প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেই চমক দেখিয়ে চলছেন নাঈম হাসান। তার জাদুতে রীতিমত কাঁপেছে সফরকারীরা।
ইনজুরি থেকে ফেরা অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের তিন উইকেটের সঙ্গে, একে একে পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন নাঈম। দুজনের ঘূর্ণিতে চট্টগ্রাম টেস্টে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৭৮ রানের লিড নিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
শুরুতেই আঘাত হানেন পরীক্ষিত তাইজুল ইসলাম। এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ১৪ রানে ফেরান কিরেন পাওয়েলকে।
তাইজুলের পর এক ওভারেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ব্যাটসম্যানকে কুপোকাত করেন ক্যাপ্টেন সাকিব। আঘাত হানেন টপঅর্ডারের মূলে। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বোকা বানান শাই হোপকে। আরেক ওপেনার ক্রেইগ ব্রেথওয়েট, সাকিবের ছোঁড়া লাফিয়ে ওঠা বল খেলতে গিয়ে পড়ে যান। ব্যাট ছুঁয়ে বল চলে যায় স্লিপে থাকা সৌম্যর থাবায়।
উইন্ডিজ শিবির আরও তছনছ করে দেয়া যেতো। কিন্তু, মিসের মহড়া তাতে বাঁধ পড়েছে। উইকেটের পেছনে মুশফিকের একের পর স্টাম্পিং মিস আর মুস্তাফিজ সহজ ক্যাচ ফেলে দেয়ায় খানিকটা স্বস্তিতে উইন্ডিজ দল।
তখনই নবাগত নাঈমের জোড়া আঘাত। রোস্টন চেজ আর সুনিল আম্ব্রিজকে সাজঘরের পথ দেখান এই টাইগার কিশোর। পরে দেবেন্দ্র বিশু ও কেমার রোচকে ফেলেন এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে। কিছুটা বিরতির পর, দুর্দান্ত এক অফ স্পিনে সরাসরি বোল্ড করেন জোমেল ওয়ারিকানকে।
টি-টোয়েন্টি স্টাইলে চার-ছক্কা হাঁকাচ্ছিলেন উইন্ডিজ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান শিমরন হিটমায়ার। ৬৩ রানে তাকে থামান মেহেদী হাসান মিরাজ।
শেষে শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে স্লিপে সৌম্যর হাতে ক্যাচে পরিণত করে, বাংলাদেশের লিড নিশ্চিত করেন অধিনায়ক সাকিব।
শুক্রবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে ৩২৪ রানে থামে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। মুমিনুলের সেঞ্চুরি আর শেষটায় তাইজুল-নাঈমের দৃড়তায় ম্যাচের প্রথম দিনে ৮ উইকেটে ৩১৫ রান তোলে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ৯ রান যোগ করতেই অলআউট টাইগাররা। ৬৫ রানের জুটি তাইজুল-নাঈমের। তাইজুল অপরাজিত থাকেন ক্যারিয়ার সেরা ৩৯ রানে।
প্রথম দিনেই ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরির দেখা পান টাইগার পকেট ডায়নামো মুমিনুল হক। খেলেন ১২০ রানের ঝলমলে ইনিংস। এছাড়া ইমরুল কায়েস ৪৪, সাকিব আল হাসান ৩৪ আর মোহাম্মদ মিঠুন ২০ রান করেন। দাঁড়াতে পারেননি মুশফিক-মাহমুদুল্লাহ।
বিডি প্রতিদিন/২৩ নভেম্বর ২০১৮/আরাফাত