২০ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেও রক্ষা হয়নি সুনামগঞ্জের হাওরে বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার অন্যতম আসামি ঠিকাদার ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপলের।
রাতের আধারে, রাত পৌনে ১২টায় সিঙ্গাপুর পালাতে গিয়ে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এপিবিএন এর এএসপি আশরাফুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে আটক করে।
আটক করার পর চপল বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যাক্তির কাছে ফোন করে সাহায্য চাইলেও কেউ সাড়া দেননি।এমনকি ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ দেয়ার পরিবর্তে তাকে যেনো বিমানে উঠার অনুমতি দেয়া হয় এমন চেষ্টা করেন। তবে সকল চেষ্টা বৃথা যায়। এপিবিএন খায়রুল হুদা চপলকে দুদকে হস্তান্তর করে।
খায়রুল হুদা চপল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নূর ট্রেডিংয়ের স্বত্ত্বাধিকারী। এ নিয়ে দুদকের মামলায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হল। গ্রেফতারকৃত খায়রুল হুদা চপল বর্তমানে সুনামঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও এফবিসিসিআই’র পরিচালক। তিনি জেলা আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুটের ছোট ভাই। বছর দু’য়েক আগে চপল জেলা যুবলীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পান।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, বিদেশ (সিঙ্গাপুর) যাওয়ার চেষ্টাকালে রাত পৌনে ১২টার দিকে বিমান বন্দরের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সাহায্যে খায়রুল হুদা চপলকে গ্রেফতার করা হয়। এপিবিএন এএসপি আশরাফুজ্জামানের নেতৃত্বে তাকে গ্রেফতার করা হয়।পরে দুদকে সোপর্দ করে।
জানা যায়, হাওরে বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি, অনিয়ম ও কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে গত ২ জুলাই সুনামগঞ্জ সদর থানায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ঠিকাদারসহ মোট ৬১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে ৪৬ জন ঠিকাদার রয়েছেন। ঠিকাদার খায়রুল হুদা চপল ওই মামলার অন্যতম আসামি।
বিডি প্রতিদিন/ ১৬ আগস্ট, ২০১৭/ ই জাহান