সোমবার, ২৪ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

আট দিন নিখোঁজ থাকার পর ঢাবি ছাত্রের লাশ মিলল মর্গে

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

আট দিন নিখোঁজ থাকার পর ঢাবি ছাত্রের লাশ মিলল মর্গে

আট দিন নিখোঁজ থাকার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে মিলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের গলা কাটা লাশ। প্রাথমিকভাবে একে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে পুলিশ। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল সন্ধ্যায় হাফিজের পরিবারের সদস্যরা শাহবাগ থানায় ওসির সঙ্গে দেখা করতে গেলে তার পরিচয় শনাক্ত হয়। ঘটনার বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত ১৫ মে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা  মেডিকেলের প্রশাসনিক ভবনের গেটের সামনে হাফিজ ‘আমাকে মাফ করে দাও’ বলে দৌড়াদৌড়ি করছিল। এক পর্যায়ে হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনের এক ভ্রাম্যমাণ ডাব বিক্রেতার ধারালো দা দিয়ে নিজের গলা নিজেই কেটে ফেলেন। পরে গলা কাটা অবস্থায় দৌড় দিয়ে  মেডিকেলের বহির্বিভাগের গেটের সামনে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।  সেখানে কর্তব্যরত পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়। পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় তাকে আট দিন ধরে হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছিল। গতকাল হাফিজের পরিবারের সদস্যরা শাহবাগ থানায় গেলে ওসির মোবাইলে সংরক্ষিত ছবি দেখে তারা লাশ শনাক্ত করেন। হাফিজুর রহমান ঢাবির তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানায়।

তার বন্ধুরা জানান, গত ১৫ মে ঈদুল ফিতরের পরদিন ক্যাম্পাসে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করে রাতে বাড়ির যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিদায় নেন হাফিজ। এরপর  থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এ বিষয়ে কসবা থানায় জিডি করা হয়েছিল।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, ১৫ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের গেটের সামনে ডাব বিক্রেতার ধারালো দা দিয়ে হাফিজ নিজের গলা কেটেছেন। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে তিনি মারা যান। পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় তাকে ৯ দিন ধরে হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছিল। এখন পরিবার যেভাবে চায়, আমরা  সেভাবেই ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর