শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১১ জুন, ২০১৬ আপডেট:

ধারাবাহিক উপন্যাস

অটোমান সূর্য সুলতান সুলেমান পর্ব ১২

রণক ইকরাম
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
অটোমান সূর্য সুলতান সুলেমান পর্ব  ১২

পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম সেরা শাসক তিনি। মুসলিম শাসকদের মধ্যেও সবার শীর্ষে সুলতান সুলেমান খান। অটোমান বা উসমানীয় সাম্রাজ্যের শাসনামলের গুরুত্বপূর্ণ অংশজুড়ে ছিল রাজ্যের সেরাগ্লিও বা হেরেম। এটা কেবল সুলতানের মনোরঞ্জনের ক্ষেত্রেই নয়, রাজ্যের ক্ষমতাশালী সব নারীর বসবাসই ছিল এখানে। আবার কখনো কখনো সাধারণ যৌনদাসী থেকে সুলতানা হয়ে বিশ্ব কাঁপিয়েছেন কেউ কেউ। সুলতান সুলেমানকে নিয়ে অনেক গল্প লেখা হয়েছে। নির্মিত হয়েছে আলোচিত-সমালোচিত টিভি সিরিয়াল মুহতাশিম ইউজিয়েল। আমাদের এই উপন্যাসের ভিত্তি সেই টিভি সিরিজ বা গল্প উপন্যাস নয়। মূলত ইতিহাসের নানা বইপত্র ঘেঁটে সুলতান সুলেমানের আমলটি তুলে ধরার চেষ্টা। ইতিহাস আশ্রয়ী এই উপন্যাসের মূল ভিত্তি অটোমানদের ইতিহাস। বাকিটুকু লেখকের কল্পনা।

 

উপন্যাসের শুরুর দিকে যুবরাজ সুলেমানের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন পাঠক। তখন তিনি মানিসার গভর্নরের দায়িত্ব পালন করছিলেন। অটোমান সিংহাসনে তখন সুলেমানের বাবা সুলতান প্রথম সেলিম। সুলতান সেলিমের সর্বশেষ বিজয়, অসুস্থতা ইত্যাদি পথপরিক্রমায় অটোমান সুলতান হিসেবে সিংহাসনে আরোহণ করেন সুলেমান খান।  এর মধ্যেই হেরেম সংস্কৃতি, তোপকাপি প্রাসাদ, অটোমান প্রশাসনসহ নানা দিক ওঠে এসেছে। সুলেমান খানের ক্ষমতা গ্রহণের পর নতুন সূর্যোদয়ের দিকে হাঁটতে শুরু করে অটোমান সাম্রাজ্য। সে যাত্রায় পীরে মেহমুদ পাশাকে স্বপদে বহাল রেখে হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন সুলতান। সবার প্রত্যাশার বাইরে আরও একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। পারগালি ইব্রাহীমকে বানিয়েছেন নিজের খাসকামরা প্রধান। এর মধ্যেই সুলতানের জীবনে যৌনদাসী থেকে প্রিয় পাত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন আলেকজান্দ্রা। প্রতি শনিবারের এ বিশেষ আয়োজনে আজ ছাপা হলো দ্বাদশ পর্ব।

[পূর্ব প্রকাশের পর]

কনস্টান্টিনোপলের রাস্তা ঘুরে এসে অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতা হলো সুলেমানের। রাজপ্রাসাদের পরিচিত গণ্ডির বাইরের জীবন যে কত বিচিত্র সেটা অনুধাবনের সুযোগ তার জীবনে খুব কমই এসেছে। মানিসায় থাকাকালে নিজের মতো করে প্রশাসন চালিয়েছেন। তবে সেটা কেবল রাজ্যই। অটোমান প্রশাসনের কেন্দ্রে থেকে সুলতান হওয়ার পর সাধারণ মানুষের কথাগুলো জানা কতটা জরুরি ছিল সেটাই অনুধাবন করলেন সুলেমান। ঘুরে এসে কয়েকটি বিষয়ে বেশ স্পষ্ট ধারণা পেলেন তিনি। পারগালি ইব্রাহীমকে খাসকামরা প্রধান বানানোর বিষয়টি আসলেই মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। কেউ বলছে, একজন বিদেশিকে রাজ্যে শীর্ষ চার সিলমোহরের একটি তুলে দেওয়া একদম ঠিক হয়নি সুলেমানের। আবার পক্ষের লোকও আছে। তাদের দাবি, সুলতানের বিশ্বস্ত লোক, দীর্ঘদিন ধরে সঙ্গে আছে। সুলতান নিশ্চয়ই ভুল লোককে বেছে নেবেন না! আবার এসব বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতে চান না এমন লোকের সংখ্যাও কম নয়। তাদের চিন্তা কেবলই নিজেদের রুটি-রুজি আর ব্যবসা বাণিজ্য। সাম্রাজ্য নিয়ে তাদের খুব বেশি ভাবনা নেই।

সুলতানের মেজাজ খারাপ হওয়ার কারণও ছিল। কয়েকজন বিদেশি বণিকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন তারা সবাই কাপ্তান-ই দরিয়া জাফর আগার ওপর বিরক্ত। লোকটার বিষয়ে মানিসায় থাকাকালেই অনেক বদনাম শুনেছেন। মিসরীয় বণিকরা, তাবরেজের লোকজন, রুমেলিয়ার কৃষকরা সবাই তার ওপর বিরক্ত। কর আদায়ের নামে লোকজনের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া, জোর প্রয়োগ করা, অর্থ আত্মসাৎসহ এহেন অপকর্ম নেই যার অভিযোগ জাফর আগার বিরুদ্ধে নেই। সুলেমানের বাবা সুলতান সেলিম খানও তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেন নিলেন না, সেটা একটা চিন্তার বিষয়। আজ বাইরে ঘুরে এসে এই বিষয়টি নিয়ে সবার আগে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলেন সুলেমান। তবে একটি বিষয় ভেবে সুলেমান বেশ পুলকিত বোধ করেছেন। রাজ্যের অধিকাংশ মানুষেরই বিশ্বাস, সুলেমান তাদের কল্যাণ এবং সমৃদ্ধি বয়ে আনবেন। সবার একটাই কথা, খুব দ্রুত অটোমানদের পতাকা আরও অনেক দিকে ছড়িয়ে পড়বে।

কনস্টান্টিনোপলে রাস্তার ধারের বাজার থেকে জিনিসপত্র কেনার ছলে অনেকের সঙ্গে কথা বলেন সুলেমান। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন পারগালি। লোকজন এদের কাউকেই চিনতে পারেনি। ফলে এদের মনে যা এসেছে তাই বলেছে নির্ভয়ে। এই কথাগুলোকে তাদের মনের ভিতরের কথা বলেই ধরে নেওয়া যায় নিঃসন্দেহে। এখন সব বিবেচনায় রেখে সুলেমানের কেবল এগিয়ে চলার পালা। শুধু বসে বসে ভাবলেই চলবে না, যুদ্ধেও যেতে হবে। ভাবতেই শরীরের রক্ত কেমন যেন টগবগিয়ে উঠল সুলেমানের। সামনে অসীম সম্ভাবনা, পারবেন তো সুলেমান?

 

 

একেকটি দিন আস্তে আস্তে অতীতের খাতায় নাম লেখাচ্ছে। অটোমানদের নতুন শাসক সুলতান সুলেমান খান এখন আর নতুন কেউ নন। এর মধ্যেই পেরিয়ে গেছে কতগুলো দিন। সুলেমান তার প্রশাসনিক কাজকর্ম আর যুদ্ধপ্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত দিন পার করছেন। ফাঁকে ফাঁকে ব্যক্তিগত হেরেমে যাতায়াতও বেড়েছে অনেক বেশি। এর ফলে- মাহিদেভরানের সঙ্গে একটা অদৃশ্য দেয়াল তৈরি হলো সুলেমানের। অন্যদিকে আলেকজান্দ্রার সঙ্গে বেড়েছে অন্তরঙ্গতা। সুলেমান অনুভব করতে থাকলেন সত্যি আলেকজান্দ্রার মধ্যে কী যেন একটা আছে। আর সেটা বেশ গভীরভাবেই টানে। এর মধ্যেই একদিন সুলেমানকে অবাক করে দিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের খবর দিল আলেকজান্দ্রা। খ্রিস্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্মের পতাকাতলে আসার কারণে আলেকজান্দ্রার প্রতি নিজের মুগ্ধতা প্রকাশ করলেন সুলতান। ভালোবেসে তার নাম পাল্টে দিলেন। সেদিন থেকে আলেকজান্দ্রার নাম হুররেম। হুররেম খাতুন। হুররেম মানে খুররাম বা সদা প্রফুল্ল। সুলেমানের কবি মনের কাছে মনে হয়েছে এর চেয়ে ভালো নাম মেয়েটার জন্য আর কিছু হতে পারে না। এক কান দুই কান করে সুলেমানের এই কীর্তির কথা পৌঁছে গেছে মাহীদেভরানের কানেও। বুকের ভিতর চেপে রাখা কষ্টের পাথরের ভার যেন আরও বেশি বেড়ে গেছে মাহিদেভরানের। আলেকজান্দ্রার প্রতি চাপ ক্ষোভটা প্রকাশ্যে রূপ নিল। ছুটে গেলেন বালিদ সুলতান আয়েশা হাফসার কাছে। কিন্তু নিরাশ হতে হলো। সুলেমানের পছন্দের দাসী। একান্ত ব্যক্তিগত এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে রাজি হলেন না আয়েশা। তবে মাহিদেভরানকে ধৈর্য ধরতে বলেছেন। বলেছেন সুযোগ আসা মাত্র আলেকজান্দ্রাকে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। কিন্তু মাহীদেভরানের নির্বিষ জিজ্ঞাসা কবে আসবে সেদিন? আয়েশা হাফসা সুলতানের কোনো উত্তর ছিল না। মনের ভিতরে দীর্ঘশ্বাস ভারী হয় মাহিদেভরানের। প্রতীক্ষার একেকটি রাত বেদনায় নীল হয়ে ওঠে। স্বাধীন হয়েও অনুভবে নিজের বন্দী জীবনের দৈন্যতা মনে করিয়ে দেয়। মাঝে মাঝে মনে হয় অটোমান সাম্রাজ্যের সুলতানা না হলেই মনে হয় ভালো হতো। সাধারণ একটা ঘরে স্বামী-সন্তান নিয়ে ঠিকঠাক বসবাস করা যেত। এখন তো সব থেকেও নেই! পারগালি ইব্রাহীম আস্তে আস্তে নিজের মেধা ও বুদ্ধি দিয়ে সুলেমানের কাছে আরও বিশ্বস্ত হয়ে উঠছেন। এই ব্যাপারটাই মানতে পারছে না আলেকজান্দ্রা ওরফে হুররেম। আবার ইব্রাহীমের প্রতি সুলতান এতটাই অনুরক্ত যে আলেকজান্দ্রারও এক্ষেত্রে কিছুই করার নেই। এর মধ্যেই একটি ঘটনা হেরেমের পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলল।

সাবিল সুত্রো নামের একজন দূত কাজ করেন অটোমান রাজপ্রাসাদে। তার কাজ ছিল জানেসারিসসহ অন্যান্য সেনা দল ও রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন তথ্য সুলতান পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া। এই দূতকে নিয়োগ দিয়েছিলেন পারগালি ইব্রাহীম। একদিন হেরেমের বাগানে বেরিয়েছিলেন হুররেম খাতুন ও ইসাবেলা সেখানেই হুররেমের দিকে ফুল ছুড়ে মারেন সাবিল সুত্রো। তখনো সাবিল জানত না হুররেমের পরিচয়।  হেরেমের সাধারণ মেয়ে ভেবেই নিয়ম ভেঙে তাকে প্রেম নিবেদন করেছিল সে। কিন্তু এটাই যে তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে কেউ ভাবেনি। এগিয়ে এসে সাবিলের সামনে দাঁড়ায় হুররেম। সামনে আসতেই নিজেকে পারগালি ইব্রাহীমের লোক এবং সুলতানের বিশেষ দূত পরিচয় দেয় সাবিল। এরপর হুররেমের রূপের প্রশংসা করে। নিজের ভালো লাগার কথা হুররেমকে জানাতেই সাবিলের গালে কষে একটা চড় বসিয়ে দেয় হুররেম। ঘটনা এখান পর্যন্ত থাকলেও কথা ছিল না। কিন্তু ঘটনা গিয়ে গড়ায় সুলতান পর্যন্ত।

সুলতান সুলেমান ডেকে পাঠান পারগালি ইব্রাহীমকে। কড়াভাবে শাসানো হলো তাকে। ইব্রাহীম বোঝানোর চেষ্টা করলেন এই বিষয়টিতে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। সুলতান সুলেমানও হয় তো বুঝলেন। কিন্তু এড়িয়ে গেলেন। কেবল ইব্রাহীমের পরিচয় ব্যবহার করেই বিপদটা বাড়িয়ে তুলেছেন সাবিল। ফলে সাবিল সুত্রোর কপালে জুটল মৃত্যুদণ্ডের আদেশ। সুলতানের কঠিন যুক্তি কাপ্তান-ই দরিয়া জাফর আগাকে এত অনুরোধ সত্ত্বেও ক্ষমা করা হয়নি। মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। তাহলে সাবিল কেন শাস্তি পাবে না। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা অটোমানদের মূল আদর্শ। সেই আদর্শ থেকে চুল পরিমাণ সরতে রাজি নন সুলেমান। পারগালি কিছু বলবেন সে উপায়ও ছিল না। অন্যদিকে পারগালির বিব্রত হওয়ার খবরে পৈশাচিক আনন্দ পেলেন হুররেম। হেরেমের ভিতরের ঠাণ্ডা যুদ্ধটা বেশ জমে উঠল।

 

 

‘সুলতান সত্যি সত্যি সাবিল সুত্রোর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে দিলেন! জাফর আগাও নিষ্কৃতি পাননি। মালিকা আমার খুব ভয় হচ্ছে।’

মাহিদেভরানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানতে চাইল সারা খাতুন।

‘কিসের ভয় সারা। তুমি তো কোনো অন্যায় করনি। তোমার তো ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’

সারা খাতুনকে বোঝানোর চেষ্টা করেন মাহীদেভরান।

‘কিন্তু মালিকা হুররেম খাতুনের কথায় এভাবে একজন মানুষের প্রাণ যাবে এটা কি ঠিক হচ্ছে। তাছাড়া শুনেছি জাঁহাপনা নাকি পারগালি ইব্রাহীমের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করেছেন।’

‘দেখো সারা একতরফাভাবে কথা বলো না। সাবিল সুত্রো  হেরেমের নিয়ম ভেঙেছেন। নিয়ম ভাঙার শাস্তি হিসেবে সুলতান যেটা মনে করেছেন, সেটাই দিয়েছেন। এটা নিয়ে আমাদের কিছুই বলার নেই। কিন্তু পারগালির সঙ্গে খারাপ ব্যবহার কেন করবে?’

‘মালিকা, সাবিল সুত্রো নাকি হুররেমকে পারগালির কথা বলে ভয় দেখিয়েছেন। বলেছেন, তিনি পারগালির লোক। এসব কথা নিশ্চয়ই হুররেম খাতুন ইনিয়ে-বিনিয়ে বলেছেন সুলতানের কাছে। নইলে সুলতান এতটা চটবেন কেন?’

সারা খাতুনের এবারের কথাটা গভীর রেখাপাত করল মাহিদেভরানের মনে। হুররেমের সব বিষয়ে সুলতানের প্রাধান্য দেওয়ার বিষয়টি আরও আগেই খেয়াল করেছেন মাহীদেভরান। কিন্তু বারবারই নিজের মনকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন মাহি। কিন্তু বারবার যখন এরকম উদাহরণ সামনে আসে তখন কষ্ট কেবল বেড়েই যায়। সারা খাতুনকে আর কোনো কথাই বললেন না মাহি। কেবল বললেন,

‘আমার টিয়া পাখিটা নিয়ে এসো সারা। অনেক দিন এটার সঙ্গে কথা হয় না।’

সারা খাতুন বুঝতে পারলেন মাহিদেভরানের মেজাজ খারাপ হয়ে গেছে। এখন কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। মালিকার মেজাজ খারাপ মানেই ভায়োলিন অথবা পোষা টিয়া।

সারা খাতুন যতক্ষণে টিয়া পাখি নিয়ে হাজির হলেন ততক্ষণে সেখানে এসে হাজির হলেন হেতিজা সুলতান।

মাহিদেভরানের পাখিটা হাতে নিয়ে অনেকক্ষণ আদর করে দিলেন হেতিজা।

মাহিদেভরানের কাছে অনেক কিছুই জানতে চাইছে হেতিজা। কিন্তু সবকিছু বলতে না পারার আক্ষেপ বুকে চেপে আলাপ উপভোগের চেষ্টা করেই যাচ্ছেন মাহিদেভরান।

 

 

এই মাত্র নাচের ক্লাস শেষ হলো। হেরেমের মেয়েদের প্রতিদিনই কঠোর নিয়মের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। ভাষা শিক্ষা, হেরেমের নিয়ম শিক্ষা, নৃত্য শিক্ষা, গানের ক্লাস, ভায়োলিন শিক্ষাসহ নানা কসরত শেখার মধ্য দিয়ে চলে যায় দিনের পুরোটা অংশ। এসব রীতি খুব বিরক্ত লাগে হুররেমের।

‘মাঝে মাঝে মনে হয় দানা হালিলকে ধরে পিটাই।’

ইসাবেলার দিকে তাকিয়ে দাঁত কিড়মিড় করে বলল হুররেম।

‘ছিঃ আলেকজান্দ্রা ওভাবে বলছ কেন?’

‘আবার আলেকজান্দ্রা? আমি না বলেছি আমাকে হুররেম বলতে? তুমি বারবার ভুলে যাও কেন ইসাবেলা? স্বয়ং সুলতান সুলেমান আমাকে এই নামে ডাকার হুকুম দিয়েছেন।’

‘রাগ করছ কেন? আমার দীর্ঘদিনের অভ্যাস। হুট করে কি আর বদলানো যাবে। হুররেম খাতুন।’

‘হুমম। দেখেছ কী সুন্দর শোনাচ্ছে নামটা!’

বলেই বোকা বোকা একটা হাসি দিল হুররেম। ইসাবেলা কিছুক্ষণ একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকল প্রিয় বান্ধবীর দিকে।

‘আচ্ছা হুররেম তুমি কী সত্যি সত্যি সুলতানের প্রেমে পড়েছ নাকি?’

‘প্রেম কিনা জানি না। এখন শুয়ে থাকলেও সুলেমানকে ভাবি আবার জেগে জেগেও কেবল সুলেমানের কথাই মনে পড়ে।’

‘হুম। তোর কী আনন্দ। ইস্ আমি যদি একবার সুলতানের খাসকামরায় যেতে পারতাম!’

ইসাবেলার কণ্ঠে গভীর আফসোস। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই ক্ষেপে উঠল হুররেম। ইসাবেলার গলা চেপে ধরল সে।

‘কী বললি? কী বললি তুই? তুই যাবি সুলেমানের কাছে আমার সুলেমানের কাছে আমি কাউকে ঘেঁষতে দেব না। আমি সুলেমানের সন্তানের মা হব। শাহজাদার মা হয়ে পুরো অটোমান সাম্রাজ্যকে আমার পায়ের তলে নিয়ে আসব। আমার সেই স্বপ্নে বাধা হতে চাস?’

‘ছাড় হুররেম। আমার কষ্ট হচ্ছে।’

কাশতে কাশতে হুররেমের হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিল ইসাবেলা। হুররেম তখনো রাগে ফুঁসছে। ইসাবেলা নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,

‘এভাবে রাগ করছ কেন? আমি তো এমনি কথার কথা বলেছি। আমার কি সেই সৌভাগ্য হবে। আমি তোমার বান্ধবী। আমি চাই তোমার স্বপ্ন পূরণ হোক। আমি কোনো উদ্দেশ্য মাথায় রেখে এসব কথা বলিনি। হুররেম বিশ্বাস কর। আমি সত্যি বলছি। আমার মনের ভিতর সে রকম কোনো উদ্দেশ্যই ছিল না।’

হুররেম একটু নিশ্চুপ থাকল। তারপর অন্যদিকে তাকিয়ে ইসাবেলাকে বলল,

‘ইসাবেলা তুমি আমাকে ভালোবাস?’

‘একথা কেন বলছ হুররেম?’

‘যা জিজ্ঞেস করেছি তার উত্তর দাও। আমাকে ভালোবাস?’

‘কেন না? সেই ছোটবেলা থেকেই একসঙ্গে বড় হয়েছি। এই ভিনদেশে তুমি ছাড়া আমার আর কে আছে? তোমাকে ভালো না বাসার কোনো কারণ আছে কি? কিন্তু হঠাৎ এই কথা কেন বলছ?’

‘আমার জন্য একটা কাজ করতে পারবে?’

‘কী কাজ বল?’

ইসাবেলার প্রশ্নাতুর দৃষ্টি।

‘পারগালি ইব্রাহীমকে তোমার প্রেমের ফাঁদে ফেলতে হবে।’

‘কী বলছ হুররেম?’

আঁতকে ওঠে ইসাবেলা।

‘সেটা কী করে সম্ভব?’

‘সব সম্ভব।’

‘আমি যেভাবে বলব সেভাবে চলতে হবে তাহলেই কাজ হবে।’

‘কিন্তু.....’

ইসাবেলার কণ্ঠে প্রবল সংশয়। সেই সংশয় পাত্তা দিতে চাইল না হুররেম।

‘তুমি কী ভয় পাচ্ছ?’

‘না, ঠিক তা না। পারগালি ইব্রাহীম সুলতানের খাসকামরা প্রধান। তার সঙ্গে...’

‘তুমি স্বপ্ন দেখতে চাও না?’

‘চাই তো।’

‘তাহলে? আমি যা বলছি সেটা শোনো। আমি যদি সুলতানের কাছাকাছি থাকি, আর তুমি ইব্রাহীমের। তাহলে পুরো অটোমান সাম্রাজ্যের অন্দরমহলের খবরাখবর আমাদের হাতে চলে আসবে নিমিষেই।’

‘কিন্তু আমি শুনেছি পরগালি খুব বদরাগী। একেবারে কম কথা বলেন।’

এবার একটু হাসল হুররেম।

‘সেটা তুমি আমার ওপর ছেড়ে দাও। আমি জানি কোন মানুষ কিসে দুর্বল।’

‘কিন্তু আমি কি করতে পারব?’

‘আস্থা রাখো সব ব্যবস্থা হয়ে যাবে।’

বলেই মাথা চুলকাতে চুলকাতে গভীর ভাবনায় নিমজ্জিত হলো হুররেম। মাথার ভিতর নানা চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। টুকটাক কল্পনারাও ভিড় করছে।

‘দানা হালিল কোথায় আছে খোঁজ নাও। আমি তার সঙ্গে দেখা করব।’

‘এখনই?’

‘হ্যাঁ। এখনই।’

একটু পরই দানা হালিলের খোঁজ নিয়ে এলো ইসাবেলা।

‘হেরেম প্রধান তার কক্ষেই আছেন।’

ইসাবেলাকে ঘরের ভিতর অপেক্ষা করতে বলে বেরিয়ে পড়ল হুররেম। দানা হালিল নিজের কক্ষে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। হুররেম খাতুনকে তার দরজার সামনে দেখে চমকে উঠলেন।

‘হুররেম খাতুন?’

‘ভিতরে ঢুকতে পারি?’

‘এসো। কিন্তু তুমি? এই অসময়ে?’

দানা হালিলের প্রশ্নের জবাব না দিয়েই ঘরের ভিতর ঢুকে বসে পড়ল হুররেম।

দানা হালিল লোকটাকে একচুলও বিশ্বাস হয় না হুররেমের। কিন্তু এই মুহূর্তে সে ছাড়া আর কেউ নেই যে তাকে সাহায্য করতে পারে। পারগালি ইব্রাহীমের বিষয়ে হুররেমের পরিকল্পনা সফল করার জন্য দানা হালিলের সহযোগিতা লাগবেই।

‘হেরেমে আনন্দ করার সুযোগ কি কেবল সুলতানের একার?’

‘কেন হুররেম খাতুন। এই প্রশ্ন কেন?’

‘বলুন না।’

‘না। সুলতানের কাছের আত্মীয় ও রাজ্যের উঁচু পদে আসীন লোকজন চাইলেই এই সুবিধা নিতে পারেন।’

‘সেটাই জানতে চেয়েছি।’

‘কেন হুররেম।’

‘এমনি। আচ্ছা দানা হালিল, পারগালি ইব্রাহীমের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করলে কেমন হয়?’

শুনেই আঁতকে উঠলেন দানা হালিল।

‘সর্বনাশ! কী বলছ। আমি এই লোকের কাছ থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করি। ভয়ঙ্কর লোক। একটু এদিক-সেদিক হলেই আমার গর্দান যাবে।’

‘ভয় পাচ্ছ কেন?’

বলেই কাফতানের ফাঁক থেকে কতগুলো মোহর বের করলেন হুররেম। দানা হালিলের দিকে সেগুলো বাড়িয়ে দিয়ে বললেন,

‘ইসাবেলাকে পাঠাতে চাই পারগালির কক্ষে। ব্যবস্থা করো।’

‘কিন্তু...’

দানা হালিল আপত্তি করতে চাইল।

‘আরও পুরস্কার আছে। সুলতানের কাছে বলে তোমাকে আরও উঁচু পদে নিয়ে যাব। তুমিই না আমাকে বলেছ শাহজাদার মা হলে সব আমার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে?’

‘কিন্তু হুররেম এখনো তুমি শাহজাদার মা হতে পারোনি।’

‘হব। দেখবে আমাকে কেউ আটকাতে পারবে না।’

হুররেমের আত্মবিশ্বাস চমকে দিল দানা হালিলকে। মোহরগুলো লুকোতে লুকোতে বললেন,

‘দেখা যাক কী করা যায়। আমার চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকবে না।’

‘চেষ্টা নয় দানা হালিল করতেই হবে।’

বলেই কক্ষ থেকে বেরিয়ে গেলেন হুররেম। দানা হালিল হুররেমের পথের দিকে তাকিয়ে রইল। এই মেয়েটা যে কোন দিকে কী ঘটায় বোঝা বেশ কঠিন।

 

চলবে... পরবর্তী পর্ব আগামী শনিবার

এই বিভাগের আরও খবর
রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের  মৃত্যুদন্ডের ইতিহাস
রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের মৃত্যুদন্ডের ইতিহাস
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
সর্বশেষ খবর
চীনের ঝাংঝো ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং প্রফেসর হলেন শাবি অধ্যাপক ইফতেখার
চীনের ঝাংঝো ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং প্রফেসর হলেন শাবি অধ্যাপক ইফতেখার

এই মাত্র | ক্যাম্পাস

ব্রুনাইকে ৮ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
ব্রুনাইকে ৮ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ক্ষমতায় এলে গণমাধ্যম সংস্কারে অগ্রাধিকার দেবে বিএনপি : ফখরুল
ক্ষমতায় এলে গণমাধ্যম সংস্কারে অগ্রাধিকার দেবে বিএনপি : ফখরুল

৪ মিনিট আগে | জাতীয়

রাবির ২ শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার
রাবির ২ শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার

৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

'প্রতিটা স্কুলে মেয়েদের জন্য বাধ্যতামূলক টয়লেট থাকতে হবে'
'প্রতিটা স্কুলে মেয়েদের জন্য বাধ্যতামূলক টয়লেট থাকতে হবে'

৫ মিনিট আগে | জাতীয়

হামাস-হিজবুল্লাহর ওপর হামলা চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর
হামাস-হিজবুল্লাহর ওপর হামলা চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর

৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের বাজারে যে দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ
দেশের বাজারে যে দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ

৭ মিনিট আগে | অর্থনীতি

‌‘খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্বের কারণেই বারবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে’
‌‘খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্বের কারণেই বারবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে’

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চুয়াডাঙ্গায় আট দফা দাবিতে নার্সদের স্মারকলিপি প্রদান
চুয়াডাঙ্গায় আট দফা দাবিতে নার্সদের স্মারকলিপি প্রদান

১১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সারা দেশে তাপমাত্রা আরও কমবে
সারা দেশে তাপমাত্রা আরও কমবে

১৩ মিনিট আগে | জাতীয়

রাশিয়ার ২ জাহাজ ইংলিশ চ্যানেলে আটক
রাশিয়ার ২ জাহাজ ইংলিশ চ্যানেলে আটক

১৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কালীগঞ্জে উদ্ধার ১৬ ককটেল নিষ্ক্রিয় করল ডিসপোজাল ইউনিট
কালীগঞ্জে উদ্ধার ১৬ ককটেল নিষ্ক্রিয় করল ডিসপোজাল ইউনিট

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সীমান্তে তারকাঁটার বেড়া কর্তনের সময় গরু চোরাকারবারী আটক
সীমান্তে তারকাঁটার বেড়া কর্তনের সময় গরু চোরাকারবারী আটক

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে কম্বল গোডাউনে আগুন
চট্টগ্রামে কম্বল গোডাউনে আগুন

১৯ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তামিলনাড়ুতে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৬, আহত ২৮
তামিলনাড়ুতে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৬, আহত ২৮

১৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঘরে বসে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ চালু হচ্ছে মঙ্গলবার
ঘরে বসে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ চালু হচ্ছে মঙ্গলবার

২৩ মিনিট আগে | জাতীয়

দুইবার ঘুরে দাঁড়িয়েও জয় পেল না রিয়াল মাদ্রিদ
দুইবার ঘুরে দাঁড়িয়েও জয় পেল না রিয়াল মাদ্রিদ

২৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বরগুনায় বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ পালিত
বরগুনায় বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ পালিত

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আসন্ন নির্বাচনে কমনওয়েলথের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
আসন্ন নির্বাচনে কমনওয়েলথের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

৩৩ মিনিট আগে | জাতীয়

যে কারণে 'ভ্যাম্পায়ার' দাঁতে আগ্রহ বাড়ছে তরুণীদের
যে কারণে 'ভ্যাম্পায়ার' দাঁতে আগ্রহ বাড়ছে তরুণীদের

৩৭ মিনিট আগে | জীবন ধারা

শিশুদের জন্য সামাজিক মাধ্যম নিষিদ্ধ করছে মালয়েশিয়া
শিশুদের জন্য সামাজিক মাধ্যম নিষিদ্ধ করছে মালয়েশিয়া

৪৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অবশেষে চলেই গেলেন কিংবদন্তী অভিনেতা ধর্মেন্দ্র, ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি
অবশেষে চলেই গেলেন কিংবদন্তী অভিনেতা ধর্মেন্দ্র, ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি

৪৫ মিনিট আগে | শোবিজ

‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে মুক্তি পেতে গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে’
‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে মুক্তি পেতে গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে’

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবেন, বিশ্বাস বিএনপির: রিজভী
প্রধান উপদেষ্টা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবেন, বিশ্বাস বিএনপির: রিজভী

৫০ মিনিট আগে | রাজনীতি

চোট নিয়েই শুটিংয়ে ফিরলেন শ্রদ্ধা
চোট নিয়েই শুটিংয়ে ফিরলেন শ্রদ্ধা

৫০ মিনিট আগে | শোবিজ

মোহাম্মদপুরে অপহরণ ও নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তার ৯
মোহাম্মদপুরে অপহরণ ও নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তার ৯

৫৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

অবিশ্বাস্য রেকর্ডটি শুধুই মেসির
অবিশ্বাস্য রেকর্ডটি শুধুই মেসির

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাময়িক বন্ধ হচ্ছে এনআইডি সংশোধন কার্যক্রম
সাময়িক বন্ধ হচ্ছে এনআইডি সংশোধন কার্যক্রম

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঝিনাইদহে উদ্ধারকৃত ১৬ ককটেল ধ্বংস করল বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট
ঝিনাইদহে উদ্ধারকৃত ১৬ ককটেল ধ্বংস করল বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভেনেজুয়েলায় সামরিক পদক্ষেপের বিরোধিতা করেন বেশিরভাগ আমেরিকান: জরিপ
ভেনেজুয়েলায় সামরিক পদক্ষেপের বিরোধিতা করেন বেশিরভাগ আমেরিকান: জরিপ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি
প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম
কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা
ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক
খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে
অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিটরুটের ১০ উপকারিতা
বিটরুটের ১০ উপকারিতা

২৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?
ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নিকট ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে
নিকট ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর
টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন
জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

১৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার
ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার

১৪ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

সৌদি আরব ও ইরাকে ভূমিকম্প
সৌদি আরব ও ইরাকে ভূমিকম্প

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে : তারেক রহমান
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে : তারেক রহমান

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করলেই খুশি হবো : সোহেল রানা
আমার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করলেই খুশি হবো : সোহেল রানা

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ
পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে
ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে

পেছনের পৃষ্ঠা

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে
শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে

শোবিজ

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি
শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া
এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে
সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়
আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’
সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’

শোবিজ

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

কুমিল্লায় ডেঙ্গুতে মারা গেলেন চিকিৎসক
কুমিল্লায় ডেঙ্গুতে মারা গেলেন চিকিৎসক

পেছনের পৃষ্ঠা

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ
ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ

শোবিজ