বরিশাল বিভাগে বৃষ্টি বাড়লেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। সঙ্গে এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। এ বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, বৃষ্টি বাড়লেই আতংকিত হয়ে পড়ি। কারণ বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা হয়। তখন মশা বেড়ে যায়। এতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সরকারি হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় শতাধিক রোগী আক্রান্ত হয়েছে। একজন রোগী মারা গেছে। পরিচালক বলেন, প্রতিরোধ ছাড়া কোনো উপায় নেই। বৃষ্টি হলে যেখানে পানি জমে, সেখানে মশার আবাসস্থল হয়ে ওঠে। মশার বিস্তার যেন না ঘটে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। ঘুমানোর আগে অবশ্যই মশারি টানাতে হবে।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের দুটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ৬ সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯৩ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রোগীর মৃত্যু হয়। তিনি হলেন- গলাচিপা পৌরসভার বাসিন্দা মো. মনির হোসেন (৫০)।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ১১ জন বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, নয়জন পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ভোলা জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ছয়জন, বরিশালে ১৩, পটুয়াখালীতে ১৯, পিরোজপুরে আটজন, বরগুনায় ২৩ জন ও ঝালকাঠিতে চারজন রয়েছেন।চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের হাসপাতালগুলোতে ৩ হাজার ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ৭৫০ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৭৬ জন।
এখন পর্যন্ত গোটা বিভাগে ১৯ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সর্বোচ্চ ১৩ জন, বরগুনায় দুজন, পটুয়াখালীতে দুজন, পিরোজপুর ও ভোলায় একজন করে মারা গেছেন।