বগুড়ায় বন্যা পরিস্থিতির কোন উন্নয়ন হয়নি। আজ পানি আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ১২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা কবলিত ৩ উপজেলা সারিয়কান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার ৯১ টি গ্রামে পানি উঠেছে। এতে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ধুনট ও সারিয়াকান্দি উপজেলায় বেড়ি বাঁধ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বেশ কিছু অংশে পানি চুয়ে পড়ছে। ধুনটে স্থানীয়রা বাঁধ রক্ষায় মাটি, বাঁশ দিয়ে পাইলিং করে বাধ রক্ষার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
জানা যায়, বগুড়ায় যমুনা নদীতে হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। দুই দফায় বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির প্রবল চাপে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত ১০টি স্থানে হুমকির মুখে পড়েছে। বন্যাকবলিত সারিয়াকান্দির কুতুবপুর, দিঘলকান্দি, চন্দনবাইশা ও ধুনটের পুকুরিয়া ভান্ডারবাড়ি, বড়ইতলি, বানিয়াজান, শিমুলবাড়ি ও আটাচর এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের নীচ দিয়ে পানি চুইয়ে পড়ছে। পানি চুয়ে পড়া স্থানে বালুর বস্তা, ব্লক ফেলা হয়েছে। বগুড়ার ধুনট উপজেলার শহরাবাড়িতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ফুটো হওয়ার কারণে এলাকাবাসি স্বেচ্ছায় বাঁশ ও বালির বস্তা দিয়ে ফুটো ঠেকানোর কাজ করে। বাঁধ এর উপর অতিরিক্ত ভারি যানবাহন চলাচল করতে নিষেধ করা হচ্ছে। পানি বাড়ার কারণে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ আর আতংক বাড়ছে। বাঁধ ভাঙ্গার আশঙ্কায় মানুষ রাত জেগে বাঁধ পাহাড়া দিচ্ছে। সেই সাথে বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ। সারিয়াকান্দির ৯টি ইউনিয়নের বেশিরভাগ গ্রামই পানিতে তলিয়ে গেছে। ঘরবাড়ি ছেড়ে উচু এলাকায় ছুটছে বানভাসিরা।
বগুড়া জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শাহারুল ইসলাম মো. আবু হেনা জানান, আজ পর্যন্ত ১ লাখ ২ হাজার ২৪৪ জন মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছে। ১২১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৮ হাজার ৫৯৮ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন জানান, বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বুধবার বেড়ে ১২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার