ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে গত দেড় বছর আগে ধর্ষিত হয়েছিল ১৪ বছরের এক কিশোরী। এ অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন কামাং আদিত্য প্রতামা নামের ১৯ বছরের এক তরুণ। বিচারে তাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কয়েক মাস বালির দেনপাসার কারাগারে জেলও খাটে সে।
তবে শুক্রবার বালির এক আদালতে তার সাজা কমিয়ে মাত্র ১৮ মাস করা হয়। ধর্ষিতাকে বিয়ে করতে রাজি হওয়ায় তার কারাদণ্ডের মেয়াদ হ্রাস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডেইলি মেইল।
ওই কিশোরীর পরিবার মামলা করার পর গত ফেব্রেুয়ারিতে আদিত্যকে আটক করেছিল পুলিশ। বর্তমানে মেয়েটি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
ধর্ষিতাকে বিয়ে করা এবং তার গর্ভের সন্তানের সমস্ত দায় দায়িত্ব পালনে সম্মত হওয়ার পর শুক্রবার তার সাজা মওকুফের নির্দেশ দেন আদালত। এর আগেও আসামির পক্ষ থেকে মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তখন তার পরিবার রাজি হয়নি। কিন্তু কিশোরীটি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর তারা এ প্রস্তাবে রাজি হন।
এদিকে, এ ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে ইন্দোনেশিয়ার নারী অধিকার আদায়ে সক্রিয় সংগঠনগুলো। তারা আদালতের এ রায়কে 'পুরোপুরি অনুপযুক্ত' বলেও মন্তব্য করেছে।