শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১১ জুন, ২০১৬ আপডেট:

ধারাবাহিক উপন্যাস

অটোমান সূর্য সুলতান সুলেমান পর্ব ১২

রণক ইকরাম
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
অটোমান সূর্য সুলতান সুলেমান পর্ব  ১২

পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম সেরা শাসক তিনি। মুসলিম শাসকদের মধ্যেও সবার শীর্ষে সুলতান সুলেমান খান। অটোমান বা উসমানীয় সাম্রাজ্যের শাসনামলের গুরুত্বপূর্ণ অংশজুড়ে ছিল রাজ্যের সেরাগ্লিও বা হেরেম। এটা কেবল সুলতানের মনোরঞ্জনের ক্ষেত্রেই নয়, রাজ্যের ক্ষমতাশালী সব নারীর বসবাসই ছিল এখানে। আবার কখনো কখনো সাধারণ যৌনদাসী থেকে সুলতানা হয়ে বিশ্ব কাঁপিয়েছেন কেউ কেউ। সুলতান সুলেমানকে নিয়ে অনেক গল্প লেখা হয়েছে। নির্মিত হয়েছে আলোচিত-সমালোচিত টিভি সিরিয়াল মুহতাশিম ইউজিয়েল। আমাদের এই উপন্যাসের ভিত্তি সেই টিভি সিরিজ বা গল্প উপন্যাস নয়। মূলত ইতিহাসের নানা বইপত্র ঘেঁটে সুলতান সুলেমানের আমলটি তুলে ধরার চেষ্টা। ইতিহাস আশ্রয়ী এই উপন্যাসের মূল ভিত্তি অটোমানদের ইতিহাস। বাকিটুকু লেখকের কল্পনা।

 

উপন্যাসের শুরুর দিকে যুবরাজ সুলেমানের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন পাঠক। তখন তিনি মানিসার গভর্নরের দায়িত্ব পালন করছিলেন। অটোমান সিংহাসনে তখন সুলেমানের বাবা সুলতান প্রথম সেলিম। সুলতান সেলিমের সর্বশেষ বিজয়, অসুস্থতা ইত্যাদি পথপরিক্রমায় অটোমান সুলতান হিসেবে সিংহাসনে আরোহণ করেন সুলেমান খান।  এর মধ্যেই হেরেম সংস্কৃতি, তোপকাপি প্রাসাদ, অটোমান প্রশাসনসহ নানা দিক ওঠে এসেছে। সুলেমান খানের ক্ষমতা গ্রহণের পর নতুন সূর্যোদয়ের দিকে হাঁটতে শুরু করে অটোমান সাম্রাজ্য। সে যাত্রায় পীরে মেহমুদ পাশাকে স্বপদে বহাল রেখে হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন সুলতান। সবার প্রত্যাশার বাইরে আরও একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। পারগালি ইব্রাহীমকে বানিয়েছেন নিজের খাসকামরা প্রধান। এর মধ্যেই সুলতানের জীবনে যৌনদাসী থেকে প্রিয় পাত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন আলেকজান্দ্রা। প্রতি শনিবারের এ বিশেষ আয়োজনে আজ ছাপা হলো দ্বাদশ পর্ব।

[পূর্ব প্রকাশের পর]

কনস্টান্টিনোপলের রাস্তা ঘুরে এসে অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতা হলো সুলেমানের। রাজপ্রাসাদের পরিচিত গণ্ডির বাইরের জীবন যে কত বিচিত্র সেটা অনুধাবনের সুযোগ তার জীবনে খুব কমই এসেছে। মানিসায় থাকাকালে নিজের মতো করে প্রশাসন চালিয়েছেন। তবে সেটা কেবল রাজ্যই। অটোমান প্রশাসনের কেন্দ্রে থেকে সুলতান হওয়ার পর সাধারণ মানুষের কথাগুলো জানা কতটা জরুরি ছিল সেটাই অনুধাবন করলেন সুলেমান। ঘুরে এসে কয়েকটি বিষয়ে বেশ স্পষ্ট ধারণা পেলেন তিনি। পারগালি ইব্রাহীমকে খাসকামরা প্রধান বানানোর বিষয়টি আসলেই মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। কেউ বলছে, একজন বিদেশিকে রাজ্যে শীর্ষ চার সিলমোহরের একটি তুলে দেওয়া একদম ঠিক হয়নি সুলেমানের। আবার পক্ষের লোকও আছে। তাদের দাবি, সুলতানের বিশ্বস্ত লোক, দীর্ঘদিন ধরে সঙ্গে আছে। সুলতান নিশ্চয়ই ভুল লোককে বেছে নেবেন না! আবার এসব বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতে চান না এমন লোকের সংখ্যাও কম নয়। তাদের চিন্তা কেবলই নিজেদের রুটি-রুজি আর ব্যবসা বাণিজ্য। সাম্রাজ্য নিয়ে তাদের খুব বেশি ভাবনা নেই।

সুলতানের মেজাজ খারাপ হওয়ার কারণও ছিল। কয়েকজন বিদেশি বণিকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন তারা সবাই কাপ্তান-ই দরিয়া জাফর আগার ওপর বিরক্ত। লোকটার বিষয়ে মানিসায় থাকাকালেই অনেক বদনাম শুনেছেন। মিসরীয় বণিকরা, তাবরেজের লোকজন, রুমেলিয়ার কৃষকরা সবাই তার ওপর বিরক্ত। কর আদায়ের নামে লোকজনের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া, জোর প্রয়োগ করা, অর্থ আত্মসাৎসহ এহেন অপকর্ম নেই যার অভিযোগ জাফর আগার বিরুদ্ধে নেই। সুলেমানের বাবা সুলতান সেলিম খানও তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেন নিলেন না, সেটা একটা চিন্তার বিষয়। আজ বাইরে ঘুরে এসে এই বিষয়টি নিয়ে সবার আগে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলেন সুলেমান। তবে একটি বিষয় ভেবে সুলেমান বেশ পুলকিত বোধ করেছেন। রাজ্যের অধিকাংশ মানুষেরই বিশ্বাস, সুলেমান তাদের কল্যাণ এবং সমৃদ্ধি বয়ে আনবেন। সবার একটাই কথা, খুব দ্রুত অটোমানদের পতাকা আরও অনেক দিকে ছড়িয়ে পড়বে।

কনস্টান্টিনোপলে রাস্তার ধারের বাজার থেকে জিনিসপত্র কেনার ছলে অনেকের সঙ্গে কথা বলেন সুলেমান। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন পারগালি। লোকজন এদের কাউকেই চিনতে পারেনি। ফলে এদের মনে যা এসেছে তাই বলেছে নির্ভয়ে। এই কথাগুলোকে তাদের মনের ভিতরের কথা বলেই ধরে নেওয়া যায় নিঃসন্দেহে। এখন সব বিবেচনায় রেখে সুলেমানের কেবল এগিয়ে চলার পালা। শুধু বসে বসে ভাবলেই চলবে না, যুদ্ধেও যেতে হবে। ভাবতেই শরীরের রক্ত কেমন যেন টগবগিয়ে উঠল সুলেমানের। সামনে অসীম সম্ভাবনা, পারবেন তো সুলেমান?

 

 

একেকটি দিন আস্তে আস্তে অতীতের খাতায় নাম লেখাচ্ছে। অটোমানদের নতুন শাসক সুলতান সুলেমান খান এখন আর নতুন কেউ নন। এর মধ্যেই পেরিয়ে গেছে কতগুলো দিন। সুলেমান তার প্রশাসনিক কাজকর্ম আর যুদ্ধপ্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত দিন পার করছেন। ফাঁকে ফাঁকে ব্যক্তিগত হেরেমে যাতায়াতও বেড়েছে অনেক বেশি। এর ফলে- মাহিদেভরানের সঙ্গে একটা অদৃশ্য দেয়াল তৈরি হলো সুলেমানের। অন্যদিকে আলেকজান্দ্রার সঙ্গে বেড়েছে অন্তরঙ্গতা। সুলেমান অনুভব করতে থাকলেন সত্যি আলেকজান্দ্রার মধ্যে কী যেন একটা আছে। আর সেটা বেশ গভীরভাবেই টানে। এর মধ্যেই একদিন সুলেমানকে অবাক করে দিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের খবর দিল আলেকজান্দ্রা। খ্রিস্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্মের পতাকাতলে আসার কারণে আলেকজান্দ্রার প্রতি নিজের মুগ্ধতা প্রকাশ করলেন সুলতান। ভালোবেসে তার নাম পাল্টে দিলেন। সেদিন থেকে আলেকজান্দ্রার নাম হুররেম। হুররেম খাতুন। হুররেম মানে খুররাম বা সদা প্রফুল্ল। সুলেমানের কবি মনের কাছে মনে হয়েছে এর চেয়ে ভালো নাম মেয়েটার জন্য আর কিছু হতে পারে না। এক কান দুই কান করে সুলেমানের এই কীর্তির কথা পৌঁছে গেছে মাহীদেভরানের কানেও। বুকের ভিতর চেপে রাখা কষ্টের পাথরের ভার যেন আরও বেশি বেড়ে গেছে মাহিদেভরানের। আলেকজান্দ্রার প্রতি চাপ ক্ষোভটা প্রকাশ্যে রূপ নিল। ছুটে গেলেন বালিদ সুলতান আয়েশা হাফসার কাছে। কিন্তু নিরাশ হতে হলো। সুলেমানের পছন্দের দাসী। একান্ত ব্যক্তিগত এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে রাজি হলেন না আয়েশা। তবে মাহিদেভরানকে ধৈর্য ধরতে বলেছেন। বলেছেন সুযোগ আসা মাত্র আলেকজান্দ্রাকে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। কিন্তু মাহীদেভরানের নির্বিষ জিজ্ঞাসা কবে আসবে সেদিন? আয়েশা হাফসা সুলতানের কোনো উত্তর ছিল না। মনের ভিতরে দীর্ঘশ্বাস ভারী হয় মাহিদেভরানের। প্রতীক্ষার একেকটি রাত বেদনায় নীল হয়ে ওঠে। স্বাধীন হয়েও অনুভবে নিজের বন্দী জীবনের দৈন্যতা মনে করিয়ে দেয়। মাঝে মাঝে মনে হয় অটোমান সাম্রাজ্যের সুলতানা না হলেই মনে হয় ভালো হতো। সাধারণ একটা ঘরে স্বামী-সন্তান নিয়ে ঠিকঠাক বসবাস করা যেত। এখন তো সব থেকেও নেই! পারগালি ইব্রাহীম আস্তে আস্তে নিজের মেধা ও বুদ্ধি দিয়ে সুলেমানের কাছে আরও বিশ্বস্ত হয়ে উঠছেন। এই ব্যাপারটাই মানতে পারছে না আলেকজান্দ্রা ওরফে হুররেম। আবার ইব্রাহীমের প্রতি সুলতান এতটাই অনুরক্ত যে আলেকজান্দ্রারও এক্ষেত্রে কিছুই করার নেই। এর মধ্যেই একটি ঘটনা হেরেমের পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলল।

সাবিল সুত্রো নামের একজন দূত কাজ করেন অটোমান রাজপ্রাসাদে। তার কাজ ছিল জানেসারিসসহ অন্যান্য সেনা দল ও রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন তথ্য সুলতান পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া। এই দূতকে নিয়োগ দিয়েছিলেন পারগালি ইব্রাহীম। একদিন হেরেমের বাগানে বেরিয়েছিলেন হুররেম খাতুন ও ইসাবেলা সেখানেই হুররেমের দিকে ফুল ছুড়ে মারেন সাবিল সুত্রো। তখনো সাবিল জানত না হুররেমের পরিচয়।  হেরেমের সাধারণ মেয়ে ভেবেই নিয়ম ভেঙে তাকে প্রেম নিবেদন করেছিল সে। কিন্তু এটাই যে তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে কেউ ভাবেনি। এগিয়ে এসে সাবিলের সামনে দাঁড়ায় হুররেম। সামনে আসতেই নিজেকে পারগালি ইব্রাহীমের লোক এবং সুলতানের বিশেষ দূত পরিচয় দেয় সাবিল। এরপর হুররেমের রূপের প্রশংসা করে। নিজের ভালো লাগার কথা হুররেমকে জানাতেই সাবিলের গালে কষে একটা চড় বসিয়ে দেয় হুররেম। ঘটনা এখান পর্যন্ত থাকলেও কথা ছিল না। কিন্তু ঘটনা গিয়ে গড়ায় সুলতান পর্যন্ত।

সুলতান সুলেমান ডেকে পাঠান পারগালি ইব্রাহীমকে। কড়াভাবে শাসানো হলো তাকে। ইব্রাহীম বোঝানোর চেষ্টা করলেন এই বিষয়টিতে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। সুলতান সুলেমানও হয় তো বুঝলেন। কিন্তু এড়িয়ে গেলেন। কেবল ইব্রাহীমের পরিচয় ব্যবহার করেই বিপদটা বাড়িয়ে তুলেছেন সাবিল। ফলে সাবিল সুত্রোর কপালে জুটল মৃত্যুদণ্ডের আদেশ। সুলতানের কঠিন যুক্তি কাপ্তান-ই দরিয়া জাফর আগাকে এত অনুরোধ সত্ত্বেও ক্ষমা করা হয়নি। মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। তাহলে সাবিল কেন শাস্তি পাবে না। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা অটোমানদের মূল আদর্শ। সেই আদর্শ থেকে চুল পরিমাণ সরতে রাজি নন সুলেমান। পারগালি কিছু বলবেন সে উপায়ও ছিল না। অন্যদিকে পারগালির বিব্রত হওয়ার খবরে পৈশাচিক আনন্দ পেলেন হুররেম। হেরেমের ভিতরের ঠাণ্ডা যুদ্ধটা বেশ জমে উঠল।

 

 

‘সুলতান সত্যি সত্যি সাবিল সুত্রোর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে দিলেন! জাফর আগাও নিষ্কৃতি পাননি। মালিকা আমার খুব ভয় হচ্ছে।’

মাহিদেভরানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানতে চাইল সারা খাতুন।

‘কিসের ভয় সারা। তুমি তো কোনো অন্যায় করনি। তোমার তো ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’

সারা খাতুনকে বোঝানোর চেষ্টা করেন মাহীদেভরান।

‘কিন্তু মালিকা হুররেম খাতুনের কথায় এভাবে একজন মানুষের প্রাণ যাবে এটা কি ঠিক হচ্ছে। তাছাড়া শুনেছি জাঁহাপনা নাকি পারগালি ইব্রাহীমের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করেছেন।’

‘দেখো সারা একতরফাভাবে কথা বলো না। সাবিল সুত্রো  হেরেমের নিয়ম ভেঙেছেন। নিয়ম ভাঙার শাস্তি হিসেবে সুলতান যেটা মনে করেছেন, সেটাই দিয়েছেন। এটা নিয়ে আমাদের কিছুই বলার নেই। কিন্তু পারগালির সঙ্গে খারাপ ব্যবহার কেন করবে?’

‘মালিকা, সাবিল সুত্রো নাকি হুররেমকে পারগালির কথা বলে ভয় দেখিয়েছেন। বলেছেন, তিনি পারগালির লোক। এসব কথা নিশ্চয়ই হুররেম খাতুন ইনিয়ে-বিনিয়ে বলেছেন সুলতানের কাছে। নইলে সুলতান এতটা চটবেন কেন?’

সারা খাতুনের এবারের কথাটা গভীর রেখাপাত করল মাহিদেভরানের মনে। হুররেমের সব বিষয়ে সুলতানের প্রাধান্য দেওয়ার বিষয়টি আরও আগেই খেয়াল করেছেন মাহীদেভরান। কিন্তু বারবারই নিজের মনকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন মাহি। কিন্তু বারবার যখন এরকম উদাহরণ সামনে আসে তখন কষ্ট কেবল বেড়েই যায়। সারা খাতুনকে আর কোনো কথাই বললেন না মাহি। কেবল বললেন,

‘আমার টিয়া পাখিটা নিয়ে এসো সারা। অনেক দিন এটার সঙ্গে কথা হয় না।’

সারা খাতুন বুঝতে পারলেন মাহিদেভরানের মেজাজ খারাপ হয়ে গেছে। এখন কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। মালিকার মেজাজ খারাপ মানেই ভায়োলিন অথবা পোষা টিয়া।

সারা খাতুন যতক্ষণে টিয়া পাখি নিয়ে হাজির হলেন ততক্ষণে সেখানে এসে হাজির হলেন হেতিজা সুলতান।

মাহিদেভরানের পাখিটা হাতে নিয়ে অনেকক্ষণ আদর করে দিলেন হেতিজা।

মাহিদেভরানের কাছে অনেক কিছুই জানতে চাইছে হেতিজা। কিন্তু সবকিছু বলতে না পারার আক্ষেপ বুকে চেপে আলাপ উপভোগের চেষ্টা করেই যাচ্ছেন মাহিদেভরান।

 

 

এই মাত্র নাচের ক্লাস শেষ হলো। হেরেমের মেয়েদের প্রতিদিনই কঠোর নিয়মের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। ভাষা শিক্ষা, হেরেমের নিয়ম শিক্ষা, নৃত্য শিক্ষা, গানের ক্লাস, ভায়োলিন শিক্ষাসহ নানা কসরত শেখার মধ্য দিয়ে চলে যায় দিনের পুরোটা অংশ। এসব রীতি খুব বিরক্ত লাগে হুররেমের।

‘মাঝে মাঝে মনে হয় দানা হালিলকে ধরে পিটাই।’

ইসাবেলার দিকে তাকিয়ে দাঁত কিড়মিড় করে বলল হুররেম।

‘ছিঃ আলেকজান্দ্রা ওভাবে বলছ কেন?’

‘আবার আলেকজান্দ্রা? আমি না বলেছি আমাকে হুররেম বলতে? তুমি বারবার ভুলে যাও কেন ইসাবেলা? স্বয়ং সুলতান সুলেমান আমাকে এই নামে ডাকার হুকুম দিয়েছেন।’

‘রাগ করছ কেন? আমার দীর্ঘদিনের অভ্যাস। হুট করে কি আর বদলানো যাবে। হুররেম খাতুন।’

‘হুমম। দেখেছ কী সুন্দর শোনাচ্ছে নামটা!’

বলেই বোকা বোকা একটা হাসি দিল হুররেম। ইসাবেলা কিছুক্ষণ একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকল প্রিয় বান্ধবীর দিকে।

‘আচ্ছা হুররেম তুমি কী সত্যি সত্যি সুলতানের প্রেমে পড়েছ নাকি?’

‘প্রেম কিনা জানি না। এখন শুয়ে থাকলেও সুলেমানকে ভাবি আবার জেগে জেগেও কেবল সুলেমানের কথাই মনে পড়ে।’

‘হুম। তোর কী আনন্দ। ইস্ আমি যদি একবার সুলতানের খাসকামরায় যেতে পারতাম!’

ইসাবেলার কণ্ঠে গভীর আফসোস। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই ক্ষেপে উঠল হুররেম। ইসাবেলার গলা চেপে ধরল সে।

‘কী বললি? কী বললি তুই? তুই যাবি সুলেমানের কাছে আমার সুলেমানের কাছে আমি কাউকে ঘেঁষতে দেব না। আমি সুলেমানের সন্তানের মা হব। শাহজাদার মা হয়ে পুরো অটোমান সাম্রাজ্যকে আমার পায়ের তলে নিয়ে আসব। আমার সেই স্বপ্নে বাধা হতে চাস?’

‘ছাড় হুররেম। আমার কষ্ট হচ্ছে।’

কাশতে কাশতে হুররেমের হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিল ইসাবেলা। হুররেম তখনো রাগে ফুঁসছে। ইসাবেলা নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,

‘এভাবে রাগ করছ কেন? আমি তো এমনি কথার কথা বলেছি। আমার কি সেই সৌভাগ্য হবে। আমি তোমার বান্ধবী। আমি চাই তোমার স্বপ্ন পূরণ হোক। আমি কোনো উদ্দেশ্য মাথায় রেখে এসব কথা বলিনি। হুররেম বিশ্বাস কর। আমি সত্যি বলছি। আমার মনের ভিতর সে রকম কোনো উদ্দেশ্যই ছিল না।’

হুররেম একটু নিশ্চুপ থাকল। তারপর অন্যদিকে তাকিয়ে ইসাবেলাকে বলল,

‘ইসাবেলা তুমি আমাকে ভালোবাস?’

‘একথা কেন বলছ হুররেম?’

‘যা জিজ্ঞেস করেছি তার উত্তর দাও। আমাকে ভালোবাস?’

‘কেন না? সেই ছোটবেলা থেকেই একসঙ্গে বড় হয়েছি। এই ভিনদেশে তুমি ছাড়া আমার আর কে আছে? তোমাকে ভালো না বাসার কোনো কারণ আছে কি? কিন্তু হঠাৎ এই কথা কেন বলছ?’

‘আমার জন্য একটা কাজ করতে পারবে?’

‘কী কাজ বল?’

ইসাবেলার প্রশ্নাতুর দৃষ্টি।

‘পারগালি ইব্রাহীমকে তোমার প্রেমের ফাঁদে ফেলতে হবে।’

‘কী বলছ হুররেম?’

আঁতকে ওঠে ইসাবেলা।

‘সেটা কী করে সম্ভব?’

‘সব সম্ভব।’

‘আমি যেভাবে বলব সেভাবে চলতে হবে তাহলেই কাজ হবে।’

‘কিন্তু.....’

ইসাবেলার কণ্ঠে প্রবল সংশয়। সেই সংশয় পাত্তা দিতে চাইল না হুররেম।

‘তুমি কী ভয় পাচ্ছ?’

‘না, ঠিক তা না। পারগালি ইব্রাহীম সুলতানের খাসকামরা প্রধান। তার সঙ্গে...’

‘তুমি স্বপ্ন দেখতে চাও না?’

‘চাই তো।’

‘তাহলে? আমি যা বলছি সেটা শোনো। আমি যদি সুলতানের কাছাকাছি থাকি, আর তুমি ইব্রাহীমের। তাহলে পুরো অটোমান সাম্রাজ্যের অন্দরমহলের খবরাখবর আমাদের হাতে চলে আসবে নিমিষেই।’

‘কিন্তু আমি শুনেছি পরগালি খুব বদরাগী। একেবারে কম কথা বলেন।’

এবার একটু হাসল হুররেম।

‘সেটা তুমি আমার ওপর ছেড়ে দাও। আমি জানি কোন মানুষ কিসে দুর্বল।’

‘কিন্তু আমি কি করতে পারব?’

‘আস্থা রাখো সব ব্যবস্থা হয়ে যাবে।’

বলেই মাথা চুলকাতে চুলকাতে গভীর ভাবনায় নিমজ্জিত হলো হুররেম। মাথার ভিতর নানা চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। টুকটাক কল্পনারাও ভিড় করছে।

‘দানা হালিল কোথায় আছে খোঁজ নাও। আমি তার সঙ্গে দেখা করব।’

‘এখনই?’

‘হ্যাঁ। এখনই।’

একটু পরই দানা হালিলের খোঁজ নিয়ে এলো ইসাবেলা।

‘হেরেম প্রধান তার কক্ষেই আছেন।’

ইসাবেলাকে ঘরের ভিতর অপেক্ষা করতে বলে বেরিয়ে পড়ল হুররেম। দানা হালিল নিজের কক্ষে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। হুররেম খাতুনকে তার দরজার সামনে দেখে চমকে উঠলেন।

‘হুররেম খাতুন?’

‘ভিতরে ঢুকতে পারি?’

‘এসো। কিন্তু তুমি? এই অসময়ে?’

দানা হালিলের প্রশ্নের জবাব না দিয়েই ঘরের ভিতর ঢুকে বসে পড়ল হুররেম।

দানা হালিল লোকটাকে একচুলও বিশ্বাস হয় না হুররেমের। কিন্তু এই মুহূর্তে সে ছাড়া আর কেউ নেই যে তাকে সাহায্য করতে পারে। পারগালি ইব্রাহীমের বিষয়ে হুররেমের পরিকল্পনা সফল করার জন্য দানা হালিলের সহযোগিতা লাগবেই।

‘হেরেমে আনন্দ করার সুযোগ কি কেবল সুলতানের একার?’

‘কেন হুররেম খাতুন। এই প্রশ্ন কেন?’

‘বলুন না।’

‘না। সুলতানের কাছের আত্মীয় ও রাজ্যের উঁচু পদে আসীন লোকজন চাইলেই এই সুবিধা নিতে পারেন।’

‘সেটাই জানতে চেয়েছি।’

‘কেন হুররেম।’

‘এমনি। আচ্ছা দানা হালিল, পারগালি ইব্রাহীমের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করলে কেমন হয়?’

শুনেই আঁতকে উঠলেন দানা হালিল।

‘সর্বনাশ! কী বলছ। আমি এই লোকের কাছ থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করি। ভয়ঙ্কর লোক। একটু এদিক-সেদিক হলেই আমার গর্দান যাবে।’

‘ভয় পাচ্ছ কেন?’

বলেই কাফতানের ফাঁক থেকে কতগুলো মোহর বের করলেন হুররেম। দানা হালিলের দিকে সেগুলো বাড়িয়ে দিয়ে বললেন,

‘ইসাবেলাকে পাঠাতে চাই পারগালির কক্ষে। ব্যবস্থা করো।’

‘কিন্তু...’

দানা হালিল আপত্তি করতে চাইল।

‘আরও পুরস্কার আছে। সুলতানের কাছে বলে তোমাকে আরও উঁচু পদে নিয়ে যাব। তুমিই না আমাকে বলেছ শাহজাদার মা হলে সব আমার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে?’

‘কিন্তু হুররেম এখনো তুমি শাহজাদার মা হতে পারোনি।’

‘হব। দেখবে আমাকে কেউ আটকাতে পারবে না।’

হুররেমের আত্মবিশ্বাস চমকে দিল দানা হালিলকে। মোহরগুলো লুকোতে লুকোতে বললেন,

‘দেখা যাক কী করা যায়। আমার চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকবে না।’

‘চেষ্টা নয় দানা হালিল করতেই হবে।’

বলেই কক্ষ থেকে বেরিয়ে গেলেন হুররেম। দানা হালিল হুররেমের পথের দিকে তাকিয়ে রইল। এই মেয়েটা যে কোন দিকে কী ঘটায় বোঝা বেশ কঠিন।

 

চলবে... পরবর্তী পর্ব আগামী শনিবার

এই বিভাগের আরও খবর
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
সর্বশেষ খবর
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৩৯
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৩৯

এই মাত্র | ডেঙ্গু আপডেট

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১১০৯
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১১০৯

১ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

মারা গেছেন অস্কার মনোনীত অভিনেত্রী স্যালি কার্কল্যান্ড
মারা গেছেন অস্কার মনোনীত অভিনেত্রী স্যালি কার্কল্যান্ড

৬ মিনিট আগে | শোবিজ

রংপুরে ঋতু বৈচিত্র্যে খেয়ালি প্রকৃতি
রংপুরে ঋতু বৈচিত্র্যে খেয়ালি প্রকৃতি

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যুদ্ধবিরতির পর গাজায় কমপক্ষে ১৫০০ ভবন ধ্বংস করেছে ইসরায়েল
যুদ্ধবিরতির পর গাজায় কমপক্ষে ১৫০০ ভবন ধ্বংস করেছে ইসরায়েল

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি সেনাদের ভয়ংকর যৌন নিপীড়নের বর্ণনা দিল ফিলিস্তিনি নারী বন্দিরা
ইসরায়েলি সেনাদের ভয়ংকর যৌন নিপীড়নের বর্ণনা দিল ফিলিস্তিনি নারী বন্দিরা

১১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হৃদরোগে আক্রান্ত অস্কার; ভাবছেন অবসরের কথা
হৃদরোগে আক্রান্ত অস্কার; ভাবছেন অবসরের কথা

১২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ভূজপুর থানার এসআই অপসারণে আল্টিমেটাম
ভূজপুর থানার এসআই অপসারণে আল্টিমেটাম

২০ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গাইবান্ধায় সাঁতার প্রশিক্ষণ
গাইবান্ধায় সাঁতার প্রশিক্ষণ

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লক্ষ্মীপুরে যুব দক্ষতা উন্নয়নে কর্মশালা
লক্ষ্মীপুরে যুব দক্ষতা উন্নয়নে কর্মশালা

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধনে যেসব দলিলাদি লাগবে
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধনে যেসব দলিলাদি লাগবে

৩০ মিনিট আগে | পরবাস

দুদকের মামলায় বন কর্মকর্তা কারাগারে
দুদকের মামলায় বন কর্মকর্তা কারাগারে

৩২ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আন্ডারওয়ার্ল্ডের দ্বন্দ্বে মামুনকে খুন, মূল পরিকল্পনাকারী রনি
আন্ডারওয়ার্ল্ডের দ্বন্দ্বে মামুনকে খুন, মূল পরিকল্পনাকারী রনি

৩৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

রাজশাহীতে বিরসা মুন্ডার জন্মদিন উদযাপিত
রাজশাহীতে বিরসা মুন্ডার জন্মদিন উদযাপিত

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুক লাইভে প্রধান উপদেষ্টাকে ‘প্রাণনাশের হুমকি’ দেওয়া সেই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার
ফেসবুক লাইভে প্রধান উপদেষ্টাকে ‘প্রাণনাশের হুমকি’ দেওয়া সেই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

৩৭ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গাইবান্ধায় দাফনের ১২ বছর পর লাশ উত্তোলন
গাইবান্ধায় দাফনের ১২ বছর পর লাশ উত্তোলন

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শাহরুখপুত্র মোট কত সম্পত্তির মালিক?
শাহরুখপুত্র মোট কত সম্পত্তির মালিক?

৩৯ মিনিট আগে | শোবিজ

জন্ম নিবন্ধনের আগে মৃত্যুর সনদ পেল শিশু ইউসুফ
জন্ম নিবন্ধনের আগে মৃত্যুর সনদ পেল শিশু ইউসুফ

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বীরগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে একজন নিহত
বীরগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে একজন নিহত

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন বানচাল করতে ওত পেতে আছে পতিত সরকার : রিজভী
নির্বাচন বানচাল করতে ওত পেতে আছে পতিত সরকার : রিজভী

৪৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

মাহমুদুলের সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহের পথে বাংলাদেশ
মাহমুদুলের সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহের পথে বাংলাদেশ

৪৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জকসু নির্বাচনের সময়ও ক্লাস-পরীক্ষা চলবে
জকসু নির্বাচনের সময়ও ক্লাস-পরীক্ষা চলবে

৪৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ভারতে চিড়িয়াখানায় কুকুরের আক্রমণে ১০ হরিণের মৃত্যু
ভারতে চিড়িয়াখানায় কুকুরের আক্রমণে ১০ হরিণের মৃত্যু

৪৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় হচ্ছে মার্কিন ঘাঁটি, যাচ্ছে হাজারো সেনা?
গাজায় হচ্ছে মার্কিন ঘাঁটি, যাচ্ছে হাজারো সেনা?

৫৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জর্জিয়ায় বিধ্বস্ত তুর্কি সামরিক বিমানের সব আরোহী নিহত
জর্জিয়ায় বিধ্বস্ত তুর্কি সামরিক বিমানের সব আরোহী নিহত

৫৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুলিশের গাড়িতে আগুন নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর অনুরোধ ডিএমপির
পুলিশের গাড়িতে আগুন নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর অনুরোধ ডিএমপির

৫৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

রূপগঞ্জে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মী আটক
রূপগঞ্জে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মী আটক

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মহালছড়িতে ফায়ার স্টেশন স্থাপন ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আধুনিকায়নের দাবিতে মানববন্ধন
মহালছড়িতে ফায়ার স্টেশন স্থাপন ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আধুনিকায়নের দাবিতে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজীপুর-৬ আসন পুনর্বহালের দাবিতে টঙ্গীতে মহাসড়ক অবরোধ
গাজীপুর-৬ আসন পুনর্বহালের দাবিতে টঙ্গীতে মহাসড়ক অবরোধ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, যা জাতির জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত হবে : প্রধান উপদেষ্টা
নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, যা জাতির জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত হবে : প্রধান উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে গুলি করা সেই দুই শুটার গ্রেফতার
শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে গুলি করা সেই দুই শুটার গ্রেফতার

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রমনা থানার সামনে হঠাৎ পুলিশের গাড়িতে আগুন
রমনা থানার সামনে হঠাৎ পুলিশের গাড়িতে আগুন

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নিখোঁজ বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক নাইমুর রহমান মাদারীপুর থেকে উদ্ধার
নিখোঁজ বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক নাইমুর রহমান মাদারীপুর থেকে উদ্ধার

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘হাসিনাকে ফাঁসিতে না ঝোলানো পর্যন্ত মুখ দিয়ে শেখ শেখ বের হবেই’
‘হাসিনাকে ফাঁসিতে না ঝোলানো পর্যন্ত মুখ দিয়ে শেখ শেখ বের হবেই’

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমার বক্তব্যকে ভুলভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল
আমার বক্তব্যকে ভুলভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

উত্তরায় মাইক্রোবাসে আগুন
উত্তরায় মাইক্রোবাসে আগুন

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেখলেই ব্রাশফায়ারের নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের
অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেখলেই ব্রাশফায়ারের নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মধ্যরাতে ঢাবির পাঁচ ভবনের ফটকে তালা দিল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ
মধ্যরাতে ঢাবির পাঁচ ভবনের ফটকে তালা দিল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রুদ্ধশ্বাস জয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৬ রানে হারালো পাকিস্তান
রুদ্ধশ্বাস জয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৬ রানে হারালো পাকিস্তান

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ক্যারিবীয় সাগরে বিশাল যুদ্ধজাহাজবহর মোতায়েন করল যুক্তরাষ্ট্র
ক্যারিবীয় সাগরে বিশাল যুদ্ধজাহাজবহর মোতায়েন করল যুক্তরাষ্ট্র

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচনের সুযোগ নেই: জামায়াত আমির
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচনের সুযোগ নেই: জামায়াত আমির

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাতে মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ
রাতে মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে ৩-৪ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত দেবে সরকার
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে ৩-৪ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত দেবে সরকার

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন পে স্কেল বাস্তবায়নের ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
নতুন পে স্কেল বাস্তবায়নের ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নো হাংকি-পাংকি! বাঁকা আঙুলে ঘি তোলার হুমকি!
নো হাংকি-পাংকি! বাঁকা আঙুলে ঘি তোলার হুমকি!

৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বৃহস্পতিবার সারাদেশে দোকান ও শপিংমল খোলা থাকবে: মালিক সমিতি
বৃহস্পতিবার সারাদেশে দোকান ও শপিংমল খোলা থাকবে: মালিক সমিতি

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোহাম্মদপুরে ককটেলসহ আওয়ামী লীগ নেতা আটক
মোহাম্মদপুরে ককটেলসহ আওয়ামী লীগ নেতা আটক

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করলে লুকানোর গর্ত খুঁজে পাবেন না’
‘নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করলে লুকানোর গর্ত খুঁজে পাবেন না’

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাজধানীতে বাসে আগুন
রাজধানীতে বাসে আগুন

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ৩ লাখ টাকায় রফা, ভাগ নিলেন মাতবররা!
স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ৩ লাখ টাকায় রফা, ভাগ নিলেন মাতবররা!

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা
গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দ্বাদশ সংসদের এমপিদের অখালাস ৩১টি গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর
দ্বাদশ সংসদের এমপিদের অখালাস ৩১টি গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ময়মনসিংহে শ্বশুরবাড়িতে জামাতা-নাতি খুন
ময়মনসিংহে শ্বশুরবাড়িতে জামাতা-নাতি খুন

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, বাসে আগুন
রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, বাসে আগুন

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে, বাড়ছে শীতের আমেজ
তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে, বাড়ছে শীতের আমেজ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যা: ২ শ্যুটারসহ গ্রেফতার ৫
শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যা: ২ শ্যুটারসহ গ্রেফতার ৫

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গুগল ক্রোম ব্যবহারকারীদের জন্য সতর্কতা
গুগল ক্রোম ব্যবহারকারীদের জন্য সতর্কতা

৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

৩৮০০ শিশুর হার্ট সার্জারিতে অবদান : মানবসেবায় রেকর্ড জনপ্রিয় গায়িকার
৩৮০০ শিশুর হার্ট সার্জারিতে অবদান : মানবসেবায় রেকর্ড জনপ্রিয় গায়িকার

১১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানী ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানী ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রেসিডেন্ট নয়, সেনাপ্রধানের হাতে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ
প্রেসিডেন্ট নয়, সেনাপ্রধানের হাতে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
এনসিপিতে গৃহদাহ
এনসিপিতে গৃহদাহ

প্রথম পৃষ্ঠা

আলোচনার টেবিল থেকে রাজপথ
আলোচনার টেবিল থেকে রাজপথ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আর্মি সার্ভিস কোরকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
আর্মি সার্ভিস কোরকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

প্রথম পৃষ্ঠা

ভালোবাসার টানেই মাতৃভূমিতে হামজা
ভালোবাসার টানেই মাতৃভূমিতে হামজা

মাঠে ময়দানে

শেয়ারবাজারে মাফিয়া
শেয়ারবাজারে মাফিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

বোতলে দেদার জ্বালানি বিক্রি বাড়ছে অগ্নিসন্ত্রাসের ঝুঁকি
বোতলে দেদার জ্বালানি বিক্রি বাড়ছে অগ্নিসন্ত্রাসের ঝুঁকি

নগর জীবন

সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে
সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আইন হাতে তুলে নিচ্ছে মানুষ
আইন হাতে তুলে নিচ্ছে মানুষ

পেছনের পৃষ্ঠা

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন নয়
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

শিশুর বিপদ ডেকে আনছে নিউমোনিয়া
শিশুর বিপদ ডেকে আনছে নিউমোনিয়া

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচন বানচালের চেষ্টা আওয়ামী লীগের
নির্বাচন বানচালের চেষ্টা আওয়ামী লীগের

প্রথম পৃষ্ঠা

আশা জাগাচ্ছে কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাবারের বাজার
আশা জাগাচ্ছে কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাবারের বাজার

নগর জীবন

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ওয়ানডে খেলেছে ১৬ বার
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ওয়ানডে খেলেছে ১৬ বার

মাঠে ময়দানে

বুড়িগঙ্গা
বুড়িগঙ্গা

সম্পাদকীয়

সনদের বাইরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিলে দায় সরকারের
সনদের বাইরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিলে দায় সরকারের

প্রথম পৃষ্ঠা

ঘুমন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা
ঘুমন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট হলে অস্তিত্ব থাকবে না জামায়াতের
ভোট হলে অস্তিত্ব থাকবে না জামায়াতের

প্রথম পৃষ্ঠা

ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব

সম্পাদকীয়

রাজধানীতে দুই ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার
রাজধানীতে দুই ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার

প্রথম পৃষ্ঠা

অপেশাদারিতে শাবনূর
অপেশাদারিতে শাবনূর

শোবিজ

কুলসুমের চোখে স্বপ্ন জয়ের দৃঢ়তা
কুলসুমের চোখে স্বপ্ন জয়ের দৃঢ়তা

মাঠে ময়দানে

কড়া নিরাপত্তার চাদরে রাজধানী
কড়া নিরাপত্তার চাদরে রাজধানী

প্রথম পৃষ্ঠা

যারা সংস্কারের পক্ষে তাদের সঙ্গে জোট
যারা সংস্কারের পক্ষে তাদের সঙ্গে জোট

প্রথম পৃষ্ঠা

বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?

সম্পাদকীয়

কেন ক্ষেপলেন তামান্না
কেন ক্ষেপলেন তামান্না

শোবিজ

শোবিজ তারকাদের ত্যাগের গল্প
শোবিজ তারকাদের ত্যাগের গল্প

শোবিজ

টিভি নাটকে প্রমিত বাংলার অপমৃত্যু
টিভি নাটকে প্রমিত বাংলার অপমৃত্যু

শোবিজ

স্পর্শিয়ার ক্ষোভ
স্পর্শিয়ার ক্ষোভ

শোবিজ

সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান শেখ হান্নানের ব্যাংক হিসাব জব্দ
সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান শেখ হান্নানের ব্যাংক হিসাব জব্দ

নগর জীবন