শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১১ জুন, ২০১৬ আপডেট:

ধারাবাহিক উপন্যাস

অটোমান সূর্য সুলতান সুলেমান পর্ব ১২

রণক ইকরাম
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
অটোমান সূর্য সুলতান সুলেমান পর্ব  ১২

পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম সেরা শাসক তিনি। মুসলিম শাসকদের মধ্যেও সবার শীর্ষে সুলতান সুলেমান খান। অটোমান বা উসমানীয় সাম্রাজ্যের শাসনামলের গুরুত্বপূর্ণ অংশজুড়ে ছিল রাজ্যের সেরাগ্লিও বা হেরেম। এটা কেবল সুলতানের মনোরঞ্জনের ক্ষেত্রেই নয়, রাজ্যের ক্ষমতাশালী সব নারীর বসবাসই ছিল এখানে। আবার কখনো কখনো সাধারণ যৌনদাসী থেকে সুলতানা হয়ে বিশ্ব কাঁপিয়েছেন কেউ কেউ। সুলতান সুলেমানকে নিয়ে অনেক গল্প লেখা হয়েছে। নির্মিত হয়েছে আলোচিত-সমালোচিত টিভি সিরিয়াল মুহতাশিম ইউজিয়েল। আমাদের এই উপন্যাসের ভিত্তি সেই টিভি সিরিজ বা গল্প উপন্যাস নয়। মূলত ইতিহাসের নানা বইপত্র ঘেঁটে সুলতান সুলেমানের আমলটি তুলে ধরার চেষ্টা। ইতিহাস আশ্রয়ী এই উপন্যাসের মূল ভিত্তি অটোমানদের ইতিহাস। বাকিটুকু লেখকের কল্পনা।

 

উপন্যাসের শুরুর দিকে যুবরাজ সুলেমানের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন পাঠক। তখন তিনি মানিসার গভর্নরের দায়িত্ব পালন করছিলেন। অটোমান সিংহাসনে তখন সুলেমানের বাবা সুলতান প্রথম সেলিম। সুলতান সেলিমের সর্বশেষ বিজয়, অসুস্থতা ইত্যাদি পথপরিক্রমায় অটোমান সুলতান হিসেবে সিংহাসনে আরোহণ করেন সুলেমান খান।  এর মধ্যেই হেরেম সংস্কৃতি, তোপকাপি প্রাসাদ, অটোমান প্রশাসনসহ নানা দিক ওঠে এসেছে। সুলেমান খানের ক্ষমতা গ্রহণের পর নতুন সূর্যোদয়ের দিকে হাঁটতে শুরু করে অটোমান সাম্রাজ্য। সে যাত্রায় পীরে মেহমুদ পাশাকে স্বপদে বহাল রেখে হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন সুলতান। সবার প্রত্যাশার বাইরে আরও একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। পারগালি ইব্রাহীমকে বানিয়েছেন নিজের খাসকামরা প্রধান। এর মধ্যেই সুলতানের জীবনে যৌনদাসী থেকে প্রিয় পাত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন আলেকজান্দ্রা। প্রতি শনিবারের এ বিশেষ আয়োজনে আজ ছাপা হলো দ্বাদশ পর্ব।

[পূর্ব প্রকাশের পর]

কনস্টান্টিনোপলের রাস্তা ঘুরে এসে অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতা হলো সুলেমানের। রাজপ্রাসাদের পরিচিত গণ্ডির বাইরের জীবন যে কত বিচিত্র সেটা অনুধাবনের সুযোগ তার জীবনে খুব কমই এসেছে। মানিসায় থাকাকালে নিজের মতো করে প্রশাসন চালিয়েছেন। তবে সেটা কেবল রাজ্যই। অটোমান প্রশাসনের কেন্দ্রে থেকে সুলতান হওয়ার পর সাধারণ মানুষের কথাগুলো জানা কতটা জরুরি ছিল সেটাই অনুধাবন করলেন সুলেমান। ঘুরে এসে কয়েকটি বিষয়ে বেশ স্পষ্ট ধারণা পেলেন তিনি। পারগালি ইব্রাহীমকে খাসকামরা প্রধান বানানোর বিষয়টি আসলেই মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। কেউ বলছে, একজন বিদেশিকে রাজ্যে শীর্ষ চার সিলমোহরের একটি তুলে দেওয়া একদম ঠিক হয়নি সুলেমানের। আবার পক্ষের লোকও আছে। তাদের দাবি, সুলতানের বিশ্বস্ত লোক, দীর্ঘদিন ধরে সঙ্গে আছে। সুলতান নিশ্চয়ই ভুল লোককে বেছে নেবেন না! আবার এসব বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতে চান না এমন লোকের সংখ্যাও কম নয়। তাদের চিন্তা কেবলই নিজেদের রুটি-রুজি আর ব্যবসা বাণিজ্য। সাম্রাজ্য নিয়ে তাদের খুব বেশি ভাবনা নেই।

সুলতানের মেজাজ খারাপ হওয়ার কারণও ছিল। কয়েকজন বিদেশি বণিকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন তারা সবাই কাপ্তান-ই দরিয়া জাফর আগার ওপর বিরক্ত। লোকটার বিষয়ে মানিসায় থাকাকালেই অনেক বদনাম শুনেছেন। মিসরীয় বণিকরা, তাবরেজের লোকজন, রুমেলিয়ার কৃষকরা সবাই তার ওপর বিরক্ত। কর আদায়ের নামে লোকজনের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া, জোর প্রয়োগ করা, অর্থ আত্মসাৎসহ এহেন অপকর্ম নেই যার অভিযোগ জাফর আগার বিরুদ্ধে নেই। সুলেমানের বাবা সুলতান সেলিম খানও তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেন নিলেন না, সেটা একটা চিন্তার বিষয়। আজ বাইরে ঘুরে এসে এই বিষয়টি নিয়ে সবার আগে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলেন সুলেমান। তবে একটি বিষয় ভেবে সুলেমান বেশ পুলকিত বোধ করেছেন। রাজ্যের অধিকাংশ মানুষেরই বিশ্বাস, সুলেমান তাদের কল্যাণ এবং সমৃদ্ধি বয়ে আনবেন। সবার একটাই কথা, খুব দ্রুত অটোমানদের পতাকা আরও অনেক দিকে ছড়িয়ে পড়বে।

কনস্টান্টিনোপলে রাস্তার ধারের বাজার থেকে জিনিসপত্র কেনার ছলে অনেকের সঙ্গে কথা বলেন সুলেমান। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন পারগালি। লোকজন এদের কাউকেই চিনতে পারেনি। ফলে এদের মনে যা এসেছে তাই বলেছে নির্ভয়ে। এই কথাগুলোকে তাদের মনের ভিতরের কথা বলেই ধরে নেওয়া যায় নিঃসন্দেহে। এখন সব বিবেচনায় রেখে সুলেমানের কেবল এগিয়ে চলার পালা। শুধু বসে বসে ভাবলেই চলবে না, যুদ্ধেও যেতে হবে। ভাবতেই শরীরের রক্ত কেমন যেন টগবগিয়ে উঠল সুলেমানের। সামনে অসীম সম্ভাবনা, পারবেন তো সুলেমান?

 

 

একেকটি দিন আস্তে আস্তে অতীতের খাতায় নাম লেখাচ্ছে। অটোমানদের নতুন শাসক সুলতান সুলেমান খান এখন আর নতুন কেউ নন। এর মধ্যেই পেরিয়ে গেছে কতগুলো দিন। সুলেমান তার প্রশাসনিক কাজকর্ম আর যুদ্ধপ্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত দিন পার করছেন। ফাঁকে ফাঁকে ব্যক্তিগত হেরেমে যাতায়াতও বেড়েছে অনেক বেশি। এর ফলে- মাহিদেভরানের সঙ্গে একটা অদৃশ্য দেয়াল তৈরি হলো সুলেমানের। অন্যদিকে আলেকজান্দ্রার সঙ্গে বেড়েছে অন্তরঙ্গতা। সুলেমান অনুভব করতে থাকলেন সত্যি আলেকজান্দ্রার মধ্যে কী যেন একটা আছে। আর সেটা বেশ গভীরভাবেই টানে। এর মধ্যেই একদিন সুলেমানকে অবাক করে দিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের খবর দিল আলেকজান্দ্রা। খ্রিস্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্মের পতাকাতলে আসার কারণে আলেকজান্দ্রার প্রতি নিজের মুগ্ধতা প্রকাশ করলেন সুলতান। ভালোবেসে তার নাম পাল্টে দিলেন। সেদিন থেকে আলেকজান্দ্রার নাম হুররেম। হুররেম খাতুন। হুররেম মানে খুররাম বা সদা প্রফুল্ল। সুলেমানের কবি মনের কাছে মনে হয়েছে এর চেয়ে ভালো নাম মেয়েটার জন্য আর কিছু হতে পারে না। এক কান দুই কান করে সুলেমানের এই কীর্তির কথা পৌঁছে গেছে মাহীদেভরানের কানেও। বুকের ভিতর চেপে রাখা কষ্টের পাথরের ভার যেন আরও বেশি বেড়ে গেছে মাহিদেভরানের। আলেকজান্দ্রার প্রতি চাপ ক্ষোভটা প্রকাশ্যে রূপ নিল। ছুটে গেলেন বালিদ সুলতান আয়েশা হাফসার কাছে। কিন্তু নিরাশ হতে হলো। সুলেমানের পছন্দের দাসী। একান্ত ব্যক্তিগত এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে রাজি হলেন না আয়েশা। তবে মাহিদেভরানকে ধৈর্য ধরতে বলেছেন। বলেছেন সুযোগ আসা মাত্র আলেকজান্দ্রাকে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। কিন্তু মাহীদেভরানের নির্বিষ জিজ্ঞাসা কবে আসবে সেদিন? আয়েশা হাফসা সুলতানের কোনো উত্তর ছিল না। মনের ভিতরে দীর্ঘশ্বাস ভারী হয় মাহিদেভরানের। প্রতীক্ষার একেকটি রাত বেদনায় নীল হয়ে ওঠে। স্বাধীন হয়েও অনুভবে নিজের বন্দী জীবনের দৈন্যতা মনে করিয়ে দেয়। মাঝে মাঝে মনে হয় অটোমান সাম্রাজ্যের সুলতানা না হলেই মনে হয় ভালো হতো। সাধারণ একটা ঘরে স্বামী-সন্তান নিয়ে ঠিকঠাক বসবাস করা যেত। এখন তো সব থেকেও নেই! পারগালি ইব্রাহীম আস্তে আস্তে নিজের মেধা ও বুদ্ধি দিয়ে সুলেমানের কাছে আরও বিশ্বস্ত হয়ে উঠছেন। এই ব্যাপারটাই মানতে পারছে না আলেকজান্দ্রা ওরফে হুররেম। আবার ইব্রাহীমের প্রতি সুলতান এতটাই অনুরক্ত যে আলেকজান্দ্রারও এক্ষেত্রে কিছুই করার নেই। এর মধ্যেই একটি ঘটনা হেরেমের পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলল।

সাবিল সুত্রো নামের একজন দূত কাজ করেন অটোমান রাজপ্রাসাদে। তার কাজ ছিল জানেসারিসসহ অন্যান্য সেনা দল ও রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন তথ্য সুলতান পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া। এই দূতকে নিয়োগ দিয়েছিলেন পারগালি ইব্রাহীম। একদিন হেরেমের বাগানে বেরিয়েছিলেন হুররেম খাতুন ও ইসাবেলা সেখানেই হুররেমের দিকে ফুল ছুড়ে মারেন সাবিল সুত্রো। তখনো সাবিল জানত না হুররেমের পরিচয়।  হেরেমের সাধারণ মেয়ে ভেবেই নিয়ম ভেঙে তাকে প্রেম নিবেদন করেছিল সে। কিন্তু এটাই যে তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে কেউ ভাবেনি। এগিয়ে এসে সাবিলের সামনে দাঁড়ায় হুররেম। সামনে আসতেই নিজেকে পারগালি ইব্রাহীমের লোক এবং সুলতানের বিশেষ দূত পরিচয় দেয় সাবিল। এরপর হুররেমের রূপের প্রশংসা করে। নিজের ভালো লাগার কথা হুররেমকে জানাতেই সাবিলের গালে কষে একটা চড় বসিয়ে দেয় হুররেম। ঘটনা এখান পর্যন্ত থাকলেও কথা ছিল না। কিন্তু ঘটনা গিয়ে গড়ায় সুলতান পর্যন্ত।

সুলতান সুলেমান ডেকে পাঠান পারগালি ইব্রাহীমকে। কড়াভাবে শাসানো হলো তাকে। ইব্রাহীম বোঝানোর চেষ্টা করলেন এই বিষয়টিতে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। সুলতান সুলেমানও হয় তো বুঝলেন। কিন্তু এড়িয়ে গেলেন। কেবল ইব্রাহীমের পরিচয় ব্যবহার করেই বিপদটা বাড়িয়ে তুলেছেন সাবিল। ফলে সাবিল সুত্রোর কপালে জুটল মৃত্যুদণ্ডের আদেশ। সুলতানের কঠিন যুক্তি কাপ্তান-ই দরিয়া জাফর আগাকে এত অনুরোধ সত্ত্বেও ক্ষমা করা হয়নি। মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। তাহলে সাবিল কেন শাস্তি পাবে না। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা অটোমানদের মূল আদর্শ। সেই আদর্শ থেকে চুল পরিমাণ সরতে রাজি নন সুলেমান। পারগালি কিছু বলবেন সে উপায়ও ছিল না। অন্যদিকে পারগালির বিব্রত হওয়ার খবরে পৈশাচিক আনন্দ পেলেন হুররেম। হেরেমের ভিতরের ঠাণ্ডা যুদ্ধটা বেশ জমে উঠল।

 

 

‘সুলতান সত্যি সত্যি সাবিল সুত্রোর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে দিলেন! জাফর আগাও নিষ্কৃতি পাননি। মালিকা আমার খুব ভয় হচ্ছে।’

মাহিদেভরানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানতে চাইল সারা খাতুন।

‘কিসের ভয় সারা। তুমি তো কোনো অন্যায় করনি। তোমার তো ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’

সারা খাতুনকে বোঝানোর চেষ্টা করেন মাহীদেভরান।

‘কিন্তু মালিকা হুররেম খাতুনের কথায় এভাবে একজন মানুষের প্রাণ যাবে এটা কি ঠিক হচ্ছে। তাছাড়া শুনেছি জাঁহাপনা নাকি পারগালি ইব্রাহীমের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করেছেন।’

‘দেখো সারা একতরফাভাবে কথা বলো না। সাবিল সুত্রো  হেরেমের নিয়ম ভেঙেছেন। নিয়ম ভাঙার শাস্তি হিসেবে সুলতান যেটা মনে করেছেন, সেটাই দিয়েছেন। এটা নিয়ে আমাদের কিছুই বলার নেই। কিন্তু পারগালির সঙ্গে খারাপ ব্যবহার কেন করবে?’

‘মালিকা, সাবিল সুত্রো নাকি হুররেমকে পারগালির কথা বলে ভয় দেখিয়েছেন। বলেছেন, তিনি পারগালির লোক। এসব কথা নিশ্চয়ই হুররেম খাতুন ইনিয়ে-বিনিয়ে বলেছেন সুলতানের কাছে। নইলে সুলতান এতটা চটবেন কেন?’

সারা খাতুনের এবারের কথাটা গভীর রেখাপাত করল মাহিদেভরানের মনে। হুররেমের সব বিষয়ে সুলতানের প্রাধান্য দেওয়ার বিষয়টি আরও আগেই খেয়াল করেছেন মাহীদেভরান। কিন্তু বারবারই নিজের মনকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন মাহি। কিন্তু বারবার যখন এরকম উদাহরণ সামনে আসে তখন কষ্ট কেবল বেড়েই যায়। সারা খাতুনকে আর কোনো কথাই বললেন না মাহি। কেবল বললেন,

‘আমার টিয়া পাখিটা নিয়ে এসো সারা। অনেক দিন এটার সঙ্গে কথা হয় না।’

সারা খাতুন বুঝতে পারলেন মাহিদেভরানের মেজাজ খারাপ হয়ে গেছে। এখন কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। মালিকার মেজাজ খারাপ মানেই ভায়োলিন অথবা পোষা টিয়া।

সারা খাতুন যতক্ষণে টিয়া পাখি নিয়ে হাজির হলেন ততক্ষণে সেখানে এসে হাজির হলেন হেতিজা সুলতান।

মাহিদেভরানের পাখিটা হাতে নিয়ে অনেকক্ষণ আদর করে দিলেন হেতিজা।

মাহিদেভরানের কাছে অনেক কিছুই জানতে চাইছে হেতিজা। কিন্তু সবকিছু বলতে না পারার আক্ষেপ বুকে চেপে আলাপ উপভোগের চেষ্টা করেই যাচ্ছেন মাহিদেভরান।

 

 

এই মাত্র নাচের ক্লাস শেষ হলো। হেরেমের মেয়েদের প্রতিদিনই কঠোর নিয়মের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। ভাষা শিক্ষা, হেরেমের নিয়ম শিক্ষা, নৃত্য শিক্ষা, গানের ক্লাস, ভায়োলিন শিক্ষাসহ নানা কসরত শেখার মধ্য দিয়ে চলে যায় দিনের পুরোটা অংশ। এসব রীতি খুব বিরক্ত লাগে হুররেমের।

‘মাঝে মাঝে মনে হয় দানা হালিলকে ধরে পিটাই।’

ইসাবেলার দিকে তাকিয়ে দাঁত কিড়মিড় করে বলল হুররেম।

‘ছিঃ আলেকজান্দ্রা ওভাবে বলছ কেন?’

‘আবার আলেকজান্দ্রা? আমি না বলেছি আমাকে হুররেম বলতে? তুমি বারবার ভুলে যাও কেন ইসাবেলা? স্বয়ং সুলতান সুলেমান আমাকে এই নামে ডাকার হুকুম দিয়েছেন।’

‘রাগ করছ কেন? আমার দীর্ঘদিনের অভ্যাস। হুট করে কি আর বদলানো যাবে। হুররেম খাতুন।’

‘হুমম। দেখেছ কী সুন্দর শোনাচ্ছে নামটা!’

বলেই বোকা বোকা একটা হাসি দিল হুররেম। ইসাবেলা কিছুক্ষণ একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকল প্রিয় বান্ধবীর দিকে।

‘আচ্ছা হুররেম তুমি কী সত্যি সত্যি সুলতানের প্রেমে পড়েছ নাকি?’

‘প্রেম কিনা জানি না। এখন শুয়ে থাকলেও সুলেমানকে ভাবি আবার জেগে জেগেও কেবল সুলেমানের কথাই মনে পড়ে।’

‘হুম। তোর কী আনন্দ। ইস্ আমি যদি একবার সুলতানের খাসকামরায় যেতে পারতাম!’

ইসাবেলার কণ্ঠে গভীর আফসোস। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই ক্ষেপে উঠল হুররেম। ইসাবেলার গলা চেপে ধরল সে।

‘কী বললি? কী বললি তুই? তুই যাবি সুলেমানের কাছে আমার সুলেমানের কাছে আমি কাউকে ঘেঁষতে দেব না। আমি সুলেমানের সন্তানের মা হব। শাহজাদার মা হয়ে পুরো অটোমান সাম্রাজ্যকে আমার পায়ের তলে নিয়ে আসব। আমার সেই স্বপ্নে বাধা হতে চাস?’

‘ছাড় হুররেম। আমার কষ্ট হচ্ছে।’

কাশতে কাশতে হুররেমের হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিল ইসাবেলা। হুররেম তখনো রাগে ফুঁসছে। ইসাবেলা নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,

‘এভাবে রাগ করছ কেন? আমি তো এমনি কথার কথা বলেছি। আমার কি সেই সৌভাগ্য হবে। আমি তোমার বান্ধবী। আমি চাই তোমার স্বপ্ন পূরণ হোক। আমি কোনো উদ্দেশ্য মাথায় রেখে এসব কথা বলিনি। হুররেম বিশ্বাস কর। আমি সত্যি বলছি। আমার মনের ভিতর সে রকম কোনো উদ্দেশ্যই ছিল না।’

হুররেম একটু নিশ্চুপ থাকল। তারপর অন্যদিকে তাকিয়ে ইসাবেলাকে বলল,

‘ইসাবেলা তুমি আমাকে ভালোবাস?’

‘একথা কেন বলছ হুররেম?’

‘যা জিজ্ঞেস করেছি তার উত্তর দাও। আমাকে ভালোবাস?’

‘কেন না? সেই ছোটবেলা থেকেই একসঙ্গে বড় হয়েছি। এই ভিনদেশে তুমি ছাড়া আমার আর কে আছে? তোমাকে ভালো না বাসার কোনো কারণ আছে কি? কিন্তু হঠাৎ এই কথা কেন বলছ?’

‘আমার জন্য একটা কাজ করতে পারবে?’

‘কী কাজ বল?’

ইসাবেলার প্রশ্নাতুর দৃষ্টি।

‘পারগালি ইব্রাহীমকে তোমার প্রেমের ফাঁদে ফেলতে হবে।’

‘কী বলছ হুররেম?’

আঁতকে ওঠে ইসাবেলা।

‘সেটা কী করে সম্ভব?’

‘সব সম্ভব।’

‘আমি যেভাবে বলব সেভাবে চলতে হবে তাহলেই কাজ হবে।’

‘কিন্তু.....’

ইসাবেলার কণ্ঠে প্রবল সংশয়। সেই সংশয় পাত্তা দিতে চাইল না হুররেম।

‘তুমি কী ভয় পাচ্ছ?’

‘না, ঠিক তা না। পারগালি ইব্রাহীম সুলতানের খাসকামরা প্রধান। তার সঙ্গে...’

‘তুমি স্বপ্ন দেখতে চাও না?’

‘চাই তো।’

‘তাহলে? আমি যা বলছি সেটা শোনো। আমি যদি সুলতানের কাছাকাছি থাকি, আর তুমি ইব্রাহীমের। তাহলে পুরো অটোমান সাম্রাজ্যের অন্দরমহলের খবরাখবর আমাদের হাতে চলে আসবে নিমিষেই।’

‘কিন্তু আমি শুনেছি পরগালি খুব বদরাগী। একেবারে কম কথা বলেন।’

এবার একটু হাসল হুররেম।

‘সেটা তুমি আমার ওপর ছেড়ে দাও। আমি জানি কোন মানুষ কিসে দুর্বল।’

‘কিন্তু আমি কি করতে পারব?’

‘আস্থা রাখো সব ব্যবস্থা হয়ে যাবে।’

বলেই মাথা চুলকাতে চুলকাতে গভীর ভাবনায় নিমজ্জিত হলো হুররেম। মাথার ভিতর নানা চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। টুকটাক কল্পনারাও ভিড় করছে।

‘দানা হালিল কোথায় আছে খোঁজ নাও। আমি তার সঙ্গে দেখা করব।’

‘এখনই?’

‘হ্যাঁ। এখনই।’

একটু পরই দানা হালিলের খোঁজ নিয়ে এলো ইসাবেলা।

‘হেরেম প্রধান তার কক্ষেই আছেন।’

ইসাবেলাকে ঘরের ভিতর অপেক্ষা করতে বলে বেরিয়ে পড়ল হুররেম। দানা হালিল নিজের কক্ষে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। হুররেম খাতুনকে তার দরজার সামনে দেখে চমকে উঠলেন।

‘হুররেম খাতুন?’

‘ভিতরে ঢুকতে পারি?’

‘এসো। কিন্তু তুমি? এই অসময়ে?’

দানা হালিলের প্রশ্নের জবাব না দিয়েই ঘরের ভিতর ঢুকে বসে পড়ল হুররেম।

দানা হালিল লোকটাকে একচুলও বিশ্বাস হয় না হুররেমের। কিন্তু এই মুহূর্তে সে ছাড়া আর কেউ নেই যে তাকে সাহায্য করতে পারে। পারগালি ইব্রাহীমের বিষয়ে হুররেমের পরিকল্পনা সফল করার জন্য দানা হালিলের সহযোগিতা লাগবেই।

‘হেরেমে আনন্দ করার সুযোগ কি কেবল সুলতানের একার?’

‘কেন হুররেম খাতুন। এই প্রশ্ন কেন?’

‘বলুন না।’

‘না। সুলতানের কাছের আত্মীয় ও রাজ্যের উঁচু পদে আসীন লোকজন চাইলেই এই সুবিধা নিতে পারেন।’

‘সেটাই জানতে চেয়েছি।’

‘কেন হুররেম।’

‘এমনি। আচ্ছা দানা হালিল, পারগালি ইব্রাহীমের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করলে কেমন হয়?’

শুনেই আঁতকে উঠলেন দানা হালিল।

‘সর্বনাশ! কী বলছ। আমি এই লোকের কাছ থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করি। ভয়ঙ্কর লোক। একটু এদিক-সেদিক হলেই আমার গর্দান যাবে।’

‘ভয় পাচ্ছ কেন?’

বলেই কাফতানের ফাঁক থেকে কতগুলো মোহর বের করলেন হুররেম। দানা হালিলের দিকে সেগুলো বাড়িয়ে দিয়ে বললেন,

‘ইসাবেলাকে পাঠাতে চাই পারগালির কক্ষে। ব্যবস্থা করো।’

‘কিন্তু...’

দানা হালিল আপত্তি করতে চাইল।

‘আরও পুরস্কার আছে। সুলতানের কাছে বলে তোমাকে আরও উঁচু পদে নিয়ে যাব। তুমিই না আমাকে বলেছ শাহজাদার মা হলে সব আমার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে?’

‘কিন্তু হুররেম এখনো তুমি শাহজাদার মা হতে পারোনি।’

‘হব। দেখবে আমাকে কেউ আটকাতে পারবে না।’

হুররেমের আত্মবিশ্বাস চমকে দিল দানা হালিলকে। মোহরগুলো লুকোতে লুকোতে বললেন,

‘দেখা যাক কী করা যায়। আমার চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকবে না।’

‘চেষ্টা নয় দানা হালিল করতেই হবে।’

বলেই কক্ষ থেকে বেরিয়ে গেলেন হুররেম। দানা হালিল হুররেমের পথের দিকে তাকিয়ে রইল। এই মেয়েটা যে কোন দিকে কী ঘটায় বোঝা বেশ কঠিন।

 

চলবে... পরবর্তী পর্ব আগামী শনিবার

এই বিভাগের আরও খবর
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
সর্বশেষ খবর
চট্টগ্রামে জালে আটকা পড়লো ৮ ফুট লম্বা অজগর
চট্টগ্রামে জালে আটকা পড়লো ৮ ফুট লম্বা অজগর

এই মাত্র | প্রকৃতি ও পরিবেশ

কখনোই কোনো কাজে আবদ্ধ থাকতে চাইনি: ভাবনা
কখনোই কোনো কাজে আবদ্ধ থাকতে চাইনি: ভাবনা

১১ সেকেন্ড আগে | শোবিজ

কেরানীগঞ্জে দুই নারীসহ চোরচক্রের তিন সদস্য গ্রেফতার
কেরানীগঞ্জে দুই নারীসহ চোরচক্রের তিন সদস্য গ্রেফতার

৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

বগুড়ায় অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার
বগুড়ায় অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু

৬ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

শ্রীলঙ্কায় ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে সরে দাঁড়াল বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কায় ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে সরে দাঁড়াল বাংলাদেশ

৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ইতিহাসে দীর্ঘতম হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের শাটডাউন
ইতিহাসে দীর্ঘতম হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের শাটডাউন

১১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হবিগঞ্জে হত্যা মামলার ১৬ বছর পর একজনের যাবজ্জীবন
হবিগঞ্জে হত্যা মামলার ১৬ বছর পর একজনের যাবজ্জীবন

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিএসটিআইতে অত্যাধুনিক সোলার প্যানেল টেস্টিং ল্যাবরেটরি উদ্বোধন
বিএসটিআইতে অত্যাধুনিক সোলার প্যানেল টেস্টিং ল্যাবরেটরি উদ্বোধন

১৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

নাম ভিন্ন ভিন্ন, কিন্তু ভোটার তালিকায় ছবি ব্রাজিলের মডেলের, বোমা ফাটালেন রাহুল
নাম ভিন্ন ভিন্ন, কিন্তু ভোটার তালিকায় ছবি ব্রাজিলের মডেলের, বোমা ফাটালেন রাহুল

১৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাল্লুকের আক্রমণ ঠেকাতে সেনা মোতায়েন করল জাপান
ভাল্লুকের আক্রমণ ঠেকাতে সেনা মোতায়েন করল জাপান

২১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কক্সবাজারে আনন্দযাত্রা, পথে মর্মান্তিক পরিণতি: একসঙ্গে নিভে গেল ৫ প্রাণ
কক্সবাজারে আনন্দযাত্রা, পথে মর্মান্তিক পরিণতি: একসঙ্গে নিভে গেল ৫ প্রাণ

২৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করে ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে : ডা. জাহিদ
ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করে ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে : ডা. জাহিদ

২৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

রাজস্থান ছেড়ে দিল্লি ক্যাপিটালসে যাবেন স্যামসন!
রাজস্থান ছেড়ে দিল্লি ক্যাপিটালসে যাবেন স্যামসন!

৩০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

যমুনা ও সচিবালয় এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
যমুনা ও সচিবালয় এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

৩০ মিনিট আগে | জাতীয়

‘আরবান ট্রি মিউজিয়াম’, ‘বৃক্ষ সেবা ও ছাদবাগান সহায়তা কেন্দ্র’ গড়ে তুলছে ডিএনসিসি
‘আরবান ট্রি মিউজিয়াম’, ‘বৃক্ষ সেবা ও ছাদবাগান সহায়তা কেন্দ্র’ গড়ে তুলছে ডিএনসিসি

৩১ মিনিট আগে | নগর জীবন

ছেলের সাফল্যে কী বললেন মামদানির মা মীরা নায়ার?
ছেলের সাফল্যে কী বললেন মামদানির মা মীরা নায়ার?

৩৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রংপুরে বেড়েছে খড়ের কদর, লাভবান কৃষক
রংপুরে বেড়েছে খড়ের কদর, লাভবান কৃষক

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

তিন মাসে দেশের কিছু অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ তীব্র রূপ নিতে পারে
তিন মাসে দেশের কিছু অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ তীব্র রূপ নিতে পারে

৩৯ মিনিট আগে | জাতীয়

সহসাই দলে ফেরা হচ্ছে না নেইমারের
সহসাই দলে ফেরা হচ্ছে না নেইমারের

৪৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায়টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে লেখা হয়েছিল’
‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায়টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে লেখা হয়েছিল’

৪৭ মিনিট আগে | জাতীয়

মৌলভীবাজারে ইয়াবাসহ যুবক গ্রেফতার
মৌলভীবাজারে ইয়াবাসহ যুবক গ্রেফতার

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নরসিংদীর চরাঞ্চলে যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম
নরসিংদীর চরাঞ্চলে যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘গানের ওপারে’ নাটকেই বদলে গেল মিমির ক্যারিয়ার
‘গানের ওপারে’ নাটকেই বদলে গেল মিমির ক্যারিয়ার

৫৩ মিনিট আগে | শোবিজ

সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৭৪৮
সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৭৪৮

৫৪ মিনিট আগে | জাতীয়

পরিবেশবান্ধব যানবাহন ব্যবস্থা প্রবর্তনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: উপদেষ্টা আদিলুর
পরিবেশবান্ধব যানবাহন ব্যবস্থা প্রবর্তনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: উপদেষ্টা আদিলুর

৫৪ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

জকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ২২ ডিসেম্বর
জকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ২২ ডিসেম্বর

৫৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

দেড় দশক ধরে মেরামত, তবুও বেহাল রাজুরবাজার-সিধিলি সড়ক
দেড় দশক ধরে মেরামত, তবুও বেহাল রাজুরবাজার-সিধিলি সড়ক

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির কারণে মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত হয়
পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির কারণে মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত হয়

৫৮ মিনিট আগে | জাতীয়

দাদার সঙ্গে বাজারে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নাতনি নিহত
দাদার সঙ্গে বাজারে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নাতনি নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
আমরা নির্বাচনে জোট করব না: জামায়াত আমির
আমরা নির্বাচনে জোট করব না: জামায়াত আমির

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মাদারীপুর-১ আসনে কামাল মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত
মাদারীপুর-১ আসনে কামাল মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত

২২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

মামদানির জয়ে যা বললেন ট্রাম্প
মামদানির জয়ে যা বললেন ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপিতে যোগ দিলেন শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ
বিএনপিতে যোগ দিলেন শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আমার সৌভাগ্য হবে বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের পাশে সংসদে বসার: হুম্মাম কাদের
আমার সৌভাগ্য হবে বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের পাশে সংসদে বসার: হুম্মাম কাদের

১৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

নিবন্ধন না পেয়ে আমরণ অনশনে আমজনতার তারেক
নিবন্ধন না পেয়ে আমরণ অনশনে আমজনতার তারেক

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিসিবি থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন সালাহউদ্দিন
বিসিবি থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন সালাহউদ্দিন

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নিউইয়র্কের মেয়র পদে মামদানির ঐতিহাসিক বিজয়
নিউইয়র্কের মেয়র পদে মামদানির ঐতিহাসিক বিজয়

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উট ও স্বর্ণ থেকে সাম্রাজ্য: দাগোলোর হাতে এখন অর্ধেক সুদান
উট ও স্বর্ণ থেকে সাম্রাজ্য: দাগোলোর হাতে এখন অর্ধেক সুদান

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আনিসুলের বান্ধবী তৌফিকার আয়কর নথি জব্দের আদেশ
আনিসুলের বান্ধবী তৌফিকার আয়কর নথি জব্দের আদেশ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শওকত-রনির কোলাকুলি, ধানের শীষকে বিজয়ী করার আহ্বান
শওকত-রনির কোলাকুলি, ধানের শীষকে বিজয়ী করার আহ্বান

২০ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

দেশের বাজারে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম কত
দেশের বাজারে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম কত

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শাপলা কলি প্রতীকে নিবন্ধন পেয়েছে এনসিপি: সামান্তা
শাপলা কলি প্রতীকে নিবন্ধন পেয়েছে এনসিপি: সামান্তা

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজীপুরে জবাইকৃত ঘোড়ার মাংস জব্দ, জীবিত উদ্ধার ৩৭টি
গাজীপুরে জবাইকৃত ঘোড়ার মাংস জব্দ, জীবিত উদ্ধার ৩৭টি

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাকির নায়েককে আপাতত বাংলাদেশে আসার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত
জাকির নায়েককে আপাতত বাংলাদেশে আসার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাঁচ ইসলামিক ব্যাংক একীভূত হয়ে গঠিত হচ্ছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’
পাঁচ ইসলামিক ব্যাংক একীভূত হয়ে গঠিত হচ্ছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগ পেলেন বিচারপতি আহমেদ সোহেল
জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগ পেলেন বিচারপতি আহমেদ সোহেল

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোহাম্মদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মোহাম্মদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পদোন্নতি পাচ্ছেন এক হাজারের বেশি বিচারক
পদোন্নতি পাচ্ছেন এক হাজারের বেশি বিচারক

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদিতে আরও ১৭ হাজার নারী সংগীত শিক্ষক প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন
সৌদিতে আরও ১৭ হাজার নারী সংগীত শিক্ষক প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনির ছবি পোড়ানোর পর যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার
খামেনির ছবি পোড়ানোর পর যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিপিএলে ৫ দল, শুরু ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে
বিপিএলে ৫ দল, শুরু ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রামে ধানের শীষ পেলেন বিএনপির তিন শীর্ষ নেতার উত্তরাধিকারী
চট্টগ্রামে ধানের শীষ পেলেন বিএনপির তিন শীর্ষ নেতার উত্তরাধিকারী

২০ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিল প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিলো সরকার
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিল প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিলো সরকার

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একটি বন্য ছাগলের আত্মকথা
একটি বন্য ছাগলের আত্মকথা

৮ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

দুই দল যা-ই বলে, সরকার তা-ই করে : মির্জা আব্বাস
দুই দল যা-ই বলে, সরকার তা-ই করে : মির্জা আব্বাস

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের পাঁচজন নিহত
কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের পাঁচজন নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোপনে পরমাণু পরীক্ষা করার বিষয়ে কি বলছে পাকিস্তান
গোপনে পরমাণু পরীক্ষা করার বিষয়ে কি বলছে পাকিস্তান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আর কোনও ইউরোপীয় দেশে হামলা করবে না রাশিয়া: আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী
আর কোনও ইউরোপীয় দেশে হামলা করবে না রাশিয়া: আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী অ্যাটর্নি জেনারেল
পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী অ্যাটর্নি জেনারেল

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
এখন বিএনপির বাকি আসনের হিসাবনিকাশ
এখন বিএনপির বাকি আসনের হিসাবনিকাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

এ কেমন স্কুল ভবন!
এ কেমন স্কুল ভবন!

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনি উত্তাপে দেশ
নির্বাচনি উত্তাপে দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

এটাই আমার শেষ নির্বাচন
এটাই আমার শেষ নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

জামায়াতের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগিরই
জামায়াতের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগিরই

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিলিন্ডার দুর্ঘটনার বড় ক্ষতি রোধে উদ্যোগ
সিলিন্ডার দুর্ঘটনার বড় ক্ষতি রোধে উদ্যোগ

নগর জীবন

অঙ্গ দিতে পারবেন ইমোশনাল ডোনার
অঙ্গ দিতে পারবেন ইমোশনাল ডোনার

প্রথম পৃষ্ঠা

১৮ মাসে এক কোটি চাকরি নিছক বাগ্মিতা নয় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা
১৮ মাসে এক কোটি চাকরি নিছক বাগ্মিতা নয় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা

নগর জীবন

অবৈধ সুবিধা দিলেই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
অবৈধ সুবিধা দিলেই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

পেছনের পৃষ্ঠা

এ কী কাণ্ড মাধুরীর
এ কী কাণ্ড মাধুরীর

শোবিজ

কুড়িগ্রামে ভাওয়াইয়ার সুরে মায়াভরা ইত্যাদি
কুড়িগ্রামে ভাওয়াইয়ার সুরে মায়াভরা ইত্যাদি

শোবিজ

জলবায়ু তহবিলের ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ
জলবায়ু তহবিলের ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ

প্রথম পৃষ্ঠা

পারিশ্রমিক পেতে ফুটবলারদের তাগাদা
পারিশ্রমিক পেতে ফুটবলারদের তাগাদা

মাঠে ময়দানে

মতের পার্থক্য যেন সংঘাতে রূপ না নেয়
মতের পার্থক্য যেন সংঘাতে রূপ না নেয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকট পিছু ছাড়ছে না সিইউএফএলের
সংকট পিছু ছাড়ছে না সিইউএফএলের

নগর জীবন

দেশবাসী ইসলামের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ
দেশবাসী ইসলামের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

২০০ বছরের রাস উৎসবে পুণ্যার্থীর ঢল
২০০ বছরের রাস উৎসবে পুণ্যার্থীর ঢল

দেশগ্রাম

পোশাক রপ্তানি কমল টানা তিন মাস
পোশাক রপ্তানি কমল টানা তিন মাস

পেছনের পৃষ্ঠা

১৬ বছর পর আসিফ
১৬ বছর পর আসিফ

শোবিজ

কার্গো কমপ্লেক্সের ভল্ট ভেঙে সাত অস্ত্র চুরি
কার্গো কমপ্লেক্সের ভল্ট ভেঙে সাত অস্ত্র চুরি

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকট নিরসনে চাই ইসলামি অনুশাসন
সংকট নিরসনে চাই ইসলামি অনুশাসন

নগর জীবন

বিএনপিতে যোগ দিলেন শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ
বিএনপিতে যোগ দিলেন শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

রূপবানের ভূত চেপেছিল সর্বত্র
রূপবানের ভূত চেপেছিল সর্বত্র

শোবিজ

নিউমার্কেট মোড়ে বিকাল ৪টার আগে হকার বসতে পারবেন না
নিউমার্কেট মোড়ে বিকাল ৪টার আগে হকার বসতে পারবেন না

নগর জীবন

নির্বাচনে শীর্ষ নেতাদের পেয়ে বগুড়াজুড়ে আনন্দ উৎসব
নির্বাচনে শীর্ষ নেতাদের পেয়ে বগুড়াজুড়ে আনন্দ উৎসব

পেছনের পৃষ্ঠা

সম্পর্ক যাচাইয়ে আসছে নতুন পদ্ধতি
সম্পর্ক যাচাইয়ে আসছে নতুন পদ্ধতি

খবর

আলাপের জন্য আলাপ
আলাপের জন্য আলাপ

রকমারি রম্য

ঐকমত্য কমিশন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে
ঐকমত্য কমিশন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে

নগর জীবন

নিবন্ধন পাচ্ছে নতুন তিন দল
নিবন্ধন পাচ্ছে নতুন তিন দল

প্রথম পৃষ্ঠা