শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০১৭ আপডেট:

সাক্ষাৎকারে নায়করাজ রাজ্জাক

জীবনে না পাওয়ার দুঃখ নেই

Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
জীবনে না পাওয়ার দুঃখ নেই

জীবদ্দশায় কিংবদন্তি হয়ে ওঠা খুবই কঠিন। নায়ক রাজ্জাক তা হয়েছিলেন। এ দেশের চিত্রজগতে তিনি ছড়ি ঘুরিয়েছেন টানা ৫১ বছর। অসাধারণ কর্মনিষ্ঠা, মিতব্যয়িতা, বিনয়ভাষণ আর চলচ্চিত্র শিল্প বিকাশে বিরামহীন অবদান তাকে অনন্য বৈশিষ্ট্য দিয়েছে বলেই তাকে ভক্তরা ‘নায়করাজ’ সম্বোধনে সম্মানিত করেন। কলকাতা থেকে ঢাকায় এসে জীবন সংগ্রামে সমর্পিত এই গুণীজন ধীরে ধীরে সাফল্যের শিখরে উঠে উদাহরণ সৃষ্টি করেন। কিছুদিন আগে বাংলাদেশ প্রতিদিনে তার সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছিল। ওই সাক্ষাৎকারটি পাঠকদের জন্য আবারও তুলে ধরা হলো। সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন— সামিয়া রহমান

 

আপনার গল্প শুনতে এসেছি। কিন্তু তার আগে জানতে চাই আপনার শরীর কেমন?

আমার শরীর এখন ভালো আছে। আমি রেস্টে আছি।

 

শুনেছি আপনি অনেক জেদি ছিলেন, খুব আদরের ছিলেন এবং খেলাধুলায় খুব ভালো ছিলেন।

বাপ-মার সবচেয়ে ছোট সন্তান আমি। বয়সের কথা বলতে পারব না, জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই ভীষণ দুষ্টু ছিলাম। স্কুল লাইফ থেকে আমার অভিনয়ে হাতেখড়ি। তখন আমি ক্লাস সেভেনে পড়তাম। আমি আসলে গোলকিপার ছিলাম। এক্সিডেন্টলি আমাকে নাটকে অভিনয় করতে হলো স্কুলে। একটা নাটকে অভিনয় করার পর ওই যে বলে না নেশা, নেশা হয়ে গেল। পাড়ায় নাটক করা শুরু করলাম, ছোট ছোট চরিত্র ছিল। আমাদের পরিবেশটাও ছিল ভীষণ আর্টিস্টিক। আমার স্কুল এবং বাড়ির আশপাশে সব বিখ্যাত বিখ্যাত শিল্পী থাকতেন।

 

কারা ছিলেন তখন?

ছবি বিশ্বাস, কানন দেবী, বসন্ত চৌধুরী। তাদের দেখতাম আমি, বিশাল ভাগ্যবান ছিলাম। আমাদের তরুণ চিত্র বলে একটা ক্লাব ছিল। তার প্রেসিডেন্ট ছিলেন ছবি বিশ্বাস। তার কাছে কবিতা শেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। তারপর যখন ম্যাট্রিক পাস করলাম পুরোপুরি নাটকে চলে গেলাম। খেলা বন্ধ হয়ে গেল। এর মাঝখানে আমি চলে গেলাম মুম্বাই।

 

আপনি কোনো ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে গিয়েছিলেন...

তখন তো পুনে ছিল না, ফিল্মালয় ছিল। শঙ্খনাদ মুখার্জির একটা স্টুডিও ছিল। ওখানে একটা ফিল্ম ইনস্টিটিউট তিনিই করেছিলেন। আমি সেখানে ৯ মাসের মতো একটা ট্রেনিংয়ে ছিলাম। তারপর আবার কলকাতায় ব্যাক করে পুরোদমে নাটক করি। তখন ফিল্মে আমার যে বয়স, আমার যে নাট্যগুরু ছিলেন পীযূষ বোস, তিনি একজন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক। উনি তখন বলতেন, তুমি অভিনয় করে যাও, করতাম। তারপর এই করতে করতে তো ফিল্মে। কিন্তু তিনি খুব একটা আমাকে অ্যালাউ করতেন না। তখন আমি আমার বয়সের সন্ধিক্ষণে তো।

 

মানে অভিনয় না শিখে ফিল্মে যাওয়া তিনি পছন্দ করতেন না।

কিশোর ক্যারেকটার করার জন্য আমাকে না করতেন। এগুলো থেকে পরে আর কিছু করা যায় না। এর মাঝখানে আমার বিয়ে হলো।

 

হ্যাঁ, আমি এই গল্পটা শুনতে চাই। মাত্র ১৯ বছর বয়সে বিয়ে। পরিবার থেকে তড়িঘড়ি বিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

আমরা খুব কনজারভেটিভ ফ্যামিলি ছিলাম। মোল্লা পরিবার। ভাই-বোনদের ভয় ছিল যে কোনো সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। যেহেতু নাটক করতাম, অনেক বান্ধবী ছিল। আমি তো নাটক ছাড়ব না। আমাদের বাড়িতে কেউ কিন্তু অভিনয় জগতে আসেনি। তাই তাদের ভয় ছিল। আমার দুলাভাইয়েরা বলল, তুমি বিয়ে কর। আমি জানতে চাইলাম, বিয়ে করলে কী হবে? তাদের উত্তর ছিল, বিয়ে করলে তুমি নাটক করতে পারবে। আচ্ছা নাটক তো ছাড়ব না, বিয়ে করতে রাজি আছি। বিয়ে হলো। তারপর ১৯৬৪ সালে একটা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয় কলকাতায়। তাতে আমাদের বাড়ি খুব ক্ষতিগ্রস্ত হলো।

 

আপনার বাড়িতে আক্রমণ হয়েছিল?

হ্যাঁ, পুরো বাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। আমি তো খুব ফ্রাস্ট্রেটেড হয়ে গেলাম। ভেবেছিলাম মুম্বাই চলে যাব। কিন্তু আমার গুরু পীযূষ বোস আমাকে ইনসিস্ট করলেন ঢাকায় আসার। ১৯৬৪ সালে আমি ঢাকায় চলে আসি। ঢাকায় পরিচিত কেউ ছিল না। জব্বার খান সাহেব ছিলেন। উনি কলকাতায় যেতেন, আমাদের পাশের বাড়ি ছিল সাবিত্রী চ্যাটার্জির বাড়ি।

 

ওহ, আপনার পাশের বাড়ি!

হুম, পাশের বাড়ি। বোধহয় সাবিত্রী চ্যাটার্জির সঙ্গে নাটক শুটিংয়ের কারণে জব্বার সাহেবের ভালো পরিচয় ছিল। আমাদের কাছারি বাড়ি ছিল, সেখানে বসে আমার মেজো ভাইয়ের সঙ্গে গল্প করছিলেন। একদিন আমি রিহার্সেলে যাচ্ছি, মেজদা আমাকে ডাকল। বলল, উনি পাকিস্তানের একজন ফিল্ম ডিরেক্টর। তখনই তার সঙ্গে আমার আলাপ। ১৯৬৪ সালে ঢাকায় এসে উনার সঙ্গে যোগাযোগ করলাম। উনি আমাকে চিনলেন। বললেন, কী সমস্যা? তো আমি বললাম এই ব্যাপার।

আপনি কমলাপুরের একটা বাড়িতে গিয়ে উঠেছিলেন।

হ্যাঁ, ঠাকুরপাড়া, ওখানেই এসে প্রথমে উঠি। আমাদের আত্মীয়স্বজন বলতে পাড়া-প্রতিবেশী কিছু লোক ওখানে ছিল, যারা এক্সচেঞ্জ করে বাড়ি নিয়েছিল। বাড়ি তো না ওটা ঘর। জব্বার খানের সঙ্গে যোগাযোগ করলাম। তিনি বললেন, উজালা ছবিতে তুমি সহকারীর কাজ কর।

 

প্রথমেই কি তিনি আপনাকে অফার দিয়েছিলেন?

আমি তো একজন শিল্পী। সহকারী হিসেবে কাজ করতে আমার খুব আত্মসম্মানে লাগছিল। ছেড়ে দিলাম আমি। এরপর ভীষণ একটা স্ট্রাগলিং সময় গেছে আমার। 

 

আপনি নাকি একবেলা খেয়েও থাকতেন?

তখন আমার সন্তান বাপ্পা, সম্রাট আর একটি মেয়ে ছিল। আমার এখানে কোনো আত্মীয়স্বজন ছিল না। কাজই করতাম শুধু। একটা সময় এলো যখন কোনো কাজ নেই। খুব প্রবলেমে ছিলাম আমরা। সবে পাকিস্তান টেলিভিশন শুরু হয়েছে। জামান আলী খান সাহেব ঘরোয়া বলে একটা নাটকে অফার করলেন। আমি সেটা করি।

 

আপনি একবার সংবাদ পড়ার জন্য তৈরি হয়েছিলেন।

তখন দিশাহারা হয়ে গিয়েছিলাম। শুনলাম ইস্ট পাকিস্তান  টেলিভিশনে বাংলা সংবাদ পাঠক নেওয়া হবে। আমি ওখানে ইন্টারভিউ দিই এবং অ্যালাউ হই। কিন্তু জামান আলী খান মানা করলেন। উনি আমাকে বললেন, তুমি ওয়েট কর। আমি একটা ব্যবস্থা করছি। আমাকে আর সংবাদ পাঠক হতে দিলেন না। তারপর উনি ঘরোয়া নাটকটি করলেন।

 

ভয়েস টোন চেঞ্জ হয়ে যাবে এ রকম কারণে?

যারা সংবাদ পাঠ করে তাদের কিন্তু একটা আলাদা স্টাইল হয়ে যায়। এটা আমার কপালের ব্যাপার। দিন পনেরো পর জামান আলী খান আমাকে ডাকলেন। আমি গেলাম টিভিতে। তখন  কলকাতায় চলে যাব কিনা চিন্তা করছি। স্ত্রী বলল, এসেছ যখন শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ করে দেখা যাক। এই নাটকটা করলাম। তখন সপ্তাহে মাত্র ৬৫ টাকা পেতাম নাটক করে।

 

সেই সময় তো ৬৫ টাকার অনেক দাম ছিল।

অনেক বেশি ছিল। সেটা দিয়ে ঘরভাড়া দেওয়া, বাচ্চা মানুষ করা।

 

তখন কয়জন বাচ্চা ছিল আপনার?

তখন দুটি বাচ্চা হয়ে গেছে। জহির রায়হান সাহেবের সঙ্গে আমি দেখা করেছিলাম। তিনি আমাকে কথা দিয়েছিলেন একটা কাজ দেবেন। ফিল্মে তখন টুকটাক অভিনয় করেছি। ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছি। তারপর আমি যখন একদম এক্সট্রিম খারাপ অবস্থায় তখন এই নাটকটা আমায় কিছুটা সাহায্য করেছিল। তখন ফার্মগেটে থাকতাম। মনে আছে পয়সা বাঁচানোর জন্য ফার্মগেট থেকে ডিআইটি পর্যন্ত হেঁটে হেঁটে যেতাম। হেঁটে আসতাম। সে দিনগুলো আসলে খুব টাফ গেছে আমার জন্য। তারপরে জহির সাহেব আমাকে ডাকলেন। তিনি ছবি শুরু করলেন বেহুলা। বেহুলার শুটিং শেষ করলাম, ছবি রিলিজ হলো। সুপার ডুপার হিট হয়ে গেল। সিলভার জুবিলি হয়ে গেল।

 

আপনাকে এক সময় উত্তম কুমার বলা হতো।

না, তিনি আমার নমস্য। আমার স্বপ্নগুরু ছিলেন। আমি তার ভীষণ ফ্যান ছিলাম, আলাপও ছিল। আমি যখন এখানে অভিনয় শুরু করলাম আমার বয়স তখন মাত্র ২২ বছর। আমি স্টুডেন্ট ক্যারেকটারগুলো করতাম। তখন এখানে কিন্তু উর্দু ছবি চলত। বাংলা ছবি খুব একটা চলত না। বেহুলা, আগুন নিয়ে খেলার পর থেকেই কিন্তু এ দেশে বাংলা ছবির প্রবণতা বাড়ল। পপুলার হলো। তখন এখানে ভারতীয় ও পাকিস্তানি ছবি চলত। কিন্তু আমরা যখন বাংলা ছবি শুরু করলাম, আমার সঙ্গে কবরীর একটা ভালোবাসার সম্পর্ক দেখানো হলো। তখন এখানকার মানুষের একটা স্বাদ পাল্টাল। ওই দেশে সুচিত্রা-উত্তম আর এই দেশে রাজ্জাক-কবরী।

 

এই যে জুটি প্রথা শুরু হলো, আপনি তো জুটি প্রথায় শুধু কবরী আপার কথা বললেন, কিন্তু শাবানা, ববিতা আপার সঙ্গেও তো আপনি একের পর এক সার্থক জুটি দিয়ে গেছেন।

আমার সঙ্গে তখন নায়িকা ছয়জন কাজ করে। আর আমি নায়ক। ডে নাইট কাজ করছি আমি। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল এখানে উর্দু ছবিকে বিদায় করে বাংলা ছবি চালানো। এটা ওয়ান কাইন্ড অব যুদ্ধ ছিল আমাদের। কারণ এখানে উর্দু ছবি তখন দাপটের সঙ্গে চলত। লাহোরের ছবিগুলো আসত। নাচে, গানে, মারামারিতে একদম বিরাট অবস্থা তাদের। সেখান থেকে বেরিয়ে আসা খুব কষ্ট ছিল। আমরা তখন আমাদের সমাজের ছবি, আমাদের গল্প নিয়ে ছবি করা শুরু করলাম। মাঝখানে আমার আর কবরীর ক্লিকটা হলো। রোমান্টিক পেয়ার। একটা ইন্ডাস্ট্রিতে যদি রোমান্টিক পেয়ার না আসে, ওই ইন্ডাস্ট্রির চলা খুব মুশকিল হয়। শাবানার সঙ্গে আমি বেশি ছবি করেছি, তবে কবরীর সঙ্গে আমার যেটা ছিল, সেটা ছিল পেয়ার। মানে মানুষের চোখের সামনে...।

 

তাহলে আপনার অভিনীত জুটিগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ কোনটি?

জুটি যদি বলা হয়, রোমান্টিক জুটি কবরী। কারণ শাবানার সঙ্গে আমি প্রচুর হিট ছবি দিয়েছি। আমার সঙ্গে শাবানার বা ববিতার দুজনেরই হিট ছবি আছে। কিন্তু জুটি যেটা, রোমান্টিক জুটি, চোখ বন্ধ করে আবালবৃদ্ধবনিতা সবাই বলত যেটা, সেটা হচ্ছে কবরী। কেননা কবরীর সঙ্গে আমার একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিং ছিল। জানি না, স্ক্রিনেও বোধহয় একটা এক্সসেপ্টেশন ছিল। কবরীকে অস্বীকার করার উপায় নেই।

 

আমাদের সাংবাদিকদের অভ্যাস পেছনের খবর খুঁড়ে আনা। যখনই জুটি সার্থক হয় তখন নানা রকম রসালো গল্প খুঁজে বের করার চেষ্টা করি। এমন কোনো গল্প আপনাকে বিব্রত করেছে?

কবরীকে নিয়ে অনেক সময় বিব্রত হয়েছি আমি। কিন্তু সত্যি কথা বলি, কবরীর সঙ্গে আমার এমন একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিং ছিল, মানে দুজন মিলে কাজ করতাম, কাজের সময় ভীষণভাবে আমরা একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম।

 

দুই-একটা গল্প শুনি আপনার কাছ থেকে। 

না, গল্প আর কি। আমাদের প্রতি নির্ভরশীল ছিল ইন্ডাস্ট্রি। অনেক সময় হয় না, নানা কারণে ঝগড়া হয়, কিন্তু কোনো রকম স্বার্থের জন্য নয়, এমনি খামোখাই। কিন্তু ওর সঙ্গে আমার আন্ডারস্ট্যান্ডিং খুব ভালো ছিল। আমরা ঝগড়া যেমন করেছি, বন্ধুত্বও তেমনি ছিল। আর শাবানার সঙ্গে একদম প্রফেশনাল ছিল ব্যাপারটা। সে খুব রেসপেক্টফুল। আমার ফ্যামিলিকে খুব রেসপেক্ট করত।

 

আর ববিতা আপা?

ববিতাকে আমার হাতে ধরে আনা। সুচন্দা, তার বড় বোন আমার নায়িকা ছিল। এক ছবিতে আমার মেয়ের পার্টও করেছে ববিতা। পরবর্তী পর্যায়ে সে আমার নায়িকা হলো। অসম্ভব সুন্দর মেয়ে এবং সে আমাকে বড় ভাইয়ের থেকে বেশি শ্রদ্ধা করে। এখনো করে।  কিন্তু কবরীর সঙ্গে আমার সেই আন্ডারস্ট্যান্ডিংটা ছিল না। 

 

আপনাদের জুটি প্রথার কারণে, আপনাদের আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের কারণে অনেক ভালো ভালো সিনেমা আমরা পেয়েছিলাম। আপনি বলছিলেন যে, তখন দর্শকও খুব ভালো ছিল। কিন্তু তখনকার ইন্ডাস্ট্রি আর এখনকার ইন্ডাস্ট্রি কি বদলে গেছে বা আমাদের মানসিকতা কি পরিবর্তিত হয়েছে?

আমাদের মানসিকতা চেঞ্জ হয়েছে। ইন্ডাস্ট্রিও চেঞ্জ হয়েছে। তখনকার যারা পরিচালক ছিলেন তারা প্রত্যেকে ছিলেন শিক্ষিত লোক। তাদের একটা ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল। তারা অনেক কষ্ট করে ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলেন। আমরা শিল্পী যারা ছিলাম প্রত্যেকে  ট্রেইন্ড আর্টিস্ট ছিলাম। শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি আনোয়ার হোসেন, হাসান ইমাম, শওকত আকবর, খলিল, ফতেহ লোহানি, কাজী খালেক, সুমিতা দেবী, রানী সরকারকে। এরা কিন্তু অনেক কষ্ট করে ফিল্ম করেছিলেন। অনেক কষ্ট করে। তখন তাদের যে পয়সা দেওয়া হতো সেই পয়সা কোনো পয়সাই নয়। কিন্তু তারা চলচ্চিত্রের প্রতি নেশার ঘোরেই কাজ করে গেছেন।

 

তাহলে এখন কি নেশাটা ছুটে গেছে, আমরা এখন সব প্রফেশনাল হয়ে গেছি?

তেমনি সেটা। এখন কিন্তু আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বলেন, নাটকের জগৎ বলেন সব প্রফেশনাল হয়ে গেছে।

 

আপনার একটা সাক্ষাৎকারে পড়েছিলাম, আপনি বলেছিলেন যে, আমরা সাংবাদিকরা সবাইকে সুপারস্টার বানিয়ে দিই বা হিট বলে দিই। কিন্তু এখনকার অভিনেতা-অভিনেত্রী অনেকে রাস্তা দিয়ে গেলেও কেউ তাদের দিকে ফিরেও তাকায় না।

কথা হচ্ছে, তখন আমরা যারা কাজ করেছি, এ দেশের সাংবাদিকরা আমাদের কাজের জন্য গাল দিয়েছে, সমালোচনা করেছে। কিন্তু আড়ালে বলেছে, এই আর্টিস্টদের দ্বারা হবে। কিন্তু এখন একটি ছেলে বা একটি মেয়ে এলে, একটা ছবি শেষ করার আগেই আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা রাতারাতি তাদের সুপারস্টার বানিয়ে দেন। কেউ রাজ্জাক হয়ে গেছে, কেউ কবরী হয়ে গেছে, কেউ শাবানা হয়ে গেছে। তাদের হয়ে যায় মাথা গরম। বেসিক ট্রেনিংটা কিন্তু তাদের নেই।

 

যেমন আপনি বলেছিলেন, পীযূষ বোস আপনাকে বলেছিলেন ছোট অবস্থায় অভিনয় করা যাবে না, একেবারে অভিনয় শিখে অভিনয় করতে হবে। সেই জিনিসটা নেই?

তিনি বলতেন, আজকে যদি তুমি শিশু চরিত্রে, কিশোর চরিত্রে অভিনয় কর তবে কোনো দিন হিরো হতে পারবে না। এক্সাম্পল দিতেন সুখেন দাশের। অসম্ভব ভালো একজন অভিনেতা, বাচ্চাদের অভিনয় করতেন। আপনারা অনেকে দেখেছেন, পরবর্তী পর্যায়ে কিন্তু এত ভালো অভিনেতা হওয়ার পরও তিনি হিরো হতে পারেননি। এরকম আরও অনেক ছিল। তিনি আমাকে আটকে রাখতেন, বলতেন তুমি এখন ছবি কর না। কিন্তু এখন যারা আসছে আমাদের দেশে এই ছেলেগুলোর কিন্তু কোনো বেসিক ট্রেনিং নেই। কেউ নাটক থেকেও আসেনি। ফিল্ম থেকে দুই-একজন এসেছে, তাদের আমরা কাজে লাগাতে পারিনি।

 

সমস্যাটা কোথায়? এখনকার জেনারেশনের কি ধৈর্য নেই?

আমাদের সময়ে চলচ্চিত্রকে অন্য নজরে দেখা হতো। এখনকার চলচ্চিত্রটা কি আলাদা জগৎ? কিন্তু না, একই তো মিডিয়া। আমিই তো টিভি থেকে এসেছি। আমি নাটক করেছি কলকাতায়, এখানেও প্রচুর নাটক করেছি। কিন্তু আমি ফিল্মটাকে আমার প্রফেশন করে নিলাম। কিন্তু এখনকার ছেলেমেয়েরা টিভি থেকে এসে মনে করে যে ফিল্মটা আলাদা, টিভিটা আলাদা। ওই আর্টিস্টগুলোকে কিন্তু আমরা পাচ্ছি না।

 

আপনি অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক তিনটি ক্ষেত্রেই কাজ করেছেন। কোন ক্ষেত্রে নিজেকে সফল বলে মনে করেন?

আমি তো একজন শিল্পী। এত শ্রদ্ধা-ভালোবাসা পৃথিবীর অন্য  কোনো নায়ক পেয়েছে কিনা আমি জানি না। আজকে পাঁচ-ছয় দশক ধরেই আমি কাজ করছি এই চলচ্চিত্রে। আমি যখন ফিল্মে আসি এ দেশে তখন ছিল ৩০০ সিনেমা হল। লোকসংখ্যা ছিল পাঁচ কোটি। ২০০৫ সালে যখন নায়কের চরিত্র থেকে সরে এলাম তখন এ দেশের জনসংখ্যা হলো ১৬ কোটি, সিনেমা হল ছিল ১২০০। এখন দুঃখের সঙ্গে বলছি, সিনেমা হল তো কমেছেই, ১২০০ থেকে ৩০০-তে এসেছে। আর দর্শক তো এখন যায় না সিনেমা হলে। লোকসংখ্যা বেড়েছে। আমি ভাগ্যবান এই জন্য যে, পাঁচ কোটি থেকে ১৪ কোটি মানুষের দর্শক, আমি তাদের হিরো। তারা আমাকে শ্রদ্ধা করে, ভালোবাসে।

 

আপনি এক সময় রোমান্টিক হিরো ছিলেন, তারপর রংবাজ দিয়ে একটা অ্যাকশন ধারা তৈরি করলেন।

আমার কাছে সবসময় ডেপথে যেসব ক্যারেকটার ছিল সেগুলো ভালো লাগত। রংবাজের কারণ হচ্ছে স্বাধীনতার পর সেভেন্টি টু থেকে এখানে দর্শকরা একটু ফার্স্ট ছবি দেখতে চাচ্ছিল। স্বাধীনতার পরপর এখানকার ছেলেমেয়েরা, ইয়াং জেনারেশন কলকাতায় যাচ্ছে। ওখানে হিন্দি ও বাংলা ছবি দেখছে।

 

আপনার প্রথম পরিচালিত ছবি অনন্ত প্রেম। সেখানে একটা বিয়োগান্ত কাহিনী ছিল। পরিচালক হিসেবে কি মনে হয়েছে দর্শক আসলে বিয়োগান্ত বিষয়গুলো বেশি পছন্দ করবে?

আমার বিয়োগান্ত ছবির একটা ইতিহাস আছে। তখন পর্যন্ত আমি কিন্তু বাংলাদেশে কোনো ছবিতে আমার মৃত্যু দেখাইনি। রংবাজ সুপারহিট হওয়ার পর আমি একটা সাবজেক্ট পেলাম, তিন পাতার একটা গল্প ছিল বেঈমান। ওটাকে নিয়ে আমি রিসার্চ করলাম, আমি আমার বন্ধু জওহরকে নিয়ে বসলাম। একটা স্ক্রিপ্ট কর। সে বলল, তোমার মাথা খারাপ হয়েছে? তুমি কোনো রকমে অ্যাকশন ছবি বানিয়ে পার পেয়ে গেছ, তুমি কবরীর কোলে মাথা রেখে মরবে, পৃথিবীর কোনো দেশ এটা এক্সেপ্ট করবে না। বাংলাদেশে তো নয়-ই। আমি বললাম, আমি দেখি, তুমি গল্প রেডি কর। এই আমরা বেঈমান স্ক্রিপ্ট রেডি করলাম। অনেক দিন ধরে রিসার্চ করলাম। সেই প্রথম বাংলাদেশে বিয়োগান্ত ছবি, যেখানে আমি হিরো কবরীর কোলে মাথা রেখে মরে যাচ্ছি। আর কবরী তখন হটকেক, আমি আর কবরী। দর্শকদের কাছে, ইন্ডাস্ট্রির কাছে। সবাই আমাকে বললেন যে, রাজ্জাক তুমি এটা কর না। রংবাজ কোনোভাবে দিয়েছে টাকা, সব মার যাবে।

 

অর্ডিয়েন্স নেবে না?

আমি খুবই জিদ্দি আর ডেস্পারেট। আমি শখ করে নতুন কিছু একটা করতে চাই। আমি বানালাম বেঈমান। এখানে বানালাম ফিফটি পার্সেন্ট আধুনিকতা, বাকিটা জঙ্গলে গিয়ে বানালাম। ছবি আনলাম, কমপ্লিট করলাম। শুটিংয়ে লোকজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দিলাম, দেখলাম কী করছে? সবাই বলতেন অভিনেতা হিসেবে তো আমার তুলনা হয় না, কবরীও তো। কিন্তু দর্শক নেবে কিনা? আমি বললাম, দর্শকদের আমি নেওয়াব। আমরা রিলিজ করলাম ছবি। প্রথম শো হওয়ার পর আমি ভাবছি ফ্লপ হবে ছবি, বাসায় বসে আছি। আমার ওই ছবি রংবাজ থেকেও বেশি ব্যবসা করে। রংবাজ থেকেও বেশি পপুলার হয়। বেঈমান ছবিতে আমার মনে আছে এখনো, আমার ফ্যান যারা ওরা যখন বাড়িতে এসে বলে, এই দেখেন ২০টা টিকিট, কেউ ২৫টা টিকিট দেখাচ্ছে। এতবার দেখেছি আমরা। এই প্রথম ছবি আমি করলাম, কবরীর কোলে মাথা রেখে মারা গেলাম। কবরী বলত, তুমি কি একটা বাজে লোক। কেন? তুমি দর্শকের সঙ্গে চিট কর। বললাম, কেমনে চিট করি? বলল, তুমি কী করে জানলে তুমি মরে গেলে আমার কোলে মাথা রেখে, দর্শক ছবি দেখবে।

 

দর্শকের ইমোশনটাকে বুঝতে পেরেছিলেন?

আমি কবরীকে বললাম, দেখ, আমার পপুলারিটি তোমার পপুলারিটি কাজে লাগাতে হবে। তুমি আমাকে ভালোবাসছ কিন্তু আমি তোমাকে ভালোবাসিনি। ছবিটি কিন্তু তাই চাচ্ছে, গল্পেও তাই আছে। শহরে নায়িকার সঙ্গে চোট খেয়ে আমি চলে যাই জঙ্গলে। জঙ্গলে এই মেয়েটির সঙ্গে দ্বন্দ্ব হয়। মারামারি হয়। সে আমাকে মারে। তারপর সে আমার প্রেমে পড়ে যায়। আমি তাকে ভালোবাসিনি। জীবনে একবার ভালোবাসা বিফলে গেছে। ভালোবাসি না। আমার বেঁচে থাকার দরকার নেই দর্শক জানে। কবরীর সঙ্গে প্রেম হবে না। এই নায়কের তো বাঁচার কোনো অধিকার নেই। তখনকার দিনে বেঈমান সুপার ডুপার হিট।  বেঈমানের ওপর নির্ভর করে আমরা অনন্ত প্রেমটা বানালাম। অনন্ত প্রেমের শেষ দৃশ্যে অবশ্য দুজন মারা যাচ্ছি। আমি ববিতা দুজনেই মারা যাচ্ছি। অসম্ভব ভালো রোমান্টিক গল্প। অনন্ত প্রেম মনে হয় একটু অ্যাডভান্স বানিয়ে ফেলেছিলাম। আমার ছবিটা ভাঙিয়েই কিন্তু কেয়ামত সে কেয়ামত বানাল ইন্ডিয়ায়। সুপার ডুপার হিট হয়ে গেল আমির খানের প্রথম ছবি। কিন্তু আমি আর এই অনন্ত প্রেমের মতো ছবি বানাতে পারলাম না। অসম্ভব ভালো ছবি, অসম্ভব যত্ন নেওয়া ছবি এবং সবচেয়ে দুঃখ কি! এফডিসির ভল্টে তখন নেগেটিভ রাখা হতো। আমার ছবিটাসহ আরও কয়েকশ ছবির নেগেটিভ ড্যামেজ হয়ে যায়। এখন অনন্ত প্রেমের একটা ফ্র্রেমও আমরা খুঁজে পাব না।

 

এত অসাধারণ ছবি, কিন্তু এটি আমাদের কাছে আর নেই।

অসাধারণ ছবি আর আমার জীবনের প্রথম ছবি। অনেকে বলেছে, রিমেক করতে। স্ক্রিপ্ট আছে আমার কাছে। রিমেকের জন্য আমি চিন্তা করেছিলাম। কিন্তু আমার দুই ছেলে সম্রাট, বাপ্পা, বিশেষ করে সম্রাট বলছে, ইট ইজ ইম্পসিবল। অনন্ত প্রেম রাজ্জাক যেটা করেছে সেটা করা আমাদের কারও পক্ষে সম্ভব না। আমার ঠাকুরদারাও পারবে না। এ দেশের দর্শক নেবে না। আপনি রিমেক করবেন না। কারণ আপনার কিছু ছবি আছে যা রিমেক করলে কিন্তু জীবনেও চলবে না এবং তার প্রমাণও হয়ে গেছে।

 

আচ্ছা এই নায়করাজ উপাধিটা কীভাবে এলো?

এটা মানুষের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা। সাংবাদিকদের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা। এখানকার সাংবাদিকরা আমার শততম ছবি মুক্তি পাওয়ার আগে, তারাই এটার জন্য, বিশেষ করে উদ্যোক্তা ছিল আহমেদ জামান চৌধুরী, চিত্রালীর। তারা মিলে আমাকে এই উপাধিটা দেয়। আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তোমরা কেন দিলে? ওদের উত্তর ছিল ওপার বাংলায় যদি মহানায়ক বলা হয়। আপনাকে আমরা নায়করাজ বলি। এ উপাধিটা পাওয়ার পর নিজেকে খুব ধন্য মনে করেছিলাম। আমি গর্বিত, কিন্তু কোনো দিন অহংকার হয়নি আমার।

 

আপনি বার বার উত্তম কুমারের নাম বলছিলেন। আপনার পছন্দের অভিনেতা-অভিনেত্রী কে? তার কোনো প্রভাব কি আপনার অভিনয়ে পড়েছিল?

আমার তো পছন্দের এক নম্বর অভিনেতা ছিলেন উত্তম কুমার।  না, আমি তাকে শ্রদ্ধা করতাম। কিন্তু পাওয়ার চেষ্টা করতাম, তার শ্যাডো যেন আমার মধ্যে না আসে। কী কারণে একজন হয়তো বলে ফেলত। অমুক সিনটায় আপনি একটুখানি উত্তম কুমারের মতো করেছেন। এমন হতে পারে যে, হয়তো আমার মনের অজান্তে আমি করে ফেলেছি। আমি ভাগ্যবান ব্যক্তিগতভাবে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। আগে তো দুই-একবার তাকে দেখেছি। যখন নাটক করতাম তার ভাই ছিলেন তনুজ কুমার। তার সঙ্গে দেখা করতে আমি স্টুডিওতে যেতাম। তখন আমি একেবারেই যুবক। উনি আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন উত্তম কুমারের সঙ্গে। পরবর্তী পর্যায়ে যখন আমি হিরো হলাম, এখান থেকে সেভেন্টি ওয়ানে গেলাম। আমার গুরু পীযূষ বোস। তার সব ছবিতে কিন্তু উত্তম কুমার অভিনয় করেছেন। এই একদিন দেখা হলো। উনি বললেন,  কেমন আছ তুমি? শুনলাম তুমি নাকি ওখানে উত্তম কুমার হয়ে  গেছ। আমি বললাম, বলেন কি দাদা। উত্তম কুমার বলেছিলেন, লোকে বলে তুমি নাকি খুব ভালো করছ। উত্তম কুমার তার ছেলের বিয়ের কার্ডও আমাকে পাঠিয়েছিলেন। তারপর তো তিনি মারা গেলেন।

 

আর কে কে আছেন উত্তমের পর আপনার পছন্দের তালিকায়?

উত্তম কুমারের পর অভিনেত্রী হিসেবে নার্গিসকে আমি খুব উঁচু দরজায় দেখতাম। আমি তাকে খুব সাপোর্ট করতাম অভিনেত্রী হিসেবে। অভিনেতা আর একজন ছিলেন দিলীপ কুমার। উনি আমার খুব শ্রদ্ধেয় শিল্পী।

 

আপনি সেই সময়ের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কথা বললেন। সালমান শাহর কথা জানতে চাই?

সালমান শাহ। চেষ্টা ছিল। সে সময়ে-অসময়ে আমার কাছে আসত এবং সে ওপেনলি বলত, আমি রাজ্জাককে বেচে খাচ্ছি। আমি বলতাম, তুমি আমাকে বেচে খাচ্ছ, এটা বল না। সে আমাকে বলত আব্বা। বলত, আব্বা যেটা সত্যি সেটা স্বীকার করছি। তার ভালো সুযোগ ছিল। ওই যে বললাম না, ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। আমার ডানে-বাঁয়ে যে কোনো কারণে হোক শুধু তালি আর মালা। এত তালি আর মালা হজম করা খুব কষ্টের ব্যাপার, সামিয়া। আমার সমসাময়িক যারা ছিল, তাদের দুই-একজন ভালো কাজ করেছে। আমি তাদের নামও নেব।  

 

আপনার জীবন নিয়ে কোনো গল্প লেখার ইচ্ছা আছে?

লিখছি, বায়োগ্রাফি যেটা বলে। কিন্তু এত জীবনী, আমার এত ইন্টারভিউ দিয়েছি, এ দেশে। এগুলো এক করলে তো বিরাট এক বই হয়ে যাবে।

 

তারপরও ছোট ছোট অনেক গল্প রয়েছে।

অনেক গল্প রয়েছে। আজকে আমি তোমাকে বললাম যেটা সেটা আমি কোনো ইন্টারভিউতে বলিনি। যেমন কবরীর সঙ্গে আমার সম্পর্কটা। এ সম্পর্ক যে কি আমি নিজেই জানি না। আমার স্ত্রীও বলত, এই তুমি কি প্রেম কর? আমি বলি, না। কবরীর স্বামী বলত, এই বেটা আমার বউয়ের সঙ্গে কী? আমি বলতাম, জিজ্ঞাসা কর। কী সব ধারণা ছিল মানুষের। ভাবত, আরে কি দারুণ চুটিয়ে প্রেম করছে। সাংবাদিকরা কত চেষ্টা করেছেন আমাদের কিছু একটা ধরার জন্য। পরে বলে ধ্যাত। দুই-একজন সাংবাদিক মরে গেছেন, আমার বন্ধু। এটা একটা ঐশ্বরিক ব্যাপার বলব আমি। আমাদের মধ্যে এই আন্ডারস্ট্যান্ডিংটা কেন হলো, কী জন্য হলো জানি না। আজ কবরীও বেঁচে আছে। সেও একটা ইন্টারভিউতে স্বীকার করেছে।

 

আপনাদের সেই সম্পর্কটা কি এখনো আছে?

এখনো আছে। দেখা হলে। সে একটা অন্য লাইনে চলে গেছে। ব্যস্ততা আছে। মাঝখানে আমাদের মধ্যে একটা গণ্ডগোল হয়েছিল। সে যখন দ্বিতীয় বিয়েটা করল। আমার সঙ্গে তার ঝগড়া হয়ে গেল। আমি খুব মাইন্ড করেছিলাম। এখন আবার আমরা ঠিক হয়ে গেছি।

 

আপনি আপনার ঐশ্বরিক সম্পর্কের কথা বললেন। কিন্তু আপনার জীবনের সঙ্গে যিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন, আছেন, সেই ১৯ বছর বয়স থেকে এবং আপনার সবকিছুতে তার নামটি জড়িয়ে আছে। তার কথা শুনতে চাই।

ও আমার জীবনের ফেরেশতা। লক্ষ্মীর কথা বলছ তো? লক্ষ্মী না থাকলে কিন্তু রাজ্জাক এই জায়গায় আসতে পারে না। পারত না। আমি যেটা বললাম না, কত কথা, কত ঝামেলা, মেয়েদের নিয়ে জড়িত কত স্ক্যান্ডাল হয়েছে। তার সামনেই ড্রয়িংরুমে মেয়েরা আমাকে জড়িয়ে ধরেছে। চুমো দিচ্ছে। সে দেখছে কিন্তু তাতে  কোনো অবজেকশন নেই। আমি বললাম যে, তুমি অন্যকিছু মনে করছ না তো? ও বলে, লাভ কী? আমি জানি তো তুমি ফিরে আসবে। তার একটা ধৈর্য ছিল। আমাকে কী করে একদম টপে নেবে। সে তার সংসার সামলাত, বাচ্চাদের সামলাত। আমার জীবনে লক্ষ্মী একটি আশীর্বাদ। আশীর্বাদ মানে লক্ষ্মী ছাড়া রাজ্জাকের কোনো অস্তিত্ব নেই এবং এটা আমি যেমন জানতাম,  সেও জানত। যার জন্য কিন্তু আমি কোনো রকম অসাবধান হইনি। সামিয়া, আমি তখন রোমান্টিক টপ হিরো। বিশেষ করে মহিলাদের, মেয়েদের অত্যাচার আমি যে কীভাবে সামলেছি। 

 

আর আপনার ছেলেমেয়েদের সম্পর্কে একটু বলবেন?

ছেলেমেয়েরা আমি বললাম না, আমি ভাগ্যবান পিতা। আমার চারটা সন্তান। পাঁচটা সন্তান ছিল। ওদের মধ্যে একটা তো মারা গেছে। আমার মেয়ে আছে। সে অত্যন্ত ভালো আছে। তার জামাই এয়ারফোর্সে আছে। তিন ছেলেকে নিয়ে আমার একান্নবর্তী পরিবার। এক বাড়িতে আছি। ছেলেদের সম্পর্কে একটা কথাই বলতে পারি। খুব ভাগ্যবান পিতা বোধহয় এমন ছেলে পায়। এরকম সুন্দর ছেলে পায়। চরিত্রের দিক থেকে সবদিক থেকে আমার ছেলে সম্বন্ধে আমি আর কী বলব।

 

এবং তারা খুব বিনয়ী।

বিনয়ী। একটা কমপ্লেইন কেউ করতে পারবে না। আপনার  ছেলেকে অমুক জায়গায় সিগারেট খেতে দেখলাম। অমুক বারে মদ খেতে দেখলাম। না তারা এগুলো খায়ই না। সিগারেট তো খায়ই না। সেদিক থেকে আমি এত ভাগ্যবান। আমার ছেলের বউ যারা হয়েছে, তিনটা বউই মাশআল্লাহ আমার পরিবারের সঙ্গে এক হয়ে গেছে। আমাদের সুখে-দুঃখে তারাও আছে।

 

তাহলে নায়করাজ রাজ্জাক নিজেকে সফল বলতে পারেন?

আমি হানড্রেড পার্সেন্ট। না যদি বলি, আল্লাহ নারাজ হবেন। আমি একজন সফল মানুষ। সফল পিতা, সফল পুরুষ, সফল শিল্পী। আমার জীবনে না পাওয়ার কোনো দুঃখ নেই। আমি যা চেয়েছি বরং আল্লাহ তার থেকে বেশি দিয়েছেন। আমি যা চেয়েছি আর আমি যা পেয়েছি এ নিয়ে যেন দুনিয়া থেকে চলে যেতে পারি। কারণ আমি মাঝখানে গত ছয় মাস আগে ভীষণ অসুস্থ হয়ে যখন কোমাতে ছিলাম ১৫ দিন। পরবর্তী পর্যায়ে আমি শুনলাম সারা দেশের মানুষ প্রার্থনা করেছে। মসজিদে নামাজ পড়েছে। হসপিটালে মসজিদ আছে, সেখানে পর্যন্ত আমার ফ্যানরা নামাজ পড়েছে, দোয়া করেছে। এদের ভালোবাসা, এদের দোয়া নিয়েই আজকে আমি এখনো টিকে আছি। আমি সবার কাছে এটাই চাইব, দোয়া। যেন সুস্থভাবে সজ্ঞানে দুনিয়া থেকে যেতে পারি।

 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 

অনুলিখন : সামিয়া রহমান এবং নওশীন জাহান।

এই বিভাগের আরও খবর
স্ক্যাল্পেও চাই সানস্ক্রিন
স্ক্যাল্পেও চাই সানস্ক্রিন
বয়স ৪০, এখনো ব্রণের সমস্যা
বয়স ৪০, এখনো ব্রণের সমস্যা
সোনিয়া রহমান রন্ধনশিল্পী
সোনিয়া রহমান রন্ধনশিল্পী
৩৩০০ বছর পরেও নেফারতিতি এখনো বেশ অনুপ্রেরণীয়
৩৩০০ বছর পরেও নেফারতিতি এখনো বেশ অনুপ্রেরণীয়
মুখমণ্ডলের লোম অপসারণ : কী পরামর্শ দেন ডার্মাটোলজিস্টরা
মুখমণ্ডলের লোম অপসারণ : কী পরামর্শ দেন ডার্মাটোলজিস্টরা
কখন থেকে সানগ্লাস
কখন থেকে সানগ্লাস
জিন্স কাহন
জিন্স কাহন
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানীদের গল্প
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানীদের গল্প
এআই বিপ্লব : আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ
এআই বিপ্লব : আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ
ইরানের সেকাল-একাল
ইরানের সেকাল-একাল
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানসাধক
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানসাধক
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
সর্বশেষ খবর
চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২০ জুলাই পরিবহণ ধর্মঘট
চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২০ জুলাই পরিবহণ ধর্মঘট

৭ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিলেবাস সংস্কারে ইউনিসেফের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি
সিলেবাস সংস্কারে ইউনিসেফের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪
ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষার্থী সেবায় বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা
শিক্ষার্থী সেবায় বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা

২৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল
ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন ঠেকানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : টুকু
নির্বাচন ঠেকানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : টুকু

৪৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

জবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার, দুইজনকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
জবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার, দুইজনকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যশোরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা
যশোরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাইয়ে নারীদের সাহসী উত্থান উদযাপনে ঢাকায় মশাল মিছিল
জুলাইয়ে নারীদের সাহসী উত্থান উদযাপনে ঢাকায় মশাল মিছিল

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জবির প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের তালা, অবরুদ্ধ উপাচার্য
জবির প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের তালা, অবরুদ্ধ উপাচার্য

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রিট করেও পরিষদে আসছেন না পলাতক চেয়ারম্যানরা
রিট করেও পরিষদে আসছেন না পলাতক চেয়ারম্যানরা

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া
বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৮ বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন লিয়াম ডসন
৮ বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন লিয়াম ডসন

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সুন্দরবনে দুটি নৌকাসহ পাঁচ জেলে আটক
সুন্দরবনে দুটি নৌকাসহ পাঁচ জেলে আটক

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদারীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল
মাদারীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১
মালয়েশিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোখের নিচের ত্বকে সব প্রসাধনী নয়
চোখের নিচের ত্বকে সব প্রসাধনী নয়

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

দুই বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস
দুই বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুন্দরবনে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরায় পাঁচ জেলে আটক
সুন্দরবনে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরায় পাঁচ জেলে আটক

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঢামেক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই দালাল আটক
ঢামেক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই দালাল আটক

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: আসামি মহিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: আসামি মহিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়
সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে সভা
সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে সভা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে চার স্কুলে ব্যতিক্রমী বইমেলা
চট্টগ্রামে চার স্কুলে ব্যতিক্রমী বইমেলা

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত
চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ
মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নকল করে শাস্তি পেলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২ শিক্ষার্থী
নকল করে শাস্তি পেলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২ শিক্ষার্থী

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লালমনিরহাটে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সমাবেশ
লালমনিরহাটে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সমাবেশ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি সংঘাতের উস্কানির ফাঁদে পা দেবে না : প্রিন্স
বিএনপি সংঘাতের উস্কানির ফাঁদে পা দেবে না : প্রিন্স

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
সেই সতর্কবার্তা এখন গুরুত্ব পাচ্ছে, রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে
সেই সতর্কবার্তা এখন গুরুত্ব পাচ্ছে, রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি!
সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি!

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসার নতুন গন্তব্য চীনের কুনমিং
ভারতের ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসার নতুন গন্তব্য চীনের কুনমিং

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা
মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১৪৪টি দলের কোনোটিই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে আরও ১৫ দিন
১৪৪টি দলের কোনোটিই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে আরও ১৫ দিন

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করে না ইরান, যে কোনো অভিযানের জন্য প্রস্তুত’
‘যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করে না ইরান, যে কোনো অভিযানের জন্য প্রস্তুত’

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের
২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম ট্রাম্পের
ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম ট্রাম্পের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত
ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেন মস্কোতে আঘাত হানতে পারবে কি না জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প
ইউক্রেন মস্কোতে আঘাত হানতে পারবে কি না জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন কেনিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন কেনিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করলেন জেলেনস্কি
নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করলেন জেলেনস্কি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না বিএনপি
কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না বিএনপি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সকালে রসুন খাওয়ার উপকারিতা
সকালে রসুন খাওয়ার উপকারিতা

১৬ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বিয়ে ও সন্তান গ্রহণে আগ্রহ কমছে তরুণদের
বিয়ে ও সন্তান গ্রহণে আগ্রহ কমছে তরুণদের

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী আর নেই
এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী আর নেই

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেফতার
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেফতার

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, টানা ৫ দিন বর্ষণের আভাস
বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, টানা ৫ দিন বর্ষণের আভাস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪৬৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, স্ত্রীসহ শামীম ওসমানের নামে মামলা
৪৬৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, স্ত্রীসহ শামীম ওসমানের নামে মামলা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরাকে মার্কিন কোম্পানির তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা, উৎপাদন বন্ধ
ইরাকে মার্কিন কোম্পানির তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা, উৎপাদন বন্ধ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান
পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান

২২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

নেতানিয়াহুর সরকার থেকে বেরিয়ে গেল ইসরায়েলের কট্টরপন্থী দল ইউটিজে
নেতানিয়াহুর সরকার থেকে বেরিয়ে গেল ইসরায়েলের কট্টরপন্থী দল ইউটিজে

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আ. লীগ সরকারের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
আ. লীগ সরকারের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র : ডা. জাহিদ
সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র : ডা. জাহিদ

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিরাজগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম
সিরাজগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওড়িশায় যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে গায়ে আগুন দেয়া সেই ছাত্রী মারা গেছে
ওড়িশায় যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে গায়ে আগুন দেয়া সেই ছাত্রী মারা গেছে

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বদলি আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
বদলি আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার ফাঁদ, দুবাইয়ে ১০০,০০০ দিরহাম হারালেন এক ভারতীয়!
হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার ফাঁদ, দুবাইয়ে ১০০,০০০ দিরহাম হারালেন এক ভারতীয়!

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের আল্টিমেটামের তোয়াক্কা করে না রাশিয়া
ট্রাম্পের আল্টিমেটামের তোয়াক্কা করে না রাশিয়া

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ জুলাই)

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফের প্রতিহিংসা রাজনীতিতে
ফের প্রতিহিংসা রাজনীতিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দুদকে তলব
জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দুদকে তলব

পেছনের পৃষ্ঠা

কী হবে সত্যজিৎ রায়ের বাড়িটির
কী হবে সত্যজিৎ রায়ের বাড়িটির

পেছনের পৃষ্ঠা

পারিবারিক দুর্নীতির প্রতিযোগিতা
পারিবারিক দুর্নীতির প্রতিযোগিতা

প্রথম পৃষ্ঠা

অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকলেই যেতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে
অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকলেই যেতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে

পেছনের পৃষ্ঠা

কমছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা
কমছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রেমাদাসায় জিততে চায় টাইগাররা
প্রেমাদাসায় জিততে চায় টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

ঐকমত্যে নতুন অনৈক্য
ঐকমত্যে নতুন অনৈক্য

প্রথম পৃষ্ঠা

পদ্মার দুই ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজারে বিক্রি
পদ্মার দুই ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজারে বিক্রি

পেছনের পৃষ্ঠা

দুই ঘণ্টায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১২ রোগী ভর্তি
দুই ঘণ্টায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১২ রোগী ভর্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত
বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত

প্রথম পৃষ্ঠা

ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান
ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান

সম্পাদকীয়

দুশ্চিন্তায় মোহামেডান-আবাহনী
দুশ্চিন্তায় মোহামেডান-আবাহনী

মাঠে ময়দানে

সোহানের রাইডার্সের সামনে সাকিবের ক্যাপিটালস
সোহানের রাইডার্সের সামনে সাকিবের ক্যাপিটালস

মাঠে ময়দানে

বিএনপি নেতার গলায় পুলিশের মালা!
বিএনপি নেতার গলায় পুলিশের মালা!

পেছনের পৃষ্ঠা

মিথ্যা গুজবে অস্বস্তিতে শতাধিক কর্মকর্তা
মিথ্যা গুজবে অস্বস্তিতে শতাধিক কর্মকর্তা

পেছনের পৃষ্ঠা

নিবন্ধনপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোর যত ভুল
নিবন্ধনপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোর যত ভুল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন জনতার
আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন জনতার

নগর জীবন

সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি
সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি

সম্পাদকীয়

রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে বুধবার
রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে বুধবার

পেছনের পৃষ্ঠা

ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি এবি পার্টির
ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি এবি পার্টির

পেছনের পৃষ্ঠা

ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট ২৭ রানে
ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট ২৭ রানে

মাঠে ময়দানে

ব্যাডমিন্টনে ৫০০’র ওপরে ম্যাচ
ব্যাডমিন্টনে ৫০০’র ওপরে ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

টি স্পোর্টস
টি স্পোর্টস

মাঠে ময়দানে

শান্তির হ্যাটট্রিকে শীর্ষে বাংলাদেশ
শান্তির হ্যাটট্রিকে শীর্ষে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

বিচার-পুনর্বাসনসহ চার দাবি ওমান ফেরত প্রবাসীদের
বিচার-পুনর্বাসনসহ চার দাবি ওমান ফেরত প্রবাসীদের

পেছনের পৃষ্ঠা

আলোচনায় আরপিও সংশোধন
আলোচনায় আরপিও সংশোধন

পেছনের পৃষ্ঠা

নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

পেছনের পৃষ্ঠা

ওএমএস ডিলার নিয়োগে ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে
ওএমএস ডিলার নিয়োগে ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে

নগর জীবন