বাংলাদেশে তৈরি পোশাক পণ্যের দাম যুক্তরাজ্যের ক্রেতাদের বাড়াতে বলেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি-বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বলেছেন, বিশ্বব্যাপী সরবরাহ চেইনে সুতা, রাসায়নিক এবং অন্যান্য কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পোশাক পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাজ্যের ব্র্যান্ড এবং রিটেইলারদের কাছে পোশাক পণ্যের দাম বাড়ানোর আহ্বান জানাই। সামাজিকভাবে ও নৈতিকভাবে পণ্য উৎপাদনের জন্য কেউ কম দামকে সমর্থন করতে পারে না। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বিজিএমইএ বলেছে- গত ১২ নভেম্বর লন্ডনের ইস্ট ইন্ডিয়া ক্লাবে বাংলাদেশি পোশাক পণ্যের ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ ব্র্যান্ড এবং রিটেইলারদের নিয়ে বিজিএমইএ আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান।
এই বৈঠকে অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ ফর এথিকস অ্যান্ড সাসটেইন্যাবিলিটি ইন ফ্যাশনের কো-চেয়ার হর্নসির ব্যারনেস লোলা ইয়ং উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সহসভাপতি মিরান আলী, পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিব এবং শাশা ডেনিমস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস মাহমুদ।
ওই বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বৈঠকে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, টেকসই উন্নয়ন এবং নৈতিক উৎপাদনে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের অনন্য অর্জন সম্পর্কে যুক্তরাজ্যের ব্র্যান্ডসমূহ এবং ব্যারনেস লোলা ইয়ংকে অবহিত করেন। তিনি আগামী দিনগুলোতে এসব ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার জন্য শিল্পের দৃঢ় প্রত্যয় জোরালোভাবে ব্যক্ত করেন।
তিনি বিশ্বে পোশাক সোর্সিংয়ের একটি নিরাপদ, টেকসই এবং প্রতিযোগিতামূলক গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশের খ্যাতি ধরে রাখার জন্য বাংলাদেশের পোশাক কর্তৃক নির্ধারিত ভবিষ্যৎ অগ্রাধিকারগুলোর ওপরও আলোকপাত করেন। ফারুক হাসান তার উপস্থাপনায় বৈশ্বিক ব্র্যান্ড ও ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে পোশাকশিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধি, বিশেষ করে পণ্য ও বাজার বৈচিত্র্যকরণ, উদ্ভাবন ও মূল্য সংযোজন এবং প্রযুক্তির আপগ্রেডিং প্রভৃতি ক্ষেত্রে সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে শিল্প যে ক্রমেই মনোযোগী হচ্ছে, তা তুলে ধরেন।
ওই বৈঠকে ক্রেতারা বাংলাদেশের পোশাকশিল্প নিয়ে তুলে ধরা উপস্থাপন বিষয়ে তাদের গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশ থেকে সোর্সিং করা বিষয়ে তাদের অভিপ্রায়ের পুনঃপ্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।