কেপটাউনে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার তৃতীয় তথা শেষ টেস্টের তৃতীয় দিনে ঘটে যাওয়া ডিআরএস বিতর্কে তোলপাড় ক্রিকেট দুনিয়া। ডিন এলগারকে নট আউট দেওয়ার পর যেভাবে কোহলি, রাহুল, অশ্বিনরা স্ট্যাম্প মাইকের কাছে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সেই নিয়ে আলোচনা সর্বত্র।
কিন্তু বিষয়টিকে সমর্থন করছেন না গৌতম গম্ভীর। উল্টে বিরাটের আচরণকে 'অপরিণত' আখ্যা দেন ভারতের সাবেক এই ওপেনার। পাশাপাশি দাবি করেন, একজন অধিনায়ক এবং অভিজ্ঞ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের থেকে এই ধরনের ব্যবহার অপ্রত্যাশিত।
এই প্রসঙ্গে গৌতম গম্ভীর বলেন, খুব বাজে ঘটনা। স্ট্যাম্প মাইকের কাছে গিয়ে ও এরকম আচরণ এককথায় অপরিণত। একজন অধিনায়ক এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের থেকে এই আচরণ আশা করা যায় না। টেকনোলজি কারও হাতে নেই। লেগ সাইডে ক্যাচের আবেদনের সময় ডিন এলগার এই ধরনের আচরণ দেখায়নি।
একজন ভারতীয় হয়ে কোহলির এই আচরণ কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না গম্ভীর। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সবাই বলে বিরাট মনপ্রাণ দিয়ে খেলে। কিন্তু যাই হোক না কেন, এটা বাড়াবাড়ি করেছে। এভাবে আদর্শ ক্রিকেটার হওয়া যায় না। একজন ভারতীয় অধিনায়কের থেকে এই ধরনের আচরণ কোনও উঠতি ক্রিকেটার শিখতে চাইবে না। এই টেস্টে যে রেজাল্টই হোক না কেন, এরকম আচরণ একজন অভিজ্ঞ টেস্ট অধিনায়কের থেকে অপ্রত্যাশিত। আশা করব রাহুল দ্রাবিড় এই বিষয়ে কোহলির সঙ্গে কথা বলবে। কারণ দ্রাবিড় যে ধরনের অধিনায়ক ছিল, তিনি নিজে কখনোই এরকম আচরণ করতেন না।'
যেই ঘটনা নিয়ে এত সরগরম ক্রিকেট মহল, সেই ঘটনাটি আসলে কী? দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এলগারকে আউট দেওয়ার পরও রিভিউতে তাকে লাইফলাইন দেওয়া হয়। তাতেই মেজাজ হারান কোহলি এবং তার সতীর্থরা। ঘটনার বিরক্তি প্রকাশ করে স্ট্যাম্প মাইকের কাছে গিয়ে কিছু বলতে শোনা যায় কোহলি, কেএল রাহুল এবং অশ্বিনকে। ব্রডকাস্টারের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলা হয়। বল ট্র্যাকিং সিস্টেমকে বিকৃত করার অভিযোগও ওঠে। গোটা ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই পড়ে যায়।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ