কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বখতিয়ার আহমদকে বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-৬ ফের কারাগারে পাঠিয়েছে। আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করিলে আদালতে তা না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
বখতিয়ার আহমদ সম্প্রতি একটি ইয়াবা মামলা থেকে জাল জামিন পেয়েছিলেন।
২০১৬ সালের ২২ জুন বখতিয়ার আহমদ শপথ নিয়েছিলেন। ২৬ জুন কক্সবাজার থেকে ঢাকা পৌঁছে বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় ৫০ হাজার পিস ইয়াবাসহ তার ভাই জাহাঙ্গীর আলম ও বাবা হাজী আব্দুল মজিদকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল আটক করে। পরে অনেক জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
ইউপি সদস্য বখতিয়ার আহমদকে অপর এক সহযোগীসহ ঢাকার খিলক্ষেত থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের পূর্বক সোপর্দ করে। এ মামলায় দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস জেলে থাকার পর গত মে মাসের ২৯ তারিখ জামিনে বেরিয়ে আসেন। একই মামলার অপর আসামি নুরুল আলম টিটুও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
এই আবেদনের শুনানিতে মূল আসামি বখতিয়ারের জামিন পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হলে তখনই এই ভয়াবহ জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ে। এরপরই মূলহোতা বেঞ্জ সহকারি রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রেজিস্টারকে নিদের্শ দেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে তাকে সাময়িক বহিষ্কারসহ বিভাগীয় মামলা রুজু করে কর্তৃপক্ষ। ওই সময় ভুয়া জামিন আদেশ বাতিল করা হয় বখতিয়ার আহমদের।
উল্লেখ্য, বখতিয়ারের মামলাটি ঢাকার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-৬ এ বিচারাধীন রয়েছে। এ মামলায় হাইকোর্টের জামিন চেয়ে আবেদন করলেও আবেদনটির শুনানি পর্যন্ত হয়নি।
শুনানি না হওয়ার পরও রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম হাইকোর্টের দুই জন বিচারপতির স্বাক্ষর জাল করে জামিন আদেশ প্রস্তুত করেন। ওই ভুয়া জামিন বিচারিক আদালতে দাখিল করলে আসামি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/১৬ আগস্ট, ২০১৭/ফারজানা