জামালপুরে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। আজ বুধবার সকালে বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমার ১৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। যমুনার ভাঙনে দেওয়ানগঞ্জের বরখাল এলাকার শতাধিক বাড়ি-ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে ৫ হাজারের বেশী পুকুরের মাছ।
রেল লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আজ সকাল থেকে বন্ধ হয়ে গেছে জামালপুর-তারাকান্দি-বঙ্গবন্ধু সেতু রুটে ট্রেন চলাচল। বিভিন্ন স্থানে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে জামালপুর-মাদারগঞ্জ সড়ক যোগাযোগ। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে জেলার ৮১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
বন্যা প্লাবিত হয়েছে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর। এ অবস্থায় দেওয়ানগঞ্জ টিএনও অফিসের কার্যক্রম চলছে চুকাইবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে।
সবমিলিয়ে জামালপুর জেলার ৭টি উপজেলার ৫৫ টি ইউনিয়নের ৬ লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। এলাকায় কাজ, খাদ্য, গো-খাদ্যের সঙ্কট তীব্র। খেয়ে না খেয়ে দুর্বিসহ সময় পার করছে বানভাসী মানুষ।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাসেল সাবরিন জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ১২৮ মে.টন চাল ও নগদ ২ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/১৬ আগস্ট ২০১৭/হিমেল