উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে রেকর্ড ছোঁয়ার ম্যাচে গোলের দেখা পেলেও দলকে জেতাতে পারেননি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। রোনালদোর গোলে এগিয়ে থেকেও ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড শেষ পর্যন্ত হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
মঙ্গলবার লিগের উদ্বোধনী দিন ঘরের মাঠে ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচটি ১-২ গোলে জিতেছে সুইজারল্যান্ডের দল ইয়াং বয়েজ। ইউনাইটেডের বিপক্ষে তিনবারের দেখায় এটাই প্রথম জয় পেল ইয়াং বয়েজ।
এদিন, মাঠে নেমেই লিগে ইকের ক্যাসিয়াসের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড স্পর্শ করেন পর্তুগিজ তারকা রোনালদো। দুই জনেরই ম্যাচ সংখ্যা ১৭৭টি করে।
ম্যাচে ১৩ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগেই দলকে এগিয়ে নেন রোনালদো। বাঁ দিক থেকে দারুণ এক ক্রস বাড়ান তার জাতীয় দল সতীর্থ ব্রুনো ফের্নান্দেস। অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে ডি-বক্সে ঢুকে আট গজ দূর থেকে রোনালদোর শট গোলরক্ষকের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে জালে জড়ায়।
এতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনালদোর গোল সংখ্যা বেড়ে হলো ১৩৫টি। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে দুটি আলাদা মৌসুমে আসরের প্রথম গোল করলেন তিনি। ২০০৯-১০ আসরের প্রথম গোলটি করেছিলেন তিনি রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে, এফসি জুরিখের বিপক্ষে ৫-২ গোলে জয়ের ম্যাচে।
এ নিয়ে ভিন্ন ৩৬টি দলের বিপক্ষে গোলের দেখা পেলেন রোনালদো। এর বেশি নেই আর কারও। ৩৬টি দলের বিপক্ষে গোল করেছেন বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে যাওয়া লিওনেল মেসিও।
২৪তম মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে আচমকা শট নেন ইয়াং বয়েজের ক্রিস্টিয়ান ফাসনাখট। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক দাভিদ দে হেয়া। পরক্ষণেই পাল্টা আক্রমণে সতীর্থের পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে দুরূহ কোণ থেকে রোনালদোর নেওয়া শট ফেরান স্বাগতিক গোলরক্ষক।
৩৫তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় ইউনাইটেড। প্রতিপক্ষের মিডফিল্ডার ক্রিস্টোফার পেরেইরাকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন ইংলিশ ডিফেন্ডার অ্যারন ওয়ান- বিসাকা।
বিরতি থেকে ফিরে এসে ৬৬তম মিনিটে সমতায় ফেরে ইয়াং বয়েজ। ডান দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো বলে কাছ থেকে গোলটি করেন ক্যামেরুনের উইঙ্গার এনগামালেও।
৭২তম মিনিটে রোনালদো ও ফের্নান্দেসকে তুলে নিয়ে জেসে লিনগার্ড ও নেমানিয়া মাতিচকে মাঠে নামান কোচ উলে গুনার সুলশার। সেই লিনগার্ডের মারাত্মক ভুলেই শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে বসে ইউনাইটেড।
৫ মিনিটের যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে চারপাশে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় থাকা সত্ত্বেও গোলরক্ষকের উদ্দেশে ব্যাকপাস বাড়ান তিনি। বলে জোর ছিল না তেমন। ছুটে গিয়ে দে হেয়াকে পরাস্ত করেন থিওসন সিবাচু। উল্লাসে ফেটে পড়ে ইয়াং বয়েজ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন