চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও গভীর করতে বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নর ওয়াং ইউবোর সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। গভর্নরের প্রথম বাংলাদেশ সফরকে স্বাগত জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এটা কেবল শুরু। আমরা এত কাছাকাছি, তবুও এত দূরে। আসুন, এ পরিস্থিতি বদলে ফেলি। আমরা আশা করি আপনি আবারও আমাদের দেখতে আসবেন। আমরা ভালো প্রতিবেশী হতে চাই। তবে তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ, খুব ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হতে চাই।
প্রধান উপদেষ্টা ও গভর্নর যুব বিনিময়, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও বাণিজ্যসহ বিভিন্ন যৌথ উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন। গভর্নর ইউবো অধ্যাপক ইউনূসের বক্তব্যে আন্তরিকভাবে সাড়া দিয়ে বলেন, আমার এই সফরের উদ্দেশ্য হলো আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করা। ইউনান দক্ষিণ এশিয়ার জন্য চীনের উন্মুক্ত কেন্দ্র হিসেবে কাজ করতে প্রস্তুত। ইউবো পেশাগত প্রশিক্ষণ, ডিজিটাল ও ভাষা শিক্ষা খাতে সহযোগিতা বাড়ানো এবং সামুদ্রিক খাবার, আম ও কৃষিপণ্যের মতো খাতে বাণিজ্য সম্প্রসারণের প্রস্তাব দেন। প্রধান উপদেষ্টা গভর্নরের প্রস্তাবগুলোর প্রতি সমর্থন জানান। সভায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
থ্রি জিরো ভিশনের ওপর জোর দিতে বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান : অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং জলবায়ু-সহনশীল নগর উন্নয়নের প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বিশ্ববাসীর প্রতি ‘থ্রি জিরো’ ভিশন শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য নেট কার্বন নির্গমনের ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানান।
গতকাল সকালে ব্যাংককের জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হওয়া টেকসই নগর উন্নয়নের লক্ষ্যে ৮১তম এসক্যাপ অধিবেশনে দেওয়া ভিডিওবার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান। এ অধিবেশনে ৫৩টি সদস্য রাষ্ট্র এবং ৯টি সহযোগী সদস্য একত্রিত হয়েছেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে আছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। ড. মুহাম্মদ ইউনুস জলবায়ু ও নগর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান এবং টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনের জন্য যুব সম্ভাবনা ও উদ্ভাবনকে কাজে লাগানোর জন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।