শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০১৭ আপডেট:

সাক্ষাৎকারে নায়করাজ রাজ্জাক

জীবনে না পাওয়ার দুঃখ নেই

Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
জীবনে না পাওয়ার দুঃখ নেই

জীবদ্দশায় কিংবদন্তি হয়ে ওঠা খুবই কঠিন। নায়ক রাজ্জাক তা হয়েছিলেন। এ দেশের চিত্রজগতে তিনি ছড়ি ঘুরিয়েছেন টানা ৫১ বছর। অসাধারণ কর্মনিষ্ঠা, মিতব্যয়িতা, বিনয়ভাষণ আর চলচ্চিত্র শিল্প বিকাশে বিরামহীন অবদান তাকে অনন্য বৈশিষ্ট্য দিয়েছে বলেই তাকে ভক্তরা ‘নায়করাজ’ সম্বোধনে সম্মানিত করেন। কলকাতা থেকে ঢাকায় এসে জীবন সংগ্রামে সমর্পিত এই গুণীজন ধীরে ধীরে সাফল্যের শিখরে উঠে উদাহরণ সৃষ্টি করেন। কিছুদিন আগে বাংলাদেশ প্রতিদিনে তার সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছিল। ওই সাক্ষাৎকারটি পাঠকদের জন্য আবারও তুলে ধরা হলো। সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন— সামিয়া রহমান

 

আপনার গল্প শুনতে এসেছি। কিন্তু তার আগে জানতে চাই আপনার শরীর কেমন?

আমার শরীর এখন ভালো আছে। আমি রেস্টে আছি।

 

শুনেছি আপনি অনেক জেদি ছিলেন, খুব আদরের ছিলেন এবং খেলাধুলায় খুব ভালো ছিলেন।

বাপ-মার সবচেয়ে ছোট সন্তান আমি। বয়সের কথা বলতে পারব না, জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই ভীষণ দুষ্টু ছিলাম। স্কুল লাইফ থেকে আমার অভিনয়ে হাতেখড়ি। তখন আমি ক্লাস সেভেনে পড়তাম। আমি আসলে গোলকিপার ছিলাম। এক্সিডেন্টলি আমাকে নাটকে অভিনয় করতে হলো স্কুলে। একটা নাটকে অভিনয় করার পর ওই যে বলে না নেশা, নেশা হয়ে গেল। পাড়ায় নাটক করা শুরু করলাম, ছোট ছোট চরিত্র ছিল। আমাদের পরিবেশটাও ছিল ভীষণ আর্টিস্টিক। আমার স্কুল এবং বাড়ির আশপাশে সব বিখ্যাত বিখ্যাত শিল্পী থাকতেন।

 

কারা ছিলেন তখন?

ছবি বিশ্বাস, কানন দেবী, বসন্ত চৌধুরী। তাদের দেখতাম আমি, বিশাল ভাগ্যবান ছিলাম। আমাদের তরুণ চিত্র বলে একটা ক্লাব ছিল। তার প্রেসিডেন্ট ছিলেন ছবি বিশ্বাস। তার কাছে কবিতা শেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। তারপর যখন ম্যাট্রিক পাস করলাম পুরোপুরি নাটকে চলে গেলাম। খেলা বন্ধ হয়ে গেল। এর মাঝখানে আমি চলে গেলাম মুম্বাই।

 

আপনি কোনো ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে গিয়েছিলেন...

তখন তো পুনে ছিল না, ফিল্মালয় ছিল। শঙ্খনাদ মুখার্জির একটা স্টুডিও ছিল। ওখানে একটা ফিল্ম ইনস্টিটিউট তিনিই করেছিলেন। আমি সেখানে ৯ মাসের মতো একটা ট্রেনিংয়ে ছিলাম। তারপর আবার কলকাতায় ব্যাক করে পুরোদমে নাটক করি। তখন ফিল্মে আমার যে বয়স, আমার যে নাট্যগুরু ছিলেন পীযূষ বোস, তিনি একজন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক। উনি তখন বলতেন, তুমি অভিনয় করে যাও, করতাম। তারপর এই করতে করতে তো ফিল্মে। কিন্তু তিনি খুব একটা আমাকে অ্যালাউ করতেন না। তখন আমি আমার বয়সের সন্ধিক্ষণে তো।

 

মানে অভিনয় না শিখে ফিল্মে যাওয়া তিনি পছন্দ করতেন না।

কিশোর ক্যারেকটার করার জন্য আমাকে না করতেন। এগুলো থেকে পরে আর কিছু করা যায় না। এর মাঝখানে আমার বিয়ে হলো।

 

হ্যাঁ, আমি এই গল্পটা শুনতে চাই। মাত্র ১৯ বছর বয়সে বিয়ে। পরিবার থেকে তড়িঘড়ি বিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

আমরা খুব কনজারভেটিভ ফ্যামিলি ছিলাম। মোল্লা পরিবার। ভাই-বোনদের ভয় ছিল যে কোনো সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। যেহেতু নাটক করতাম, অনেক বান্ধবী ছিল। আমি তো নাটক ছাড়ব না। আমাদের বাড়িতে কেউ কিন্তু অভিনয় জগতে আসেনি। তাই তাদের ভয় ছিল। আমার দুলাভাইয়েরা বলল, তুমি বিয়ে কর। আমি জানতে চাইলাম, বিয়ে করলে কী হবে? তাদের উত্তর ছিল, বিয়ে করলে তুমি নাটক করতে পারবে। আচ্ছা নাটক তো ছাড়ব না, বিয়ে করতে রাজি আছি। বিয়ে হলো। তারপর ১৯৬৪ সালে একটা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয় কলকাতায়। তাতে আমাদের বাড়ি খুব ক্ষতিগ্রস্ত হলো।

 

আপনার বাড়িতে আক্রমণ হয়েছিল?

হ্যাঁ, পুরো বাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। আমি তো খুব ফ্রাস্ট্রেটেড হয়ে গেলাম। ভেবেছিলাম মুম্বাই চলে যাব। কিন্তু আমার গুরু পীযূষ বোস আমাকে ইনসিস্ট করলেন ঢাকায় আসার। ১৯৬৪ সালে আমি ঢাকায় চলে আসি। ঢাকায় পরিচিত কেউ ছিল না। জব্বার খান সাহেব ছিলেন। উনি কলকাতায় যেতেন, আমাদের পাশের বাড়ি ছিল সাবিত্রী চ্যাটার্জির বাড়ি।

 

ওহ, আপনার পাশের বাড়ি!

হুম, পাশের বাড়ি। বোধহয় সাবিত্রী চ্যাটার্জির সঙ্গে নাটক শুটিংয়ের কারণে জব্বার সাহেবের ভালো পরিচয় ছিল। আমাদের কাছারি বাড়ি ছিল, সেখানে বসে আমার মেজো ভাইয়ের সঙ্গে গল্প করছিলেন। একদিন আমি রিহার্সেলে যাচ্ছি, মেজদা আমাকে ডাকল। বলল, উনি পাকিস্তানের একজন ফিল্ম ডিরেক্টর। তখনই তার সঙ্গে আমার আলাপ। ১৯৬৪ সালে ঢাকায় এসে উনার সঙ্গে যোগাযোগ করলাম। উনি আমাকে চিনলেন। বললেন, কী সমস্যা? তো আমি বললাম এই ব্যাপার।

আপনি কমলাপুরের একটা বাড়িতে গিয়ে উঠেছিলেন।

হ্যাঁ, ঠাকুরপাড়া, ওখানেই এসে প্রথমে উঠি। আমাদের আত্মীয়স্বজন বলতে পাড়া-প্রতিবেশী কিছু লোক ওখানে ছিল, যারা এক্সচেঞ্জ করে বাড়ি নিয়েছিল। বাড়ি তো না ওটা ঘর। জব্বার খানের সঙ্গে যোগাযোগ করলাম। তিনি বললেন, উজালা ছবিতে তুমি সহকারীর কাজ কর।

 

প্রথমেই কি তিনি আপনাকে অফার দিয়েছিলেন?

আমি তো একজন শিল্পী। সহকারী হিসেবে কাজ করতে আমার খুব আত্মসম্মানে লাগছিল। ছেড়ে দিলাম আমি। এরপর ভীষণ একটা স্ট্রাগলিং সময় গেছে আমার। 

 

আপনি নাকি একবেলা খেয়েও থাকতেন?

তখন আমার সন্তান বাপ্পা, সম্রাট আর একটি মেয়ে ছিল। আমার এখানে কোনো আত্মীয়স্বজন ছিল না। কাজই করতাম শুধু। একটা সময় এলো যখন কোনো কাজ নেই। খুব প্রবলেমে ছিলাম আমরা। সবে পাকিস্তান টেলিভিশন শুরু হয়েছে। জামান আলী খান সাহেব ঘরোয়া বলে একটা নাটকে অফার করলেন। আমি সেটা করি।

 

আপনি একবার সংবাদ পড়ার জন্য তৈরি হয়েছিলেন।

তখন দিশাহারা হয়ে গিয়েছিলাম। শুনলাম ইস্ট পাকিস্তান  টেলিভিশনে বাংলা সংবাদ পাঠক নেওয়া হবে। আমি ওখানে ইন্টারভিউ দিই এবং অ্যালাউ হই। কিন্তু জামান আলী খান মানা করলেন। উনি আমাকে বললেন, তুমি ওয়েট কর। আমি একটা ব্যবস্থা করছি। আমাকে আর সংবাদ পাঠক হতে দিলেন না। তারপর উনি ঘরোয়া নাটকটি করলেন।

 

ভয়েস টোন চেঞ্জ হয়ে যাবে এ রকম কারণে?

যারা সংবাদ পাঠ করে তাদের কিন্তু একটা আলাদা স্টাইল হয়ে যায়। এটা আমার কপালের ব্যাপার। দিন পনেরো পর জামান আলী খান আমাকে ডাকলেন। আমি গেলাম টিভিতে। তখন  কলকাতায় চলে যাব কিনা চিন্তা করছি। স্ত্রী বলল, এসেছ যখন শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ করে দেখা যাক। এই নাটকটা করলাম। তখন সপ্তাহে মাত্র ৬৫ টাকা পেতাম নাটক করে।

 

সেই সময় তো ৬৫ টাকার অনেক দাম ছিল।

অনেক বেশি ছিল। সেটা দিয়ে ঘরভাড়া দেওয়া, বাচ্চা মানুষ করা।

 

তখন কয়জন বাচ্চা ছিল আপনার?

তখন দুটি বাচ্চা হয়ে গেছে। জহির রায়হান সাহেবের সঙ্গে আমি দেখা করেছিলাম। তিনি আমাকে কথা দিয়েছিলেন একটা কাজ দেবেন। ফিল্মে তখন টুকটাক অভিনয় করেছি। ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছি। তারপর আমি যখন একদম এক্সট্রিম খারাপ অবস্থায় তখন এই নাটকটা আমায় কিছুটা সাহায্য করেছিল। তখন ফার্মগেটে থাকতাম। মনে আছে পয়সা বাঁচানোর জন্য ফার্মগেট থেকে ডিআইটি পর্যন্ত হেঁটে হেঁটে যেতাম। হেঁটে আসতাম। সে দিনগুলো আসলে খুব টাফ গেছে আমার জন্য। তারপরে জহির সাহেব আমাকে ডাকলেন। তিনি ছবি শুরু করলেন বেহুলা। বেহুলার শুটিং শেষ করলাম, ছবি রিলিজ হলো। সুপার ডুপার হিট হয়ে গেল। সিলভার জুবিলি হয়ে গেল।

 

আপনাকে এক সময় উত্তম কুমার বলা হতো।

না, তিনি আমার নমস্য। আমার স্বপ্নগুরু ছিলেন। আমি তার ভীষণ ফ্যান ছিলাম, আলাপও ছিল। আমি যখন এখানে অভিনয় শুরু করলাম আমার বয়স তখন মাত্র ২২ বছর। আমি স্টুডেন্ট ক্যারেকটারগুলো করতাম। তখন এখানে কিন্তু উর্দু ছবি চলত। বাংলা ছবি খুব একটা চলত না। বেহুলা, আগুন নিয়ে খেলার পর থেকেই কিন্তু এ দেশে বাংলা ছবির প্রবণতা বাড়ল। পপুলার হলো। তখন এখানে ভারতীয় ও পাকিস্তানি ছবি চলত। কিন্তু আমরা যখন বাংলা ছবি শুরু করলাম, আমার সঙ্গে কবরীর একটা ভালোবাসার সম্পর্ক দেখানো হলো। তখন এখানকার মানুষের একটা স্বাদ পাল্টাল। ওই দেশে সুচিত্রা-উত্তম আর এই দেশে রাজ্জাক-কবরী।

 

এই যে জুটি প্রথা শুরু হলো, আপনি তো জুটি প্রথায় শুধু কবরী আপার কথা বললেন, কিন্তু শাবানা, ববিতা আপার সঙ্গেও তো আপনি একের পর এক সার্থক জুটি দিয়ে গেছেন।

আমার সঙ্গে তখন নায়িকা ছয়জন কাজ করে। আর আমি নায়ক। ডে নাইট কাজ করছি আমি। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল এখানে উর্দু ছবিকে বিদায় করে বাংলা ছবি চালানো। এটা ওয়ান কাইন্ড অব যুদ্ধ ছিল আমাদের। কারণ এখানে উর্দু ছবি তখন দাপটের সঙ্গে চলত। লাহোরের ছবিগুলো আসত। নাচে, গানে, মারামারিতে একদম বিরাট অবস্থা তাদের। সেখান থেকে বেরিয়ে আসা খুব কষ্ট ছিল। আমরা তখন আমাদের সমাজের ছবি, আমাদের গল্প নিয়ে ছবি করা শুরু করলাম। মাঝখানে আমার আর কবরীর ক্লিকটা হলো। রোমান্টিক পেয়ার। একটা ইন্ডাস্ট্রিতে যদি রোমান্টিক পেয়ার না আসে, ওই ইন্ডাস্ট্রির চলা খুব মুশকিল হয়। শাবানার সঙ্গে আমি বেশি ছবি করেছি, তবে কবরীর সঙ্গে আমার যেটা ছিল, সেটা ছিল পেয়ার। মানে মানুষের চোখের সামনে...।

 

তাহলে আপনার অভিনীত জুটিগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ কোনটি?

জুটি যদি বলা হয়, রোমান্টিক জুটি কবরী। কারণ শাবানার সঙ্গে আমি প্রচুর হিট ছবি দিয়েছি। আমার সঙ্গে শাবানার বা ববিতার দুজনেরই হিট ছবি আছে। কিন্তু জুটি যেটা, রোমান্টিক জুটি, চোখ বন্ধ করে আবালবৃদ্ধবনিতা সবাই বলত যেটা, সেটা হচ্ছে কবরী। কেননা কবরীর সঙ্গে আমার একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিং ছিল। জানি না, স্ক্রিনেও বোধহয় একটা এক্সসেপ্টেশন ছিল। কবরীকে অস্বীকার করার উপায় নেই।

 

আমাদের সাংবাদিকদের অভ্যাস পেছনের খবর খুঁড়ে আনা। যখনই জুটি সার্থক হয় তখন নানা রকম রসালো গল্প খুঁজে বের করার চেষ্টা করি। এমন কোনো গল্প আপনাকে বিব্রত করেছে?

কবরীকে নিয়ে অনেক সময় বিব্রত হয়েছি আমি। কিন্তু সত্যি কথা বলি, কবরীর সঙ্গে আমার এমন একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিং ছিল, মানে দুজন মিলে কাজ করতাম, কাজের সময় ভীষণভাবে আমরা একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম।

 

দুই-একটা গল্প শুনি আপনার কাছ থেকে। 

না, গল্প আর কি। আমাদের প্রতি নির্ভরশীল ছিল ইন্ডাস্ট্রি। অনেক সময় হয় না, নানা কারণে ঝগড়া হয়, কিন্তু কোনো রকম স্বার্থের জন্য নয়, এমনি খামোখাই। কিন্তু ওর সঙ্গে আমার আন্ডারস্ট্যান্ডিং খুব ভালো ছিল। আমরা ঝগড়া যেমন করেছি, বন্ধুত্বও তেমনি ছিল। আর শাবানার সঙ্গে একদম প্রফেশনাল ছিল ব্যাপারটা। সে খুব রেসপেক্টফুল। আমার ফ্যামিলিকে খুব রেসপেক্ট করত।

 

আর ববিতা আপা?

ববিতাকে আমার হাতে ধরে আনা। সুচন্দা, তার বড় বোন আমার নায়িকা ছিল। এক ছবিতে আমার মেয়ের পার্টও করেছে ববিতা। পরবর্তী পর্যায়ে সে আমার নায়িকা হলো। অসম্ভব সুন্দর মেয়ে এবং সে আমাকে বড় ভাইয়ের থেকে বেশি শ্রদ্ধা করে। এখনো করে।  কিন্তু কবরীর সঙ্গে আমার সেই আন্ডারস্ট্যান্ডিংটা ছিল না। 

 

আপনাদের জুটি প্রথার কারণে, আপনাদের আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের কারণে অনেক ভালো ভালো সিনেমা আমরা পেয়েছিলাম। আপনি বলছিলেন যে, তখন দর্শকও খুব ভালো ছিল। কিন্তু তখনকার ইন্ডাস্ট্রি আর এখনকার ইন্ডাস্ট্রি কি বদলে গেছে বা আমাদের মানসিকতা কি পরিবর্তিত হয়েছে?

আমাদের মানসিকতা চেঞ্জ হয়েছে। ইন্ডাস্ট্রিও চেঞ্জ হয়েছে। তখনকার যারা পরিচালক ছিলেন তারা প্রত্যেকে ছিলেন শিক্ষিত লোক। তাদের একটা ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল। তারা অনেক কষ্ট করে ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলেন। আমরা শিল্পী যারা ছিলাম প্রত্যেকে  ট্রেইন্ড আর্টিস্ট ছিলাম। শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি আনোয়ার হোসেন, হাসান ইমাম, শওকত আকবর, খলিল, ফতেহ লোহানি, কাজী খালেক, সুমিতা দেবী, রানী সরকারকে। এরা কিন্তু অনেক কষ্ট করে ফিল্ম করেছিলেন। অনেক কষ্ট করে। তখন তাদের যে পয়সা দেওয়া হতো সেই পয়সা কোনো পয়সাই নয়। কিন্তু তারা চলচ্চিত্রের প্রতি নেশার ঘোরেই কাজ করে গেছেন।

 

তাহলে এখন কি নেশাটা ছুটে গেছে, আমরা এখন সব প্রফেশনাল হয়ে গেছি?

তেমনি সেটা। এখন কিন্তু আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বলেন, নাটকের জগৎ বলেন সব প্রফেশনাল হয়ে গেছে।

 

আপনার একটা সাক্ষাৎকারে পড়েছিলাম, আপনি বলেছিলেন যে, আমরা সাংবাদিকরা সবাইকে সুপারস্টার বানিয়ে দিই বা হিট বলে দিই। কিন্তু এখনকার অভিনেতা-অভিনেত্রী অনেকে রাস্তা দিয়ে গেলেও কেউ তাদের দিকে ফিরেও তাকায় না।

কথা হচ্ছে, তখন আমরা যারা কাজ করেছি, এ দেশের সাংবাদিকরা আমাদের কাজের জন্য গাল দিয়েছে, সমালোচনা করেছে। কিন্তু আড়ালে বলেছে, এই আর্টিস্টদের দ্বারা হবে। কিন্তু এখন একটি ছেলে বা একটি মেয়ে এলে, একটা ছবি শেষ করার আগেই আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা রাতারাতি তাদের সুপারস্টার বানিয়ে দেন। কেউ রাজ্জাক হয়ে গেছে, কেউ কবরী হয়ে গেছে, কেউ শাবানা হয়ে গেছে। তাদের হয়ে যায় মাথা গরম। বেসিক ট্রেনিংটা কিন্তু তাদের নেই।

 

যেমন আপনি বলেছিলেন, পীযূষ বোস আপনাকে বলেছিলেন ছোট অবস্থায় অভিনয় করা যাবে না, একেবারে অভিনয় শিখে অভিনয় করতে হবে। সেই জিনিসটা নেই?

তিনি বলতেন, আজকে যদি তুমি শিশু চরিত্রে, কিশোর চরিত্রে অভিনয় কর তবে কোনো দিন হিরো হতে পারবে না। এক্সাম্পল দিতেন সুখেন দাশের। অসম্ভব ভালো একজন অভিনেতা, বাচ্চাদের অভিনয় করতেন। আপনারা অনেকে দেখেছেন, পরবর্তী পর্যায়ে কিন্তু এত ভালো অভিনেতা হওয়ার পরও তিনি হিরো হতে পারেননি। এরকম আরও অনেক ছিল। তিনি আমাকে আটকে রাখতেন, বলতেন তুমি এখন ছবি কর না। কিন্তু এখন যারা আসছে আমাদের দেশে এই ছেলেগুলোর কিন্তু কোনো বেসিক ট্রেনিং নেই। কেউ নাটক থেকেও আসেনি। ফিল্ম থেকে দুই-একজন এসেছে, তাদের আমরা কাজে লাগাতে পারিনি।

 

সমস্যাটা কোথায়? এখনকার জেনারেশনের কি ধৈর্য নেই?

আমাদের সময়ে চলচ্চিত্রকে অন্য নজরে দেখা হতো। এখনকার চলচ্চিত্রটা কি আলাদা জগৎ? কিন্তু না, একই তো মিডিয়া। আমিই তো টিভি থেকে এসেছি। আমি নাটক করেছি কলকাতায়, এখানেও প্রচুর নাটক করেছি। কিন্তু আমি ফিল্মটাকে আমার প্রফেশন করে নিলাম। কিন্তু এখনকার ছেলেমেয়েরা টিভি থেকে এসে মনে করে যে ফিল্মটা আলাদা, টিভিটা আলাদা। ওই আর্টিস্টগুলোকে কিন্তু আমরা পাচ্ছি না।

 

আপনি অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক তিনটি ক্ষেত্রেই কাজ করেছেন। কোন ক্ষেত্রে নিজেকে সফল বলে মনে করেন?

আমি তো একজন শিল্পী। এত শ্রদ্ধা-ভালোবাসা পৃথিবীর অন্য  কোনো নায়ক পেয়েছে কিনা আমি জানি না। আজকে পাঁচ-ছয় দশক ধরেই আমি কাজ করছি এই চলচ্চিত্রে। আমি যখন ফিল্মে আসি এ দেশে তখন ছিল ৩০০ সিনেমা হল। লোকসংখ্যা ছিল পাঁচ কোটি। ২০০৫ সালে যখন নায়কের চরিত্র থেকে সরে এলাম তখন এ দেশের জনসংখ্যা হলো ১৬ কোটি, সিনেমা হল ছিল ১২০০। এখন দুঃখের সঙ্গে বলছি, সিনেমা হল তো কমেছেই, ১২০০ থেকে ৩০০-তে এসেছে। আর দর্শক তো এখন যায় না সিনেমা হলে। লোকসংখ্যা বেড়েছে। আমি ভাগ্যবান এই জন্য যে, পাঁচ কোটি থেকে ১৪ কোটি মানুষের দর্শক, আমি তাদের হিরো। তারা আমাকে শ্রদ্ধা করে, ভালোবাসে।

 

আপনি এক সময় রোমান্টিক হিরো ছিলেন, তারপর রংবাজ দিয়ে একটা অ্যাকশন ধারা তৈরি করলেন।

আমার কাছে সবসময় ডেপথে যেসব ক্যারেকটার ছিল সেগুলো ভালো লাগত। রংবাজের কারণ হচ্ছে স্বাধীনতার পর সেভেন্টি টু থেকে এখানে দর্শকরা একটু ফার্স্ট ছবি দেখতে চাচ্ছিল। স্বাধীনতার পরপর এখানকার ছেলেমেয়েরা, ইয়াং জেনারেশন কলকাতায় যাচ্ছে। ওখানে হিন্দি ও বাংলা ছবি দেখছে।

 

আপনার প্রথম পরিচালিত ছবি অনন্ত প্রেম। সেখানে একটা বিয়োগান্ত কাহিনী ছিল। পরিচালক হিসেবে কি মনে হয়েছে দর্শক আসলে বিয়োগান্ত বিষয়গুলো বেশি পছন্দ করবে?

আমার বিয়োগান্ত ছবির একটা ইতিহাস আছে। তখন পর্যন্ত আমি কিন্তু বাংলাদেশে কোনো ছবিতে আমার মৃত্যু দেখাইনি। রংবাজ সুপারহিট হওয়ার পর আমি একটা সাবজেক্ট পেলাম, তিন পাতার একটা গল্প ছিল বেঈমান। ওটাকে নিয়ে আমি রিসার্চ করলাম, আমি আমার বন্ধু জওহরকে নিয়ে বসলাম। একটা স্ক্রিপ্ট কর। সে বলল, তোমার মাথা খারাপ হয়েছে? তুমি কোনো রকমে অ্যাকশন ছবি বানিয়ে পার পেয়ে গেছ, তুমি কবরীর কোলে মাথা রেখে মরবে, পৃথিবীর কোনো দেশ এটা এক্সেপ্ট করবে না। বাংলাদেশে তো নয়-ই। আমি বললাম, আমি দেখি, তুমি গল্প রেডি কর। এই আমরা বেঈমান স্ক্রিপ্ট রেডি করলাম। অনেক দিন ধরে রিসার্চ করলাম। সেই প্রথম বাংলাদেশে বিয়োগান্ত ছবি, যেখানে আমি হিরো কবরীর কোলে মাথা রেখে মরে যাচ্ছি। আর কবরী তখন হটকেক, আমি আর কবরী। দর্শকদের কাছে, ইন্ডাস্ট্রির কাছে। সবাই আমাকে বললেন যে, রাজ্জাক তুমি এটা কর না। রংবাজ কোনোভাবে দিয়েছে টাকা, সব মার যাবে।

 

অর্ডিয়েন্স নেবে না?

আমি খুবই জিদ্দি আর ডেস্পারেট। আমি শখ করে নতুন কিছু একটা করতে চাই। আমি বানালাম বেঈমান। এখানে বানালাম ফিফটি পার্সেন্ট আধুনিকতা, বাকিটা জঙ্গলে গিয়ে বানালাম। ছবি আনলাম, কমপ্লিট করলাম। শুটিংয়ে লোকজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দিলাম, দেখলাম কী করছে? সবাই বলতেন অভিনেতা হিসেবে তো আমার তুলনা হয় না, কবরীও তো। কিন্তু দর্শক নেবে কিনা? আমি বললাম, দর্শকদের আমি নেওয়াব। আমরা রিলিজ করলাম ছবি। প্রথম শো হওয়ার পর আমি ভাবছি ফ্লপ হবে ছবি, বাসায় বসে আছি। আমার ওই ছবি রংবাজ থেকেও বেশি ব্যবসা করে। রংবাজ থেকেও বেশি পপুলার হয়। বেঈমান ছবিতে আমার মনে আছে এখনো, আমার ফ্যান যারা ওরা যখন বাড়িতে এসে বলে, এই দেখেন ২০টা টিকিট, কেউ ২৫টা টিকিট দেখাচ্ছে। এতবার দেখেছি আমরা। এই প্রথম ছবি আমি করলাম, কবরীর কোলে মাথা রেখে মারা গেলাম। কবরী বলত, তুমি কি একটা বাজে লোক। কেন? তুমি দর্শকের সঙ্গে চিট কর। বললাম, কেমনে চিট করি? বলল, তুমি কী করে জানলে তুমি মরে গেলে আমার কোলে মাথা রেখে, দর্শক ছবি দেখবে।

 

দর্শকের ইমোশনটাকে বুঝতে পেরেছিলেন?

আমি কবরীকে বললাম, দেখ, আমার পপুলারিটি তোমার পপুলারিটি কাজে লাগাতে হবে। তুমি আমাকে ভালোবাসছ কিন্তু আমি তোমাকে ভালোবাসিনি। ছবিটি কিন্তু তাই চাচ্ছে, গল্পেও তাই আছে। শহরে নায়িকার সঙ্গে চোট খেয়ে আমি চলে যাই জঙ্গলে। জঙ্গলে এই মেয়েটির সঙ্গে দ্বন্দ্ব হয়। মারামারি হয়। সে আমাকে মারে। তারপর সে আমার প্রেমে পড়ে যায়। আমি তাকে ভালোবাসিনি। জীবনে একবার ভালোবাসা বিফলে গেছে। ভালোবাসি না। আমার বেঁচে থাকার দরকার নেই দর্শক জানে। কবরীর সঙ্গে প্রেম হবে না। এই নায়কের তো বাঁচার কোনো অধিকার নেই। তখনকার দিনে বেঈমান সুপার ডুপার হিট।  বেঈমানের ওপর নির্ভর করে আমরা অনন্ত প্রেমটা বানালাম। অনন্ত প্রেমের শেষ দৃশ্যে অবশ্য দুজন মারা যাচ্ছি। আমি ববিতা দুজনেই মারা যাচ্ছি। অসম্ভব ভালো রোমান্টিক গল্প। অনন্ত প্রেম মনে হয় একটু অ্যাডভান্স বানিয়ে ফেলেছিলাম। আমার ছবিটা ভাঙিয়েই কিন্তু কেয়ামত সে কেয়ামত বানাল ইন্ডিয়ায়। সুপার ডুপার হিট হয়ে গেল আমির খানের প্রথম ছবি। কিন্তু আমি আর এই অনন্ত প্রেমের মতো ছবি বানাতে পারলাম না। অসম্ভব ভালো ছবি, অসম্ভব যত্ন নেওয়া ছবি এবং সবচেয়ে দুঃখ কি! এফডিসির ভল্টে তখন নেগেটিভ রাখা হতো। আমার ছবিটাসহ আরও কয়েকশ ছবির নেগেটিভ ড্যামেজ হয়ে যায়। এখন অনন্ত প্রেমের একটা ফ্র্রেমও আমরা খুঁজে পাব না।

 

এত অসাধারণ ছবি, কিন্তু এটি আমাদের কাছে আর নেই।

অসাধারণ ছবি আর আমার জীবনের প্রথম ছবি। অনেকে বলেছে, রিমেক করতে। স্ক্রিপ্ট আছে আমার কাছে। রিমেকের জন্য আমি চিন্তা করেছিলাম। কিন্তু আমার দুই ছেলে সম্রাট, বাপ্পা, বিশেষ করে সম্রাট বলছে, ইট ইজ ইম্পসিবল। অনন্ত প্রেম রাজ্জাক যেটা করেছে সেটা করা আমাদের কারও পক্ষে সম্ভব না। আমার ঠাকুরদারাও পারবে না। এ দেশের দর্শক নেবে না। আপনি রিমেক করবেন না। কারণ আপনার কিছু ছবি আছে যা রিমেক করলে কিন্তু জীবনেও চলবে না এবং তার প্রমাণও হয়ে গেছে।

 

আচ্ছা এই নায়করাজ উপাধিটা কীভাবে এলো?

এটা মানুষের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা। সাংবাদিকদের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা। এখানকার সাংবাদিকরা আমার শততম ছবি মুক্তি পাওয়ার আগে, তারাই এটার জন্য, বিশেষ করে উদ্যোক্তা ছিল আহমেদ জামান চৌধুরী, চিত্রালীর। তারা মিলে আমাকে এই উপাধিটা দেয়। আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তোমরা কেন দিলে? ওদের উত্তর ছিল ওপার বাংলায় যদি মহানায়ক বলা হয়। আপনাকে আমরা নায়করাজ বলি। এ উপাধিটা পাওয়ার পর নিজেকে খুব ধন্য মনে করেছিলাম। আমি গর্বিত, কিন্তু কোনো দিন অহংকার হয়নি আমার।

 

আপনি বার বার উত্তম কুমারের নাম বলছিলেন। আপনার পছন্দের অভিনেতা-অভিনেত্রী কে? তার কোনো প্রভাব কি আপনার অভিনয়ে পড়েছিল?

আমার তো পছন্দের এক নম্বর অভিনেতা ছিলেন উত্তম কুমার।  না, আমি তাকে শ্রদ্ধা করতাম। কিন্তু পাওয়ার চেষ্টা করতাম, তার শ্যাডো যেন আমার মধ্যে না আসে। কী কারণে একজন হয়তো বলে ফেলত। অমুক সিনটায় আপনি একটুখানি উত্তম কুমারের মতো করেছেন। এমন হতে পারে যে, হয়তো আমার মনের অজান্তে আমি করে ফেলেছি। আমি ভাগ্যবান ব্যক্তিগতভাবে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। আগে তো দুই-একবার তাকে দেখেছি। যখন নাটক করতাম তার ভাই ছিলেন তনুজ কুমার। তার সঙ্গে দেখা করতে আমি স্টুডিওতে যেতাম। তখন আমি একেবারেই যুবক। উনি আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন উত্তম কুমারের সঙ্গে। পরবর্তী পর্যায়ে যখন আমি হিরো হলাম, এখান থেকে সেভেন্টি ওয়ানে গেলাম। আমার গুরু পীযূষ বোস। তার সব ছবিতে কিন্তু উত্তম কুমার অভিনয় করেছেন। এই একদিন দেখা হলো। উনি বললেন,  কেমন আছ তুমি? শুনলাম তুমি নাকি ওখানে উত্তম কুমার হয়ে  গেছ। আমি বললাম, বলেন কি দাদা। উত্তম কুমার বলেছিলেন, লোকে বলে তুমি নাকি খুব ভালো করছ। উত্তম কুমার তার ছেলের বিয়ের কার্ডও আমাকে পাঠিয়েছিলেন। তারপর তো তিনি মারা গেলেন।

 

আর কে কে আছেন উত্তমের পর আপনার পছন্দের তালিকায়?

উত্তম কুমারের পর অভিনেত্রী হিসেবে নার্গিসকে আমি খুব উঁচু দরজায় দেখতাম। আমি তাকে খুব সাপোর্ট করতাম অভিনেত্রী হিসেবে। অভিনেতা আর একজন ছিলেন দিলীপ কুমার। উনি আমার খুব শ্রদ্ধেয় শিল্পী।

 

আপনি সেই সময়ের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কথা বললেন। সালমান শাহর কথা জানতে চাই?

সালমান শাহ। চেষ্টা ছিল। সে সময়ে-অসময়ে আমার কাছে আসত এবং সে ওপেনলি বলত, আমি রাজ্জাককে বেচে খাচ্ছি। আমি বলতাম, তুমি আমাকে বেচে খাচ্ছ, এটা বল না। সে আমাকে বলত আব্বা। বলত, আব্বা যেটা সত্যি সেটা স্বীকার করছি। তার ভালো সুযোগ ছিল। ওই যে বললাম না, ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। আমার ডানে-বাঁয়ে যে কোনো কারণে হোক শুধু তালি আর মালা। এত তালি আর মালা হজম করা খুব কষ্টের ব্যাপার, সামিয়া। আমার সমসাময়িক যারা ছিল, তাদের দুই-একজন ভালো কাজ করেছে। আমি তাদের নামও নেব।  

 

আপনার জীবন নিয়ে কোনো গল্প লেখার ইচ্ছা আছে?

লিখছি, বায়োগ্রাফি যেটা বলে। কিন্তু এত জীবনী, আমার এত ইন্টারভিউ দিয়েছি, এ দেশে। এগুলো এক করলে তো বিরাট এক বই হয়ে যাবে।

 

তারপরও ছোট ছোট অনেক গল্প রয়েছে।

অনেক গল্প রয়েছে। আজকে আমি তোমাকে বললাম যেটা সেটা আমি কোনো ইন্টারভিউতে বলিনি। যেমন কবরীর সঙ্গে আমার সম্পর্কটা। এ সম্পর্ক যে কি আমি নিজেই জানি না। আমার স্ত্রীও বলত, এই তুমি কি প্রেম কর? আমি বলি, না। কবরীর স্বামী বলত, এই বেটা আমার বউয়ের সঙ্গে কী? আমি বলতাম, জিজ্ঞাসা কর। কী সব ধারণা ছিল মানুষের। ভাবত, আরে কি দারুণ চুটিয়ে প্রেম করছে। সাংবাদিকরা কত চেষ্টা করেছেন আমাদের কিছু একটা ধরার জন্য। পরে বলে ধ্যাত। দুই-একজন সাংবাদিক মরে গেছেন, আমার বন্ধু। এটা একটা ঐশ্বরিক ব্যাপার বলব আমি। আমাদের মধ্যে এই আন্ডারস্ট্যান্ডিংটা কেন হলো, কী জন্য হলো জানি না। আজ কবরীও বেঁচে আছে। সেও একটা ইন্টারভিউতে স্বীকার করেছে।

 

আপনাদের সেই সম্পর্কটা কি এখনো আছে?

এখনো আছে। দেখা হলে। সে একটা অন্য লাইনে চলে গেছে। ব্যস্ততা আছে। মাঝখানে আমাদের মধ্যে একটা গণ্ডগোল হয়েছিল। সে যখন দ্বিতীয় বিয়েটা করল। আমার সঙ্গে তার ঝগড়া হয়ে গেল। আমি খুব মাইন্ড করেছিলাম। এখন আবার আমরা ঠিক হয়ে গেছি।

 

আপনি আপনার ঐশ্বরিক সম্পর্কের কথা বললেন। কিন্তু আপনার জীবনের সঙ্গে যিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন, আছেন, সেই ১৯ বছর বয়স থেকে এবং আপনার সবকিছুতে তার নামটি জড়িয়ে আছে। তার কথা শুনতে চাই।

ও আমার জীবনের ফেরেশতা। লক্ষ্মীর কথা বলছ তো? লক্ষ্মী না থাকলে কিন্তু রাজ্জাক এই জায়গায় আসতে পারে না। পারত না। আমি যেটা বললাম না, কত কথা, কত ঝামেলা, মেয়েদের নিয়ে জড়িত কত স্ক্যান্ডাল হয়েছে। তার সামনেই ড্রয়িংরুমে মেয়েরা আমাকে জড়িয়ে ধরেছে। চুমো দিচ্ছে। সে দেখছে কিন্তু তাতে  কোনো অবজেকশন নেই। আমি বললাম যে, তুমি অন্যকিছু মনে করছ না তো? ও বলে, লাভ কী? আমি জানি তো তুমি ফিরে আসবে। তার একটা ধৈর্য ছিল। আমাকে কী করে একদম টপে নেবে। সে তার সংসার সামলাত, বাচ্চাদের সামলাত। আমার জীবনে লক্ষ্মী একটি আশীর্বাদ। আশীর্বাদ মানে লক্ষ্মী ছাড়া রাজ্জাকের কোনো অস্তিত্ব নেই এবং এটা আমি যেমন জানতাম,  সেও জানত। যার জন্য কিন্তু আমি কোনো রকম অসাবধান হইনি। সামিয়া, আমি তখন রোমান্টিক টপ হিরো। বিশেষ করে মহিলাদের, মেয়েদের অত্যাচার আমি যে কীভাবে সামলেছি। 

 

আর আপনার ছেলেমেয়েদের সম্পর্কে একটু বলবেন?

ছেলেমেয়েরা আমি বললাম না, আমি ভাগ্যবান পিতা। আমার চারটা সন্তান। পাঁচটা সন্তান ছিল। ওদের মধ্যে একটা তো মারা গেছে। আমার মেয়ে আছে। সে অত্যন্ত ভালো আছে। তার জামাই এয়ারফোর্সে আছে। তিন ছেলেকে নিয়ে আমার একান্নবর্তী পরিবার। এক বাড়িতে আছি। ছেলেদের সম্পর্কে একটা কথাই বলতে পারি। খুব ভাগ্যবান পিতা বোধহয় এমন ছেলে পায়। এরকম সুন্দর ছেলে পায়। চরিত্রের দিক থেকে সবদিক থেকে আমার ছেলে সম্বন্ধে আমি আর কী বলব।

 

এবং তারা খুব বিনয়ী।

বিনয়ী। একটা কমপ্লেইন কেউ করতে পারবে না। আপনার  ছেলেকে অমুক জায়গায় সিগারেট খেতে দেখলাম। অমুক বারে মদ খেতে দেখলাম। না তারা এগুলো খায়ই না। সিগারেট তো খায়ই না। সেদিক থেকে আমি এত ভাগ্যবান। আমার ছেলের বউ যারা হয়েছে, তিনটা বউই মাশআল্লাহ আমার পরিবারের সঙ্গে এক হয়ে গেছে। আমাদের সুখে-দুঃখে তারাও আছে।

 

তাহলে নায়করাজ রাজ্জাক নিজেকে সফল বলতে পারেন?

আমি হানড্রেড পার্সেন্ট। না যদি বলি, আল্লাহ নারাজ হবেন। আমি একজন সফল মানুষ। সফল পিতা, সফল পুরুষ, সফল শিল্পী। আমার জীবনে না পাওয়ার কোনো দুঃখ নেই। আমি যা চেয়েছি বরং আল্লাহ তার থেকে বেশি দিয়েছেন। আমি যা চেয়েছি আর আমি যা পেয়েছি এ নিয়ে যেন দুনিয়া থেকে চলে যেতে পারি। কারণ আমি মাঝখানে গত ছয় মাস আগে ভীষণ অসুস্থ হয়ে যখন কোমাতে ছিলাম ১৫ দিন। পরবর্তী পর্যায়ে আমি শুনলাম সারা দেশের মানুষ প্রার্থনা করেছে। মসজিদে নামাজ পড়েছে। হসপিটালে মসজিদ আছে, সেখানে পর্যন্ত আমার ফ্যানরা নামাজ পড়েছে, দোয়া করেছে। এদের ভালোবাসা, এদের দোয়া নিয়েই আজকে আমি এখনো টিকে আছি। আমি সবার কাছে এটাই চাইব, দোয়া। যেন সুস্থভাবে সজ্ঞানে দুনিয়া থেকে যেতে পারি।

 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 

অনুলিখন : সামিয়া রহমান এবং নওশীন জাহান।

এই বিভাগের আরও খবর
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বৃত্তান্ত
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বৃত্তান্ত
ডিজিটাল দুনিয়ায় কী আছে
ডিজিটাল দুনিয়ায় কী আছে
ফিলিপাইন থেকে আসা সেই পেট্রিয়াকা এখন জনপ্রতিনিধি
ফিলিপাইন থেকে আসা সেই পেট্রিয়াকা এখন জনপ্রতিনিধি
ফিরে গিয়ে সিলভা আর যোগাযোগ রাখেননি
ফিরে গিয়ে সিলভা আর যোগাযোগ রাখেননি
বিয়ে করতে সিলেটে উড়ে এলেন ব্রাজিলিয়ান তরুণী
বিয়ে করতে সিলেটে উড়ে এলেন ব্রাজিলিয়ান তরুণী
হোগল-রহিমার অবাক প্রেমে মুগ্ধ সবাই
হোগল-রহিমার অবাক প্রেমে মুগ্ধ সবাই
প্রেমের টানে বাংলাদেশে
প্রেমের টানে বাংলাদেশে
পোপের প্রভাব বিশ্বজুড়ে
পোপের প্রভাব বিশ্বজুড়ে
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের  সংসার
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের সংসার
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
সর্বশেষ খবর
গাজায় যুদ্ধবিরতির চেষ্টা, মার্কিন-ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস
গাজায় যুদ্ধবিরতির চেষ্টা, মার্কিন-ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস

২৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গরমে জিরা পানিতে ঠান্ডা থাকবে পেট, বাড়বে হজমক্ষমতা
গরমে জিরা পানিতে ঠান্ডা থাকবে পেট, বাড়বে হজমক্ষমতা

৫৯ মিনিট আগে | জীবন ধারা

সোমবার সরাসরি আলোচনায় বসছে ভারত-পাকিস্তান
সোমবার সরাসরি আলোচনায় বসছে ভারত-পাকিস্তান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জমজ সন্তানের মা হওয়ার কথা জানালেন অ্যাম্বার হার্ড
জমজ সন্তানের মা হওয়ার কথা জানালেন অ্যাম্বার হার্ড

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

লিভারপুল-আর্সেনালের রোমাঞ্চকর ড্র
লিভারপুল-আর্সেনালের রোমাঞ্চকর ড্র

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্পের এক হুঁশিয়ারিতে কাবু জেলেনস্কি, পুতিনের সাথে আলোচনায় রাজি
ট্রাম্পের এক হুঁশিয়ারিতে কাবু জেলেনস্কি, পুতিনের সাথে আলোচনায় রাজি

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিমিয়ার লিগে টানা সাত ম্যাচে জয়হীন ম্যানইউ
প্রিমিয়ার লিগে টানা সাত ম্যাচে জয়হীন ম্যানইউ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের ২৬ সামরিক স্থাপনায় হামলার দাবি পাকিস্তানের
ভারতের ২৬ সামরিক স্থাপনায় হামলার দাবি পাকিস্তানের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইপিএলে অনিশ্চয়তায় অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা
আইপিএলে অনিশ্চয়তায় অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অজ্ঞাত কারণে হঠাৎ বন্ধ ভারতের মাওবাদী নিধন অভিযান!
অজ্ঞাত কারণে হঠাৎ বন্ধ ভারতের মাওবাদী নিধন অভিযান!

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনার চতুর্থ ধাপও কার্যকরী, জানাল ইরান
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনার চতুর্থ ধাপও কার্যকরী, জানাল ইরান

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: কবে শুরু হচ্ছে আইপিএল?
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: কবে শুরু হচ্ছে আইপিএল?

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

'আওয়ামী লীগের বিচারের আগে কোন নির্বাচন নয়'
'আওয়ামী লীগের বিচারের আগে কোন নির্বাচন নয়'

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিল্লির গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি পিন্ডির দাসত্ব করতে নয়: আসিফ মাহমুদ
দিল্লির গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি পিন্ডির দাসত্ব করতে নয়: আসিফ মাহমুদ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে ৪ জেলায় বজ্রপাতে ১০ জনের মৃত্যু
দেশে ৪ জেলায় বজ্রপাতে ১০ জনের মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এল ক্লাসিকোতে হ্যাটট্রিক করে এমবাপ্পের নতুন রেকর্ড
এল ক্লাসিকোতে হ্যাটট্রিক করে এমবাপ্পের নতুন রেকর্ড

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কর্ণফুলী নদীতে সাম্পান বাইচ
কর্ণফুলী নদীতে সাম্পান বাইচ

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইবির ‘ডি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ
ইবির ‘ডি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাবার মৃত্যুতে এতিমখানায় খাবার দিলেন মুশফিকুল ফজল আনসারী
বাবার মৃত্যুতে এতিমখানায় খাবার দিলেন মুশফিকুল ফজল আনসারী

৫ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

কাভার্ডভ্যান চাপায় নিহত ১
কাভার্ডভ্যান চাপায় নিহত ১

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোহাম্মদপুর থেকে নারী কাউন্সিলর মাহফুজা আক্তার গ্রেফতার
মোহাম্মদপুর থেকে নারী কাউন্সিলর মাহফুজা আক্তার গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তুরস্ক যে কারণে ভারতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন দেয়
তুরস্ক যে কারণে ভারতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন দেয়

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নোয়াখালী জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নির্বাচন
নোয়াখালী জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নির্বাচন

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ময়মনসিংহে ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙে নিহত ২
ময়মনসিংহে ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙে নিহত ২

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রহ্মপুত্র নদে নিখোঁজ সহোদর শিশু, উদ্ধার চেষ্টা ব্যর্থ
ব্রহ্মপুত্র নদে নিখোঁজ সহোদর শিশু, উদ্ধার চেষ্টা ব্যর্থ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাগেরহাটে যুবদলের প্রস্তুতি সভা
বাগেরহাটে যুবদলের প্রস্তুতি সভা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্যক্তি বা সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন
ব্যক্তি বা সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

'রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আ. লীগকে নিষিদ্ধ করলে ভালো হতো'
'রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আ. লীগকে নিষিদ্ধ করলে ভালো হতো'

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
সেনা ম্যাজিস্ট্রেসি বহালে কুচক্রের মাথায় বাজ
সেনা ম্যাজিস্ট্রেসি বহালে কুচক্রের মাথায় বাজ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি ২১ গুণ বেশি, দাবি রিপোর্টে
সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি ২১ গুণ বেশি, দাবি রিপোর্টে

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধে প্রধান উপদেষ্টাকে বার বার পত্র দিয়েছে বিএনপি’
‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধে প্রধান উপদেষ্টাকে বার বার পত্র দিয়েছে বিএনপি’

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আঘাত হানতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা
আঘাত হানতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে’
‘বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে’

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতায় ভারত ‘অপ্রস্তুত, খানিকটা বিস্মিত’: ব্রিটিশ বিশ্লেষক
পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতায় ভারত ‘অপ্রস্তুত, খানিকটা বিস্মিত’: ব্রিটিশ বিশ্লেষক

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে আলোচনায় চীনা যুদ্ধবিমান
ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে আলোচনায় চীনা যুদ্ধবিমান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতিকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধবিরতিকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ঢাকা, জনজীবন দুর্বিষহ
বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ঢাকা, জনজীবন দুর্বিষহ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে : আসিফ নজরুল
নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে : আসিফ নজরুল

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এক যুগ পর স্বজনের বাসায় খালেদা জিয়া
এক যুগ পর স্বজনের বাসায় খালেদা জিয়া

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গেজেট প্রকাশের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বিষয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি
গেজেট প্রকাশের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বিষয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দেশের জন্য যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত’
‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দেশের জন্য যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত’

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতি হলেও সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত নিয়ে অনড় ভারত
যুদ্ধবিরতি হলেও সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত নিয়ে অনড় ভারত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাকে সাধুবাদ বিএনপির
আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাকে সাধুবাদ বিএনপির

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম কেবল নিষিদ্ধ করে থেমে গেলে চলবে না : ইশরাক
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম কেবল নিষিদ্ধ করে থেমে গেলে চলবে না : ইশরাক

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতে বাংলাদেশি প্রবাসী সাংবাদিক ও সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্টদের ইউটিউব চ্যানেলও বন্ধ
ভারতে বাংলাদেশি প্রবাসী সাংবাদিক ও সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্টদের ইউটিউব চ্যানেলও বন্ধ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট সব পেজ বন্ধে চিঠি দেবে বিটিআরসি
আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট সব পেজ বন্ধে চিঠি দেবে বিটিআরসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তুরস্ক যে কারণে ভারতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন দেয়
তুরস্ক যে কারণে ভারতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন দেয়

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিনের শান্তি প্রস্তাব: ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার আহ্বান
পুতিনের শান্তি প্রস্তাব: ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার আহ্বান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিনেমা জগতের কাউকে বিয়ে করতে চাননি মাধুরীর স্বামী
সিনেমা জগতের কাউকে বিয়ে করতে চাননি মাধুরীর স্বামী

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইতিহাসে প্রথম এক দলের ১০ জন রিটায়ার্ড আউট
ইতিহাসে প্রথম এক দলের ১০ জন রিটায়ার্ড আউট

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোদি-শেহবাজকে প্রধান উপদেষ্টার সাধুবাদ
মোদি-শেহবাজকে প্রধান উপদেষ্টার সাধুবাদ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, দেশে বিভক্তির কোনো সুযোগ থাকবে না : আমীর খসরু
ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, দেশে বিভক্তির কোনো সুযোগ থাকবে না : আমীর খসরু

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১১ মে)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১১ মে)

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দিল্লির গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি পিন্ডির দাসত্ব করতে নয়: আসিফ মাহমুদ
দিল্লির গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি পিন্ডির দাসত্ব করতে নয়: আসিফ মাহমুদ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমাকে আনফলো করুন, কিছুই বলব না: হিনা খান
আমাকে আনফলো করুন, কিছুই বলব না: হিনা খান

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে করণীয়
হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে করণীয়

১২ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

প্রিন্ট সর্বাধিক
তামিমকে ঘিরে তোলপাড় চট্টগ্রামের রাজনীতি
তামিমকে ঘিরে তোলপাড় চট্টগ্রামের রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

সেলুকাস! ইঁদুরের গর্তে বসে দেখে মহাকাশ!
সেলুকাস! ইঁদুরের গর্তে বসে দেখে মহাকাশ!

সম্পাদকীয়

গরু আসার নতুন রুট
গরু আসার নতুন রুট

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আলুর কেজি ৬ টাকা কৃষকের মাথায় হাত
আলুর কেজি ৬ টাকা কৃষকের মাথায় হাত

পেছনের পৃষ্ঠা

ঘুমিয়েই পার ২৫ বছর
ঘুমিয়েই পার ২৫ বছর

পেছনের পৃষ্ঠা

টরন্টোতে ফুলেল শুভেচ্ছায় কিংবদন্তি সাবিনা ইয়াসমিন
টরন্টোতে ফুলেল শুভেচ্ছায় কিংবদন্তি সাবিনা ইয়াসমিন

শোবিজ

সাধুবাদ জানিয়েছে সব দল
সাধুবাদ জানিয়েছে সব দল

প্রথম পৃষ্ঠা

চ্যাম্পিয়ন জিমন্যাস্ট শাহিনের কথা কেউ মনে রাখেনি
চ্যাম্পিয়ন জিমন্যাস্ট শাহিনের কথা কেউ মনে রাখেনি

মাঠে ময়দানে

এক পিস ডাব ২০০ টাকা
এক পিস ডাব ২০০ টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

একদিকে গরম অন্যদিকে বজ্র
একদিকে গরম অন্যদিকে বজ্র

প্রথম পৃষ্ঠা

পুঁজিবাজার নিয়ে পাঁচ নির্দেশনা
পুঁজিবাজার নিয়ে পাঁচ নির্দেশনা

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রথম ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে উরুগুয়ে-আর্জেন্টিনা
প্রথম ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে উরুগুয়ে-আর্জেন্টিনা

মাঠে ময়দানে

ফের গান-স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ত কুমার বিশ্বজিৎ
ফের গান-স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ত কুমার বিশ্বজিৎ

শোবিজ

রিয়ালকে হারিয়ে শিরোপার কাছে বার্সা
রিয়ালকে হারিয়ে শিরোপার কাছে বার্সা

মাঠে ময়দানে

বাদলের মাঠেই মোহামেডানের উৎসব?
বাদলের মাঠেই মোহামেডানের উৎসব?

মাঠে ময়দানে

অ্যাডামসের বিদায়ঘণ্টা
অ্যাডামসের বিদায়ঘণ্টা

মাঠে ময়দানে

ভুটানকে হারিয়ে সেমিতে বাংলাদেশ
ভুটানকে হারিয়ে সেমিতে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

এ জেড স্পোর্টিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন
এ জেড স্পোর্টিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন

মাঠে ময়দানে

১৮ ক্যাটাগরিতে চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড
১৮ ক্যাটাগরিতে চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড

শোবিজ

তুষির রঙ্গমালা
তুষির রঙ্গমালা

শোবিজ

ঢাকাই ছবিতে যা কিছু প্রথম
ঢাকাই ছবিতে যা কিছু প্রথম

শোবিজ

মহীয়সী মায়ের শিক্ষায় শিশুর ভবিষ্যৎ
মহীয়সী মায়ের শিক্ষায় শিশুর ভবিষ্যৎ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউক্রেনের সঙ্গে ‘সরাসরি আলোচনার’ প্রস্তাব পুতিনের
ইউক্রেনের সঙ্গে ‘সরাসরি আলোচনার’ প্রস্তাব পুতিনের

পূর্ব-পশ্চিম

এবার বাতিল হচ্ছে নিবন্ধন
এবার বাতিল হচ্ছে নিবন্ধন

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপজ্জনক গোয়েন্দা তথ্যেই থামল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ!
বিপজ্জনক গোয়েন্দা তথ্যেই থামল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ!

প্রথম পৃষ্ঠা

রোডম্যাপ না দিলে জনগণ রাস্তায় নামবে
রোডম্যাপ না দিলে জনগণ রাস্তায় নামবে

নগর জীবন

সারা দেশে আনন্দ মিছিল মিষ্টি বিতরণ
সারা দেশে আনন্দ মিছিল মিষ্টি বিতরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

অল্প দেখা আমেরিকা
অল্প দেখা আমেরিকা

সম্পাদকীয়

ঐক্য না হলে গণতন্ত্র সচল হবে না
ঐক্য না হলে গণতন্ত্র সচল হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা