শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ০১ জুলাই, ২০২১

বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯২১ সালের ১ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয়। এটাকে প্রায়শ ‘রাজকীয় ক্ষতিপূরণ’ বলে ধারণা করা হয়। ১৯০৫ সালে বাংলা ও আসাম নিয়ে পূর্ববঙ্গ প্রদেশ গঠিত হয় এবং ১৯১১ সালে তথাকথিত হিন্দু ভদ্রলোকদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এই বঙ্গভঙ্গ রোধ করা হয়। মুসলমান সম্প্রদায়ের বিক্ষুব্ধতাকে প্রশমনের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে বাংলা ও আসাম প্রদেশের রাজধানী হিসেবে পরিত্যক্ত কতিপয় সুরম্য প্রাসাদ ও রমনার বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল ও উপাচার্য ভবনের ন্যায় দু-একটি বাংলো আজও সে স্মৃতি বহন করে।

এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকে মুসলিম জাগরণে একটি মাইলস্টোন বলে চিহ্নিত করা যায়। এ সময় সাম্প্রদায়িক বিভাজন তীব্র হলেও এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমন কিছু গ্র্যাজুয়েট জন্ম নেয় যারা বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং মুসলমানদের একক প্রতিষ্ঠান মুসলিম লীগের জন্ম ও বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার অব্যবহিত পরেই তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু রাজনৈতিক নেতা ও যুবনেতারা ঢাকায় বসবাস গড়েন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব বরণ করেন। কেউ কেউ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শুরু করলেও ঢাকায় এসে তার সমাপ্তি টানার প্রয়াস নেন। বাংলাদেশের মহান স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন, যদিও ঘটনা পরম্পরায় তিনি ডিগ্রি শেষ করতে পারেননি। তিনি ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। পাকিস্তানে কিংবা পাকিস্তান-পূর্ব বাংলাদেশে ভাষা আন্দোলনের সূচনাকারীদের বেশ অনেকেই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। আবারও শেখ মুজিব প্রসঙ্গে আসতে হয়। তাঁর সংগঠন ছাত্রলীগ ও তাঁকে নিয়ে প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগ ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বস্তুত ভাষা আন্দোলনকে বাঙালির সুপ্তিভঙের আন্দোলন বা বাঙালি জাতিসত্তার রেনেসাঁ বা পুনর্জাগরণ বলে অভিহিত করা যায়। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে আত্মাহুতিদাতাদের একজন মাত্র আবুল বরকত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত, এমনকি ১৯৪৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলনে জড়িতদের অনেকেই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।

ভাষা আন্দোলনের পর যে আলেখ্য বিশিষ্টতা অর্জন করে আছে তার নাম হলো যুক্তফ্রন্ট গঠন এবং ১৯৫৪ সালে পাকিস্তানের পূর্বাংশের প্রাদেশিক নির্বাচনে তার বিজয়। যুক্তফ্রন্টের তিন নেতার একজন ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এই যুক্তফ্রন্টভিত্তিক স্বাধিকার আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন সম্পৃক্ত ছিল। সম্পৃক্ত ছিল কৃষক শ্রমিক পার্টি ও আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি জেনারেল শামসুল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা প্রণেতাগণ ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।

১৯৫৪ সালে যে ছাত্রটি নূরুল আমিনকে নির্বাচনী ভোটে পরাজিত করেছিলেন সেই খালেক নেওয়াজও ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এই সময়ে স্বায়ত্তশাসন চেতনা তীব্রতর হতে থাকে, যখন যুক্তফ্রন্টের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ভানুমতির খেলা শুরু হয়। ১৯৫৬ সালে দুই অর্থনীতির তাত্তি¡ক ভিত্তি রচয়িতারা বিশেষত আতোয়ার হোসেন, আনিসুর রহমান, নূরুল ইসলাম, ওয়াহিদুল হক ও রেহমান সোবহান এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।

১৯৫৮ সালে পাকিস্তানে সামরিক শাসন প্রবর্তিত হলে গণতন্ত্রের আশা তিরোহিত হয়। শেখ মুজিব স্বাধীনতায় সশস্ত্র যুদ্ধের জন্য বিএলএফ গঠন করেন, মণি সিংহ ও খোকা রায়কে স্বাধীনতা সংগ্রামের আমন্ত্রণ জানান প্রয়োজনে ভারতের সহায়তা পেতে ব্রতী হন।

১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনের অগ্রপথিকদের প্রায় সবাই ছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনের মাধ্যমে আইয়ুব বিরোধী ও মার্শাল ল বিরোধী এসব আন্দোলনে আওয়ামী লীগ, ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল। ছাত্রশক্তি নামে একটি ছাত্র সংগঠন তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। এসব সংগঠনের নেতৃত্বে যারা ছিলেন সামান্য ব্যতিক্রম ছাড়া তারা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সময়ের শিক্ষার্থী। ১৯৬২ সালের দিকে শেখ মুজিব আগরতলা গিয়েছিলেন এবং সে সময় থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতীয় সম্মতি লাভ করেন। তিনি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পাশাপাশি আরও কতিপয় গোপন সংগঠন যথা স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ; বাংলাদেশ লিবারেশন ফ্রন্ট (বিএলএফ) গঠনে ব্রতী হন। ১৯৫৯ সালে সংগোপনে ছাত্রলীগকে পুনরুজ্জীবিত করার পরই বঙ্গবন্ধু উপর্যুক্ত দুটি সংগঠনের জন্ম দেন। এসবের নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণ। মার্শাল ল কালীন সাংস্কৃতিক আন্দোলন, রবীন্দ্র জন্ম শতবার্ষিকীর উদ্যোক্তা বা রবীন্দ্র সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।

১৯৬৪ সালের আইয়ুব ও মোনেমবিরোধী আন্দোলনের সৈনিকগণ ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সে সময়কার আছমত আলী শিকদার, শেখ ফজলুল হক মণি, কমরেড ফরহাদ, রাশেদ খান মেনন, মতিয়া চৌধুরীর নাম কে না জানে। তবে তারা যে সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ছিলেন সে কথা হয়তো অনেকে জানেন না।

বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ৬ দফা আন্দোলনের কথা অনস্বীকার্য। এই আন্দোলনের মহান প্রণেতা ও প্রবক্তা ছিলেন শেখ মুজিব। তাঁর সুযোগ্য সহকর্মী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ প্রমুখও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষার্থী।

১৯৬৪ সালে মুসলমান-হিন্দু দাঙ্গার বদলে বাঙালি-বিহারি দাঙ্গার সূচনা ঘটে। বাংলাদেশের ইতিহাসে অপর একটি অনন্য ঘটনা হচ্ছে ১৯৬৬ সালের ৭ জুনের হরতাল। ৬ দফার পক্ষে ও শেখ মুজিবের মুক্তির লক্ষ্যে সেদিন সারা বাংলাদেশকে স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেদিনের নেতৃত্বে শিরোভাগে ছিলেন শেখ ফজলুল হক মণি, সিরাজুল আলম খান, আল-আমিন চৌধুরী, নূরে আলম সিদ্দিকী, আবদুল মান্নান চৌধুরী, মনিরুল হক চৌধুরী, শেখ শহিদুল ইসলাম, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ। এদের সবাই ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

৬ দফা ও ১১ দফা আন্দোলনের সব নেতাই ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী। তোফায়েল আহমেদের মতো কিংবদন্তি নেতা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। আবদুর রউফ, খালেদ মোহাম্মদ আলী, সাইফুদ্দিন আহমেদ মানিক, শামসুদ্দোহা, মাহবুবুল হক দোলন, ফখরুল ইসলাম, নাজিম কামরান চৌধুরী বা দীপা দত্ত ছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী।

১৯৬৮-৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের পুরোধা ব্যক্তিদের সব কজন ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ। ১৯৬৯ সালে শেখ মুজিবকে তাঁরাই বঙ্গবন্ধু অভিধায় ভূষিত করেছিলেন। ১১ দফার নেপথ্যের মন্ত্রণাদাতা যথা- আবদুর রাজ্জাক, সিরাজুল আলম খান, শেখ ফজলুল হক মণি ও মতিয়া চৌধুরী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী সন্তান। ৬ দফা আন্দোলনের আগে অতি সংগোপনে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে মজহারুল হক বাকি ও আবদুর রাজ্জাক ছাত্রলীগকে উদ্দীপ্ত করে ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে কয়েকটি বাহিনী যথা জহুর বাহিনী, জয় বাংলা বাহিনী বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এগুলো ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক। ৬ দফা আন্দোলনে সহায়ক শক্তি হিসেবে শিল্প ও সাহিত্য সংঘ নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। প্রতিষ্ঠাকালে এর প্রধান ছিলেন রফিকুল্লাহ চৌধুরী। অমর একুশের সংগীত রচয়িতা আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, খালেদ হাশিম, আবদুল মান্নান চৌধুরীও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। আইয়ুব-মোনায়েমের জাঁতাকলে নিষ্পেষিত ছাত্রলীগের সম্পূরক হিসেবে এর অবদান অনস্বীকার্য। সংস্কৃতি সংসদও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক ছিল এবং তার নেতারা রাজনীতির সম্পূরক সংস্কৃতি চেতনায় অগ্রগামী ছিলেন।

আইয়ুব-মোনায়েমের পতনের পর ইয়াহিয়ার মার্শাল ল বিরোধী আন্দোলেনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কৃতিত্ব রয়েছে। পাকিস্তানে এক ব্যক্তি এক ভোট ব্যবস্থায় ১৯৭০ সালের নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে স্বীকৃত হন এবং এবারে আর স্বায়ত্তশাসন নয়, সম্পূর্ণ স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে যান।

১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক ছাত্রনেতা নির্বাচনে অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদের নাম বিশেষ উল্লেখযোগ্য। সত্তর সালের নির্বাচনের পরই বঙ্গবন্ধু উপলব্ধি করেছিলেন যে, সেই ১৯৫৪ সালের মতোই তাঁকে ও তাঁর দলকে ক্ষমতায় যেতে দেওয়া হবে না। তাই তিনি সশস্ত্র যুদ্ধের পরিকল্পনা করেন এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সম্মতি নিয়ে রাখেন।

১৯৭০ সালের নির্বাচনের ফলশ্রুতিতে বঙ্গবন্ধুর মনোবল তুঙ্গে ওঠে। তবে তিনি বিশ্বাসঘাতকতা নিয়েও সন্দেহ পোষণ করেন। তাই ১৯৭১ সালের প্রথম পর্বে নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের ৬ দফার পক্ষে অনড় থাকার শপথবাক্য পাঠ করান। ১ মার্চ সংসদ অধিবেশন স্থগিতের পরই সশস্ত্রযুদ্ধে স্বাধীনতা অর্জন ছাড়া গত্যন্তর অবশিষ্ট থাকে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণ অস্ত্র লুট করে বিস্ফোরক সংগ্রহ করেন। সেদিন থেকেই চার যুবনেতা তথা শেখ ফজলুল হক মণি, সিরাজুল আলম খান, আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ ও চার ছাত্রনেতা তথা আ স ম আবদুর রব, আবদুল কুদ্দুস মাখন, নূরে আলম সিদ্দিকী ও শাহজাহান সিরাজের ওপর তিনি সশস্ত্র যুদ্ধের দায়িত্ব অর্পণ করেন। ১ মার্চ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম সম্পূর্ণ স্থগিত হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা অস্ত্র লুট ও অস্ত্রের প্রশিক্ষণে ব্রতী হন। শিক্ষকরা এক ধরনের থিংক ট্যাংক গড়ে তোলেন এবং বঙ্গবন্ধু ও ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের সঙ্গে লিয়াজোঁ করার জৎেন্য আবদুল মান্নান চৌধুরীকে মনোনয়ন দেন। ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে বাংলাদেশের পতাকা জনসম্মুখে প্রদর্শিত হয়। ৩ মার্চ স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে পল্টন ময়দানে স্বাধীনতার প্রস্তাব, জাতীয় সংগীত ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পালিত হয়। তবে ৩ মার্চ সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ স্বাধীনতার পক্ষে সক্রিয় ভূমিকায় নামেন। ওইদিন বেলা ১০টা ৩০ মিনিটে শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ১ দফা অর্থাৎ স্বাধীনতার পক্ষে বটতলায় এক সভা অনুষ্ঠিত হন। বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষক আবদুল মান্নান চৌধুরীর প্রস্তাবনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ছাত্রদের আগেই ৬ দফার বদলে এক দফার প্রস্তাব গ্রহণ করেন।

২৮ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত ফারল্যান্ডের মধ্যে অনুষ্ঠিত একান্ত সভা ও বৈকালিক টেলিফোন যোগাযোগের পর বঙ্গবন্ধু নিশ্চিত হন যে, সশস্ত্র লড়াই ছাড়া স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব নয়। তিনি এই সিদ্ধান্ত শেখ মণি ও আবদুল মান্নান চৌধুরীকে জানিয়ে দেওয়ার পরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা স্বাধীকার ও স্বায়ত্তশাসনের গন্ডি ছাড়িয়ে স্বাধীনতার প্রস্তাব গ্রহণ করেন।

৩ মার্চের পর ছাত্র নেতৃত্বের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হতে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষক ৭ মার্চের ভাষণ তৈরিতে সহায়তার প্রস্তাব দিলেও সে ভাষণ সম্পূর্ণ ছিল বঙ্গবন্ধুর একক ও নিজস্ব। সে ভাষণের ব্যাপারে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও শেখ হাসিনার প্রভাব বলতে গেলে অনেক বেশি। মার্চের প্রথম সপ্তাহে গণহত্যা আঁচ করতে পেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশ পূর্বাহ্নে জাতিসংঘের মহাসচিবের কাছে সতর্কবার্তা প্রেরণ করেন এবং বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলে সংযোগ স্থাপন করেন। এই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৮ জন শিক্ষক ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে পত্রিকায় বিবৃতি দেন।

মার্চের প্রতিরোধ যুদ্ধের সঙ্গে পেশাদার সৈনিক ও সশস্ত্র বাহিনীর সীমিত সংযুক্তি ছিল, ব্যাপক সংযুক্তি ছিল ছাত্রদের। মুজিবনগর সরকারের কার্যক্রমে বেশ কিছু শিক্ষক জড়িত ছিলেন। প্রফেসর মোজাফ্ফর আহমদ, রেহমান সোবহান, খান সারোয়ার মুর্শেদ, আনিছুর রহমান ও আনিসুজ্জামান ছিলেন প্ল্যানিং সেলের সদস্য ও প্রফেসর মোজাফ্ফর আহমদ চৌধুরী ছিলেন তার প্রধান। ড. আনিসুজ্জামান ও অজয় রায় যথাক্রমে ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র আমিরুল ইসলাম ছিলেন মুজিবনগর সরকার গঠন উপলক্ষে প্রণীত ঘোষণার প্রণয়নকারী।

যুদ্ধটাকে চাঙা রাখতে পূর্বাঞ্চল থেকে ‘বাংলাদেশ’ পত্রিকা ও পশ্চিমাঞ্চল থেকে ‘জয় বাংলা’ পত্রিকা প্রকাশিত হতে থাকে যাদের প্রিন্টার্স লাইনে সম্পাদক হিসেবে আবুল হাসান চৌধুরী ও রহমতউল্ল্যাহর নাম প্রদর্শিত হয়। এ দুটি ছিল ছদ্মনাম। প্রথমোক্ত জন হলেন আবদুল মান্নান চৌধুরী ও শেষোক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র গুল হায়দার। পরবর্তীতে জয় বাংলা পত্রিকার সম্পাদক আবদুল মান্নানও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। এমনকি বাংলার বাণী সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক যথাক্রমে শেখ ফজলুল হক মণি ও আমির হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। অন্যান্য গণমাধ্যমের প্রায় সব সম্পাদক ও সেবক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রবৃন্দ। গণহত্যা শুরু হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে বিদেশে বাংলাদেশ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। পরে তিনি অবশ্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিও হয়েছিলেন।

যুদ্ধে ১১টি সেক্টরের অধিনায়কের মধ্যে তিনজন কর্নেল তাহের, আবু ওসমান চৌধুরী ও মেজর রফিকুল ইসলাম ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা অধিভুক্ত কলেজের গ্র্যাজুয়েট। ঢাকার বুকে ক্র্যাক ফ্ল্যাটুন যে কর্মকান্ড পরিচালনা করেছে বা দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনা করেছে তার অধিকাংশ সদস্যই ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ক্র্যাক ফ্ল্যাটুনের মোফাজ্জাল হোসেন চৌধুরী বা সাদেক হোসেন খোকার নাম সর্বজনবিদিত। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ১১৫ জন যোদ্ধা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। শিক্ষক ও কর্মকর্তার সংখ্যা ২০ জন এবং কর্মচারীদের সংখ্যা ৫২ জন। তন্মধ্যে একজন বীরশ্রেষ্ঠ, পাঁচজন বীরউত্তম, সাতজন বীরবিক্রম ও চারজন বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত হন।

বর্ণনা দীর্ঘায়িত হয়ে যাচ্ছে তাই সম্প্রসারিত না করে সৈয়দ আবুল মকসুদের একটি উক্তি দিয়ে শেষ করা যায়। তা হলো  ‘বাংলাদেশের ইতিহাস মানেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস। বলা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান-গরিমায় যেমন অনন্য তেমনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের স্ফুরণ ও বিকাশে তার ভূমিকা ঈর্ষণীয়। তেমনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে তার ভূমিকা হচ্ছে সার্বিক। যে দেশের জাতির পিতা ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র, তাদের গর্বের ভান্ডারটি সুবিস্তৃত। এখন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে ভান্ডারটি আরও সমৃদ্ধিশালী করা।’

লেখক : মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষাবিদ।

এই বিভাগের আরও খবর
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার
কী আছে ১০ দফা ইশতেহারে
কী আছে ১০ দফা ইশতেহারে
আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদের ৬৫ প্রতিশ্রুতি
আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদের ৬৫ প্রতিশ্রুতি
দখল-দূষণে বিপর্যস্ত শতবর্ষী দিঘি
দখল-দূষণে বিপর্যস্ত শতবর্ষী দিঘি
প্রজাদের সুপেয় পানির জন্য যার জন্ম
প্রজাদের সুপেয় পানির জন্য যার জন্ম
মসলিন সুতোর স্মৃতি মিশে আছে যেখানে
মসলিন সুতোর স্মৃতি মিশে আছে যেখানে
ভাওয়াল রাজার দিঘি
ভাওয়াল রাজার দিঘি
লোকমুখে দিবর দিঘির কল্পকথা
লোকমুখে দিবর দিঘির কল্পকথা
যেভাবে বিক্রি হয় আলাস্কা
যেভাবে বিক্রি হয় আলাস্কা
মূল্যবান যা কিছু...
মূল্যবান যা কিছু...
রহস্যময় গোপন স্থান
রহস্যময় গোপন স্থান
রোগের মায়াজমা তত্ত্ব : ‘দূষিত বাতাস’ বা ‘দুর্গন্ধ’ ছিল মৃত্যুর কারণ
রোগের মায়াজমা তত্ত্ব : ‘দূষিত বাতাস’ বা ‘দুর্গন্ধ’ ছিল মৃত্যুর কারণ
সর্বশেষ খবর
কুতুবদিয়ায় মাছ ধরার নৌকায় ডাকাতি
কুতুবদিয়ায় মাছ ধরার নৌকায় ডাকাতি

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বীরগঞ্জে ট্রাকচাপায় অজ্ঞাত বৃদ্ধ নিহত, স্বজনদের খুঁজছে পুলিশ
বীরগঞ্জে ট্রাকচাপায় অজ্ঞাত বৃদ্ধ নিহত, স্বজনদের খুঁজছে পুলিশ

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চুম্বকের গুঁড়া লাগিয়ে মূর্তি তৈরি করে প্রতারণা, পুলিশের হাতে ধরা ৪
চুম্বকের গুঁড়া লাগিয়ে মূর্তি তৈরি করে প্রতারণা, পুলিশের হাতে ধরা ৪

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাংনীতে শিশু নির্যাতনের অভিযোগে মামলা, অভিযুক্ত গ্রেফতার
গাংনীতে শিশু নির্যাতনের অভিযোগে মামলা, অভিযুক্ত গ্রেফতার

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
চট্টগ্রামে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

৩৩ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পুলিশ দেখে ‘লাশ’ বলল ‘আমি বেঁচে আছি’!
পুলিশ দেখে ‘লাশ’ বলল ‘আমি বেঁচে আছি’!

৩৭ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

সারের দাম বেশি নেওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ডিলারের দণ্ড
সারের দাম বেশি নেওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ডিলারের দণ্ড

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলতে রাজি নন নেপালের প্রধানমন্ত্রী: এনডিটিভি
সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলতে রাজি নন নেপালের প্রধানমন্ত্রী: এনডিটিভি

৫০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফ্রান্স সরকারের পতন, ম্যাক্রোঁকে পদত্যাগ করতে হবে?
ফ্রান্স সরকারের পতন, ম্যাক্রোঁকে পদত্যাগ করতে হবে?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুন্দরবনে ঢোকার সময় ৯ বোতল কীটনাশকসহ আটক দুই
সুন্দরবনে ঢোকার সময় ৯ বোতল কীটনাশকসহ আটক দুই

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নেপালে সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনায় আলোচনা চলছে
নেপালে সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনায় আলোচনা চলছে

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বন্যার পানি নামলেও দুর্ভোগে খাগড়াছড়ির অনেক পরিবার
বন্যার পানি নামলেও দুর্ভোগে খাগড়াছড়ির অনেক পরিবার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাম্পের ‘শেষ সতর্কবার্তার’ জবাবে যা বলল হামাস
ট্রাম্পের ‘শেষ সতর্কবার্তার’ জবাবে যা বলল হামাস

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীর খিলক্ষেতে অস্ত্রসহ চারজন গ্রেফতার
রাজধানীর খিলক্ষেতে অস্ত্রসহ চারজন গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লেভারকুজেনের নতুন কোচ ইউলমান
লেভারকুজেনের নতুন কোচ ইউলমান

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে ছিনতাইয়ের সময় গণপিটুনিতে যুবক নিহত
রাজধানীতে ছিনতাইয়ের সময় গণপিটুনিতে যুবক নিহত

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে এসি বিস্ফোরণ, চার ঘণ্টা অচল সিগন্যাল
আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে এসি বিস্ফোরণ, চার ঘণ্টা অচল সিগন্যাল

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে অটোরিকশা চালককে হত্যা, দুইজন আটক
রাজধানীতে অটোরিকশা চালককে হত্যা, দুইজন আটক

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভিসা নীতিতে বড় পরিবর্তন আনল যুক্তরাষ্ট্র
ভিসা নীতিতে বড় পরিবর্তন আনল যুক্তরাষ্ট্র

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সমুদ্রের বাতাসে লুকিয়ে আছে দীর্ঘ জীবনের রহস্য: গবেষণা
সমুদ্রের বাতাসে লুকিয়ে আছে দীর্ঘ জীবনের রহস্য: গবেষণা

২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

আগস্টের মাসসেরা হওয়ার দৌড়ে তিন পেসারের লড়াই
আগস্টের মাসসেরা হওয়ার দৌড়ে তিন পেসারের লড়াই

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রামে পানির কারখানার আড়ালে স্টিয়ারিং অয়েল তৈরি, জরিমানা
চট্টগ্রামে পানির কারখানার আড়ালে স্টিয়ারিং অয়েল তৈরি, জরিমানা

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাঞ্জাবে অসম্মানিত হয়ে হতাশায় ভেঙে পড়েছিলেন গেইল
পাঞ্জাবে অসম্মানিত হয়ে হতাশায় ভেঙে পড়েছিলেন গেইল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাইবান্ধায় ফরম পূরণের ফি বৃদ্ধি প্রত্যাহারের দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
গাইবান্ধায় ফরম পূরণের ফি বৃদ্ধি প্রত্যাহারের দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মেধাবীদের বিশ্বমণ্ডলে তুলে ধরতে : প্রধান উপদেষ্টা
মেধাবীদের বিশ্বমণ্ডলে তুলে ধরতে : প্রধান উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডাকসু নির্বাচনে যেভাবে ভোট দেবেন ভোটাররা
ডাকসু নির্বাচনে যেভাবে ভোট দেবেন ভোটাররা

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফিজিওথেরাপি খাতে অপচিকিৎসা রোধে নিবন্ধন প্রদান করা হবে: সমাজকল্যাণ সচিব
ফিজিওথেরাপি খাতে অপচিকিৎসা রোধে নিবন্ধন প্রদান করা হবে: সমাজকল্যাণ সচিব

২ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

ডাকসু নির্বাচনে ঢাবিতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ডিএমপি
ডাকসু নির্বাচনে ঢাবিতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ডিএমপি

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসার নির্দেশ নেপালের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের
আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসার নির্দেশ নেপালের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
যৌনকর্মী থেকে চারবারের এমপি: ফিনিশ এমপির খোলামেলা স্বীকারোক্তি
যৌনকর্মী থেকে চারবারের এমপি: ফিনিশ এমপির খোলামেলা স্বীকারোক্তি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডাকসু ভিপিপ্রার্থী আবিদের আইডি ডিজেবল
ডাকসু ভিপিপ্রার্থী আবিদের আইডি ডিজেবল

১১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মোদির আমলে গরুর মাংস রফতানিতে ভারতের রেকর্ড
মোদির আমলে গরুর মাংস রফতানিতে ভারতের রেকর্ড

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান গ্রেফতার
সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান গ্রেফতার

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘ব্লাড মুন’ দেখল দেশবাসী
‘ব্লাড মুন’ দেখল দেশবাসী

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে নতুন আতঙ্ক মিরাটের ‘ন্যুড গ্যাং’, টার্গেট নারীরা
ভারতে নতুন আতঙ্ক মিরাটের ‘ন্যুড গ্যাং’, টার্গেট নারীরা

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডাকসু নির্বাচনের দিন চক্রাকারে চলবে শাটল সার্ভিস
ডাকসু নির্বাচনের দিন চক্রাকারে চলবে শাটল সার্ভিস

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নেপালে ‘জেন-জি’ আন্দোলনে পুলিশের গুলি, নিহত বেড়ে ১৯
নেপালে ‘জেন-জি’ আন্দোলনে পুলিশের গুলি, নিহত বেড়ে ১৯

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি দেখানো হবে ডাকসুর ভোট গণনা
এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি দেখানো হবে ডাকসুর ভোট গণনা

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পুতিনকে ‘তার চাওয়া পূরণ’ করে দিয়েছেন ট্রাম্প: জেলেনস্কি
পুতিনকে ‘তার চাওয়া পূরণ’ করে দিয়েছেন ট্রাম্প: জেলেনস্কি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এশিয়া কাপ ঝড় শুরু কাল: যা জেনে রাখা জরুরি
এশিয়া কাপ ঝড় শুরু কাল: যা জেনে রাখা জরুরি

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নারায়ণগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার ইভনকে কুপিয়ে হত্যা
নারায়ণগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার ইভনকে কুপিয়ে হত্যা

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলে ‘ব্যাপক’ ড্রোন হামলা চালালো ইয়েমেন
ইসরায়েলে ‘ব্যাপক’ ড্রোন হামলা চালালো ইয়েমেন

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের জালিমদের বিচার বিএনপির চেয়ে বেশি কোনো দল চায় না : রুমিন ফারহানা
আওয়ামী লীগের জালিমদের বিচার বিএনপির চেয়ে বেশি কোনো দল চায় না : রুমিন ফারহানা

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘প্রয়োজন ৩০ বিলিয়ন ডলার, আইএমএফ থেকে এক-দেড় বিলিয়ন আনতেই জান বের হয়’
‘প্রয়োজন ৩০ বিলিয়ন ডলার, আইএমএফ থেকে এক-দেড় বিলিয়ন আনতেই জান বের হয়’

১১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

হামাসকে ‘শেষবারের মতো সতর্ক’ করলেন ট্রাম্প
হামাসকে ‘শেষবারের মতো সতর্ক’ করলেন ট্রাম্প

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিক্ষোভকারীদের দখলে নেপালের পার্লামেন্ট, কারফিউ জারি
বিক্ষোভকারীদের দখলে নেপালের পার্লামেন্ট, কারফিউ জারি

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাজ্যে প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে ইতিহাস গড়লেন শাবানা
যুক্তরাজ্যে প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে ইতিহাস গড়লেন শাবানা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুমিল্লার বাসায় মিলল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ও মায়ের লাশ
কুমিল্লার বাসায় মিলল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ও মায়ের লাশ

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৪০ বছর পর জাপানের রাজপরিবারে প্রথম প্রাপ্তবয়স্ক যুবরাজ
৪০ বছর পর জাপানের রাজপরিবারে প্রথম প্রাপ্তবয়স্ক যুবরাজ

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের ‘শেষ সতর্কবার্তার’ পর আলোচনায় আগ্রহী হামাস
ট্রাম্পের ‘শেষ সতর্কবার্তার’ পর আলোচনায় আগ্রহী হামাস

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগানদের গুঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান
আফগানদের গুঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কৃত্রিম চিনি কি মস্তিষ্ক ধ্বংস করছে? গবেষণার চাঞ্চল্যকর তথ্য
কৃত্রিম চিনি কি মস্তিষ্ক ধ্বংস করছে? গবেষণার চাঞ্চল্যকর তথ্য

১২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

ভারতে যাচ্ছে ১২০০ টন ইলিশ, রপ্তানির অনুমতি দিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
ভারতে যাচ্ছে ১২০০ টন ইলিশ, রপ্তানির অনুমতি দিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি-ম্যানেজিং কমিটি ১ ডিসেম্বর থেকে বিলুপ্ত, পরিপত্র জারি
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি-ম্যানেজিং কমিটি ১ ডিসেম্বর থেকে বিলুপ্ত, পরিপত্র জারি

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডিজিটাল ব্যাংক : টেকসই আর্থিক অন্তর্ভুক্তির নতুন দিগন্ত
ডিজিটাল ব্যাংক : টেকসই আর্থিক অন্তর্ভুক্তির নতুন দিগন্ত

২২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

ছুটির ঘণ্টা বাজিয়ে অবসরে গেলেন তিনি
ছুটির ঘণ্টা বাজিয়ে অবসরে গেলেন তিনি

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সারা দেশ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে: ঢাবি উপাচার্য
সারা দেশ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে: ঢাবি উপাচার্য

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নিউজিল্যান্ডে স্কুলে মোবাইল নিষিদ্ধের এক বছর: কী পেল শিক্ষার্থীরা
নিউজিল্যান্ডে স্কুলে মোবাইল নিষিদ্ধের এক বছর: কী পেল শিক্ষার্থীরা

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারের বিরুদ্ধে কেন ফুঁসে উঠেছে নেপালের জেন-জি প্রজন্ম?
সরকারের বিরুদ্ধে কেন ফুঁসে উঠেছে নেপালের জেন-জি প্রজন্ম?

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ইতিহাস গড়বেন কারা
ইতিহাস গড়বেন কারা

প্রথম পৃষ্ঠা

আস্থার সংকটে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক
আস্থার সংকটে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক

প্রথম পৃষ্ঠা

আসুন জনগণের ওপর আস্থা রাখি : তারেক রহমান
আসুন জনগণের ওপর আস্থা রাখি : তারেক রহমান

প্রথম পৃষ্ঠা

জেন-জির বিক্ষোভে উত্তাল নেপাল
জেন-জির বিক্ষোভে উত্তাল নেপাল

প্রথম পৃষ্ঠা

আইএমএফের ১০০ কোটি ডলার পেতে জান যায়
আইএমএফের ১০০ কোটি ডলার পেতে জান যায়

প্রথম পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু ভোটে সম্ভাবনাময় নেতৃত্ব উঠে আসবে
সুষ্ঠু ভোটে সম্ভাবনাময় নেতৃত্ব উঠে আসবে

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এ বয়ান ফেলে দিতে হবে
বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এ বয়ান ফেলে দিতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

খালেদা জিয়ার জন্য ফল পাঠালেন ভুটানের রাষ্ট্রদূত
খালেদা জিয়ার জন্য ফল পাঠালেন ভুটানের রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দূর করার দায়িত্ব সরকারের
নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দূর করার দায়িত্ব সরকারের

প্রথম পৃষ্ঠা

রংপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
রংপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় অ্যাপ
পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় অ্যাপ

প্রথম পৃষ্ঠা

কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগ দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে
কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগ দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে

দেশগ্রাম

আলোচনায় প্রস্তুত হামাস
আলোচনায় প্রস্তুত হামাস

পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের কারণে মার্কিন স্বাস্থ্য সংস্থা বিপর্যস্ত
ট্রাম্পের কারণে মার্কিন স্বাস্থ্য সংস্থা বিপর্যস্ত

পূর্ব-পশ্চিম

পাথরে চুম্বকের গুঁড়া লাগিয়ে মূর্তি তৈরি
পাথরে চুম্বকের গুঁড়া লাগিয়ে মূর্তি তৈরি

দেশগ্রাম

গরুর মাংস রপ্তানিতে ভারতের রেকর্ড
গরুর মাংস রপ্তানিতে ভারতের রেকর্ড

পূর্ব-পশ্চিম

বিআইডব্লিউটিএতে শাজাহানের সাম্রাজ্য
বিআইডব্লিউটিএতে শাজাহানের সাম্রাজ্য

প্রথম পৃষ্ঠা

তীব্র যানজটে নাজেহাল
তীব্র যানজটে নাজেহাল

দেশগ্রাম

এনসিএল টি-২০ শুরু ১৪ সেপ্টেম্বর
এনসিএল টি-২০ শুরু ১৪ সেপ্টেম্বর

মাঠে ময়দানে

ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ
ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

দেশগ্রাম

অটোচালক হত্যা, আটক ৩
অটোচালক হত্যা, আটক ৩

দেশগ্রাম

১৯৭৮ সালে রানার্সআপ ব্রাদার্স ইউনিয়ন
১৯৭৮ সালে রানার্সআপ ব্রাদার্স ইউনিয়ন

মাঠে ময়দানে

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ, যানজট ভোগান্তি
বেতন বৃদ্ধির দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ, যানজট ভোগান্তি

দেশগ্রাম

পত্রিকা বিক্রেতা পরিবারের আট সদস্যকে মারধর
পত্রিকা বিক্রেতা পরিবারের আট সদস্যকে মারধর

দেশগ্রাম

সারের দাম বেশি রাখায় জরিমানা
সারের দাম বেশি রাখায় জরিমানা

দেশগ্রাম

ভূমিধসের শঙ্কায় গ্রামে ফিরতে চান না দুর্গতরা
ভূমিধসের শঙ্কায় গ্রামে ফিরতে চান না দুর্গতরা

পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞার হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের
রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞার হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

পূর্ব-পশ্চিম

টি স্পোর্টস
টি স্পোর্টস

মাঠে ময়দানে

বগি লাইনচ্যুত ৫ ঘণ্টা বন্ধ রেল চলাচল
বগি লাইনচ্যুত ৫ ঘণ্টা বন্ধ রেল চলাচল

দেশগ্রাম

বেলুচিস্তানে বিক্ষোভ আটক ৬০
বেলুচিস্তানে বিক্ষোভ আটক ৬০

পূর্ব-পশ্চিম