শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ০৭ অক্টোবর, ২০২১

পৃথিবীর সবচেয়ে গোপনীয় ও রহস্যময় স্থান

রণক ইকরাম
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
পৃথিবীর সবচেয়ে গোপনীয় ও রহস্যময় স্থান

অজানাকে জানার চেষ্টায় প্রতিনিয়ত গবেষণা করে যাচ্ছে মানুষ। বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে সেই গবেষণায় সাফল্যও এসেছে অনেক। তবুও পৃথিবীতে অনেক রহস্যই থেকে গেছে অজানা, আবার নিয়মের বেড়াজালে মানুষও তৈরি করেছে গোপনীয়তা ও রহস্য। পৃথিবীজুড়ে এমন কতগুলো সিক্রেট প্লেস বা গোপন স্থান রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে বাইরের পৃথিবী তেমন কিছুই জানে না। এ জায়গাগুলোয় প্রবেশাধিকার একেবারেই সংরক্ষিত। কেউ অনেক চেষ্টা করলেও সেখানে যেতে পারবে না। শুধু নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানই পারে এই জায়গাগুলোর ভিতরে ঢুকতে। কেবল তারাই জানে এর ভিতরে কী হয়, কীভাবে হয়।  আর বাইরের মানুষজন কেবল মুখরোচক গল্পই ফাঁদে। রাষ্ট্রীয় সিক্রেট এজেন্সি, প্রাইভেট কমিউনিটি থেকে শুরু করে ধর্মীয় স্থাপনা পর্যন্ত রয়েছে এ তালিকায়।  বিশ্বের সবচেয়ে গোপন, নিষিদ্ধ ও রহস্যময় স্থানগুলো নিয়ে আজকের রকমারি-

 

মস্কো মেট্রো-

রাশিয়ান আন্ডারগ্রাউন্ড সিক্রেট জোন

কারও কারও দৃষ্টিতে এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে গোপনীয় ও রহস্যময় স্থান। রাশিয়ায় অবস্থিত সিক্রেট জোন মস্কো মেট্রো-২ এর সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হলো এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আন্ডারগ্রাউন্ড সিটি। মাটির নিচে পুরো একটি শহর অথচ কারও জানা নেই এখানে কারা থাকে, কী করে, দেখতে কেমন ইত্যাদি। এ সম্পর্কে বাইরের পৃথিবীর কারও কোনো ধারণা নেই। এই সিক্রেট সিটির আয়তন, উদ্দেশ্য ও কর্মকান্ড সবই টপ সিক্রেট। তবে স্থানটির অস্তিত্ব মোটেও স্বীকার করে না রাশিয়ান সরকার। মূলত গোপনীয়তার কারণেই এর অস্তিত্ব অস্বীকার করা হয়। যেহেতু রাশিয়ানদের গোপন তৎপরতাগুলোর অনেক কিছুই এখান থেকে চালানো হয়, তাই রাশিয়ান সরকার কোনোমতেই চাইবে না পৃথিবীর কাছে সেগুলো প্রকাশ হয়ে পড়ুক। তাই পুরো জায়গাটিকে কোনো প্রকার স্বীকৃতি না দিয়ে অস্তিত্বহীন করে রাখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ মনে করছে কর্তৃপক্ষ। ধারণা করা হয়, এই আন্ডারওয়ার্ল্ড সিটি তৈরি হয়েছিল স্টালিনের আমলে। আর এখান থেকেই রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি তাদের যাবতীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করে।

আন্ডারওয়ার্ল্ড সিটির অস্তিত্বে বিশ্বাস করে এমন মানুষের দাবি, এই আন্ডারওয়ার্ল্ড সিটি ক্রেমলিনের সঙ্গে এফএসবি হেডকোয়ার্টারের  সংযোগ স্থাপন করে আছে।

 

রাফ মেনওয়িথ হিল

সবচেয়ে সুরক্ষিত পাহাড়

এটি পৃথিবীর সবচেয়ে সুরক্ষিত পাহাড়। পৃথিবীর বাঘা বাঘা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে এই জায়গাটির গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। এটি ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারে অবস্থিত পৃথিবীর সবচেয়ে সুরক্ষিত গোপন পাহাড়গুলোর একটি। এখানে একটি ব্রিটিশ সামরিক ঘাঁটি রয়েছে, যেখান থেকে ব্রিটিশদের যাবতীয় গোপন গোয়েন্দা কার্যক্রম চালানো হয়। ধারণা করা হয়, এখানকার ব্রিটিশ সামরিক বেসের সঙ্গে বিশ্বখ্যাত গুপ্তচর নেটওয়ার্ক ‘ইখেলন গ্লোবাল স্পাই নেটওয়ার্কিং’-এর যোগাযোগ রয়েছে। এটি কেবল ইংল্যান্ডকেই গোয়েন্দা সাহায্য দিচ্ছে এমন নয়, বরং বন্ধুদেশ আমেরিকাও এর সঙ্গে যুক্ত। আমেরিকার সংশ্লিষ্টতার কারণে জায়গাটির প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে নিরাপত্তাও। এখানকার চারপাশে এত জটিল ও বেশি স্তরের নিরাপত্তা রয়েছে যে, খুব সহজে সেটি ডিঙিয়ে বাইরে পৌঁছা সম্ভব নয়। ধারণা করা হয়, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক্স মনিটরিং স্টেশনের অবস্থান এখানেই। আর সেই মনিটরিং স্টেশন এত বেশি পাওয়ারফুল যে, এখান থেকে অনেক দেশের সব টেলিফোন এবং বেতার যোগাযোগ মনিটরিং করা সম্ভব। তবে রাফ মেনওয়াদ হিলের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ যেটি, সেটি হচ্ছে- বাণিজ্যিক গুপ্তচরবৃত্তি।  অভিযোগ রয়েছে, এখান থেকে টাকার বিনিময়ে নানা দেশের কাছে বিভিন্ন রকমের গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করা হয়।

 

এরিয়া ৫১

এলিয়েন গবেষণার কেন্দ্র!

এরিয়া ৫১ পৃথিবীর সবচেয়ে গোপন স্থানগুলোর একটি। এর অবস্থান আমেরিকার নেভাদা মরুভূমিতে। এটি মূলত একটি সামরিক ঘাঁটি যার কর্মীরা সরাসরি প্রেসিডেন্টের কাছে দায়বদ্ধ। এ এলাকায় সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। এই এরিয়ার বাইরেও চারদিকে বিশাল এলাকাজুড়ে তৈরি করা হয়েছে নো ম্যানস ল্যান্ড। যেখানে সাইনবোর্ডে স্পষ্ট লেখা আছে- সাধারণ কেউ সংরক্ষিত এলাকার দিকে প্রবেশের চেষ্টা করলেই তাকে গুলি করা হবে। ধারণা করা হয়, আমেরিকার সবচেয়ে বড় বড় বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা, গোপন গবেষণা সব কিছুই এখান থেকে পরিচালিত হয়। অস্ত্রশস্ত্র তৈরি, অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান তৈরির জন্য এ ঘাঁটিকে ব্যবহার করা হয়। পত্র-পত্রিকায় নানা সময়ে এ জায়গাটিকে কেন্দ্র করে নানা মুখরোচক খবর বেরোলেও আমেরিকান সরকার সেগুলোকে বরাবরই এড়িয়ে গেছে। মাঝখানে খবর বেরোয়, ইউএফও সমেত একটি এলিয়েন ধরা পড়েছে। আর সেই এলিয়েনের শরীরের ব্যবচ্ছেদ ঘটানো হয় এ এলাকার ভিতরেই। বেশ কিছু বিজ্ঞানীর দাবি- আমেরিকানদের ভিনগ্রহী প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে যে গবেষণা চলছে তার পুরোটাই এখান থেকে পরিচালিত হয়। বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে এখান থেকে ভিনগ্রহীদের সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়েছে বলে দাবি করেন অনেকে। মূলত সিআইএ ও আমেরিকার এলিয়েন গবেষণার কেন্দ্র মনে করা হয় এরিয়া ৫১ কে। এ নিয়ে নানা সময় নানা খবর বের হলেও সরকার বারবারই সেগুলো অস্বীকার করে এসেছে। ১৯৬৯ সালে চন্দ্র বিজয় নিয়ে যে বিতর্ক, তার সঙ্গেও জড়িয়ে আছে এরিয়া-৫১ এর নাম। সন্দেহবাদীদের দাবি, চন্দ্রাভিযানের পুরো ঘটনাটি এখানকার নেভাদা মরুভূমিতে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে ক্যামেরায় ধারণ করা।  যেহেতু এ স্থানটি সম্পর্কে কারও কাছেই কোনো পরিষ্কার ধারণা নেই, তাই এ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছুই বলা যায় না। কঠোর নিরাপত্তা আর গোপনীয়তার কারণে বছরের পর বছর এটি মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছে।

 

হোয়াইট জেন্টলম্যানস ক্লাব

বিশ্বের সবচেয়ে অভিজাত ক্লাব

পৃথিবীর সবচেয়ে অভিজাত ক্লাবের খেতাবধারী এই ক্লাবটি ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডনে অবস্থিত। এটি সারা বিশ্বের সব ভিভিআইপিদের ক্লাব হিসেবে স্বীকৃত। কোনো নারী এই ক্লাবের সদস্য হতে পারেন না। রাজপরিবারের লোকজন, রাজনৈতিক বা ব্যবসা ক্ষেত্রে প্রভাবশালী না হলে কেবল টাকা থাকলেই এ ক্লাবের সদস্য হওয়া যায় না। এর বাইরে কেউ এই ক্লাবের সদস্য হতে চাইলে ব্যাপক কাঠখড় পোড়াতে হয়। নানা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্লাবের সদস্যপদ পাওয়া যায়। এখানকার ক্লাবটি কঠোর গোপনীয়তা ও আভিজাত্যের জন্য বিখ্যাত হলেও এই ক্লাবের বাজির বই বা বেটিং বুক বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত। এই বই এখানকার সদস্যদের নানা রকম উদ্ভট বাজি ধরার অনুমোদন দেয়।  সাধারণের কাছে এটি এক অপার রহস্য।

 

ক্লাব ৩৩ ডিজনিল্যান্ড

সংরক্ষিত অভিজাত ক্লাব

বিশ্বের অন্যতম সেরা বিনোদন স্পট ও অ্যামিউজমেন্ট পার্ক হিসেবে ডিজনিল্যান্ডের আলাদা একটি পরিচয় রয়েছে। শুধু বিনোদনের জন্যই পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে প্রায় প্রতিদিন মানুষ ছুটে আসেন ডিজনিল্যান্ডে। মূল ডিজনিল্যান্ড সবার জন্য উন্মুক্ত হলেও এখানকার একটি স্থান খুবই গোপন। এখানে চাইলেই কেউ ঢুকতে পারে না। এটি হচ্ছে সংরক্ষিতদের জন্য অভিজাত ক্লাব ৩৩। ডিজনিল্যান্ডের নিউ অরলিন্স স্কয়ারে অবস্থিত ক্লাব ৩৩ নেহাতই একটি ব্যক্তিগত ক্লাব। আর এই ক্লাবটি ভীষণভাবে সংরক্ষিত করে রাখা হয়। এখানে প্রায় সব সময় মদ বিক্রি হয়। তবে কাগজে-কলমে মদের কোনো উল্লেখ নেই। দাফতরিকভাবে মদের ব্যাপারটিকে একেবারেই চেপে যাওয়া হয়েছে। এই ক্লাবের সদস্য হওয়াটাও চাট্টিখানি কথা নয়। আপনি এখনই যদি সদস্য হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন, তাহলে আপনাকে প্রচুর টাকা গুনতে হবে। আর টাকা গুনলেই যে সদস্যপদ মিলবে সেটাও ঠিক নয়। কারণ আজকে আবেদন করলে সব কিছু যাচাই-বাছাই শেষে যদি রেজাল্ট পজিটিভ হয়, তাহলেও এখানকার সদস্য হতে প্রায় ১৪ বছর সময় লাগবে। জনসাধারণ ও অন্যদের জন্য এই জায়গাটিতে প্রবেশ নিষেধ। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখানে সুনির্দিষ্ট কাজ এবং সুনির্দিষ্ট অনুমোদন ব্যতিরেকে প্রবেশ করতে পারে না। আর এ কারণেই এই স্থানটি ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য।

 

আইস গ্র্যান্ড শ্রিন

জাপানে পবিত্র মঠের সমাহার

এই জায়গাটি সমগ্র বিশ্বের কাছে আরেকটি বিস্ময় ও রহস্যের নাম। এটি জাপানে অবস্থিত। আইস গ্র্যান্ড শ্রিন যেমন জাপানের সবচেয়ে গোপনীয় স্থান, তেমনি এটি সেখানকার সর্বোচ্চ পবিত্র স্থান। আইস গ্র্যান্ড আসলে জাপানের ১০০টিরও বেশি মঠের সমষ্টি যা কিনা খ্রিস্টপূর্ব ৪ অব্দে নির্মাণ করা হয়েছিল। এ জায়গাটির ভিতরে সাধারণ কারও প্রবেশাধিকার নেই। আর ইতিহাসবিদ ও গবেষকদের মতে, এককালের জাপান সাম্রাজ্যের অনেক পুরনো এবং মূল্যবান নিদর্শন এখানে সংরক্ষিত রয়েছে। রয়েছে অনেক জরুরি নথিপত্রও যা কখনই বিশ্বের সামনে আসেনি। আইস গ্র্যান্ড শ্রিন বিশ্ববাসীর সামনে উন্মুক্ত হলে বিশ্বসভ্যতা ও ইতিহাসের অনেক দিকই ভিন্নমাত্রা পেত বলে গবেষকরা মনে করেন। কিন্তু সেটি একেবারেই অসম্ভব। কেননা সাধারণ কেউই এ পবিত্র জায়গাটিতে প্রবেশ করতে পারেন না। শুধু পুজারি অথবা জাপানের রাজপরিবারের লোকজন নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে এখানে প্রবেশ করতে পারেন। এতকাল ধরে জাপানের রাজকীয় পরিবার আর প্রিস্ট ছাড়া আজ পর্যন্ত কেউ এখানে ঢুকতে পারেনি। এই শ্রিনটি প্রতি ২০ বছর পরপর ভেঙে আবার নতুন করে তৈরি করা হয়। আর এ ক্ষেত্রেও অবলম্বন করা হয় কঠোর নিরাপত্তা আর তীব্র গোপনীয়তা। মূলত পবিত্রতা ও গোপনীয়তা  এত বেশি ভক্তি ও শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে পালন করা হয় যে, এই স্থানের রহস্য উন্মোচন একেবারেই অসম্ভব।

 

ভ্যাটিকান আর্কাইভ

বিশ্ব ইতিহাসের সাক্ষী

তালিকায় থাকা সবচেয়ে শক্তপোক্ত নামটি সম্ভবত ভ্যাটিকান সিটি। কারণ এখানকার গোপনীয়তা ও রহস্যময়তা নিয়ে কারও কোনো প্রশ্ন নেই, কারও কোনো দ্বিধা বা সংশয় নেই। প্রকৃত অর্থেই এটি রহস্য এবং গোপনীয়তার নগরী। আর যুগ যুগ ধরেই মানুষের আগ্রহ আর রহস্যের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এই ভ্যাটিকান সিটি। পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক পটপরিবর্তন ও গুরুত্বপূর্ণ সব ঘটনাপ্রবাহের সাক্ষী এই ভ্যাটিকান সিটি। আর ভ্যাটিকান সিটির ভিতর সবচেয়ে রহস্যের জায়গাটি হলো ভ্যাটিকান সিটি আর্কাইভ বা সংগ্রহশালা। জায়গাটিকে বলা হয়, ‘স্টোর হাউস অব সিক্রেট’। অর্থাৎ গোপনীয়তার সংগ্রহশালা। এই জায়গাটিতে সাধারণ তো নয়ই, ভ্যাটিকান সিটির স্কলাররাও ঢোকার অনুমতি পান না। খুব অল্প সংখ্যক স্কলার বা পন্ডিতেরই এখানে ঢোকার সৌভাগ্য হয় বা হয়েছে। তাও মহামান্য পোপের অনুমতি ছাড়া সেটি একেবারেই অসম্ভব। অত্যন্ত সুরক্ষিত এই জায়গাটিকে পবিত্রতার দিক থেকেও আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হয়।

এখানে প্রায় ৮৪ হাজার বই আছে আর এই জায়গাটি প্রায় ৮৪ কি.মি দীর্ঘ। ধারণা করা হয় খ্রিস্টান, মিশনারি, প্যাগান আরও অনেক ধর্ম আর মতবাদের অনেক গোপন ডকুমেন্ট এখানে সংরক্ষিত আছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের এই গ্রন্থাগারে প্রবেশের অধিকার নেই। ভ্যাটিকান সিটির আইন অমান্য করা বা গ্রন্থাগারের গোপনীয়তা ভাঙার চেষ্টা কেউ কখনো করেনি।  তাই গোপনীয়তাই ভ্যাটিকানের সবচেয়ে বড় রহস্য।

 

রুম ৩৯

নর্থ কোরিয়ান সিক্রেট এজেন্সি

নাম রুম থার্টি নাইন হলেও আদতে এখানে কোনো কক্ষের নাম বলা হচ্ছে না। এটি আসলে একটি সিক্রেট সংস্থা। এর হেডকোয়ার্টারকে বিশ্বের অন্যতম রহস্যমন্ডিত ও গোপন এলাকা ধরা হয়। এটি হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার একটি গোপন সংগঠন। ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত এ সংগঠনটির কার্যক্রম এবং এর বিচরণক্ষেত্র সম্পর্কে এখনো কোনো পরিষ্কার ধারণা নেই। তবে প্রচলিত ধারণা অনুসারে উ. কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে গোপনীয়তা রেখে এটি পরিচালিত হয়। অনেকের দাবি, বিশ্বের বহু বড় অপরাধের সঙ্গে জড়িত রয়েছে রুম ৩৯। এরা বিশ্ববাজারে নকল আমেরিকান ডলার ছেড়ে আলোড়ন তোলে। যদিও নকল আমেরিকান ডলারের সঙ্গে এ সংগঠনের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ করা যায়নি, এরপরও এই সুপার ডলার কেলেঙ্কারির পেছনে এদেরই দায়ী করা হয়। সুপার ডলার হচ্ছে আমেরিকান ডলারের নকল ভার্সন অথবা জাল ডলার যা কিনা পৃথিবীর সব গোয়েন্দা সংস্থা আর আমেরিকার মতো দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। আর এসব ডলার এতই নিখুঁত যে, দেখতে একেবারে মূল ডলারের মতোই লাগত। শুধু তাই নয়, উন্নতমানের কটন-লিনেন বেন্ড দিয়ে তৈরি এই ডলারে আমেরিকার মুদ্রার অনেক সিকিউরিটি ফিচারও সংযুক্ত ছিল।  এ ছাড়াও বিশ্বজুড়ে বড় রকমের অস্ত্র কেনাবেচা ও সুইস ব্যাংকের কিছু অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পৃথিবীজুড়ে বড় রকমের ইন্স্যুরেন্স ফ্রডের জন্য এ সংস্থাকে দায়ী করা হয়।

 

ভ্যালবার্ড সিড ভল্ট

বিশ্বের সবচেয়ে বড় বীজভান্ডার

এটি দারুণ প্রয়োজনীয় এক জায়গা। এর অবস্থান নরওয়ের প্রত্যন্ত এক দ্বীপে। এখানকার সুরক্ষা ব্যবস্থা চরম। জায়গাটির ভল্ট প্রায় ১২০ মিটার লম্বা। বরফে ঢাকা পাহাড়ের মাঝে কিছুটা গোপনভাবে লুকিয়ে রাখা এই জায়গাটি Doomsday Vault নামেও পরিচিত! জায়গাটি অভিনব এক পরিকল্পনায় তৈরি। এখানে পৃথিবীর প্রায় সব ধরনের গাছের বীজ সম্পূর্ণ সুরক্ষিতভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সব সময়ই পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নতুন নতুন গাছের বীজ এনে সংরক্ষণ করে রাখা হচ্ছে। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী পৃথিবীতে যে কোনো সময় বড় কোনো দুর্যোগ কিংবা বিপত্তি আসতে পারে। ধ্বংস হয়ে যেতে পারে সব কিছু। সেখান থেকে পুনরায় জীবনের জয়গান গাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস হচ্ছে গাছ। মূলত সেই ধ্বংসযজ্ঞ থেকে পৃথিবীকে পুনর্নির্মাণের জন্যই অভিনব এই উদ্যোগ। গোপন এই বীজভান্ডার সাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়।  কেবল নির্দিষ্ট কিছু গবেষক ও বিজ্ঞানী এখানে প্রবেশ করতে পারেন। বাইরের মানুষের কাছে এটিও এক বড় রহস্য।

 

 

গোল্ড ভল্ট

ব্যাংক অব ইংল্যান্ড

সব ধরনের ভল্টেই দারুণ গোপনীয়তা রাখা হয়। আর ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সোনা রাখার এই ভল্টটি পৃথিবীর অন্যতম বড় ভল্ট। এখানে প্রায় ৫ হাজার টন সোনা রাখা আছে! এখানে প্রবেশ করতে হলে বোমা-রোধক একটা দরজা পেরোতে হয়। সেটা পার হতে হলে ব্যবহৃত হয় উচ্চ-মানের কণ্ঠস্বর চেনার মতো এক ব্যবস্থা। এ রকম নানা ধরনের নিরাপত্তাবেষ্টিত স্থানটির গোপনীয়তাও শীর্ষ পর্যায়ের।

 

ফোর্ট নক্স

আমেরিকার জাতীয় সম্পদভান্ডার

ফোর্ট নক্স আমেরিকানদের তৈরি নিজস্ব সম্পদভান্ডার। এখানে আমেরিকার প্রায় সব মূল্যবান জাতীয় সম্পদ সংরক্ষিত আছে। জায়গাটি অন্যান্য সুরক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রায় ৩০ হাজার সৈন্য দ্বারা সুরক্ষিত।

 

গুগল ডাটা সেন্টার

সবচেয়ে গোপন ডাটা সেন্টার

গুগল ছাড়া আমাদের একটি দিনও কল্পনা করা যায় না। পৃথিবীর প্রায় সব মানুষেরই কিছু না কিছু তথ্য গুগলের কাছে রয়েছে। সেই তথ্যগুলো গুগলে সংরক্ষিত। আর এর বাইরেও রয়েছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডাটা। ৬০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত ডালাসে অবস্থিত এই গুগল ডাটা সেন্টারটি সর্বোচ্চ গোপনীয়তা বজায় রাখে। এখানে কারও প্রবেশাধিকার নেই, এমনকি খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টেরও! তবে রাষ্ট্রীয় আইন মেনেই এখানকার গোপনীয়তা বজায় রাখা হচ্ছে। গুগলের এই ডাটা সেন্টারের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য তাদের প্রশিক্ষিত বাহিনী রয়েছে! এই ডাটা সেন্টারের সিকিউরিটি ও গোপনীয়তা সিনেমার গল্পকেও হার মানিয়ে দেবে। 

 

 

পাইন গ্যাপ

অস্ট্রেলিয়ার এরিয়া ৫১

আমেরিকার যেমন এরিয়া ৫১, তেমনি অস্ট্রেলিয়ার পাইন গ্যাপ। তাই কেউ কেউ এটিকে অস্ট্রেলিয়ার এরিয়া ৫১ বলেও অভিহিত করেন। অস্ট্রেলিয়ান সরকারের অধীনে এখানকার সবচেয়ে গোপন তথ্যভান্ডার ও গোপন সব কর্মকান্ডের কেন্দ্র পাইন গ্যাপ। এই জায়গার ওপর দিয়ে কেউ বিমান নিয়েও উড়ে যেতে পারে না। জনসাধারণের জন্য নিষিদ্ধ এই এলাকাটি সর্বোচ্চ নিরাপত্তাবেষ্টিত এলাকা।

 

হ্যাভেন কো

ডিজিটাল সিক্রেট জোন

এই জায়গাটি মূলত ইংল্যান্ডে। এটি একটি পুরনো বিমান ঘাঁটি। ২০২০ সালে সৃষ্ট জায়গাটি যুক্তরাজ্যের অন্যতম গোপনীয় ও নিষিদ্ধ এলাকা হিসেবে খ্যাত। এই নিষিদ্ধ জায়গায় বহু প্রতিষ্ঠানের ভিপিএন, সার্ভার, এনক্রিপশান কোড ও প্রক্সি রাখা আছে। কারও যদি হ্যাভেন কো-তে কাজ করতে হয়, তাহলে কোনো রকমের স্প্যাম, হ্যাকিং বা শিশু সংক্রান্ত কোনো অশ্লীল জিনিস থাকলে চলবে না। এটিকে ডিজিটাল সিক্রেট জোন হিসেবে অভিহিত করা হয়।

 

পোভেগ্লিয়া

হন্টেড জোন

তালিকার এই জায়গাটি যেন ভূতের আখড়া। এটি ইতালির ‘মোস্ট হন্টেড প্লেস’। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী এখানে অশরীরী আত্মার আনাগোনা বেশি। এমনকি অশরীরীদের কারণে মৃত্যু ঝুঁকিও অনেক বেশি। এই জায়গাটিতে উনিশ শতকে মানসিক রোগীদের চিকিৎসা করা হতো। এই দ্বীপটি বহু বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। সেখানে এক চিকিৎসক নাকি রোগীদের ওপর গবেষণা করতেন! এর পরই রটনা শুরু হতে থাকে। বিশেষ অনুমতিপত্র ছাড়া এখানে প্রবেশ নিষেধ। জায়গাটির নিরাপত্তাও অন্যান্য গোপনীয় স্থানের মতোই কঠোরভাবে বজায় রাখা হচ্ছে।

 

 

রাশিয়ার মেজগোরে

নিউক্লিয়ার মিসাইল সাইট

এটি রাশিয়ার একটি শহর। সেখানকার উরাল পর্বতের কাছে ছোট্ট শহরটি তৈরি হয়েছে ১৯৭৯ সালে। সাধারণের জন্য নিষিদ্ধ এই শহরটিকে নিউক্লিয়ার মিসাইল সাইট মনে করা হয়। সেনাবেষ্টিত শহরটি সম্পর্কে এমন ধারণা বরাবরই উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া। ক্রেমলিনের দাবি- এটিতে খনি রয়েছে, আর কিছু নয়।

 

কিন শির সমাধি

পারদ আর অভিশাপের ভয়

চীনের প্রথম সম্রাট ও কিন রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা কিন শি হুয়াং-এর মৃত্যুর পর তাকে পিরামিডের নিচে সমাহিত করা হয়। প্রায় ২ হাজার বছর আগের এই সমাধিস্থলটি পৃথিবীর সর্বকালের শ্রেষ্ঠ আবিষ্কারগুলোর মধ্যে একটি। সশস্ত্র প্রহরা রয়েছে এখানে। সাধারণের প্রবেশ নিষেধ। কেউ বলেন, সমাধিস্থলে রয়েছে পারদের সমাহার, যা ক্ষতিকারক। কেউ বলেন, সমাধিস্থ করা হয়নি নাকি কিছু মৃতদেহ।

 

এই বিভাগের আরও খবর
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
সর্বশেষ খবর
মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি

এই মাত্র | পরবাস

সমগ্র হাটহাজারী শান্তি-সম্প্রীতির চারণভূমি হয়ে থাকবে : মীর হেলাল
সমগ্র হাটহাজারী শান্তি-সম্প্রীতির চারণভূমি হয়ে থাকবে : মীর হেলাল

৪ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আমরা বিশ্বের এক নম্বরে থাকতে চাই: স্পেন কোচ
আমরা বিশ্বের এক নম্বরে থাকতে চাই: স্পেন কোচ

৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

রায়ের মাধ্যমে দেশের ১৮ কোটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে: কর্নেল অলি
রায়ের মাধ্যমে দেশের ১৮ কোটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে: কর্নেল অলি

১০ মিনিট আগে | রাজনীতি

হাসিনার রায় প্রমাণ করেছে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় : প্রধান উপদেষ্টা
হাসিনার রায় প্রমাণ করেছে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় : প্রধান উপদেষ্টা

১২ মিনিট আগে | জাতীয়

রাশিয়ার বাণিজ্য সহযোগীদের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আসছে
রাশিয়ার বাণিজ্য সহযোগীদের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আসছে

১৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'২৬০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও চূড়ান্ত করে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার'
'২৬০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও চূড়ান্ত করে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার'

১৭ মিনিট আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশের পর চসিকের প্রধান নির্বাহীর বদলি
বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশের পর চসিকের প্রধান নির্বাহীর বদলি

২২ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জামায়াত পিআর চায় আর বিএনপি ফেয়ার ইলেকশন: মোশারফ হোসেন
জামায়াত পিআর চায় আর বিএনপি ফেয়ার ইলেকশন: মোশারফ হোসেন

২২ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

চট্টগ্রামে অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ১
চট্টগ্রামে অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ১

২৫ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন অ্যাপ উদ্বোধন কাল
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন অ্যাপ উদ্বোধন কাল

২৭ মিনিট আগে | জাতীয়

সোনারগাঁয়ে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা
সোনারগাঁয়ে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি

৩৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়েছে: হেফাজতে ইসলাম
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়েছে: হেফাজতে ইসলাম

৩৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

চুয়েটে ভলিবল প্রতিযোগিতা
চুয়েটে ভলিবল প্রতিযোগিতা

৩৮ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

উত্তরায় যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
উত্তরায় যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

৪০ মিনিট আগে | নগর জীবন

ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল নারীর
ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল নারীর

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বৃদ্ধার
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বৃদ্ধার

৪৮ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মার্কিন মেরিন কোরের সঙ্গে হাইতি গ্যাংয়ের বন্দুকযুদ্ধ
মার্কিন মেরিন কোরের সঙ্গে হাইতি গ্যাংয়ের বন্দুকযুদ্ধ

৫৪ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

রায় ঘোষণার পর বরিশালে মিষ্টি বিতরণ, মিছিল
রায় ঘোষণার পর বরিশালে মিষ্টি বিতরণ, মিছিল

৫৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ঠান্ডায় নাক দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে?
ঠান্ডায় নাক দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে?

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

টাকার জন্য কখনও নিজেকে বিলাইনি: দীপিকা
টাকার জন্য কখনও নিজেকে বিলাইনি: দীপিকা

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নাসিরনগরে আওয়ামী লীগের ২ নেতা গ্রেফতার
নাসিরনগরে আওয়ামী লীগের ২ নেতা গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিচেলকে নিয়ে অনিশ্চয়তায় মধ্যে কিউই দলে নিকোলস
মিচেলকে নিয়ে অনিশ্চয়তায় মধ্যে কিউই দলে নিকোলস

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা
পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এখনও কেন জুবিনের জন্য কাঁদছে আসাম?
এখনও কেন জুবিনের জন্য কাঁদছে আসাম?

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজকের রায় প্রমাণ করে স্বৈরশাসকেরাও বিচারের ঊর্ধ্বে নয়: সাইফুল হক
আজকের রায় প্রমাণ করে স্বৈরশাসকেরাও বিচারের ঊর্ধ্বে নয়: সাইফুল হক

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সর্বাধিক পঠিত
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ
অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার
ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী
আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে
ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী
মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানঘাঁটি,
মুখোমুখি ভারত-চীন
১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানঘাঁটি, মুখোমুখি ভারত-চীন

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ
রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ
হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ধনী যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ এখনও খালি পেটে ঘুমায়?
কেন ধনী যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ এখনও খালি পেটে ঘুমায়?

১৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ৫ অভিযোগ
হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ৫ অভিযোগ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের
বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে
ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর
শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প
ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার
মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার

১১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ
আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন
টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মামলা নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন
মামলা নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
শেখ হাসিনার রায় আজ
শেখ হাসিনার রায় আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ

সম্পাদকীয়

ইসলামী ব্যাংক থেকে এক পরিবার তুলেছে ৫০ হাজার কোটি
ইসলামী ব্যাংক থেকে এক পরিবার তুলেছে ৫০ হাজার কোটি

প্রথম পৃষ্ঠা

অপেক্ষা ৬৩ আসনে
অপেক্ষা ৬৩ আসনে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটের আগে পদোন্নতি নয়
ভোটের আগে পদোন্নতি নয়

পেছনের পৃষ্ঠা

কারসাজির ‘অক্টোপাস’ চসিক নির্বাহী
কারসাজির ‘অক্টোপাস’ চসিক নির্বাহী

পেছনের পৃষ্ঠা

কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন : সেনাপ্রধান
কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন : সেনাপ্রধান

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

দেখা মিলল বকফুলের
দেখা মিলল বকফুলের

পেছনের পৃষ্ঠা

নতুন বাংলাদেশে পুরোনো দুর্নীতি
নতুন বাংলাদেশে পুরোনো দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

সারা দেশে আগুন ককটেল বোমা
সারা দেশে আগুন ককটেল বোমা

প্রথম পৃষ্ঠা

এবার নতুন শাকিব খান
এবার নতুন শাকিব খান

শোবিজ

লাল ড্রাগনে স্বপ্নপূরণ
লাল ড্রাগনে স্বপ্নপূরণ

পেছনের পৃষ্ঠা

ক্লোজডোর অনুশীলনে ভারত
ক্লোজডোর অনুশীলনে ভারত

মাঠে ময়দানে

রুনা লায়লা সুরের ইন্দ্রজালে জীবন্ত কিংবদন্তি
রুনা লায়লা সুরের ইন্দ্রজালে জীবন্ত কিংবদন্তি

শোবিজ

সারা দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি
সারা দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

নগর জীবন

নতুন পে-স্কেল নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ
নতুন পে-স্কেল নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

কার অপেক্ষায় মাহি?
কার অপেক্ষায় মাহি?

শোবিজ

আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ
আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

হামজার বাকি শুধু গোল কিপিং!
হামজার বাকি শুধু গোল কিপিং!

মাঠে ময়দানে

নিবন্ধন পেল এনসিপি ও বাসদ মার্কসবাদী
নিবন্ধন পেল এনসিপি ও বাসদ মার্কসবাদী

প্রথম পৃষ্ঠা

নৈরাজ্য রুখে দাঁড়াতে হবে
নৈরাজ্য রুখে দাঁড়াতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ঋণ পেতে ঘাম ঝরে নারী উদ্যোক্তাদের
ঋণ পেতে ঘাম ঝরে নারী উদ্যোক্তাদের

পেছনের পৃষ্ঠা

৯৩ রানে অলআউট ভারত
৯৩ রানে অলআউট ভারত

মাঠে ময়দানে

এনএসসিতে চিঠি পাঠানোর কথা অস্বীকার শিখার
এনএসসিতে চিঠি পাঠানোর কথা অস্বীকার শিখার

মাঠে ময়দানে

দর্শক মাতালেন কনা
দর্শক মাতালেন কনা

শোবিজ

১৩ মাস পর মিরপুরে ফিরছে টেস্ট
১৩ মাস পর মিরপুরে ফিরছে টেস্ট

মাঠে ময়দানে

সেনেগালকে প্রথম হারাল ব্রাজিল
সেনেগালকে প্রথম হারাল ব্রাজিল

মাঠে ময়দানে

শুভ জন্মদিন রুনা লায়লা
শুভ জন্মদিন রুনা লায়লা

শোবিজ

বিশ্বকাপ কাবাডির ট্রফি উন্মোচন
বিশ্বকাপ কাবাডির ট্রফি উন্মোচন

মাঠে ময়দানে