রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

দেশে দেশে সোনার খনি

তানিয়া তুষ্টি ও সাইফ ইমন

দেশে দেশে সোনার খনি

সবার কাছেই মূল্যবান ধাতু হিসেবে গুরুত্ব পায় সোনা। তবে আদিযুগে এই ধাতু সম্পর্কে মানুষের তেমন ধারণা ছিল না। জানা ছিল না সোনা উত্তোলনের কৌশল। পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে থাকা খনির সন্ধানও ছিল না তাদের কাছে। কিন্তু বর্তমানে মানুষ রীতিমতো সোনা নিয়ে রাজত্ব করতে শিখেছে। গোটা বিশ্বে নানা সময়ে পাওয়া গেছে সোনার খনি। বিশ্বজুড়ে থাকা এ সোনার ভা-ারের নানা ইতিহাস নিয়ে আজকের রকমারি...

 

বিশ্বজুড়ে সোনার খনি

বিশ্বের আরেকটি সোনার ভান্ডারের দেশ নেদারল্যান্ডস। উত্তোলন ব্যাপক থাকায় কিছু দিন আগেও তাদের দেশে সোনা বিক্রির হিড়িক ছিল। তবে এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। এর আগে ডাচরা কখনই তাদের এ হলুদ টাকার ওপর হাত দেয়নি। নেদারল্যান্ডসে প্রায় ৬১২.৫ টন সোনা রয়েছে...

সোনা সব মানুষের প্রিয় মূল্যবান খনিজ পদার্থ। আর সেই সুবাদে যেখানেই সোনার খনির সন্ধান মিলেছে সেখানেই মানুষ ছুটে গেছে। তবে বিশ্বের সব দেশেই তো আর সোনার ভান্ডার নেই। হাতেগোনা কয়েকটি দেশে রয়েছে মূল্যবান এ ধাতুর খনি। এ উপমহাদেশের ভারতেই রয়েছে সোনার বিশাল ভান্ডার। বিজনেস ইনসাইডারের জরিপে বর্তমানে এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম দেশ ভারতে রয়েছে প্রায় ৫৫৭.৭ টন সোনার মজুদ। ভারতীয়দের নিজেদের পুরনো বিশ্বাস যে, সোনার জন্য টাকা খরচ করলে তা ক্ষয় হয়। তাই হয়তো বিশাল এ ভান্ডারের দিকে তাদের কোনো নজর নেই। বিশ্বের আরেকটি সোনার ভান্ডারের দেশ নেদারল্যান্ডস। উত্তোলন ব্যাপক থাকায় কিছু দিন আগেও তাদের দেশে সোনা বিক্রির হিড়িক ছিল। তবে এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। এর আগে ডাচরা কখনই তাদের এ হলুদ টাকার ওপর হাত দেয়নি। নেদারল্যান্ডসে প্রায় ৬১২.৫ টন সোনা রয়েছে। এশিয়ার আরেক দেশ জাপানও বিশাল সোনার উৎস। উনিশ শতকের মাঝামাঝি জাপানিদের সোনা ছিল মাত্র ৬ টন। তবে বর্তমানে জাপানে ৭৬৫.২ টন সোনার বিশাল মজুদ রয়েছে। সুইজারল্যান্ড ও রাশিয়াও সোনার দৌড়ে পিছিয়ে নেই। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের কাছে দেশটির দেওয়া তথ্যানুসারে বর্তমানে সুইজারল্যান্ডের রয়েছে ১,০৪০ টন সোনা। অন্যদিকে বৃহত্তর রাশিয়ার রয়েছে প্রায় ১৩৫২.২ টন সোনার ভান্ডার। এশিয়ায় চীনের সোনার ভান্ডার হলো প্রাকৃতিক পরিবর্তনের সুফল। বর্তমানে দেশটিতে সোনা রয়েছে প্রায় ১,৭০৮.৫ টন। অন্যদিকে ফ্রান্সের কথা বলতে গেলে দেশটির ডানপন্থি নেতা মেরিন লে পেনের ভূমিকা সম্পর্কে বলতেই হয়। যিনি কিনা ২০১৪ সালে দেশটিকে সোনায় স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে ব্যাপক উৎসাহ দেন। বর্তমানে দেশটির সোনার মজুদ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৩৫.৫ টনে। ইতালির ভান্ডারে রয়েছে ২,৪৫১.০ টন সোনা। অন্যদিকে জার্মানির হাতে রয়েছে প্রায় ৩,৩৮১ টন সোনা। আমেরিকার সোনার মজুদও কম নয়। ১৯৫২ সালের আগে ছিল প্রায় ২০,৬৬৩ টন। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে সে পরিমাণ কমতে থাকে। বর্তমানে দেশটির সোনার ভান্ডারে মজুদ রয়েছে মোট ৮১৩৩.৫ টন।

 

উত্তরপ্রদেশে মজুদ সোনা ৩৩৫০ টন!

ভারতে সোনার খনি

ভারতের উত্তরপ্রদেশের নকশাল অধ্যুষিত সোনভদ্র জেলায় দুটি  সোনার খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। দুটি খনিতে প্রায় তিন হাজার ৩৫০ টন সোনা মজুদ আছে। যা দেশটিতে মজুদ থাকা সোনার চেয়ে পাঁচগুণ বেশি। ভারতে বর্তমানে সোনা মজুদ আছে প্রায় ৬২৬ টন।

জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া ও উত্তরপ্রদেশ সরকারের ভূ-তত্ত্ব ও খনি দফতরের যৌথ উদ্যোগে মিলেছে এ সাফল্য। জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া টিম ২০০৫ সাল থেকেই এ এলাকায় সোনা খেঁাঁজার কাজ করছে। দীর্ঘ অনুসন্ধান ও গভীর গবেষণার পর ২০১২ সালে সোনার উপস্থিতি প্রমাণ হয়েছিল ওই এলাকায়। গত বৃহস্পতিবার সোনভদ্র জেলার খনিসংক্রান্ত বিভাগের কর্মকর্তা কে কে রাই জানান, সোনভদ্র জেলার সোনাপাহাড়ি ও হারদি এলাকায় দুটি সোনার খনির সন্ধান পাওয়া গেছে।

এর মধ্যে সোনাপাহাড়ি খনিতে আছে ২৭০০ টন ও হারদি খনিতে আছে প্রায় ৬৫০ টন সোনা। সোনাপাহাড়ি খনিতে ইউরেনিয়ামের ভা-ার থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই খোঁজও শুরু হবে শিগগিরই। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সোনার খনির উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে ওই সোনার খনি দুটি মাইনিংয়ের জন্য লিজে দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সাত বিশেষজ্ঞ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য।

 

কুমটোর সোনার খনি

এক কোটি আউন্সের বেশি সোনার উত্তোলন ঘটে এখানে। ১৯৯৭ সালে যাত্রা করা খনিটি  উত্তোলনের দিক থেকে পৃথিবীর অন্যতম সেরা সোনার খনি হিসেবে পরিচিত।

কুমটোর সোনার খনি পৃথিবী বিখ্যাত। পেরুতে অবস্থিত ইয়ানোকচা সোনার খনির পরে পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সোনার  খনি। কুমটোর গোল্ড কোম্পানির পূর্ণ মালিকানাধীনের মাধ্যমে, কুমটোর কানাডার খনি কোম্পানি, সেন্টেরা গোল্ডের ১০০ শতাংশ মালিকানাধীন। এ খনিটি ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করে এবং ৩১ মার্চ ২০১৫ সালের মধ্যে এক কোটি আউন্সেরও (৩১১০০০ কেজিা) বেশি সোনা উত্তোলন করে। কুমটোর সোনার খনি হচ্ছে মূলত কিরগিজস্তানের ইশিক-কুল অঞ্চলে রাজধানী বিশেকেকের থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে এবং চীনের সীমান্তের কাছে লেক ইশিক-কুলের ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত একটি উন্মুক্ত সোনার খননকারী কূপ। এটি তিয়ান সান পর্বতমালায় অবস্থিত। ২০১২ সালের জুনের মাঝামাঝি কিরগিজ সংসদে প্রাসঙ্গিক পরিবেশগত, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা এবং জনসাধারণের আদর্শমানের সঙ্গে কুমটোরের সম্মতি পর্যালোচনা করার জন্য একটি রেজ্যুলেশনের প্রস্তাব করে। কুমটোর খনিকে জাতীয়করণের পক্ষে ভোট দিতে সামান্য বাধা ছিল, সংসদ সদস্যরা বরং সরকারকে সেন্টেরার সঙ্গে চুক্তিটি সংশোধন করার জন্য নির্দেশ দেন। বর্তমানে, কিরগিজস্তানের সেন্টেরার সঙ্গে ৩২ দশমিক ৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে, তবে সেন্টেরা এ খনি এবং এর উৎপাদনের ওপর পূর্ণ মালিকানা বজায় রেখেছে। ২০১৫ সালের ৯ এপ্রিলে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ডুমার্ট অটোরবায়েভ কুমটোর সোনার খনি প্রকল্পের যেকোনো যৌথ উদ্যোগ বাতিল করে বলেন, কুমটোর সোনার খনির যৌথ উদ্যোগ তার দেশের স্বার্থে ছিল না।

 

ইরানে  সোনার খনি

ইরানে ছোট-বড় অনেক খনি আছে যেসব খনিতে মূল্যবান সোনার মতো অনেক ধাতু রয়েছে। সোনা উত্তোলন করার জন্য সোনার খনির ওয়ার্ল্ড স্টান্ডার্ড হলো খনিতে মজুদ সোনার পরিমাণ কমপক্ষে একশ টন হতে হবে। বৈশ্বিক এ মান অনুযায়ী ইরানে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১০টি সোনার খনি শনাক্ত করা হয়েছে। সমগ্র ইরানের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে এসব সোনার খনি। এ ছাড়া ইরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মাশহাদ প্রদেশে আবিষ্কৃত হয়েছে নতুন সোনার খনি। নতুন এ সোনার খনির অবস্থান হচ্ছে মাশহাদ প্রদেশের রাজধানী থেকে ২১৭ কিলোমিটার দক্ষিণে কাশমার শহরের কাছে। সরকারি কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী নতুন এ খনিতে ৮৮৯ হাজার টন সোনার পাথর রয়েছে। খনিটি আবিষ্কারের জন্য ইরান স্থানীয় মুদ্রায় ১৪০ কোটি রিয়াল খরচ করেছে। ২০১৫ সালে নতুন এ সোনার খনির সন্ধান পাওয়া গেছে।

 

স’মিল বসাতে গিয়ে পাওয়া সোনা

১৮৪৮ সালে জন সাটার নামের এক মার্কিন ধনাঢ্য আবাসন ব্যবসায়ী দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি বড় আবাসন প্রকল্প নিয়ে কাজ শুরু করেন। সে কাজে তার প্রচুর কাঠ প্রয়োজন হলো। প্রকল্পের পাশেই সাটার একটি স’মিল বানানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। কাছেই সাক্রামেন্টো পাহাড়ে সেই স’মিল বসানোর দায়িত্ব দিলেন বর্তাল জেমস মার্শালকে। এ কাজে মাটি খোঁড়ার সময় মার্শাল আবিষ্কার করলেন মাটির নিচে সোনালি কিছু একটা চকচক করছে। আবিষ্কারের আনন্দে তার চোখ জোড়াও চকচক করে উঠল। তিনি প্রথম সোনার খনি আবিষ্কার করেছেন। জন সাটারের স’মিলে পরিখা খননের প্রয়োজনে পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীটি ব্যবহার করা হয়েছিল। প্রতি রাতে নদীর পানির দিক পরিবর্তন করে স’মিলের নিচ দিয়ে প্রবাহিত করা হতো। দিনের বেলা সেই প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া হতো। ১৮৪৮ সালের ২৪ জানুয়ারি দিনের বেলায় পানির প্রবাহ বন্ধ করে মার্শাল পরিখার অবস্থা দেখতে গেলেন। শুকনো পরিখায় মার্শাল তাল চকচকে উজ্জ্বল ধাতব কিছু একটা দেখতে পান সোনালি রঙের। দেখেই তার চোখ চকচক করে উঠল। তিনি দুটি পাথর দিয়ে ধাতব তালটাকে পিটিয়ে দেখলেন। সেটি ছড়িয়ে গিয়ে বড় হলো, কিন্তু ভাঙল না। ব্যস, মার্শাল নিশ্চিত হলেন, ওই তালটা সোনারই।

 

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সোনার ভান্ডার

গ্রাসবার্গ খনি ভুবন বিখ্যাত। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সোনার খনি গ্রাসবার্গ। এ খনির পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের নাম ফ্রিপোর্ট। এটি একই সঙ্গে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় তামার খনিও।

গ্রাসবার্গ খনিটি ওসেনিয়া মহাদেশের পাপুয়া নিউগিনিতে অবস্থিত। এখানে কর্মরত আছেন ১৯ হাজার ৫০০ কর্মী। গ্রাসবার্গ খনিতে এখন পর্যন্ত ১.৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন সোনা মজুদ আছে। ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে এ খনিতে মোট সংরক্ষিত সোনার পরিমাণ ছিল ৬.৫ মিলিয়ন আউন্স।

খনি পরিচালনাকারী কোম্পানিগুলোর মতে, ২০১৩ সালে খনিটি থেকে ১.২৫ মিলিয়ন আউন্স সোনা উত্তোলন করা হয়।

 

পেরুতে কালো পুকুর খনি

পেরুর ভাষায় ওয়ান শব্দের অর্থ কালো, আর কোচা শব্দের অর্থ পুকুর। পেরুর আনদেস পর্বতমালায় অবস্থিত ওয়ানকোচা খনি ল্যাটিন আমেরিকার বৃহত্তম সোনার খনি। এটি ১৯৯৩ সালে আবিষ্কৃত হয়। এর তিনটি সক্রিয় খনি আছে। এ খনি থেকে এখন পর্যন্ত মোট ২৬ মিলিয়ন আউন্স সোনা উৎপন্ন হয়েছে। এ খনি পরিচালনা কোম্পানির নাম নিউমন্ট মাইনিং। ২০১২ সালে এ খনি থেকে ১.৩৪৬ মিলিয়ন আউন্স সোনা উত্তোলন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ খনিতে ৩ মিলিয়ন আউন্স সোনা মজুদ আছে। সোনার এ খনিটি পেরুর মাইনিং কোম্পানি বুয়েনাভেঞ্চারা এবং ফ্রান্সের অধীনস্থ কোম্পানি ব্যুরো দ্য রিসার্সেস জিওলজিকস এট মাইনারসের যৌথ মালিকানায় পরিচালিত হয়।

 

যেখানে মিলিয়ন মিলিয়ন সোনা

গোল্ডস্ট্রাইক খনিটি আমেরিকার নর্থওয়েস্টার্ন অঞ্চলের নিভাদা অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত। খনিটি ব্যারিক গোল্ড কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত। সোনার ভা-ারখ্যাত কোম্পানিটি ১৯৮৭ সালে চালু হয়। গোল্ডস্ট্রাইক সোনার খনি থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ৮.৫ মিলিয়ন সোনা উত্তোলন করা হয়। ২০১৬ সালের পর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ লাখ ৭৫ হাজার আউন্স থেকে ১ কোটি ৭৫ হাজার আউন্স পর্যন্ত। এ খনিতে প্রতি আউন্স সোনা উত্তোলনে খরচ হয় ৭৮০ থেকে ৮৫০ ডলার। নেভাদা রাজ্যে অবস্থিত এ খনিটিরও মালিক কানাডার ব্যারিক গোল্ড কর্প। এ খনি থেকে ২০১৬ সালে ৩৪ টন সোনা উত্তোলন করা হয়েছে। 

 

ভূমিকম্পে সোনা সৃষ্টি

বিজ্ঞানীরা বলছেন ভূমিকম্পের ফলে নাকি তৈরি হয় সোনা। আগ্নেয়গিরি ও ভূমিকম্পের ফলে নাকি সৃষ্ট ভূগর্ভস্থ তরল পদার্থগুলো খ-িত হয়ে ক্ষুদ্র কণায় পরিণত হয়ে রূপান্তরিত হয় মূল্যবান সম্পদে। অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ডের ভূ-পদার্থ বিজ্ঞানের গবেষক ডিওন ওয়েদারলি জানান, ভূগর্ভস্থ তাপ ও চাপের ফলে তরল পদার্থগুলো পৃথক পৃথক কণায় রূপান্তরিত হয়। সৃষ্টি হয় নতুন নতুন পদার্থ। ভূগর্ভের ১০ কিলোমিটার গভীরে পানির সঙ্গে কার্বন ডাই-অক্সাইড ও সিলিকা মিশে থাকে। যখন ভূকম্পন হয় তখন  প্রচ- তাপ ও চাপের ফলে ভেঙে যায় সেখানকার পানির কণাগুলো। এতে বিভিন্ন ধরনের মূল্যবান খনিজ পদার্থের সৃষ্টি হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর