শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

রহস্যময় গ্রিনল্যান্ড

আবদুল কাদের
প্রিন্ট ভার্সন
রহস্যময় গ্রিনল্যান্ড

ভৌগোলিক অবস্থান

সুমেরু অঞ্চলের মহাসাগর ঘেঁষা রাজ্য গ্রিনল্যান্ড। এটি আটলান্টিক ও আর্কটিক মহাসাগরের মাঝে অবস্থিত। দেশটি উত্তর আমেরিকা মহাদেশের। তবে ডেনমার্ক দ্বারা স্বীকৃত। গ্রিনল্যান্ডবাসী নিজেরাই তাদের রাষ্ট্র পরিচালনা করে। কিন্তু কিছু কিছু বিষয়ে তারা এখনো ডেনমার্কের ওপর নির্ভরশীল। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য- অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং সরকারি ভর্তুকি। জেনে অবাক হবেন, গ্রিনল্যান্ডের প্রায় ৬০ শতাংশ সরকারি রাজস্বের ভর্তুকি ডেনমার্ক বহন করে। আয়তনের দিক থেকে গ্রিনল্যান্ড পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দ্বীপ। দ্বীপটি প্রায় ২১,৭৫,৬০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। যা ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানি, স্পেন, ইতালি, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড এবং বেলজিয়ামের সমান। তবে দেশটির প্রায় ১৮,০০,০০০ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল বরফে ঢাকা। অর্থাৎ দ্বীপটির চার ভাগের তিন ভাগই (৮০ শতাংশ) বরফে আচ্ছাদিত। গ্রিনল্যান্ডের শহরগুলো আটলান্টিক এবং আর্কটিক মহাসাগরের উপকূল ঘেঁষা। কারণ, এই অঞ্চলগুলোই (প্রায় ৩,৪১,৭০০ কিলোমিটার) কেবল বরফমুক্ত। যা নরওয়ের চেয়ে বড় এবং ডেনমার্কের দশ গুণ। দেশটির উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের দূরত্ব ২৬৭০ কিলোমিটার। যার আয়তনে নরওয়ের বার্গেন শহর থেকে তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিসের দূরত্ব। একইভাবে দেশটির পূর্বাঞ্চল থেকে পশ্চিমাঞ্চলের দূরত্ব ১০৫০ কিলোমিটার। যা আয়তনের দিক থেকে স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবার্গ থেকে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের সমান দূরত্ব। উত্তর মেরুর রাজ্য বলে এখানকার গড় তাপমাত্রা মাইনাস ৮ থেকে মাইনাস ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখানকার শীতকাল একটু বেশিই দীর্ঘ। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ও অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশের চাদরে ঝুলে থাকে গোটা গ্রিনল্যান্ড। এখানে এমন হিমবাহ রয়েছে যা সমুদ্রতল থেকে ৩,৩০০ মিটার বা তার বেশি পুরু। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের ধারণা, যদি কখনো জলবায়ু পরিবর্তন ঘটে তবে গ্রিনল্যান্ডে হিমবাহের বরফ গলে সমুদ্রের পানি ৭ মিটার বৃদ্ধি পাবে।

 

গ্রিনল্যান্ডের অধিবাসীরা

গ্রিনল্যান্ডে বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের বসবাস। তবে এর সংখ্যা মাত্র ৫৭ হাজার। এটি বিশ্বের সর্বনিম্ন জনসংখ্যার দেশ। যার মধ্যে ৩০ শতাংশের বসবাস নিউইয়র্ক সিটিতে। গ্রিনল্যান্ডে দুটি প্রাথমিক ভাষা রয়েছে- গ্রিনল্যান্ডিক এবং ড্যানিশ। গ্রিনল্যান্ডিক ভাষায় গ্রিনল্যান্ডকে কালালিত নুনাত (জনগণের ভূমি) বলা হয়। এখানকার অধিবাসীরা ইনুইট নামেই পরিচিত। ইনুইট শব্দের অর্থ ‘মানুষ’। বিদেশিরা ইনুইটদের এস্কিমো বলে ভুল করে থাকে। যা স্থানীয় কিছু বাসিন্দার জন্য বেশ আপত্তিকর। তারা নিজেদের এস্কিমোর বদলে ইনুইট পরিচয় দিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। গ্রিনল্যান্ডে প্রায় ৮৮ শতাংশ ইনুইটের বসবাস। বাকি ১২ শতাংশ আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ফিলিপাইন, সুইডেন, নরওয়ে, জার্মানি এবং ড্যানিশ বা ডাচদের উত্তরসূরি (অর্থাৎ মিশ্র ইনুইট)। প্রায় ৯০ শতাংশ ইনুইট দেশটির ১৬টি শহরে বাস করে। তন্মধ্যে গ্রিনল্যান্ডের রাজধানী নুক-এ প্রায় ১৮ হাজার ইনুইট বসবাস করে। বাকি ১০ শতাংশ ইনুইন সম্পূর্ণ বরফের তৈরি ছোট ছোট বসতিতে বসবাস করে। ইনুইটরা দেখতে সাধারণত বেঁটে ও স্বাস্থ্যবান গড়নের হয়ে থাকে। তাদের নাক থাকে চ্যাপ্টা, চুল কালো ও খাড়া। ২০১৪ সালের তত্ত্ব অনুসারে, এখানকার প্রায় ৯৫ শতাংশ ইনুইট খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী। বাকি ৫ শতাংশ অন্য ধর্মাবলম্বী। গ্রিনল্যান্ডে বসবাসরত পুরুষ ও নারীর গড় আয়ু যথাক্রমে ৬৯ এবং ৭৪ বছর। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে বেশির ভাগ ইনুইটের বসবাস। গ্রীষ্মকালে এই অঞ্চলে গড়ে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইট) তাপমাত্রা বিরাজ করে। অন্যদিকে শীতকালে এখানকার গড় তাপমাত্রা থাকে মাইনাস ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। যা উত্তর গ্রিনল্যান্ডের তুলনায় অনেক ঠাণ্ডা।  সম্পূর্ণ দ্বীপটি বরফে মোড়ানো বলে এখানকার মানুষের বেঁচে থাকার প্রধান উৎস মাছ শিকার। উত্তর মেরুর গ্রিনল্যান্ডবাসী নানা প্রতিকূলতার মধ্যে বসবাস করলেও সৌভাগ্যবশত, প্রচণ্ড ঠাণ্ডা তাদের বসবাসে কখনো বাধা হয়নি।

 

বিশ্বের সবচেয়ে বড়

ন্যাশনাল পার্ক

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাতীয় উদ্যান ‘ন্যাশনাল পার্ক’ গ্রিনল্যান্ডেই অবস্থিত। নাম ‘নর্থ-ইস্ট গ্রিনল্যান্ড ন্যাশনাল পার্ক’। জীববৈচিত্র্যের অনন্য এক লীলাভূমি এটি। এখানে প্রায় ৩১০ প্রজাতির ভাস্কুলার উদ্ভিদের দেখা মেলে, যার মধ্যে ১৫ প্রজাতির উদ্ভিদ পৃথিবীর অন্য কোথাও নেই। ডেনমার্ক এবং গ্রিনল্যান্ডের দুটি মন্ত্রণালয় (জীবিকা, বাসস্থান, কৃষি, মৎস্য ও পরিবেশ সম্পর্কিত) পরিবেশ সংরক্ষণের দায়িত্ব ভাগ করে নেয়। মন্ত্রণালয় দুটি প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ এবং এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সহযোগিতা করে আসছে। নর্থ-ইস্ট গ্রিনল্যান্ড ন্যাশনাল পার্কটি ১৯৭৪ সালে প্রথম তৈরি করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে এর আকার প্রসারিত করে ০.৯৭ মিলিয়ন বর্গ কি.মি. (০.৩৮ মিলিয়ন মাইল) করা হয়। পার্কটিতে সংরক্ষিত উদ্ভিদ ও প্রাণী বরফে আচ্ছাদিত গ্রিনল্যান্ডকে রক্ষা করে। এখানে বিরল প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে রয়েছে মাস্ক ষাঁড়, মরু ভাল্লুক, আর্কটিক নেকড়ে, আর্কটিক খরগোশ, রেইনডিয়ার এবং তুষারময় পেঁচা। সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সম্পদেও গ্রিনল্যান্ড পৃথিবীখ্যাত। এখানকার সাগর উপকূলে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় হুডেড ও গ্রে শিলদের। আছে সাদা বেলোগা তিমি, লম্বা দাঁতের ওয়ালরাস (বিরল প্রজাতির জলজ স্তন্যপায়ী প্রাণী)। আছে পেরেগ্রিন ফ্যালকন, বড় পানকৌড়ি, গাঙচিলসহ রং বেরঙের নানা প্রজাতির পাখি। সব মিলিয়ে পার্কটি জীববৈচিত্র্যের সত্যিকারের স্বর্গভূমি। এটি পশুপাখিদের অভয়াশ্রম। কারণ, এটি মানুষের হস্তক্ষেপ থেকে দূরে রাখা হয়েছে। তবে, এখানেও কিছু মানুষের উপস্থিতি আছে। গবেষকরা এই অঞ্চলে টানা বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালান। অনেক পর্যটকও কৌতূহলবশত গবেষণা চালানোর প্রয়াস করেন। ফলে অনেক সময় উদ্ভিদ এবং প্রাণীর ক্ষতিসাধন ঘটে। দেশটির সবচেয়ে দূরবর্তী শহর ইতোকরতরমিত থেকে শিল ও তিমি ব্যবসায়ীরা এখানে যাতায়াত করেন। যা পূর্ব গ্রিনল্যান্ডে অবস্থিত। পার্কটির বড় হুমকি জলবায়ু পরিবর্তন। দ্রুত বরফ গলে সমুদ্রের পানি বেড়ে বিপদসীমায় অতিক্রম করছে।

 

নামকরণের ইতিহাস

ইতিহাসবিদরা অনেকে মনে করেন, পূর্বে দ্বীপটির নাম ছিল ভাইকিং (জলদস্যু)। তাদের মতে, আইসল্যান্ডের ভাইকিং এরিক দ্য রেড গ্রিনল্যান্ডের আবিষ্কারক। তার আসল নাম এরিক থরভালদসন। কথিত আছে, হত্যার অপরাধে এরিক আইসল্যান্ড থেকে নির্বাসিত হন। এরপর তিনি গ্রিনল্যান্ডে আসেন। তখন ছিল গ্রীষ্মকাল। এরিক নেমেছিলেন দ্বীপটির দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে। যে স্থানটি উষ্ণ তাপমাত্রা, ফসল ও সবুজ প্রকৃতির জন্য সহায়ক ছিল। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এরিক সম্ভবত বসতি স্থাপন ও অন্যদের আকৃষ্ট করার জন্য দ্বীপটির নাম দেন গ্রিনল্যান্ড। অন্য তথ্য থেকে জানা যায়, এরিক দ্বীপটি আবিষ্কারকারী প্রথম ব্যক্তি নন। তবে তিনি যে ইউরোপের প্রথম নাগরিক হিসেবে গ্রিনল্যান্ডে পা রাখেন ও বসতি স্থাপন করেন তাতে সন্দেহ নেই। আরেক তত্ত্ব মতে, দ্বীপটিতে ৪-৫ হাজার বছর আগে মানুষ এসেছিল প্রথম কানাডা থেকে। গ্রিনল্যান্ডকে গ্রিন বলা সম্পূর্ণ ভুল। কেননা, এখানে সারা বছর বরফে ঢাকা থাকে। কেউ কেউ মনে করেন দ্বীপটি প্রকৃতপক্ষে ‘গ্রান্টল্যান্ড’ নামে পরিচিত ছিল।

 

নেই পরিবহন ব্যবস্থা

বরফের রাজ্য গ্রিনল্যান্ডে যাতায়াত ব্যবস্থা সুবিধাজনক নয়। অন্য দেশ থেকে গ্রিনল্যান্ডে সরাসরি যাতায়াতের তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। সমুদ্রপৃষ্ঠে দেশটির অবস্থান হলেও নেই আন্তর্জাতিক ফেরি সার্ভিস। গ্রিনল্যান্ডের অবস্থান উত্তর আমেরিকা মহাদেশে ঠিকই কিন্তু ইউরোপের কয়েকটি দেশের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ ভালো। অন্য দেশ থেকে গ্রিনল্যান্ডে সরাসরি যোগাযোগের ক্ষেত্রে কেবল  ৪টি বিমানবন্দরই ভরসা। এদের মধ্যে ৩টিই ইউরোপের আইসল্যান্ডে অবস্থিত। আইসল্যান্ডের বিমানবন্দর ৩টি- রেইকভিক, কেফ্লাভিক এবং আকুরেরি। আর চতুর্থ বিমানবন্দরটি অবস্থিত ইউরোপের আরেকটি দেশ ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে। এই বিমানবন্দর থেকে এয়ার গ্রিনল্যান্ডের ফ্লাইটে চড়ে ৫ ঘণ্টায় গ্রিনল্যান্ড পৌঁছানো সম্ভব। এ ছাড়া কানাডিয়ান আর্কটিক ও নরওয়ের সভালবার্ড থেকে সমুদ্রপথে জাহাজে  চড়ে আইসল্যান্ডে পৌঁছানো যায় এবং আইসল্যান্ড থেকে গ্রিনল্যান্ড। গ্রিনল্যান্ডের অভ্যন্তরে রয়েছে ১৬টি বড় শহর। কিন্তু একটি শহর থেকে আরেকটি শহরে যাতায়াতের সু-ব্যবস্থা নেই। যদিও কিছু শহরের দূরত্ব খুবই কম। কিন্তু বছরের অধিকাংশ সময় এখানকার পুকুর, ডোবা, খালবিল, রাস্তাঘাট থাকে বরফে ঢাকা। তাই পরিবহন ব্যবস্থা ভালো নয়। তাছাড়া প্রকৃতির বড় বড় বরফের পাহাড়ের বাধা তো আছেই! অর্থাৎ নির্দ্বিধায় বলাই যায়, দেশটির অভ্যন্তরীণ পরিবহন ব্যবস্থা মোটেও ভালো নয়। শহরগুলোয় কার্যত নেই কোনো অভ্যন্তরীণ রাস্তা, রেলপথ ও নৌপথ। তাই আর্কটিক তুন্দ্রার মতো এলাকায় বসবাসকারী মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা যে কত ভয়াবহ তা অনুমান করলেই বোঝা যায়। স্থানীয়রা তাদের যাতায়াতে ব্যবহার করে উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টার। এক শহর থেকে আরেক শহরে যাতায়াতে তারা নিজেদের তৈরি যানবাহন ব্যবহার করে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- স্লেজ, কায়াক এবং স্নো স্যু। সাধারণত তিমি মাছের চোয়াল, রেইনডিয়ারের খুলি, শিল মাছের হাড় আর কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয় এসব স্লেজ। একটা স্লেজ পাঁচটা কুকুর টেনে নিয়ে যায়। স্থানীয়দের কাছে স্লেজ টানা কুকুরগুলোর বেশ কদর। এ ছাড়া যাতায়াত এবং শিকারের জন্য স্থানীয়রা কায়াকও (ছোট নৌকা) ব্যবহার করে। মালামাল পরিবহন ও যোগাযোগ রক্ষায় এগুলোই এখানকার প্রধান বাহন। পশ্চিম গ্রিনল্যান্ডের ক্যাঞ্জারলুসুয়াক শহরে রয়েছে আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ যাতায়াতের সবচেয়ে বড় পরিবহন ব্যবস্থা।

 

আত্মহত্যা প্রবণতায় বিশ্বে প্রথম

স্বেচ্ছা- মৃত্যুকে বরণ করে নেওয়ায় গ্রিনল্যান্ডবাসী সারা বিশ্বে প্রথম। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপে গ্রিনল্যান্ড পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা প্রবণ দেশ। এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য গ্রিনল্যান্ডবাসীর জন্য দুর্ভাগ্যই বটে। সংস্থাটির জরিপে আত্মহত্যার দিক দিয়ে এগিয়ে আছে এমন ১১০টি দেশের মধ্যে প্রথম পাঁচটি দেশ হলো- গ্রিনল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, গায়ানা, দক্ষিণ কোরিয়া এবং কাজাখস্তান।  প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গ্রিনল্যান্ডের প্রতি লাখে অন্তত ৮৩ জন্য মানুষ স্বেচ্ছা- মৃত্যুবরণের পথ বেছে নেন। ২০১৬ সালের হিসাব অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লাখে ১৩.৭ জন এবং গায়ানায় লাখে ৩০.২ জন আত্মহত্যা করেন। তবে যেহেতু এটি একটি দেশ নয়, ডেনমার্কের রাজ্যের একটি স্বাধীন অঞ্চল তাই বলা যায়, গায়ানা পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যাপ্রবণ দেশ। এদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রিনল্যান্ডের ইনুইটদের একটি বড় অংশ আদিম জনগোষ্ঠী। তাই নানা সঙ্গত কারণেই তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। যদিও গ্রিনল্যান্ডের দাবি, তারা নিজেকে হত্যা করছে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা বা বৈরী আবহাওয়া এর কারণ নয়। মনোবিশেষজ্ঞদের দাবি, গ্রিনল্যান্ডবাসীর মধ্যে নৈতিকভাবে অধঃপতনের ফলে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। যখন পরিবারের কোনো সদস্য বা বন্ধুদের মধ্যে কেউ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় তখন তার আশপাশের লোকেরাও একই ঝুঁকিতে থাকে। এমন আত্মাহুতির যথেষ্ট রেকর্ড রয়েছে গ্রিনল্যান্ডে। একাকী এবং বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়গুলোই এমন পরিস্থিতির শিকার সবচেয়ে বেশি। বিস্ময়কর তথ্য হলো- দেশটিতে কোনো মনোবিশেষজ্ঞ নেই। ধারণা করা হচ্ছে, এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে গ্রিনল্যান্ডের কমপক্ষে ২০ বছর সময় লেগে যাবে।

 

রত্ন ও খনিজ সম্পদের প্রাচুর্য

‘প্রতিটি মেঘ রুপালি আস্তরণে ঢাকা’। প্রবাদটির মতো গ্রিনল্যান্ডের হিমবাহের নিচেও তেমনি রয়েছে মূলবান রত্ন ভাণ্ডার। চোখ ঝলসানো সাদা বরফের আস্তরণ দেখে বোঝার উপায় নেই যে, গ্রিনল্যান্ডে রয়েছে সোনা, হীরা, রুবি, নিকেল, কপার ও অন্যান্য খনিজ সম্পদের ভাণ্ডার। এ কারণেই গ্রিনল্যান্ড ভবিষ্যতে অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি লাভ করবে। বিশ বছর আগের ঘটনা, জলবায়ু পরিবর্তনে দ্বীপটি ঢেকে রাখা বেশিরভাগ হিমবাহ প্রথম গলতে শুরু করে। তাতেই প্রকাশ পায় গ্রিনল্যান্ডের রত্ন পাথরের সমৃদ্ধশীল জমিন। এক কথায়, বৈচিত্র্যময় পাথরের ভাণ্ডার গ্রিনল্যান্ড। ২০১০ সালে গ্রিনল্যান্ডের খনিজ কোম্পানি ‘অ্যাঞ্জেল মাইনিং’ প্রথম রত্ন ভাণ্ডার নিয়ে কাজ শুরু করে। ২০১৭ সালে প্রায় ৫৬টি অনুসন্ধানকারী দলকে অনুসন্ধানের অনুমোদন দেয় দেশটির সরকার। সরকারের তথ্য মতে, দেশটির উত্তর-পশ্চিমে রয়েছে অকিক (মূল্যবান মণিরাজি), দামি পাথর এবং অ্যালমেনডাইন। পশ্চিমে রয়েছে রুবি, হীরা, পান্না, নীলকান্তমণিসহ অনেক নামিদামি পাথর। দক্ষিণ-পশ্চিমে পাওয়া যায় টাগটুপাইট, অ্যামাজোনাইট, নীলা, চন্দ্রকান্তমণি, সোডালাইট, ল্যাবরাডোরাইট খনিজ সম্পদ ও পূর্ব গ্রিনল্যান্ডের জমিনজুড়ে রয়েছে করান্ডাম, অকিক এবং দামি সব পাথর। বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ ইউরেনিয়াম খনি তৈরির পরিকল্পনা করা হয় ২০১৩ সালে। এর কিছুদিন আগে দেশটির সরকার সাংসদীয় অধিবেশনে ইউরেনিয়াম খনির ওপর নিষেধাজ্ঞা অপসারণের পক্ষে ভোট দেয়। ‘ব্লুজে মাইনিং’ গ্রিনল্যান্ডের স্থানীয় কোম্পানি ডুন্ডাস’কে সঙ্গে নিয়ে খনি সংগ্রহে আগ্রহ প্রকাশ করে। তিন বছর পর ২০১৮ সালে সরকার খনিতে প্রবেশের অনুমতি দেয়। কিছু কোম্পানি ইতিমধ্যে তার সুফলও পায়। ড্যানিশ কোম্পানি হার্টম্যানস গ্রিনল্যান্ডিক রুবি-নীলকান্তমণি ব্যবহার করে তাদের জুয়েলারি তৈরি করে।

 

মধ্যরাতের সূর্য

রাত ৩টা, কিন্তু চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে সূর্য। অবাক হচ্ছেন! এটা গ্রিনল্যান্ডের বিস্ময়। সারা বছর বরফে ঢাকা থাকলেও গ্রীষ্মে বরফ কেটে গেলে দেশটির রূপ পাল্টে যায়। এমন ঘটনা যে কেবল উত্তর মেরু অঞ্চলেই ঘটে তা নয়, দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের অনেকটা অংশজুড়ে গ্রীষ্মে একটা নির্দিষ্ট সময় আক্ষরিক অর্থেই সূর্য ডুবতে দেখা যায় না। অভুত হলেও সত্য যে, তখন ২৪ ঘণ্টা সূর্য আলোরিত হয়। দিন-রাত তখন সমান থাকে। গ্রিনল্যান্ডবাসীও সময়টাকে বেশ উপভোগ করে। তারা তখন নৌকা ভ্রমণ, মাছ শিকার, বারবিকিউ পার্টি এবং নানা খেলায় মেতে থাকে। প্রতি বছর গ্রীষ্মে অন্তত আধা ঘণ্টা এমন দৃশ্যের দেখা মেলে আর্কটিক উপকূলে। তবে গ্রিনল্যান্ডের কিছু অঞ্চলে মধ্যরাতের সূর্য একটু দীর্ঘায়িত হয়। দেশটির ইলুলিসাত শহরে দুই মাসেরও বেশি সময় এমন দৃশ্য দেখা যায়। কানাক শহরে তো প্রায় সাড়ে তিন মাস সূর্য অস্তই হয় না। তবে একই সময় দেশটির দক্ষিণের শহর নানরতালিকে মধ্যরাতের সূর্যের দেখা মেলে না। এখানে ২০ ঘণ্টা সূর্যের দেখা মেলে।

 

আমেরিকার বৃহত্তম সংরক্ষিত ধ্বংসাবশেষ

প্রত্নতাত্ত্বিকদের ধারণা আমেরিকার সবচেয়ে পুরনো বিল্ডিংয়ের ধ্বংসাবশেষ ভ্যালসি চার্চ। এটি উত্তর আমেরিকার খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রথম গির্জাগুলোর একটি। সম্ভবত গ্রিনল্যান্ডে প্রথম অধিবাসীদের আগমনের কয়েক শতাব্দীর মধ্যে ১০ থেকে ১টি গির্জা নির্মিত হয়েছিল। তাদের মধ্যে অন্যতম এই চার্চ। গির্জাটি ১৪ শতাব্দীর গোড়ার দিকে নির্মিত। এক তত্ত্ব মতে, নর্স (নরওয়ের) অধিবাসীরা গির্জাটি নির্মাণ করেছিলেন। তারা গ্রিনল্যান্ড এসেছিলেন আইসল্যান্ড ও স্ক্যান্ডিনাভিয়া থেকে। গির্জার খুব কাছেই নির্মিত হয়েছিল ১৪টি ঘর। গির্জার ভবন এবং অভ্যন্তরীণ হল দুটি পাথর দিয়ে তৈরি। এটি নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছিল বড় গ্রানাইটের টুকরো। পুরো ভবন নির্ভুলতার সঙ্গে নির্মাণ করা হয়। তবে, একটি ভুল ঠিকই ঘটেছিল। এটি কবরস্থানে তৈরি। তবে কবরগুলো অন্য স্থানে না সরিয়ে তৈরি করায় নির্মাণের পর এর ভিত্তি ও প্রাচীর ভেঙে পড়ে। ১৯৯৯ সালে গির্জার ধ্বংসাবশেষ ভাঙা প্রতিরোধে কাজ করা হয়।

 

ওয়ার্ল্ড গলফ চ্যাম্পিয়নশিপ

গ্রিনল্যান্ডের উম্মান্নাক, ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এই শহরে অনুষ্ঠিত হয় ওয়ার্ল্ড গলফ চ্যাম্পিয়নশিপ। আর্কটিক মহাসাগর থেকে ৬০০ কিলোমিটার (৩৭৩ মাইল) উত্তরে অবস্থিত শহরটি। মাত্র ১৩০০ মানুষের বসবাস এখানে। এটি বিশ্বের উত্তরতম গলফ কোর্স। প্রতি বছর প্রতিযোগিতার আগে বরফ কেটে এর ডিজাইন (কোর্সের আয়তন নির্ধারণ) করা হয়। বিশাল তুষারস্তূপ ও হিমবাহের পথ ধরে চলে গলফ খেলা। মার্চ মাসে যখন খেলা শুরু হয় তখন তাপমাত্রা নেমে আসে মাইনাস ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (মাইনাস ১৩ ফারেনহাইট)। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা এবং বিরূপ আবহাওয়া অন্যান্য দেশ থেকে অংশ নেওয়া গলফারদের কোনোভাবেই নিরুৎসাহিত করতে পারেনি। পেশাদার ও অপেশাদার দুই ধরনের গলফার প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। কিন্তু চূড়ান্ত পর্বে কেবল ৩৬ জনই সুযোগ পান। জনপ্রিয় খেলাটির আয়োজক ওয়ার্ল্ড আইস গলফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফাউন্ডেশন।

এই বিভাগের আরও খবর
স্ক্যাল্পেও চাই সানস্ক্রিন
স্ক্যাল্পেও চাই সানস্ক্রিন
বয়স ৪০, এখনো ব্রণের সমস্যা
বয়স ৪০, এখনো ব্রণের সমস্যা
সোনিয়া রহমান রন্ধনশিল্পী
সোনিয়া রহমান রন্ধনশিল্পী
৩৩০০ বছর পরেও নেফারতিতি এখনো বেশ অনুপ্রেরণীয়
৩৩০০ বছর পরেও নেফারতিতি এখনো বেশ অনুপ্রেরণীয়
মুখমণ্ডলের লোম অপসারণ : কী পরামর্শ দেন ডার্মাটোলজিস্টরা
মুখমণ্ডলের লোম অপসারণ : কী পরামর্শ দেন ডার্মাটোলজিস্টরা
কখন থেকে সানগ্লাস
কখন থেকে সানগ্লাস
জিন্স কাহন
জিন্স কাহন
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানীদের গল্প
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানীদের গল্প
এআই বিপ্লব : আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ
এআই বিপ্লব : আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ
ইরানের সেকাল-একাল
ইরানের সেকাল-একাল
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানসাধক
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানসাধক
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
সর্বশেষ খবর
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি

১০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা
শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিশুদের মনোজগতে ভার্চুয়াল থাবা
শিশুদের মনোজগতে ভার্চুয়াল থাবা

১ ঘণ্টা আগে | অন্যান্য

শেষ হলো বিয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম
শেষ হলো বিয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন বজায় রাখার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার
উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন বজায় রাখার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

চোটে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস
চোটে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী
আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অক্টোবরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ
অক্টোবরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চেলসি ছেড়ে আর্সেনালে তারকা ফরোয়ার্ড
চেলসি ছেড়ে আর্সেনালে তারকা ফরোয়ার্ড

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে
নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭
সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘বিএনপি অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে’
‘বিএনপি অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে’

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের
১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জয়পুরহাটে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
জয়পুরহাটে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১
সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রংপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২
রংপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ
জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিলেটে বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ
সিলেটে বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ

৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মৌন মিছিল
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রংপুর মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল
রংপুর মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নীলফামারীতে বিএনপির মৌন মিছিল
নীলফামারীতে বিএনপির মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজবাড়ীতে শহীদ গণির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল
রাজবাড়ীতে শহীদ গণির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : প্রিন্স
আবার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : প্রিন্স

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা
উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কুলাউড়া সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে
কুলাউড়া সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতকড়াসহ আসামির পলায়ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতকড়াসহ আসামির পলায়ন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে
বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে

১৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে
কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান
যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা
ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস
সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে
রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক
স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ
হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম
শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া
ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান
সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু
বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা
ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা
ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা

১৮ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের
বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম
সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল
গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র
গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ
মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুলাই)

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যাংকিং খাত উচ্চঝুঁকিতে
ব্যাংকিং খাত উচ্চঝুঁকিতে

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০
গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী
চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন
চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বড় জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু বাংলাদেশের যুবাদের
বড় জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু বাংলাদেশের যুবাদের

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এমবাপ্পের বকশিশ পেয়ে বিপদে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা
এমবাপ্পের বকশিশ পেয়ে বিপদে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
রোগী নেই দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতালে
রোগী নেই দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতালে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান
বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান

প্রথম পৃষ্ঠা

গোপালগঞ্জজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক
গোপালগঞ্জজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক
কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক

পেছনের পৃষ্ঠা

কুমিল্লায় এক খন্ড হংকং নগরীর গল্প!
কুমিল্লায় এক খন্ড হংকং নগরীর গল্প!

শনিবারের সকাল

অপরাজিত থাকার প্রত্যাশা আফঈদাদের
অপরাজিত থাকার প্রত্যাশা আফঈদাদের

মাঠে ময়দানে

আজকের ভগ্যচক্র
আজকের ভগ্যচক্র

আজকের রাশি

এপিএসের পোষা বিড়াল যখন মন্ত্রী
এপিএসের পোষা বিড়াল যখন মন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

বড় ধাক্কার মুখে রাজস্ব খাত
বড় ধাক্কার মুখে রাজস্ব খাত

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই গণ অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন
জুলাই গণ অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

আমাদের কালের মিষ্টি নায়িকা কবরী
আমাদের কালের মিষ্টি নায়িকা কবরী

শোবিজ

নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন না
নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন না

মাঠে ময়দানে

জনগণের সম্মতি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে
জনগণের সম্মতি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভুটানে সাবিনা-ঋতুপর্ণার ডাবল হ্যাটট্রিক
ভুটানে সাবিনা-ঋতুপর্ণার ডাবল হ্যাটট্রিক

মাঠে ময়দানে

ব্যাটিংয়ে কাইলি মায়ার্স বোলিংয়ে খালেদ
ব্যাটিংয়ে কাইলি মায়ার্স বোলিংয়ে খালেদ

মাঠে ময়দানে

সবজি মুরগির দাম চড়া নাগালের বাইরে ইলিশ
সবজি মুরগির দাম চড়া নাগালের বাইরে ইলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

যুবাদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ
যুবাদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ

মাঠে ময়দানে

বন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ‘আগুনের পরশমণি’
বন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ‘আগুনের পরশমণি’

শোবিজ

পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে দেশ
পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল
গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংকঋণ যাচ্ছে সরকারি বন্ডে
ব্যাংকঋণ যাচ্ছে সরকারি বন্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

পাঁচ চলচ্চিত্রে আফজাল হোসেন
পাঁচ চলচ্চিত্রে আফজাল হোসেন

শোবিজ

নান্দনিক নওয়াববাড়ি মসজিদ
নান্দনিক নওয়াববাড়ি মসজিদ

শনিবারের সকাল

মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান টাইগাররা
মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

শান্তির নীড় মাটির ঘর
শান্তির নীড় মাটির ঘর

পেছনের পৃষ্ঠা

১৩ হাজারি ক্লাবে বাটলার
১৩ হাজারি ক্লাবে বাটলার

মাঠে ময়দানে

কক্সবাজারে অপহৃত তিন কিশোর উদ্ধার
কক্সবাজারে অপহৃত তিন কিশোর উদ্ধার

নগর জীবন

অবসর শেষে মৎস্য খামার
অবসর শেষে মৎস্য খামার

শনিবারের সকাল

আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী
আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনে করার কিছু নেই
হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনে করার কিছু নেই

প্রথম পৃষ্ঠা