পাচার কাণ্ডে নাম জড়াল শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি ক্রিকেটার সনৎ জয়সুরিয়ার। তিনি নাকি পচা সুপারি পাচার করতেন। খবর অনুযায়ী, কর ফাঁকি দিয়ে সুপারি পাচার কাণ্ডে জয়সুরিয়ার সঙ্গেই নাম জড়িয়েছে আরও দুই ক্রিকেটারের।
ভারতের নাগপুরের রাজস্ব দফতরের কর্মকর্তারা কয়েক লক্ষ টাকার সুপুরি আটক করেছেন সম্প্রতি। জানা গেছে, এই ঘটনায় আটক ব্যক্তিদের জেরা করার পরে জয়সুরিয়ার নাম উঠে এসেছে। তারপরই সাবেক এই তারকা ক্রিকেটারকে জেরা করার জন্য ডাকা হয়েছে মুম্বাইতে। আরও তদন্তের জন্য শ্রীলঙ্কা সরকারের কাছে সহায়তা চেয়ে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
নাগপুর রাজস্ব দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর দিলীপ সিভারে জানিয়েছেন, ইন্দোনেশিয়া থেকে সুপারি আনা হয় শ্রীলঙ্কায়। সেখান থেকেই কর ফাঁকি দিয়ে ঘুরপথে ঢোকানো হয় ভারতে। দক্ষিণ এশিয়ার মুক্ত বাণিজ্য এলাকার (সাউথ এশিয়া ফ্রি ট্রেড এরিয়া) সুবিধা নিতে শ্রীলঙ্কায় বেশ কিছু ভুয়া কোম্পানি তৈরি করা হয়। এতে কোন শুল্ক ছাড়াই প্রতিবেশী দেশে পাচার করা যায় সংশ্লিষ্ট জিনিস।
এতেই জড়িয়ে পড়েছেন বাঁ-হাতি বিধ্বংসী তারকা ব্যাটসম্যান জয়সুরিয়া। নিজের প্রভাব ও প্রতিপত্তিকে কাজে লাগিয়ে শ্রীলঙ্কার সরকারের কাছ থেকে ট্রেড লাইসেন্স বানানোর অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। ভারতে পাচার করার জন্য ভুয়া নথিও তৈরি করেছে জয়সুরিয়ার নকল কোম্পানি। যেখানে বলা হয়েছে, সুপারি উৎপাদিত হয় শ্রীলঙ্কাতেই।
ইন্দোনেশিয়া থেকে সরাসরি ভারতে সুপারি রফতানি করলে ১০৮ শতাংশ কর দিতে হত। তবে শ্রীলঙ্কা থেকে ভারতের বাজারে সুপারি নিয়ে এলে মুক্ত বাণিজ্য এলাকার নিয়ম মেনে কোন শুল্ক ছাড়াই তা প্রবেশ করানো সম্ভব। নাগপুরের সেই সুপারি ব্যবসায়ী এই ভাবে বিপুল পরিমাণে উপার্জন করেছেন বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত