শিরোনাম
প্রকাশ: ১৪:০৮, সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০২২ আপডেট:

১৫ আগস্ট: জাতির এই কলঙ্ক হাজার বছরেও মুছবে না

ড. সেলিম মাহমুদ
অনলাইন ভার্সন
১৫ আগস্ট: জাতির এই কলঙ্ক হাজার বছরেও মুছবে না

বিশ্ব মানবতার ইতিহাসে ১৫ আগস্ট এক কলঙ্কিত দিন। বাঙালি জাতির জন্য সবচেয়ে বেদনার দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে বাঙালি জাতির পিতা, পৃথিবীর একমাত্র ভাষা ও জাতিভিত্তিক রাষ্ট্র বাংলাদেশের স্রষ্টা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশবিরোধী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কিছু দুষ্কৃতকারী সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। প্রতি বছর জাতি এই বেদনার দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করে। ১৫ আগস্ট আমাদের বেদনা আর আবেগের সর্বোচ্চ জায়গা। এই দিনটি আমাদের জন্য একদিকে যেমন বেদনা আর শোকের দিন, অন্যদিকে এটি আমাদের আদর্শকে বলীয়ান আর চেতনাকে শানিত করারও একটি দিন। 

১৯৭১ সালের প্রতিশোধ আর স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের পথচলা থামিয়ে দেওয়াই ছিল জাতির পিতাকে হত্যার মূল লক্ষ্য। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারী চক্র ১৯৭১ সালের প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল, কারণ তিনি তদানীন্তন পরাশক্তি তথা বিশ্বব্যবস্থার বিরুদ্ধে গিয়ে এক দীর্ঘ মুক্তি সংগ্রাম আর মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের পর ত্রিশ লাখ শহীদের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী তারই দেওয়া আমাদের সংবিধান থেকে মুক্তি সংগ্রাম আর মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ভূলুণ্ঠিত করা হয়। সংবিধানকে অবৈধভাবে ক্ষত বিক্ষত করা হয়। সংবিধানের সবচেয়ে মৌলিক অংশ, এর প্রস্তাবনা থেকে বাংলাদেশের আত্মপরিচয় বিকৃত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের অর্জন বাঙালি জাতীয়তাবাদকে সাংবিধানিকভাবে বাতিল করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত ব্যক্তিদের বিচার বন্ধ করা হয়। বাঙালির অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অগ্রযাত্রাকে রুদ্ধ করা হয়। শুধুমাত্র বাংলাদেশ নামটি অপরিবর্তিত রেখে পাকিস্তানি আদর্শ ও ভাবধারায় এদেশকে পরিচালনার লক্ষ্যেই সেদিন দুষ্কৃতকারীরা ইতিহাসের এই নিষ্ঠুরতম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। 

বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে এসে একটি গণতান্ত্রিক দেশে সেদিন সপরিবারে জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডকে মধ্যযুগীয় কায়দায় ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটির’ কথা বলে রাষ্ট্রীয়ভাবে বৈধতা দেওয়া হয়। খুনি চক্রের এই ঘৃণ্য বৈধকরণ প্রক্রিয়া এদেশে বহু বছর অব্যাহত ছিল। আগস্ট হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীদের পরামর্শে খুনি মোশতাক কুখ্যাত ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে জাতির পিতার হত্যার বিচার বন্ধ করেছিল। সংবিধান ও আইনের শাসনের পরিপন্থী ওই অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে বিধান করা হলো- প্রত্যেক খুনির অনুকূলে একটি সার্টিফিকেট ইস্যু করা হবে এবং এই সার্টিফিকেটধারী খুনিদের এই হত্যাকাণ্ড ও অবৈধভাবে সরকার উৎখাতের ঘটনার কারণে কোনও বিচার করা যাবে না। আরও বিধান করা হলো, সুপ্রিম কোর্টসহ কোনও আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাবে না এবং তাদের বিচার করা যাবে না। পৃথিবীর ইতিহাসে এরকম ঘটনা আর ঘটেনি। এই অর্ডিন্যান্সে যারা সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল শুধু তাদেরই বিচারের বাইরে রাখা হয়নি, যারা পরিকল্পনায় যুক্ত ছিল তাদেরও রক্ষা করা হয়েছিল। এতে বুঝা যায়, সপরিবারে জাতির পিতার এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় যে প্রভাবশালী গোষ্ঠী ছিল, নিজেদের রক্ষার জন্য তারা বেশ তৎপর ছিল। জেনারেল জিয়া ১৯৭৯ সালে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সসহ সকল অবৈধ ও অসাংবিধানিক আইনকে বৈধভাবে প্রণীত আইন বলে ঘোষণা দিলো, যা ছিল সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। সেই সংশোধনীতে এটি উল্লেখ করা হলো, কোনও আদালতে এই সকল আইনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না। 

জাতির পিতার হত্যার বিচার বন্ধ ছিল প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে। পিতার হত্যার বিচারের জন্য আমরা দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। ১৫ আগস্ট পরবর্তী সরকারগুলো ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সের দোহাই দিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতে দেয়নি। তারা মূলত খুনিদের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছিল। ১৯৯১ সালে সংসদীয় গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তনের পর আমরা সংসদে কুখ্যাত ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাতিলের দাবি করেছিলাম। বিএনপি তখন বলেছিল, এই অর্ডিন্যান্স বাতিল করা যাবে না, কারণ এটি পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের অংশ হয়ে গেছে। আমরা বার বার বলেছিলাম, এটি একটি সাধারণ আইন যা সংসদে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে বাতিল করা যায়। তারা বিচারের ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল। তাদের ওই পাঁচ বছরের মেয়াদে জাতির পিতার হত্যার বিচারের বিষয়ে তারা একটি ইতিবাচক কাজও করেনি। বরং তারা খুনিদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল ও তাদের পুরস্কৃত করেছিল। জিয়া, এরশাদ ও খালেদার সরকার খুনিদের রাষ্ট্রদূতসহ বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিল। আশির দশকে সরকারের পক্ষ থেকে খুনিদের একটি ব্যাংকও দেওয়া হয়। এমনকি পরবর্তীতে ১৫ ফেব্রুয়ারির প্রহসনমূলক নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর অন্যতম খুনি রশিদকে খালেদা জিয়া বিরোধীদলীয় নেতা বানিয়ে জাতীয় সংসদকে কলঙ্কিত করেছিল। এটি আমাদের জাতীয় সংসদের ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। 

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে সংসদে কুখ্যাত ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাতিল করেছিল। এর ফলে প্রচলিত আদালতে সপরিবারে জাতির পিতার হত্যার বিচার শুরু হয়েছিল। ট্রায়াল কোর্ট হিসেবে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালত মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেছিল। পরবর্তীতে ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর উচ্চতর আদালতে এই মামলার কার্যক্রম উদ্দেশ্যমূলকভাবে থামিয়ে দিয়েছিল। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয়লাভ করে সরকার গঠন করার পর উচ্চতর আদালতে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের ক্ষেত্রে বিএনপি-জামায়াতের সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা দূরীভূত হয় এবং বহু প্রতীক্ষিত এই বিচার সম্পন্ন হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েকজন খুনি এখনও বিদেশে পলাতক থাকায় রায় এখনও সম্পূর্ণরূপে কার্যকর করা যায়নি। পলাতক খুনিদের খুঁজে বের করে এই রায় কার্যকর করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট বিদেশি রাষ্ট্রগুলোসহ সকলের সহযোগিতা চাই। এছাড়া বিচারের সময় জীবিত না থাকার কারণে জিয়া-মোশতাকসহ এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীদের বিচার করা যায়নি। এটি মনে রাখা প্রয়োজন ইতিহাসের একটি ধারাবাহিকতা ও অগ্রাধিকার রয়েছে। এই আলোকে এখন সময় এসেছে জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী এবং সুবিধাভোগীদের নাম উন্মোচিত করার। প্রজাতন্ত্রের তিন বিভাগ এক্ষেত্রে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। 

১৯৭৫ সালে বাঙালি জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডে বিশ্ববিবেক জাগ্রত হয়েছিল। সারা বিশ্বের বিবেকবান মানুষ বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সেদিন স্তম্ভিত হিয়েছিল। তারা এই নৃশংস ঘটনায় তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেছিল। ১৯৭৫ সালের পর ইউরোপে স্যার থমাস উইলিয়ামস কিউসি’র নেতৃত্বে বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার সুষ্ঠু বিচারের লক্ষ্যে একটি কমিশন অব ইনকোয়ারি গঠিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত করতে এই কমিশন অব ইনকোয়ারি’র সদস্যগণ বাংলাদেশে আসতে চাইলে জেনারেল জিয়ার নির্দেশে তাদের ভিসা দেওয়া হয়নি। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের বিষয়ে একাধিকবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টেও আলোচনা হয়। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছিল। 

বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী, পরিকল্পনাকারী ও তাদের সুবিধাভোগীরা জানতো, এই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে দেশে ব্যাপক প্রতিরোধ সংগ্রাম হবে। এদেশের মানুষ এটি মেনে নেবে না। তাই দেশে ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে জরুরি অবস্থা চলমান থাকা অবস্থার মধ্যেই ১৫ আগস্ট দেশে সামরিক শাসন জারি করেছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে যেকোনও প্রতিরোধ ও প্রতিবাদ প্রতিহত করবার জন্যই সেদিন খুনিচক্র সামরিক আইন জারি করা হয়েছিল। তাদের ধারণা ছিল, সামরিক শাসন জারি না করলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড পরবর্তী পরিস্থিতি তারা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে না। আর এটি হলে তাদের পিছু হটতে হবে এবং জাতির পিতার অনুসারীরাই আবার ক্ষমতা গ্রহণ করবে। 

শেখ হাসিনার সরকার এদেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেছে। খুনি মোশতাক-জিয়া গং এবং তাদের লিগ্যাসি যারা বহন করেছে, তারাই বিচারহীনতার সংস্কৃতি বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। ২১ বছর আমরা ন্যায়বিচার তো দূরের কথা, বিচারই চাইতে পারিনি। বিচার চাওয়ার জন্য মামলাই করতে পারিনি। আমাদের বিচার চাইবার অধিকারই ছিল না। আজ কেউ কেউ গণতন্ত্র, আইনের শাসন আরমানবাধিকারের কথা বলছেন। তারাই এদেশে জাতির পিতার হত্যার বিচার অবৈধ আইন করে বন্ধ রেখেছিল। তাদের মুখে আইনের শাসন আর মানবাধিকারের কথা মানায় না। আইনের শাসন ও মানবাধিকারের নীতির আলোকে এই ধরনের ঘটনা চিন্তাও করা যায় না।তবে ইকুইটির একটি নীতি আছে যা এরকম, ‘He who comes to equity, must come with clean hands.’

এটি আমাদের স্মরণ রাখা প্রয়োজন, বঙ্গবন্ধু আমাদের শুধুমাত্র রাজনৈতিক কিংবা ভৌগোলিক স্বাধীনতা দিয়ে যাননি। বাঙালির অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক মুক্তি ও অগ্রগতির জন্য যুগান্তকারী সাংবিধানিক, আইনি ও নীতিগত সিদ্ধান্ত দিয়ে গিয়েছিলেন। এগুলোর অনেকটাই তিনি খুব অল্পসময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন করেছিলেন। তার নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের গণপরিষদ মাত্র দশ মাসের মধ্যে একটি বিশ্বমানের সংবিধান উপহার দিয়েছিল। পৃথিবীতে এতো স্বল্পতম সময়ে কোনও রাষ্ট্র তার সংবিধান তৈরি করতে পারেনি। এই রাষ্ট্রকে টেকসই করার জন্য তিনি খুব অল্প সময়ের মধ্যে পৃথিবীর প্রায় সকল দেশ (কয়েকটি দেশ ছাড়া) ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের কাছ থেকে স্বীকৃতি আদায় করেছিলেন। পৃথিবীর ইতিহাসকে ভুল প্রমাণ করে মুক্তিযুদ্ধের পর মাত্র তিন মাসের মাথায় তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ভারত বাংলাদেশ থেকে তাদের সকল সৈন্য প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে এটি একটি বিরল ঘটনা। 

বঙ্গবন্ধু কী ধরনের বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিলেন, সেটি তিনি রাষ্ট্রের সংবিধানে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করেছেন। তিনি সংবিধানে এক শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত থাকবে। সংবিধানে তিনি বিধান করেন (অনুচ্ছেদ ১৪), রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হবে মেহনতী মানুষকে, কৃষক ও শ্রমিককে, এবং জনগণের অনগ্রসর অংশসমূহকে সকল প্রকার শোষণ হতে মুক্তি দান করা। বাংলাদেশকে প্রকৃত অর্থে একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্রে পরিণত করতে তিনি সংবিধানে আরও বিধান করেন, রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হবে পরিকল্পিত অর্থনৈতিক বিকাশের মাধ্যমে উৎপাদনশক্তির ক্রমবৃদ্ধিসাধন এবং জনগণের জীবনযাত্রার বস্তুগত ও সংস্কৃতিগত মানের দৃঢ় উন্নতিসাধন, যাতে নাগরিকদের জন্য অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসহ জীবনধারণের সকল প্রয়োজন অর্জন নিশ্চিত করা যায়। দেশের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতির পিতা সংবিধানে বিধান করেন, নগর ও গ্রামাঞ্চলের জীবনযাত্রার মানের বৈষম্য ক্রমাগতভাবে দূর করার উদ্দেশ্যে কৃষি বিপ্লবের বিকাশ, গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুতায়নের ব্যবস্থা, সকল ধরনের শিল্পের বিকাশ এবং শিক্ষা, যোগাযোগ-ব্যবস্থা ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের আমূল পরিবর্তনের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এই ধরনের কল্যাণমুখী রাষ্ট্রের চরিত্র সমকালীন সময়ে তৃতীয় বিশ্বের খুব কম দেশেই ছিল। 

জাতির পিতা এদেশে ঔপনিবেশিক আমল থেকে চলে আসা বিদেশি শোষণ বন্ধ করতে এবং প্রাকৃতিক সম্পদসহ এদেশের স্থলভাগসহ সমুদ্রে অবস্থিত সকল সম্পদের ওপর রাষ্ট্রীয় মালিকানা সাংবিধানিকভাবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন (অনুচ্ছেদ ১৪৩)। এই আইনি অধিকারের ধারণাটি তৎকালীন সময়ে আন্তর্জাতিক আইন অঙ্গনে খুবই নতুন ছিল। ঔপনিবেশিক শক্তি ও বহুজাতিক কোম্পানির অনুকূলে খনিজ ও জ্বালানি তথা প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর প্রদত্ত ইজারাভিত্তিক মালিকানা জাতীয় স্বার্থে বাতিল করে জারি করা বঙ্গবন্ধুর এই বিধান সমকালীন সময়ে পৃথিবীর খুব কম দেশই তাদের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে পেরেছিল। বঙ্গবন্ধুর এই পদক্ষেপ ছিল তারই নেতৃত্বে বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী মাইলফলক অর্জন। গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশে শিল্প, কৃষি ও অন্যান্য খাতসহ সকল ক্ষেত্রে যতটুকু অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে, তার মূল চালিকা শক্তি ছিল বঙ্গবন্ধুর দেয়া জ্বালানি সম্পদ। রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তার এই দূরদর্শিতার কারণেই বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামোর ভিত্তি তিনিই রচনা করে দিয়েছেন। গোটা রাষ্ট্র কাঠামো তার হাত দিয়েই তৈরি। বাংলাদেশের এমন কোনও ক্ষেত্র নেই যেখানে জাতির পিতার অবদান নেই। বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম আর মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে বাংলাদেশ কল্পনা করা যায় না। 

১৫ আগস্টের নির্মমতা, নৃশংসতা আর পৈশাচিকতা সকল বর্বরতা ও নির্মমতাকে হার মানিয়েছিল। যে রাষ্ট্র জাতির পিতার বত্রিশের বাড়ি থেকে জন্ম লাভ করেছিল, মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় সেই বাড়িতেই তাঁকে গোটা পরিবারসহ নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পৃথিবীর ইতিহাসে এরকম নির্মম হত্যাকাণ্ড আর ঘটেনি। এ হত্যাকাণ্ড বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। হাজার বছরেও এ কলঙ্ক মোচন হবে কিনা আমাদের জানা নেই। জাতির জনক হত্যার কলঙ্ক আমরা কীভাবে মোচন করব? আইনি প্রশ্নে নয়, নৈতিকতার প্রশ্নে বিশ্বমানবতার কাছে আমরা জাতি হিসেবে কী জবাব দেবো? জনকের ঋণ আমরা কি কোনোদিন শোধ করতে পারবো? ১৯৭৫ মাসের ১৫ আগস্ট তারই স্বপ্নের স্বাধীন দেশে এদেশেরই কিছু দুষ্কৃতকারীর যে পৈশাচিক তাণ্ডব দেখে তিনি চির বিদায় নিয়েছিলেন, আমরা তার পবিত্র আত্মার কাছে এর কী জবাব দেব? আমাদের এই অপরাধবোধ, এই চাপা কান্না, এই আক্ষেপ আর ক্ষোভ, শিখা চিরন্তন হয়ে থাকবে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম এই শিখা প্রজ্বলিত থাকবে। 

জাতির পিতার হত্যাকারী দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারী ও তাদের সুবিধাভোগীরা জাতির পিতার সত্তাকে ভীষণ ভয় পায়। মৃত্যুর পর তার লাশ নিয়েও তাদের অনেক শঙ্কা ছিল। যে কারণে পরিবারের সবার লাশ ঢাকায় দাফন করলেও পিতার লাশ টুঙ্গিপাড়ায় দাফন করেছিল। তারপরও তাদের ভয় কাটলো না। তারা জাতির পিতা আর তার প্রাণপ্রিয় দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার আর মিথ্যাচার শুরু করেছিল। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তাদের এতো বেশি ভয় ছিল যে, তারা বঙ্গবন্ধুর ভাষণসহ তার নামটি পর্যন্ত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। তাদের ভয় ছিল, বঙ্গবন্ধুর সত্তাকে ধামাচাপা না দিতে পারলে তার আদর্শ ও চেতনা চারিদিকে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়বে। আর সেই দাবানলে ষড়যন্ত্রকারীরা নিজেরাই নিশ্চিহ্ন হবে। আর ইতিহাসে সেটিই ঘটেছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে পিতার আদর্শের মশাল প্রজ্বলিত করেছিলেন। জাতির পিতার আদর্শ পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য তিনি এদেশে আশির দশকের শুরু থেকে এক ‘এনলাইটেনমেন্ট’ অধ্যায়ের সূচনা করেন। ইতিহাস আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। মানুষ নতুন করে সব জানতে শুরু করলো। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দেখানো স্বপ্নে মানুষ জেগে উঠেছিল। তারা জানিয়ে দিলো, বাঙালির জনকের নাম শেখ মুজিবুর রহমান। এই জনপদে খুনি চক্রের কোনও ঠাঁই নেই। তাই বাঙালি বারে বারে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে সমর্থন দিয়েছে, তাদের সবটুকু ভালোবাসা তারা তাকে উজাড় করে দিয়েছে। তারই নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ আজ তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে বিশ্বে নেতৃত্বের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এই বাংলাদেশ এক উদীয়মান নক্ষত্র, এই বাংলাদেশ অদম্য, এই বাংলাদেশ অকুতোভয়।

খুনি চক্র জানতো না যে, জাতি বেঁচে থাকলে জাতির পিতাও বেঁচে থাকে। রাষ্ট্র বেঁচে থাকলে সেই রাষ্ট্রের জনকও বেঁচে থাকে। পিতা আর জনকের কোনও মৃত্যু নেই। যতদিন এই বাংলাদেশ বেঁচে থাকবে, এই রাষ্ট্রের জনক বঙ্গবন্ধু তাঁর মহান কীর্তির জন্য ততদিন বেঁচে থাকবেন। যতদিন এই পৃথিবীতে বাঙালি জাতি বেঁচে থাকবে, ততদিন পিতা বঙ্গবন্ধুর নাম তাদের হৃদয়ে থাকবে। বঙ্গবন্ধু বাংলার মানচিত্রের সঙ্গে মিশে আছে। ওই মানচিত্রের লালবৃত্ত, সেতো তাঁরই মুখচ্ছবি। ওই সংবিধানের আদর্শের কথাগুলো, সেতো তাঁরই কথা। বাংলাদেশের প্রতিটি দিন, তারই দিন বঙ্গবন্ধু মেঘনার প্রতিটি স্রোত আর বঙ্গোপসাগরের প্রতিটি সাহসী ঢেউ। তিনি আমাদের সমগ্র সত্তা জুড়ে, আমাদের চেতনায়, আমাদের বিশ্বাসে। বাংলাদেশে একমাত্র বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, বঙ্গবন্ধুর চেতনাই বেঁচে থাকবে। আর এর বিপরীতে যা কিছু আছে, তার সবটুকুই হারিয়ে যাবে।

লেখক: তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর
মবে ব্যর্থ রাষ্ট্রের আশঙ্কা
মবে ব্যর্থ রাষ্ট্রের আশঙ্কা
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
ব্যবসায়ী বিনিয়োগকারীদের নিয়ে এ কোন তামাশা
ব্যবসায়ী বিনিয়োগকারীদের নিয়ে এ কোন তামাশা
মব ভায়োলেন্স প্রতিরোধে সদিচ্ছার অভাব
মব ভায়োলেন্স প্রতিরোধে সদিচ্ছার অভাব
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
খেলাধুলার মানোন্নয়নে ক্রীড়া সাংবাদিকতার ভূমিকা
খেলাধুলার মানোন্নয়নে ক্রীড়া সাংবাদিকতার ভূমিকা
গণঅভ্যুত্থান : জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
গণঅভ্যুত্থান : জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বিদেশি পর্যটকদের চাহিদা বুঝতে হবে
বিদেশি পর্যটকদের চাহিদা বুঝতে হবে
শান্তিদূতের জামানায় শান্তি কেন ফেরারি?
শান্তিদূতের জামানায় শান্তি কেন ফেরারি?
ফলের রাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম
ফলের রাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম
ট্রাম্পের ভাঁওতাবাজি এখন ঘাটে ঘাটে আটকে যাচ্ছে
ট্রাম্পের ভাঁওতাবাজি এখন ঘাটে ঘাটে আটকে যাচ্ছে
সর্বশেষ খবর
৭ জেলার ওপর দিয়ে ঝড় ও ভারি বর্ষণের আশঙ্কা
৭ জেলার ওপর দিয়ে ঝড় ও ভারি বর্ষণের আশঙ্কা

৮ মিনিট আগে | জাতীয়

মধ্যরাতে নারী ফুটবলারদের সংবর্ধনা দিল বাফুফে
মধ্যরাতে নারী ফুটবলারদের সংবর্ধনা দিল বাফুফে

২০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মাস্কের নতুন দলকে ‘হাস্যকর’ বললেন ট্রাম্প
মাস্কের নতুন দলকে ‘হাস্যকর’ বললেন ট্রাম্প

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৮২
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৮২

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থাপনায় ইসরায়েলের ২০ হামলা
ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থাপনায় ইসরায়েলের ২০ হামলা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ তুর্কি সেনা নিহত
পাঁচ তুর্কি সেনা নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবারের ব্রিকস সম্মেলনে নেই জিনপিং, পুতিন ভার্চুয়ালে
এবারের ব্রিকস সম্মেলনে নেই জিনপিং, পুতিন ভার্চুয়ালে

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুতগতিতে কেন গলছে হিমালয়ের হিমবাহ?
প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুতগতিতে কেন গলছে হিমালয়ের হিমবাহ?

৬ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

টেক্সাসে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৮
টেক্সাসে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৮

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অর্থনীতি চাঙা করতে নাগরিকদের প্রণোদনা দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া
অর্থনীতি চাঙা করতে নাগরিকদের প্রণোদনা দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ধামাকা শপিং’য়ের চেয়ারম্যান এম আলী কারাগারে
‘ধামাকা শপিং’য়ের চেয়ারম্যান এম আলী কারাগারে

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি : ফারুক
সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি : ফারুক

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৩৫০০ বছরের পুরনো শহরের সন্ধান পেলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা
৩৫০০ বছরের পুরনো শহরের সন্ধান পেলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এজবাস্টনে জয় তুলে নিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল ভারত
এজবাস্টনে জয় তুলে নিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল ভারত

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাউথ এশিয়ান কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপে তাইমের স্বর্ণ জয়
সাউথ এশিয়ান কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপে তাইমের স্বর্ণ জয়

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরায়েরি বিমানবন্দরে ফ্লাইট বাতিল
ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরায়েরি বিমানবন্দরে ফ্লাইট বাতিল

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেসবুকে ‘মরা ছাড়া কোনো গতি নেই’ লিখে যুবকের আত্মহত্যা
ফেসবুকে ‘মরা ছাড়া কোনো গতি নেই’ লিখে যুবকের আত্মহত্যা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গ্লোবাল সুপার লিগে দল পেলেন সাকিব
গ্লোবাল সুপার লিগে দল পেলেন সাকিব

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘একটি পক্ষ দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে’
‘একটি পক্ষ দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে’

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাহমুদুর রহমানের মায়ের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
মাহমুদুর রহমানের মায়ের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে ভারতের ২৫০ সেনা নিহত, দাবি সামা টিভির
পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে ভারতের ২৫০ সেনা নিহত, দাবি সামা টিভির

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গলাচিপায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ক কর্মশালা
গলাচিপায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ক কর্মশালা

৯ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

নোয়াখালীতে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ
নোয়াখালীতে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমরা জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র আদায় করে ছাড়ব : নাহিদ
আমরা জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র আদায় করে ছাড়ব : নাহিদ

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অটোরিকশার ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
অটোরিকশার ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

১০ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাংবাদিকদের হুমকি দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
সাংবাদিকদের হুমকি দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জার্মানির বার্লিনে একক নৃত্যানুষ্ঠান
জার্মানির বার্লিনে একক নৃত্যানুষ্ঠান

১০ ঘণ্টা আগে | পরবাস

করাচিতে ভবন ধসে নিহত ২৭, শেষ হয়েছে উদ্ধার অভিযান
করাচিতে ভবন ধসে নিহত ২৭, শেষ হয়েছে উদ্ধার অভিযান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা
পাকা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা

১০ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

ঢাবি ক্যাম্পাসের দেয়ালজুড়ে ‌‘রহস্যময়’ গ্রাফিতি, পেছনের কাহিনী জানা গেল
ঢাবি ক্যাম্পাসের দেয়ালজুড়ে ‌‘রহস্যময়’ গ্রাফিতি, পেছনের কাহিনী জানা গেল

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ করলেন ইলন মাস্ক, দলের নাম ‘আমেরিকা পার্টি’
রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ করলেন ইলন মাস্ক, দলের নাম ‘আমেরিকা পার্টি’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্ত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব, নিজের মুখপাত্রকে বরখাস্ত করলেন নেতানিয়াহু
স্ত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব, নিজের মুখপাত্রকে বরখাস্ত করলেন নেতানিয়াহু

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১০ম গ্রেডে উন্নীত হচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক
১০ম গ্রেডে উন্নীত হচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাঁচ সামরিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতির তথ্য গোপন করেছে ইসরায়েল: রিপোর্ট
পাঁচ সামরিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতির তথ্য গোপন করেছে ইসরায়েল: রিপোর্ট

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাংবাদিকদের হুমকি দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
সাংবাদিকদের হুমকি দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হাসারাঙ্গার বিশ্বরেকর্ড
হাসারাঙ্গার বিশ্বরেকর্ড

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একটি মহল বিএনপিকে সংস্কারবিরোধী দেখানোর অপচেষ্টা করছে : মির্জা ফখরুল
একটি মহল বিএনপিকে সংস্কারবিরোধী দেখানোর অপচেষ্টা করছে : মির্জা ফখরুল

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্পের গলফ ক্লাবের আকাশসীমা লঙ্ঘন, যুদ্ধবিমান দিয়ে তাড়া
ট্রাম্পের গলফ ক্লাবের আকাশসীমা লঙ্ঘন, যুদ্ধবিমান দিয়ে তাড়া

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের উন্নতি
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের উন্নতি

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাবি ক্যাম্পাসের দেয়ালজুড়ে ‌‘রহস্যময়’ গ্রাফিতি, পেছনের কাহিনী জানা গেল
ঢাবি ক্যাম্পাসের দেয়ালজুড়ে ‌‘রহস্যময়’ গ্রাফিতি, পেছনের কাহিনী জানা গেল

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

'পিআর নিয়ে ঐকমত্য কমিশনে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরুই হয়নি'
'পিআর নিয়ে ঐকমত্য কমিশনে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরুই হয়নি'

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুদ্ধের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে খামেনি
যুদ্ধের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে খামেনি

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধর্ষণের শিকার হয়ে বিষ পান করা সেই কিশোরীকে বাঁচানো গেল না
ধর্ষণের শিকার হয়ে বিষ পান করা সেই কিশোরীকে বাঁচানো গেল না

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ক্লাব বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুট জয়ের দৌড়ে যারা এগিয়ে
ক্লাব বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুট জয়ের দৌড়ে যারা এগিয়ে

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরায়েরি বিমানবন্দরে ফ্লাইট বাতিল
ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরায়েরি বিমানবন্দরে ফ্লাইট বাতিল

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও কীভাবে চিনবেন?
এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও কীভাবে চিনবেন?

২০ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

যেসব অপরাধে ৪ বছর পরীক্ষা দিতে পারবেন না শিক্ষার্থীরা
যেসব অপরাধে ৪ বছর পরীক্ষা দিতে পারবেন না শিক্ষার্থীরা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের বিমানবন্দরে আটকে থাকা ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে
ভারতের বিমানবন্দরে আটকে থাকা ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লাগামহীন লুটপাট আওয়ামী লীগ আমলের বড় নির্দেশক : উপদেষ্টা আসিফ
লাগামহীন লুটপাট আওয়ামী লীগ আমলের বড় নির্দেশক : উপদেষ্টা আসিফ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতার দুই কোটি টাকা চাঁদা দাবি
চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতার দুই কোটি টাকা চাঁদা দাবি

২১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে ভারতের ২৫০ সেনা নিহত, দাবি সামা টিভির
পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে ভারতের ২৫০ সেনা নিহত, দাবি সামা টিভির

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে তরুণীকে শ্বাসরোধে হত্যা
রাজধানীতে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে তরুণীকে শ্বাসরোধে হত্যা

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সফল পরিণতি
বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সফল পরিণতি

১২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নির্বাচনের কী দোষ হলো যে পেছাতে হবে, প্রশ্ন রিজভীর
নির্বাচনের কী দোষ হলো যে পেছাতে হবে, প্রশ্ন রিজভীর

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পিআর পদ্ধতি থাকা দেশগুলোতে স্থিতিশীল সরকার নেই : আলাল
পিআর পদ্ধতি থাকা দেশগুলোতে স্থিতিশীল সরকার নেই : আলাল

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৬ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৬ জুলাই)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৫ বছর পর পাকিস্তানে কার্যক্রম বন্ধ করলো মাইক্রোসফট
২৫ বছর পর পাকিস্তানে কার্যক্রম বন্ধ করলো মাইক্রোসফট

২২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

মেসির জোড়া গোলে দাপুটে জয় মায়ামির
মেসির জোড়া গোলে দাপুটে জয় মায়ামির

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থাপনায় ইসরায়েলের ২০ হামলা
ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থাপনায় ইসরায়েলের ২০ হামলা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক