সরকার ও ব্যবসায়ীদের এক টিমের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বলেছেন, যতদিন তারা সরকারে থাকবেন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক টিম হিসেবেই কাজ করবেন। ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে যখন নানা কারণে আস্থার সংকট বিরাজ করছে, তখন প্রধান উপদেষ্টার এ বক্তব্য দেশ গড়ার সংগ্রামে ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাদের সক্রিয় করে তুলবে। রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত বিজনেস ডায়ালগে প্রধান উপদেষ্টা দেশ পরিচালনায় তাঁর সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে বলেন, সরকার এবং সরকারের বাইরে যারা আছেন সবাই একজোট। এটা একটা কমপ্যাক্ট টিম, ব্যবসায়ীরাও সে টিমের সদস্য। বিজনেস ডায়ালগে ব্যবসায়ীরা ব্যবসার জন্য নিরাপত্তা ও বিদ্যুৎ গ্যাসের নির্বিঘ্ন জোগানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সরকারপ্রধানের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আশ্বাসও দেওয়া হয়। বাংলাদেশ শুধু নয়, দুনিয়ার সব দেশেই ব্যবসা খাতকে জাতীয় অগ্রগতির চাবিকাঠি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশে নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর বাজার অর্থনীতির পথে যাত্রা শুরু হয় সরকারিভাবে। তারপর থেকেই দ্রুতগতিতে ব্যবসা-বাণিজ্যের বিকাশ ঘটে। দেশের শিল্প-কলকারখানায় এ মুহূর্তে সিংহভাগ মানুষ কর্মরত। এক সময় কাঁচা পাট ও চা ছিল দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য। এখন সিংহভাগ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয় গার্মেন্টসহ বিভিন্ন ধরনের শিল্পপণ্য রপ্তানিতে। বিগত ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী অপশাসনে দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কেও জিম্মি করা হয়েছিল নিষ্ঠুরভাবে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বিজয় সে জিম্মি অবস্থা থেকে তাদের মুক্তি দিয়েছে। তবে পতিত স্বৈরাচারের চররা ব্যবসা খাতে অশান্তি সৃষ্টি করছে পরিকল্পিতভাবে। দেশের অর্থনীতিকে মন্দাদশায় নিতে কল-কারখানায় হামলা ও ভাঙচুরের যে লাগাতার ঘটনা ঘটেছে, তা ঠেকাতে সরকার ইতোমধ্যে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিজনেস ডায়ালগ ব্যবসা ক্ষেত্রে সংস্কার ও নব উত্থানে অবদান রাখলে তা বড় অর্জন বলে বিবেচিত হবে।