ঢাকাই চলচ্চিত্রের মেগাস্টার খ্যাত নায়ক ও প্রযোজক উজ্জল চলচ্চিত্রজীবনের ৫৫ বছর পূর্ণ করলেন। ১৯৭০ সালে আশরাফউদ্দিন আহমেদ উজ্জলকে নায়ক করে চলচ্চিত্রে নিয়ে আসেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার সুভাষ দত্ত। তিনি নায়িকা কবরীর বিপরীতে উজ্জলকে নায়ক করে নির্মাণ করেন ‘বিনিময়’ চলচ্চিত্রটি। এটি সুপারহিট ব্যবসা করার পর এ নায়ক ঢাকাই চলচ্চিত্রে সহজেই প্রতিষ্ঠা পেয়ে যান। এরপর একাধারে রোমান্টিক ও সামাজিক সিনেমার নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর অ্যাকশন সিনেমার নায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন বিখ্যাত পরিচালক মমতাজ আলীর নির্মিত চলচ্চিত্র দিয়ে। অ্যাকশন চলচ্চিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে তিনি মেগাস্টার খ্যাতিও লাভ করেন। অভিনেতা উজ্জলের কথায়, ‘আমি মমতাজ আলীর যতগুলো সিনেমা করেছি- সবগুলোই ব্যবসায়িক সফলতা পেয়েছে।’ মমতাজ আলী পরিচালিত ‘নসীব’, ‘উসিলা’, ‘নালিশ’ ‘নিয়ত’সহ বেশ কয়েকটি অ্যাকশন সিনেমার নায়ক আমি। এ সিনেমাগুলো আমাকে এ দেশের মানুষের কাছে অ্যাকশন সিনেমার অন্যতম প্রধান নায়ক হিসেবে তুলে ধরে। ‘নসীব’ সিনেমাটি সেই সময়ে ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ সিনেমা হলে কয়েক মাস ধরে টানা চলেছে। মনে আছে, চাঁদপুরের একটি হলে ‘নসীব’ টানা ৯ মাস চলেছিল। ঢাকা শহরে ‘নসীব’ চলাকালীন হলের কাউন্টার খোলার সঙ্গে সঙ্গে টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে যেত। পুরান ঢাকায় প্রতিটি হলে ‘নসীব’ সিনেমার লেটনাইট শো চলত। এটা আমার প্রযোজিত সিনেমা। এ ছবিটি চালিয়ে হল মালিকরা যেমন অর্থ পেয়েছিলেন, তেমনিভাবে আমিও প্রচুর অর্থ পেয়েছিলাম। ‘নসীব’ সিনেমাটি ছিল আমার নায়ক জীবনের অন্যতম একটি রেকর্ড। এটি আমার ভাগ্য বদলে দেয়। ৫৫ বছরের সিনেমার ইতিহাসে তার নায়ক জীবনের টার্নিং পয়েন্ট যেসব সিনেমা সেসবের গল্প শোনা যাক তার মুখ থেকেই- “প্রথম সিনেমা ‘বিনিময়’ হিট করার পর আমার কপাল খুলে যায়। এরপর ‘সমাধান’ ও ‘বন্ধু’ সিনেমা দুটি হিট হয়। সারা দেশের সিনেমা হলগুলোতে ভিড় উপচে পড়েছিল তখন। ‘বিনিময়’, ‘সমাধান’, ‘বন্ধু’ ‘বলাকা মন, ‘অনুুভব’, ‘অপরাধ’, ‘অনুরাগ’, ‘ধন্যি মেয়ে’, ‘পায়ে চলার পথ’ ‘গরমিল’, ‘সমাধি’ সিনেমাগুলো আমার অভিনয় জীবনের শুরুতেই ভাগ্য খুলে দেয়।” উজ্জল বলেন, ‘‘রোমান্টিক সিনেমায় নায়ক হিসেবে সফলতা পাওয়ার পর সামাজিক ও অফট্রাকের সিনেমায় অফার পাওয়া শুরু করি। তেমনি একটি সিনেমার নাম ‘শনিবারের চিঠি’ ববিতা ছিলেন আমার নায়িকা। অফট্রাকের সিনেমা হিসেবে এটি ব্যবসাসফল হয়ে যায়। এ ঘরানার সিনেমা হিসেবে ‘লালন ফকির’ সিনেমাটি আমাকে আরও বেশি পরিচিতি ও খ্যাতি এনে দিয়েছিল সেই সময়ে। আমার বিপরীতে ছিলেন কবরী। এভাবেই খ্যাতিমান পরিচালকদের হাত ধরে একের পর এক সফলতা ঘরে আসে আমার। প্রচুর সিনেমা হাতে আসে। কাজ করে যাই মন দিয়ে। সাধনা ছিল আমার। সাধনা করে একটা অবস্থান গড়ে তুলি। কমেডি সিনেমা আমি একটিই করেছিলাম। তার নাম ‘ইয়ে করে বিয়ে’। অসাধারণ সফল একটি কমেডি সিনেমা। এভাবেই আমার নায়ক জীবন চলতে থাকে। আর দেখতে দেখতে সিনেমায় আমার ৫৫ বছর পূরণ হলো। আমি কৃতজ্ঞ এ দেশের দর্শকদের কাছে, সাংবাদিকদের কাছে, পরিচালকদের কাছে, সহশিল্পীদের কাছে এবং আমার সিনেমা শিল্পের সবার কাছে।’’
শিরোনাম
- জুলাইয়ের বিপ্লবী ছাত্র-জনতা মব নয় : মাহফুজ আলম
- জাপানে ভূমিকম্পের মধ্যে সমুদ্রে ‘অদ্ভুত গর্জন’ শোনার দাবি
- ফ্যাসিস্টদের পুশইন করুন, বিচার করতে প্রস্তুত আমরা : নাহিদ
- শাকিবের আগামী ঈদের সিনেমা চূড়ান্ত
- এবার ‘ট্রাম্প সুগন্ধি’ বাজারে, বিতর্ক
- মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৮ ডাকাত গ্রেফতার
- পারমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত ইরানের
- তিতাসে পাওনা টাকা নিয়ে রাজমিস্ত্রিকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ২
- সারাদেশে তরুণদের নিয়ে সরকারের আইডিয়া প্রতিযোগিতা শুরু
- কুমিল্লার বরুড়ায় পুকুরে গোসল করতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যু
- বাগেরহাটে সরকারি স্কুলের সামনে ময়লা ফেলা বন্ধে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
- দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ জামায়াতের নিবন্ধন পুনর্বহালের গেজেট প্রকাশ
- ৪৫তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার আগে ক্যাডার পরিবর্তনের সুযোগ
- ইরানে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে দুই ফরাসি নাগরিক অভিযুক্ত
- মোংলা বন্দরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন
- সব ধরনের সমরাস্ত্রের উৎপাদন বাড়ানোর ঘোষণা রাশিয়ার
- উলিপুরে অটোরিকশা উল্টে বৃদ্ধ নিহত, আহত ৩
- পরিবেশ উপদেষ্টার সঙ্গে জাইকার নির্বাহী সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্টের বৈঠক
- নির্বাচন নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই : আমীর খসরু
- নবনির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর বগুড়া প্রেসক্লাবের
‘নসীব’ সিনেমাটি আমার ভাগ্য বদলে দেয় : উজ্জল
আলাউদ্দীন মাজিদ
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর