শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

বিখ্যাতদের শেষ ইচ্ছা

রণক ইকরাম
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
বিখ্যাতদের শেষ ইচ্ছা

একজন মানুষ তিনি যতই বিখ্যাত হন না কেন মৃত্যুর অমোঘ নিয়তিকে অস্বীকার করবেন সে উপায় নেই। তিনি চাইলে হয়তো তার কাজের মাধ্যমে মানুষের মনে বেঁচে থাকতে পারেন— কিন্তু পৃথিবীর নিয়ম মেনে সবাইকেই দেহত্যাগ করতে হয়। ইতিহাসে এমন অসংখ্য মানুষ আছেন যারা তাদের কর্মের মাধ্যমে নশ্বর পৃথিবীতে অবিনশ্বর হয়ে আছেন। সব মানুষের বেলাতেই মৃত্যুর আগে শেষ ইচ্ছে বলে একটি কথা থাকে। এমনকি ফাঁসির আসামির বেলায়ও এই সুযোগ দেওয়া হয়। বিখ্যাতদের অনেকেই মৃত্যুর আগে শেষ ইচ্ছের কথা বলে গেছেন। কেউ কেউ করে গেছেন উইল। বিখ্যাত মানুষদের এমন অদ্ভুত সব ইচ্ছে নিয়েই আজকের আয়োজন।

 

জর্জ বার্নার্ড শ

মৃত্যুর পর শেষকৃত্যানুষ্ঠানের কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই।

বিখ্যাত আইরিশ নাট্যকার ও লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের প্রতিষ্ঠাতা জর্জ বার্নার্ড শ কে কম বেশি সবাই চেনেন। বিশেষ করে নাট্যকার হিসেবে পৃথিবীর অন্যতম সেরা যে কজন আছেন, তিনি তাদের অন্যতম। তার মূল লেখালেখির শুরুটা হয়েছিল সংগীত সাংবাদিকতা আর সাহিত্য সমালোচনা দিয়ে। তখনো আসল বার্নার্ড শ কে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার আসল প্রতিভার প্রকাশ ঘটে নাটকে। অল্প সময়ের মধ্যেই অর্ধশতাধিকেরও বেশি নাটক রচনা করেন তিনি। যার অধিকাংশই বছরের পর বছর ধরে বিখ্যাত রচনা হিসেবে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। এ ছাড়াও বার্নার্ড শ ছিলেন একাধারে প্রাবন্ধিক, উপন্যাসিক এবং ছোট গল্পকার।

তিনি ১৯২৫ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। তার জন্ম ১৮৫৬ সালের ২৬ জুলাই। ১৯৫০ সালের ২ নভেম্বর ইংল্যান্ডের হার্টফোর্ডশায়ারে পরলোকগমন করেন। তার বর্ণিল জীবনের মতোই মৃত্যুর আগের শেষ ইচ্ছেটাও ছিল খুব অদ্ভুত। তিনি ঘোষণা দেন তার মৃত্যুর পর যেন কোনো ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের আয়োজন না করা হয়। তথাকথিত শেষকৃত্যানুষ্ঠানের কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই বলে জানান তিনি। কেবল এটুকুই নয় বার্নার্ড শ-এর শেষ ইচ্ছা ছিল তার সমাধিক্ষেত্রে যেন কোনো ক্রস চিহ্ন বা এ জাতীয় কোনো প্রতীক যাতে দেওয়া না হয়।

 

নস্ট্রাদামুস

এখানে থাকার আর ইচ্ছে নেই আমার। কারণ আগামীকাল আমি আর এখানে থাকব না।

মাইকেল ডি নস্ট্রাদামুস ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জ্যোতিষী। তবে এর বাইরেও তিনি একজন দার্শনিক, লেখক, ঔষধ প্রস্তুতকারক হিসেবে ইতিহাসে আলাদা স্থান করে আছেন। ফরাসি এই বিদ্বান ব্যক্তি তার লিখিত ভবিষ্যদ্বাণীসমূহ প্রকাশনা করে বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত হয়ে উঠেন। তার লেখা দ্য প্রফেসিস বইটির প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৫৫৫ সালে। এরপরই তিনি সারা বিশ্বের কাছে তুমুল আলোচিত হয়ে ওঠেন। নস্ট্রাদামুস তার জীবনে যেসব  ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তার অধিকাংশই পরবর্তীতে সত্য হয়েছে। এর মধ্যে বিখ্যাত কতগুলো হচ্ছে কেনেডির মৃত্যু, হিটলারের উত্থান, নেপোলিয়নের পরাজয়, ৯/১১-তে আমেরিকার টুইন টাওয়ার ভেঙে যাওয়া। এমন অসংখ্য ঘটনার কথা তিনি বহু আগেই বলে গিয়েছিলেন। সবচেয়ে আশ্চর্যের কথা এই মানুষটির শেষ ইচ্ছা বলতে কিছু ছিল না। শেষ ইচ্ছা ছিল তিনি আর এই পৃথিবীতে থাকবেন না।

 কারণ তিনি নিজেই নিজের মৃত্যুর কথা অনুমান করতে পেরেছিলেন। তার অন্য সব ভবিষ্যদ্বাণীর মতো নিজের মৃত্যুর কথাও বলে গেছেন অবলীলায়। নস্ট্রাদামুস নিজের মৃত্যুর আগ মুহূর্তে বলেছিলেন, ‘এখানে থাকার আর ইচ্ছে নেই আমার। আগামীকাল, আমি আর এখানে থাকব না।’ ১৫০৩ সালে জন্ম নেওয়া নস্ট্রাদামুসের মৃত্যু হয় ১৫৬৬ সালের ২ জুলাই।

 

ভার্জিল

নিজের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি পুড়িয়ে ফেলতে চেয়েছেন।

সবাই তাকে মহাকাব্যের কবি ভার্জিল হিসেবেই চেনে। কিন্তু তার পুরো নাম আরেকটা। তার পুরো নাম পুবলিয়ুুস ভেরগিলিয়ুস মারো। খ্রিস্টপূর্ব ৭০ অব্দের ১৫ অক্টোবর বর্তমান ইতালির মান্তুয়া সীমান্তে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

প্রাচীন রোমান এই কবি একলোগুয়েস, গেয়র্গিক্স ও ইনিডের লেখক। এর মধ্যে ইনিড ছিল বারটি বই জুড়ে লেখা এক মহাকাব্য, যা পরে রোমান সাম্রাজ্যের জাতীয় মহাকাব্যের মর্যাদা লাভ করে। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে রোমান সাম্রাজ্যের বিজ্ঞাপন হয়ে ওঠে এই একটি মহাকাব্য।

ভার্জিলের কাব্যের ঐতিহাসিক তাত্পর্য রোমানদের জাতিগঠনে দৃঢ় ভূমিকা রেখেছিল। এ ছাড়া তার কাব্যে এক মহামানবের আগমনের ভবিষ্যদ্বাণী ছিল। অধিকাংশের বিশ্বাস ভার্জিল এই মহামানব বলতে যিশুখ্রিস্টকে বুঝিয়েছেন। ফলে অনাগত কালের জন্য ‘ইনিড’ হয়ে ওঠে মহামুক্তির প্রামাণ্য গ্রন্থ। তার মৃত্যু হয় খ্রিস্টপূর্ব ১৯ অব্দের ২১ সেপ্টেম্বর। সবচেয়ে অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে মৃত্যুর আগে তার শেষ ইচ্ছে ছিল তার অন্যতম অমর সৃষ্টি ‘ইনিড’কে পুড়িয়ে ফেলা। এর পেছনে ভার্জিলের একটা যুক্তি আছে।

তার কাছে কেবল  মনে হতো যে এই মহাকাব্যটি এখনো অসম্পূর্ণ। যেহেতু ইনিড সম্পূর্ণ শেষ করে যাওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়, তাই একে পুড়িয়ে ফেলাই শ্রেয় মনে করেন ভার্জিল। আর তাই অসমাপ্ত কাজকে ধ্বংস করে দিতেই উইলে এমন ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন তিনি। অবশ্য পরবর্তীতে তার অদ্ভুত এই ইচ্ছের একটা সমাধান হয়েছিল। মৃত্যুর আগে তার বন্ধুরা সবাই মিলে ভার্জিলকে অনেক বুঝানোর পর ইনিড না পোড়ানোর ব্যাপারে রাজি হয়েছিলেন তিনি।

 

হ্যারি হুডিনি

মৃত্যুর পর হ্যালোইনে যেন ডাকা হয়।

হ্যারি হুডিনি ইতিহাসের অন্যতম সেরা একজন জাদুশিল্পী ছিলেন। হুডিনি ১৮৭৪ সালের ২৪ মার্চ হাঙ্গেরির বুদাপেস্ট নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সামুয়েল ভাইস; তিনি ছিলেন একজন ইহুদি সম্প্রদায়ভুক্ত হিব্রুভাষার পণ্ডিত ব্যক্তিত্ব। ঘটনাচক্রে জাদুবিদ্যার সঙ্গে পরিচয় ঘটে তার। এরপর একের পর এক আশ্চর্য সব জাদুর কলাকৌশল দেখিয়ে তিনি দর্শকচিত্ত জয় করেন। অল্পদিনের মধ্যেই গোটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের দেশে দেশে তার নাম-ডাক ছড়িয়ে পড়ে। ব্যক্তিগত জীবনে হুডিনির একটি ইচ্ছে ছিল। আর সেটি হচ্ছে তার মৃত মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা। হুডিনি তার মাকে অসম্ভব ভালোবাসতেন। কিন্তু তার সঙ্গে যোগাযোগ করা কখনোই সম্ভব হয়নি। মা ছেলের ডাকে সারা দেননি। এরপরও দমে যাননি হুডিনি। বরং এই উইলের মাধ্যমে স্ত্রীকে দশটি শব্দ লিখে দিয়ে যান। আর জানান তার মৃত্যুর পর সেই ১০টি শব্দ উচ্চারণের মাধ্যমে তাকে যেন প্রতি হ্যালোইনে ডাকা হয়। স্ত্রী স্বামীর কথা ফেলেননি। তবে লাভও হয়নি কিছু। হুডিনি কখনোই সাড়া দেননি।

 

বব মার্লে

জন্মভূমি জ্যামাইকাতেই মরতে চাই।

তৃতীয় বিশ্বের এক প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরের নাম ‘বব মার্লে’। এই আধুনিক সময়ে এসেও বব মার্লেকে মানা হয় তারুণ্যের প্রতীক, বিপ্লবের প্রতীক হিসেবে। এখনকার তরুণদের মধ্যেও বিশ্বব্যাপী তার গানের জনপ্রিয়তা ঈর্ষণীয়। তার গানে তিনি অধিকার বঞ্চিত মানুষদের কথা বলেছেন সবসময়। ‘বাফেলো সোলজার’, ‘নো ওম্যান, নো ক্রাই’, ‘গেট আপ স্ট্যান্ড আপ’, ‘ব্ল্যাক প্রগ্রেস’-এর মতো অনেক ভুবনকাঁপানো গান দিয়ে সংগীতপ্রেমীদের মন জয় করেছিলেন বব মার্লে। মৃত্যুর শেষ দিনগুলোতে তিনি চেয়েছিলেন তার প্রিয় জন্মভূমি জ্যামাইকাতে কাটাতে। শেষ ইচ্ছা পূরণের জন্য তাকে জ্যামাইকার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শরীরের নাজুক অবস্থার কারণে ১৯৮১ সালের ১১ মে পথেই তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে বব মার্লের বয়স ছিল মাত্র ছত্রিশ বছর। পুত্র জিগি মার্লেকে উদ্দেশ্য করে তার শেষ কথাগুলো ছিল, ‘অর্থ জীবন কিনতে পারে না’।

 

ভলতেয়্যার

‘ওগো ভালো মানুষ, এখন শত্রু বানানোর সময় নয়।’

তার আসল নাম ফ্রাঁসোয়া-মারি আরুয়ে। কিন্তু এই নামে তাকে কেউ চেনে না। আবার যে নামে চেনে সেটি তার আসল নাম নয় মোটেই। সেটি তার ছদ্মনাম। পৃথিবীর ইতিহাসে তিনি ভলতেয়্যার নামে সবার কাছে পরিচিত। তিনি রেনেসাঁর সময় আবির্ভূত বিশ্বের অন্যতম সেরা পণ্ডিত ছিলেন। লেখক, প্রাবন্ধিক এবং দার্শনিক হিসেবে তার সময়ে তো বটেই এখনো ইতিহাসের অন্যতম সেরা একজন মানা হয় তাকে। তার সব গুণাবলি ছাপিয়ে গিয়েছিল বাকচাতুর্য এবং দার্শনিক ছলাকলা। যুক্তিতর্কের লড়াইয়ে তাকে হারানো ছিল কঠিনতম কাজ। তিনি নাগরিক স্বাধীনতার স্বপক্ষে, বিশেষত ধর্মের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের অধিকারের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত ছিলেন। তার সময়ের ফ্রান্স ছিল রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে দারুণ গোঁড়া। তিনি সেইসব কঠোর গোঁড়ামি উপেক্ষা করে সামাজিক সংস্কারের অন্যতম প্রবক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। শুধু তাই নয় সব রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে খ্রিস্টান গির্জা ও তত্কালীন ফরাসি সামাজিক আচারকে ব্যঙ্গবিদ্রূপ করতেও ছাড়েননি তিনি। ভলতেয়্যারের জন্ম ১৬৯৪ সালের ২১ নভেম্বর। আর ১৭৭৮ সালের ৩০ মে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালীন সময়ে ভলতেয়্যারের শেষ ইচ্ছা জানতে চাওয়া হলেও তিনি কিছুই বলেননি। আর নাস্তিক হওয়ার কারণে ঈশ্বরের নামও নেননি। তার মৃত্যু যখন সময়ের ব্যাপার মাত্র, সেই সময় পাদ্রি ভলতেয়্যারকে শেষবারের মতো অনুরোধ করেন তিনি যেন ঈশ্বরে বিশ্বাস আনেন। সেই সঙ্গে ক্ষমা চেয়ে নিজেকে যেন ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ করেন। কিন্তু ভলতেয়্যার তখনো নিজের দর্শনে অটল। পাদ্রিকে লক্ষ্য করে স্মিত হেসে ভলতেয়্যার বললেন—‘ওগো ভালো মানুষ, এখন শত্রু বানানোর সময় নয়।’ অর্থাত্ ঈশ্বরে বিশ্বাস এনে তিনি শত্রু বানাতে চান না!

 

ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট

সে যেন অহেতুক অতিরিক্ত গহনা না পরিধান করে।

— মেয়ে সারাকে উদ্দেশ্য করে।

এই তালিকায় তিনিই একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পৃথিবীর ইতিহাসের কম-বেশি সব ক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের অংশগ্রহণ আছে। ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩২তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন। দীর্ঘ ১২ বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার সময় সমগ্র বিশ্বের পরিস্থিতি ছিল অনেক বেশি উত্তপ্ত। ফলে অনেকের চেড়ে বেশি চড়াই-উত্রাই পাড়ি দিতে হয়েছে। ইউনাইটেড নেশনস বা

জাতিসংঘ সৃষ্টিতে তার অসামান্য অবদান রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন উইনস্টন চার্চিল এবং জোসেফ স্ট্যালিনের মতো বিশ্ব নেতার সঙ্গে যুক্ত হয়ে মিত্রবাহিনীর পক্ষে কাজ করেন রুজভেল্ট। ৩০ জানুয়ারি ১৮৮২ সালে জন্ম নেওয়া রুজভেল্ট মৃত্যুবরণ করেন ১৯৪৫ সালের ১২ এপ্রিল। মৃত্যুর আগে তার শেষ ইচ্ছে পত্রটিও দারুণ আলোচনার জন্ম দেয়। প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ফ্রান্সের এক রাষ্ট্রদূত রুজভেল্টকে কিং লুইস ১৬ এর একটি  পোট্রেট উপহার দেন। এই পোট্রেটে ৪০৮টি হীরা লাগানো ছিল। ফ্রাঙ্কলিন জানতেন যে তার মৃত্যুর পর সেই পোট্রেট ও এর হীরেগুলো তার মেয়ে সারা পাবে। তাই তার মেয়ে সারা যাতে সেগুলোকে খুলে নিয়ে গহনা না বানায় সেজন্যেই রুজভেল্ট তার মেয়ের উদ্দেশ্যে একটি ইচ্ছেপত্র লিখে যান, তাতে লেখা ছিল যে সারা যেন অহেতুক অতিরিক্ত গহনা পরিধান না করে।

 

চার্লস ডিকেন্স

 ‘আমার মৃত্যুর পর স্মরণ সভায় শোক প্রকাশের জন্য কালো বস্ত্র, স্কার্ফ পরিধান করে আসার কোনো দরকার নেই...

তার পুরো নাম চার্লস জন হাফ্যাম ডিকেন্স।  ১৮১২ সালেল ৭ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেওয়া ডিকেন্স ছিলেন ঊনবিংশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইংরেজ ঔপন্যাসিক। তাকে ভিক্টোরিয়ান যুগের শ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক হিসেবে মনে করা হয়। আধুনিক সময়তো বটেই ডিকেন্স জীবদ্দশাতেই তার পূর্বসূরি লেখকদের ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি অনেক বেশি জনপ্রিয়তা ও খ্যাতি অর্জন করেন।

ক্রিসমাস ক্যারল, অলিভার টুইস্টের, গ্রেট এক্সপেকটেশন, হার্ড টাইমস এবং ডেভিড কপারফিল্ডের মতো অসংখ্য জনপ্রিয় উপন্যাসের স্রষ্টা তিনি। ডিকেন্স তার শেষ ইচ্ছা জানিয়ে যান একটি উইলের মাধ্যমে। তিনি বলেন, ‘আমার মৃত্যুর পর যেসব ব্যক্তি আমার স্মরণ সভায় উপস্থিত হবেন তাদের শোক প্রকাশের জন্য কালো বস্ত্র, স্কার্ফ পরিধান করে আসার কোনো দরকার নেই। এসব অর্থহীন ও বিরক্তিকর পোশাক পরে মৃত ডিকেন্সকে শেষ সম্মান জানানোর কোনো অর্থ নেই।’

 

উইলিয়াম শেকসপিয়র

দ্বিতীয় সেরা বিছানাটি আমার স্ত্রী পাবে।

তাকে চেনেন না পৃথিবীতে এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। তিনি আর কেউ নন, নাট্যকার, কবি, অভিনেতা উইলিয়াম শেকসপিয়র। তিনি ইংল্যান্ডের জাতীয় কবি হিসেবেও বেশ পরিচিত। তা ছাড়া বিখ্যাত মানুষটিকে ইংল্যান্ডে ‘বার্ড অফ অ্যাভন’ নামে চেনেন। তিনি ছিলেন একজন ইংরেজি কবি ও ইতিহাসের বিখ্যাত  নাট্যকার। তার রচিত অসংখ্য রচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে ৩৮টি নাটক, ১৫৪টি সনেট, দুটি দীর্ঘ আখ্যান কবিতা এবং আরও কয়েকটি কবিতা। বিখ্যাত এই নাট্যকার জন্মগ্রহণ করেন ১৫৬৪ সালের ২৬ এপ্রিল। শেকসপিয়রের জন্ম ও বেড়ে ওঠা স্ট্যাটফোর্ড অন-অ্যাভনে। মৃত্যুবরণ করেন ১৬১৬ সালের ২৩ এপ্রিল।  মৃত্যুর আগে তার শেষ ইচ্ছেটিকে বেশ অদ্ভুত বলা চলে। ঠিক কী কারণে কে জানে তার মনে অদ্ভুত এক ইচ্ছে জাগল। তিনি তার বিছানাটি স্ত্রীকে দিতে চাইলেন। নিজের ইচ্ছাপত্রে শেকসপিয়র জানান তার ইচ্ছা হচ্ছে  স্ত্রী অ্যানা হ্যাথাওয়ে তার দ্বিতীয় সেরা বিছানাটি পাক। এটা অদ্ভুত মনে হলেও যতটুকু জানা যায়, শেকসপিয়রের খাটটির কারুকাজ ও দামের দিক দিয়ে সেসময়ে বেশ মূল্যবানই ছিল। অবশ্য শেকসপিয়রের কবরের ফলকে লেখা তার শেষ কথাগুলো পড়লে মনে হবে যেন, নিজেকে আর নিজের সেরা বিছানাকে অন্যের হাত থেকে রক্ষা করতে চেয়েছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন অদ্ভুত ইচ্ছাপত্রের নজির আর কোথাও নেই।

 

জন লেনন

আমাকে গুলি করা হয়েছে... এমন ভালোবাসা কার দরকার?

সবাই তাকে জন লেনন নামে চিনলেও তার পুরো নাম জন উইন্সটন ওনো লেনন। তিনি ছিলেন একজন ইংরেজ গীতিকার, গায়ক, সুরকার, চিত্রশিল্পী ও লেখক। মজার ব্যাপার হচ্ছে সাংস্কৃতিক পরিচয়ের বাইরে তিনি বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অনেক কাজ করেছেন। চেষ্টা করেছেন শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য। এখনো পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যান্ড মানা হয় বিটলস কে। সেই বিটলসের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। মানব ধর্মে বিশ্বাসী লেনন ছিলেন একজন আলোকিত মানুষ। মাত্র ৪০ বছর বয়সে, ১৯৮০ সালের ৮ ডিসেম্বর বিটলস সংগীতগোষ্ঠীর এক অন্ধ ভক্তের গুলিতে নিহত হন লেনন। মৃত্যুকালীন তার শেষ কথা ছিল অভিযোগ এবং দাবির মতো, ‘আমাকে গুলি করা হয়েছে... এমন ভালোবাসা কার দরকার?’ তিনি কতটা আতঙ্কিত ছিলেন, তার শেষ বাক্য থেকেই স্পষ্ট।

 

এলিজাবেথ টেইলর

নিজের শেষকৃত্যানুষ্ঠানেও দেরি!

ডেম এলিজাবেথ রোজমন্ড টেইলর ডিবিই বা লিজ টেইলর একজন ইংল্যান্ডে জন্ম নেওয়া ব্রিটিশ-মার্কিন অভিনেত্রী। তিনি তার অভিনয় প্রতিভা ও সৌন্দর্যের জন্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, সেই সঙ্গে তার হলিউড জীবনপদ্ধতির জন্যও। যেমন— অনেকগুলো বিয়ে করা। টেইলরকে হলিউডের স্বর্ণযুগের অন্যতম অভিনেত্রী হিসেবে ধরা হয়। তাকে তাই বলা হয় জীবনের থেকেও বড় তারকা। আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট টেইলরকে তাদের নারী কিংবদন্তি তালিকায় ৭ম স্থানে রেখেছে। তার জন্ম ১৯৩২ সালের ২৭ ফেব্রয়ারি। ২০১১ সালের ২৩ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার শেষকৃত্যানুষ্ঠানে টেইলরের কফিন পৌঁছায় ১৫ মিনিট দেরিতে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো এটি ঘটেছে এলিজাবেথ টেইলরের ইচ্ছেতেই। এমনকি তিনি এও বলে গেছেন যেন কেউ ঘোষণা করেন যে নিজের শেষকৃত্যানুষ্ঠানেও দেরি করে এসেছেন এলিজাবেথ টেইলর!

এই বিভাগের আরও খবর
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
সর্বশেষ খবর
টেকনাফে ঘরের দেয়াল ভেঙে এক ব্যক্তিকে তুলে নিল অস্ত্রধারীরা
টেকনাফে ঘরের দেয়াল ভেঙে এক ব্যক্তিকে তুলে নিল অস্ত্রধারীরা

৩ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

জামায়াত আমিরের চট্টগ্রাম সফর শনিবার
জামায়াত আমিরের চট্টগ্রাম সফর শনিবার

৪ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

১৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৪০
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৪০

২৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১১
রাজধানীতে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১১

৩১ মিনিট আগে | নগর জীবন

২৬ মাস পর ফিরছেন পল পগবা
২৬ মাস পর ফিরছেন পল পগবা

৫৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকার বাতাস আজ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকার বাতাস আজ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাজ্য: বন্ধ শত শত স্কুল, বিদ্যুৎহীন বহু এলাকা
তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাজ্য: বন্ধ শত শত স্কুল, বিদ্যুৎহীন বহু এলাকা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচন প্রস্তুতি বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে ইসির সভা ৩০ নভেম্বর
নির্বাচন প্রস্তুতি বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে ইসির সভা ৩০ নভেম্বর

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাবির জগন্নাথ হলে ‘সংহতির বাংলাদেশ নাইট ফুটসাল’ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
ঢাবির জগন্নাথ হলে ‘সংহতির বাংলাদেশ নাইট ফুটসাল’ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আড়াল ভেঙে ‌‘সুসংবাদ’ দিলেন মোনালি
আড়াল ভেঙে ‌‘সুসংবাদ’ দিলেন মোনালি

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আজ থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন
আজ থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভোর ৫টা না সকাল ৭টা? স্নায়ুতন্ত্র সুস্থ রাখতে কখন ঘুম থেকে উঠবেন?
ভোর ৫টা না সকাল ৭টা? স্নায়ুতন্ত্র সুস্থ রাখতে কখন ঘুম থেকে উঠবেন?

২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

নতুন আলোয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫
নতুন আলোয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

পুনর্বহালে জাতি হয়েছে কলঙ্কমুক্ত : এনসিপি
পুনর্বহালে জাতি হয়েছে কলঙ্কমুক্ত : এনসিপি

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শীতেও বেড়েছে সবজির দাম, যা বলছেন বিক্রেতারা
শীতেও বেড়েছে সবজির দাম, যা বলছেন বিক্রেতারা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভবিষ্যৎ নির্বাচন সুসংহত করবে : খসরু
ভবিষ্যৎ নির্বাচন সুসংহত করবে : খসরু

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গণতন্ত্র ইতিবাচক ধারায় ফিরবে : জামায়াত
গণতন্ত্র ইতিবাচক ধারায় ফিরবে : জামায়াত

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আহান-অনীতকে বলিউডের ‌‘নেক্সট কাপল’ বললেন করণ জোহর
আহান-অনীতকে বলিউডের ‌‘নেক্সট কাপল’ বললেন করণ জোহর

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সকালে ডিম খাবেন কেন
সকালে ডিম খাবেন কেন

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

টানা বর্ষণে ভিয়েতনামে ভয়াবহ বন্যা, ৪১ জনের প্রাণহানি
টানা বর্ষণে ভিয়েতনামে ভয়াবহ বন্যা, ৪১ জনের প্রাণহানি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সার বিতরণ-সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা বিষয়ে অবহিতকরণ সভা
সার বিতরণ-সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা বিষয়ে অবহিতকরণ সভা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তেঁতুলিয়ায় বাড়ছে শীতের দাপট, তাপমাত্রা ১৪.৯ ডিগ্রি
তেঁতুলিয়ায় বাড়ছে শীতের দাপট, তাপমাত্রা ১৪.৯ ডিগ্রি

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২১ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২১ নভেম্বর)

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে দামে কেনা যাবে প্রতি ভরি স্বর্ণ
যে দামে কেনা যাবে প্রতি ভরি স্বর্ণ

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন
ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা
অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন
আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প
মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে
আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার
৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের
বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ: এক নজরে সবকিছু
২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ: এক নজরে সবকিছু

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি
রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি ক্রোক
সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি ক্রোক

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় এসআর হেলথ কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
বগুড়ায় এসআর হেলথ কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ
মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আইরিশদের পাঁচ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ
আইরিশদের পাঁচ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?
যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?

১৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার শঙ্কা, কমবে তাপমাত্রা
লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার শঙ্কা, কমবে তাপমাত্রা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরাতে সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে’
‘শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরাতে সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে’

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’
২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শনিবার ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
শনিবার ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিস ইউনিভার্সে এখন পর্যন্ত বিতর্কিত যা যা ঘটল
মিস ইউনিভার্সে এখন পর্যন্ত বিতর্কিত যা যা ঘটল

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ
তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফিতা কাটাই ভরসা
ফিতা কাটাই ভরসা

শোবিজ

আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ
নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প

পূর্ব-পশ্চিম

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

পেছনের পৃষ্ঠা

সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ
সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ

পেছনের পৃষ্ঠা

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা
না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা

শোবিজ

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

খবর

ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’
ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’

শোবিজ

দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না
দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র

শোবিজ

রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র
রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে
ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে

পেছনের পৃষ্ঠা

বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা
বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা

শোবিজ

হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ
হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ

শোবিজ

বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়
বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়

মাঠে ময়দানে

হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক
হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক

মাঠে ময়দানে

মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি
মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি

মাঠে ময়দানে

প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা
নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

১০০-তে ১০০ মুশফিক
১০০-তে ১০০ মুশফিক

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের
পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের

প্রথম পৃষ্ঠা

১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু
১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে কমনওয়েলথ মহাসচিব ঢাকায়
নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে কমনওয়েলথ মহাসচিব ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা