নারী হোস্টেলে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। অভিযোগ পেয়ে দ্রুত সেখানে ছুটে যান পুলিশ সদস্যরা। কিন্তু নির্যাতিতা মেয়েটির অনুরোধ পরিবারের সম্মান রক্ষায় ঘটনাটি নথিভুক্ত করা যাবে না। এমনকি যদি পুলিশ অভিযোগ লিপিবদ্ধ করে তাহলে আত্মহত্যারও হুমকি দেন তরুণী।
প্রথমে অভিযোগ, পরে আবার ঘটনা নথিবভুক্ত না করা নিয়ে সন্দেহ হয় পুলিশের। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ। সেই তদন্তে বেরিয়ে এসেছে ধর্ষিত হননি মেয়েটি। নিজের বিয়ে ঠেকানো ও পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করতেই এ ধর্ষণ নাটক সাজিয়েছেন ২২ বছর বয়সী ওই তরুণী।
গত বুধবার ভারতের তামিলনাড়ুর কম্বাতোরে এ ঘটনা ঘটে বলে শনিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়ে দেশটির জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
হোস্টেলে তদন্ত চালিয়ে পুলিশ জানতে পারে, গত ২৮ জুলাই স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় ওই তরুণীকে অচেতন ও চেয়ারে বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপর তার বাবা-মা এসে বিকেলে তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। কিন্তু এর বেশি না জানতে পারায় পুলিশ ঘটনাটির অধিক তদন্তের জন্য তরুণীর বাড়ি ইরোদে যান পুলিশ সদস্যরা।
সেখানে মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন, ৮ বছর ধরে সমবয়সী এক ছেলের সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে। অন্য বর্ণের হওয়ার তার অভিভাবক ছেলেটির সঙ্গে তার বিয়ে দিতে রাজি নয়। সম্প্রতি অন্য ছেলের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ের আলোচনা চলায় সে এ নাটক সাজায়। তার পরিকল্পনা ছিল, এ ঘটনায় অন্য ছেলে তাকে বিয়ে করতে চাইবে না এবং বাবা-মাও নিজেদের সম্মান রক্ষায় তার পছন্দের ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হবেন।
এ ঘটনার পর মেয়েটির পরিবারকে ভালভাবেই শাসিয়েছে পুলিশ সদস্যরা। তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এবারের মতো ছেড়ে দেওয়া হলেও পরবর্তী সময়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটালে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/০১ আগস্ট, ২০১৫/মাহবুব