শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

বিখ্যাতদের শেষ ইচ্ছা

রণক ইকরাম
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
বিখ্যাতদের শেষ ইচ্ছা

একজন মানুষ তিনি যতই বিখ্যাত হন না কেন মৃত্যুর অমোঘ নিয়তিকে অস্বীকার করবেন সে উপায় নেই। তিনি চাইলে হয়তো তার কাজের মাধ্যমে মানুষের মনে বেঁচে থাকতে পারেন— কিন্তু পৃথিবীর নিয়ম মেনে সবাইকেই দেহত্যাগ করতে হয়। ইতিহাসে এমন অসংখ্য মানুষ আছেন যারা তাদের কর্মের মাধ্যমে নশ্বর পৃথিবীতে অবিনশ্বর হয়ে আছেন। সব মানুষের বেলাতেই মৃত্যুর আগে শেষ ইচ্ছে বলে একটি কথা থাকে। এমনকি ফাঁসির আসামির বেলায়ও এই সুযোগ দেওয়া হয়। বিখ্যাতদের অনেকেই মৃত্যুর আগে শেষ ইচ্ছের কথা বলে গেছেন। কেউ কেউ করে গেছেন উইল। বিখ্যাত মানুষদের এমন অদ্ভুত সব ইচ্ছে নিয়েই আজকের আয়োজন।

 

জর্জ বার্নার্ড শ

মৃত্যুর পর শেষকৃত্যানুষ্ঠানের কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই।

বিখ্যাত আইরিশ নাট্যকার ও লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের প্রতিষ্ঠাতা জর্জ বার্নার্ড শ কে কম বেশি সবাই চেনেন। বিশেষ করে নাট্যকার হিসেবে পৃথিবীর অন্যতম সেরা যে কজন আছেন, তিনি তাদের অন্যতম। তার মূল লেখালেখির শুরুটা হয়েছিল সংগীত সাংবাদিকতা আর সাহিত্য সমালোচনা দিয়ে। তখনো আসল বার্নার্ড শ কে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার আসল প্রতিভার প্রকাশ ঘটে নাটকে। অল্প সময়ের মধ্যেই অর্ধশতাধিকেরও বেশি নাটক রচনা করেন তিনি। যার অধিকাংশই বছরের পর বছর ধরে বিখ্যাত রচনা হিসেবে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। এ ছাড়াও বার্নার্ড শ ছিলেন একাধারে প্রাবন্ধিক, উপন্যাসিক এবং ছোট গল্পকার।

তিনি ১৯২৫ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। তার জন্ম ১৮৫৬ সালের ২৬ জুলাই। ১৯৫০ সালের ২ নভেম্বর ইংল্যান্ডের হার্টফোর্ডশায়ারে পরলোকগমন করেন। তার বর্ণিল জীবনের মতোই মৃত্যুর আগের শেষ ইচ্ছেটাও ছিল খুব অদ্ভুত। তিনি ঘোষণা দেন তার মৃত্যুর পর যেন কোনো ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের আয়োজন না করা হয়। তথাকথিত শেষকৃত্যানুষ্ঠানের কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই বলে জানান তিনি। কেবল এটুকুই নয় বার্নার্ড শ-এর শেষ ইচ্ছা ছিল তার সমাধিক্ষেত্রে যেন কোনো ক্রস চিহ্ন বা এ জাতীয় কোনো প্রতীক যাতে দেওয়া না হয়।

 

নস্ট্রাদামুস

এখানে থাকার আর ইচ্ছে নেই আমার। কারণ আগামীকাল আমি আর এখানে থাকব না।

মাইকেল ডি নস্ট্রাদামুস ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জ্যোতিষী। তবে এর বাইরেও তিনি একজন দার্শনিক, লেখক, ঔষধ প্রস্তুতকারক হিসেবে ইতিহাসে আলাদা স্থান করে আছেন। ফরাসি এই বিদ্বান ব্যক্তি তার লিখিত ভবিষ্যদ্বাণীসমূহ প্রকাশনা করে বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত হয়ে উঠেন। তার লেখা দ্য প্রফেসিস বইটির প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৫৫৫ সালে। এরপরই তিনি সারা বিশ্বের কাছে তুমুল আলোচিত হয়ে ওঠেন। নস্ট্রাদামুস তার জীবনে যেসব  ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তার অধিকাংশই পরবর্তীতে সত্য হয়েছে। এর মধ্যে বিখ্যাত কতগুলো হচ্ছে কেনেডির মৃত্যু, হিটলারের উত্থান, নেপোলিয়নের পরাজয়, ৯/১১-তে আমেরিকার টুইন টাওয়ার ভেঙে যাওয়া। এমন অসংখ্য ঘটনার কথা তিনি বহু আগেই বলে গিয়েছিলেন। সবচেয়ে আশ্চর্যের কথা এই মানুষটির শেষ ইচ্ছা বলতে কিছু ছিল না। শেষ ইচ্ছা ছিল তিনি আর এই পৃথিবীতে থাকবেন না।

 কারণ তিনি নিজেই নিজের মৃত্যুর কথা অনুমান করতে পেরেছিলেন। তার অন্য সব ভবিষ্যদ্বাণীর মতো নিজের মৃত্যুর কথাও বলে গেছেন অবলীলায়। নস্ট্রাদামুস নিজের মৃত্যুর আগ মুহূর্তে বলেছিলেন, ‘এখানে থাকার আর ইচ্ছে নেই আমার। আগামীকাল, আমি আর এখানে থাকব না।’ ১৫০৩ সালে জন্ম নেওয়া নস্ট্রাদামুসের মৃত্যু হয় ১৫৬৬ সালের ২ জুলাই।

 

ভার্জিল

নিজের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি পুড়িয়ে ফেলতে চেয়েছেন।

সবাই তাকে মহাকাব্যের কবি ভার্জিল হিসেবেই চেনে। কিন্তু তার পুরো নাম আরেকটা। তার পুরো নাম পুবলিয়ুুস ভেরগিলিয়ুস মারো। খ্রিস্টপূর্ব ৭০ অব্দের ১৫ অক্টোবর বর্তমান ইতালির মান্তুয়া সীমান্তে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

প্রাচীন রোমান এই কবি একলোগুয়েস, গেয়র্গিক্স ও ইনিডের লেখক। এর মধ্যে ইনিড ছিল বারটি বই জুড়ে লেখা এক মহাকাব্য, যা পরে রোমান সাম্রাজ্যের জাতীয় মহাকাব্যের মর্যাদা লাভ করে। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে রোমান সাম্রাজ্যের বিজ্ঞাপন হয়ে ওঠে এই একটি মহাকাব্য।

ভার্জিলের কাব্যের ঐতিহাসিক তাত্পর্য রোমানদের জাতিগঠনে দৃঢ় ভূমিকা রেখেছিল। এ ছাড়া তার কাব্যে এক মহামানবের আগমনের ভবিষ্যদ্বাণী ছিল। অধিকাংশের বিশ্বাস ভার্জিল এই মহামানব বলতে যিশুখ্রিস্টকে বুঝিয়েছেন। ফলে অনাগত কালের জন্য ‘ইনিড’ হয়ে ওঠে মহামুক্তির প্রামাণ্য গ্রন্থ। তার মৃত্যু হয় খ্রিস্টপূর্ব ১৯ অব্দের ২১ সেপ্টেম্বর। সবচেয়ে অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে মৃত্যুর আগে তার শেষ ইচ্ছে ছিল তার অন্যতম অমর সৃষ্টি ‘ইনিড’কে পুড়িয়ে ফেলা। এর পেছনে ভার্জিলের একটা যুক্তি আছে।

তার কাছে কেবল  মনে হতো যে এই মহাকাব্যটি এখনো অসম্পূর্ণ। যেহেতু ইনিড সম্পূর্ণ শেষ করে যাওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়, তাই একে পুড়িয়ে ফেলাই শ্রেয় মনে করেন ভার্জিল। আর তাই অসমাপ্ত কাজকে ধ্বংস করে দিতেই উইলে এমন ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন তিনি। অবশ্য পরবর্তীতে তার অদ্ভুত এই ইচ্ছের একটা সমাধান হয়েছিল। মৃত্যুর আগে তার বন্ধুরা সবাই মিলে ভার্জিলকে অনেক বুঝানোর পর ইনিড না পোড়ানোর ব্যাপারে রাজি হয়েছিলেন তিনি।

 

হ্যারি হুডিনি

মৃত্যুর পর হ্যালোইনে যেন ডাকা হয়।

হ্যারি হুডিনি ইতিহাসের অন্যতম সেরা একজন জাদুশিল্পী ছিলেন। হুডিনি ১৮৭৪ সালের ২৪ মার্চ হাঙ্গেরির বুদাপেস্ট নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সামুয়েল ভাইস; তিনি ছিলেন একজন ইহুদি সম্প্রদায়ভুক্ত হিব্রুভাষার পণ্ডিত ব্যক্তিত্ব। ঘটনাচক্রে জাদুবিদ্যার সঙ্গে পরিচয় ঘটে তার। এরপর একের পর এক আশ্চর্য সব জাদুর কলাকৌশল দেখিয়ে তিনি দর্শকচিত্ত জয় করেন। অল্পদিনের মধ্যেই গোটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের দেশে দেশে তার নাম-ডাক ছড়িয়ে পড়ে। ব্যক্তিগত জীবনে হুডিনির একটি ইচ্ছে ছিল। আর সেটি হচ্ছে তার মৃত মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা। হুডিনি তার মাকে অসম্ভব ভালোবাসতেন। কিন্তু তার সঙ্গে যোগাযোগ করা কখনোই সম্ভব হয়নি। মা ছেলের ডাকে সারা দেননি। এরপরও দমে যাননি হুডিনি। বরং এই উইলের মাধ্যমে স্ত্রীকে দশটি শব্দ লিখে দিয়ে যান। আর জানান তার মৃত্যুর পর সেই ১০টি শব্দ উচ্চারণের মাধ্যমে তাকে যেন প্রতি হ্যালোইনে ডাকা হয়। স্ত্রী স্বামীর কথা ফেলেননি। তবে লাভও হয়নি কিছু। হুডিনি কখনোই সাড়া দেননি।

 

বব মার্লে

জন্মভূমি জ্যামাইকাতেই মরতে চাই।

তৃতীয় বিশ্বের এক প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরের নাম ‘বব মার্লে’। এই আধুনিক সময়ে এসেও বব মার্লেকে মানা হয় তারুণ্যের প্রতীক, বিপ্লবের প্রতীক হিসেবে। এখনকার তরুণদের মধ্যেও বিশ্বব্যাপী তার গানের জনপ্রিয়তা ঈর্ষণীয়। তার গানে তিনি অধিকার বঞ্চিত মানুষদের কথা বলেছেন সবসময়। ‘বাফেলো সোলজার’, ‘নো ওম্যান, নো ক্রাই’, ‘গেট আপ স্ট্যান্ড আপ’, ‘ব্ল্যাক প্রগ্রেস’-এর মতো অনেক ভুবনকাঁপানো গান দিয়ে সংগীতপ্রেমীদের মন জয় করেছিলেন বব মার্লে। মৃত্যুর শেষ দিনগুলোতে তিনি চেয়েছিলেন তার প্রিয় জন্মভূমি জ্যামাইকাতে কাটাতে। শেষ ইচ্ছা পূরণের জন্য তাকে জ্যামাইকার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শরীরের নাজুক অবস্থার কারণে ১৯৮১ সালের ১১ মে পথেই তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে বব মার্লের বয়স ছিল মাত্র ছত্রিশ বছর। পুত্র জিগি মার্লেকে উদ্দেশ্য করে তার শেষ কথাগুলো ছিল, ‘অর্থ জীবন কিনতে পারে না’।

 

ভলতেয়্যার

‘ওগো ভালো মানুষ, এখন শত্রু বানানোর সময় নয়।’

তার আসল নাম ফ্রাঁসোয়া-মারি আরুয়ে। কিন্তু এই নামে তাকে কেউ চেনে না। আবার যে নামে চেনে সেটি তার আসল নাম নয় মোটেই। সেটি তার ছদ্মনাম। পৃথিবীর ইতিহাসে তিনি ভলতেয়্যার নামে সবার কাছে পরিচিত। তিনি রেনেসাঁর সময় আবির্ভূত বিশ্বের অন্যতম সেরা পণ্ডিত ছিলেন। লেখক, প্রাবন্ধিক এবং দার্শনিক হিসেবে তার সময়ে তো বটেই এখনো ইতিহাসের অন্যতম সেরা একজন মানা হয় তাকে। তার সব গুণাবলি ছাপিয়ে গিয়েছিল বাকচাতুর্য এবং দার্শনিক ছলাকলা। যুক্তিতর্কের লড়াইয়ে তাকে হারানো ছিল কঠিনতম কাজ। তিনি নাগরিক স্বাধীনতার স্বপক্ষে, বিশেষত ধর্মের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের অধিকারের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত ছিলেন। তার সময়ের ফ্রান্স ছিল রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে দারুণ গোঁড়া। তিনি সেইসব কঠোর গোঁড়ামি উপেক্ষা করে সামাজিক সংস্কারের অন্যতম প্রবক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। শুধু তাই নয় সব রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে খ্রিস্টান গির্জা ও তত্কালীন ফরাসি সামাজিক আচারকে ব্যঙ্গবিদ্রূপ করতেও ছাড়েননি তিনি। ভলতেয়্যারের জন্ম ১৬৯৪ সালের ২১ নভেম্বর। আর ১৭৭৮ সালের ৩০ মে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালীন সময়ে ভলতেয়্যারের শেষ ইচ্ছা জানতে চাওয়া হলেও তিনি কিছুই বলেননি। আর নাস্তিক হওয়ার কারণে ঈশ্বরের নামও নেননি। তার মৃত্যু যখন সময়ের ব্যাপার মাত্র, সেই সময় পাদ্রি ভলতেয়্যারকে শেষবারের মতো অনুরোধ করেন তিনি যেন ঈশ্বরে বিশ্বাস আনেন। সেই সঙ্গে ক্ষমা চেয়ে নিজেকে যেন ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ করেন। কিন্তু ভলতেয়্যার তখনো নিজের দর্শনে অটল। পাদ্রিকে লক্ষ্য করে স্মিত হেসে ভলতেয়্যার বললেন—‘ওগো ভালো মানুষ, এখন শত্রু বানানোর সময় নয়।’ অর্থাত্ ঈশ্বরে বিশ্বাস এনে তিনি শত্রু বানাতে চান না!

 

ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট

সে যেন অহেতুক অতিরিক্ত গহনা না পরিধান করে।

— মেয়ে সারাকে উদ্দেশ্য করে।

এই তালিকায় তিনিই একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পৃথিবীর ইতিহাসের কম-বেশি সব ক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের অংশগ্রহণ আছে। ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩২তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন। দীর্ঘ ১২ বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার সময় সমগ্র বিশ্বের পরিস্থিতি ছিল অনেক বেশি উত্তপ্ত। ফলে অনেকের চেড়ে বেশি চড়াই-উত্রাই পাড়ি দিতে হয়েছে। ইউনাইটেড নেশনস বা

জাতিসংঘ সৃষ্টিতে তার অসামান্য অবদান রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন উইনস্টন চার্চিল এবং জোসেফ স্ট্যালিনের মতো বিশ্ব নেতার সঙ্গে যুক্ত হয়ে মিত্রবাহিনীর পক্ষে কাজ করেন রুজভেল্ট। ৩০ জানুয়ারি ১৮৮২ সালে জন্ম নেওয়া রুজভেল্ট মৃত্যুবরণ করেন ১৯৪৫ সালের ১২ এপ্রিল। মৃত্যুর আগে তার শেষ ইচ্ছে পত্রটিও দারুণ আলোচনার জন্ম দেয়। প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ফ্রান্সের এক রাষ্ট্রদূত রুজভেল্টকে কিং লুইস ১৬ এর একটি  পোট্রেট উপহার দেন। এই পোট্রেটে ৪০৮টি হীরা লাগানো ছিল। ফ্রাঙ্কলিন জানতেন যে তার মৃত্যুর পর সেই পোট্রেট ও এর হীরেগুলো তার মেয়ে সারা পাবে। তাই তার মেয়ে সারা যাতে সেগুলোকে খুলে নিয়ে গহনা না বানায় সেজন্যেই রুজভেল্ট তার মেয়ের উদ্দেশ্যে একটি ইচ্ছেপত্র লিখে যান, তাতে লেখা ছিল যে সারা যেন অহেতুক অতিরিক্ত গহনা পরিধান না করে।

 

চার্লস ডিকেন্স

 ‘আমার মৃত্যুর পর স্মরণ সভায় শোক প্রকাশের জন্য কালো বস্ত্র, স্কার্ফ পরিধান করে আসার কোনো দরকার নেই...

তার পুরো নাম চার্লস জন হাফ্যাম ডিকেন্স।  ১৮১২ সালেল ৭ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেওয়া ডিকেন্স ছিলেন ঊনবিংশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইংরেজ ঔপন্যাসিক। তাকে ভিক্টোরিয়ান যুগের শ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক হিসেবে মনে করা হয়। আধুনিক সময়তো বটেই ডিকেন্স জীবদ্দশাতেই তার পূর্বসূরি লেখকদের ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি অনেক বেশি জনপ্রিয়তা ও খ্যাতি অর্জন করেন।

ক্রিসমাস ক্যারল, অলিভার টুইস্টের, গ্রেট এক্সপেকটেশন, হার্ড টাইমস এবং ডেভিড কপারফিল্ডের মতো অসংখ্য জনপ্রিয় উপন্যাসের স্রষ্টা তিনি। ডিকেন্স তার শেষ ইচ্ছা জানিয়ে যান একটি উইলের মাধ্যমে। তিনি বলেন, ‘আমার মৃত্যুর পর যেসব ব্যক্তি আমার স্মরণ সভায় উপস্থিত হবেন তাদের শোক প্রকাশের জন্য কালো বস্ত্র, স্কার্ফ পরিধান করে আসার কোনো দরকার নেই। এসব অর্থহীন ও বিরক্তিকর পোশাক পরে মৃত ডিকেন্সকে শেষ সম্মান জানানোর কোনো অর্থ নেই।’

 

উইলিয়াম শেকসপিয়র

দ্বিতীয় সেরা বিছানাটি আমার স্ত্রী পাবে।

তাকে চেনেন না পৃথিবীতে এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। তিনি আর কেউ নন, নাট্যকার, কবি, অভিনেতা উইলিয়াম শেকসপিয়র। তিনি ইংল্যান্ডের জাতীয় কবি হিসেবেও বেশ পরিচিত। তা ছাড়া বিখ্যাত মানুষটিকে ইংল্যান্ডে ‘বার্ড অফ অ্যাভন’ নামে চেনেন। তিনি ছিলেন একজন ইংরেজি কবি ও ইতিহাসের বিখ্যাত  নাট্যকার। তার রচিত অসংখ্য রচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে ৩৮টি নাটক, ১৫৪টি সনেট, দুটি দীর্ঘ আখ্যান কবিতা এবং আরও কয়েকটি কবিতা। বিখ্যাত এই নাট্যকার জন্মগ্রহণ করেন ১৫৬৪ সালের ২৬ এপ্রিল। শেকসপিয়রের জন্ম ও বেড়ে ওঠা স্ট্যাটফোর্ড অন-অ্যাভনে। মৃত্যুবরণ করেন ১৬১৬ সালের ২৩ এপ্রিল।  মৃত্যুর আগে তার শেষ ইচ্ছেটিকে বেশ অদ্ভুত বলা চলে। ঠিক কী কারণে কে জানে তার মনে অদ্ভুত এক ইচ্ছে জাগল। তিনি তার বিছানাটি স্ত্রীকে দিতে চাইলেন। নিজের ইচ্ছাপত্রে শেকসপিয়র জানান তার ইচ্ছা হচ্ছে  স্ত্রী অ্যানা হ্যাথাওয়ে তার দ্বিতীয় সেরা বিছানাটি পাক। এটা অদ্ভুত মনে হলেও যতটুকু জানা যায়, শেকসপিয়রের খাটটির কারুকাজ ও দামের দিক দিয়ে সেসময়ে বেশ মূল্যবানই ছিল। অবশ্য শেকসপিয়রের কবরের ফলকে লেখা তার শেষ কথাগুলো পড়লে মনে হবে যেন, নিজেকে আর নিজের সেরা বিছানাকে অন্যের হাত থেকে রক্ষা করতে চেয়েছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন অদ্ভুত ইচ্ছাপত্রের নজির আর কোথাও নেই।

 

জন লেনন

আমাকে গুলি করা হয়েছে... এমন ভালোবাসা কার দরকার?

সবাই তাকে জন লেনন নামে চিনলেও তার পুরো নাম জন উইন্সটন ওনো লেনন। তিনি ছিলেন একজন ইংরেজ গীতিকার, গায়ক, সুরকার, চিত্রশিল্পী ও লেখক। মজার ব্যাপার হচ্ছে সাংস্কৃতিক পরিচয়ের বাইরে তিনি বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অনেক কাজ করেছেন। চেষ্টা করেছেন শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য। এখনো পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যান্ড মানা হয় বিটলস কে। সেই বিটলসের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। মানব ধর্মে বিশ্বাসী লেনন ছিলেন একজন আলোকিত মানুষ। মাত্র ৪০ বছর বয়সে, ১৯৮০ সালের ৮ ডিসেম্বর বিটলস সংগীতগোষ্ঠীর এক অন্ধ ভক্তের গুলিতে নিহত হন লেনন। মৃত্যুকালীন তার শেষ কথা ছিল অভিযোগ এবং দাবির মতো, ‘আমাকে গুলি করা হয়েছে... এমন ভালোবাসা কার দরকার?’ তিনি কতটা আতঙ্কিত ছিলেন, তার শেষ বাক্য থেকেই স্পষ্ট।

 

এলিজাবেথ টেইলর

নিজের শেষকৃত্যানুষ্ঠানেও দেরি!

ডেম এলিজাবেথ রোজমন্ড টেইলর ডিবিই বা লিজ টেইলর একজন ইংল্যান্ডে জন্ম নেওয়া ব্রিটিশ-মার্কিন অভিনেত্রী। তিনি তার অভিনয় প্রতিভা ও সৌন্দর্যের জন্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, সেই সঙ্গে তার হলিউড জীবনপদ্ধতির জন্যও। যেমন— অনেকগুলো বিয়ে করা। টেইলরকে হলিউডের স্বর্ণযুগের অন্যতম অভিনেত্রী হিসেবে ধরা হয়। তাকে তাই বলা হয় জীবনের থেকেও বড় তারকা। আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট টেইলরকে তাদের নারী কিংবদন্তি তালিকায় ৭ম স্থানে রেখেছে। তার জন্ম ১৯৩২ সালের ২৭ ফেব্রয়ারি। ২০১১ সালের ২৩ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার শেষকৃত্যানুষ্ঠানে টেইলরের কফিন পৌঁছায় ১৫ মিনিট দেরিতে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো এটি ঘটেছে এলিজাবেথ টেইলরের ইচ্ছেতেই। এমনকি তিনি এও বলে গেছেন যেন কেউ ঘোষণা করেন যে নিজের শেষকৃত্যানুষ্ঠানেও দেরি করে এসেছেন এলিজাবেথ টেইলর!

এই বিভাগের আরও খবর
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
সর্বশেষ খবর
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

৩০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান
তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২
নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা
দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত
গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার
কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে
বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব
কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস
বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল
৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ
ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু
রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু

৩ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

স্বর্ণের দাম বেড়েছে
স্বর্ণের দাম বেড়েছে

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ
বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

টি-টেনে দলকে জেতাতে ব্যর্থ সাইফ
টি-টেনে দলকে জেতাতে ব্যর্থ সাইফ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুন্সীগঞ্জে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলায় আটক ১০
মুন্সীগঞ্জে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলায় আটক ১০

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিনাজপুরে ফারিয়ার মানববন্ধন
দিনাজপুরে ফারিয়ার মানববন্ধন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওয়েস্টিনে অ্যারাবিয়ান ফুড ফেস্টিভ্যাল শুরু
ওয়েস্টিনে অ্যারাবিয়ান ফুড ফেস্টিভ্যাল শুরু

৩ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

গাইান্ধায় আইএলএসটি শিক্ষার্থীদের টেবিল-চেয়ারে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ
গাইান্ধায় আইএলএসটি শিক্ষার্থীদের টেবিল-চেয়ারে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মুন্সীগঞ্জে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল নারীর
মুন্সীগঞ্জে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল নারীর

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানকে জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর
ইরানকে জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের গণসংযোগ
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের গণসংযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে রাবিতে সচেতনতা কর্মসূচি
অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে রাবিতে সচেতনতা কর্মসূচি

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গাজায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় ইইউ
গাজায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় ইইউ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নন্দীগ্রামে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের উদ্বোধন
নন্দীগ্রামে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের উদ্বোধন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তারেক রহমান তৃণমূলকে ধানের শীষ উপহার দিয়েছেন: সরওয়ার আলমগীর
তারেক রহমান তৃণমূলকে ধানের শীষ উপহার দিয়েছেন: সরওয়ার আলমগীর

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা

১৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি
নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা

১২ ঘণ্টা আগে | টক শো

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ
দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড
জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে
দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন
গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

ডেঙ্গু টিকা নিয়ে কী ভাবছে সরকার
ডেঙ্গু টিকা নিয়ে কী ভাবছে সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ
অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ

শোবিজ

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডে কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডে কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

আইপিও রুলস করার আগে আলোচনা চায় ডিএসই
আইপিও রুলস করার আগে আলোচনা চায় ডিএসই

পেছনের পৃষ্ঠা

মামলার জালে শোবিজ তারকারা
মামলার জালে শোবিজ তারকারা

শোবিজ

পিপিআর লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
পিপিআর লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

কিলিং মিশন বাস্তবায়নে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেন
কিলিং মিশন বাস্তবায়নে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেন

পেছনের পৃষ্ঠা

গাজা থেকে হামাসকে বের করে দেওয়ার আহ্বান নেতানিয়াহুর
গাজা থেকে হামাসকে বের করে দেওয়ার আহ্বান নেতানিয়াহুর

পূর্ব-পশ্চিম

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয়ী করতে সমাবেশ করবে আট দল
গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয়ী করতে সমাবেশ করবে আট দল

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সতর্ক পাকিস্তান -খাজা আসিফ
ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সতর্ক পাকিস্তান -খাজা আসিফ

পূর্ব-পশ্চিম

চাপে ডিজিটাল নীতিমালা শিথিল করছে ইইউ
চাপে ডিজিটাল নীতিমালা শিথিল করছে ইইউ

পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

খায়রুনকে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেয় ফজল
খায়রুনকে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেয় ফজল

শোবিজ

বিজেএমসির হাজার কোটির সম্পদ লুটের অভিযোগ
বিজেএমসির হাজার কোটির সম্পদ লুটের অভিযোগ

পেছনের পৃষ্ঠা

জাপানের সিফুডে ফের নিষেধাজ্ঞা চীনের
জাপানের সিফুডে ফের নিষেধাজ্ঞা চীনের

পূর্ব-পশ্চিম

অপ্রতিরোধ্য দীপিকা
অপ্রতিরোধ্য দীপিকা

শোবিজ

দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে
দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে

মাঠে ময়দানে

ব্যবসায়ীদের কুপিয়ে ৪ লাখ টাকা ছিনতাই
ব্যবসায়ীদের কুপিয়ে ৪ লাখ টাকা ছিনতাই

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রকাশ্যে ‘হুমায়ূন সাগরে কিছুক্ষণ’
প্রকাশ্যে ‘হুমায়ূন সাগরে কিছুক্ষণ’

শোবিজ