শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ আপডেট:

ধারাবাহিক উপন্যাস

অটোমান সূর্য সুলতান সুলেমান

পর্ব ২৮
রণক ইকরাম
প্রিন্ট ভার্সন
অটোমান সূর্য সুলতান সুলেমান

মুসলিম শাসকদের মধ্যে যেমন শীর্ষে, তেমনি পৃথিবীর ইতিহাসেও অন্যতম সেরা শাসক তিনি। সুলতান সুলেমান খান। অটোমান বা উসমানীয় সাম্রাজ্যের সুলতান। সুলতান সুলেমানকে নিয়ে অনেক গল্প লেখা হয়েছে। নির্মিত হয়েছে আলোচিত-সমালোচিত টিভি সিরিয়াল মুহতাশিম ইউজিয়েল। আমাদের এ উপন্যাসের ভিত্তি সেই টিভি সিরিজ বা উপন্যাস নয়। মূলত ইতিহাসের নানা বইপত্র ঘেঁটে সুলতান সুলেমানের আমলটি তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিহাসাশ্রয়ী এ উপন্যাসের মূল ভিত্তি অটোমানদের ইতিহাস। বাকিটুকু লেখকের কল্পনা। এই বইমেলার শেষ সপ্তাহে অন্বেষা প্রকাশনা থেকে বাজারে আসবে পুরো উপন্যাসটি। রকমারির প্রতি শনিবারের এ বিশেষ আয়োজনে আজ ছাপা হলো ২৮তম পর্ব।

 

[পূর্ব প্রকাশের পর]

 

বাবার সঙ্গে খেলছে শাহজাদা মুস্তফা। অনেক দিন বাবাকে পায়নি। আজ যেন পুরোটাই পুষিয়ে নিচ্ছে। ‘আনন্দ যা করার এখনই করে নাও বেটা। কারণ এরপর আর সুযোগ মিলবে না। অটোমানদের পরবর্তী ত্রাতা তোমাকেই হতে হবে।’ ছেলের সঙ্গে খেলতে খেলতে মনে মনে বললেন সুলতান।

কিছুক্ষণ বাদেই হেতিজা সুলতান এলেন মুস্তফাকে নিতে। ওর মক্তবের সময় হয়ে গেছে। মুস্তফার বয়স এখন সাড়ে নয় বছর। এর মধ্যেই সে কোরআন তেলাওয়াত, গণিত এবং বর্শা নিক্ষেপে বেশ দক্ষ হয়ে উঠেছে। শুধু তাই নয় খেলাধুলায়ও সে অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি পারঙ্গম। ভালো করে স্নেহের দৃষ্টিতে মুস্তফার দিকে তাকালেন সুলেমান। অবিরাম লাফাচ্ছে সে। মুস্তফার মাথার চুল অবিকল তার মায়ের মতো উজ্জ্বল। আচার-আচরণেও অনেকটাই মায়ের মতো। খুব একটা বাপঘেঁষা নয়। তবে কাছে পেলে বাবাকে ছাড়তে চায় না সেও। নিজের সন্তান সুলেমানের মতো দেখতে হয়নি। এ নিয়ে সুলতানের মনে গোপন একটা আফসোস আছে। তবে সেই আফসোসটা তিনি ছাড়া আর কেউ জানে না! কিন্তু কিছু করার নেই। এটাই যে এখানকার নিয়ম!

 

টিউলিপ বাগানের দিকে একা একাই হাঁটছিলেন সুলতান সুলেমান খান।  গ্রীষ্ম বুঝি এসেই পড়ল। বছরের এই সময়টাতে তুর্কীরা সাধারণত যুদ্ধে ব্যস্ত থাকে। সুলতান সেলিম খান থাকাকালে প্রতি বছর এই সময়েই অভিযানে যাওয়া হতো। তবে এবারের হিসাবটা একটু ভিন্ন। সবেমাত্র সফল অভিযান থেকে ফিরেছে ওরা। তা ছাড়া এবারের যুদ্ধযাত্রা একটু বেশিই লম্বা হয়ে গেছে। তাই সুলতান বলে দিয়েছেন এ বছর আর কোনো যুদ্ধ নয়। কিন্তু ক’দিন বাদেই শিকারে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যেই শিকারের প্রস্তুতিও গ্রহণ করেছেন। ইব্রাহিম আর মাতরাকচিকে সঙ্গে নিয়ে মাঠের ভিতর তীর ধনুক আর বর্শা চালানোর অনুশীলন করেন। প্রস্তুতির সুবিধার জন্য মাঠের ভিতর কিছু মূর্তি বসানো হয়েছে। এই মূর্তিগুলো বেলগ্রেড থেকে নিয়ে আসা মালামালের সঙ্গে ছিল। সবই গ্রীক দেবদেবীদের। এগুলোকে লক্ষ্য হিসেবে ব্যবহার করতে অন্যরকম লাগে সুলেমানের। এই অভিনব ধারণাটা অবশ্য এসেছে পারগালি ইব্রাহিমের মাথা থেকে। নিজের ছোঁড়া বর্শায় যখন জিউসের মূর্তি দুই ভাগ হয়ে গড়াগড়ি খায় সেটা আনন্দ লাগার মতো বিষয় বৈকি!

আয়শা হাফসা সুলতান প্রাসাদের বরান্দায় বসেছিলেন। দূর থেকে মাকে দেখতে পেয়ে সেদিকে এগিয়ে গেলেন সুলতান। মায়ের হাতে চুমু খেয়ে হাতটা নিজের কপালে ঠেকালেন।

‘আল্লাহ তোমায় অনেক অনেক বছর বাঁচিয়ে রাখুক।’

‘কেমন আছো, আম্মা?’

‘আছি। বুড়ো হয়ে যাচ্ছি না। এখন কী আর ভালো থাকা যায়? দিন যত যাবে ততই খারাপ থাকতে হবে।’

‘কী যে বল না আম্মা। কে বলেছে তুমি বুড়ো হয়ে যাচ্ছো? কী এমন বয়স হয়েছে তোমার?’

‘বয়স হয়নি? বলছিস কিরে! আমার নাতি বড় হয়ে যাচ্ছে! কদিন বাদে ওরই বিয়ে হবে!’

হাসতে হাসতে বললেন আয়শা।

একজন দাসী এসে কয়েকটা ফলের বাটি, শরবত এবং গোলাপজল দিয়ে গেল।

‘আমার সুলতানের কী খবর শুনি। রোডস তো জয় করা হলো। এবার কী? মাথায় কোনো পরিকল্পনা আছে?’

‘জান তো আমি বলে দিয়েছি এ বছর আর কোনো যুদ্ধ হবে না। অনেক সৈন্য হারিয়েছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণটা কম নয়। রাজকোষের অবস্থা যদিও খারাপ নয়, তবু সব গুছিয়ে নেওয়ার জন্য একটু সময় দরকার।’

‘এটা তুই মন্দ বলিসনি। সবকিছুর পেছনেই দরকার শক্ত পরিকল্পনা। নইলে কোনো কাজেই সাফল্য আসে না।’

‘ঠিক বলেছো আম্মা। তবে আরেকটা বিষয় আছে।’

‘সেটা কী?’

‘না থাক।’

সুলতান থেমে গেলেন।

‘অস্বস্তি কেন? মায়ের কাছে কোনো দ্বিধা রাখতে নাইরে বাপ বলে ফেল।’

‘আসলে এখনই আরেকটা অভিযানের চিন্তা আমাকে অসুস্থ করে দিচ্ছে।’

সুলতানের কণ্ঠে দীর্ঘশ্বাস।

‘এখনই কেন হবে? সময় নে। তবে একটা কথা ভুলে গেলে চলবে না যে সুলতান ইসলামের পতাকা বইতে চায় না, সৈন্যরাও কিন্তু তাকে সুলতান হিসেবে চাইবে না। এটাই অটোমানদের সবচেয়ে বড় ঐশ্বর্য।’

শরবতের গ্লাসে চুমুক দিতে দিতে বললেন আয়শা।

‘আমি সেটা জানি আম্মা। আমি কিন্তু পতাকার জন্য জীবনও দিতে পারি। যুদ্ধ তো কোনো বিষয়ই না।’

‘তোর প্রতি সে বিশ্বাস আমার আছে।’

‘তুমি শুধু দোয়া করো।’

‘তাতো বটেই। আরেকটা কথা বাবা।’

‘বল আম্মা।’

‘আমি ভাবছি একটু মানিসা থেকে ঘুরে আসব। এখানে আর ভালো লাগছে না।’

‘কেন আম্মা? কোনো সমস্যা?’

‘না। সমস্যা হবে কেন? এমনি। তুই ছিলি না অনেক দিন। তাই চিন্তায় ছিলাম। এখন তুই ফিরেছিস। আমি নিশ্চিন্ত আছি। ভাবলাম বেড়িয়ে আসলে মন্দ হয় না।’

‘তাহলে আমি শিকার থেকে ফিরলে ঘুরে এসো। ’

‘আচ্ছা। ফল নে।’

পুত্রের দিকে ফলের বাটি এগিয়ে দিয়ে বললেন আয়শা। মায়ের কথা রাখলেন সুলতান। দুটো আঙুর মুখে পুরলেন তিনি।

‘আরেকটা কথা তোকে বলব বলব করেও বলা হয়নি।’

‘কোন কথা?’

‘হেতিজার কথা।’

‘কেন? হেতিজার আবার কী হলো?’

‘কিছু হয়নি। বয়স হয়ে যাচ্ছে না ওর? অল্প বয়সে বিধবা হয়েছে। ওর দিকে তাকানোই যায় না। এভাবে আর কতদিন?’

‘তাই তো। ওর বিয়ের ব্যাপারটা তো আমার মাথায়ই আসেনি। তুমি কী ওর বিয়ের কথা বলছো?’

‘এছাড়া আর কী বলব?’

‘ওর সঙ্গে কথা বলেছো? ওর কী মতামত?’

‘ও আবার কী বলবে? আমি ওর মা। আমি কী ওর কষ্টটা বুঝি না? আজকাল কেমন যেন মন খারাপ করে থাকে। উদাস উদাস। এসব দেখলে কী আর ভালো লাগে। তা ছাড়া ওকে নিয়ে তো আমাদেরই ভাবা উচিত তাই না?’

‘তা অবশ্য ঠিক। ’

‘তোমার ভাবনায় কী তেমন কেউ আছে নাকি?’

‘নাহ। সেরকম কেউ নেই। তবে খুঁজতে হবে।’

‘ঠিক আছে তাহলে আমি খোঁজ করব। তুমিও কিছু পেলে আমাকে জানাবে।’

‘তাড়াতাড়ি করতে হবে কিন্তু।’

‘আচ্ছা সমস্যা নেই।’

 

হুররেম খাতুনের স্বপ্ন আর বাধা মানে না। এত বড় ঘর এত সুযোগ-সুবিধা তার ওপর আবার শাহজাদার মা হচ্ছেন— সব যেন স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। সেই স্বপ্নে আরেকটু রং ছড়ানোর জন্যই বুঝি হুররেমের ঘরে উঁকি দিলেন হেতিজা সুলতান। হুররেমকে দেখতে এসেছেন তিনি। হুররেম ছুটে এসে কুর্নিশ করতে চাইল হেতিজাকে। হেতিজা হাত ধরে মানা করলেন। হুররেমকে বিছানায় বসালেন।

‘কেমন আছো?’

‘জি। ভালো।’

হুররেমের পেটের কাছে হাত রাখলেন হেতিজা। মুচকি হেসে বললেন—

‘ভিতরের মানুষটার কী খবর?’

‘আর বল না..’

‘কেন কী হয়েছে?’

‘ভীষণ রকম দুষ্টু হবে। সারাক্ষণ শুধু লাথি মারে।’

‘তাই নাকি!’

হাসতে হাসতে বলল হেতিজা।

কিছুক্ষণ গল্প করার পর হাতের মুঠো থেকে একটা তাবিজ  বের করল সে। তারপর সেটা হুররেমের হাতে দিল।

‘এটা নাও। এটা খুব পবিত্র জিনিস। এটা সঙ্গে রাখলে তোমার ওপর কারও নজর লাগবে না।’

খুশিতে চোখ চকচক করে উঠল হুররেমের। খুশি হওয়ার কারণ দুটি। প্রথমত সুলতানের বোন তাকে দেখতে এসেছে। আবার সেই সঙ্গে তার সুবিধা অসুবিধার কথা ভেবে তাবিজও নিয়ে এসেছে। হেতিজার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করল হুররেম।

‘অনেক ধন্যবাদ। এটা আমি সব সময় নিজের কাছে রাখব।’

‘তাই করো। আর তা ছাড়া মা তোমার জন্য পাহারা সুযোগ সুবিধা সবই দ্বিগুণ করে দিয়েছেন।’

‘আমি তার কাছেও কৃতজ্ঞ সুলতানা। তাকেও ধন্যবাদ জানাবেন।’

‘নিশ্চয়ই। নিজের দিকে খেয়াল রেখো।’

‘দোয়া করবেন আমার জন্য।’

 

আজ রাতে পারগালির সঙ্গে খাবার খেতে বসেছেন সুলতান। হ্যাডক, চিংড়ি এবং আরেক রকম সামুদ্রিক মাছ রান্না হয়েছে। সকালেই বসফরাস থেকে ধরা হয়েছে এগুলো। বেশ তৃপ্তি ভরে খেলেন দুজনেই। এরপর এলো হোসাফ। সঙ্গে সাইপ্রাস ওয়াইন। সুলতানের মদের অভ্যাস নেই। তবে মাঝে মাঝে পান করার ক্ষেত্রে উত্তেজনা অনুভব করেন। এর বাইরে তার জীবনে খুব বেশি বৈচিত্র্য নিয়ে। একেবারে ঘড়ি ধরে নিয়ম মেনে চলে জীবন। কখনো কখনো সবকিছু খুব একঘেয়ে লাগে তার। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে এভাবেই চলে এসেছে সুলতানদের জীবন।

 

খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠার আগেই তৈরি থাকেন একজন নাপিত। নাপিতের কাছ থেকে মাথা কামানোর পর গোসল। তারপর পোশাক বিভাগের প্রধান পোশাক নিয়ে হাজির হন। সব পোশাকে থাকে ঘৃতকুমারী গাছের সুবাস। তারপর মাথায় বেঁধে দেওয়া হয় পাগড়ি। সপ্তাহের পাঁচ দিন তিনি সকালে উঠে তার রাজপরিষদের সঙ্গে ফজরের নামাজ আদায় করেন। শক্রবার তিনি হায়া সাফিয়া মসজিদে প্রধান উজিরের ইমামতিতে রাজপ্রাসাদের সবাইকে নিয়ে জুমার নামাজ পড়েন। প্রতিদিন বিকালের দিকে একটু বিশ্রাম নেন। তবে ব্যস্ততা থাকলে ঘুমের সময় থাকে না। কিন্তু অটোমান রাজপ্রাসাদের রীতি অনুসারে সুলতান ক্লান্ত হন বা না হন, তাকে ঘুমাতেই হয়। শুধু তাই নয়, সুলতান যেন নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারেন এজন্য ছয়-সাত জন বোবাকালা রক্ষী সব সময় তাকে পাহারা দেয়।

 

বিশেষ কোনো আয়োজন হলেই সুলতানের সঙ্গী হন পারগালি ইব্রাহিম। এটা নতুন কিছু নয়। সেই ছোটবেলা থেকেই যেন সুলেমানের জীবনে এ এক অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। রোডস অভিযানের সময় তারা একই  তাঁবুতে ঘুমিয়েছেন। নাওয়া-খাওয়া সব একসঙ্গেই সেরেছেন। এমনকি একে অন্যের কাপড়-চোপড় পর্যন্ত ব্যবহার করেছেন। এ নিয়ে রাজপরিষদের অনেকেই দারুণ ঈর্ষাপরায়ণ হয়ে ওঠে। এমনিতেই খাস কামরা প্রধান হওয়ার পর সবাই বলেছিল একজন ক্রীতদাসকে কেন এ দায়িত্ব দেওয়া হবে। তেমনি যুদ্ধের সময়ও ক্রীতদাসের সঙ্গে প্রকাশ্যে সুলতানের এমন ওঠাবসা সহজভাবে নিতে পারেনি অনেকেই। কিন্তু কিছু করার নেই। ইব্রাহিম সুলতানের বন্ধু। স্ত্রী, মা এমনকি উজিরের সঙ্গে যে বিষয়টা নিয়ে সুলতান আলাপ করতে পারেন না বা করেন না, ইব্রাহিমের সঙ্গে সেটাও বলে ফেলেন নিমিষে। রাজ্য পরিচালনার এই সময়ে এসে সুলতান ইব্রাহিমের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। অনেক ক্ষেত্রে পীরে মেহমুদ পাশার চেয়েও ইব্রাহিমের পরামর্শ বেশি নেন সুলতান। এই একটা জায়গায় অটোমানদের আলাদা খ্যাতি আছে। একজন খ্রিস্টান দাস নিজের মেধা দিয়ে আর আত্মবিশ্বাস দিয়ে ইসলামিক সাম্রাজ্যের এত উপরে উঠে আসতে পারে। বিজয়ী ফাতিহ  বলেছিলেন ‘অটোমান সাম্রাজ্য হলো একটা বাতির মতো। যেখানে পিতা থেকে পুত্রের দায়িত্ব হলো পৌত্তলিকদের অন্তরে ইসলামের আলো জ্বালানো।’

 

সুলতান আর ইব্রাহিম নিবিষ্ট মনে সাইপ্রাসের তরল উপভোগ করছে। ইব্রাহিমের জন্য ভায়েলিন আনা হয়েছে। দুর্দান্ত বাজায় ইব্রাহিম। আরেক চুমুক দিতে দিতে সুলতান বললেন—

‘খাওয়াটা কেমন হলো ইব্রাহিম? তোমার কী ভালো লাগেনি?’

‘না। তা কেন হবে। আমি দারুণ উপভোগ করেছি। আর অনেক দিন পর এটাও ভাল্লাগছে।’

সুরার পাত্রটা উঁচিয়ে সুলতানকে দেখালেন ইব্রাহিম।

‘হুমম। আচ্ছা ইব্রাহিম, তোমার কখনো আফসোস হয় না?’

‘কেন বলুনতো জাঁহাপনা?’

‘এই যে সব ছেড়েছুড়ে এখানে পড়ে আছো। আত্মীয়স্বজন-রক্ত কারো কোনো খোঁজ নেই।’

‘তা হবে কেন জাঁহাপনা। আপনি এবং আপনারাই তো আমার সব। আজকের রাতের কথাই ধরুন না। এত ভালো ভোজ, এত ভালো মদ। আফসোসের কী আছে? আর আপনার এমন ভালোবাসা ক’জনের ভাগ্যে জুটেছে? আমি তো এক প্রকার মহাসৌভাগ্যবান মানুষ। বাইরের একজন হয়েও আপনার খাস কামরা প্রধান হতে পেরেছি।’

‘কিন্তু কখনো তোমার অন্য কিছু হতে ইচ্ছে করেনি। মনে হয়নি ডাকাতদের কবলে না পড়লে তোমার জীবন কোথায় যেত? কী করতে তখন?’

‘আসলে আমি জানি না কেমন হতো। কারণ এসব ভাবার আগেই তো পাল্টে গেছে আমার জীবন।’

‘ছোটোবেলার কথা মনে নেই কিছু?’

‘আছে তো। অনেক কিছুই মনে আছে। সকাল, দুপুর, বিকাল, রাত সারাবেলা মাছ খেতাম। বাবা মাছ ধরতেন। সঙ্গে আমি আর আমার ভাইও। বাবার সঙ্গে সমুদ্রে যেতাম। আবার সঙ্গেই সৈকতে বসে জাল বুনায় সহযোগিতা করতাম।’

‘খুব মজার ছিল তাই না?’

‘হয়তো। হয়তো আমি এখনও সেখানেই থেকে যেতাম। মাছ ধরতাম আর জাল বুনতাম। এখানে বরং ভালোই আছি। রাজকীয় হালে। সুলেমানের এত কাছাকাছি।’

একটা দীর্ঘশ্বাস অনুভব করল ইব্রাহিম। কিন্তু সেটি বেরুতে দিলেন না। আরেকটু পানীয় গিলে ফেললেন ঢোক করে।

‘কেন তোমার মনে হয় না যে জীবনটা আরও সাধারণ হলে ভালো হতো। এত নিয়ম, এত দায়িত্ব, রাজসভা, বিরক্তি আসে না।’

‘না।’

‘জীবনটা সাধারণ হলে কেমন হতো?

‘হয়তো অনেক বেশি মূল্যহীনও হতো।’

‘তার মানে কী বলতে চাও। এইসব যুদ্ধবিগ্রহ, রাজনীতি, খুনোখুনি এসব তোমার ভালো লাগে।’

‘হুজুর, ভালো লাগে সেটাও কিন্তু বলিনি। কিন্তু আপনার পাশে থাকতে ভালো লাগে। আপনার পাশে থেকে ইতিহাসের অংশ হতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে।’

‘বাবা-মা’র কথা মনে পড়ে না।’

‘পড়ে। কিন্তু খুব বেশি না।’

‘এটা বাজাবে না?’

‘বাজাব।’

‘হুমম বাজাও।’

‘এখনই?’

‘হুমম।’

ইব্রাহিম ভায়োলিন বাজাতে শুরু করে। চারদিকে সুনসান নীরবতা। অনেক দূর পর্যন্ত চলে যাচ্ছে ভায়োলিনের সুর। হঠাৎ করেই ইব্রাহিমকে থামিয়ে দিলেন সুলেমান।

‘একটু থামো ইব্রাহিম! একটু!’

সুলতানের নেশাতুর কণ্ঠ যেন জড়িয়ে আসছে।

‘আপনার কী খারাপ লাগছে সুলতান।’

‘উহু উহু। আমি ঠিক আছি। তোমাকে একটা কথা বলতে চাই।’

‘কী কথা?’

‘তুমি কী আমার বোন হেতিজা সুলতানকে চেন?’

‘চিনি তো। ছোটবেলা থেকেই দেখেছি উনাকে।’

‘এ কয়দিনের মধ্যে দেখোনি।’

‘মাফ করবেন হুজুর। উনি সুলতানা। ওভাবে দেখিনি। কখনো দেখা হলেও কুর্নিশ করে কেটে পড়েছি। তা হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন?’

‘আছে।’

‘বলুন না।’

‘ওর একটা বিয়ে হয়েছিল জানো তুমি?’

‘জানি জাঁহাপনা।’

‘এত অল্প বয়সে বোন আমার বিধবা হয়ে গেছে। ওর দিকে তাকানো যাচ্ছে না। ওর একটা বিয়ে দেওয়া দরকার। সেজন্য আমি বিশ্বস্ত কাউকে খুঁজছি।’

এবার ইব্রাহিমের কাছে পরিষ্কার হলো ঠিক কী কারণে হেতিজার কথা জিজ্ঞেস করেছেন সুলতান। তাহলে কী সুলতান তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে চাচ্ছেন। ভাবতে গিয়ে চমকে উঠল ইব্রাহিম। এটা কেমন কথা? সামান্য দাস হবে রাজকন্যার পতি। নিজের ভাবনার লাগাম টানলেন ইব্রাহিম।

‘হুজুর কী কাউকে পেয়েছেন?’

‘না এখনো পাইনি। তোমার ভাবনায় কেউ আছে?’

‘সে রকম কাউকে তো দেখছি না। তবে আপনি বললে খোঁজ লাগাব।’

‘না। খোঁজ লাগাতে হবে না। আমার কাছে খোঁজ আছে। কিন্তু সে রাজি হয় কিনা ভাবছি।’

‘কী বলছেন আপনি হুজুর। হেতিজা সুলতানের সম্বন্ধকে কে অস্বীকার করবে। তিনি রূপে গুণে অনন্যা। সুবিশাল অটোমান সাম্রাজ্যের শাহজাদী তিনি। তার সঙ্গে সম্পর্ক করতে কে না চাইবে?’

‘তুমি বলছো ইব্রাহিম?

‘জি হুজুর।’

‘নিশ্চিত তো’

‘আলবৎ।’

‘তাহলে তুমি রাজি?’

সহজভাবে তাকিয়ে আছেন সুলেমান। ইব্রাহিমের হাত থেকে পড়ে গেছে ভায়োলিন। সুলতান কী বলছেন!

 

পরবর্তী পর্ব আগামী শনিবার

এই বিভাগের আরও খবর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার
কী আছে ১০ দফা ইশতেহারে
কী আছে ১০ দফা ইশতেহারে
আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদের ৬৫ প্রতিশ্রুতি
আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদের ৬৫ প্রতিশ্রুতি
দখল-দূষণে বিপর্যস্ত শতবর্ষী দিঘি
দখল-দূষণে বিপর্যস্ত শতবর্ষী দিঘি
প্রজাদের সুপেয় পানির জন্য যার জন্ম
প্রজাদের সুপেয় পানির জন্য যার জন্ম
মসলিন সুতোর স্মৃতি মিশে আছে যেখানে
মসলিন সুতোর স্মৃতি মিশে আছে যেখানে
ভাওয়াল রাজার দিঘি
ভাওয়াল রাজার দিঘি
সর্বশেষ খবর
বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য জবির বিশেষ পরিবহন সেবা
বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য জবির বিশেষ পরিবহন সেবা

৩৩ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ঢাকার ইন্দিরা রোড থেকে গাজীপুরের আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
ঢাকার ইন্দিরা রোড থেকে গাজীপুরের আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারা দেশে আটক ২৯ জন
যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারা দেশে আটক ২৯ জন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জয়ের পরই বাবার মৃত্যুর খবর পেলেন লঙ্কান ক্রিকেটার
জয়ের পরই বাবার মৃত্যুর খবর পেলেন লঙ্কান ক্রিকেটার

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণ
সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও
রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফ্রাইলিঙ্কের রেকর্ডগড়া ফিফটিতে জিম্বাবুয়েকে হারাল নামিবিয়া
ফ্রাইলিঙ্কের রেকর্ডগড়া ফিফটিতে জিম্বাবুয়েকে হারাল নামিবিয়া

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মানুষকে বঞ্চিত করে উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার অধিকার কারো নেই: ফয়েজ আহমদ
মানুষকে বঞ্চিত করে উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার অধিকার কারো নেই: ফয়েজ আহমদ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নবীর তাণ্ডবে আফগানিস্তানের লড়াকু পুঁজি, শঙ্কায় বাংলাদেশ
নবীর তাণ্ডবে আফগানিস্তানের লড়াকু পুঁজি, শঙ্কায় বাংলাদেশ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্রামীণফোনের রিচার্জ সেবা
১৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্রামীণফোনের রিচার্জ সেবা

৭ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

শিশু নিপীড়নের অভিযোগে যুবক আটক
শিশু নিপীড়নের অভিযোগে যুবক আটক

৮ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার
সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিকের উপাদান তৈরি বিজ্ঞানীদের
ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিকের উপাদান তৈরি বিজ্ঞানীদের

৮ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

পিআর নিয়ে আন্দোলন নির্বাচন নস্যাতের ষড়যন্ত্র: প্রিন্স
পিআর নিয়ে আন্দোলন নির্বাচন নস্যাতের ষড়যন্ত্র: প্রিন্স

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা
চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : পুলিশ কমিশনার
সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : পুলিশ কমিশনার

৮ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র
যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানিস্তান
৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নওগাঁয় সৌহার্দ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত
নওগাঁয় সৌহার্দ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র‌্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র‌্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বরিশালে নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার
বরিশালে নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে : নবীউল্লাহ নবী
নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে : নবীউল্লাহ নবী

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা
সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা

৮ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান: ব্যাটিং-বোলিংয়ে কে এগিয়ে?
শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান: ব্যাটিং-বোলিংয়ে কে এগিয়ে?

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা
স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?
সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ
পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল
আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ
বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ
কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক
রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প
ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য
ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ
আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র
নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে
সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

১৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য
ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের
দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র
গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেসবুকে কেউ আপনাকে ব্লক করেছে কিনা যেভাবে বুঝবেন
ফেসবুকে কেউ আপনাকে ব্লক করেছে কিনা যেভাবে বুঝবেন

২১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান
নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক
যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র
যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকা ফল থেকেই বিয়ারের সমান অ্যালকোহল খাচ্ছে শিম্পাঞ্জিরা: গবেষণা
পাকা ফল থেকেই বিয়ারের সমান অ্যালকোহল খাচ্ছে শিম্পাঞ্জিরা: গবেষণা

১৬ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

প্রিন্ট সর্বাধিক
কুমিল্লায় মাইকিং করে মাজারে হামলা আগুন
কুমিল্লায় মাইকিং করে মাজারে হামলা আগুন

পেছনের পৃষ্ঠা

চার মাসের কর্মসূচি নিচ্ছে বিএনপি
চার মাসের কর্মসূচি নিচ্ছে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভ্রান্ত বিশ্বাসীদের সঙ্গে নির্বাচনে জোট নয়
ভ্রান্ত বিশ্বাসীদের সঙ্গে নির্বাচনে জোট নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

অভিন্ন দাবিতে সাত ইসলামি দলের বিক্ষোভ সমাবেশ
অভিন্ন দাবিতে সাত ইসলামি দলের বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিএনপির প্রার্থী হতে চান তিন নেতা, অন্যদের একক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান তিন নেতা, অন্যদের একক

নগর জীবন

নির্ধারিত রুটে ১৫ শতাংশ ছাড় ঘোষণা বিমানের
নির্ধারিত রুটে ১৫ শতাংশ ছাড় ঘোষণা বিমানের

পেছনের পৃষ্ঠা

গাজা ছাড়ছে সাধারণ মানুষ
গাজা ছাড়ছে সাধারণ মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

দূর হোক জঞ্জাল, স্বস্তি ফিরুক
দূর হোক জঞ্জাল, স্বস্তি ফিরুক

সম্পাদকীয়

বিএনপির তিন মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্যদের একক প্রার্থী
বিএনপির তিন মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্যদের একক প্রার্থী

নগর জীবন

ইইউ প্রতিনিধিদল সন্তুষ্ট মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে
ইইউ প্রতিনিধিদল সন্তুষ্ট মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে

পেছনের পৃষ্ঠা

বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে
বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে

সম্পাদকীয়

এক যুগ পর সেই ফেলানীর ভাইকে চাকরি দিল বিজিবি
এক যুগ পর সেই ফেলানীর ভাইকে চাকরি দিল বিজিবি

পেছনের পৃষ্ঠা

সীমানা নিয়ে আদালতের দিকে তাকিয়ে ইসি
সীমানা নিয়ে আদালতের দিকে তাকিয়ে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

কবরস্থানে নবজাতক  বন্ধ হাসপাতালের কার্যক্রম
কবরস্থানে নবজাতক বন্ধ হাসপাতালের কার্যক্রম

দেশগ্রাম

সিলেটে ঠিকানায় ফিরছে হকার
সিলেটে ঠিকানায় ফিরছে হকার

নগর জীবন

আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী নিহত
আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

জমি বিরোধে হাতুড়ি নিয়ে হামলা
জমি বিরোধে হাতুড়ি নিয়ে হামলা

দেশগ্রাম

কিংসের দ্বিতীয় না মোহামেডানের প্রথম
কিংসের দ্বিতীয় না মোহামেডানের প্রথম

মাঠে ময়দানে

ইভ্যালির রাসেল শামীমার তিন বছরের কারাদণ্ড
ইভ্যালির রাসেল শামীমার তিন বছরের কারাদণ্ড

নগর জীবন

বিএনপি রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা চায়
বিএনপি রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা চায়

নগর জীবন

ফেব্রুয়ারিতেই ভোট
ফেব্রুয়ারিতেই ভোট

সম্পাদকীয়

রোহিঙ্গা যুবকের কাছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা
রোহিঙ্গা যুবকের কাছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা

দেশগ্রাম

বিলম্ব সিদ্ধান্তে অর্থনীতির ক্ষতি
বিলম্ব সিদ্ধান্তে অর্থনীতির ক্ষতি

প্রথম পৃষ্ঠা

৭ হাজারের বেশি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে
৭ হাজারের বেশি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে

প্রথম পৃষ্ঠা

দুবাইয়ে ১৭৮ যাত্রী নিয়ে আটকা বিমানের ফ্লাইট
দুবাইয়ে ১৭৮ যাত্রী নিয়ে আটকা বিমানের ফ্লাইট

নগর জীবন

এক নামে দুই কলেজ, ভর্তিতে বিভ্রান্তি
এক নামে দুই কলেজ, ভর্তিতে বিভ্রান্তি

নগর জীবন

বগুড়ায় সাত আসনের খসড়া ভোটার ও কেন্দ্র তালিকা সম্পন্ন
বগুড়ায় সাত আসনের খসড়া ভোটার ও কেন্দ্র তালিকা সম্পন্ন

নগর জীবন

ক্যাপিটাল ড্রামায় আসছে ‘চোর’
ক্যাপিটাল ড্রামায় আসছে ‘চোর’

শোবিজ

একই সঙ্গে কোরআনে হাফেজ দুই ভাই
একই সঙ্গে কোরআনে হাফেজ দুই ভাই

নগর জীবন