বুধবার, ২ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতু পরীক্ষামূলক চলল ট্রেন

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতু পরীক্ষামূলক চলল ট্রেন

পদ্মা সেতু রেল লিঙ্ক প্রকল্পের ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানো হয়েছে। ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত পর্যন্ত দূরত্ব ৩২ কিলোমিটার। ওই ৩২ কিলোমিটার রেললাইন এখন ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত। ফরিদপুরের ভাঙ্গা জংশন থেকে গতকাল বেলা ১১টার দিকে দুটি বগি নিয়ে কর্মকর্তারা পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে আসেন।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, পদ্মা রেল লিঙ্ক প্রকল্পের কাজ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- ঢাকা থেকে মাওয়া, মাওয়া থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর। পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে ৩২ কিলোমিটার। এর মধ্যে ভায়াডাক্ট ৪ কিলোমিটার আর মাটির ওপর দিয়ে ২৮ কিলোমিটার। ভায়াডাক্টের ৪ কিলোমিটার রেললাইন প্রস্তুত করা হয়েছে পাথরবিহীন। আর ২৮ কিলোমিটার নির্মাণ করা হয়েছে পাথর দিয়ে।

পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত দুটি স্টেশন রয়েছে। স্টেশনগুলোর ওপর দিয়ে ৩২ কিলোমিটার লাইন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। এখন স্টেশন দুটির চূড়ান্ত নির্মাণকাজ ও জংশনে চার লেনের লাইন বসানোর কাজ করা হচ্ছে। এ ছাড়া ভাঙ্গা স্টেশনটি আধুনিকায়ন করার কাজ চলছে।

৩২ কিলোমিটার লাইন নির্মাণ শেষ হলে গতকাল প্রকল্প সমন্বয়ক মেজর জেনারেল এফ এম জাহিদ হোসেন, প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন, প্রকল্প ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ ও রেল লিঙ্ক প্রকল্পের কর্মকর্তারা একটি উন্মুক্ত বগিতে চড়ে ৩২ কিলোমিটার রেলপথ পাড়ি দিয়ে পদ্মা সেতুতে পৌঁছান। রেলের ওই দুটি বগি জাজিরার পদ্মা স্টেশনে পৌঁছলে প্রকল্পে কর্মরত কর্মকর্তা ও শ্রমিকরা হাত নেড়ে কর্মকর্তাদের অভিবাদন জানান।

প্রকল্পের অগ্রগতি-সংক্রান্ত প্রতিবেদন অনুসারে, ১ নভেম্বর পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৬৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এর মধ্যে ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত অংশের কাজ শেষ হয়েছে ৭০ শতাংশ। মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের কাজ হয়েছে ৮৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত কাজ হয়েছে ৫৭ দশমিক ৩১ শতাংশ।

পদ্মা সেতুর রেল লিঙ্ক প্রকল্পের সমন্বয়ক মেজর জেনারেল এফ এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার রেললাইনে পরীক্ষামূলক রেল চালানো হয়েছে। পদ্মা সেতু হয়ে রেল চালু হওয়ার পর দেশের অর্থনীতিতে অভাবনীয় উন্নতি হবে। বিশেষ করে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমের জনপদে যোগাযোগ ও অর্থনীতিতে সমৃদ্ধি আসবে। আমরা আশা করছি মেয়াদের মধ্যেই ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারব।’

সর্বশেষ খবর