বুধবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

সরকারি পাঠ্যবই ভাঙারির দোকানে বিক্রির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ার শেরপুরের খানপুর দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের সরকারি পাঠ্যবই কেজি দরে ভাঙারির দোকানে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া বিদ্যালয়টির লাইব্রেরিয়ান ও দফতরি পাঠ্যবইগুলো বিক্রি করেছেন এমন তথ্য গতকাল দুপুরের পর জানাজানি হলে তোলপাড় শুরু হয়। সেই সঙ্গে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।

জানা যায়, কয়েকদিন আগে খানপুর বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান গোলাপ ম ল ও দফতরি আবদুর রশিদ মাধ্যমিক স্তরের পুরনো পাঠ্যবইগুলো বিক্রির পরিকল্পনা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় নৈশ্যপ্রহরী মনির আলীকে বইগুলো বস্তায় ভরতে বলেন। এতে রাজি না হলে তাকে ভয়ভীতি দেখানোর পর বইগুলো পাঁচটি বস্তায় করে সোমবার ভোরে মির্জাপুর জুয়েল মিয়ার ভাঙারির দোকানে নিয়ে বিক্রি করেন। জানতে চাইলে নৈশ্যপ্রহরী মনির আলী সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তিনি সবকিছুই করেছেন আবদুর রশিদ ও গোলাপ ম লের চাপে। আমি এ ধরনের কাজ না করতে নিষেধ করেছিলাম।

 কিন্তু তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ না করলে স্কুল থেকে বের করে দেবে এবং চোরের অপবাদ দেবে- এমন নানা হুমকি-ধমকি দেয়।

অভিযুক্ত দফতরি আবদুর রশিদ বলেন, বিদ্যালয়ের সরকারি কোনো পাঠ্যবই বিক্রি করিনি। তবে আমার বাড়ির কিছু ভাঙ্গারি মির্জাপুর বাজারের ওই দোকানে নিয়ে বিক্রি করেছি। তবে, লাইব্রেরিয়ান গোলাপ ম ল এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমাঈল হোসেন বলেন, এ ধরনের ঘটনার খবর জানা নেই। একটি চক্র প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্টের জন্য এসব অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, সরকারি পাঠ্যবই বিক্রি করলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর