শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ আপডেট:

সৌদি আরবের বদলে যাওয়া

সাইফ ইমন
প্রিন্ট ভার্সন
সৌদি আরবের বদলে যাওয়া

সৌদি আরবের ধূসর মরুর বুকে গড়ে ওঠা সুরম্য অট্টালিকা, কর্মব্যস্ত নগর-চত্বর, বিলাসবহুল সব হোটেল কিংবা রাজকীয় প্রাসাদ সবই হয়েছে। তারপরও কী যেন ‘নেই’। কিন্তু এই ‘নেই’ এখন পরিপূর্ণ হচ্ছে। নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি সৌদি নারীদের জীবনযাত্রাও যাচ্ছে পাল্টে। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সৌদি আরব ২০৩০ সাল নাগাদ গড়ে তুলছে আধুনিক শহর। ঘরে-বাইরে সৌদি আরবের  বদলে যাওয়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে আজকের রকমারি-

 

ভবিষ্যতের শহর বানাচ্ছে সৌদি

সৌদি বাদশাহ সালমান ভাতিজা মুহাম্মদ বিন নায়েফকে সরিয়ে সিংহাসনের উত্তরসূরি করেন ছেলে মুহাম্মদ বিন সালমানকে। এরপর থেকে বদলের হাওয়া বইতে শুরু করে রক্ষণশীল দেশ বলে পরিচিত সৌদি আরবে। দেশটি অর্থনৈতিক সংস্কারের নামে তেলভিত্তিক অর্থনীতির ওপর নির্ভরতা কমানো, পর্যটন ও শিল্পায়নে গুরুত্ব দেওয়া, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ, আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতি আর নারীদের অধিকারের বিষয়ে ধাপে ধাপে অনেকটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা হচ্ছে, যার মূল কৃতিত্ব দেওয়া হচ্ছে ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানকে। বাবা বাদশাহ সালমান সিংহাসনে থাকলেও কার্যত অনেক ক্ষেত্রেই মূল ভূমিকা পালন করছেন এই যুবরাজ। সম্প্রতি বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সৌদির ভবিষ্যতের জন্য প্রযুক্তিবান্ধব শহরের পরিকল্পনার কথা। যে শহরে থাকবে কৃত্রিম চাঁদ, থাকবে উড়ন্ত ট্যাক্সির ব্যবস্থা। বাড়ি-ঘর পরিষ্কারের কাজ করবে রোবট। পুরো শহর হবে কার্বনমুক্ত। সৌদি কর্তৃপক্ষ একে বর্ণনা করেছেন বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চাকাক্সক্ষী প্রকল্প হিসেবে। লোহিত সাগরের তীরে গড়ে তোলা হচ্ছে সৌদি আরবের বিলাসবহুল শহর দ্য লাইন। ‘নিওম’ নামে একটি প্রকল্পের আওতায় এই শহরের আকার হবে ১৭০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। কার্বনমুক্ত এই শহরে ১০ লাখের বেশি মানুষ বসবাস করতে পারবেন। শহরটি চলবে শতভাগ পরিবেশবান্ধব জ্বালানি দিয়ে। ২০১৮ সালের অক্টোবরে যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গকে বলেছিলেন, নিওম শহরের প্রথম পর্যায়ের কাজ প্রায় শেষের দিকে। তবে শহরটির সব কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালে। লোহিত সাগরের তীরে নির্মাণ প্রকল্প ‘নিওমের’ আওতায় ২৬ হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকার উন্নয়ন পরিকল্পনা করছে সৌদি সরকার। সেই প্রকল্পের আওতায় দ্য লাইন শহরটি তৈরি করা হচ্ছে। যেসব প্রতিষ্ঠান শহরটি নির্মাণ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ করছে, তাদের গোপনীয় কিছু কাগজপত্র দেখার সুযোগ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পত্রিকা ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী, নিওম নামটি এসেছে গ্রিক ও আরবি নাম মিলিয়ে। গ্রিক শব্দ নতুন আর আরবি শব্দ ভবিষ্যৎ, এই দুই মিলিয়ে শহরের নাম রাখা হয়েছে নিওম। সৌদি আরবের উত্তর পূর্বাঞ্চলে ১০ হাজার ২৩০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে শহরটি তৈরি করা হচ্ছে। যার পেছনে খরচ হবে ৫০০ বিলিয়ন ডলার বা ৫০ হাজার কোটি টাকা। তেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে সৌদি সমাজে পরিবর্তন আনার জন্য যে ‘ভিশন ২০৩০’ নিয়েছেন যুবরাজ মোহাম্মদ, তারই অংশ নিওম শহর। নিওম ওয়েবসাইটে বর্ণনা করা হয়েছে, ‘ভবিষ্যৎ এখানে নতুন ঠিকানা পেয়েছে।’ রাতের বেলায় পুরো এলাকাজুড়ে আকাশে থাকবে বিশাল

কৃত্রিম চাঁদ। আসল চাঁদের মতোই সেই চাঁদের আলোয় আলোকিত হয়ে থাকবে দ্য লাইন শহর। নিওম প্রকল্পে কৃত্রিম মেঘমালা তৈরি করার প্রযুক্তি থাকবে। এসব মেঘের ফলে মরুভূমিতে আরও বেশি মাত্রায় বৃষ্টি হবে। শিক্ষার ব্যবস্থা হিসেবে থাকবে হলোগ্রাফিক শিক্ষক, যেমনটা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির চলচ্চিত্রে দেখা যায়। সেখানে জুরাসিক পার্কের মতো একটি দ্বীপ থাকবে, যেখানে রোবট ডাইনোসরের দেখা পাওয়া যাবে। সৌদি কর্মকর্তারা বলছেন, মানুষজন  সেখানে উড়ন্ত ট্যাক্সিতে চলাফেরা করবেন। কর্মকর্তারা বলছেন, ভবিষ্যতে মানুষজন আনন্দের জন্য গাড়ি চালাবেন, তাদের কাজের প্রয়োজনে গাড়ি চালাতে হবে না। বাড়িঘর পরিষ্কারের কাজ করবে রোবট। সৌদি যুবরাজ চাইছেন, প্রযুক্তির দিক থেকে শহরটি হবে সিলিকন ভ্যালির মতো, বিনোদনের দিক থেকে হলিউডের মতো আর অবসর কাটানোর জন্য ফ্রেঞ্চ রিভিয়েরার মতো। লোহিত সাগরের সৈকতেও অনেক পরিবর্তন আনা হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, সেখানকার সৈকতগুলোয় কালো রঙের বালুতে ঢেকে দেওয়া হবে। শহরের নিওম বে নামে এলাকায় এর মধ্যেই নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গেছে। একে বলা হচ্ছে প্রথম দফার প্রকল্প। সৌদি প্রেস এজেন্সির তথ্য অনুসারে, নিওম বে-তে সাদা বালুর সৈকত থাকবে, আবহাওয়া হবে মনোরম আর বিনিয়োগের জন্য চমৎকার পরিবেশ থাকবে। এটা হবে অনেকটা আবাসিক এলাকার মতো।  এর মধ্যেই নিওম বিমানবন্দরের কার্যক্রম শেষ হয়েছে।

 

সিনেমা হলে ছুটছে মানুষ

সত্তর দশকেও সৌদি আরবে সিনেমা হল চালু ছিল। পরবর্তীতে আশির দশকে সিনেমাকে নিষিদ্ধ করা হয়। সিনেমা হলের ওপর থেকে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে সৌদি। ৩৫ বছর নিষিদ্ধ থাকার পর এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয় দুই বছর আগে। বাণিজ্যিক সিনেমা হলগুলোকে সরকারি লাইসেন্স দেওয়ার আইন পাস করানোর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়া হয়। এরপর থেকেই সিনেমা দেখার প্রতি মানুষের উৎসাহ দেখা যায়। শুরু হওয়া সিনেমা হলে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। সৌদি আরবের সংস্কৃতি মন্ত্রী আওয়াদ বিন সালেহ আল-আওয়াদ সিনেমা হল চালু করার সংবাদ দেন যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় সঙ্গে সঙ্গেই। তিনি এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার মুহূর্তকে সৌদি রাজতন্ত্রের সাংস্কৃতিক অর্থনীতির উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি সন্ধিক্ষণ বলে উল্লেখ করে বলেন, সিনেমা হল চালু করার পদক্ষেপটি অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি এবং বহুমুখীকরণের ক্ষেত্রে প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে। বৃহত্তর সাংস্কৃতিক অঙ্গন চালু করার মধ্য দিয়ে আমরা নতুন কর্মসংস্থান এবং প্রশিক্ষণ সুবিধা চালু করতে পারব। একই সঙ্গে আমরা সৌদি রাজতন্ত্রের বিনোদন জগৎকে সমৃদ্ধ করতে পারব। সিনেমা হল চালুর বর্তমান এই পদক্ষেপকে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের ‘ভিশন-২০৩০’ এর অংশ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য আগের তুলনায় প্রায় এক-তৃতীয়াংশ হয়ে যাওয়ায় তেলনির্ভর উপসাগরীয় দেশগুলো যে চরম অর্থনৈতিক হুমকির সম্মুখীন হয়েছে, তা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে সৌদি যুবরাজ অত্যন্ত উচ্চাকাক্সক্ষী এই প্রকল্প ঘোষণা করেন। তার অংশ হিসেবেই সিনেমার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী এরপর ২০৩০ সাল পর্যন্ত ১২ বছরে পুরো সৌদি আরব জুড়ে ৩০০টি সিনেমা হল চালু করা হবে, যেগুলোতে মোট ২,০০০টি পর্দা থাকবে। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সৌদির এমন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ বলে মনে করছেন বিশ্বের সংস্কৃতমনা ব্যক্তিরা।

 

চালু হয়েছে নাইট ক্লাব রয়েছে হালাল ড্যান্সবার

এখনো পাসপোর্ট করা, বিদেশ ভ্রমণ, বিয়ে, ব্যাংক হিসাব খোলা, কোনো ব্যবসা শুরু করা, কোনো ধরনের সার্জারি-এমনকি সাজা শেষ হওয়ার পর কারাগার ছেড়ে যাওয়ার জন্যও সৌদি নারীকে অবশ্যই তার পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি নিতে হয়। তবে বিধিনিষেধ অনেকাংশেই এখন কমে গেছে সৌদিতে। সৌদি আরবে চালু হচ্ছে হালাল নাইট ক্লাব। অ্যাডমাইন্ড হসপিটালিটি গ্রুপের একটি নাইট ক্লাবের কার্যক্রম শুরু হয়েছে সৌদি আরবে। এ ছাড়াও বিভিন্ন শহরে গড়ে উঠছে হালাল ড্যান্সবার। এতে বিলাসবহুল ক্যাফে এবং লাউঞ্জ থাকছে। থাকছে ইলেকট্রনিক ড্যান্স মিউজিক, কমার্শিয়াল মিউজিক, আরএনবি এবং হিপহপ মিউজিক। ড্যান্স ফোরে নারী-পুরুষ একসঙ্গে ডান্স করতে পারবেন। তবে মদ পাওয়া যাবে না। কারণ সৌদি আরবে মদ কেনাবেচা অবৈধ। সৌদিতে এরই মধ্যে ক্যাফেগুলোতে নানা পার্টির আয়োজন করা হচ্ছে। সংগীতানুষ্ঠানেরও হিড়িক পড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সৌদিতে মারিয়াহ ক্যারে, ইনরিক, ডেভিড গুয়েতা, তিয়েসতো, সিন পল এবং অ্যাকনের মতো বিশ্বের খ্যাতনামা শিল্পীরা কনসার্ট করেছেন।

 

বিমান চালনা ও সেনাবাহিনীতে নারী

মাত্র বছর তিনেক আগে ভোটাধিকার ও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার পান সৌদি নারীরা। এরপর নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে নারীদের কর্মক্ষেত্রে কাজের সুযোগ বাড়ানোর অংশ হিসেবে এক নারী দেশটিতে বাণিজ্যিক বিমানের প্রথম নারী পাইলট হিসেবে স্বীকৃতি পান। তার নাম ইয়াসমিন আল মিয়ামানি। বিমান চালানোর লাইসেন্স পাওয়ার ছয় বছর পর বাণিজ্যিক বিমান চালানোর অনুমতি পান মিয়ামানি। একই সঙ্গে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া সৌদি ছাত্রীদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের অনুমতিও দেওয়া হয়। এসব বিষয় বিবেচনায় সৌদি সেনাবাহিনীতে নারীদের যোগ দেওয়ার বিষয়টা চালু হয়ে গেছে। নারী সৈনিক নিয়োগ দিয়েছে সৌদি সেনাবাহিনী। তবে সৌদি নারীদের এই অধিকার পাওয়ার তালিকার চেয়ে আটকে থাকার তালিকাটা কিন্তু এখনো দীর্ঘ। তবে বর্তমান পরিস্থিতি ইতিবাচক। 

 

রাষ্ট্রদূত হলেন রাজকুমারী

সৌদি রাজকুমারী রিমা যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। তার নিয়োগের মাধ্যমে প্রথম সৌদি আরব কোনো নারীকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিল। রিমা তার শৈশবের কিছু সময় ওয়াশিংটন ডিসিতে কাটিয়েছেন। পড়াশোনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা লাভ করা রাজকুমারী রীমা সৌদি নারীদের ক্রীড়ায় অংশগ্রহণ বাড়াতে কাজ করেন। তার রাষ্ট্রদূত নির্বাচিত হওয়াকে অনেকেই সৌদি আরবে নারীদের ক্ষমতায়নের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন। সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া নারীদের বিবাহের সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা বা বিদেশভ্রমণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মানবাধিকার কর্মীরা বলে এসেছেন এই অভিভাবকত্ব ব্যবস্থার কারণে সৌদি নারীরা ব্যাপক বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। সরকার এই ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার কথা বললে তা বাস্তবায়ন করছে না। বিষয়টি নিয়ে সৌদি নারী অধিকার কর্মীরা সোচ্চার হয়ে উঠছেন। তবে পরিবর্তন আসছে দেশটিতে একটু একটু করে বলে মানছেন অনেকেই।

 

ডিজিটাল কলেজ

প্রযুক্তিবিষয়ক কাজে সম্পৃক্ত করতে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথমবারের মতো দুটি ডিজিটাল কলেজ চালু করেছে সৌদি আরব। রাজধানী রিয়াদ ও বড় শহর জেদ্দায় নারীদের প্রযুক্তিবিষয়ক শিক্ষার প্রসারে কলেজ দুটির উদ্বোধন করা হয় গত বছর শেষের দিকে। শুধু নারীদের প্রযুক্তিবিষয়ক শিক্ষাদানের জন্য ডিজিটাল কলেজ স্থাপন সৌদি আরবে এই প্রথম। এখানের প্রযুক্তিবিষয়ক নানা বিষয়ে অনার্স ও ডিপ্লোমার ব্যবস্থা রয়েছে। নেটওয়ার্ক সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট, মিডিয়া টেকনোলজি, সফটওয়্যার, স্মার্ট সিটি, রোবোটিকস টেকনোলজি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিন লার্নিংসহ নানা বিষয় থাকছে কলেজ দুটিতে। মন্ত্রী হামাদ আল শেখ বলেন, সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ ও প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান ক্ষমতায়ন ও সর্বোচ্চ সহায়তার মাধ্যমে নারীদের উন্নয়ন কর্মসূচির মূল ভিত্তি হিসেবে রাখতে চান। নারীদের কর্মসংস্থান, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও মেধার মূল্যায়নের মাধ্যমে নারীর উন্নয়ন করা হবে।

 

গাড়ি চালাচ্ছে সৌদি নারী

সৌদি আরবে মেয়েরা এখন সাইকেল রেসেও অংশ নিতে পারছে। ২০১৮ সালের ২৪ জুন মেয়েদের ড্রাইভিংয়ের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞাও উঠে গেছে। অনেক নারীকেই ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়েছে। যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান বলছেন, তিনি সৌদি সমাজের আধুনিকায়ন করতে চান এবং দেশকে মধ্যপন্থি ইসলামে ফিরিয়ে নিতে চান। তার ভিশন ২০৩০ কর্মসূচির অধীনে তিনি বেশ কিছু সংস্কার শুরু করেছেন। মেয়েদের ব্যাপারে নেওয়া পদক্ষেপগুলো তারই অংশ। এক নারী চালক বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, ‘এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, আমরা একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে যাচ্ছি। আমি এই বিশাল পরিবর্তনের সাক্ষী হতে পেরে খুবই গর্বিত।’ এদিকে সৌদি আরবের মদিনায় বিশ্বনন্দিত মার্কিন ফ্যাশন ম্যাগাজিন ভোগ-এর ফটোশুটও হয়েছে। মদিনা প্রদেশের আল-উলা এলাকায় ওই মডেল ফটোশুটের আয়োজন করা হয়। ‘আল-উলায় ২৪ ঘণ্টা’ শিরোনামের ওই ফটোশুটে কেট মসের মতো সুপার মডেলদের দেখা গেছে।

 

নারী-পুরুষ পাশাপাশি স্টেডিয়ামে

সৌদি আরবের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারীরা পুরুষদের পাশাপাশি স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলা উপভোগ করার সুযোগ পেয়েছেন। জেদ্দার কিং আবদুল্লাহ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়াম নারীদের জন্য তাদের দরজা উন্মুক্ত করার মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক ঘটনার সূচনা ঘটে। এর আগে নারীরা শুধু ইনডোর স্টেডিয়ামে সীমিতভাবে নারীদের জন্য আয়োজিত খেলাধুলা উপভোগ করতে পারত। কিন্তু ফুটবলসহ পুরুষদের কোনো অনুষ্ঠানে তারা উপস্থিত হতে পারত না। কিন্তু যুবরাজ সালমান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নারী স্বাধীনতাসহ সৌদি আরবের সামাজিক ব্যবস্থায় বিভিন্ন সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিতে শুরু করেন। তারই ধারাবাহিকতায় সৌদি আরবের জেনারেল স্পোর্টস অথরিটি ঘোষণা দেয়, ২০১৮ সাল থেকে জেদ্দা, দাম্মাম এবং রিয়াদের স্টেডিয়ামগুলোকে সপরিবারে খেলা দেখার জন্য উপযোগী করে প্রস্তুত করা হবে। সেই মোতাবেক সৌদি লীগের ১৭তম রাউন্ডের আল-আহলি বনাম আল-বাতিনের মধ্যকার খেলাটি দেখার জন্য প্রথমবারের মতো দর্শকদের সপরিবারে স্টেডিয়ামে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। প্রবেশপথে অবশ্য দুটি ভিন্ন সারি ছিল- একটি শুধু পুরুষদের জন্য, অন্যটি যারা সপরিবারে এসেছে তাদের জন্য। নারী দর্শকদের কালো আবায়ার সঙ্গে স্কার্ফ পরিধান করে এবং  পক্ষের দলের পতাকা হাতে নিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করে আসন গ্রহণ করতে দেখা যায়।

 

খুলেছে পর্যটনের দুয়ার

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে মাত্র ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আল কিদিয়া নামক স্থানে নির্মিত হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এন্টারটেইনমেন্ট সিটি। সে জন্য এই শহরের নামও দেওয়া হয়েছে ‘আল কিদিয়া’, যেখানে থাকবে বিনোদনের সব ব্যবস্থা। এই বিনোদন নগরীকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রধান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চায় সৌদি আরব। এতে বিনোদন, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডসহ সব ধরনের ব্যবস্থা থাকবে। গড়ে তোলা হবে সাফারি পার্ক এবং থিম পার্ক। সৌদি আরবের তেলনির্ভরশীলতা কমিয়ে আনার জন্য গৃহীত প্রকল্পগুলোর মধ্যে এটি একটি। বিশেষ করে মরুর বুকে পর্যটনশিল্পকে সমৃদ্ধ করার জন্যই এমন পদক্ষেপ। এই অবিশ্বাস্যভাবে অগ্রগতিগুলো ঘটছে মুহাম্মদ বিন সালমানের কারণেই। পর্যটন খাতের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। সে জন্যই বিশ্বের কাছে সৌদি আরবকে আরও উদার, উন্মুক্ত ও আকর্ষণীয় করে তুলতে বিভিন্ন সংস্কার কর্মসূচি নিয়েছেন তিনি। ফলে আগের রক্ষণশীল কাঠামো থেকে মুক্তির যে আবহ তৈরি হয়েছে সৌদি আরবে, তাতে তরুণদের মধ্যে  তাঁর ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে।

 

স্মার্ট ফার্মেসিতে স্মার্ট রোবটকর্মী

সৌদি আরব সম্প্রতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তিতে পিছিয়ে থাকতে নারাজ সৌদি সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় সৌদি আরব ২৬ হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটারের বিশাল এলাকাজুড়ে ৫০ হাজার কোটি ডলার ব্যয়ে একটি মেগা সিটি নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যেখানে মানুষের চেয়ে রোবটের সংখ্যা থাকবে বেশি। এরই আগাম প্রচেষ্টা হিসেবে সৌদি আরবের কিং ফাহাদ হাসপাতালে রোবটচালিত ‘স্মার্ট ফার্মেসি’র উদ্বোধন করা হয়েছে। ২০১৮ সালে তাবুক অঞ্চলের গভর্নর প্রিন্স ফাহাদ বিন সালমান তাবুক এলাকার ডিরেক্টর অব হেলথ অ্যাফেয়ার্স ঘুরমাল্লা বিন আবদুল্লাহ আল ঘামদিকে সঙ্গে নিয়ে এ ফার্মেসি উদ্বোধন করেন। নতুন এ স্মার্ট ফার্মেসিতে ওষুধ বিক্রি করার জন্য রোবট রয়েছে। ১ ঘণ্টায় ২৪০টি প্রেসক্রিপশন পড়তে পারবে রোবট এবং নিয়োজিত  রোবট ঘণ্টায় ১ হাজার ৫০০ প্যাকেট ওষুধ সরবরাহ করতে পারে। এ ছাড়া ২০ হাজার প্যাকেট ওষুধ সাজানোর কাজও করতে পারবে রোবট।  মানুষও রোবটদের সেবা পাচ্ছে ভালোভাবেই।

এই বিভাগের আরও খবর
ইরানের সেকাল-একাল
ইরানের সেকাল-একাল
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানসাধক
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানসাধক
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন যার স্বপ্ন
নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন যার স্বপ্ন
সড়কেই উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎ
সড়কেই উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎ
মাছের খামারে নিরাপত্তা দেবে ‘পন্ডগার্ড’
মাছের খামারে নিরাপত্তা দেবে ‘পন্ডগার্ড’
কৃষকের কাজে কিষানি ড্রোন
কৃষকের কাজে কিষানি ড্রোন
দেশজুড়ে যত উদ্ভাবন
দেশজুড়ে যত উদ্ভাবন
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা
ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা
দেশে দেশে কোরবানি
দেশে দেশে কোরবানি
ত্যাগের মহিমাময় কোরবানি যেন নষ্ট না হয়
ত্যাগের মহিমাময় কোরবানি যেন নষ্ট না হয়
সর্বশেষ খবর
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনা বুধবার, ভালো কিছুর প্রত্যাশা
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনা বুধবার, ভালো কিছুর প্রত্যাশা

২ মিনিট আগে | অর্থনীতি

রাস্তা সংস্কারের দাবিতে হবিগঞ্জে গ্রামবাসীর মানববন্ধন
রাস্তা সংস্কারের দাবিতে হবিগঞ্জে গ্রামবাসীর মানববন্ধন

৩ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই
চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই

৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ডিপজলের বিরুদ্ধে মামলা
ডিপজলের বিরুদ্ধে মামলা

১৩ মিনিট আগে | শোবিজ

টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

১৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণসহ ৬ দফা দাবিতে গাইবান্ধায় অবস্থান কর্মসূচি
বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণসহ ৬ দফা দাবিতে গাইবান্ধায় অবস্থান কর্মসূচি

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কুবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাজহার, সম্পাদক আবির
কুবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাজহার, সম্পাদক আবির

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নোয়াখালীতে মুষলধারে বৃষ্টি, দুর্ভোগ চরমে
নোয়াখালীতে মুষলধারে বৃষ্টি, দুর্ভোগ চরমে

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে একটি বহুতল ভবনে আগুন
চট্টগ্রামে একটি বহুতল ভবনে আগুন

২৬ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা, যেভাবে জানবেন
এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা, যেভাবে জানবেন

২৯ মিনিট আগে | জাতীয়

উইন-উইন সমাধানে ওয়াশিংটনের সঙ্গে শুল্ক চুক্তিতে আগ্রহী : প্রেস সচিব
উইন-উইন সমাধানে ওয়াশিংটনের সঙ্গে শুল্ক চুক্তিতে আগ্রহী : প্রেস সচিব

৩৫ মিনিট আগে | জাতীয়

আজ থেকে চালু হচ্ছে ‘পাঠাও পে’
আজ থেকে চালু হচ্ছে ‘পাঠাও পে’

৩৭ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন ফের পেছালো
সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন ফের পেছালো

৩৭ মিনিট আগে | জাতীয়

পক্ষপাতদুষ্ট বিদেশি পর্যবেক্ষকদের এবার অনুমোদন নয়: সিইসি
পক্ষপাতদুষ্ট বিদেশি পর্যবেক্ষকদের এবার অনুমোদন নয়: সিইসি

৩৯ মিনিট আগে | জাতীয়

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির এইচওডি-পিআরডি হলেন প্রদীপ্ত মোবারক
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির এইচওডি-পিআরডি হলেন প্রদীপ্ত মোবারক

৪৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নতুন ফিচার যুক্ত করলো হোয়াটসঅ্যাপ
নতুন ফিচার যুক্ত করলো হোয়াটসঅ্যাপ

৪৮ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

টাঙ্গাইলে ৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি
টাঙ্গাইলে ৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়িতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি
খাগড়াছড়িতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মোবাইল সিমের বিষয়ে বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত
মোবাইল সিমের বিষয়ে বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত

৫৪ মিনিট আগে | জাতীয়

হ্যাক হয় বেশি কোন ধরনের পাসওয়ার্ড?
হ্যাক হয় বেশি কোন ধরনের পাসওয়ার্ড?

৫৯ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফেনীতে ভারী বর্ষণ, মুহুরীর পাড়ে ভাঙন, শহরে জলাবদ্ধতা
ফেনীতে ভারী বর্ষণ, মুহুরীর পাড়ে ভাঙন, শহরে জলাবদ্ধতা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে মনোনয়নের সুপারিশ নেতানিয়াহুর
ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে মনোনয়নের সুপারিশ নেতানিয়াহুর

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চশমার কাচ পরিষ্কার করবেন যেভাবে
চশমার কাচ পরিষ্কার করবেন যেভাবে

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

গাইবান্ধায় চোলাই মদসহ আটক ৩
গাইবান্ধায় চোলাই মদসহ আটক ৩

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লেবুর খোসার যত গুণ
লেবুর খোসার যত গুণ

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

চাঁদপুরে ৩ মাদক কারবারি গ্রেফতার
চাঁদপুরে ৩ মাদক কারবারি গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জিম্বাবুয়ে সফরে নেই উইলিয়ামসন, খেলবেন ইংল্যান্ডের লিগে
জিম্বাবুয়ে সফরে নেই উইলিয়ামসন, খেলবেন ইংল্যান্ডের লিগে

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা মোবারকের আপিল শুনানি শুরু
বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা মোবারকের আপিল শুনানি শুরু

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কক্সবাজার সৈকতে গোসলে নেমে চবির ৩ শিক্ষার্থী নিখোঁজ, একজনের লাশ উদ্ধার
কক্সবাজার সৈকতে গোসলে নেমে চবির ৩ শিক্ষার্থী নিখোঁজ, একজনের লাশ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোংলা-ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবিতে মানববন্ধন
মোংলা-ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবিতে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা, বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ সুযোগ
আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা, বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ সুযোগ

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, অতঃপর...
প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, অতঃপর...

১৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের
টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা; ‌‌‘শুধুই লাশের গন্ধ পেতেন’
গাজা গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা; ‌‌‘শুধুই লাশের গন্ধ পেতেন’

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দেব সন্দ্বীপে, এমপি হবে 'মালদ্বীপে' : নবীউল্লাহ নবী
ভোট দেব সন্দ্বীপে, এমপি হবে 'মালদ্বীপে' : নবীউল্লাহ নবী

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক রাখলেন ট্রাম্প
বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক রাখলেন ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা করেছে ইসরায়েল: রিপোর্ট
ইরানের প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা করেছে ইসরায়েল: রিপোর্ট

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের
বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইলন মাস্ককে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে বললেন মার্কিন মন্ত্রী
ইলন মাস্ককে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে বললেন মার্কিন মন্ত্রী

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি হামিদুলের ৪০ কোটি টাকা অবরুদ্ধ
ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি হামিদুলের ৪০ কোটি টাকা অবরুদ্ধ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার এপিএস লিকুর সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
হাসিনার এপিএস লিকুর সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলকে নতুন হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানি জেনারেল
ইসরায়েলকে নতুন হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানি জেনারেল

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে শান্তিতে ঘুমাতে দেবে না হুথি
ইসরায়েলকে শান্তিতে ঘুমাতে দেবে না হুথি

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নতুন আইফোনের ফিচার ফাঁস: ব্যাটারি ও ক্যামেরায় বড় চমক
নতুন আইফোনের ফিচার ফাঁস: ব্যাটারি ও ক্যামেরায় বড় চমক

১৪ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

গণধর্ষণের পর ফেলে দেওয়া হলো রেললাইনে, ট্রেনে কাটা পড়ল নারীর পা
গণধর্ষণের পর ফেলে দেওয়া হলো রেললাইনে, ট্রেনে কাটা পড়ল নারীর পা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিয়ানমারে সশস্ত্র দুই গোষ্ঠীর মাঝে তুমুল সংঘর্ষ, পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ
মিয়ানমারে সশস্ত্র দুই গোষ্ঠীর মাঝে তুমুল সংঘর্ষ, পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টানা ৯ দিন পানি ছাড়া কিছুই খান না নার্গিস
টানা ৯ দিন পানি ছাড়া কিছুই খান না নার্গিস

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এবার আনিসুল, হাওলাদার ও চুন্নুকে জাপা থেকে অব্যাহতি
এবার আনিসুল, হাওলাদার ও চুন্নুকে জাপা থেকে অব্যাহতি

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইসরায়েলে পাল্টা হামলা হুথিদের
ইসরায়েলে পাল্টা হামলা হুথিদের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে নবম স্থানে টাইগাররা
ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে নবম স্থানে টাইগাররা

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে পুঁতে রাখা বোমায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে পুঁতে রাখা বোমায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১ জুন থেকে ইরান ছেড়েছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ আফগান নাগরিক
১ জুন থেকে ইরান ছেড়েছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ আফগান নাগরিক

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১২ দলীয় জোট কোনো প্রার্থিতা ঘোষণা করেনি : মোস্তফা জামাল হায়দার
১২ দলীয় জোট কোনো প্রার্থিতা ঘোষণা করেনি : মোস্তফা জামাল হায়দার

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চুন্নু বাদ, জাপার মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী
চুন্নু বাদ, জাপার মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার দায় স্বীকার হুতির
লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার দায় স্বীকার হুতির

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩৫ শতাংশ শুল্কের কথা জানিয়ে ড. ইউনূসকে ট্রাম্পের চিঠি
৩৫ শতাংশ শুল্কের কথা জানিয়ে ড. ইউনূসকে ট্রাম্পের চিঠি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাকরি হারানোর উদ্বেগে রাজস্বকর্মীরা
চাকরি হারানোর উদ্বেগে রাজস্বকর্মীরা

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ইরাকে তুরস্কের ১২ সৈন্য নিহত
ইরাকে তুরস্কের ১২ সৈন্য নিহত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাঁড়াশি সেনা অ্যাকশনই মবের মোক্ষম দাওয়াই!
সাঁড়াশি সেনা অ্যাকশনই মবের মোক্ষম দাওয়াই!

৯ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

প্রায় ১৬০০ বার ভূমিকম্প, জাপানের দ্বীপপুঞ্জ ছেড়ে যাচ্ছেন বাসিন্দারা
প্রায় ১৬০০ বার ভূমিকম্প, জাপানের দ্বীপপুঞ্জ ছেড়ে যাচ্ছেন বাসিন্দারা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
জাতীয় পার্টিতে তোলপাড়
জাতীয় পার্টিতে তোলপাড়

প্রথম পৃষ্ঠা

মাংস রপ্তানি করতে চায় রাশিয়া
মাংস রপ্তানি করতে চায় রাশিয়া

শিল্প বাণিজ্য

জটিলতা বাড়ছে নির্বাচন নিয়ে
জটিলতা বাড়ছে নির্বাচন নিয়ে

প্রথম পৃষ্ঠা

তরুণদের দৃষ্টিতে এগিয়ে বিএনপি
তরুণদের দৃষ্টিতে এগিয়ে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

তাজুলের চেয়েও ভয়ংকর স্ত্রী ফৌজিয়া
তাজুলের চেয়েও ভয়ংকর স্ত্রী ফৌজিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

জন্মনিরোধক সংকট বাড়ছে গর্ভধারণ
জন্মনিরোধক সংকট বাড়ছে গর্ভধারণ

নগর জীবন

পেশা বদলে দিয়েছে হাঁড়িভাঙা
পেশা বদলে দিয়েছে হাঁড়িভাঙা

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রেমের টানে রংপুর এসে আটক ভারতীয়
প্রেমের টানে রংপুর এসে আটক ভারতীয়

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

৭০ টাকার ফেসওয়াশ ৯৮০ টাকায় বিক্রি!
৭০ টাকার ফেসওয়াশ ৯৮০ টাকায় বিক্রি!

শিল্প বাণিজ্য

মৃত্যুফাঁদ বেসরকারি হাসপাতাল
মৃত্যুফাঁদ বেসরকারি হাসপাতাল

নগর জীবন

ব্রিটেনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের সবজি
ব্রিটেনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের সবজি

পেছনের পৃষ্ঠা

সবাই রাজি, তবু আটকা
সবাই রাজি, তবু আটকা

পেছনের পৃষ্ঠা

উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে আশাবাদী
উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে আশাবাদী

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্ধ সারা দেশের রেল ও সড়ক যোগাযোগ
বন্ধ সারা দেশের রেল ও সড়ক যোগাযোগ

প্রথম পৃষ্ঠা

মবে জড়িতদের ছাড় নয়
মবে জড়িতদের ছাড় নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

মুখোমুখি ট্রাম্প ও ইলন, উত্তাপ মার্কিন রাজনীতিতে
মুখোমুখি ট্রাম্প ও ইলন, উত্তাপ মার্কিন রাজনীতিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

সাংবাদিকদের হুমকি স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধক
সাংবাদিকদের হুমকি স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধক

প্রথম পৃষ্ঠা

হেফাজত আমির-ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ
হেফাজত আমির-ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতিতে শতভাগ মানুষের মতামত গুরুত্ব পাবে
পিআর পদ্ধতিতে শতভাগ মানুষের মতামত গুরুত্ব পাবে

খবর

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির খোঁজে বাংলাদেশ
মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির খোঁজে বাংলাদেশ

শিল্প বাণিজ্য

পুষ্টিহীনতায় বস্তির নারী শিশু
পুষ্টিহীনতায় বস্তির নারী শিশু

পেছনের পৃষ্ঠা

অধস্তন আদালত উপজেলায় ও জরুরি অবস্থার বিধান পরিবর্তনে মতৈক্য
অধস্তন আদালত উপজেলায় ও জরুরি অবস্থার বিধান পরিবর্তনে মতৈক্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট দেব সন্দ্বীপে এমপি হবে মালদ্বীপে
ভোট দেব সন্দ্বীপে এমপি হবে মালদ্বীপে

নগর জীবন

তিন মামলায় অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়া
তিন মামলায় অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

কিংবদন্তি লারার রেকর্ড ভাঙলেন না মুল্ডার
কিংবদন্তি লারার রেকর্ড ভাঙলেন না মুল্ডার

মাঠে ময়দানে

২০১৮-এর নির্বাচন বৈধতা দিয়েছে বিএনপি
২০১৮-এর নির্বাচন বৈধতা দিয়েছে বিএনপি

নগর জীবন

ছেলেদের পাকা বাড়ি মা বাবার স্থান গোয়ালঘরে!
ছেলেদের পাকা বাড়ি মা বাবার স্থান গোয়ালঘরে!

দেশগ্রাম

ফের আলোচনায় আম্পায়ার সৈকত
ফের আলোচনায় আম্পায়ার সৈকত

মাঠে ময়দানে

খুলনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি
খুলনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি

নগর জীবন