দানবাকৃতির বিষাক্ত পিঁপড়া যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে বলে গবেষকরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। ‘ট্র্যাপ-জ অ্যান্ট’ নামের এ সব পিঁপড়া আকারে ৯. ৫ মিলিমিটার পর্যন্ত হতে পারে এবং এরা মুখের দাঁড়া ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত খুলতে পারে। এ দাঁড়া তারা কেবল শিকার ধরতে ব্যবহার করে না। বরং এর সহায়তায় এ পিঁপড়া এক লাফে কয়েক ইঞ্চি পাড়ি দিতে পারে। এ কারণে এ পিঁপড়াকে ‘রকেট অ্যান্ট’ও বলা হয়।
এ প্রজাতির চার ধরনের পিঁপড়া এ পর্যন্ত শনাক্ত করা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে। চার প্রজাতির সবাই অবশ্য দেশটিতে আগ্রাসন চালাচ্ছে না। ওডোনটোম্যাকাস হেমাটোডাস নামের প্রজাতিই এ কাজে এগিয়ে আছে। ১৯৫৬ সালে প্রথম এ পিঁপড়াকে দেশটির অ্যালাবামায় দেখা গিয়েছিল বলে জানা গেছে। বর্তমানের এ পিঁপড়া প্রজাতিকে মার্কিন উপকূলীয় অঞ্চলে দেখা যাচ্ছে। এমনকি পূর্বের ফ্লোরিডার পেন্সাকোলা এলাকায় এ পিঁপড়ার দেখা মিলেছে।
এ সব পিঁপড়া প্রজাতি নিয়ে সাম্প্রতিক গবেষণা করেছে উত্তর ক্যারোলিনা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়, দ্যা মিসিসিপি এন্টোমোলিজক্যাল মিউজিয়াম, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং ডেভিস অ্যান্ড আর্কবোল্ড বায়োলজিক্যাল স্টেশন।
উত্তর ক্যারোলিনা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ম্যাগাডালিয়ানা সোরগার জানান, দানবাকৃতির এ পিঁপড়া সবার অগোচরে নিজেদের ভূমির বিস্তার ঘটিয়ে চলেছে। এ পিঁপড়া সম্পর্কে মার্কিন গবেষকদের তেমন কিছুই জানা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে সব এলাকায় এ পিঁপড়া ঢুকে পড়ছে সেখানকার অন্যান্য প্রাণীর সঙ্গে কী আচরণ করছে তাও জানা নেই তাদের।