প্রথম রাষ্ট্রপতি নিয়ে খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমানের বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। এ ধরনের বক্তব্যের জন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দলীয় আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের সভায় তারা এ অনুরোধ জানান। বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের চক্রান্তের বিরুদ্ধে ১৪ দলের তিনটি দল আগামী ২৮, ২৯ ও ৩০ এপ্রিল জেলা ও বিভাগীয় শহরে গণসংযোগ ও সমাবেশ করবে।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, দেশে বিদেশী চক্রকে সঙ্গে নিয়ে বেগম জিয়া একটি অগণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতায় বসাতে চক্রান্ত করছে। চন্দ্র সূর্য যেমন সত্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির পিতা এবং দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি সত্য। তারা মিথ্যার বেসাতি নিয়ে মাঠে নেমেছে। আমরা ১৪ দল, চরম ঘৃণার সঙ্গে তার এ বক্তব্যের প্রতিবাদ করছি। যারা এ কাজটি করছে তারা বারবার ঘৃণিত হবেন।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিককালে বেগম জিয়া, তার পুত্র ও বিএনপি নেতারা অযাচিতভাবে একটি নতুন উক্তি করেছেন, যা বাংলাদেশের মানুষকে আহত করেছে। খালেদা জিয়া যা বলেছেন একটি ছোট্ট শিশুও বিশ্বাস করবে না। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে যখন দেশে লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা উচ্চারিত হয়েছে। সেই মুহুর্তে পরাজিত শক্তি নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
'৫৩ শতাংশ ভোট জালিয়াতি হয়েছে' ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ নাসিম জানান, ১৪ দলের এ মিটিং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়নি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চেৌধুরী, ডা. বদিউজ্জামান ভূইয়া, আফজাল হোসেন, মৃণাল কান্তি দাস, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দি, ওয়ার্কাস পার্টির আনিসুর রহমান মল্লিক, সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়ুয়া, গণআজাদী লীগের হাজী সামাদ, গণতন্ত্রী পার্টির নুরুর রহমান সেলিম, ডা. শহিদুল্লাহ শিকদার, জাতীয় পার্টির( জেপি) শেখ শহিদুল ইসলাম, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের ওয়াজেদুল ইসলাম খান, ন্যাপের ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।
