শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮

ব্রিটেনের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী

আয়রন লেডি মার্গারেট থ্যাচার

সাইফ ইমন
প্রিন্ট ভার্সন
আয়রন লেডি মার্গারেট থ্যাচার

মার্গারেট হিলডা থ্যাচার একজন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এবং কনজার্ভেটিভ পার্টির নেত্রী ছিলেন। তিনি বিংশ শতাব্দীর দীর্ঘ সময় শাসন করা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও ব্রিটেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। তার আপসহীন রাজনীতি ও নেতৃত্বের ধরনের জন্য একজন সোভিয়েত সাংবাদিক তাকে ‘আয়রন লেডি’ বলে খেতাব দেন। তিনি বলতেন, ‘একমত হওয়া মানে আসলে সব বিশ্বাস, নীতি, মূল্যবোধ, নিয়ম বাদ দিয়ে এমন একটা বিশ্বাসে পৌঁছানো, যাতে কেউই বিশ্বাস রাখেন না এবং যার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদও জানান না।’ মার্গারেট থ্যাচারকে নিয়ে আজকের রকমারি—

 

লিংকনশায়ারের গ্রানামের এক সাধারণ মুদি দোকানির পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মার্গারেট থ্যাচার। ৮৭ বছর বয়সে মারা যান ব্রিটেনের সাবেক প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার।

তার বাবা আলফ্রেড রবার্টস মূলত ছিলেন নর্থহ্যাম্পটনশায়ারের বাসিন্দা। তবে তার মা বিট্রাইস ইথেল ছিলেন লিংকনশায়ারের অধিবাসী। মার্গারেটের শৈশব কেটেছে গ্রানামে রেললাইনের ঠিক পাশের একটি বাড়িতে। আর তার বাবা আলফ্রেড রবার্ট এখানে দুটি মুদি দোকানের মালিক ছিলেন। তার বাবা স্থানীয় রাজনীতি এবং ওখানকার মেথডিস্ট চার্চের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ফলে মার্গারেটও একজন কড়া মেথডিস্ট হিসেবে বেড়ে উঠেন। বাবার কাছ থেকেই মূলত পরবর্তী জীবনের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন মার্গারেট।

কারণ তার বাবা ১৯৪৫-৪৬ সালে গ্রানামের মেয়র নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে লেবার পার্টির বিজয় মার্গারেটের বাবাকে মেয়রের পদ ছাড়তে বাধ্য করে। মার্গারেট হান্টিংটন রোডের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করলেও অল্প সময়ের মধ্যেই স্কলারশিপ পেয়ে গ্রানাম গার্লস স্কুলে যোগ দেন।  সেখানকার পাঠ চুকিয়ে তিনি বিশ্বখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়নে পড়াশোনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালেই তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। মার্গারেট থ্যাচারকে সর্বকালের অন্যতম সেরা মেধাবী রাজনীতিক ও ক্ষমতাশালী মহিলা মানা হয়। তার রাষ্ট্র পরিচালনার ধরন এখনো বিশ্বের বড় বড় দেশের শাসকদের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ। ব্রিটেনের শাসনব্যবস্থার শীর্ষে পৌঁছতে তাকে প্রতিনিয়ত লড়াই করতে হয়েছিল। পেরোতে হয়েছিল হাজার প্রতিবন্ধকতা। শুধু তাই নয়, ক্ষমতায় থাকাকালীন তার গৃহীত অনেক সিদ্ধান্তই দারুণ সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। থ্যাচার যখন ক্ষমতায় আসলেন তখন ব্রিটেনে জিনিসপত্রের দাম ছিল তখন বেশ চড়া। বাজেট ঘাটতি ছিল বিপুল। অসন্তোষের জেরে টালমাটাল দশা শিল্পক্ষেত্রের। তখনই কড়া হাতে হাল ধরলেন থ্যাচার। সরকারি খরচ কমিয়ে রাশ টানলেন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির। দরজা খুলে দিলেন বেসরকারি পুঁজির জন্য। সমাজতান্ত্রিক ধ্যানধারণা পাল্টে আধুনিক অর্থনৈতিক ধারণার সূচনা করলেন। তার শাসনামলে তিনি প্রত্যক্ষ ট্যাক্স কমিয়ে দিয়ে পরোক্ষ ট্যাক্স বাড়িয়ে দেন। অর্থের সরবরাহ কমানোর জন্য সুদের হার বাড়িয়ে দেন যাতে করে মুদ্রাস্ফীতি কম থাকে। সরকারি খরচের সীমা রেখা বেঁধে দেন এবং সামাজিক কার্যক্রম, শিক্ষা, আবাসন খাতে ব্যয় কমিয়ে দেন। শিক্ষা খাতে ব্যয় কমানোর জন্য তিনিই প্রথম অক্সফোর্ড গ্র্যাজুয়েট প্রধানমন্ত্রী যাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হয়নি। জঙ্গি শ্রমিক আন্দোলনের ব্যাপারে মার্গারেট থ্যাচার দেখালেন অনমনীয় মনোভাব। খনি শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে অনড় রইলেন প্রায় পুরো এক বছর। তার অদম্য মনোভাবের কারণে  শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হয় শ্রমিক নেতারা। মার্গারেট থ্যাচারের হাত ধরে ধীরে ধীরে পাল্টাতে থাকে ব্রিটেন। ১৯৭৬ সালে রাশিয়াকে উদ্দেশ করে একটি বক্তব্য রাখার পর তাকে ‘আয়রন লেডি’ বা ‘লৌহমানবী’ উপাধি দেয় সোভিয়েত ইউনিয়নের সংবাদ মাধ্যমগুলো। এরপর থেকেই তিনি সারা বিশ্বে আয়রন লেডি হিসেবে সুপরিচিত। সেসময় সোভিয়েত ইউনিয়নের আগ্রাসী মনোভাবকে তাচ্ছিল্য করে তিনি বলেছিলেন, ‘বিশ্বের কর্তৃত্বের কাছে রাশিয়ানরা কিছুই নয়।’ বিশ্বে একরোখা রাজনীতির জন্য থ্যাচারের অন্যরকম পরিচিতি ছিল। বলাচলে নারীনেত্রীদের মধ্যে একরোখা নীতির শাসনের পথপ্রদর্শক তিনি। ঐকমত্যের দর্শনে মার্গারেট থ্যাচারের বিন্দুমাত্র বিশ্বাস ছিল না। বলতেন, ‘একমত হওয়া মানে আসলে সব বিশ্বাস, নীতি, মূল্যবোধ, নিয়ম বাদ দিয়ে এমন একটা বিশ্বাসে পৌঁছানো, যাতে কেউই বিশ্বাস রাখেন না এবং যার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদও জানান না।’ নিজ সিদ্ধান্তে অটল থাকার কারণে তিনি বিশ্ব নেতাদের কাছ থেকেও প্রশংসা কুড়ান। নিজের দেশের অভ্যন্তরীণ রাষ্ট্রনীতি যাই থাকুক না কেন বিশ্বে তিনি সবসময় ভারসাম্য রেখে চলতেন। থ্যাচারের সবচেয়ে কাছের বন্ধু ছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগান। রিগানের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করেছিলেন থ্যাচার। থ্যাচার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অব্যাহতি  নেওয়ার পর ১৯৯১ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এইচ ডব্লিউ বুশের হাত থেকে ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’ গ্রহণ করেন। ব্রিটেনের সর্বোচ্চ ক্ষমতা গ্রহণের পর নৈতিক রাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ এবং সার্বিক অধিকারের ওপর জোর দেন তিনি। ১৯৮৭ সালে এক ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি বলেন, ‘সমাজের ওপর আর কোনো কিছু থাকতে পারে না।’

 

জন্ম ও ছোটবেলা

মার্গারেট থ্যাচারের পুরো নাম মার্গারেট হিলডা রবার্টস। তিনি জন্মে ছিলেন ১৯২৫ সালের ১৩ অক্টোবর লিংকনশায়ারের গ্রান্থামে। তার বাবার নাম ছিল আলফ্রেড রবার্টস ও মায়ের নাম ছিল বিয়েট্রিশ ইথেল। মার্গারেট থ্যাচার গ্রান্থামে বড় হয়েছেন। সেখানে তার বাবার দুটো মুদির দোকান ছিল। মার্গারেট থ্যাচারের বাবা স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন এবং মেথডিস্ট চার্চে ধর্মযাজক হিসেবে কাজ করতেন। আলফ্রেড ১৯৪৫-১৯৪৬ সাল পর্যন্ত গ্রান্থামের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি হান্টিং টাওয়ার রোড প্রাইমারি স্কুলে অধ্যয়ন করেন। অসামান্য মেধাবী মার্গারেট থ্যাচার বৃত্তি পেয়ে কেস্টেভেন অ্যান্ড গ্রান্থাম গার্লস স্কুলে যান। এট ছিল তখনকার সময়ের বিখ্যাত স্কুল। তার রিপোর্ট কার্ড থেকে জানা যায় তিনি খুবই পরিশ্রমী ছিলেন ছাত্রাবস্থায়। এ ছাড়াও তিনি পিয়ানো বাজাতে পারতেন। আবার খেলাধুলাসহ অন্যান্য বিষয়েও বেশ ভালো ছিলেন। যেমন ফিল্ড হকি, কবিতা আবৃত্তি, সাঁতার ও দৌড় প্রতিযোগিতায় ইত্যাদি এক্সট্রাকারিকুলাম এক্টিভিটিসে উত্তরোত্তর উন্নতি করছিলেন।

 

রাজনীতির শুরু

১৯৪৭ সালে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেমিস্ট্রিতে দ্বিতীয় শ্রেণি নিয়ে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। কেমিস্ট্রি পড়ার সময়ই তিনি আইন বিষয়ে পড়ার প্রতি আগ্রহ হন। তখনই রাজনীতি করা নিয়ে ভাবছিলেন। এরপর তিনি নির্বাচনে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কনজার্ভেটিভ অ্যাসোসিয়েশনে। ১৯৪৬ সালে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কনজার্ভেটিভ অ্যাসোসিয়েশনের

প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হন। শুরু হয় থ্যাচারের রাজনৈতিক জীবন। এদিকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করার পর তিনি কলচেস্টারের বি এক্স প্লাস্টিকে রিসার্চ কেমিস্ট হিসেবে যোগ দেন। ১৯৪৮ সালে তিনি আইসিআইতে চাকরির জন্য আবেদন করেন। কিন্তু সেখানে ঠাঁই হয়নি তার। মার্গারেট থ্যাচার খুবই উদ্ধত, একগুঁয়ে স্বভাবের ও স্বমতে ভয়ংকরভাবে অটল থাকা একজন ব্যক্তিত্ব হিসেবে চাকরির জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হন।

১৯৪৮ সালে মার্গারেট থ্যাচার পার্টি কনফারেন্সে যোগদান করেন এবং সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হন। অ্যাসোসিয়েশনের কর্তা ব্যক্তিরা তার প্রতি এতটাই মুগ্ধ ছিলেন যে তারা তাকে ডার্টফোর্ডের প্রার্থী হিসেবে আবেদনের জন্য প্রস্তাব করেন যদিও তিনি অনুমোদিত প্রার্থী তালিকার মধ্যে ছিলেন না। মাত্র ২৫ বছর বয়সে তিনি ডার্টফোর্ডের কনজার্ভেটিভ পার্টির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। পার্টির প্রার্থী হিসেবে বিজয়ের পর দেওয়া ডিনার পার্টিতে মার্গারেট থ্যাচারের সঙ্গে দেখা হয় একজন সম্পদশালী ও সফল ব্যবসায়ী ডেনিস থ্যাচারের সঙ্গে। ১৯৫০ ও ১৯৫১ সালে লেবার পার্টির নিরাপদ আসন ডার্টফোর্ড থেকে তিনি সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেন কিন্তু দুবারই ব্যর্থ হন তবে পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়ে আনেন। একই সঙ্গে সবচেয়ে কম বয়সী এবং একমাত্র মহিলা প্রার্থী হিসেবে মিডিয়া আকর্ষণে সক্ষম হন মার্গারেট থ্যাচার। এ সময়ই মার্গারেট থ্যাচার ও ডেনিস থ্যাচারের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে ডেনিস থ্যাচার ও মার্গারেট থ্যাচার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ১৯৫১ সালে। ১৯৫৩ সালে তাদের যমজ সন্তান ক্যারল ও মার্ক জন্ম গ্রহণ করেন।

 

মেম্বার অব পার্লামেন্ট

১৯৫৯ সালে অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে মার্গারেট থ্যাচার  মেম্বার অব পার্লামেন্ট নির্বাচিত হন। তার কৈশোরকালীন সময়েই প্রতিভা এবং কাজের প্রতি অনুপ্রেরণার কারণে মার্গারেট থ্যাচারের মধ্যে ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছিল। যদিও তিনি এ ব্যাপারে হতাশা প্রকাশ করে বলেছিলেন যে তার জীবদ্দশায় কেউ মহিলা প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না কারণ পুরুষ জনগোষ্ঠী কুসংস্কারাচ্ছন্ন। ১৯৬৪ সালের নির্বাচনে কনজার্ভেটিভ পার্টির পরাজয়ের পর তিনি তার দলের ভূমি ও গৃহায়ণ দফতরের মুখপাত্র নির্বাচিত হন। সে সময় তিনি ভাড়াটিয়াদের কাউন্সিল হাউস কেনার পক্ষে অবস্থান নেন। লেবার পার্টির উচ্চ রাজস্ব নীতির কড়া সমালোচকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এ ছাড়াও তিনি ছিলেন উদারমনা। তার দৃষ্টি চিল সুদূর প্রসারী। পুরুষ সমকামিতার বৈধতা ও গর্ভপাতের পক্ষে আনীত বিলের সমর্থক ছিলেন এই নেত্রী। এমনকি মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি বহাল রাখার পক্ষে তিনি কাজ করেন।

 

ক্যাবিনেট মিনিস্টার ও শিক্ষামন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে একটু একটু করে নিজেকে তৈরি করেছেন মার্গারেট থ্যাচার। ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচনে কনজার্ভেটিভ পার্টি জয় লাভ করে। এ জয়ের পর মার্গারেট থ্যাচার ক্যাবিনেটে শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। দায়িত্ব গ্রহণ করেই তিনি জনগণের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হন। তিনি শুধু শিক্ষাব্যবস্থার ওপর জোর দেন। কারণ তিনি জানতের একটি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। তাই তিনি মান সম্মত শিক্ষা ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন। স্কুলগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োজনগুলো অগ্রাধিকার দেন। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় এই যে তিনি রাষ্ট্রীয় শিক্ষা পদ্ধতি খাতের ওপর ব্যয় কমিয়ে দেন। যার ফলে সাত থেকে এগার বছরের শিশুদের মধ্যে বিনামূল্যে দুধ বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে হয়। পরে অবশ্য জানা যায় মার্গারেট থ্যাচার এটি করতে চাননি কিন্তু রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অর্থ সংকটের কারণে এমনটা করতে বাধ্য হন। অনেকে দাবি করেন এ সিদ্ধান্তের ফলে গণবিক্ষোভের মুখে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন।

এ প্রসঙ্গে পরে তার আত্মজীবনীতে তিনি লিখেন, ‘এ অভিজ্ঞতা থেকে কিছু মূল্যবান পাঠ শিখেছি। স্বল্প রাজনৈতিক ফায়দার জন্য ব্যাপক রাজনৈতিক জঘন্যতা মেনে নিতে হয়েছিল।’

আসলে এমন একটা পরিস্থিতির মধ্যে তাকে পড়তে হয়েছিল নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে। কিন্তু রাজনীতির স্বার্থেই অনেক কিছুর সঙ্গেই আপস করতে হয়।

 

বিরোধীদলীয় নেত্রী

কনজার্ভেটিভ পার্টি ১৯৭৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে হেরে যায়। লেবার পার্টি সরকার গঠন করে। এর ফলে কনজার্ভেটিভ পার্টির সভাপতি এডওয়ার্ড হিথের নেতৃত্ব হুমকির মুখে পড়ে। যার ফলে মার্গারেট থ্যাচার হয়ে

ওঠেন তার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ দলে মার্গারেট থ্যাচার তখন দারুণভাবে জনপ্রিয়। মার্গারেট থ্যাচার হিথকে প্রথম ব্যালট নির্বাচনে পরাজিত করেন। দ্বিতীয় ব্যালট নির্বাচনে পরাজিত করেন হোয়াইট ল-কে। এর ফলে মার্গারেট হয়ে ওঠেন দলীয় প্রধান ও বিরোধীদলীয় নেত্রী। তিনিই প্রথম ব্রিটেনের ইতিহাসের নারী বিরোধীদলীয় নেত্রী। ১৯৭৬ সালের ১৯ জানুয়ারি কেন্সিংটন টাউন হলে এক বক্তৃতায় তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নকে নিয়ে কঠোর আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেন।  সে সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের আগ্রাসী মনোভাবকে তাচ্ছিল্য করে তিনি বলেছিলেন, ‘বিশ্বের কর্তৃত্বের কাছে রাশিয়ানরা কিছুই নয়।’ এর উত্তরে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পত্রিকা ‘ক্রাস্নায়া জাভেজডা’ তাকে আয়রন লেডি বা লৌহমানবী বলে আখ্যা দেয় এবং তিনি আনন্দের সঙ্গে এ উপাধি গ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালে ব্রিটেনের অর্থনীতি খুবই নাজুক অবস্থার সম্মুখীন হয় এবং ১৯৭৮ সালের

মাঝামাঝি এসে অর্থনীতি কিছুটা উন্নতির দিকে যায়। সে বছর ফরেইন মিনিস্টার জেমস কেলাঘান ঘোষণা করেন ওই বছর কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। এতো জনরোষের মুখে পড়তে হয় লেবার পার্টিকে। থ্যাচার সে সময় লেবার পার্টিকে মুরগির বাচ্চা বলে অভিহিত করেন। জনগণের চাপের মুখে পড়ে একটি সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করা হয় ১৯৭৯ সালে। কিন্তু তখন লেবার পার্টির জনপ্রিয়তা তলানির দিকে। নির্বাচনে কনজার্ভেটিভ পার্টি ৪৪ আসন পেয়ে হাউস অব কমনসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। যার ফলশ্রুতিতে মার্গারেট থ্যাচার ব্রিটেনের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় মার্গারেট থ্যাচারের প্রধানমন্ত্রী হয়ে ওঠার পর প্রক্রিয়াটি মোটেই সহজ ছিল না। রীতিমতো পদে পদে নিজেকে প্রমাণ করে মার্গারেট থ্যাচার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদ অলঙ্করণ করেন।  

 

প্রধানমন্ত্রী থ্যাচার

মার্গারেট থ্যাচার প্রধানমন্ত্রী হন ১৯৭৯ সালের ৪ মে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে এসে ওঠেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থ্যাচার সাপ্তাহিকভাবে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করতেন। ১৯৮৬ সালের দিকে দ্য সানডে টাইমসের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যেখানে রানী এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মতানৈক্যের সংবাদ দেয়। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয় বিশ্বজুড়ে। পরবর্তীতে প্রাসাদ থেকে এ দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়। থ্যাচার নিজেও পরবর্তীতে নিজের জীবনীগ্রন্থতে উল্লেখ করেন যে সরকারের কর্মকাণ্ডের ওপর রানীর সন্তোষজনক মনোভাব ছিল। তার সময়ে তিনি ট্রেড ইউনিয়নের ক্ষমতা প্রায় ধ্বংস করে ফেলতে সক্ষম হন। কারণ তার মতে এটি সংসদীয় গণতন্ত্র ব্যাহত করে ও অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধন করে। ১৯৯০ সালের ১ নভেম্বর থ্যাচারের সবচেয়ে পুরনো ক্যাবিনেট মন্ত্রী গফ্রি হয়ি ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার হিসেবে পদত্যাগ করলে থ্যাচারের প্রধানমন্ত্রিত্ব হুমকির মুখে পড়ে। পরের দিন মাইকেল হাসেলটিন কনজার্ভেটিভ পার্টির নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করেন। যদিও থ্যাচার প্রথম ব্যালট জয় পান কিন্তু মাইকেল যথেষ্ট সমর্থন পাওয়ায় দ্বিতীয় ব্যালট আদায় করে নিতে সক্ষম হন। তবে দ্বিতীয় ব্যালটে থ্যাচার চার ভোট কম পান। প্রাথমিকভাবে তিনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও পরে ক্যাবিনেটের পরামর্শে তিনি নিজেকে সরিয়ে নেন। তারপর পরিত্যাগ করেন। এ সময় তিনি নিজেকে বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়ে বিতাড়িত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। এ কারণে তিনি কখনো ক্ষমা করবেন না বলে জানান। থ্যাচারের পর জন মেজর কনজার্ভেটিভ পার্টির নেতা ও প্রধানমন্ত্রী হন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগের পর মার্গারেট থ্যাচার দুই বছর ফিনচলির এমপি ছিলেন। ১৯৯২ সালে তিনি ৬৬ বছর বয়সে হাউস অব কমনস থেকে পদত্যাগ করেন। 

 

মৃত্যু

১৯৮৪ সালে ১২ অক্টোবর সকালে এক হত্যাচেষ্টায় তিনি অল্পের জন্য বেঁচে যান। এ হামলায় পাঁচজন নিহত হয়। পরবর্তীতে অবসর জীবনে মার্গারেট থ্যাচার ২০১৩ সালের ৮ এপ্রিল লন্ডনের রিজ হোটেলে অবস্থানকালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।

 

চলচ্চিত্র আয়রন লেডি

অস্কারের কল্যাণে আয়রন লেডি চলচ্চিত্রটি এখন সবার কাছেই পরিচিত। মার্গারেট থ্যাচারের জীবনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয় এই আয়ো পিকটি। মার্গারেট থ্যাচারের চরিত্রে মেরিল স্ট্রিপ অসাধারণ অভিনয় করে বিশ্বজোড়া প্রশংসিত হন।

মার্গারেট থ্যাচারের ভূমিকায় সম্ভবত আর কাউকে এতটা মানাত না। মূলত চলচ্চিত্রটি একজন নারীর সামর্থ্যকে তার স্বামীর সম্মান এবং এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণাকেই উপজীব্য করে তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে মার্গারেট থ্যাচারের সমগ্র রাজনৈতিক জীবনে তার স্বামীর ভালোবাসা এবং সব সময় পাশে থেকে অনুপ্রেরণা দেওয়াকে মুখ্য হিসেবে দেখানো হয়েছে। যার ফলে একজন মার্গারেট থ্যাচার তার সামর্থ্য ও যোগ্যতার ওপর পূর্ণ আস্থা রেখে নিজের প্রতি সুবিচার করতে পেরেছেন। যিনি সংসারের ভালোবাসা নিয়ে পরিচালনা করেছেন দেশ।

 

ছবি কথা বলে...

এই বিভাগের আরও খবর
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানসাধক
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানসাধক
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন যার স্বপ্ন
নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন যার স্বপ্ন
সড়কেই উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎ
সড়কেই উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎ
মাছের খামারে নিরাপত্তা দেবে ‘পন্ডগার্ড’
মাছের খামারে নিরাপত্তা দেবে ‘পন্ডগার্ড’
কৃষকের কাজে কিষানি ড্রোন
কৃষকের কাজে কিষানি ড্রোন
দেশজুড়ে যত উদ্ভাবন
দেশজুড়ে যত উদ্ভাবন
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা
ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা
দেশে দেশে কোরবানি
দেশে দেশে কোরবানি
ত্যাগের মহিমাময় কোরবানি যেন নষ্ট না হয়
ত্যাগের মহিমাময় কোরবানি যেন নষ্ট না হয়
পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা
পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা
সর্বশেষ খবর
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ২
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আবুধাবিতে সাড়ে ৮৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন প্রবাসী বাংলাদেশি
আবুধাবিতে সাড়ে ৮৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন প্রবাসী বাংলাদেশি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দৈনিক কোটি টাকার চাঁদাবাজি
দৈনিক কোটি টাকার চাঁদাবাজি

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি বেড়েছে ২১০০ কোটি টাকা
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি বেড়েছে ২১০০ কোটি টাকা

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এবার নির্বাচনে সেনাবাহিনীই ভরসা
এবার নির্বাচনে সেনাবাহিনীই ভরসা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বাবার হাত ছেড়ে রাস্তা পার হতে গিয়ে গাড়িচাপায় সন্তানের মৃত্যু
বাবার হাত ছেড়ে রাস্তা পার হতে গিয়ে গাড়িচাপায় সন্তানের মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এসিড নিক্ষেপ, দুই নারী ও শিশু দগ্ধ
বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এসিড নিক্ষেপ, দুই নারী ও শিশু দগ্ধ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনএসডিএ'র নির্বাহী চেয়ারম্যান হলেন রেহানা পারভীন
এনএসডিএ'র নির্বাহী চেয়ারম্যান হলেন রেহানা পারভীন

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারী পাচারে টোপ ‘ভালো চাকরি’
নারী পাচারে টোপ ‘ভালো চাকরি’

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুগদায় ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনি, হাসপাতালে তরুণের মৃত্যু
মুগদায় ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনি, হাসপাতালে তরুণের মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মাতুয়াইলে ১০ তলার ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
মাতুয়াইলে ১০ তলার ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৪ জুলাই পৃথিবীর কাছ দিয়ে যাবে বিশাল আকৃতির গ্রহাণু
৪ জুলাই পৃথিবীর কাছ দিয়ে যাবে বিশাল আকৃতির গ্রহাণু

৬ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

জুলাইয়ের বিপ্লবী ছাত্র-জনতা মব নয় : মাহফুজ আলম
জুলাইয়ের বিপ্লবী ছাত্র-জনতা মব নয় : মাহফুজ আলম

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঝালকাঠিতে জামায়াতের খাবার বিতরণ
ঝালকাঠিতে জামায়াতের খাবার বিতরণ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলি হামলায় ইন্দোনেশীয় চিকিৎসকের মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান
ইসরায়েলি হামলায় ইন্দোনেশীয় চিকিৎসকের মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পরকীয়ায় বাধা, ভাসুরকে হত্যা লাশ মাটি চাপা
পরকীয়ায় বাধা, ভাসুরকে হত্যা লাশ মাটি চাপা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ছিনতাইয়ের সালিশ নিয়ে বিরোধের জেরে তিনজনকে গণপিটুনিতে হত্যা
ছিনতাইয়ের সালিশ নিয়ে বিরোধের জেরে তিনজনকে গণপিটুনিতে হত্যা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিরাজগঞ্জের দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২
সিরাজগঞ্জের দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাপানে ভূমিকম্পের মধ্যে সমুদ্রে ‌‘অদ্ভুত গর্জন’ শোনার দাবি
জাপানে ভূমিকম্পের মধ্যে সমুদ্রে ‌‘অদ্ভুত গর্জন’ শোনার দাবি

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফ‍্যাসিস্টদের পুশইন করুন, বিচার করতে প্রস্তুত আমরা : নাহিদ
ফ‍্যাসিস্টদের পুশইন করুন, বিচার করতে প্রস্তুত আমরা : নাহিদ

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কুষ্টিয়ায় চালের মোকামে অভিযান, তিন চালকল মিলকে জরিমানা
কুষ্টিয়ায় চালের মোকামে অভিযান, তিন চালকল মিলকে জরিমানা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রূপগঞ্জে ধর্ষণের পর স্কুল শিক্ষার্থীকে হত্যা : খুনিদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন
রূপগঞ্জে ধর্ষণের পর স্কুল শিক্ষার্থীকে হত্যা : খুনিদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাবেক পুলিশ সুপার আসাদ ২ দিনের রিমান্ডে
সাবেক পুলিশ সুপার আসাদ ২ দিনের রিমান্ডে

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাউবির এইচএসসি পরীক্ষা শুরু শুক্রবার
বাউবির এইচএসসি পরীক্ষা শুরু শুক্রবার

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কুমারখালীতে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান, জরিমানা
কুমারখালীতে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান, জরিমানা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই সনদ ঘোষণার দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল
জুলাই সনদ ঘোষণার দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শাকিবের আগামী ঈদের সিনেমা চূড়ান্ত
শাকিবের আগামী ঈদের সিনেমা চূড়ান্ত

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কক্সবাজার কারাগারে মৌসুমি ফল উৎসব
কক্সবাজার কারাগারে মৌসুমি ফল উৎসব

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন দ্বীপ বালিতে ফেরি ডুবে ৫ জনের মৃত্যু, বহু নিখোঁজ
ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন দ্বীপ বালিতে ফেরি ডুবে ৫ জনের মৃত্যু, বহু নিখোঁজ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন নির্দেশনা মাউশির
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন নির্দেশনা মাউশির

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রীর কিডনিতে জীবন ফিরে পেয়ে পরকীয়ায় জড়ালেন স্বামী!
স্ত্রীর কিডনিতে জীবন ফিরে পেয়ে পরকীয়ায় জড়ালেন স্বামী!

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘কফি খাচ্ছিলাম চিল করছিলাম, হঠাৎ দেখি ৫ উইকেট নেই’
‘কফি খাচ্ছিলাম চিল করছিলাম, হঠাৎ দেখি ৫ উইকেট নেই’

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পিআর চালু হলে দেশে আর কোনো স্থানীয় নেতার জন্ম হবে না: রিজভী
পিআর চালু হলে দেশে আর কোনো স্থানীয় নেতার জন্ম হবে না: রিজভী

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আকুর বিল ২০২ কোটি ডলার, কমবে রিজার্ভ
আকুর বিল ২০২ কোটি ডলার, কমবে রিজার্ভ

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নূরুলের মুখে রাতের ভোটের ভয়ংকর কাহিনি
নূরুলের মুখে রাতের ভোটের ভয়ংকর কাহিনি

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার
সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের জন্য সুখবর
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের জন্য সুখবর

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়ার নৌবাহিনীর উপ-প্রধান নিহত
রাশিয়ার নৌবাহিনীর উপ-প্রধান নিহত

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে পরাজিত করেছে ইরান’
‘ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে পরাজিত করেছে ইরান’

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুবলীগ নেতাকে ধরতে বাড়ি ঘেরাও, ফোনে বললেন-‘লাভ হবে না’
যুবলীগ নেতাকে ধরতে বাড়ি ঘেরাও, ফোনে বললেন-‘লাভ হবে না’

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রথমবারের মতো মার্কিন থাড প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করল সৌদি
প্রথমবারের মতো মার্কিন থাড প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করল সৌদি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বানাচ্ছে ভারত!
এবার ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বানাচ্ছে ভারত!

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডের ‘বরখাস্ত’ প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন এখন সংস্কৃতিমন্ত্রী!
থাইল্যান্ডের ‘বরখাস্ত’ প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন এখন সংস্কৃতিমন্ত্রী!

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অবশেষে পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহার
অবশেষে পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহার

২০ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা
মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পেন্টাগনের মূল্যায়ন: কতোটা ক্ষতি হলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির?
পেন্টাগনের মূল্যায়ন: কতোটা ক্ষতি হলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির?

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রিটিশ রাজমুকুটের আসল মূল্য কতো?
ব্রিটিশ রাজমুকুটের আসল মূল্য কতো?

১৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

জাপানে ভূমিকম্পের মধ্যে সমুদ্রে ‌‘অদ্ভুত গর্জন’ শোনার দাবি
জাপানে ভূমিকম্পের মধ্যে সমুদ্রে ‌‘অদ্ভুত গর্জন’ শোনার দাবি

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইসরায়েলি হামলায় ইন্দোনেশীয় চিকিৎসকের মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান
ইসরায়েলি হামলায় ইন্দোনেশীয় চিকিৎসকের মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এটাই কি মেসিদের ২০২৬ বিশ্বকাপের জার্সি?
এটাই কি মেসিদের ২০২৬ বিশ্বকাপের জার্সি?

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরান আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারে, আশঙ্কা মার্কিন বিশেষজ্ঞদের
ইরান আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারে, আশঙ্কা মার্কিন বিশেষজ্ঞদের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের প্রস্তাবে একমত বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমেদ
আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের প্রস্তাবে একমত বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমেদ

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইরান-সিরিয়া ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে গোপন আলোচনা ইসরায়েলের
ইরান-সিরিয়া ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে গোপন আলোচনা ইসরায়েলের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহ, বিপুলসংখ্যক আফগানকে ফেরত পাঠাচ্ছে ইরান
গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহ, বিপুলসংখ্যক আফগানকে ফেরত পাঠাচ্ছে ইরান

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে হিজবুল্লাহর ৪ হাজার যোদ্ধা নিহত
ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে হিজবুল্লাহর ৪ হাজার যোদ্ধা নিহত

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে কাসাম-কুদসের রকেট হামলা
ইসরায়েলে কাসাম-কুদসের রকেট হামলা

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাষ্ট্র গঠনের এমন সুযোগ হেলায় হারানো যাবে না: আলী রীয়াজ
রাষ্ট্র গঠনের এমন সুযোগ হেলায় হারানো যাবে না: আলী রীয়াজ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচলে ১১ জনের মৃত্যু, এখনও নিখোঁজ ৩৪
বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচলে ১১ জনের মৃত্যু, এখনও নিখোঁজ ৩৪

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
গুমে জড়িত প্রমাণ হলে কঠোর ব্যবস্থা সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে
গুমে জড়িত প্রমাণ হলে কঠোর ব্যবস্থা সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারি ঘিরেই বিএনপির প্রস্তুতি
ফেব্রুয়ারি ঘিরেই বিএনপির প্রস্তুতি

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না এনসিপি
জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

জব্দের আগেই ব্যাংক খালি স্থাবর সম্পদ অক্ষত
জব্দের আগেই ব্যাংক খালি স্থাবর সম্পদ অক্ষত

প্রথম পৃষ্ঠা

চলচ্চিত্র অনুদান - নিজেদের মধ্যেই ভাগবাঁটোয়ারা
চলচ্চিত্র অনুদান - নিজেদের মধ্যেই ভাগবাঁটোয়ারা

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

প্রাণ ফিরেছে সুন্দরবনে
প্রাণ ফিরেছে সুন্দরবনে

পেছনের পৃষ্ঠা

এবার বিশ্বকাপের হাতছানি
এবার বিশ্বকাপের হাতছানি

মাঠে ময়দানে

আন্দোলনে স্বাস্থ্য সহকারীরা ঝুঁকিতে শিশু স্বাস্থ্যসেবা
আন্দোলনে স্বাস্থ্য সহকারীরা ঝুঁকিতে শিশু স্বাস্থ্যসেবা

নগর জীবন

বিএমইটির ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
বিএমইটির ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

নগর জীবন

থানায় হামলা ভাঙচুর
থানায় হামলা ভাঙচুর

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতি স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দেবে
পিআর পদ্ধতি স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দেবে

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশে ডেলিভারি বিদেশে লেনদেন
দেশে ডেলিভারি বিদেশে লেনদেন

পেছনের পৃষ্ঠা

পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত

সম্পাদকীয়

কবরের মতো বন্দিশালা
কবরের মতো বন্দিশালা

প্রথম পৃষ্ঠা

সতর্কতার সঙ্গে পথ হাঁটছে বিএনপি
সতর্কতার সঙ্গে পথ হাঁটছে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

ছবিতে শহীদ সন্তানের স্মৃতি হাতড়ান মা-বাবা
ছবিতে শহীদ সন্তানের স্মৃতি হাতড়ান মা-বাবা

দেশগ্রাম

ব্যয়বহুল তৌসিফ
ব্যয়বহুল তৌসিফ

শোবিজ

বঁটি ঘাড়ের ওপর পড়ে শিশুর মৃত্যু
বঁটি ঘাড়ের ওপর পড়ে শিশুর মৃত্যু

দেশগ্রাম

‘কালা জাহাঙ্গীর’ শাকিব খান
‘কালা জাহাঙ্গীর’ শাকিব খান

শোবিজ

স্কুলের বন্ধু
স্কুলের বন্ধু

সাহিত্য

মায়াবী নিঃসঙ্গ ওম
মায়াবী নিঃসঙ্গ ওম

সাহিত্য

জঙ্গি নাটক সাজিয়ে হত্যা সাবেক এসপি রিমান্ডে
জঙ্গি নাটক সাজিয়ে হত্যা সাবেক এসপি রিমান্ডে

দেশগ্রাম

মাদকসেবন করে মাকে নির্যাতনে দণ্ড
মাদকসেবন করে মাকে নির্যাতনে দণ্ড

দেশগ্রাম

নিষিদ্ধ জালে মাছ নিধন
নিষিদ্ধ জালে মাছ নিধন

দেশগ্রাম

নূরুল হুদার জবানবন্দি
নূরুল হুদার জবানবন্দি

সম্পাদকীয়

কবিধাম-কবির শহর টাঙ্গাইল
কবিধাম-কবির শহর টাঙ্গাইল

সাহিত্য

গৃহবধূ হত্যা, পাঁচজন গ্রেপ্তার
গৃহবধূ হত্যা, পাঁচজন গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

শেখ হাসিনার কারাদণ্ড
শেখ হাসিনার কারাদণ্ড

সম্পাদকীয়

আমি ও জীবনানন্দ
আমি ও জীবনানন্দ

সাহিত্য