গরু-মহিষের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন জামাই-শ্বশুর। ঘটনার শুরু ২০১১ সালে, এ নিয়ে যখন সংসার ভাঙার উপক্রম হয়েছে, যা শেষ পর্যন্ত গড়িয়েছে হাইকোর্টে।
জানা গেছে, জামাই আব্দুল ওদুদ ২০১১ সালে ৮টি মহিষ ও ৫টি গরু শ্বশুরকে পালতে দিয়ে সৌদি আরবে চলে যান। পরে ২০২১ সালে দেশে ফিরে দেখেন ৮টি মহিষ বেড়ে হয়েছে ২০টি। আর ৫টি গরু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭টিতে। এবার জামাই শ্বশুরের কাছে সবকটির মালিকানা দাবি করে বসেন। কিন্তু শ্বশুর নুর মোহাম্মদ তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে লক্ষীপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের আদালতে মামলা করে বসেন জামাই।
মামলার পর তদন্তে নামে পুলিশ। পরে জামাই আব্দুল ওদুদের পক্ষে রায় আসে। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে এবার লক্ষীপুর দায়রা আদালতে মামলা করেন শ্বশুর। সেখানেও হেরে যান তিনি। তবে গরু মহিষের দাবি ছাড়েননি শ্বশুর। এবার লড়তে এসেছেন হাইকোর্টে।
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলাটি পাঠান সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডে। সেখানে মহিষ ভাগ করে দেয়া হয় দু'পক্ষের মাঝে। আপাতত ৯টি পাবে জামাই। আর শ্বশুর পাবেন ৮টি। তবে এমন মধ্যস্থতার আগে দু'পক্ষই গরু-মহিষের দাবি করেন।
তারা জানান, জীবন চলে গেলেও দাবি ছাড়বেন না। সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডে হস্তক্ষেপে আপাতত ভাগ হয়েছে মালিকানা।
সূত্র : চ্যানেল টুয়েন্টিফোর।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক