লিগস কাপের পুরো আসরজুড়ে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন সদ্য পিএসজি ছেড়ে মায়ামিতে যোগ দেওয়া আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকর লিওলে মেসি। আগের ৬ ম্যাচেই তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। করেছেন ৯টি গোলের পাশাপাশি এক অ্যাসিস্ট। ফাইনালের মঞ্চেও তিনিই মায়ামির হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন। তবে সেই লিড দ্বিতীয়ার্ধের পর আর তার দল ধরে রাখতে পারেনি। ৫৭ মিনিটে ন্যাশভিলে সমতায় ফেরার পর জালের দেখা পায়নি আর কোনো পক্ষই।
ফলে চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণে ম্যাচটি এরপর টাইব্রেকারে গড়ায়। পেনাল্টি শ্যুট আউটেও কেউ কাউকে ছাড়ার পাত্র নয়। টাইব্রেকারে দুই দলের ১১ জন খেলোয়াড়ের প্রত্যেকেই নিলেন শট। ম্যারাথন শুটআউট শেষে বাজিমাত করে ইন্টার মায়ামি।
নিজেদের ইতিহাসে প্রথম শিরোপা জিতল লিওনেল মেসির দল। লিগস কাপের ফাইনালে নাশভিলেকে ২২ শটের টাইব্রেকারে ১০-৯ ব্যবধানে হারায় তারা।
এদিন জিওডিস পার্কে ম্যাচের ২৩ মিনিটে একক দক্ষতায় বাঁ পায়ের বাকানো শটে দুর্দান্ত এক গোল করেন মেসি। বিরতির পর অবশ্য ধাক্কা খায় মায়ামি। ৫৭ মিনিটে ফাফা পিকাউলতের গোলে সমতায় ফেরে নাশভিলে। এরপর ১-১ ব্যবধানে শেষ হয় খেলার ৯০ মিনিট। অতিরিক্ত সময়েও অবিচ্ছিন্ন করা যায়নি দুই দলকে। তাই আশ্রয় নিতে হয় টাইব্রেকারের।
স্পটকিক থেকে মায়ামির হয়ে প্রথম শটেই বল জালে ফেলেন মেসি। প্রথম শটে গোল পায় নাশভিলেও, তবে দ্বিতীয় শটে মিস করে তারা। টানা চার শটে গোলের দেখা পাওয়া মায়ামি হোঁচট খায় পঞ্চম শটে গিয়ে। মিস করে বসেন ভিক্টর উল্লোয়া। এরপর খেলা গিয়ে ঠেকে ১১তম শটে। যেখানে নাশভিলে গোলরক্ষকের শট ঠেকিয়ে দেন ড্রেক ক্যালেন্ডার। যার ফলে নিজেদের ইতিহাসে প্রথম শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে মায়ামি।
(ভিডিও সংগৃহীত)
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ