সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

সড়কে বেপরোয়া যান ঝরল পাঁচ প্রাণ

যাত্রীদের ওপর উঠে গেল প্রাইভেট কার, বাসের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত, গাজীপুরে বাস উল্টে মা-মেয়ে নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা ও গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় গতকাল পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুরে ঢাকার উত্তরায় বাস চাপায় রাসেল (২৪) ও ফয়সাল (২২) নামে দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। দুপুরে গুলিস্তানে বাস চাপায় মাহবুবুর রহমান (৫৬) নামে এক ব্যক্তি মারা যান। সকালে গাজীপুরের মৌচাকে বাস উল্টে ফাতেমা বেগম (৩৫) ও তার মেয়ে আরবীর (৯ মাস) মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া দুপুরে ঢাকার কুর্মিটোলায় একটি প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফুটপাথে উঠে গেলে মা-মেয়েসহ ১৪ জন পথচারী আহত হয়েছে।

উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা জানান, দুপুরে হাই চয়েস পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলের দুই আরোহী রাসেল ও ফয়সাল গুরুতর আহত হন। তাদের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় বাসটি জব্দসহ চালক রবিউল ও চালকের সহকারী আবদুস সালামকে আটক করা হয়েছে। শাহবাগ থানার এসআই মো. খাইরুল ইসলাম জানান, দুপুরে গুলিস্তানের গোলাপ শাহ মাজারের সামনে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় সাবেক ঠিকাদার মাহবুবুর রহমান আহত হন। তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় বাস জব্দসহ এর চালককে আটক করা হয়েছে। দুই সন্তানের জনক মাহবুবুর রহমানের স্ত্রীর নাম আনোয়ারা বেগম। তাদের গ্রামের বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার ছাথিয়ায়। বর্তমানে মগবাজারের মিরবাগে থাকতেন। কোনাবাড়ী হাইওয়ে পুলিশের এসআই মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সকালে কালিয়াকৈরের চন্দ্রা থেকে ঢাকাগামী আজমেরী গ্লোরী পরিবহনের একটি বাসে মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন ফাতেমা। পথে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈরের মৌচাক আমবাগান (হর্টিকালচার) এলাকায় আরেকটি গাড়িকে পাশ কাটাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি মহাসড়কের পাশে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই বাসের যাত্রী মা ও মেয়ে মারা যান। বাসের আরও কয়েকজন যাত্রী আহত হন। খবর পেয়ে নিহতদের লাশ উদ্ধার এবং দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি জব্দ করা হয়েছে। বাসের চালক পলাতক। নিহত ফাতেমা গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার বোর্ডমিল এলাকার ইদ্রিস আলীর স্ত্রী। এদিকে, ক্যান্টনমেন্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিরুজ্জামান জানান, দুপুর ১২টায় এয়ারপোর্ট থেকে বনানীর দিকে যাওয়ার সময় একটি প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফুটপাথে উঠে যায়। এতে মা-মেয়েসহ অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১১ জনকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এবং তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। ঢামেক হাসপাতালে ভর্তিদের মধ্যে একই পরিবারের দুজন রয়েছে। তারা হলো- মা তামান্না আক্তার ও মেয়ে সুমাইয়া আক্তার। আহত অপরজন হলেন জাহিদা বেগম। প্রাইভেট কার জব্দসহ এর চালক রবিউলকে আটক করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর