শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

বিখ্যাতদের শেষ ইচ্ছা

রণক ইকরাম
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
বিখ্যাতদের শেষ ইচ্ছা

একজন মানুষ তিনি যতই বিখ্যাত হন না কেন মৃত্যুর অমোঘ নিয়তিকে অস্বীকার করবেন সে উপায় নেই। তিনি চাইলে হয়তো তার কাজের মাধ্যমে মানুষের মনে বেঁচে থাকতে পারেন— কিন্তু পৃথিবীর নিয়ম মেনে সবাইকেই দেহত্যাগ করতে হয়। ইতিহাসে এমন অসংখ্য মানুষ আছেন যারা তাদের কর্মের মাধ্যমে নশ্বর পৃথিবীতে অবিনশ্বর হয়ে আছেন। সব মানুষের বেলাতেই মৃত্যুর আগে শেষ ইচ্ছে বলে একটি কথা থাকে। এমনকি ফাঁসির আসামির বেলায়ও এই সুযোগ দেওয়া হয়। বিখ্যাতদের অনেকেই মৃত্যুর আগে শেষ ইচ্ছের কথা বলে গেছেন। কেউ কেউ করে গেছেন উইল। বিখ্যাত মানুষদের এমন অদ্ভুত সব ইচ্ছে নিয়েই আজকের আয়োজন।

 

জর্জ বার্নার্ড শ

মৃত্যুর পর শেষকৃত্যানুষ্ঠানের কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই।

বিখ্যাত আইরিশ নাট্যকার ও লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের প্রতিষ্ঠাতা জর্জ বার্নার্ড শ কে কম বেশি সবাই চেনেন। বিশেষ করে নাট্যকার হিসেবে পৃথিবীর অন্যতম সেরা যে কজন আছেন, তিনি তাদের অন্যতম। তার মূল লেখালেখির শুরুটা হয়েছিল সংগীত সাংবাদিকতা আর সাহিত্য সমালোচনা দিয়ে। তখনো আসল বার্নার্ড শ কে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার আসল প্রতিভার প্রকাশ ঘটে নাটকে। অল্প সময়ের মধ্যেই অর্ধশতাধিকেরও বেশি নাটক রচনা করেন তিনি। যার অধিকাংশই বছরের পর বছর ধরে বিখ্যাত রচনা হিসেবে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। এ ছাড়াও বার্নার্ড শ ছিলেন একাধারে প্রাবন্ধিক, উপন্যাসিক এবং ছোট গল্পকার।

তিনি ১৯২৫ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। তার জন্ম ১৮৫৬ সালের ২৬ জুলাই। ১৯৫০ সালের ২ নভেম্বর ইংল্যান্ডের হার্টফোর্ডশায়ারে পরলোকগমন করেন। তার বর্ণিল জীবনের মতোই মৃত্যুর আগের শেষ ইচ্ছেটাও ছিল খুব অদ্ভুত। তিনি ঘোষণা দেন তার মৃত্যুর পর যেন কোনো ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের আয়োজন না করা হয়। তথাকথিত শেষকৃত্যানুষ্ঠানের কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই বলে জানান তিনি। কেবল এটুকুই নয় বার্নার্ড শ-এর শেষ ইচ্ছা ছিল তার সমাধিক্ষেত্রে যেন কোনো ক্রস চিহ্ন বা এ জাতীয় কোনো প্রতীক যাতে দেওয়া না হয়।

 

নস্ট্রাদামুস

এখানে থাকার আর ইচ্ছে নেই আমার। কারণ আগামীকাল আমি আর এখানে থাকব না।

মাইকেল ডি নস্ট্রাদামুস ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জ্যোতিষী। তবে এর বাইরেও তিনি একজন দার্শনিক, লেখক, ঔষধ প্রস্তুতকারক হিসেবে ইতিহাসে আলাদা স্থান করে আছেন। ফরাসি এই বিদ্বান ব্যক্তি তার লিখিত ভবিষ্যদ্বাণীসমূহ প্রকাশনা করে বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত হয়ে উঠেন। তার লেখা দ্য প্রফেসিস বইটির প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৫৫৫ সালে। এরপরই তিনি সারা বিশ্বের কাছে তুমুল আলোচিত হয়ে ওঠেন। নস্ট্রাদামুস তার জীবনে যেসব  ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তার অধিকাংশই পরবর্তীতে সত্য হয়েছে। এর মধ্যে বিখ্যাত কতগুলো হচ্ছে কেনেডির মৃত্যু, হিটলারের উত্থান, নেপোলিয়নের পরাজয়, ৯/১১-তে আমেরিকার টুইন টাওয়ার ভেঙে যাওয়া। এমন অসংখ্য ঘটনার কথা তিনি বহু আগেই বলে গিয়েছিলেন। সবচেয়ে আশ্চর্যের কথা এই মানুষটির শেষ ইচ্ছা বলতে কিছু ছিল না। শেষ ইচ্ছা ছিল তিনি আর এই পৃথিবীতে থাকবেন না।

 কারণ তিনি নিজেই নিজের মৃত্যুর কথা অনুমান করতে পেরেছিলেন। তার অন্য সব ভবিষ্যদ্বাণীর মতো নিজের মৃত্যুর কথাও বলে গেছেন অবলীলায়। নস্ট্রাদামুস নিজের মৃত্যুর আগ মুহূর্তে বলেছিলেন, ‘এখানে থাকার আর ইচ্ছে নেই আমার। আগামীকাল, আমি আর এখানে থাকব না।’ ১৫০৩ সালে জন্ম নেওয়া নস্ট্রাদামুসের মৃত্যু হয় ১৫৬৬ সালের ২ জুলাই।

 

ভার্জিল

নিজের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি পুড়িয়ে ফেলতে চেয়েছেন।

সবাই তাকে মহাকাব্যের কবি ভার্জিল হিসেবেই চেনে। কিন্তু তার পুরো নাম আরেকটা। তার পুরো নাম পুবলিয়ুুস ভেরগিলিয়ুস মারো। খ্রিস্টপূর্ব ৭০ অব্দের ১৫ অক্টোবর বর্তমান ইতালির মান্তুয়া সীমান্তে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

প্রাচীন রোমান এই কবি একলোগুয়েস, গেয়র্গিক্স ও ইনিডের লেখক। এর মধ্যে ইনিড ছিল বারটি বই জুড়ে লেখা এক মহাকাব্য, যা পরে রোমান সাম্রাজ্যের জাতীয় মহাকাব্যের মর্যাদা লাভ করে। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে রোমান সাম্রাজ্যের বিজ্ঞাপন হয়ে ওঠে এই একটি মহাকাব্য।

ভার্জিলের কাব্যের ঐতিহাসিক তাত্পর্য রোমানদের জাতিগঠনে দৃঢ় ভূমিকা রেখেছিল। এ ছাড়া তার কাব্যে এক মহামানবের আগমনের ভবিষ্যদ্বাণী ছিল। অধিকাংশের বিশ্বাস ভার্জিল এই মহামানব বলতে যিশুখ্রিস্টকে বুঝিয়েছেন। ফলে অনাগত কালের জন্য ‘ইনিড’ হয়ে ওঠে মহামুক্তির প্রামাণ্য গ্রন্থ। তার মৃত্যু হয় খ্রিস্টপূর্ব ১৯ অব্দের ২১ সেপ্টেম্বর। সবচেয়ে অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে মৃত্যুর আগে তার শেষ ইচ্ছে ছিল তার অন্যতম অমর সৃষ্টি ‘ইনিড’কে পুড়িয়ে ফেলা। এর পেছনে ভার্জিলের একটা যুক্তি আছে।

তার কাছে কেবল  মনে হতো যে এই মহাকাব্যটি এখনো অসম্পূর্ণ। যেহেতু ইনিড সম্পূর্ণ শেষ করে যাওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়, তাই একে পুড়িয়ে ফেলাই শ্রেয় মনে করেন ভার্জিল। আর তাই অসমাপ্ত কাজকে ধ্বংস করে দিতেই উইলে এমন ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন তিনি। অবশ্য পরবর্তীতে তার অদ্ভুত এই ইচ্ছের একটা সমাধান হয়েছিল। মৃত্যুর আগে তার বন্ধুরা সবাই মিলে ভার্জিলকে অনেক বুঝানোর পর ইনিড না পোড়ানোর ব্যাপারে রাজি হয়েছিলেন তিনি।

 

হ্যারি হুডিনি

মৃত্যুর পর হ্যালোইনে যেন ডাকা হয়।

হ্যারি হুডিনি ইতিহাসের অন্যতম সেরা একজন জাদুশিল্পী ছিলেন। হুডিনি ১৮৭৪ সালের ২৪ মার্চ হাঙ্গেরির বুদাপেস্ট নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সামুয়েল ভাইস; তিনি ছিলেন একজন ইহুদি সম্প্রদায়ভুক্ত হিব্রুভাষার পণ্ডিত ব্যক্তিত্ব। ঘটনাচক্রে জাদুবিদ্যার সঙ্গে পরিচয় ঘটে তার। এরপর একের পর এক আশ্চর্য সব জাদুর কলাকৌশল দেখিয়ে তিনি দর্শকচিত্ত জয় করেন। অল্পদিনের মধ্যেই গোটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের দেশে দেশে তার নাম-ডাক ছড়িয়ে পড়ে। ব্যক্তিগত জীবনে হুডিনির একটি ইচ্ছে ছিল। আর সেটি হচ্ছে তার মৃত মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা। হুডিনি তার মাকে অসম্ভব ভালোবাসতেন। কিন্তু তার সঙ্গে যোগাযোগ করা কখনোই সম্ভব হয়নি। মা ছেলের ডাকে সারা দেননি। এরপরও দমে যাননি হুডিনি। বরং এই উইলের মাধ্যমে স্ত্রীকে দশটি শব্দ লিখে দিয়ে যান। আর জানান তার মৃত্যুর পর সেই ১০টি শব্দ উচ্চারণের মাধ্যমে তাকে যেন প্রতি হ্যালোইনে ডাকা হয়। স্ত্রী স্বামীর কথা ফেলেননি। তবে লাভও হয়নি কিছু। হুডিনি কখনোই সাড়া দেননি।

 

বব মার্লে

জন্মভূমি জ্যামাইকাতেই মরতে চাই।

তৃতীয় বিশ্বের এক প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরের নাম ‘বব মার্লে’। এই আধুনিক সময়ে এসেও বব মার্লেকে মানা হয় তারুণ্যের প্রতীক, বিপ্লবের প্রতীক হিসেবে। এখনকার তরুণদের মধ্যেও বিশ্বব্যাপী তার গানের জনপ্রিয়তা ঈর্ষণীয়। তার গানে তিনি অধিকার বঞ্চিত মানুষদের কথা বলেছেন সবসময়। ‘বাফেলো সোলজার’, ‘নো ওম্যান, নো ক্রাই’, ‘গেট আপ স্ট্যান্ড আপ’, ‘ব্ল্যাক প্রগ্রেস’-এর মতো অনেক ভুবনকাঁপানো গান দিয়ে সংগীতপ্রেমীদের মন জয় করেছিলেন বব মার্লে। মৃত্যুর শেষ দিনগুলোতে তিনি চেয়েছিলেন তার প্রিয় জন্মভূমি জ্যামাইকাতে কাটাতে। শেষ ইচ্ছা পূরণের জন্য তাকে জ্যামাইকার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শরীরের নাজুক অবস্থার কারণে ১৯৮১ সালের ১১ মে পথেই তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে বব মার্লের বয়স ছিল মাত্র ছত্রিশ বছর। পুত্র জিগি মার্লেকে উদ্দেশ্য করে তার শেষ কথাগুলো ছিল, ‘অর্থ জীবন কিনতে পারে না’।

 

ভলতেয়্যার

‘ওগো ভালো মানুষ, এখন শত্রু বানানোর সময় নয়।’

তার আসল নাম ফ্রাঁসোয়া-মারি আরুয়ে। কিন্তু এই নামে তাকে কেউ চেনে না। আবার যে নামে চেনে সেটি তার আসল নাম নয় মোটেই। সেটি তার ছদ্মনাম। পৃথিবীর ইতিহাসে তিনি ভলতেয়্যার নামে সবার কাছে পরিচিত। তিনি রেনেসাঁর সময় আবির্ভূত বিশ্বের অন্যতম সেরা পণ্ডিত ছিলেন। লেখক, প্রাবন্ধিক এবং দার্শনিক হিসেবে তার সময়ে তো বটেই এখনো ইতিহাসের অন্যতম সেরা একজন মানা হয় তাকে। তার সব গুণাবলি ছাপিয়ে গিয়েছিল বাকচাতুর্য এবং দার্শনিক ছলাকলা। যুক্তিতর্কের লড়াইয়ে তাকে হারানো ছিল কঠিনতম কাজ। তিনি নাগরিক স্বাধীনতার স্বপক্ষে, বিশেষত ধর্মের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের অধিকারের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত ছিলেন। তার সময়ের ফ্রান্স ছিল রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে দারুণ গোঁড়া। তিনি সেইসব কঠোর গোঁড়ামি উপেক্ষা করে সামাজিক সংস্কারের অন্যতম প্রবক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। শুধু তাই নয় সব রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে খ্রিস্টান গির্জা ও তত্কালীন ফরাসি সামাজিক আচারকে ব্যঙ্গবিদ্রূপ করতেও ছাড়েননি তিনি। ভলতেয়্যারের জন্ম ১৬৯৪ সালের ২১ নভেম্বর। আর ১৭৭৮ সালের ৩০ মে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালীন সময়ে ভলতেয়্যারের শেষ ইচ্ছা জানতে চাওয়া হলেও তিনি কিছুই বলেননি। আর নাস্তিক হওয়ার কারণে ঈশ্বরের নামও নেননি। তার মৃত্যু যখন সময়ের ব্যাপার মাত্র, সেই সময় পাদ্রি ভলতেয়্যারকে শেষবারের মতো অনুরোধ করেন তিনি যেন ঈশ্বরে বিশ্বাস আনেন। সেই সঙ্গে ক্ষমা চেয়ে নিজেকে যেন ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ করেন। কিন্তু ভলতেয়্যার তখনো নিজের দর্শনে অটল। পাদ্রিকে লক্ষ্য করে স্মিত হেসে ভলতেয়্যার বললেন—‘ওগো ভালো মানুষ, এখন শত্রু বানানোর সময় নয়।’ অর্থাত্ ঈশ্বরে বিশ্বাস এনে তিনি শত্রু বানাতে চান না!

 

ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট

সে যেন অহেতুক অতিরিক্ত গহনা না পরিধান করে।

— মেয়ে সারাকে উদ্দেশ্য করে।

এই তালিকায় তিনিই একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পৃথিবীর ইতিহাসের কম-বেশি সব ক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের অংশগ্রহণ আছে। ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩২তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন। দীর্ঘ ১২ বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার সময় সমগ্র বিশ্বের পরিস্থিতি ছিল অনেক বেশি উত্তপ্ত। ফলে অনেকের চেড়ে বেশি চড়াই-উত্রাই পাড়ি দিতে হয়েছে। ইউনাইটেড নেশনস বা

জাতিসংঘ সৃষ্টিতে তার অসামান্য অবদান রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন উইনস্টন চার্চিল এবং জোসেফ স্ট্যালিনের মতো বিশ্ব নেতার সঙ্গে যুক্ত হয়ে মিত্রবাহিনীর পক্ষে কাজ করেন রুজভেল্ট। ৩০ জানুয়ারি ১৮৮২ সালে জন্ম নেওয়া রুজভেল্ট মৃত্যুবরণ করেন ১৯৪৫ সালের ১২ এপ্রিল। মৃত্যুর আগে তার শেষ ইচ্ছে পত্রটিও দারুণ আলোচনার জন্ম দেয়। প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ফ্রান্সের এক রাষ্ট্রদূত রুজভেল্টকে কিং লুইস ১৬ এর একটি  পোট্রেট উপহার দেন। এই পোট্রেটে ৪০৮টি হীরা লাগানো ছিল। ফ্রাঙ্কলিন জানতেন যে তার মৃত্যুর পর সেই পোট্রেট ও এর হীরেগুলো তার মেয়ে সারা পাবে। তাই তার মেয়ে সারা যাতে সেগুলোকে খুলে নিয়ে গহনা না বানায় সেজন্যেই রুজভেল্ট তার মেয়ের উদ্দেশ্যে একটি ইচ্ছেপত্র লিখে যান, তাতে লেখা ছিল যে সারা যেন অহেতুক অতিরিক্ত গহনা পরিধান না করে।

 

চার্লস ডিকেন্স

 ‘আমার মৃত্যুর পর স্মরণ সভায় শোক প্রকাশের জন্য কালো বস্ত্র, স্কার্ফ পরিধান করে আসার কোনো দরকার নেই...

তার পুরো নাম চার্লস জন হাফ্যাম ডিকেন্স।  ১৮১২ সালেল ৭ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেওয়া ডিকেন্স ছিলেন ঊনবিংশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইংরেজ ঔপন্যাসিক। তাকে ভিক্টোরিয়ান যুগের শ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক হিসেবে মনে করা হয়। আধুনিক সময়তো বটেই ডিকেন্স জীবদ্দশাতেই তার পূর্বসূরি লেখকদের ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি অনেক বেশি জনপ্রিয়তা ও খ্যাতি অর্জন করেন।

ক্রিসমাস ক্যারল, অলিভার টুইস্টের, গ্রেট এক্সপেকটেশন, হার্ড টাইমস এবং ডেভিড কপারফিল্ডের মতো অসংখ্য জনপ্রিয় উপন্যাসের স্রষ্টা তিনি। ডিকেন্স তার শেষ ইচ্ছা জানিয়ে যান একটি উইলের মাধ্যমে। তিনি বলেন, ‘আমার মৃত্যুর পর যেসব ব্যক্তি আমার স্মরণ সভায় উপস্থিত হবেন তাদের শোক প্রকাশের জন্য কালো বস্ত্র, স্কার্ফ পরিধান করে আসার কোনো দরকার নেই। এসব অর্থহীন ও বিরক্তিকর পোশাক পরে মৃত ডিকেন্সকে শেষ সম্মান জানানোর কোনো অর্থ নেই।’

 

উইলিয়াম শেকসপিয়র

দ্বিতীয় সেরা বিছানাটি আমার স্ত্রী পাবে।

তাকে চেনেন না পৃথিবীতে এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। তিনি আর কেউ নন, নাট্যকার, কবি, অভিনেতা উইলিয়াম শেকসপিয়র। তিনি ইংল্যান্ডের জাতীয় কবি হিসেবেও বেশ পরিচিত। তা ছাড়া বিখ্যাত মানুষটিকে ইংল্যান্ডে ‘বার্ড অফ অ্যাভন’ নামে চেনেন। তিনি ছিলেন একজন ইংরেজি কবি ও ইতিহাসের বিখ্যাত  নাট্যকার। তার রচিত অসংখ্য রচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে ৩৮টি নাটক, ১৫৪টি সনেট, দুটি দীর্ঘ আখ্যান কবিতা এবং আরও কয়েকটি কবিতা। বিখ্যাত এই নাট্যকার জন্মগ্রহণ করেন ১৫৬৪ সালের ২৬ এপ্রিল। শেকসপিয়রের জন্ম ও বেড়ে ওঠা স্ট্যাটফোর্ড অন-অ্যাভনে। মৃত্যুবরণ করেন ১৬১৬ সালের ২৩ এপ্রিল।  মৃত্যুর আগে তার শেষ ইচ্ছেটিকে বেশ অদ্ভুত বলা চলে। ঠিক কী কারণে কে জানে তার মনে অদ্ভুত এক ইচ্ছে জাগল। তিনি তার বিছানাটি স্ত্রীকে দিতে চাইলেন। নিজের ইচ্ছাপত্রে শেকসপিয়র জানান তার ইচ্ছা হচ্ছে  স্ত্রী অ্যানা হ্যাথাওয়ে তার দ্বিতীয় সেরা বিছানাটি পাক। এটা অদ্ভুত মনে হলেও যতটুকু জানা যায়, শেকসপিয়রের খাটটির কারুকাজ ও দামের দিক দিয়ে সেসময়ে বেশ মূল্যবানই ছিল। অবশ্য শেকসপিয়রের কবরের ফলকে লেখা তার শেষ কথাগুলো পড়লে মনে হবে যেন, নিজেকে আর নিজের সেরা বিছানাকে অন্যের হাত থেকে রক্ষা করতে চেয়েছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন অদ্ভুত ইচ্ছাপত্রের নজির আর কোথাও নেই।

 

জন লেনন

আমাকে গুলি করা হয়েছে... এমন ভালোবাসা কার দরকার?

সবাই তাকে জন লেনন নামে চিনলেও তার পুরো নাম জন উইন্সটন ওনো লেনন। তিনি ছিলেন একজন ইংরেজ গীতিকার, গায়ক, সুরকার, চিত্রশিল্পী ও লেখক। মজার ব্যাপার হচ্ছে সাংস্কৃতিক পরিচয়ের বাইরে তিনি বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অনেক কাজ করেছেন। চেষ্টা করেছেন শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য। এখনো পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যান্ড মানা হয় বিটলস কে। সেই বিটলসের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। মানব ধর্মে বিশ্বাসী লেনন ছিলেন একজন আলোকিত মানুষ। মাত্র ৪০ বছর বয়সে, ১৯৮০ সালের ৮ ডিসেম্বর বিটলস সংগীতগোষ্ঠীর এক অন্ধ ভক্তের গুলিতে নিহত হন লেনন। মৃত্যুকালীন তার শেষ কথা ছিল অভিযোগ এবং দাবির মতো, ‘আমাকে গুলি করা হয়েছে... এমন ভালোবাসা কার দরকার?’ তিনি কতটা আতঙ্কিত ছিলেন, তার শেষ বাক্য থেকেই স্পষ্ট।

 

এলিজাবেথ টেইলর

নিজের শেষকৃত্যানুষ্ঠানেও দেরি!

ডেম এলিজাবেথ রোজমন্ড টেইলর ডিবিই বা লিজ টেইলর একজন ইংল্যান্ডে জন্ম নেওয়া ব্রিটিশ-মার্কিন অভিনেত্রী। তিনি তার অভিনয় প্রতিভা ও সৌন্দর্যের জন্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, সেই সঙ্গে তার হলিউড জীবনপদ্ধতির জন্যও। যেমন— অনেকগুলো বিয়ে করা। টেইলরকে হলিউডের স্বর্ণযুগের অন্যতম অভিনেত্রী হিসেবে ধরা হয়। তাকে তাই বলা হয় জীবনের থেকেও বড় তারকা। আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট টেইলরকে তাদের নারী কিংবদন্তি তালিকায় ৭ম স্থানে রেখেছে। তার জন্ম ১৯৩২ সালের ২৭ ফেব্রয়ারি। ২০১১ সালের ২৩ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার শেষকৃত্যানুষ্ঠানে টেইলরের কফিন পৌঁছায় ১৫ মিনিট দেরিতে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো এটি ঘটেছে এলিজাবেথ টেইলরের ইচ্ছেতেই। এমনকি তিনি এও বলে গেছেন যেন কেউ ঘোষণা করেন যে নিজের শেষকৃত্যানুষ্ঠানেও দেরি করে এসেছেন এলিজাবেথ টেইলর!

এই বিভাগের আরও খবর
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
সর্বশেষ খবর
বিশ্বকাপ জিতে পুলিশে চাকরিসহ একাধিক পুরস্কারে ভাসলেন পেলেন রিচা
বিশ্বকাপ জিতে পুলিশে চাকরিসহ একাধিক পুরস্কারে ভাসলেন পেলেন রিচা

২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সিলেটে দেওয়ানী আদালতে মামলা নিষ্পত্তির হার ১০৫ শতাংশ
সিলেটে দেওয়ানী আদালতে মামলা নিষ্পত্তির হার ১০৫ শতাংশ

২৩ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

শেষ মুহূর্তের গোলে টটেনহ্যামের মাঠে হার এড়াল ইউনাইটেড
শেষ মুহূর্তের গোলে টটেনহ্যামের মাঠে হার এড়াল ইউনাইটেড

৩৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জাহানারা ইস্যুতে বিসিবির তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
জাহানারা ইস্যুতে বিসিবির তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

৫১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

আমি আর আমার ছেলে একসঙ্গে বড় হয়েছি: শ্রাবন্তী
আমি আর আমার ছেলে একসঙ্গে বড় হয়েছি: শ্রাবন্তী

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আগামী নির্বাচন হবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ফ্যাসিস্ট নির্মূলের: মিনু
আগামী নির্বাচন হবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ফ্যাসিস্ট নির্মূলের: মিনু

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় চব্বিশের শহীদ পরিবারের সদস্যদের
বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় চব্বিশের শহীদ পরিবারের সদস্যদের

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাটডাউন মার্কিন অর্থনীতিতে ‘প্রত্যাশার চেয়েও মারাত্মক’ প্রভাব ফেলছে: কেভিন হ্যাসেট
শাটডাউন মার্কিন অর্থনীতিতে ‘প্রত্যাশার চেয়েও মারাত্মক’ প্রভাব ফেলছে: কেভিন হ্যাসেট

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুরাদনগরে বিএনপির জনসভায় ঐক্যের আহ্বান
মুরাদনগরে বিএনপির জনসভায় ঐক্যের আহ্বান

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২৫৮০ মামলা
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২৫৮০ মামলা

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নিউইয়র্কে বিএনপির সমাবেশ
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নিউইয়র্কে বিএনপির সমাবেশ

২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

শেরপুরে বিতর্ক প্রতিযোগিতা
শেরপুরে বিতর্ক প্রতিযোগিতা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বান্দরবানে মদসহ আটক ২
বান্দরবানে মদসহ আটক ২

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচনের আগে সংস্কার ও গণভোট ইস্যুতে ঝামেলা হতে পারে: সেলিমা রহমান
নির্বাচনের আগে সংস্কার ও গণভোট ইস্যুতে ঝামেলা হতে পারে: সেলিমা রহমান

২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

৩৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে সিরিজ হারল দক্ষিণ আফ্রিকা
৩৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে সিরিজ হারল দক্ষিণ আফ্রিকা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শহীদ জিয়া বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ক: ডা. পাভেল
শহীদ জিয়া বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ক: ডা. পাভেল

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওয়ার্ল্ড আর্চারি এশিয়ার সভাপতি হলেন বাংলাদেশের চপল
ওয়ার্ল্ড আর্চারি এশিয়ার সভাপতি হলেন বাংলাদেশের চপল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তারুণ্যনির্ভর নতুন বাংলাদেশ গড়তে এখনই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার সময় : নবীউল্লাহ নবী
তারুণ্যনির্ভর নতুন বাংলাদেশ গড়তে এখনই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার সময় : নবীউল্লাহ নবী

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সমালোচনার মাঝেই শেষ হলো গামিনির বাংলাদেশ অধ্যায়
সমালোচনার মাঝেই শেষ হলো গামিনির বাংলাদেশ অধ্যায়

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অতিরিক্ত গাছপালা নয়, সীমিত সবুজ পরিবেশেই বেশি শান্তি : গবেষণা
অতিরিক্ত গাছপালা নয়, সীমিত সবুজ পরিবেশেই বেশি শান্তি : গবেষণা

৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে
অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ত্বকী হত্যায় জড়িত শামীম-অয়ন-আজমেরী-নিজাম: রফিউর রাব্বী
ত্বকী হত্যায় জড়িত শামীম-অয়ন-আজমেরী-নিজাম: রফিউর রাব্বী

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গিয়াসউদ্দিনকে মিষ্টিমুখ করালেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আজহারুল
গিয়াসউদ্দিনকে মিষ্টিমুখ করালেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আজহারুল

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়া আরডিএ’র নিয়োগ জালিয়াতি, জড়িতদের তথ্য পেয়েছে পুলিশ
বগুড়া আরডিএ’র নিয়োগ জালিয়াতি, জড়িতদের তথ্য পেয়েছে পুলিশ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চিরকুট লিখে রেখে যাওয়া সেই নবজাতককে নিতে ২০০ আবেদন
চিরকুট লিখে রেখে যাওয়া সেই নবজাতককে নিতে ২০০ আবেদন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এখন দেশে জনগণের নির্বাচিত সরকার জরুরি: মিলন
এখন দেশে জনগণের নির্বাচিত সরকার জরুরি: মিলন

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্রের ডিটেনশন সেন্টার থেকে মুক্তি পেলেন মাসুমা খান
যুক্তরাষ্ট্রের ডিটেনশন সেন্টার থেকে মুক্তি পেলেন মাসুমা খান

৩ ঘণ্টা আগে | পরবাস

জামায়াতের সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না: হেফাজত আমির
জামায়াতের সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না: হেফাজত আমির

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বরিশালে হাঁটু না কেটে লিগামেন্ট ইনজুরির চিকিৎসা
বরিশালে হাঁটু না কেটে লিগামেন্ট ইনজুরির চিকিৎসা

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের
আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!
ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন
দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জামায়াতের সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না: হেফাজত আমির
জামায়াতের সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না: হেফাজত আমির

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা
ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনির্দিষ্টকালের জন্য পাঠদান বন্ধের ঘোষণা শিক্ষকদের
অনির্দিষ্টকালের জন্য পাঠদান বন্ধের ঘোষণা শিক্ষকদের

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডায়াবেটিস-হৃদ্‌রোগীদের জন্য দুঃসংবাদ, বন্ধ হতে পারে মার্কিন ভিসা
ডায়াবেটিস-হৃদ্‌রোগীদের জন্য দুঃসংবাদ, বন্ধ হতে পারে মার্কিন ভিসা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাত্র দুই দিনেই ম্লান হলো ট্রাম্পের একচ্ছত্র ক্ষমতা!
মাত্র দুই দিনেই ম্লান হলো ট্রাম্পের একচ্ছত্র ক্ষমতা!

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষকদের আন্দোলনে পড়াশোনার ক্ষতি হলে কঠোর ব্যবস্থা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা
শিক্ষকদের আন্দোলনে পড়াশোনার ক্ষতি হলে কঠোর ব্যবস্থা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত উত্তেজনা চায় না: রাজনাথ সিং
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত উত্তেজনা চায় না: রাজনাথ সিং

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীর টিটিপাড়া ৬ লেনের রেলওয়ে আন্ডারপাস উদ্বোধন
রাজধানীর টিটিপাড়া ৬ লেনের রেলওয়ে আন্ডারপাস উদ্বোধন

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতি ৪৫০০ কোটি টাকা
শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতি ৪৫০০ কোটি টাকা

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

চার লাখ যথেষ্ট নয়, শামির কাছে ভরণপোষণ বাবদ ১০ লাখ দাবি হাসিনের
চার লাখ যথেষ্ট নয়, শামির কাছে ভরণপোষণ বাবদ ১০ লাখ দাবি হাসিনের

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যোগ্য প্রার্থী দলের মনোনয়ন পাবেন: রুমিন ফারহানা
যোগ্য প্রার্থী দলের মনোনয়ন পাবেন: রুমিন ফারহানা

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এশিয়া কাপ ট্রফি বিতর্ক, যে পদক্ষেপ নিল আইসিসি
এশিয়া কাপ ট্রফি বিতর্ক, যে পদক্ষেপ নিল আইসিসি

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মানিকগঞ্জে অবশেষে ধরা পড়লো বিশাল আকৃতির সেই কুমির
মানিকগঞ্জে অবশেষে ধরা পড়লো বিশাল আকৃতির সেই কুমির

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের বিশ্বকাপে খেলার ইঙ্গিত দিলেন মেসি!
ফের বিশ্বকাপে খেলার ইঙ্গিত দিলেন মেসি!

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রামগতিতে এক ইলিশ ১০ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি
রামগতিতে এক ইলিশ ১০ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি শিপিং চালু করল পাকিস্তান ও বাংলাদেশ
করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি শিপিং চালু করল পাকিস্তান ও বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জটিলতায় স্থবির জাইকা ঋণের ৫ মেগাপ্রকল্প
জটিলতায় স্থবির জাইকা ঋণের ৫ মেগাপ্রকল্প

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পপি সিড বা পোস্ত দানা কী, আইন কী বলে?
পপি সিড বা পোস্ত দানা কী, আইন কী বলে?

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে
অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিচারক সভ্যতার শিকড় না বুঝে আইনের ব্যাখ্যা দিতে পারেন না : প্রধান বিচারপতি
বিচারক সভ্যতার শিকড় না বুঝে আইনের ব্যাখ্যা দিতে পারেন না : প্রধান বিচারপতি

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডিসেম্বরের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে : সালাহউদ্দিন
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে : সালাহউদ্দিন

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যেভাবে বুঝব আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করেছেন
যেভাবে বুঝব আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করেছেন

১৬ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম সব উপজেলায় পাঠানোর নির্দেশ
সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম সব উপজেলায় পাঠানোর নির্দেশ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দাবি না মানলে ১১ নভেম্বর কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবে আট দল
দাবি না মানলে ১১ নভেম্বর কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবে আট দল

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইরানে প্রাচীন বিজয়ের স্মৃতিস্তম্ভ উন্মোচন, শত্রুর প্রতি সতর্কবার্তা
ইরানে প্রাচীন বিজয়ের স্মৃতিস্তম্ভ উন্মোচন, শত্রুর প্রতি সতর্কবার্তা

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

১৫ নভেম্বর থেকে নতুন পোশাকে পুলিশ
১৫ নভেম্বর থেকে নতুন পোশাকে পুলিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে ব্যাংক লুটেরা
ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে ব্যাংক লুটেরা

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক সিটির কাউন্সিলর বাংলাদেশি সোহেল
যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক সিটির কাউন্সিলর বাংলাদেশি সোহেল

পেছনের পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই হতে হবে তফসিল
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই হতে হবে তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনা চায় না ভারত
বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনা চায় না ভারত

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে কথা বললেন না আসিফ নজরুল
নির্বাচন নিয়ে কথা বললেন না আসিফ নজরুল

পেছনের পৃষ্ঠা

লাইনচ্যুত বগি রেখে চলে গেল ট্রেন
লাইনচ্যুত বগি রেখে চলে গেল ট্রেন

পেছনের পৃষ্ঠা

নারীর ক্ষমতায়ন প্রশ্নে দলগুলো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে
নারীর ক্ষমতায়ন প্রশ্নে দলগুলো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে

পেছনের পৃষ্ঠা

সেনাবাহিনীই শেষ ভরসা
সেনাবাহিনীই শেষ ভরসা

প্রথম পৃষ্ঠা

রপ্তানি ধরে রাখতে আসছে লজিস্টিক সুবিধা
রপ্তানি ধরে রাখতে আসছে লজিস্টিক সুবিধা

পেছনের পৃষ্ঠা

জুলাই আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় ২০ বাধা
জুলাই আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় ২০ বাধা

পেছনের পৃষ্ঠা

জেলে বসেই হত্যার নির্দেশ
জেলে বসেই হত্যার নির্দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ওয়ানগালায় মেতেছেন শিল্পীরা
ওয়ানগালায় মেতেছেন শিল্পীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

অনশনের ১০০ ঘণ্টা পূর্ণ, নিবন্ধন ছাড়া উঠবেন না তারেক
অনশনের ১০০ ঘণ্টা পূর্ণ, নিবন্ধন ছাড়া উঠবেন না তারেক

পেছনের পৃষ্ঠা

বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে জনগণই প্রতিরোধ করবে
বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে জনগণই প্রতিরোধ করবে

খবর

শ্রমিকদের মানববন্ধন প্রেস ক্লাবের সামনে
শ্রমিকদের মানববন্ধন প্রেস ক্লাবের সামনে

পেছনের পৃষ্ঠা

সাঁড়াশি অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী
সাঁড়াশি অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী

পেছনের পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে আটকাবস্থা থেকে মুক্তি বাংলাদেশি মাসুমা খানের
যুক্তরাষ্ট্রে আটকাবস্থা থেকে মুক্তি বাংলাদেশি মাসুমা খানের

পেছনের পৃষ্ঠা

র‌্যাব পরিচয়ে ব্যবসায়ীর ২৫ লাখ টাকা ছিনতাই
র‌্যাব পরিচয়ে ব্যবসায়ীর ২৫ লাখ টাকা ছিনতাই

পেছনের পৃষ্ঠা

কাকরাইলে চার্চের ফটকে ককটেল নিক্ষেপ
কাকরাইলে চার্চের ফটকে ককটেল নিক্ষেপ

খবর

শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ জলকামান
শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ জলকামান

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়া যাবে না
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়া যাবে না

পেছনের পৃষ্ঠা

অবশেষে চালু টিটিপাড়া ছয় লেন আন্ডারপাস
অবশেষে চালু টিটিপাড়া ছয় লেন আন্ডারপাস

পেছনের পৃষ্ঠা

১৫ জনের মনোনয়ন চায় শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট
১৫ জনের মনোনয়ন চায় শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচন বিলম্বিত করে ক্ষমতার স্বাদ নিতে চায় কয়েকটি দল
নির্বাচন বিলম্বিত করে ক্ষমতার স্বাদ নিতে চায় কয়েকটি দল

নগর জীবন

নতুন ১৬টি নিয়ে দাবি আপত্তি চেয়েছে ইসি
নতুন ১৬টি নিয়ে দাবি আপত্তি চেয়েছে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

গাঁজা বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় খুন হন সাম্য
গাঁজা বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় খুন হন সাম্য

পেছনের পৃষ্ঠা

স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বরিশালে বিক্ষোভ
স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বরিশালে বিক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজনীতি স্থিতিশীল থাকলে অর্থনীতি আরও ভালোভাবে চলবে
রাজনীতি স্থিতিশীল থাকলে অর্থনীতি আরও ভালোভাবে চলবে

পেছনের পৃষ্ঠা