৩০ নভেম্বর, ২০২২ ১৫:০৬

দোলনায় দোলে সিরাজুলের স্বপ্ন, মাসে আয় ৫০ হাজার

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দোলনায় দোলে সিরাজুলের স্বপ্ন, মাসে আয় ৫০ হাজার

শিশুদের জন্য দোলনায় দোলে সিরাজুলের স্বপ্ন। বাশেঁর তৈরি ও বিক্রি করে ভাগ্যের পরিবর্তন করেছেন খানসামার পুলহাটের সিরাজুল ইসলাম। তিনি দোলনা বিক্রি করে প্রতিমাসে আয় করেন প্রায় ৫০ হাজার টাকা। এতে তার সংসারে ফিরেছে সচ্ছলতা। সংসারে স্বচ্ছলতার পাশাপাশি তাঁর পরিবারের সদস্যসহ অন্যদেরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। গ্রাম-বাংলার এ ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে প্রশংসার দাবি রাখে সে। তবে বর্তমানে দোলনা তৈরির উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় লাভের পরিমাণ অনেক কমেছে গেছে বলে জানিয়েছেন সিরাজুল। 

সিরাজুল ইসলাম খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়নের পুলহাটের বাসিন্দা। তিনি রানীরবন্দর-খানসামা সড়কের পাশে পুলহাটে তাঁর দোলনা তৈরির কারখানা। প্রতিনিয়তই দোলনা তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকেন সিরাজুল ও তার পরিবার। সিরাজুল ইসলাম ১৯৯০ সালে দোলনা তৈরি শুরু করেন। অল্পদিনের মধ্যে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। দোলনা তৈরির কারিগর সিরাজুল, তার তিন ছেলে ও নাতিরা মিলে নিজ কারখানায় কাজ করেন। সময়ের পরিক্রমায় তার ব্যবসার পরিধি বাড়ার সাথে সংসারে অভাব-অনটন দূর করে এনেছেন স্বচ্ছলতা। হয়েছেন তিনি স্বাবলম্বী। 

সিরাজুল ইসলাম জানান, বাঁশ, প্লাস্টিকের ফিতা ও পেরেক দিয়ে দোলনা তৈরি করা হয়। প্রতিমাসে গড়ে ২৪০-২৫০টি দোলনা তৈরি করেন। দোলনাগুলো আকারভেদে বিক্রি হয় ২০০-৩০০ টাকায়। প্রতিমাসে তার আয় হয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। এ আয় দিয়েই তার সংসারের প্রায় ২০ জনের ভরণপোষণ ছাড়াও কিছু টাকা জমা করেন। তার তৈরি দোলনা খানসামা উপজেলার পাশাপাশি দিনাজপুর, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, রংপুরসহ কয়েক জেলা ও উপজেলায় পাইকারি দরে বাজারজাতও করেন তিনি।

সিরাজুল ইসলাম আরো বলেন, দীর্ঘ ৩৫ বছর যাবত আমি এ কাজের সাথে সম্পৃক্ত। এতে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বীর পাশাপাশি আমার ছেলেদেরও কর্মসংস্থান হয়েছে। তবে বর্তমানে দোলনা তৈরির উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় লাভের পরিমাণ অনেক কমেছে। 


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর