাংলা ভাষা ব্যবহার করতে হবে। পরবর্তী সময়ে সেটা হয়নি।

 

বাংলাদেশের কথাসাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ রচনাসমূহ তেমন অনূদিত হয়নি। ফলে বহির্বিশ্বে পাঠকের কাছে আমাদের সাহিত্য পৌঁছাতে পারছে না। কী করা যেতে পারে?

অনুবাদ আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি একটি জায়গা। দুর্ভাগ্য এই যে, স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৩ বছর পরও আমাদের অনুবাদ সাহিত্যের জায়গাটা যথাযথ তৈরি হয়নি। ইংরেজি মাধ্যমে যারা পড়ছি তাদের কাছ থেকেও অনুবাদের জায়গাটা ঠিকমতো পায়নি। আমার একটি বেদনার কথা বলি, ২০০৭ সালে আমি ইংল্যান্ডের এডিনবরা বুক ফেয়ারে গিয়েছিলাম। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ থেকেও তিনজন লেখক ছিলেন। ওখানে আমাদের কাজ ছিল নিজেদের লেখাগুলো সিনঅবসিস হিসেবে পড়া। আমি আমার বেশকিছু গল্পের সিনঅবসিস বিভিন্ন সেশনে পাঠ করেছিলাম। একদিন এক আমেরিকান প্রকাশক আমাকে বললেন, ‘আপনার সঙ্গে কি মূল বই আছে? আমি একটু পড়ে দেখতে চাই।’ তখন তাকে বাংলা একডেমি থেকে প্রকাশিত আমার ‘সিলেকটেড স্টোরি’ বইটি দিলাম। দুই দিন পর বই ফেরত দিতে এসে তিনি জানালেন- এখানে যা অনুবাদ হয়েছে তা আমাদের আমেরিকান পাঠকদের জন্য উপযুক্ত নয়। তাকে আমি বইটি আরেকটু ব্রাশ-আপ করানোর কথা বলি। তিনি অসম্মতি জানিয়ে বললেন- এতে আমার প্রচুর অর্থ ব্যয় হবে। আমি বড় একটি ধাক্কা খেলাম এবং বুঝলাম অনুবাদ যথাযথ না হলে বিদেশি পাঠকের কাছে পৌঁছানো খুবই কঠিন ব্যাপার এবং যথাযথ অনুবাদ করার জন্য তার যেমন বাংলা ভাষা জানা দরকার তেমনি ইংরেজির মাত্রাটাও সেই পরিমাণে জানা দরকার।

 

বর্তমানে কী বিষয়ে লিখছেন?

বর্তমানে আমাদের আইলা বিধ্বস্ত জনপদ সাতক্ষীরার শ্যামনগরের গাবুরা, ভেটখালী অঞ্চলের মানুষের কষ্ট, জীবন সংগ্রাম, সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় কাজ খুঁজতে যাওয়া ইত্যাদি নিয়ে একটি উপন্যাস লিখছি ‘দিনকালের কাঠখড়’ নামে।

 

নতুন লেখকদের উদ্দেশে আপনার পরামর্শ কী?

আমাদের দেশের তরুণরা অত্যন্ত মেধাবী। তারা নানারকম সৃজনশীলতার সঙ্গে যুক্ত। তাদের উদ্দেশে একটা কথাই বলব- তাড়াহুড়া করে কোনোরকমভাবে বই প্রকাশ করা উচিত নয়। সৃজনশীল সৃষ্টির ক্ষেত্রে তাড়াহুড়োর কোনো অবকাশ নেই। পত্র-পত্রিকায় অনবরত লেখালেখি করে, দেশ-বিদেশের অজস্র বইপত্র পড়ে নিজের যোগ্যতা প্রতিষ্ঠিত করা অনেক জরুরি। আমি নতুন লেখকদের লেখা নিয়মিত পড়ি। নতুনরা আগামী দিনে আমাদের সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করবে।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
জকসু নির্বাচনে ৩৪ পদের বিপরীতে মনোনয়ন সংগ্রহ ৩১২
জকসু নির্বাচনে ৩৪ পদের বিপরীতে মনোনয়ন সংগ্রহ ৩১২

৪৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

যুক্তরাষ্ট্র সফরে সৌদি যুবরাজ সালমান, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান নিয়ে আলোচনা
যুক্তরাষ্ট্র সফরে সৌদি যুবরাজ সালমান, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান নিয়ে আলোচনা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিকে এফ-৩৫ দিতে রাজি ট্রাম্প
সৌদিকে এফ-৩৫ দিতে রাজি ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্লাস্টিকে সামুদ্রিক প্রাণীদের সর্বনাশ!
প্লাস্টিকে সামুদ্রিক প্রাণীদের সর্বনাশ!

২ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স
ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাগে ফেটে পড়লেই কি কমে ক্রোধ?
রাগে ফেটে পড়লেই কি কমে ক্রোধ?

২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

হাসিনার পক্ষে স্ট্যাটাস, ঢাবির ডেপুটি রেজিস্টার আটক
হাসিনার পক্ষে স্ট্যাটাস, ঢাবির ডেপুটি রেজিস্টার আটক

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধানের শীষে ভোট চেয়ে কাজী আলাউদ্দিনের গণ সংযোগ
ধানের শীষে ভোট চেয়ে কাজী আলাউদ্দিনের গণ সংযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ইসলামে আখলাকে হাসানার গুরুত্ব
ইসলামে আখলাকে হাসানার গুরুত্ব

৪ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ফ্রান্সের কাছে ১০০ রাফাল চায় ইউক্রেন, এই যুদ্ধবিমানের বিশেষত্ব কী?
ফ্রান্সের কাছে ১০০ রাফাল চায় ইউক্রেন, এই যুদ্ধবিমানের বিশেষত্ব কী?

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মাত্র ১৮ আলোকবর্ষ দূরে বাসযোগ্য অঞ্চলে গ্রহের সন্ধান
মাত্র ১৮ আলোকবর্ষ দূরে বাসযোগ্য অঞ্চলে গ্রহের সন্ধান

৫ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

আসলে কে ভিক্টোরিয়া ফলস আবিষ্কার করেছিল?
আসলে কে ভিক্টোরিয়া ফলস আবিষ্কার করেছিল?

৬ ঘণ্টা আগে | পর্যটন

গাছে চড়ে শিকার ধরত প্রাগৈতিহাসিক কুমির!
গাছে চড়ে শিকার ধরত প্রাগৈতিহাসিক কুমির!

৬ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা
যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অ্যাটকোর মহাসচিব হলেন ইটিভি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম
অ্যাটকোর মহাসচিব হলেন ইটিভি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের হুঁশিয়ারি, চাপের কাছে নতি নয়
ইরানের হুঁশিয়ারি, চাপের কাছে নতি নয়

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওমরাহযাত্রীদের বাস দুর্ঘটনা : নিহত বেড়ে ৪৫
ওমরাহযাত্রীদের বাস দুর্ঘটনা : নিহত বেড়ে ৪৫

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মহাকাশে আধিপত্য বিস্তার, পরিণতি কি?
মহাকাশে আধিপত্য বিস্তার, পরিণতি কি?

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

চাকরি স্থায়ীকরণ দাবি করায় বিদায়ী প্রশাসকের বিরুদ্ধে ‌‘গুলি করার হুমকি’র অভিযোগ
চাকরি স্থায়ীকরণ দাবি করায় বিদায়ী প্রশাসকের বিরুদ্ধে ‌‘গুলি করার হুমকি’র অভিযোগ

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতার মৃত্যু
স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হাসিনার ফাঁসির রায়ে জয়পুরহাটে আনন্দ মিছিল
হাসিনার ফাঁসির রায়ে জয়পুরহাটে আনন্দ মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় বিএনপির দুই গ্রুপের ধাওয়া–পাল্টাধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ
কুমিল্লায় বিএনপির দুই গ্রুপের ধাওয়া–পাল্টাধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাহস থাকলে নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা যাচাই করুন : ফারুক
সাহস থাকলে নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা যাচাই করুন : ফারুক

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেরানীগঞ্জে যুবকের আত্মহত্যা
কেরানীগঞ্জে যুবকের আত্মহত্যা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় অভিবাসী নৌকাডুবি: ৩৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় অভিবাসী নৌকাডুবি: ৩৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ
অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার
ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী
আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে
ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী
মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ
হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের
বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ৫ অভিযোগ
হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ৫ অভিযোগ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে
ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি
২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা
পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর
শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প
ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার
মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মামলা নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন
মামলা নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সালমান-তামান্নার নাচকে ‘অস্বস্তিকর’ বলছেন নেটিজেনরা
সালমান-তামান্নার নাচকে ‘অস্বস্তিকর’ বলছেন নেটিজেনরা

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন
টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রায় শুনতে ট্রাইব্যুনালে ছাত্রনেতারা
রায় শুনতে ট্রাইব্যুনালে ছাত্রনেতারা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে

প্রথম পৃষ্ঠা

অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে

সম্পাদকীয়

নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড
নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক
আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক
ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক

নগর জীবন

পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক
পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক

প্রথম পৃষ্ঠা

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই
আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই

মাঠে ময়দানে

রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম
রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম

শোবিজ

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮

পূর্ব-পশ্চিম

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর

পেছনের পৃষ্ঠা

৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি
৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি

শোবিজ

পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

সহিংসতা হলেও বাড়বে না
সহিংসতা হলেও বাড়বে না

প্রথম পৃষ্ঠা

টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প
টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প

শোবিজ

উচ্ছ্বসিত বিজরী...
উচ্ছ্বসিত বিজরী...

শোবিজ

সুলভ আবাসিক বড় কুবো
সুলভ আবাসিক বড় কুবো

পেছনের পৃষ্ঠা

ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি
ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা
উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা

মাঠে ময়দানে

হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার
হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান
হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান

নগর জীবন

দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি
দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি
মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি

প্রথম পৃষ্ঠা

এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার
এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার

প্রথম পৃষ্ঠা

রায়ে ছাত্র-জনতার উল্লাস
রায়ে ছাত্র-জনতার উল্লাস

প্রথম পৃষ্ঠা

চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন

সম্পাদকীয়

আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে : জামায়াত
আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে : জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

মন্দায়ও বেড়েছে ভোক্তা ঋণ
মন্দায়ও বেড়েছে ভোক্তা ঋণ

শিল্প বাণিজ্য

ইউক্রেনকে ১০০টি রাফাল যুদ্ধবিমান দিচ্ছে ফ্রান্স
ইউক্রেনকে ১০০টি রাফাল যুদ্ধবিমান দিচ্ছে ফ্রান্স

পূর্ব-পশ্চিম