শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

রহস্যময় গ্রিনল্যান্ড

আবদুল কাদের
প্রিন্ট ভার্সন
রহস্যময় গ্রিনল্যান্ড

ভৌগোলিক অবস্থান

সুমেরু অঞ্চলের মহাসাগর ঘেঁষা রাজ্য গ্রিনল্যান্ড। এটি আটলান্টিক ও আর্কটিক মহাসাগরের মাঝে অবস্থিত। দেশটি উত্তর আমেরিকা মহাদেশের। তবে ডেনমার্ক দ্বারা স্বীকৃত। গ্রিনল্যান্ডবাসী নিজেরাই তাদের রাষ্ট্র পরিচালনা করে। কিন্তু কিছু কিছু বিষয়ে তারা এখনো ডেনমার্কের ওপর নির্ভরশীল। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য- অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং সরকারি ভর্তুকি। জেনে অবাক হবেন, গ্রিনল্যান্ডের প্রায় ৬০ শতাংশ সরকারি রাজস্বের ভর্তুকি ডেনমার্ক বহন করে। আয়তনের দিক থেকে গ্রিনল্যান্ড পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দ্বীপ। দ্বীপটি প্রায় ২১,৭৫,৬০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। যা ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানি, স্পেন, ইতালি, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড এবং বেলজিয়ামের সমান। তবে দেশটির প্রায় ১৮,০০,০০০ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল বরফে ঢাকা। অর্থাৎ দ্বীপটির চার ভাগের তিন ভাগই (৮০ শতাংশ) বরফে আচ্ছাদিত। গ্রিনল্যান্ডের শহরগুলো আটলান্টিক এবং আর্কটিক মহাসাগরের উপকূল ঘেঁষা। কারণ, এই অঞ্চলগুলোই (প্রায় ৩,৪১,৭০০ কিলোমিটার) কেবল বরফমুক্ত। যা নরওয়ের চেয়ে বড় এবং ডেনমার্কের দশ গুণ। দেশটির উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের দূরত্ব ২৬৭০ কিলোমিটার। যার আয়তনে নরওয়ের বার্গেন শহর থেকে তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিসের দূরত্ব। একইভাবে দেশটির পূর্বাঞ্চল থেকে পশ্চিমাঞ্চলের দূরত্ব ১০৫০ কিলোমিটার। যা আয়তনের দিক থেকে স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবার্গ থেকে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের সমান দূরত্ব। উত্তর মেরুর রাজ্য বলে এখানকার গড় তাপমাত্রা মাইনাস ৮ থেকে মাইনাস ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখানকার শীতকাল একটু বেশিই দীর্ঘ। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ও অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশের চাদরে ঝুলে থাকে গোটা গ্রিনল্যান্ড। এখানে এমন হিমবাহ রয়েছে যা সমুদ্রতল থেকে ৩,৩০০ মিটার বা তার বেশি পুরু। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের ধারণা, যদি কখনো জলবায়ু পরিবর্তন ঘটে তবে গ্রিনল্যান্ডে হিমবাহের বরফ গলে সমুদ্রের পানি ৭ মিটার বৃদ্ধি পাবে।

 

গ্রিনল্যান্ডের অধিবাসীরা

গ্রিনল্যান্ডে বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের বসবাস। তবে এর সংখ্যা মাত্র ৫৭ হাজার। এটি বিশ্বের সর্বনিম্ন জনসংখ্যার দেশ। যার মধ্যে ৩০ শতাংশের বসবাস নিউইয়র্ক সিটিতে। গ্রিনল্যান্ডে দুটি প্রাথমিক ভাষা রয়েছে- গ্রিনল্যান্ডিক এবং ড্যানিশ। গ্রিনল্যান্ডিক ভাষায় গ্রিনল্যান্ডকে কালালিত নুনাত (জনগণের ভূমি) বলা হয়। এখানকার অধিবাসীরা ইনুইট নামেই পরিচিত। ইনুইট শব্দের অর্থ ‘মানুষ’। বিদেশিরা ইনুইটদের এস্কিমো বলে ভুল করে থাকে। যা স্থানীয় কিছু বাসিন্দার জন্য বেশ আপত্তিকর। তারা নিজেদের এস্কিমোর বদলে ইনুইট পরিচয় দিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। গ্রিনল্যান্ডে প্রায় ৮৮ শতাংশ ইনুইটের বসবাস। বাকি ১২ শতাংশ আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ফিলিপাইন, সুইডেন, নরওয়ে, জার্মানি এবং ড্যানিশ বা ডাচদের উত্তরসূরি (অর্থাৎ মিশ্র ইনুইট)। প্রায় ৯০ শতাংশ ইনুইট দেশটির ১৬টি শহরে বাস করে। তন্মধ্যে গ্রিনল্যান্ডের রাজধানী নুক-এ প্রায় ১৮ হাজার ইনুইট বসবাস করে। বাকি ১০ শতাংশ ইনুইন সম্পূর্ণ বরফের তৈরি ছোট ছোট বসতিতে বসবাস করে। ইনুইটরা দেখতে সাধারণত বেঁটে ও স্বাস্থ্যবান গড়নের হয়ে থাকে। তাদের নাক থাকে চ্যাপ্টা, চুল কালো ও খাড়া। ২০১৪ সালের তত্ত্ব অনুসারে, এখানকার প্রায় ৯৫ শতাংশ ইনুইট খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী। বাকি ৫ শতাংশ অন্য ধর্মাবলম্বী। গ্রিনল্যান্ডে বসবাসরত পুরুষ ও নারীর গড় আয়ু যথাক্রমে ৬৯ এবং ৭৪ বছর। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে বেশির ভাগ ইনুইটের বসবাস। গ্রীষ্মকালে এই অঞ্চলে গড়ে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইট) তাপমাত্রা বিরাজ করে। অন্যদিকে শীতকালে এখানকার গড় তাপমাত্রা থাকে মাইনাস ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। যা উত্তর গ্রিনল্যান্ডের তুলনায় অনেক ঠাণ্ডা।  সম্পূর্ণ দ্বীপটি বরফে মোড়ানো বলে এখানকার মানুষের বেঁচে থাকার প্রধান উৎস মাছ শিকার। উত্তর মেরুর গ্রিনল্যান্ডবাসী নানা প্রতিকূলতার মধ্যে বসবাস করলেও সৌভাগ্যবশত, প্রচণ্ড ঠাণ্ডা তাদের বসবাসে কখনো বাধা হয়নি।

 

বিশ্বের সবচেয়ে বড়

ন্যাশনাল পার্ক

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাতীয় উদ্যান ‘ন্যাশনাল পার্ক’ গ্রিনল্যান্ডেই অবস্থিত। নাম ‘নর্থ-ইস্ট গ্রিনল্যান্ড ন্যাশনাল পার্ক’। জীববৈচিত্র্যের অনন্য এক লীলাভূমি এটি। এখানে প্রায় ৩১০ প্রজাতির ভাস্কুলার উদ্ভিদের দেখা মেলে, যার মধ্যে ১৫ প্রজাতির উদ্ভিদ পৃথিবীর অন্য কোথাও নেই। ডেনমার্ক এবং গ্রিনল্যান্ডের দুটি মন্ত্রণালয় (জীবিকা, বাসস্থান, কৃষি, মৎস্য ও পরিবেশ সম্পর্কিত) পরিবেশ সংরক্ষণের দায়িত্ব ভাগ করে নেয়। মন্ত্রণালয় দুটি প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ এবং এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সহযোগিতা করে আসছে। নর্থ-ইস্ট গ্রিনল্যান্ড ন্যাশনাল পার্কটি ১৯৭৪ সালে প্রথম তৈরি করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে এর আকার প্রসারিত করে ০.৯৭ মিলিয়ন বর্গ কি.মি. (০.৩৮ মিলিয়ন মাইল) করা হয়। পার্কটিতে সংরক্ষিত উদ্ভিদ ও প্রাণী বরফে আচ্ছাদিত গ্রিনল্যান্ডকে রক্ষা করে। এখানে বিরল প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে রয়েছে মাস্ক ষাঁড়, মরু ভাল্লুক, আর্কটিক নেকড়ে, আর্কটিক খরগোশ, রেইনডিয়ার এবং তুষারময় পেঁচা। সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সম্পদেও গ্রিনল্যান্ড পৃথিবীখ্যাত। এখানকার সাগর উপকূলে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় হুডেড ও গ্রে শিলদের। আছে সাদা বেলোগা তিমি, লম্বা দাঁতের ওয়ালরাস (বিরল প্রজাতির জলজ স্তন্যপায়ী প্রাণী)। আছে পেরেগ্রিন ফ্যালকন, বড় পানকৌড়ি, গাঙচিলসহ রং বেরঙের নানা প্রজাতির পাখি। সব মিলিয়ে পার্কটি জীববৈচিত্র্যের সত্যিকারের স্বর্গভূমি। এটি পশুপাখিদের অভয়াশ্রম। কারণ, এটি মানুষের হস্তক্ষেপ থেকে দূরে রাখা হয়েছে। তবে, এখানেও কিছু মানুষের উপস্থিতি আছে। গবেষকরা এই অঞ্চলে টানা বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালান। অনেক পর্যটকও কৌতূহলবশত গবেষণা চালানোর প্রয়াস করেন। ফলে অনেক সময় উদ্ভিদ এবং প্রাণীর ক্ষতিসাধন ঘটে। দেশটির সবচেয়ে দূরবর্তী শহর ইতোকরতরমিত থেকে শিল ও তিমি ব্যবসায়ীরা এখানে যাতায়াত করেন। যা পূর্ব গ্রিনল্যান্ডে অবস্থিত। পার্কটির বড় হুমকি জলবায়ু পরিবর্তন। দ্রুত বরফ গলে সমুদ্রের পানি বেড়ে বিপদসীমায় অতিক্রম করছে।

 

নামকরণের ইতিহাস

ইতিহাসবিদরা অনেকে মনে করেন, পূর্বে দ্বীপটির নাম ছিল ভাইকিং (জলদস্যু)। তাদের মতে, আইসল্যান্ডের ভাইকিং এরিক দ্য রেড গ্রিনল্যান্ডের আবিষ্কারক। তার আসল নাম এরিক থরভালদসন। কথিত আছে, হত্যার অপরাধে এরিক আইসল্যান্ড থেকে নির্বাসিত হন। এরপর তিনি গ্রিনল্যান্ডে আসেন। তখন ছিল গ্রীষ্মকাল। এরিক নেমেছিলেন দ্বীপটির দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে। যে স্থানটি উষ্ণ তাপমাত্রা, ফসল ও সবুজ প্রকৃতির জন্য সহায়ক ছিল। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এরিক সম্ভবত বসতি স্থাপন ও অন্যদের আকৃষ্ট করার জন্য দ্বীপটির নাম দেন গ্রিনল্যান্ড। অন্য তথ্য থেকে জানা যায়, এরিক দ্বীপটি আবিষ্কারকারী প্রথম ব্যক্তি নন। তবে তিনি যে ইউরোপের প্রথম নাগরিক হিসেবে গ্রিনল্যান্ডে পা রাখেন ও বসতি স্থাপন করেন তাতে সন্দেহ নেই। আরেক তত্ত্ব মতে, দ্বীপটিতে ৪-৫ হাজার বছর আগে মানুষ এসেছিল প্রথম কানাডা থেকে। গ্রিনল্যান্ডকে গ্রিন বলা সম্পূর্ণ ভুল। কেননা, এখানে সারা বছর বরফে ঢাকা থাকে। কেউ কেউ মনে করেন দ্বীপটি প্রকৃতপক্ষে ‘গ্রান্টল্যান্ড’ নামে পরিচিত ছিল।

 

নেই পরিবহন ব্যবস্থা

বরফের রাজ্য গ্রিনল্যান্ডে যাতায়াত ব্যবস্থা সুবিধাজনক নয়। অন্য দেশ থেকে গ্রিনল্যান্ডে সরাসরি যাতায়াতের তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। সমুদ্রপৃষ্ঠে দেশটির অবস্থান হলেও নেই আন্তর্জাতিক ফেরি সার্ভিস। গ্রিনল্যান্ডের অবস্থান উত্তর আমেরিকা মহাদেশে ঠিকই কিন্তু ইউরোপের কয়েকটি দেশের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ ভালো। অন্য দেশ থেকে গ্রিনল্যান্ডে সরাসরি যোগাযোগের ক্ষেত্রে কেবল  ৪টি বিমানবন্দরই ভরসা। এদের মধ্যে ৩টিই ইউরোপের আইসল্যান্ডে অবস্থিত। আইসল্যান্ডের বিমানবন্দর ৩টি- রেইকভিক, কেফ্লাভিক এবং আকুরেরি। আর চতুর্থ বিমানবন্দরটি অবস্থিত ইউরোপের আরেকটি দেশ ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে। এই বিমানবন্দর থেকে এয়ার গ্রিনল্যান্ডের ফ্লাইটে চড়ে ৫ ঘণ্টায় গ্রিনল্যান্ড পৌঁছানো সম্ভব। এ ছাড়া কানাডিয়ান আর্কটিক ও নরওয়ের সভালবার্ড থেকে সমুদ্রপথে জাহাজে  চড়ে আইসল্যান্ডে পৌঁছানো যায় এবং আইসল্যান্ড থেকে গ্রিনল্যান্ড। গ্রিনল্যান্ডের অভ্যন্তরে রয়েছে ১৬টি বড় শহর। কিন্তু একটি শহর থেকে আরেকটি শহরে যাতায়াতের সু-ব্যবস্থা নেই। যদিও কিছু শহরের দূরত্ব খুবই কম। কিন্তু বছরের অধিকাংশ সময় এখানকার পুকুর, ডোবা, খালবিল, রাস্তাঘাট থাকে বরফে ঢাকা। তাই পরিবহন ব্যবস্থা ভালো নয়। তাছাড়া প্রকৃতির বড় বড় বরফের পাহাড়ের বাধা তো আছেই! অর্থাৎ নির্দ্বিধায় বলাই যায়, দেশটির অভ্যন্তরীণ পরিবহন ব্যবস্থা মোটেও ভালো নয়। শহরগুলোয় কার্যত নেই কোনো অভ্যন্তরীণ রাস্তা, রেলপথ ও নৌপথ। তাই আর্কটিক তুন্দ্রার মতো এলাকায় বসবাসকারী মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা যে কত ভয়াবহ তা অনুমান করলেই বোঝা যায়। স্থানীয়রা তাদের যাতায়াতে ব্যবহার করে উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টার। এক শহর থেকে আরেক শহরে যাতায়াতে তারা নিজেদের তৈরি যানবাহন ব্যবহার করে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- স্লেজ, কায়াক এবং স্নো স্যু। সাধারণত তিমি মাছের চোয়াল, রেইনডিয়ারের খুলি, শিল মাছের হাড় আর কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয় এসব স্লেজ। একটা স্লেজ পাঁচটা কুকুর টেনে নিয়ে যায়। স্থানীয়দের কাছে স্লেজ টানা কুকুরগুলোর বেশ কদর। এ ছাড়া যাতায়াত এবং শিকারের জন্য স্থানীয়রা কায়াকও (ছোট নৌকা) ব্যবহার করে। মালামাল পরিবহন ও যোগাযোগ রক্ষায় এগুলোই এখানকার প্রধান বাহন। পশ্চিম গ্রিনল্যান্ডের ক্যাঞ্জারলুসুয়াক শহরে রয়েছে আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ যাতায়াতের সবচেয়ে বড় পরিবহন ব্যবস্থা।

 

আত্মহত্যা প্রবণতায় বিশ্বে প্রথম

স্বেচ্ছা- মৃত্যুকে বরণ করে নেওয়ায় গ্রিনল্যান্ডবাসী সারা বিশ্বে প্রথম। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপে গ্রিনল্যান্ড পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা প্রবণ দেশ। এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য গ্রিনল্যান্ডবাসীর জন্য দুর্ভাগ্যই বটে। সংস্থাটির জরিপে আত্মহত্যার দিক দিয়ে এগিয়ে আছে এমন ১১০টি দেশের মধ্যে প্রথম পাঁচটি দেশ হলো- গ্রিনল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, গায়ানা, দক্ষিণ কোরিয়া এবং কাজাখস্তান।  প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গ্রিনল্যান্ডের প্রতি লাখে অন্তত ৮৩ জন্য মানুষ স্বেচ্ছা- মৃত্যুবরণের পথ বেছে নেন। ২০১৬ সালের হিসাব অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লাখে ১৩.৭ জন এবং গায়ানায় লাখে ৩০.২ জন আত্মহত্যা করেন। তবে যেহেতু এটি একটি দেশ নয়, ডেনমার্কের রাজ্যের একটি স্বাধীন অঞ্চল তাই বলা যায়, গায়ানা পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যাপ্রবণ দেশ। এদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রিনল্যান্ডের ইনুইটদের একটি বড় অংশ আদিম জনগোষ্ঠী। তাই নানা সঙ্গত কারণেই তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। যদিও গ্রিনল্যান্ডের দাবি, তারা নিজেকে হত্যা করছে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা বা বৈরী আবহাওয়া এর কারণ নয়। মনোবিশেষজ্ঞদের দাবি, গ্রিনল্যান্ডবাসীর মধ্যে নৈতিকভাবে অধঃপতনের ফলে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। যখন পরিবারের কোনো সদস্য বা বন্ধুদের মধ্যে কেউ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় তখন তার আশপাশের লোকেরাও একই ঝুঁকিতে থাকে। এমন আত্মাহুতির যথেষ্ট রেকর্ড রয়েছে গ্রিনল্যান্ডে। একাকী এবং বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়গুলোই এমন পরিস্থিতির শিকার সবচেয়ে বেশি। বিস্ময়কর তথ্য হলো- দেশটিতে কোনো মনোবিশেষজ্ঞ নেই। ধারণা করা হচ্ছে, এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে গ্রিনল্যান্ডের কমপক্ষে ২০ বছর সময় লেগে যাবে।

 

রত্ন ও খনিজ সম্পদের প্রাচুর্য

‘প্রতিটি মেঘ রুপালি আস্তরণে ঢাকা’। প্রবাদটির মতো গ্রিনল্যান্ডের হিমবাহের নিচেও তেমনি রয়েছে মূলবান রত্ন ভাণ্ডার। চোখ ঝলসানো সাদা বরফের আস্তরণ দেখে বোঝার উপায় নেই যে, গ্রিনল্যান্ডে রয়েছে সোনা, হীরা, রুবি, নিকেল, কপার ও অন্যান্য খনিজ সম্পদের ভাণ্ডার। এ কারণেই গ্রিনল্যান্ড ভবিষ্যতে অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি লাভ করবে। বিশ বছর আগের ঘটনা, জলবায়ু পরিবর্তনে দ্বীপটি ঢেকে রাখা বেশিরভাগ হিমবাহ প্রথম গলতে শুরু করে। তাতেই প্রকাশ পায় গ্রিনল্যান্ডের রত্ন পাথরের সমৃদ্ধশীল জমিন। এক কথায়, বৈচিত্র্যময় পাথরের ভাণ্ডার গ্রিনল্যান্ড। ২০১০ সালে গ্রিনল্যান্ডের খনিজ কোম্পানি ‘অ্যাঞ্জেল মাইনিং’ প্রথম রত্ন ভাণ্ডার নিয়ে কাজ শুরু করে। ২০১৭ সালে প্রায় ৫৬টি অনুসন্ধানকারী দলকে অনুসন্ধানের অনুমোদন দেয় দেশটির সরকার। সরকারের তথ্য মতে, দেশটির উত্তর-পশ্চিমে রয়েছে অকিক (মূল্যবান মণিরাজি), দামি পাথর এবং অ্যালমেনডাইন। পশ্চিমে রয়েছে রুবি, হীরা, পান্না, নীলকান্তমণিসহ অনেক নামিদামি পাথর। দক্ষিণ-পশ্চিমে পাওয়া যায় টাগটুপাইট, অ্যামাজোনাইট, নীলা, চন্দ্রকান্তমণি, সোডালাইট, ল্যাবরাডোরাইট খনিজ সম্পদ ও পূর্ব গ্রিনল্যান্ডের জমিনজুড়ে রয়েছে করান্ডাম, অকিক এবং দামি সব পাথর। বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ ইউরেনিয়াম খনি তৈরির পরিকল্পনা করা হয় ২০১৩ সালে। এর কিছুদিন আগে দেশটির সরকার সাংসদীয় অধিবেশনে ইউরেনিয়াম খনির ওপর নিষেধাজ্ঞা অপসারণের পক্ষে ভোট দেয়। ‘ব্লুজে মাইনিং’ গ্রিনল্যান্ডের স্থানীয় কোম্পানি ডুন্ডাস’কে সঙ্গে নিয়ে খনি সংগ্রহে আগ্রহ প্রকাশ করে। তিন বছর পর ২০১৮ সালে সরকার খনিতে প্রবেশের অনুমতি দেয়। কিছু কোম্পানি ইতিমধ্যে তার সুফলও পায়। ড্যানিশ কোম্পানি হার্টম্যানস গ্রিনল্যান্ডিক রুবি-নীলকান্তমণি ব্যবহার করে তাদের জুয়েলারি তৈরি করে।

 

মধ্যরাতের সূর্য

রাত ৩টা, কিন্তু চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে সূর্য। অবাক হচ্ছেন! এটা গ্রিনল্যান্ডের বিস্ময়। সারা বছর বরফে ঢাকা থাকলেও গ্রীষ্মে বরফ কেটে গেলে দেশটির রূপ পাল্টে যায়। এমন ঘটনা যে কেবল উত্তর মেরু অঞ্চলেই ঘটে তা নয়, দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের অনেকটা অংশজুড়ে গ্রীষ্মে একটা নির্দিষ্ট সময় আক্ষরিক অর্থেই সূর্য ডুবতে দেখা যায় না। অভুত হলেও সত্য যে, তখন ২৪ ঘণ্টা সূর্য আলোরিত হয়। দিন-রাত তখন সমান থাকে। গ্রিনল্যান্ডবাসীও সময়টাকে বেশ উপভোগ করে। তারা তখন নৌকা ভ্রমণ, মাছ শিকার, বারবিকিউ পার্টি এবং নানা খেলায় মেতে থাকে। প্রতি বছর গ্রীষ্মে অন্তত আধা ঘণ্টা এমন দৃশ্যের দেখা মেলে আর্কটিক উপকূলে। তবে গ্রিনল্যান্ডের কিছু অঞ্চলে মধ্যরাতের সূর্য একটু দীর্ঘায়িত হয়। দেশটির ইলুলিসাত শহরে দুই মাসেরও বেশি সময় এমন দৃশ্য দেখা যায়। কানাক শহরে তো প্রায় সাড়ে তিন মাস সূর্য অস্তই হয় না। তবে একই সময় দেশটির দক্ষিণের শহর নানরতালিকে মধ্যরাতের সূর্যের দেখা মেলে না। এখানে ২০ ঘণ্টা সূর্যের দেখা মেলে।

 

আমেরিকার বৃহত্তম সংরক্ষিত ধ্বংসাবশেষ

প্রত্নতাত্ত্বিকদের ধারণা আমেরিকার সবচেয়ে পুরনো বিল্ডিংয়ের ধ্বংসাবশেষ ভ্যালসি চার্চ। এটি উত্তর আমেরিকার খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রথম গির্জাগুলোর একটি। সম্ভবত গ্রিনল্যান্ডে প্রথম অধিবাসীদের আগমনের কয়েক শতাব্দীর মধ্যে ১০ থেকে ১টি গির্জা নির্মিত হয়েছিল। তাদের মধ্যে অন্যতম এই চার্চ। গির্জাটি ১৪ শতাব্দীর গোড়ার দিকে নির্মিত। এক তত্ত্ব মতে, নর্স (নরওয়ের) অধিবাসীরা গির্জাটি নির্মাণ করেছিলেন। তারা গ্রিনল্যান্ড এসেছিলেন আইসল্যান্ড ও স্ক্যান্ডিনাভিয়া থেকে। গির্জার খুব কাছেই নির্মিত হয়েছিল ১৪টি ঘর। গির্জার ভবন এবং অভ্যন্তরীণ হল দুটি পাথর দিয়ে তৈরি। এটি নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছিল বড় গ্রানাইটের টুকরো। পুরো ভবন নির্ভুলতার সঙ্গে নির্মাণ করা হয়। তবে, একটি ভুল ঠিকই ঘটেছিল। এটি কবরস্থানে তৈরি। তবে কবরগুলো অন্য স্থানে না সরিয়ে তৈরি করায় নির্মাণের পর এর ভিত্তি ও প্রাচীর ভেঙে পড়ে। ১৯৯৯ সালে গির্জার ধ্বংসাবশেষ ভাঙা প্রতিরোধে কাজ করা হয়।

 

ওয়ার্ল্ড গলফ চ্যাম্পিয়নশিপ

গ্রিনল্যান্ডের উম্মান্নাক, ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এই শহরে অনুষ্ঠিত হয় ওয়ার্ল্ড গলফ চ্যাম্পিয়নশিপ। আর্কটিক মহাসাগর থেকে ৬০০ কিলোমিটার (৩৭৩ মাইল) উত্তরে অবস্থিত শহরটি। মাত্র ১৩০০ মানুষের বসবাস এখানে। এটি বিশ্বের উত্তরতম গলফ কোর্স। প্রতি বছর প্রতিযোগিতার আগে বরফ কেটে এর ডিজাইন (কোর্সের আয়তন নির্ধারণ) করা হয়। বিশাল তুষারস্তূপ ও হিমবাহের পথ ধরে চলে গলফ খেলা। মার্চ মাসে যখন খেলা শুরু হয় তখন তাপমাত্রা নেমে আসে মাইনাস ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (মাইনাস ১৩ ফারেনহাইট)। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা এবং বিরূপ আবহাওয়া অন্যান্য দেশ থেকে অংশ নেওয়া গলফারদের কোনোভাবেই নিরুৎসাহিত করতে পারেনি। পেশাদার ও অপেশাদার দুই ধরনের গলফার প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। কিন্তু চূড়ান্ত পর্বে কেবল ৩৬ জনই সুযোগ পান। জনপ্রিয় খেলাটির আয়োজক ওয়ার্ল্ড আইস গলফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফাউন্ডেশন।

এই বিভাগের আরও খবর
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
সর্বশেষ খবর
পাকুন্দিয়ায় আগুনে পুড়ল চার দোকান
পাকুন্দিয়ায় আগুনে পুড়ল চার দোকান

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)

২৭ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ইয়াবাসহ দুই যুবক আটক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ইয়াবাসহ দুই যুবক আটক

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান

৩১ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

আগারগাঁওয়ে ককটেল বিস্ফোরণ
আগারগাঁওয়ে ককটেল বিস্ফোরণ

৩৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি

৪০ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

সেনেগালকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিল ব্রাজিল
সেনেগালকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিল ব্রাজিল

৪৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ভাঙ্গা থানায় হামলার ঘটনায় আ.লীগের তিন নেতা গ্রেফতার
ভাঙ্গা থানায় হামলার ঘটনায় আ.লীগের তিন নেতা গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রমজান ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আরব আমিরাত
রমজান ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আরব আমিরাত

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’
‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, মরদেহের পাশে মিলল গুলির খোসা
বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, মরদেহের পাশে মিলল গুলির খোসা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি এখনো জনপ্রিয় হতে পারেনি, জামায়াত হয়েছে: ডা. তাহের
বিএনপি এখনো জনপ্রিয় হতে পারেনি, জামায়াত হয়েছে: ডা. তাহের

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক গ্রেফতার
রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি
এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নওগাঁয় চোর চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার
নওগাঁয় চোর চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সেই নবজাতক পরিবারের পাশে পুলিশ
সেই নবজাতক পরিবারের পাশে পুলিশ

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বান্দরবানে চেকপোস্টে ধরা পড়ল ৬ রোহিঙ্গা
বান্দরবানে চেকপোস্টে ধরা পড়ল ৬ রোহিঙ্গা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চা পাতা তুলতে গিয়ে ভাল্লুকের আক্রমণের শিকার নারী
চা পাতা তুলতে গিয়ে ভাল্লুকের আক্রমণের শিকার নারী

৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কলাপাড়ায় জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিতে সাইকেল র‍্যালি
কলাপাড়ায় জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিতে সাইকেল র‍্যালি

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাকচাপায় কিশোর নিহত
ট্রাকচাপায় কিশোর নিহত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশের জার্সিতে প্রথম জয় পেতে মরিয়া সমিত সোম
বাংলাদেশের জার্সিতে প্রথম জয় পেতে মরিয়া সমিত সোম

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৩ কোটির পাথিরানাকে ছেড়ে দিল চেন্নাই
১৩ কোটির পাথিরানাকে ছেড়ে দিল চেন্নাই

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টঙ্গীবাড়ীতে পাক হানাদারমুক্ত দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভা
টঙ্গীবাড়ীতে পাক হানাদারমুক্ত দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
গাইবান্ধায় ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিনাজপুরে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত
দিনাজপুরে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভোট দেওয়ার জন্য দেশের মানুষ মুখিয়ে আছে: মোশারফ হোসেন
ভোট দেওয়ার জন্য দেশের মানুষ মুখিয়ে আছে: মোশারফ হোসেন

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ
নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার
স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার
অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব
বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা
তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ
ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?
বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল
বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ
আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী
স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ
নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা
মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী
লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর
গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড
টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত
ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান
চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার
এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার

১৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

অস্থিরতার ফাঁদে দেশ!
অস্থিরতার ফাঁদে দেশ!

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ
খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯
জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম
সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী
এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা
হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল
ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ
নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নির্বাচনি প্রচারে সব দল
নির্বাচনি প্রচারে সব দল

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ
ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল
থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল

নগর জীবন

গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন
গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার
প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু
নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু

পেছনের পৃষ্ঠা

টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি
টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই
ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে
ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা
নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা

পেছনের পৃষ্ঠা

বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে
বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য
উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য

পেছনের পৃষ্ঠা

মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল
মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি
প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল
খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল

প্রথম পৃষ্ঠা

নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন
নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস থামছেই না
আগুনসন্ত্রাস থামছেই না

প্রথম পৃষ্ঠা

পালিয়েছে ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার পরিবারের সদস্য
পালিয়েছে ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার পরিবারের সদস্য

খবর

বিচারকের ছেলে হত্যায় লিমন রিমান্ডে
বিচারকের ছেলে হত্যায় লিমন রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ
আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচিত হলে পানির ন্যায্য হিস্‌সা : ফখরুল
নির্বাচিত হলে পানির ন্যায্য হিস্‌সা : ফখরুল

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যবসায়ী আকাশ হত্যায় গ্রেপ্তার ৩
ব্যবসায়ী আকাশ হত্যায় গ্রেপ্তার ৩

নগর জীবন

বিশ্বজুড়ে কমলেও দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়েছে
বিশ্বজুড়ে কমলেও দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন ইউরোপীয় ইউনিয়নের
গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন ইউরোপীয় ইউনিয়নের

প্রথম পৃষ্ঠা