কমছে না। বরং ফুটবলারদের পারিশ্রমিক আরও বাড়ছে! এমনই আভাস পাওয়া যাচ্ছে। মাঠে পারফরম্যান্স হতাশাজনক। তবুও ঘরোয়া আসরে ক্রিকেটারদের চেয়ে ফুটবলারদের পারিশ্রমিক বেশিই বলা যায়। গতবার সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পেয়েছেন এক ফুটবলার। একটু পরিচিত হলেই ২০ লাখ টাকার নিচে নয়। গেল মৌসুমে এমনও ঘটনা ঘটেছে ইনজুরির কারণে ২/৩ ম্যাচে নেমেও এক ফুটবলার পেয়েছেন ৩৫ লাখ টাকা। সাইড লাইনে বসে থেকেও লাখ টাকা পকেটে পুড়েছেন ফুটবলাররা। এ নিয়ে ক্লাবগুলোর ক্ষোভ কম নয়। কষ্ট করে অর্থ জোগাড় করে দল গড়ছে কিন্তু খেলোয়াড়রা সেই সার্ভিস দিতে পারছে না। কারও কারও বেলায় এমনও অভিযোগ আছে মাঠে না নামার জন্য অযথা ফাউল করে লাল কার্ড দেখেছে। শীর্ষ পর্যায়ে ক্লাবগুলো চাচ্ছিল ফুটবলে ক্রিকেটের মতো গ্রেড ভাগ করে পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা হোক। যাদের ফান্ডের অবস্থা মজবুত না তারা আগের মতো পুল প্রথা চালু করতে আগ্রহী। তবে এসব বোধ হয় কিছুই সম্ভব হচ্ছে না। এবার একাধিক দল ভালোমানের খেলোয়াড় খুঁজছে। ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডান নীরব থাকলেও তারাও নাকি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল গড়বে। এ ব্যাপারে কিছু আগে ক্লাবে জরুরি সভা হয়েছে। শুধু তাই নয়, পেশাদার লিগে উঠেই একটি দল শক্তিশালী দল গড়ার কাজ শুরুও করে দিয়েছে। যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে তা যদি বাস্তবে রূপ নেয় তাহলে কমপক্ষে ছয়টি ক্লাব এবার শক্তিশালী দল গড়বে। এতে ভালোমানের খেলোয়াড় নেওয়ার প্রতিযোগিতা চলবে। স্বাভাবিকভাবেই তখন পারিশ্রমিক বেড়ে যাবে। গত বছর লিগ চলাকালে লিগ কমিটির এক কর্মকর্তা বলেন, অঢেল অর্থ খরচ করার পর ক্লাবগুলো খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে বিরক্ত। তাছাড়া অনেক খেলোয়াড়ই চুক্তির আগে দুই ক্লাব থেকে আগাম অর্থ নিয়ে থাকে। এতে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই দলবদলে নতুন কোনো নিয়ম চালু করা যায় কিনা তা নিয়ে ভাববার সময় এসেছে। এ ব্যাপারে বাফুফে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও লিগ কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি লাখ লাখ টাকা পাওয়ার পরও ফুটবলারদের পারফরম্যান্স হতাশাজনক। কিন্তু এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই ক্লাবগুলো যাকে খুশি বড় অঙ্কের পেমেন্ট দিতেই পারে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে যখন আলোচনা হচ্ছে তখন দলবদলে নতুন নিয়ম চালুর প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। কোনো কিছুই এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ক্লাব প্রতিনিধির সঙ্গে আমরা এ নিয়ে আলোচনায় বসবো। তারা যে সিদ্ধান্ত দেবে সেটাই করা হবে। তবে পুল প্রথা করা যাবে না। যে সময় এই নিয়ম ছিল তখন একাধিক তারকা ফুটবলার ছিল। এখন তো সেই মানের খেলোয়াড়ই নেই। তারপরও গ্রেড নির্ধারণ করা যেতে পারে। বিশেষ করে জাতীয় দলে যারা সুযোগ পান তাদের পারফরম্যান্স অনুযায়ী এ, বি বা সি গ্রেড করে পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা যেতে পারে। আবারও বলছি এই ভাবনা আমার নিজস্ব। ক্লাবগুলো কোনো মতামত দেয়নি। তাদের সঙ্গে আলাপ ছাড়া আমরা কিছুই করব না। তবে কিছু কিছু ক্লাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে আনঅফিসিয়ালি আলোচনা হয়েছে তারা গ্রেড নির্ধারণে আগ্রহী। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়।’