শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১১ জুন, ২০১৬ আপডেট:

ধারাবাহিক উপন্যাস

অটোমান সূর্য সুলতান সুলেমান পর্ব ১২

রণক ইকরাম
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
অটোমান সূর্য সুলতান সুলেমান পর্ব  ১২

পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম সেরা শাসক তিনি। মুসলিম শাসকদের মধ্যেও সবার শীর্ষে সুলতান সুলেমান খান। অটোমান বা উসমানীয় সাম্রাজ্যের শাসনামলের গুরুত্বপূর্ণ অংশজুড়ে ছিল রাজ্যের সেরাগ্লিও বা হেরেম। এটা কেবল সুলতানের মনোরঞ্জনের ক্ষেত্রেই নয়, রাজ্যের ক্ষমতাশালী সব নারীর বসবাসই ছিল এখানে। আবার কখনো কখনো সাধারণ যৌনদাসী থেকে সুলতানা হয়ে বিশ্ব কাঁপিয়েছেন কেউ কেউ। সুলতান সুলেমানকে নিয়ে অনেক গল্প লেখা হয়েছে। নির্মিত হয়েছে আলোচিত-সমালোচিত টিভি সিরিয়াল মুহতাশিম ইউজিয়েল। আমাদের এই উপন্যাসের ভিত্তি সেই টিভি সিরিজ বা গল্প উপন্যাস নয়। মূলত ইতিহাসের নানা বইপত্র ঘেঁটে সুলতান সুলেমানের আমলটি তুলে ধরার চেষ্টা। ইতিহাস আশ্রয়ী এই উপন্যাসের মূল ভিত্তি অটোমানদের ইতিহাস। বাকিটুকু লেখকের কল্পনা।

 

উপন্যাসের শুরুর দিকে যুবরাজ সুলেমানের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন পাঠক। তখন তিনি মানিসার গভর্নরের দায়িত্ব পালন করছিলেন। অটোমান সিংহাসনে তখন সুলেমানের বাবা সুলতান প্রথম সেলিম। সুলতান সেলিমের সর্বশেষ বিজয়, অসুস্থতা ইত্যাদি পথপরিক্রমায় অটোমান সুলতান হিসেবে সিংহাসনে আরোহণ করেন সুলেমান খান।  এর মধ্যেই হেরেম সংস্কৃতি, তোপকাপি প্রাসাদ, অটোমান প্রশাসনসহ নানা দিক ওঠে এসেছে। সুলেমান খানের ক্ষমতা গ্রহণের পর নতুন সূর্যোদয়ের দিকে হাঁটতে শুরু করে অটোমান সাম্রাজ্য। সে যাত্রায় পীরে মেহমুদ পাশাকে স্বপদে বহাল রেখে হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন সুলতান। সবার প্রত্যাশার বাইরে আরও একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। পারগালি ইব্রাহীমকে বানিয়েছেন নিজের খাসকামরা প্রধান। এর মধ্যেই সুলতানের জীবনে যৌনদাসী থেকে প্রিয় পাত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন আলেকজান্দ্রা। প্রতি শনিবারের এ বিশেষ আয়োজনে আজ ছাপা হলো দ্বাদশ পর্ব।

[পূর্ব প্রকাশের পর]

কনস্টান্টিনোপলের রাস্তা ঘুরে এসে অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতা হলো সুলেমানের। রাজপ্রাসাদের পরিচিত গণ্ডির বাইরের জীবন যে কত বিচিত্র সেটা অনুধাবনের সুযোগ তার জীবনে খুব কমই এসেছে। মানিসায় থাকাকালে নিজের মতো করে প্রশাসন চালিয়েছেন। তবে সেটা কেবল রাজ্যই। অটোমান প্রশাসনের কেন্দ্রে থেকে সুলতান হওয়ার পর সাধারণ মানুষের কথাগুলো জানা কতটা জরুরি ছিল সেটাই অনুধাবন করলেন সুলেমান। ঘুরে এসে কয়েকটি বিষয়ে বেশ স্পষ্ট ধারণা পেলেন তিনি। পারগালি ইব্রাহীমকে খাসকামরা প্রধান বানানোর বিষয়টি আসলেই মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। কেউ বলছে, একজন বিদেশিকে রাজ্যে শীর্ষ চার সিলমোহরের একটি তুলে দেওয়া একদম ঠিক হয়নি সুলেমানের। আবার পক্ষের লোকও আছে। তাদের দাবি, সুলতানের বিশ্বস্ত লোক, দীর্ঘদিন ধরে সঙ্গে আছে। সুলতান নিশ্চয়ই ভুল লোককে বেছে নেবেন না! আবার এসব বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতে চান না এমন লোকের সংখ্যাও কম নয়। তাদের চিন্তা কেবলই নিজেদের রুটি-রুজি আর ব্যবসা বাণিজ্য। সাম্রাজ্য নিয়ে তাদের খুব বেশি ভাবনা নেই।

সুলতানের মেজাজ খারাপ হওয়ার কারণও ছিল। কয়েকজন বিদেশি বণিকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন তারা সবাই কাপ্তান-ই দরিয়া জাফর আগার ওপর বিরক্ত। লোকটার বিষয়ে মানিসায় থাকাকালেই অনেক বদনাম শুনেছেন। মিসরীয় বণিকরা, তাবরেজের লোকজন, রুমেলিয়ার কৃষকরা সবাই তার ওপর বিরক্ত। কর আদায়ের নামে লোকজনের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া, জোর প্রয়োগ করা, অর্থ আত্মসাৎসহ এহেন অপকর্ম নেই যার অভিযোগ জাফর আগার বিরুদ্ধে নেই। সুলেমানের বাবা সুলতান সেলিম খানও তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেন নিলেন না, সেটা একটা চিন্তার বিষয়। আজ বাইরে ঘুরে এসে এই বিষয়টি নিয়ে সবার আগে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলেন সুলেমান। তবে একটি বিষয় ভেবে সুলেমান বেশ পুলকিত বোধ করেছেন। রাজ্যের অধিকাংশ মানুষেরই বিশ্বাস, সুলেমান তাদের কল্যাণ এবং সমৃদ্ধি বয়ে আনবেন। সবার একটাই কথা, খুব দ্রুত অটোমানদের পতাকা আরও অনেক দিকে ছড়িয়ে পড়বে।

কনস্টান্টিনোপলে রাস্তার ধারের বাজার থেকে জিনিসপত্র কেনার ছলে অনেকের সঙ্গে কথা বলেন সুলেমান। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন পারগালি। লোকজন এদের কাউকেই চিনতে পারেনি। ফলে এদের মনে যা এসেছে তাই বলেছে নির্ভয়ে। এই কথাগুলোকে তাদের মনের ভিতরের কথা বলেই ধরে নেওয়া যায় নিঃসন্দেহে। এখন সব বিবেচনায় রেখে সুলেমানের কেবল এগিয়ে চলার পালা। শুধু বসে বসে ভাবলেই চলবে না, যুদ্ধেও যেতে হবে। ভাবতেই শরীরের রক্ত কেমন যেন টগবগিয়ে উঠল সুলেমানের। সামনে অসীম সম্ভাবনা, পারবেন তো সুলেমান?

 

 

একেকটি দিন আস্তে আস্তে অতীতের খাতায় নাম লেখাচ্ছে। অটোমানদের নতুন শাসক সুলতান সুলেমান খান এখন আর নতুন কেউ নন। এর মধ্যেই পেরিয়ে গেছে কতগুলো দিন। সুলেমান তার প্রশাসনিক কাজকর্ম আর যুদ্ধপ্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত দিন পার করছেন। ফাঁকে ফাঁকে ব্যক্তিগত হেরেমে যাতায়াতও বেড়েছে অনেক বেশি। এর ফলে- মাহিদেভরানের সঙ্গে একটা অদৃশ্য দেয়াল তৈরি হলো সুলেমানের। অন্যদিকে আলেকজান্দ্রার সঙ্গে বেড়েছে অন্তরঙ্গতা। সুলেমান অনুভব করতে থাকলেন সত্যি আলেকজান্দ্রার মধ্যে কী যেন একটা আছে। আর সেটা বেশ গভীরভাবেই টানে। এর মধ্যেই একদিন সুলেমানকে অবাক করে দিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের খবর দিল আলেকজান্দ্রা। খ্রিস্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্মের পতাকাতলে আসার কারণে আলেকজান্দ্রার প্রতি নিজের মুগ্ধতা প্রকাশ করলেন সুলতান। ভালোবেসে তার নাম পাল্টে দিলেন। সেদিন থেকে আলেকজান্দ্রার নাম হুররেম। হুররেম খাতুন। হুররেম মানে খুররাম বা সদা প্রফুল্ল। সুলেমানের কবি মনের কাছে মনে হয়েছে এর চেয়ে ভালো নাম মেয়েটার জন্য আর কিছু হতে পারে না। এক কান দুই কান করে সুলেমানের এই কীর্তির কথা পৌঁছে গেছে মাহীদেভরানের কানেও। বুকের ভিতর চেপে রাখা কষ্টের পাথরের ভার যেন আরও বেশি বেড়ে গেছে মাহিদেভরানের। আলেকজান্দ্রার প্রতি চাপ ক্ষোভটা প্রকাশ্যে রূপ নিল। ছুটে গেলেন বালিদ সুলতান আয়েশা হাফসার কাছে। কিন্তু নিরাশ হতে হলো। সুলেমানের পছন্দের দাসী। একান্ত ব্যক্তিগত এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে রাজি হলেন না আয়েশা। তবে মাহিদেভরানকে ধৈর্য ধরতে বলেছেন। বলেছেন সুযোগ আসা মাত্র আলেকজান্দ্রাকে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। কিন্তু মাহীদেভরানের নির্বিষ জিজ্ঞাসা কবে আসবে সেদিন? আয়েশা হাফসা সুলতানের কোনো উত্তর ছিল না। মনের ভিতরে দীর্ঘশ্বাস ভারী হয় মাহিদেভরানের। প্রতীক্ষার একেকটি রাত বেদনায় নীল হয়ে ওঠে। স্বাধীন হয়েও অনুভবে নিজের বন্দী জীবনের দৈন্যতা মনে করিয়ে দেয়। মাঝে মাঝে মনে হয় অটোমান সাম্রাজ্যের সুলতানা না হলেই মনে হয় ভালো হতো। সাধারণ একটা ঘরে স্বামী-সন্তান নিয়ে ঠিকঠাক বসবাস করা যেত। এখন তো সব থেকেও নেই! পারগালি ইব্রাহীম আস্তে আস্তে নিজের মেধা ও বুদ্ধি দিয়ে সুলেমানের কাছে আরও বিশ্বস্ত হয়ে উঠছেন। এই ব্যাপারটাই মানতে পারছে না আলেকজান্দ্রা ওরফে হুররেম। আবার ইব্রাহীমের প্রতি সুলতান এতটাই অনুরক্ত যে আলেকজান্দ্রারও এক্ষেত্রে কিছুই করার নেই। এর মধ্যেই একটি ঘটনা হেরেমের পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলল।

সাবিল সুত্রো নামের একজন দূত কাজ করেন অটোমান রাজপ্রাসাদে। তার কাজ ছিল জানেসারিসসহ অন্যান্য সেনা দল ও রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন তথ্য সুলতান পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া। এই দূতকে নিয়োগ দিয়েছিলেন পারগালি ইব্রাহীম। একদিন হেরেমের বাগানে বেরিয়েছিলেন হুররেম খাতুন ও ইসাবেলা সেখানেই হুররেমের দিকে ফুল ছুড়ে মারেন সাবিল সুত্রো। তখনো সাবিল জানত না হুররেমের পরিচয়।  হেরেমের সাধারণ মেয়ে ভেবেই নিয়ম ভেঙে তাকে প্রেম নিবেদন করেছিল সে। কিন্তু এটাই যে তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে কেউ ভাবেনি। এগিয়ে এসে সাবিলের সামনে দাঁড়ায় হুররেম। সামনে আসতেই নিজেকে পারগালি ইব্রাহীমের লোক এবং সুলতানের বিশেষ দূত পরিচয় দেয় সাবিল। এরপর হুররেমের রূপের প্রশংসা করে। নিজের ভালো লাগার কথা হুররেমকে জানাতেই সাবিলের গালে কষে একটা চড় বসিয়ে দেয় হুররেম। ঘটনা এখান পর্যন্ত থাকলেও কথা ছিল না। কিন্তু ঘটনা গিয়ে গড়ায় সুলতান পর্যন্ত।

সুলতান সুলেমান ডেকে পাঠান পারগালি ইব্রাহীমকে। কড়াভাবে শাসানো হলো তাকে। ইব্রাহীম বোঝানোর চেষ্টা করলেন এই বিষয়টিতে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। সুলতান সুলেমানও হয় তো বুঝলেন। কিন্তু এড়িয়ে গেলেন। কেবল ইব্রাহীমের পরিচয় ব্যবহার করেই বিপদটা বাড়িয়ে তুলেছেন সাবিল। ফলে সাবিল সুত্রোর কপালে জুটল মৃত্যুদণ্ডের আদেশ। সুলতানের কঠিন যুক্তি কাপ্তান-ই দরিয়া জাফর আগাকে এত অনুরোধ সত্ত্বেও ক্ষমা করা হয়নি। মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। তাহলে সাবিল কেন শাস্তি পাবে না। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা অটোমানদের মূল আদর্শ। সেই আদর্শ থেকে চুল পরিমাণ সরতে রাজি নন সুলেমান। পারগালি কিছু বলবেন সে উপায়ও ছিল না। অন্যদিকে পারগালির বিব্রত হওয়ার খবরে পৈশাচিক আনন্দ পেলেন হুররেম। হেরেমের ভিতরের ঠাণ্ডা যুদ্ধটা বেশ জমে উঠল।

 

 

‘সুলতান সত্যি সত্যি সাবিল সুত্রোর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে দিলেন! জাফর আগাও নিষ্কৃতি পাননি। মালিকা আমার খুব ভয় হচ্ছে।’

মাহিদেভরানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানতে চাইল সারা খাতুন।

‘কিসের ভয় সারা। তুমি তো কোনো অন্যায় করনি। তোমার তো ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’

সারা খাতুনকে বোঝানোর চেষ্টা করেন মাহীদেভরান।

‘কিন্তু মালিকা হুররেম খাতুনের কথায় এভাবে একজন মানুষের প্রাণ যাবে এটা কি ঠিক হচ্ছে। তাছাড়া শুনেছি জাঁহাপনা নাকি পারগালি ইব্রাহীমের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করেছেন।’

‘দেখো সারা একতরফাভাবে কথা বলো না। সাবিল সুত্রো  হেরেমের নিয়ম ভেঙেছেন। নিয়ম ভাঙার শাস্তি হিসেবে সুলতান যেটা মনে করেছেন, সেটাই দিয়েছেন। এটা নিয়ে আমাদের কিছুই বলার নেই। কিন্তু পারগালির সঙ্গে খারাপ ব্যবহার কেন করবে?’

‘মালিকা, সাবিল সুত্রো নাকি হুররেমকে পারগালির কথা বলে ভয় দেখিয়েছেন। বলেছেন, তিনি পারগালির লোক। এসব কথা নিশ্চয়ই হুররেম খাতুন ইনিয়ে-বিনিয়ে বলেছেন সুলতানের কাছে। নইলে সুলতান এতটা চটবেন কেন?’

সারা খাতুনের এবারের কথাটা গভীর রেখাপাত করল মাহিদেভরানের মনে। হুররেমের সব বিষয়ে সুলতানের প্রাধান্য দেওয়ার বিষয়টি আরও আগেই খেয়াল করেছেন মাহীদেভরান। কিন্তু বারবারই নিজের মনকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন মাহি। কিন্তু বারবার যখন এরকম উদাহরণ সামনে আসে তখন কষ্ট কেবল বেড়েই যায়। সারা খাতুনকে আর কোনো কথাই বললেন না মাহি। কেবল বললেন,

‘আমার টিয়া পাখিটা নিয়ে এসো সারা। অনেক দিন এটার সঙ্গে কথা হয় না।’

সারা খাতুন বুঝতে পারলেন মাহিদেভরানের মেজাজ খারাপ হয়ে গেছে। এখন কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। মালিকার মেজাজ খারাপ মানেই ভায়োলিন অথবা পোষা টিয়া।

সারা খাতুন যতক্ষণে টিয়া পাখি নিয়ে হাজির হলেন ততক্ষণে সেখানে এসে হাজির হলেন হেতিজা সুলতান।

মাহিদেভরানের পাখিটা হাতে নিয়ে অনেকক্ষণ আদর করে দিলেন হেতিজা।

মাহিদেভরানের কাছে অনেক কিছুই জানতে চাইছে হেতিজা। কিন্তু সবকিছু বলতে না পারার আক্ষেপ বুকে চেপে আলাপ উপভোগের চেষ্টা করেই যাচ্ছেন মাহিদেভরান।

 

 

এই মাত্র নাচের ক্লাস শেষ হলো। হেরেমের মেয়েদের প্রতিদিনই কঠোর নিয়মের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। ভাষা শিক্ষা, হেরেমের নিয়ম শিক্ষা, নৃত্য শিক্ষা, গানের ক্লাস, ভায়োলিন শিক্ষাসহ নানা কসরত শেখার মধ্য দিয়ে চলে যায় দিনের পুরোটা অংশ। এসব রীতি খুব বিরক্ত লাগে হুররেমের।

‘মাঝে মাঝে মনে হয় দানা হালিলকে ধরে পিটাই।’

ইসাবেলার দিকে তাকিয়ে দাঁত কিড়মিড় করে বলল হুররেম।

‘ছিঃ আলেকজান্দ্রা ওভাবে বলছ কেন?’

‘আবার আলেকজান্দ্রা? আমি না বলেছি আমাকে হুররেম বলতে? তুমি বারবার ভুলে যাও কেন ইসাবেলা? স্বয়ং সুলতান সুলেমান আমাকে এই নামে ডাকার হুকুম দিয়েছেন।’

‘রাগ করছ কেন? আমার দীর্ঘদিনের অভ্যাস। হুট করে কি আর বদলানো যাবে। হুররেম খাতুন।’

‘হুমম। দেখেছ কী সুন্দর শোনাচ্ছে নামটা!’

বলেই বোকা বোকা একটা হাসি দিল হুররেম। ইসাবেলা কিছুক্ষণ একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকল প্রিয় বান্ধবীর দিকে।

‘আচ্ছা হুররেম তুমি কী সত্যি সত্যি সুলতানের প্রেমে পড়েছ নাকি?’

‘প্রেম কিনা জানি না। এখন শুয়ে থাকলেও সুলেমানকে ভাবি আবার জেগে জেগেও কেবল সুলেমানের কথাই মনে পড়ে।’

‘হুম। তোর কী আনন্দ। ইস্ আমি যদি একবার সুলতানের খাসকামরায় যেতে পারতাম!’

ইসাবেলার কণ্ঠে গভীর আফসোস। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই ক্ষেপে উঠল হুররেম। ইসাবেলার গলা চেপে ধরল সে।

‘কী বললি? কী বললি তুই? তুই যাবি সুলেমানের কাছে আমার সুলেমানের কাছে আমি কাউকে ঘেঁষতে দেব না। আমি সুলেমানের সন্তানের মা হব। শাহজাদার মা হয়ে পুরো অটোমান সাম্রাজ্যকে আমার পায়ের তলে নিয়ে আসব। আমার সেই স্বপ্নে বাধা হতে চাস?’

‘ছাড় হুররেম। আমার কষ্ট হচ্ছে।’

কাশতে কাশতে হুররেমের হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিল ইসাবেলা। হুররেম তখনো রাগে ফুঁসছে। ইসাবেলা নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,

‘এভাবে রাগ করছ কেন? আমি তো এমনি কথার কথা বলেছি। আমার কি সেই সৌভাগ্য হবে। আমি তোমার বান্ধবী। আমি চাই তোমার স্বপ্ন পূরণ হোক। আমি কোনো উদ্দেশ্য মাথায় রেখে এসব কথা বলিনি। হুররেম বিশ্বাস কর। আমি সত্যি বলছি। আমার মনের ভিতর সে রকম কোনো উদ্দেশ্যই ছিল না।’

হুররেম একটু নিশ্চুপ থাকল। তারপর অন্যদিকে তাকিয়ে ইসাবেলাকে বলল,

‘ইসাবেলা তুমি আমাকে ভালোবাস?’

‘একথা কেন বলছ হুররেম?’

‘যা জিজ্ঞেস করেছি তার উত্তর দাও। আমাকে ভালোবাস?’

‘কেন না? সেই ছোটবেলা থেকেই একসঙ্গে বড় হয়েছি। এই ভিনদেশে তুমি ছাড়া আমার আর কে আছে? তোমাকে ভালো না বাসার কোনো কারণ আছে কি? কিন্তু হঠাৎ এই কথা কেন বলছ?’

‘আমার জন্য একটা কাজ করতে পারবে?’

‘কী কাজ বল?’

ইসাবেলার প্রশ্নাতুর দৃষ্টি।

‘পারগালি ইব্রাহীমকে তোমার প্রেমের ফাঁদে ফেলতে হবে।’

‘কী বলছ হুররেম?’

আঁতকে ওঠে ইসাবেলা।

‘সেটা কী করে সম্ভব?’

‘সব সম্ভব।’

‘আমি যেভাবে বলব সেভাবে চলতে হবে তাহলেই কাজ হবে।’

‘কিন্তু.....’

ইসাবেলার কণ্ঠে প্রবল সংশয়। সেই সংশয় পাত্তা দিতে চাইল না হুররেম।

‘তুমি কী ভয় পাচ্ছ?’

‘না, ঠিক তা না। পারগালি ইব্রাহীম সুলতানের খাসকামরা প্রধান। তার সঙ্গে...’

‘তুমি স্বপ্ন দেখতে চাও না?’

‘চাই তো।’

‘তাহলে? আমি যা বলছি সেটা শোনো। আমি যদি সুলতানের কাছাকাছি থাকি, আর তুমি ইব্রাহীমের। তাহলে পুরো অটোমান সাম্রাজ্যের অন্দরমহলের খবরাখবর আমাদের হাতে চলে আসবে নিমিষেই।’

‘কিন্তু আমি শুনেছি পরগালি খুব বদরাগী। একেবারে কম কথা বলেন।’

এবার একটু হাসল হুররেম।

‘সেটা তুমি আমার ওপর ছেড়ে দাও। আমি জানি কোন মানুষ কিসে দুর্বল।’

‘কিন্তু আমি কি করতে পারব?’

‘আস্থা রাখো সব ব্যবস্থা হয়ে যাবে।’

বলেই মাথা চুলকাতে চুলকাতে গভীর ভাবনায় নিমজ্জিত হলো হুররেম। মাথার ভিতর নানা চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। টুকটাক কল্পনারাও ভিড় করছে।

‘দানা হালিল কোথায় আছে খোঁজ নাও। আমি তার সঙ্গে দেখা করব।’

‘এখনই?’

‘হ্যাঁ। এখনই।’

একটু পরই দানা হালিলের খোঁজ নিয়ে এলো ইসাবেলা।

‘হেরেম প্রধান তার কক্ষেই আছেন।’

ইসাবেলাকে ঘরের ভিতর অপেক্ষা করতে বলে বেরিয়ে পড়ল হুররেম। দানা হালিল নিজের কক্ষে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। হুররেম খাতুনকে তার দরজার সামনে দেখে চমকে উঠলেন।

‘হুররেম খাতুন?’

‘ভিতরে ঢুকতে পারি?’

‘এসো। কিন্তু তুমি? এই অসময়ে?’

দানা হালিলের প্রশ্নের জবাব না দিয়েই ঘরের ভিতর ঢুকে বসে পড়ল হুররেম।

দানা হালিল লোকটাকে একচুলও বিশ্বাস হয় না হুররেমের। কিন্তু এই মুহূর্তে সে ছাড়া আর কেউ নেই যে তাকে সাহায্য করতে পারে। পারগালি ইব্রাহীমের বিষয়ে হুররেমের পরিকল্পনা সফল করার জন্য দানা হালিলের সহযোগিতা লাগবেই।

‘হেরেমে আনন্দ করার সুযোগ কি কেবল সুলতানের একার?’

‘কেন হুররেম খাতুন। এই প্রশ্ন কেন?’

‘বলুন না।’

‘না। সুলতানের কাছের আত্মীয় ও রাজ্যের উঁচু পদে আসীন লোকজন চাইলেই এই সুবিধা নিতে পারেন।’

‘সেটাই জানতে চেয়েছি।’

‘কেন হুররেম।’

‘এমনি। আচ্ছা দানা হালিল, পারগালি ইব্রাহীমের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করলে কেমন হয়?’

শুনেই আঁতকে উঠলেন দানা হালিল।

‘সর্বনাশ! কী বলছ। আমি এই লোকের কাছ থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করি। ভয়ঙ্কর লোক। একটু এদিক-সেদিক হলেই আমার গর্দান যাবে।’

‘ভয় পাচ্ছ কেন?’

বলেই কাফতানের ফাঁক থেকে কতগুলো মোহর বের করলেন হুররেম। দানা হালিলের দিকে সেগুলো বাড়িয়ে দিয়ে বললেন,

‘ইসাবেলাকে পাঠাতে চাই পারগালির কক্ষে। ব্যবস্থা করো।’

‘কিন্তু...’

দানা হালিল আপত্তি করতে চাইল।

‘আরও পুরস্কার আছে। সুলতানের কাছে বলে তোমাকে আরও উঁচু পদে নিয়ে যাব। তুমিই না আমাকে বলেছ শাহজাদার মা হলে সব আমার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে?’

‘কিন্তু হুররেম এখনো তুমি শাহজাদার মা হতে পারোনি।’

‘হব। দেখবে আমাকে কেউ আটকাতে পারবে না।’

হুররেমের আত্মবিশ্বাস চমকে দিল দানা হালিলকে। মোহরগুলো লুকোতে লুকোতে বললেন,

‘দেখা যাক কী করা যায়। আমার চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকবে না।’

‘চেষ্টা নয় দানা হালিল করতেই হবে।’

বলেই কক্ষ থেকে বেরিয়ে গেলেন হুররেম। দানা হালিল হুররেমের পথের দিকে তাকিয়ে রইল। এই মেয়েটা যে কোন দিকে কী ঘটায় বোঝা বেশ কঠিন।

 

চলবে... পরবর্তী পর্ব আগামী শনিবার

এই বিভাগের আরও খবর
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১ সেকেন্ড আগে | অর্থনীতি

লটারির মাধ্যমে ডিসি-এসপি বদলির দাবি গোলাম পরওয়ারের
লটারির মাধ্যমে ডিসি-এসপি বদলির দাবি গোলাম পরওয়ারের

১ মিনিট আগে | রাজনীতি

মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন
মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সাংবাদিক ও প্রশাসন একে অপরের পরিপূরক: মুন্সীগঞ্জ ডিসি
সাংবাদিক ও প্রশাসন একে অপরের পরিপূরক: মুন্সীগঞ্জ ডিসি

৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মুমিনুল-মুশফিকের ব্যাটে এগোচ্ছে বাংলাদেশ
মুমিনুল-মুশফিকের ব্যাটে এগোচ্ছে বাংলাদেশ

৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

টাঙ্গাইলে বিএফআরআই উদ্ভাবিত প্রযুক্তি পরিচিতি বিষয়ক কর্মশালা
টাঙ্গাইলে বিএফআরআই উদ্ভাবিত প্রযুক্তি পরিচিতি বিষয়ক কর্মশালা

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ময়মনসিংহে ট্রেনে দুর্বৃত্তদের আগুন
ময়মনসিংহে ট্রেনে দুর্বৃত্তদের আগুন

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কেন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কিনতে চায় সৌদি আরব?
কেন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কিনতে চায় সৌদি আরব?

১৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত আবারও হামলা চালাতে পারে : খাজা আসিফ
ভারত আবারও হামলা চালাতে পারে : খাজা আসিফ

১৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা

২১ মিনিট আগে | টক শো

ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

২১ মিনিট আগে | জাতীয়

আদালতে বিচারকপুত্র হত্যার আসামির ভিডিও ভাইরালের ব্যাখ্যা দিলেন আরএমপি কমিশনার
আদালতে বিচারকপুত্র হত্যার আসামির ভিডিও ভাইরালের ব্যাখ্যা দিলেন আরএমপি কমিশনার

২২ মিনিট আগে | নগর জীবন

ঢাবি এখনো ফ্যাসিবাদের প্রভাব থেকে পুরোপুরি মুক্ত নয়: রাশেদ খান
ঢাবি এখনো ফ্যাসিবাদের প্রভাব থেকে পুরোপুরি মুক্ত নয়: রাশেদ খান

৩০ মিনিট আগে | রাজনীতি

ট্রাম্পের নৈশভোজে অতিথি ইলন মাস্ক-রোনালদো
ট্রাম্পের নৈশভোজে অতিথি ইলন মাস্ক-রোনালদো

৩০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুখ্যাত সেই এপস্টেইনের ফাইল প্রকাশে মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন
কুখ্যাত সেই এপস্টেইনের ফাইল প্রকাশে মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন

৩১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন

৩৫ মিনিট আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার রায় ঘিরে দেশে কোনো অস্থিরতা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
শেখ হাসিনার রায় ঘিরে দেশে কোনো অস্থিরতা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৩৭ মিনিট আগে | জাতীয়

মালিতে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩১ গ্রামবাসী নিহত
মালিতে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩১ গ্রামবাসী নিহত

৪১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের ৬০ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের ৬০ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ

৫১ মিনিট আগে | জাতীয়

জামায়াত-এনসিপিসহ ৬ দলের সঙ্গে সংলাপে বসেছে ইসি
জামায়াত-এনসিপিসহ ৬ দলের সঙ্গে সংলাপে বসেছে ইসি

৫৩ মিনিট আগে | জাতীয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি আবেদনের শেষ দিন আজ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি আবেদনের শেষ দিন আজ

৫৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতে কি জানালেন জয়শঙ্কর
পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতে কি জানালেন জয়শঙ্কর

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টরন্টোয় শিরীন চৌধুরীর ‘পরান যাহা চায়’ সঙ্গীত সন্ধ্যা
টরন্টোয় শিরীন চৌধুরীর ‘পরান যাহা চায়’ সঙ্গীত সন্ধ্যা

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

ফেনীতে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে ট্রাকচালক নিহত
ফেনীতে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে ট্রাকচালক নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুন্সীগঞ্জে ফেনসিডিলসহ আটক ৩
মুন্সীগঞ্জে ফেনসিডিলসহ আটক ৩

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খুলনায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক সচেতনতা ক্যাম্পেইন
খুলনায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক সচেতনতা ক্যাম্পেইন

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

জুবিনের জন্মদিনে স্ত্রী গরিমার আবেগঘন বার্তা
জুবিনের জন্মদিনে স্ত্রী গরিমার আবেগঘন বার্তা

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সৌদিকে ন্যাটোর বাইরে প্রধান মিত্র ঘোষণা ট্রাম্পের
সৌদিকে ন্যাটোর বাইরে প্রধান মিত্র ঘোষণা ট্রাম্পের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'ব্যানফ ফেস্টিভালে' এভারেস্টজয়ী নিশাতকে নিয়ে তথ্যচিত্র
'ব্যানফ ফেস্টিভালে' এভারেস্টজয়ী নিশাতকে নিয়ে তথ্যচিত্র

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রাচীনকালে চাঁদে তুষারপাত হতো ধারণা বিজ্ঞানীদের
প্রাচীনকালে চাঁদে তুষারপাত হতো ধারণা বিজ্ঞানীদের

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

সর্বাধিক পঠিত
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

১৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

১৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

১২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর
২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?
ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তৃতীয় বিয়ে ভাঙার সংবাদ দিয়ে অভিনেত্রী বললেন ‌‘খুব শান্তিতে আছি’
তৃতীয় বিয়ে ভাঙার সংবাদ দিয়ে অভিনেত্রী বললেন ‌‘খুব শান্তিতে আছি’

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুকুটসহ যা যা পান একজন মিস ইউনিভার্স
মুকুটসহ যা যা পান একজন মিস ইউনিভার্স

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের
কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন
আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?
২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এক সময় যারা মানুষকে ফাঁসি দিয়েছে, আজ তাদেরই ফাঁসির রায় হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা
এক সময় যারা মানুষকে ফাঁসি দিয়েছে, আজ তাদেরই ফাঁসির রায় হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

পেছনের পৃষ্ঠা

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু
উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

দেশগ্রাম

সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি
সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি

খবর

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি
আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে
স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে

মাঠে ময়দানে

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন