রবিবার, ২৩ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

এশিয়ার শীর্ষ ধনী ভারতের আম্বানি ও আদানি

এশিয়ার শীর্ষ ধনী ভারতের আম্বানি ও আদানি

চীনা শিল্পপতি জোং শ্যানশেনকে হটিয়ে এশিয়ার শীর্ষ ধনীর জায়গা দখল করেছিলেন ভারতের শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি। এবার দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা চীনা শিল্পপতি নিজের অবস্থান ধরে রাখতে ব্যর্থ হলেন। জোং শ্যানশেনকে টপকে এশিয়ার দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি হলেন গৌতম আদানি। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে আম্বানিকে পেছনে ফেলে ওপরে উঠে এসেছিলেন শ্যানশেন। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী বিশ্বের ধনীদের তালিকায় এ মুহুর্তে ১৩ ও ১৪ নম্বর স্থানে রয়েছেন আম্বানি ও আদানি। আর এ হিসাবে তাঁরা এখন এশীয়ার ধনীদের মধ্যে ১ ও ২ নম্বরে। আম্বানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৭৬.৩ বিলিয়ন ডলার। আর আদানির ৬৭.৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সম্পদের পরিমাণে রিলায়েন্স কর্ণধারের সঙ্গে আদানি গ্রুপের কর্ণধারের তফাত মাত্র ৮.৭ বিলিয়ন ডলারের। ২০২১ সালেই গৌতম আদানির সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৩.৮ বিলিয়ন ডলার। সারা বিশ্বের হিসাবে এই সময়ে এর থেকে বেশি সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে মাত্র দুজন ধনকুবেরের। অথচ এই সময়ের মাঝে আম্বানির সম্পদের পরিমাণ তো বাড়েইনি বরং তিনি হারিয়েছেন ৩৯৮ মিলিয়ন ডলার। এর ফলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ভারতের তথা এশিয়ার শীর্ষ ধনীর শিরোপা আর বেশি দিন থাকবে না মুকেশ আম্বানির মাথায়? আদানি তাঁর প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের আকাশছোঁয়া দাম বৃদ্ধিই এর পেছনের কারণ। তাঁর ছয় প্রতিষ্ঠান- আদানি এন্টারপ্রাইজেস, আদানি গ্রিন, আদানি টোটাল গ্যাস, আদানি পাওয়ার, আদানি গ্যাস, আদানি ট্রান্সমিশনের সম্মিলিত বাজার মূলধন বৃহস্পতিবারের হিসাবে ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে জ্বালানি খাত থেকে সরে এসে মুকেশ আম্বানি তাঁর বাণিজ্যিক সাম্রাজ্য সম্প্রতি প্রযুক্তি ও ই-কমার্সের দিকে নিয়ে যাওয়া শুরু করেছেন। গত বছর তিনি রিলায়েন্স ডিজিটাল ও রিটেইল ইউনিটের ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলার মূল্যের শেয়ার গুগল, ফেসবুকসহ কয়েকটি বড় কোম্পানিকে হস্তান্তর করেন। গত নয় বছর ধরে ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির স্থান দখল করে আছেন মুকেশ আম্বানি।

সর্বশেষ খবর