শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ০৯ মে, ২০১৮

রঙিন শহরের কাহিনী

তানিয়া তুষ্টি
প্রিন্ট ভার্সন
রঙিন শহরের কাহিনী

একটি শহরের ভূ-প্রাকৃতিক দৃশ্য, স্থাপত্যশৈলী, পরিচ্ছন্নতা, শান্তিপূর্ণ জীবনযাত্রাসহ ইত্যাদি বিষয়ের ওপর তার সৌন্দর্য নিরূপণ করা হয়। কিন্তু বিশেষ কোনো রঙের ব্যবহারে শহরের স্থাপনাগুলোকে যদি রঙিন করা হয় তখন তা হয়ে ওঠে ভিন্নতার অধিকারী। পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে আছে এমন কিছু রঙিন শহর। যাদের রঙের জাদুময়তা সবাইকে মুগ্ধ করে। এমনকি বিশ্বের কাছে আলাদা গ্রহণযোগ্যতাও অর্জন করে। কিছু শহর ইউনেস্কো থেকে পেয়েছে বিশ্ব পর্যটন কেন্দ্রের মর্যাদা। চোখ জুড়ানো এসব শহর কিন্তু এক দিনে তৈরি হয়নি। রঙিন শহরগুলোর রঙিন হয়ে ওঠার পেছনে রয়েছে অজানা কাহিনী। বৈচিত্র্যময় রূপের পসরা সাজিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এসব নগরীর পরিচয় ও রঙিন হওয়ার পেছনে থাকা অজানা কাহিনী নিয়ে আজকের রকমারি।

 

হলুদ শহর খই আন

পৃথিবীর মানচিত্রে ছোট্ট একটি দেশ ভিয়েতনাম। দেশটির উপকূলীয় এলাকায় অবস্থিত ছিমছাম ছোট্ট শহর খই আন। তেমন কোনো জাঁকজমক না থাকলেও ঐতিহ্যবাহী এই শহরের রয়েছে আকর্ষণ করার মতো অমোঘ শক্তি। এখানকার দালানকোঠায় কেবলই হলুদ রং। দিনের চেয়ে রাতে শহরটি বেশি মনোহরি রূপে আবির্ভূত হয়। নদীর তীরে থাকা নৌকার লণ্ঠনের আলোয় অদ্ভুত সুন্দর দেখায় হলুদ সে শহরটি। ১৭-১৮ শতকে ভিয়েতনামের এই শহরটি বিখ্যাত বাণিজ্যনগরী হিসেবে পরিচিত ছিল। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে বিদেশিরা এসে এখানে ব্যবসা করত। ইউরোপীয়, চীনা ও জাপানিদের কলোনি গড়ে উঠেছিল। তাই বাড়িগুলো তৈরির সময় ইউরোপীয়, চীনা ও জাপানি স্থাপত্যের সংমিশ্রণ ঘটে। তবে বাড়িগুলোর স্থাপত্যশৈলী যাই হোক, দালানকোঠার বাইরের দেয়ালের রং কিন্তু হালকা হলুদ। এর কারণ বিশ্লেষণে নানারকম মতপার্থক্য দেখা যায়। তবে বাস্তবসম্মত ব্যাখ্যা হলো, হালকা হলুদ রং কম তাপ শোষণ করে। আর ভিয়েতনামের উষ্ণ আবহাওয়ায় বাড়িগুলো শীতল রাখার জন্যই হলুদ রং করা হয়েছে। শহরটিতে পুরনো দিনের তৈরি প্রায় এক হাজার বাড়ি এখনো টিকে আছে। সৌন্দর্যের কারণে ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ভিয়েতনামের এই হলুদ শহরকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা দেয়। এর মধ্যে ৮৪৪টি ইউনেস্কোর সংরক্ষিত ইমারতের তালিকায় স্থান পেয়েছে। এই বাড়িগুলো এখন জাদুঘর অথবা শিল্পীদের ওয়ার্কশপ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। নদীর তীরঘেঁষা শহরটি নৌকায় চড়ে ঘুরে ঘুরে দেখা যায়। দোকান ও রেস্তোরাঁগুলো গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকে।

 

রঙিন বাড়ির শহর সেইন্ট জন’স

বিশ্বের অনেক শহর আছে, যেগুলোর প্রায় অধিকাংশ ঘিঞ্জি ইমারতে ভরা। সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকা ভবনের ঘরগুলোকে কবুতরের খোপ বললেও ভুল হবে না। সেখানে বাহারি রঙে সাজ-সজ্জার দালানকোঠা তো কল্পনারও অতীত। এমন শহরে বসবাসকারী কাউকে সারি সারি রঙিন বাড়ির কোনো শহরে নিয়ে গেলে ভাবতে পারেন, তিনি হয়তো স্বপ্ন দেখছেন। অথচ কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড প্রদেশে বাস্তবেই আছে সেইন্ট জন’স নামের রঙিন বাড়ির শহর। এই শহরের ইতিহাস শুরু হয়েছে ১৪০০ সালের গোড়ার দিকে। ফান্ড উপসাগরের তীরে অবস্থিত সুন্দর এই শহরটির জনপ্রিয়তার মূল কারণ শহরের কেন্দ্রস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা পরিকল্পিত সারিতে রঙিন বাড়ি। চমৎকার স্থাপত্যকলায় শোভিত এই শহরটি পৃথিবীর সেরা রঙিন শহরগুলোর একটি। শহরজুড়ে ছড়িয়ে থাকা এসব বর্ণিল বাড়ির কারণে শহরের একটি অংশের নামই হয়ে গেছে ‘জেলিবিন রো’। যদিও এই নামে সেখানে কোনো রাস্তা নেই, তবু স্থানীয়রা শহরের এই অংশটি বোঝাতে এই নাম ব্যবহার করে। শহরের বর্ণময়তার পেছনে রয়েছে জাহাজের ক্যাপ্টেনদের অবদান। শোনা যায়, দূর সমুদ্র থেকে নিজের বাড়িটিকে যাতে সহজেই চিহ্নিত করা যায় তাই ক্যাপ্টেনরা যে কোনো একটি বিশেষ রঙে নিজেদের বাড়িটিকে রাঙিয়ে তুলত। আর এরই ফলাফল বহু বর্ণিল এই রঙিন শহর। উজ্জ্বল রঙের বাড়িগুলো কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশেও দূর থেকে ঝলমলেরূপে আবির্ভূত হতো। এই শহরটি তাই পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। কানাডা ঘুরে দেখতে গেলে কেউই এই শহরে যেতে ভোলেন না।

 

গোলাপি রঙে মোড়া রাজস্থান

গোলাপি তো ভালোবাসার রং। কিন্তু সেই রঙে যদি অফিস, হাসপাতাল, স্কুল, ঘরবাড়ি এমনকি পুরো শহরের ইমারত মুড়ে থাকে তবে কেমন হবে? রাজস্থানের রাজধানী জয়পুর গোলাপি রঙে মোড়া তেমনি এক শহর। রাজস্থানের দক্ষিণ-পশ্চিমে গুজরাট, পশ্চিমে পাকিস্তান, দক্ষিণ-পূর্বে মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরে পাঞ্জাব। তেমন কোনো গাছপালা চোখে পড়ে না। পাথরের পাহাড়ের ফাঁকে ফাঁকে বাড়ি। জয়পুর শহরের রাস্তার দুই পাশের সুরম্য ভবনগুলোর অধিকাংশই উজ্জ্বল গোলাপি বা ফিঁকে পিঙ্ক বর্ণে রঞ্জিত। দেখে মনে হবে, এই নগরীর নামকরণ সার্থক হয়েছে। বেশ পরিকল্পিত, পরিচ্ছন্ন, সুসজ্জিত, পিঙ্ক বর্ণে বর্ণিল একটি ছিমছাম ছবির মতো নগরী জয়পুর। আজমির থেকে জয়পুর যাওয়ার প্রশস্ত রাস্তার মধ্যভাগের সুদীর্ঘ আইল্যান্ড লতা-গুল্ম ও ছোট বৃক্ষ শোভিত। করবী ও বাগানবিলাস গাছগুলো গোলাপি ও লাল ফুলের সম্ভারে সাজানো। এ ছাড়াও চারপাশে রয়েছে নাম না জানা মরু উদ্ভিদের সমাহার। সে সব ছোট ঝোপ থেকেই বের হয়ে দৌড় দেয় ময়ূর। এখানকার মানুষের পোশাক-পরিচ্ছেদ দেখলেও মনে হবে এটি বুঝি রাজা মানসিংহের রাজ্য। এখানকার নারী-পুরুষের পোশাক বেশ ঝলমলে। রাজস্থানি নারীদের বাহারি গয়না, জগেজাড়া খ্যাতি চুড়ি, শাড়ি, গলার হার, হাতের বাজু, কোমরের বিছা, পায়ের নূপুর সবখানেই ঝিকমিক করে ঝলমলে পাথর আর কাচ।

রং-বেরঙের শাড়ি আর লেহেঙ্গায় অসাধারণ সুন্দরী হয়ে ওঠে রাজস্থানী নারীরা। গোড়ালি পর্যন্ত লম্বা কুচি দেওয়া স্কার্ট, ওপরে টপস, মাথা ও বুকের ওপর ওড়না। পুরুষদের পোশাকেও রয়েছে বৈচিত্র্য। ধুতি, লম্বা ফতুয়ার সঙ্গে রং-বেরঙের পাগড়ি ভিন্ন বৈচিত্র্য দিয়েছে পুরুষকে। আর জাঁদরেলি গোঁফ তো রয়েছেই। ভারতের ‘থর’ মরুভূমির অধিকাংশই রাজস্থানের অন্তর্গত।

 

যোধপুরের নীল শহর

ভ্রমণপিপাসুদের সন্ধানে থাকে বিশ্বের সব দর্শনীয় স্থানের খোঁজ। পছন্দের সেই তালিকা থেকে বাদ যায় না ভারতের রাজস্থান প্রদেশের যোধপুরের নাম। বিশেষ করে এশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় পর্যটকদের তালিকায় যোধপুরের নাম থাকে অবধারিতভাবেই। প্রশ্ন জাগতে পারে যোধপুরের প্রতি সবার এত আকর্ষণ কেন? এর উত্তর খুঁজতে গেলে বেরিয়ে আসবে নানা কারণ। পর্যটকদের কাছে ভারতের রাজস্থান প্রদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এই যোধপুরের পরিচিতি আছে ‘ব্লু-সিটি’ হিসেবে। শহরটির স্থানীয় দালানকোঠার বড় একটি অংশ নীল রঙে রাঙানো। যেদিকে তাকাবেন শুধু নীল রং-ই চোখে পড়বে। কেউ বলে না দিলেও নীলের ছড়াছড়ি দেখে আপনা থেকেই শহরটির নাম দিয়ে বসবেন ‘ব্লু-সিটি’। কিন্তু বাড়িগুলোর কেন এই নীল রং, তা নিয়ে লোকের মাঝে প্রচলিত আছে নানা আখ্যান। সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রচলিত আখ্যানটি হলো, এই রঙের ব্যবহার শুরু হয়েছিল ভারতের বিতর্কিত বর্ণপ্রথা থেকে। জানা গেছে, এক সময় যোধপুরের পুরান শহরের ব্রাহ্মণরা নিজেদের অন্যদের থেকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করার জন্য নিজেদের ঘরবাড়িতে নীল রঙ ব্যবহার করতে শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে এটিই যেন সেই এলাকার রীতিতে পরিণত হয়। অন্যরাও রীতিটি অনুসরণ করে নিজেদের বাড়িতে নীল রং লাগাতে শুরু করেন। এভাবে সবার মধ্যেই প্রথাটি অভ্যস্ততায় পরিণত হয়। তবে যোধপুরের এই নীল হয়ে ওঠার পেছনে কেউ কেউ অন্য একটি কারণকে উল্লেখ করেন। উইপোকার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যও এই প্রথার সৃষ্টি হতে পারে বলে অনেকে মনে করেন। তাদের মতে, এক সময় শহরের ঘরগুলোতে প্রচুর উইপোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে তারা রঙের সঙ্গে পোকানিধনকারী উপাদান মিশিয়ে ঘরে লাগানো শুরু করেন। রঙের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পায় সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক বৃক্ষজাত নীল রং। আবার এমনও জানা গেছে, মরুভূমির বুকে নীল রঙের ব্যবহার প্রখর রোদের তাপ থেকে শহরটিকে দিত প্রশস্তির ছোঁয়া। তবে ‘ব্লু সিটি’ হওয়ার পেছনে কারণ যাই হোক, বাহারি নীল রঙের দালান এবং এর সঙ্গে রং-বেরঙের ঐতিহ্যবাহী পোশাকধারী রাজস্থানি নারী-পুরুষের মেলা সহজেই পর্যটকদের মনোযোগ আকর্ষণ করে। এখানকার বাড়ির প্রধান দরজা সাধারণত সব সময় খোলা থাকে। পর্যটকদের সঙ্গে ভ্রমণ গাইড থাকলে যে কোনো বাড়ির ছাদে ওঠে যাওয়া সেখানকার জন্য খুব সাধারণ ব্যাপার। ব্লু-সিটির প্রান্তঘেঁষে পাহাড়ের কোলজুড়ে গড়ে ওঠা শহর থেকে ৪১০ ফুট উঁচুতে দাঁড়িয়ে আছে রাজকীয় মেহরানগর দুর্গ। এ ছাড়াও আছে যশোবন্ত ঠাডা আর উমেইদ ভবন দুর্গ। ভারতের বড় দুর্গগুলোর মধ্যে মেহরানগর দুর্গ অন্যতম। দুর্গে হেঁটে বেড়ানোর জায়গাগুলোতে এমনভাবে ছাওয়া যে, এক উত্তপ্ত মরুভূমির ওপর তৈরিকৃত একটি দুর্গে পর্যটকরা দীর্ঘক্ষণ হেঁটেও ক্লান্ত হয়ে পড়ে না কখনই।

 

সূর্য রঙা ইজামাল

ম্যাক্সিকোর ইজামাল নামক স্থানকে বলা হয় জাদুর শহর। কিন্তু কি জাদু আছে এই শহরে? এখানকার ঘরবাড়ি দালানকোঠা সবই কী ক্ষণে ক্ষণে রং বদলায় নাকি একাধিক রঙের আদিখ্যেতায় জাদুময় আবহ বিরাজ করে? কৌতূহল যতই তুঙ্গে থাকুক, উত্তর জেনে অবাকই হবেন। কারণ ইজামাল মাত্র একটি রঙেই হয়ে উঠেছে আভিজাত্যপূর্ণ শহর। সূর্য রঙা হলুদে আঁকা এখানকার প্রত্যেকটি বাড়ি। দৃষ্টি জুড়ানো হলুদময় শহরে দৃষ্টি রাখা মানেই উষ্ণ অনুভূতির সৃষ্টি। এখানকার রাস্তঘাটও আলাদাভাবে আপনার মনোযোগ কাড়বে। পাথুরে রাস্তাগুলোর পাশে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে লাইমস্টোন চার্চ এবং সরকারি ভবন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ১৬ শতকের সান এন্থোনিও দ্য পাদুয়ার বাসিলিকা ভবনটি। এটি শহরের মধ্যমণি আর একই সঙ্গে ইতিহাস এবং মিথলজির জন্য বিশ্বখ্যাত।

 

রঙিন লা বোকা, বুয়েন্স আয়ার্স, আর্জেন্টিনা

হাজার রঙে রঙিন আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে লা বোকা শহরটি। এই শহরটির খ্যাতির জন্য উজ্জ্বল রঙে রাঙানো ঐতিহ্যবাহী কাঠের বাড়িঘর যেমন বিখ্যাত তেমনি প্রশংসনীয় প্রশস্ত রাস্তাঘাটের কারণে। প্রতিটি দালান আলাদা শৈল্পিক রুচিতে আঁকা হয়েছে। প্রতিটি বাড়ির দেয়াল দেখলে মনে হবে ভিতরে বসবাসকারী মানুষের মনে শিল্পবোধকে এমন উজ্জ্বল রঙে প্রদর্শন করছে।

এ ছাড়াও শহরটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে উন্মুক্ত জাদুঘরের জন্য। শহরজুড়ে হরেক শিল্পীর বসবাস। বিভিন্ন শিল্পকলা প্রদর্শনী হয় রাস্তার পাশেই। আর তার ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে তো শহরের রঙিন বাড়িগুলো আছেই। এ ছাড়াও পথে হাঁটতে হাঁটতেই দেখতে পাওয়া যাবে অনেক ম্যুরাল, গ্রাফিতি, ফটোগ্রাফ আর পেইন্টিংয়ের প্রদর্শনী। এসব প্রদর্শনী মূলত শহরের বাসিন্দাদের শৌখিনতার চর্চাকে গতিময় রাখার অন্যতম পন্থা।

 

কাঠের বর্ণিল বাড়ির শহর লংইয়ারব্যান

কাঠের বর্ণিল বাড়ির শহর নরওয়েজিয়ান দ্বীপপুঞ্জ সালবার্ডের লংইয়ারব্যান। এটি পৃথিবীর সর্ব উত্তরের জনসংখ্যা অধ্যুষিত একটি শহর। পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত হওয়ায় শহরটির ভূ-ভাগ প্রায় সারা বছরই তুষারাবৃত থাকে। স্যাঁতসেঁতে হওয়া থেকে রক্ষা পেতে মাটি থেকে কিছুটা ওপরে কাঠের প্লাটফর্মের ওপর ঘরগুলো তৈরি করা হয়। দুই হাজার ৪০ জনের এই শহরে যাতায়াতের জন্য সারা বছরই স্নো-স্কুটারই ভরসা। নৈসর্গিক ভূ-প্রকৃতির পাশাপাশি শহরজুড়ে রঙের ছোঁয়া যে কারও নজর কেড়ে নেয় সহজেই।

 

নীল দালানের শেফশাওয়ান, মরক্কো

নজরকাড়া নীল দালান আর রাস্তাঘাটের জন্য সুখ্যাতি রয়েছে মরক্কোর উত্তর-পশ্চিমে রিফ পর্বতে অবস্থিত ছোট্ট সুন্দর শেফশাওয়ান শহরটির। ১৯৩০ সালের দিকে সর্বপ্রথম ইহুদিরা তাদের বাড়িগুলোকে নীল রঙে রাঙানো শুরু করে। ইহুদিদের প্রাচীন ইতিহাস আর ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এখন পর্যন্ত তারা তাদের বাড়িঘর নীল রং করে। ইহুদি ধর্মে নীল রংকে আকাশ ও স্বর্গের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাদের ধারণা এই নীল রং মানুষের আধ্যাত্মিক চেতনা জাগিয়ে রাখে। আবহাওয়ার আর্দ্রতা বেড়ে গেলে শেফশাওয়ানকে নীল জলের অথৈ সমুদ্র মনে হয়। ৪০ হাজার জনসংখ্যা অধ্যুষিত এই শহরের পরিবেশ অত্যন্ত শান্ত।

 

ঝলমলে বো-ক্যাপ, দক্ষিণ আফ্রিকা

ঝলমলে রঙে রাঙা শহর হিসেবে ঐতিহাসিকভাবে বিখ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী কেপটাউনের সিগন্যাল পর্বতের পাদদেশের বো-ক্যাপ। অঞ্চলটির মূল সৌন্দর্য এর উজ্জ্বল রঙের বাড়িঘর আর পাথরের খোয়া বাঁধানো দীর্ঘ সংকীর্ণ রাস্তা। এখানকার বাড়িগুলো জর্জিয়ান আর ওলন্দাজ স্থাপত্যশৈলীর মিশেলে তৈরি। ইতিহাস বলে ১৬শ ও ১৭শ শতকে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ওলন্দাজরা অনেক দাস কিনে এই অঞ্চলে নিয়ে আসে। ক্রীতদাসরা এখানে কেপ মালয় নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু তাদের বসবাসের জন্য পর্যাপ্ত ঘরবাড়ি বানানোর প্রয়োজন পড়ে। ১৭৬০ সালের দিকে অনেক বাড়ি তৈরি করে সে সব ক্রীতদাসদের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে তারা এই বাড়িগুলো কিনে নানারকম উজ্জ্বল রঙে রাঙিয়ে তোলে। ক্রীতদাসরা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করে উজ্জ্বল রংগুলো তাদের স্বাধীনতার প্রকাশ করছে। বো-ক্যাপ জাদুঘরটি শহরের সবচেয়ে পুরনো দালান হিসেবে নিজের মৌলিকত্ব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এখনো।

 

রং বাহারি উইলেমস্ট্যাড, কুরাস্যাও

রং বাহারি দালানকোঠা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে উইলেমস্ট্যাড শহরটি। কুরাস্যাওয়ের এই রাজধানী শহরটি এতটাই মনোমুগ্ধকর যে, তা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের একটি অংশে পরিণত হয়েছে। রঙিন সরকারি ভবন, শপিং মল, রেস্টুরেন্ট, বাণিজ্যিক ভবন, ব্যক্তিমালিকানাধীন রঙিন ঘরবাড়ির পাশাপাশি শহরের খ্যাতি রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাসের জন্য। ছোট্ট এই শহরে সর্বমোট ৭৫০টি রঙিন কাঠামো রয়েছে। রঙিন শহরটির সামনে স্বচ্ছ জলের উৎসটি শহরটিকে কাল্পনিকতার রূপ দান করেছে।

 

ধবধবে সাদার শহর সান্তোরিনি

গ্রিসের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ধবধবে সাদায় নয়নাভিরাম দ্বীপ সান্তোরিনি। এই দ্বীপে রয়েছে ১৫টি ঐতিহ্যবাহী, ছবির মতো সুন্দর গ্রাম। সাদা বাড়িগুলোর ভিতর দিয়ে একেবেঁকে চলা খোয়া বাঁধানো সংকীর্ণ রাস্তা যেন গ্রামের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে দ্বিগুণ। এখানকার যে কোনো বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে উপভোগ করা যায় দ্বীপের আগ্নেয়গিরি আর সূর্যাস্তের অপরূপ সৌন্দর্য। ধারণা করা হয় যে, ১৯শ শতক থেকে সান্তোরিনিতে এই সৌন্দর্য চর্চা অব্যাহত রয়েছে।

 

রঙিন বাড়ির পোতাশ্রয় নিহ্যাভন

ধরুন আজ আপনার ছুটি। ইচ্ছা হলো নৌকা ভ্রমণের। যেমন ইচ্ছা তেমন কাজ। নৌকায় চেপে বসলেন, মাঝি আপনাকে নিয়ে এগিয়ে চলছে জলপথে। হঠাৎ করেই অনুভূতিতে কিছুটা ঘোরের আবেশ। জলপথের দুই পাশে চমৎকার সব রঙিন বাড়িঘর। লাল, নীল, হলুদ, সবুজসহ  নানা রং-নকশার এসব বাড়ি কাঠের তৈরি। বাড়ির সামনে পাথরে বাঁধানো রাস্তা। প্রতিটি বাড়ির সামনে সারি বেঁধে নোঙর করা নৌকা। পুরোটাই যেন হাতে আঁকা কল্পরাজ্যের ছবির মতো। কিন্তু না, এটি মোটেও আপনার ঘোর নয়। আপনি যদি ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনের পোতাশ্রয় এলাকা নিহ্যাভনে যান, বর্ণনার সঙ্গে ঠিক ঠিক মিলে যাওয়া এমন দৃশ্যই দেখতে পাবেন। আর হবেইবা না কেন, নিহ্যাভনের বেশির ভাগ বাড়িই ছিল শিল্পীদের আবাসস্থল। এই শহরের বাড়িগুলো ১৭শ শতকে তৈরি। ছবির মতো এমন দৃশ্য দেখতে বেড়েছে পর্যটকের আনাগোনা, তৈরি হয়েছে পর্যটন নগরীতে। তাই তো বেশির ভাগ বাড়ি রেস্টুরেন্ট বা ক্যাফেতে পরিণত হয়েছে। শহরের সবচেয়ে পুরনো বাড়ি  যেটি ১৬৬১ সালে তৈরি। সেটি আজও মৌলিক রূপে বিদ্যমান রয়েছে।

 

ব্যুরানো, ইতালি

সম্পূর্ণ শহরে জলাশয়ের দুই পাশে রয়েছে সারি সারি বহু বর্ণিল বাড়িঘর। শহরের মাঝ বরাবর বয়ে চলা হালকা সবুজ রঙের জলাধার। যেখানে চারটি দ্বীপ সেতু দিয়ে সংযুক্ত রয়েছে। ছোট্ট সুন্দর এই শহরটি মূলত ইতালির ব্যুরানো দ্বীপপুঞ্জ। জলাধারে যখন বাড়িগুলোর ছায়া পড়ে তা দেখলে মনে হয় যেন স্বর্গের সৌন্দর্য নেমে এসেছে এই শহরের বুকে। শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে বাড়িগুলোকে আলাদা করে চেনা যায় না। তাই শহরে বসবাসকারী জেলেরা নিজেদের বাড়িগুলোকে বিভিন্ন উজ্জ্বল রঙে রাঙিয়ে রাখত। বিশ্বাস করা হয় যে, সে থেকেই এই ঐতিহ্যের সূচনা হয়। বর্তমানে এই শহরের বাড়িগুলো রং করা হয় একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী। কেউ তার বাড়ি রং করতে চাইলে সরকারের অনুমতি নিতে হয়। শহরের সৌন্দর্য অক্ষুণ্ন রাখতে সরকার থেকেই রং নির্দেশ করা হয়।  থাকে তাই এই ব্যবস্থা।

এই বিভাগের আরও খবর
স্ক্যাল্পেও চাই সানস্ক্রিন
স্ক্যাল্পেও চাই সানস্ক্রিন
বয়স ৪০, এখনো ব্রণের সমস্যা
বয়স ৪০, এখনো ব্রণের সমস্যা
সোনিয়া রহমান রন্ধনশিল্পী
সোনিয়া রহমান রন্ধনশিল্পী
৩৩০০ বছর পরেও নেফারতিতি এখনো বেশ অনুপ্রেরণীয়
৩৩০০ বছর পরেও নেফারতিতি এখনো বেশ অনুপ্রেরণীয়
মুখমণ্ডলের লোম অপসারণ : কী পরামর্শ দেন ডার্মাটোলজিস্টরা
মুখমণ্ডলের লোম অপসারণ : কী পরামর্শ দেন ডার্মাটোলজিস্টরা
কখন থেকে সানগ্লাস
কখন থেকে সানগ্লাস
জিন্স কাহন
জিন্স কাহন
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানীদের গল্প
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানীদের গল্প
এআই বিপ্লব : আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ
এআই বিপ্লব : আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ
ইরানের সেকাল-একাল
ইরানের সেকাল-একাল
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানসাধক
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানসাধক
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
সর্বশেষ খবর
বগুড়ায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে আহত ৮
বগুড়ায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে আহত ৮

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ওমান সাগরে বিদেশি তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করলো ইরান
ওমান সাগরে বিদেশি তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করলো ইরান

৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় গণহত্যা বন্ধে বিশ্বকে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে: জাতিসংঘ প্রতিনিধি
গাজায় গণহত্যা বন্ধে বিশ্বকে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে: জাতিসংঘ প্রতিনিধি

১৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ওয়েবসাইট থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক সরাল ইসি
ওয়েবসাইট থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক সরাল ইসি

৩৫ মিনিট আগে | জাতীয়

গ্রায়েম সোয়ানের কীর্তি ছুঁলেন মাইকেল ভনের ছেলে
গ্রায়েম সোয়ানের কীর্তি ছুঁলেন মাইকেল ভনের ছেলে

৩৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শহীদ আবু সাঈদের কবরে বেরোবি উপাচার্য ও রংপুরের জেলা প্রশাসকের শ্রদ্ধা
শহীদ আবু সাঈদের কবরে বেরোবি উপাচার্য ও রংপুরের জেলা প্রশাসকের শ্রদ্ধা

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চ্যালেঞ্জেও রপ্তানিতে আশা
চ্যালেঞ্জেও রপ্তানিতে আশা

৪৬ মিনিট আগে | অর্থনীতি

মহাকর্ষীয় তরঙ্গে ধরা পড়ল ১০০০ কোটি বছর আগের ব্ল্যাক হোল ধাক্কা
মহাকর্ষীয় তরঙ্গে ধরা পড়ল ১০০০ কোটি বছর আগের ব্ল্যাক হোল ধাক্কা

৪৮ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

ইসরায়েলি হামলায় ত্রাণপ্রার্থীসহ নিহত আরও ৬১ ফিলিস্তিনি
ইসরায়েলি হামলায় ত্রাণপ্রার্থীসহ নিহত আরও ৬১ ফিলিস্তিনি

৪৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মোটা অঙ্কের বোনাস পাচ্ছেন চেলসির খেলোয়াড়রা
মোটা অঙ্কের বোনাস পাচ্ছেন চেলসির খেলোয়াড়রা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সীমান্তে চোরাকারবারি ধরতে গিয়ে বিজিবির ফাঁকা গুলি, ১০ মহিষ জব্দ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সীমান্তে চোরাকারবারি ধরতে গিয়ে বিজিবির ফাঁকা গুলি, ১০ মহিষ জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তিন দিনে ৪৮ কোটি ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক
তিন দিনে ৪৮ কোটি ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দুপুরের মধ্যে ৭ জেলায় ঝড়ের সম্ভাবনা
দুপুরের মধ্যে ৭ জেলায় ঝড়ের সম্ভাবনা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দুর্নীতি দমন কমিশনের নতুন সচিব খালেদ রহীম
দুর্নীতি দমন কমিশনের নতুন সচিব খালেদ রহীম

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উন্নয়নশীল হলে রপ্তানিতে চাপ বাড়বে, প্রস্তুত নয় সিমেন্টশিল্প
উন্নয়নশীল হলে রপ্তানিতে চাপ বাড়বে, প্রস্তুত নয় সিমেন্টশিল্প

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নতুন চুক্তিতে ইন্দোনেশীয় পণ্যে শুল্কহার কমালেন ট্রাম্প
নতুন চুক্তিতে ইন্দোনেশীয় পণ্যে শুল্কহার কমালেন ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোপালগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে আগুন
গোপালগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে আগুন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইলেকট্রনিক পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে নীতির ধারাবাহিকতা জরুরি
ইলেকট্রনিক পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে নীতির ধারাবাহিকতা জরুরি

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দেখা মিলছে না ‘রাণী মাছের’
দেখা মিলছে না ‘রাণী মাছের’

২ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

অলিখিত ফাইনালে আজ কে হাসবে শেষ হাসি?
অলিখিত ফাইনালে আজ কে হাসবে শেষ হাসি?

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৭০০ কোটি বছরের ধূমকেতু! চমকে উঠেছেন গবেষকরা
৭০০ কোটি বছরের ধূমকেতু! চমকে উঠেছেন গবেষকরা

২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

সূত্রাপুরে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু
সূত্রাপুরে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

লজ্জার হারের পর কিংবদন্তিদের নিয়ে জরুরি সভা উইন্ডিজের
লজ্জার হারের পর কিংবদন্তিদের নিয়ে জরুরি সভা উইন্ডিজের

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

২০২৫ সালে দ্বিতীয় ব্যাচের মোনাশ শিক্ষার্থীদের জন্য ইউসিবিডি’র ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত
২০২৫ সালে দ্বিতীয় ব্যাচের মোনাশ শিক্ষার্থীদের জন্য ইউসিবিডি’র ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

পোষা প্রাণীর মনের খবর বলবে এআই
পোষা প্রাণীর মনের খবর বলবে এআই

৩ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

সাভারের শীর্ষ সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা মুরগি হেলাল গ্রেফতার
সাভারের শীর্ষ সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা মুরগি হেলাল গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জলাভূমি হারাচ্ছে বিশ্ব, আর্থিক ক্ষতি ছাড়াবে ৩৯ ট্রিলিয়ন ডলার
জলাভূমি হারাচ্ছে বিশ্ব, আর্থিক ক্ষতি ছাড়াবে ৩৯ ট্রিলিয়ন ডলার

৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচারে গ্রুপ চ্যাটে হবে ভিন্ন অভিজ্ঞতা
হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচারে গ্রুপ চ্যাটে হবে ভিন্ন অভিজ্ঞতা

৩ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ঠাকুরগাঁওয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল
ঠাকুরগাঁওয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দুপুরের মধ্যে ৭ জেলায় ঝড়ের আভাস
দুপুরের মধ্যে ৭ জেলায় ঝড়ের আভাস

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি!
সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি!

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসার নতুন গন্তব্য চীনের কুনমিং
ভারতের ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসার নতুন গন্তব্য চীনের কুনমিং

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৪৪টি দলের কোনোটিই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে আরও ১৫ দিন
১৪৪টি দলের কোনোটিই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে আরও ১৫ দিন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া
বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোপালগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে আগুন
গোপালগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে আগুন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইউক্রেন মস্কোতে আঘাত হানতে পারবে কি না জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প
ইউক্রেন মস্কোতে আঘাত হানতে পারবে কি না জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের আল্টিমেটামের তোয়াক্কা করে না রাশিয়া
ট্রাম্পের আল্টিমেটামের তোয়াক্কা করে না রাশিয়া

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর সরকার থেকে বেরিয়ে গেল ইসরায়েলের কট্টরপন্থী দল ইউটিজে
নেতানিয়াহুর সরকার থেকে বেরিয়ে গেল ইসরায়েলের কট্টরপন্থী দল ইউটিজে

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরাকে মার্কিন কোম্পানির তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা, উৎপাদন বন্ধ
ইরাকে মার্কিন কোম্পানির তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা, উৎপাদন বন্ধ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না বিএনপি
কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না বিএনপি

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়
সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা ইমরান খানের সাবেক স্ত্রীর
নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা ইমরান খানের সাবেক স্ত্রীর

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী আর নেই
এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী আর নেই

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিরাজগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম
সিরাজগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৪৬৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, স্ত্রীসহ শামীম ওসমানের নামে মামলা
৪৬৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, স্ত্রীসহ শামীম ওসমানের নামে মামলা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, টানা ৫ দিন বর্ষণের আভাস
বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, টানা ৫ দিন বর্ষণের আভাস

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার, দুইজনকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
জবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার, দুইজনকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

১২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

স্পেনে তীব্র দাবদাহ, দুই মাসে ১১৮০ জনের প্রাণহানি
স্পেনে তীব্র দাবদাহ, দুই মাসে ১১৮০ জনের প্রাণহানি

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আ. লীগ সরকারের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
আ. লীগ সরকারের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বনানীতে পথশিশু ধর্ষণ : মূল অভিযুক্ত পরিবহন হেলপার গ্রেফতার
বনানীতে পথশিশু ধর্ষণ : মূল অভিযুক্ত পরিবহন হেলপার গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল
ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বদলি আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
বদলি আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পদত্যাগ করলেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী
পদত্যাগ করলেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুনির্দিষ্ট সময়েই নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার: প্রেস সচিব
সুনির্দিষ্ট সময়েই নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার: প্রেস সচিব

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘মার্কিন শুল্ক হুমকিতে রাশিয়া বিচলিত হওয়ার চেয়ে স্বস্তি পেয়েছে বেশি’
‘মার্কিন শুল্ক হুমকিতে রাশিয়া বিচলিত হওয়ার চেয়ে স্বস্তি পেয়েছে বেশি’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ড. ইউনূসকে জাতীয় সংস্কারক ঘোষণার ইচ্ছা নেই সরকারের : প্রেস উইং
ড. ইউনূসকে জাতীয় সংস্কারক ঘোষণার ইচ্ছা নেই সরকারের : প্রেস উইং

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫ যুগ্ম কমিশনারসহ এনবিআরের ৮ কর কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
৫ যুগ্ম কমিশনারসহ এনবিআরের ৮ কর কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

৫ দিনের রিমান্ডে ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রধান নেতা মাহফুজ
৫ দিনের রিমান্ডে ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রধান নেতা মাহফুজ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একযোগে ইসির ৫১ কর্মকর্তাকে বদলি
একযোগে ইসির ৫১ কর্মকর্তাকে বদলি

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফের প্রতিহিংসা রাজনীতিতে
ফের প্রতিহিংসা রাজনীতিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

কী হবে সত্যজিৎ রায়ের বাড়িটির
কী হবে সত্যজিৎ রায়ের বাড়িটির

পেছনের পৃষ্ঠা

পারিবারিক দুর্নীতির প্রতিযোগিতা
পারিবারিক দুর্নীতির প্রতিযোগিতা

প্রথম পৃষ্ঠা

কমছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা
কমছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকলেই যেতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে
অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকলেই যেতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে

পেছনের পৃষ্ঠা

দুশ্চিন্তায় মোহামেডান-আবাহনী
দুশ্চিন্তায় মোহামেডান-আবাহনী

মাঠে ময়দানে

কোন্ডা ইউনিয়ন এখন বিরানভূমি
কোন্ডা ইউনিয়ন এখন বিরানভূমি

নগর জীবন

প্রেমাদাসায় জিততে চায় টাইগাররা
প্রেমাদাসায় জিততে চায় টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

ঢাকাই চলচ্চিত্রে তারকাদের যত খেতাব
ঢাকাই চলচ্চিত্রে তারকাদের যত খেতাব

শোবিজ

বৃষ্টি হলেই ভোগান্তি ঢাকায়
বৃষ্টি হলেই ভোগান্তি ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

ওএমএস ডিলার নিয়োগে ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে
ওএমএস ডিলার নিয়োগে ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে

নগর জীবন

জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দুদকে তলব
জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দুদকে তলব

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজ্জাকের মুখে চাচি ডাক শুনে আমি হতাশ : আনোয়ারা
রাজ্জাকের মুখে চাচি ডাক শুনে আমি হতাশ : আনোয়ারা

শোবিজ

ষড়যন্ত্রের জালে বন্দি গণতন্ত্র?
ষড়যন্ত্রের জালে বন্দি গণতন্ত্র?

প্রথম পৃষ্ঠা

দুই ঘণ্টায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১২ রোগী ভর্তি
দুই ঘণ্টায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১২ রোগী ভর্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি
সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি

সম্পাদকীয়

মিথ্যা গুজবে অস্বস্তিতে শতাধিক কর্মকর্তা
মিথ্যা গুজবে অস্বস্তিতে শতাধিক কর্মকর্তা

পেছনের পৃষ্ঠা

কলাপাড়ায় নববধূর ওপর রোমহর্ষক বর্বরতা
কলাপাড়ায় নববধূর ওপর রোমহর্ষক বর্বরতা

প্রথম পৃষ্ঠা

আলম আরা মিনুর ‘জানা ছিল না’
আলম আরা মিনুর ‘জানা ছিল না’

শোবিজ

কারিনার রূপরহস্য
কারিনার রূপরহস্য

শোবিজ

১৫ লাখ সরকারি চাকুরের উচ্চতর গ্রেড পেতে বাধা নেই
১৫ লাখ সরকারি চাকুরের উচ্চতর গ্রেড পেতে বাধা নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে নেপালের সিনেমা
বাংলাদেশে নেপালের সিনেমা

শোবিজ

আবু সাঈদের রক্তে গতিপথ পাল্টে যায় আন্দোলনের
আবু সাঈদের রক্তে গতিপথ পাল্টে যায় আন্দোলনের

প্রথম পৃষ্ঠা

পদ্মার দুই ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজারে বিক্রি
পদ্মার দুই ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজারে বিক্রি

পেছনের পৃষ্ঠা

চীন সফর শেষে ফিরে যা বললেন জামায়াত আমির
চীন সফর শেষে ফিরে যা বললেন জামায়াত আমির

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপি নেতার গলায় পুলিশের মালা!
বিএনপি নেতার গলায় পুলিশের মালা!

পেছনের পৃষ্ঠা

ঐকমত্যে নতুন অনৈক্য
ঐকমত্যে নতুন অনৈক্য

প্রথম পৃষ্ঠা

শুল্ক ইস্যুতে জোর আলোচনার তাগিদ আমীর খসরুর
শুল্ক ইস্যুতে জোর আলোচনার তাগিদ আমীর খসরুর

প্রথম পৃষ্ঠা

মালয়েশিয়া থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত
মালয়েশিয়া থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত

প্রথম পৃষ্ঠা