শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২১ আপডেট:

জমিদারি ছেড়ে মরমি সাধক হাসন রাজা

সাইফ ইমন
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
জমিদারি ছেড়ে মরমি সাধক হাসন রাজা

মাত্র ১৫ বছর বয়সে জমিদারি শুরু করেন হাসন রাজা। বর্ষায় বজরা নৌকা সাজিয়ে গান-বাজনা করে ঘুরে বেড়াতেন। এ সময় একের পর এক গান লিখতে থাকেন। জীবনে চলার মাঝে আধ্যাত্মিক বোধের জন্ম নেয় তাঁর মনে। ছেড়ে দেন জমিদারি। তাঁর প্রেমের গভীরতা মহাকাল স্পর্শ করে। বিলাসী পোশাক ছেড়ে গ্রহণ করেন সাধারণ পোশাক; হয়ে ওঠেন মরমি সাধক।

 

বাংলা সাহিত্যে মরমি ধারা যুগ যুগ ধরেই বহমান রয়েছে। সাধারণভাবে মরমি বলতে বোঝানো হয় বিশ্ব প্রকৃতির মর্মে যিনি প্রবিষ্ট, তিনিই মরমি। মরমি সাধনা হাসন রাজার গান এবং দর্শনে পাওয়া যায়। তিনি সর্বমানবিক ধর্মীয় চেতনার এক লোকায়ত ঐক্যসূত্র রচনা করেছেন। হাসন রাজার গানগুলো শুনলে মনের মাঝে আধ্যাত্মবোধের জন্ম হয়। কবি জীবনানন্দ দাশ এই বোধের কথাই হয়তো বলতে চেয়েছেন এভাবে- ‘আলো অন্ধকারে যাই, মাথার ভিতরে/ স্বপ্ন নয়, কোন এক বোধ কাজ করে!/ স্বপ্ন নয় শান্তি নয় ভালোবাসা নয়, / হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়!’

আবার হাসন রাজার দার্শনিকতার পরিচয় মেলে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের মাধ্যমে। কবিগুরু প্রভাতকুমার শর্মার মাধ্যমে হাসন রাজার গানের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন। সেই গানগুলোর মাধ্যমে কবিগুরু হাসন রাজাকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে উল্লেখ করেন, ‘পূর্ববঙ্গের একটি গ্রাম্য কবির গানে দর্শনের একটি বড় তত্ত্ব পাই। সেটি এই যে, ব্যক্তিস্বরূপের সহিত সম্বন্ধ সূত্রেই বিশ্বসত্য।’ ১৯২৫ সালে দর্শন কংগ্রেসের সভায় ও পরবর্তীকালে লন্ডনে হিবার্ট বক্তৃতায় কবিগুরু হাসন রাজা সম্পর্কে এই বক্তব্য প্রদান করেন। অর্থাৎ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই হাসন রাজার মনে বোধের আগুন জ্বলেছিল। তাই হাসন রাজা গানে গানে বলেন, ‘আগুন লাগাইয়া দিল কনে’। হাসন রাজার নামের আগে মরমি শব্দটির সঙ্গে দার্শনিক শব্দটিও যুক্ত করতে কোনো বাধা নেই। হাসনের পূর্বপুরুষের অধিবাস ছিল ভারতের উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায়। বংশপরম্পরায় তারা সনাতন হিন্দু ছিলেন। পরবর্তীতে তারা দক্ষিণবঙ্গের যশোর জেলা হয়ে সিলেটে এসে আবাস গড়েন। হাসন রাজার দাদা বীরেন্দ্রচন্দ্র সিংহদেব মতান্তরে বাবু রায় চৌধুরী সিলেটে এসে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। হাসন রাজার জন্ম ১৮৫৪ সালের ২১ ডিসেম্বর, সেকালের সিলেট জেলার সুনামগঞ্জ শহরের নিকটবর্তী সুরমা নদীর তীরে ল²ণছিরি পরগনার তেঘরিয়া গ্রামে। হাসন রাজা জমিদার পরিবারের সন্তান। তাঁর পিতা দেওয়ান আলী রাজা চৌধুরী ছিলেন প্রতাপশালী জমিদার। হাসন রাজা তাঁর তৃতীয় পুত্র। আলী রাজা তাঁর খালাতো ভাই আমির বখ্শ চৌধুরীর নিঃসন্তান বিধবা হুরমত জাহান বিবিকে পরিণত বয়সে বিয়ে করেন। হুরমত বিবির গর্ভেই হাসন রাজার জন্ম। পরবর্তীতে হাসন রাজার অনেক কবিতা ও গানে হিন্দু-মুসলিম অসাম্প্রদায়িকতার মেলবন্ধন পাওয়া যায়। হাসনের দাদার মৃত্যুর পর তাঁর বাবা মাতৃ এবং পিতৃবংশীয় সব সম্পদের মালিক হন। ১৮৬৯ সালে তাঁর পিতা আলী রাজার মৃত্যুর ৪০ দিন পর তাঁর বড় ভাই ওবায়দুর রেজা মারা যান। মাত্র ১৫ বছর বয়সে হাসন জমিদারিতে অভিষিক্ত হয়েছিলেন। অনেকে দাবি করেন- অপরিপক্ব বয়সে এত সম্পদের মালিক হয়ে হাসন রাজা বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন। যৌবনে তিনি ছিলেন ভোগ-বিলাসী এক শৌখিন জমিদার। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো তথ্য-প্রমাণ অবশ্য পাওয়া যায়নি। হাসন রাজা নিজেই এক গানে উল্লেখ করেছেন, ‘সর্বলোকে বলে হাসন রাজা লম্পটিয়া’। বর্ষা মৌসুমে বজরা নৌকা সাজিয়ে গান-বাজনার আয়োজন করে হাসন রাজা চলে যেতেন এবং বেশ কিছুকাল নিজেকে নিমজ্জিত করে রাখতেন নিজের মধ্যে। এরই মধ্যে তিনি প্রচুর গান রচনা করে ফেলেন, এসব গান নৃত্য এবং বাদ্য সহকারে গাওয়া হতো। আশ্চর্যের বিষয় যে, বিলাসী জমিদারই এক সময় পরিবর্তিত হয়ে যান। হাসন রাজার মধ্যে ধীরে ধীরে এক আধ্যাত্মিক বোধের জন্ম নিতে থাকে। যা তাঁর স্বপ্ন ও জীবন দর্শনে আমূল প্রভাব ফেলে। তাঁর মনের দুয়ার খুলে যায়। ব্যস্ত জমিদার থেকে তাঁর চরিত্রে এক শান্তভাব চলে আসে। বিলাসী জীবন ছেড়ে তিনি সাদামাটা জীবন বেছে নেন। জমকালো পোশাক ত্যাগ করে সাধারণ পোশাক পরতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে তিনি গেয়ে উঠলেন, ‘আমি না লইলাম আল্লাজির নামরে, না করলাম তাঁর কাম।’ তাঁর বহিঃজগৎ ও অন্তর্জগতে আসে বিরাট পরিবর্তন। বিষয়-আশয়ের প্রতি তাঁর এক ধরনের অনীহা, এক ধরনের বৈরাগ্য তৈরি হয়। হাসন রাজার স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য সিলেট নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজারে গড়ে তোলা হয়েছে একটি জাদুঘর, যার নাম ‘মিউজিয়াম অব রাজাস’। এখানে দেশ-বিদেশের দর্শনার্থীরা হাসন রাজা ও তাঁর পরিবার সম্পর্কে নানা তথ্য জানতে প্রতিদিন ভিড় করেন। এ ছাড়াও সুনামগঞ্জ শহরের তেঘরিয়া এলাকায় সুরমা নদীর কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে হাসন রাজার স্মৃতিবিজড়িত জমিদারবাড়ি।

 

সুনামগঞ্জের হাসন রাজা জাদুঘর

হাসন রাজার স্মৃতিচিহ্ন এখনো অবশিষ্ট আছে সুনামগঞ্জে। সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে হাসন রাজা জাদুঘর। উনিশ শতকের শুরুর দিকের সেই সময়টাতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে এ জাদুঘর। ছোটখাটো কিন্তু সংরক্ষণের জন্য অনন্য সব জিনিস আপনাকে মুগ্ধ করবে নিশ্চিত। রাজার আয়েশি জীবন থেকে শুরু করে আপনি দেখতে পাবেন কবি জীবনের সব সংগ্রহ। বাদক যন্ত্র থেকে রাজার জমিদারি ম্যাপ সবই আছে এখানে। রয়েছে হাসন রাজার খড়মসহ ব্যবহার্য জিনিসপত্র। ঘরের এবং ঘরের বাইরের সব সংগ্রহের পাশাপাশি স্থান পেয়েছে বিশিষ্টজনের সঙ্গে রাজার সাক্ষাৎ ও দর্শনার্থীদের ভ্রমণের বিশেষ কিছু ছবি। এ মরমি সাধককে নিয়ে আজ দেশ-বিদেশে চলছে বিস্তর গবেষণা। তাঁর জীবনের বোধ এতই গভীর যে, গবেষকরা বলেন তা সব সময়ের জন্যই আধুনিক। সুনামগঞ্জের এই জাদুঘরের পাশাপাশি আপনি হাসন রাজা সম্পর্কে আরও জানতে চাইলে অন্য একটা মিউজিয়ামও ঘুরে আসতে পারেন। সিলেট শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই মিউজিয়ামের নাম ‘মিউজিয়াম অব রাজাস’। এটা শহরের জিন্দাবাজার এলাকায় অবস্থিত। এখানেও সংরক্ষিত রয়েছে হাসন রাজার ব্যবহৃত অনেক জিনিসপত্র। যা আপনাকে মুগ্ধ করবে।

 

বৈরাগ্যের সূচনা...

খাদ্যের অভাবে হাসনের অনেক পশু-পাখির মৃত্যু হয়েছে। এরপর তাঁর মনে জীবন সম্পর্কে কঠিন বৈরাগ্যের সূচনা করে। হাসন রাজার প্রথম জীবনের কালো অধ্যায়ের ইতি ঘটে

হাসন রাজা পশু-পাখি ভালোবাসতেন। ‘কুঁড়া’ ছিল তাঁর প্রিয় পাখি। ঘোড়াও পুষতেন হাসন। তাঁর প্রিয় দুটি ঘোড়ার একটি হলো জং বাহাদুর, আরেকটি চান্দমুশকি। এরকম আরও ৭৭টি ঘোড়ার নাম পাওয়া গেছে ইতিহাসবিদদের মতে। হাসন রাজার আর এক মজার শখ ছিল ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের জড়ো করে রুপার টাকা ছড়িয়ে দেওয়া। বাচ্চারা যখন হুটোপুটি করে কুড়িয়ে নিত, তা দেখে তিনি খুব মজা পেতেন। পশু-পাখির যত্ন ও লালন-পালনের পেছনে বিপুল অর্থ ব্যয় করেছেন।

১৮৯৭ সালের ১২ জুন আসাম এবং সিলেট এলাকায় ৮.৮ রিখটার স্কেলের এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে মানুষসহ অনেক পশু-পাখি প্রাণ হারায়। পরে এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে হাসন রাজা দেখলেন তাঁর অনেক নিকটাত্মীয়ের মৃত্যু হয়েছে। খাদ্যের অভাবে হাসনের অনেক পশু-পাখির মৃত্যু হয়েছে। এরপর তাঁর মনে জীবন সম্পর্কে কঠিন বৈরাগ্যের সূচনা করে। হাসন রাজার প্রথম জীবনের কালো অধ্যায়ের ইতি ঘটে। আবার অনেকে বলে থাকেন এক দিন হাসন রাজা একটি আধ্যাত্মিক স্বপ্ন দেখলেন এবং এরপরই তিনি নিজেকে পরিবর্তন করা শুরু করলেন। বৈরাগ্যের বেশ ধারণ করলেন। তবে যেভাবেই পরিবর্তন ঘটুক না কেন এরপর থেকে হাসন রাজা নিয়মিত প্রজাদের খোঁজখবর রাখা থেকে শুরু করে এলাকায় বিদ্যালয়, মসজিদ এবং আখড়া স্থাপন করেন। সেই সঙ্গে চলতে লাগল গান রচনা। তাঁর অন্তর্জগতেও বিরাট পরিবর্তন আসে। অত্যাচারী জমিদার থেকে বনে গেলেন বাউল সাধক। সাধারণ মানুষের খোঁজখবর নেওয়া হয়ে উঠল তাঁর প্রতিদিনের কাজ। সেই সঙ্গে চলতে থাকে গান রচনা। হাসন রাজা মুখে মুখে গান রচনা করতেন। আর তাঁর সহচরবৃন্দরা সেসব লিখে রাখতেন। হাসন রাজা নিজেও লিখতেন অনেক সময়। তাঁর স্বভাবকবিত্ব এসব গানে জন্ম নিত। নিন্দুকেরা অনেকে বলেন- হাসন রাজার গানে পরিমার্জনের সুযোগ খুব একটা মিলত না। তাই কখনো কখনো তাঁর গানে অসংলগ্নতা, গ্রাম্যতা, ছন্দপতন ও শব্দপ্রয়োগে অসতর্কতা লক্ষ্য করা যায়। তা সত্ত্বেও হাসন রাজার গানে অনেক উজ্জ্বল পঙ্ক্তি, মনোহর উপমা-চিত্রকল্পের সাক্ষাৎ মেলে।

 

হাসন রাজার প্রেমিকা...

নানা রকম লোককথা প্রচলিত রয়েছে যে, হাসন রাজা ভোগ-বিলাসী ও শৌখিন। আবার অনেকে বলেন- হাসন রাজা যৌবনের শুরুতে ছিলেন প্রেমিক পুরুষ। এগুলো হাসন রাজাকে নিয়ে অপপ্রচার। কারণ এসবের ঐতিহাসিক ভিত্তি পাওয়া যায়নি। প্রচলিত আছে, হাসন রাজা এক দিন এক পুকুরঘাটের পাশ দিয়ে আসার সময় গ্রামের এক মেয়ের সঙ্গে দেখা হয় এবং তার রূপে মুগ্ধ হয়ে নিজের গলার মালা ছুড়ে দেন আর গেয়ে ওঠেন, ‘সোনা বন্দে আমারে দেওয়ানা বানাইল, দেওয়ানা বানাইল মোরে পাগল করিল।’ আরেকবার পিয়ারীর প্রেমে পড়েছিলেন হাসন রাজা। পিয়ারী ছিলেন লখনৌ থেকে আসা একজন বাইজি। তিনিও খুব সুন্দরী ছিলেন। এই পিয়ারীর প্রেমে পড়ে হাসন গেয়েছিলেন, ‘নেশা লাগিল রে বাঁকা দুই নয়নে নেশা লাগিল রে/হাসন রাজা পিয়ারীর প্রেমে মজিল রে।’ তবে সবচেয়ে বেশি ভালোবেসেছিলেন দিলারামকে। দিলারামও হাসন রাজাকেই তার সর্বস্ব মানতেন। দুজনের প্রেম ভালো জমেছিল। কিন্তু বাদ সাধেন হাসন রাজার মা। পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে তার মা দিলারামকে গ্রাম ছাড়তে বাধ্য করেন। কিন্তু দিলারাম বলেছিলেন, ‘আমি চলে গেলে অঘটন ঘটে যাবে মা’। অনেকে বলেন- এর পরপরই হাসন রাজা বাইজিবাড়ি আর শরাবে ডুবে থাকতেন।

 

গানের রাজা

ইদানীং হাসন রাজার উত্তর পুরুষদের অনেকের লেখার মধ্যে হাসন রাজা সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়। হাসন রাজার গানে আধ্যাত্মিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি যে অদৃশ্য নিয়ন্ত্রকের হাতে বাঁধা ঘুড়ি সে কথাও ব্যক্ত হয়েছে-

‘গুড্ডি উড়াইল মোরে, মৌলার হাতের ডুরি।

হাসন রাজারে যেমনে ফিরায়, তেমনে দিয়া ফিরি।

মৌলার হাতে আছে ডুরি, আমি তাতে বান্ধা।

জযেমনে ফিরায়, তেমনি ফিরি, এমনি ডুরির ফান্ধা।’

১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে হাসন রাজা রচিত ২০৬টি গান নিয়ে একটি সংকলন প্রকাশিত হয়। এই সংকলনটির নাম ছিল ‘হাসন উদাস’। এর বাইরে আরও কিছু গান ‘হাসন রাজার তিন পুরুষ’ এবং ‘আল ইসলাহ’সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ধারণা করা হয়, হাসন রাজার অনেক গান এখনো সিলেট-সুনামগঞ্জের লোকের মুখে মুখে আছে এবং বহু গান বিলুপ্ত হয়ে গেছে। পদ্যছন্দে রচিত হাসনের অপর গ্রন্থ ‘শৌখিন বাহার’-এর আলোচ্য বিষয় ছিল ‘স্ত্রীলোক, ঘোড়া ও কুঁড়া পাখির আকৃতি দেখে প্রকৃতি বিচার। এ পর্যন্ত পাওয়া গানের সংখ্যা ৫৫৩টি। অনেকে অনুমান করেন- হাসন রাজার গানের সংখ্যা হাজারেরও বেশি। হাসন রাজার চিন্তাভাবনার পরিচয় পাওয়া যায় তাঁর গানে। তিনি কত গান রচনা করেছেন তার সঠিক হিসাব কেউই বলতে পারেননি। সৈয়দ মুর্তজা আলীর ‘মরমি কবি হাসন রাজা’ রচনায় এক জায়গায় হাসন রাজার বর্ণনা দিতে গিয়ে লিখেছেন, হাসন রাজা সুনামগঞ্জের একজন মুকুটহীন রাজা ছিলেন। হাসন রাজা সম্পর্কে বিশিষ্ট দার্শনিক অধ্যক্ষ দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ লিখেছেন, রাজাসুলভ সত্তায় একটি অতি কোমল দয়ালু মনের পরিচয় পাওয়া যায়। সুনামগঞ্জের আরেক প্রথিতযশা সাহিত্যিক গবেষক আবদুল হাই রচনা করেছেন ‘হাসন পছন্দ’ নামে একটি গ্রন্থ। ইদানীং হাসন রাজার উত্তর পুরুষদের অনেকের লেখার মধ্যে হাসন রাজা সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়। হাসন রাজার গানে আধ্যাত্মিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি যে অদৃশ্য নিয়ন্ত্রকের হাতে বাঁধা ঘুড়ি সে কথাও ব্যক্ত হয়েছে-

‘গুড্ডি উড়াইল মোরে, মৌলার হাতের ডুরি।

হাসন রাজারে যেমনে ফিরায়, তেমনে দিয়া ফিরি।

মৌলার হাতে আছে ডুরি, আমি তাতে বান্ধা।

জযেমনে ফিরায়, তেমনি ফিরি, এমনি ডুরির ফান্ধা।’

অনেকে দাবি, ঈশ্বরানুরক্তি, জগৎজীবনের অনিত্যতা ও প্রমোদমত্ত মানুষের সাধন-ভজনে অক্ষমতার খেদোক্তিই তাঁর গানে প্রধানত প্রতিফলিত হয়েছে। গানে গানে হাসন রাজা অদৃশ্য এক মহাশক্তির কথা বলেছেন বারবার। এই মহাশক্তি কেবল অনুভবের যোগ্য। শুধু তৃতীয় নয়ন খুললেই তাঁকে দেখা যায়। কিন্তু হাসন রাজা সংসারের মায়ায় বাঁধা পড়েছিলেন, তাই বলেন, ‘স্ত্রী হইল পায়ের বেড়ি পুত্র হইল খিল। কেমনে করিবে হাসন বন্ধের সনে মিল।’ এই আত্মবিশ্লেষণ ও আত্মোপলব্ধির ভিতর দিয়েই হাসন রাজা মরমি-সাধন-লোকের সন্ধান পেয়েছিলেন।

হাসন রাজা জাগতিক সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে সর্বমানবিক ধর্মীয় চেতনার এক লোকায়ত ঐক্যসূত্র রচনা করে গেছেন। হাসন রাজার সংগীত, সাধনা ও দর্শনে এই চেতনার প্রতিফলন আছে। হাসন লিখেছেন-

‘আমি যাইমুরে যাইমু, আল্লার সঙ্গে,

হাসন রাজায় আল্লা বিনে কিছু নাহি মাঙ্গে।’

আবার হাসনই বলেন, ‘হিন্দুয়ে বলে তোমায় রাধা, আমি বলি খোদা’। স্পষ্টই হাসন রাজার সংগীতে অসাম্প্রদায়িক মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের পুরাণ ও ঐতিহ্যের সমন্বয় ঘটেছে। এ বিষয়ে তিনি ছিলেন লালন ও অন্যান্য মরমি সাধকের সমমনা। হাসন রাজার কোনো গুরুর নামোল্লেখ নেই। কেউ কেউ বলেন, তিনি চিশতিয়া তরিকার সাধক ছিলেন। হয়তো তার গুরু কেউ ছিলেন। যিনি আড়ালেই রয়ে গেছেন। সুফিতত্ত্বের বর্ণনা ও প্রভাব হাসনের সংগীত ও দর্শনে ভালোভাবেই রয়েছে। সুফিমতের সঙ্গে দেশীয় লোকায়ত মরমি ধারা ও নিজস্ব চিন্তা-দর্শনের সমন্বয়ে তাঁর সাধনার পথ নির্মিত হয় বলে অনেকে বিশ্বাস করেন।

 

দর্শন

বৈরাগ্যভাব আসার সঙ্গে সঙ্গেই হাসন রাজা সম্পূর্ণ বদলে গেলেন। জীব-হত্যা ঘৃণা করতেন। কেবল মানব সেবা নয়, জীব সেবাতেও তিনি নিজেকে নিয়োজিত করলেন। শাসক থেকে হয়ে গেলেন সাধক। এক সময় তিনি গেয়ে উঠেছিলেন-

‘ও যৌবন ঘুমেরই স্বপন সাধন বিনে নারীর সনে হারাইলাম মূলধন।’ এর মধ্যেই আছে আত্মোপলব্ধির এক মরমি পর্যায়। আর এর ভিতরেই আমরা খুঁজে পাই দার্শনিক হাসন রাজাকে। হাসন রাজা সিলেটে এক ভয়াবহ ভূমিকম্প দেখেছিলেন।

কলিঙ্গ যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে সম্রাট অশোকের যেমন বোধোদয় হয়েছিল, ছেলেবেলার সেই ভূমিকম্প হাসন রাজার চিন্তারও মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। হাসন রাজা প্রেমিক ছিলেন। এক সময় তাঁর প্রেমের গভীরতা মহাকাল স্পর্শ করে। হাসন রাজার গানগুলো শুনলেই আমরা দেখতে পাই আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়া। হাসন রাজার কাছে মনে হয়েছে মানুষের জীবন ক্ষণস্থায়ী। জগৎ নশ্বর। কপিলাবস্তুর রাজকুমার সিদ্ধার্থ দুঃখকে জয় করার জন্য এ রকম পরিস্থিতিতে ঘর ছেড়েছিলেন।

রাজকুমার বহু বছরের সাধনায় সিদ্ধি লাভ করে হয়েছিলেন গৌতম বুদ্ধ। কিন্তু হাসন রাজা সংসার ত্যাগ করেননি। বরং সংসারে থেকেই তাঁর দার্শনিক ভাবনার ভিতর দিয়ে পেয়ে গেছেন তাঁর অন্তর্লোকের বন্ধুকে। কবি নজরুল গানে গানে যাকে বলেছেন, ‘মোর ঘুম ঘোরে এলে মনোহর।’ এই মনোহরের কাছেই হাসন পেয়েছিলেন তাঁর সব প্রশ্নের জবাব। অন্তরের নূরের ঝলক মনের চোখ দিয়ে উপলব্ধি করেছিলেন। এরপর থেকেই তিনি মরমি কবি।

এই বিভাগের আরও খবর
স্ক্যাল্পেও চাই সানস্ক্রিন
স্ক্যাল্পেও চাই সানস্ক্রিন
বয়স ৪০, এখনো ব্রণের সমস্যা
বয়স ৪০, এখনো ব্রণের সমস্যা
সোনিয়া রহমান রন্ধনশিল্পী
সোনিয়া রহমান রন্ধনশিল্পী
৩৩০০ বছর পরেও নেফারতিতি এখনো বেশ অনুপ্রেরণীয়
৩৩০০ বছর পরেও নেফারতিতি এখনো বেশ অনুপ্রেরণীয়
মুখমণ্ডলের লোম অপসারণ : কী পরামর্শ দেন ডার্মাটোলজিস্টরা
মুখমণ্ডলের লোম অপসারণ : কী পরামর্শ দেন ডার্মাটোলজিস্টরা
কখন থেকে সানগ্লাস
কখন থেকে সানগ্লাস
জিন্স কাহন
জিন্স কাহন
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানীদের গল্প
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানীদের গল্প
এআই বিপ্লব : আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ
এআই বিপ্লব : আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ
ইরানের সেকাল-একাল
ইরানের সেকাল-একাল
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানসাধক
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানসাধক
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
সর্বশেষ খবর
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি

১৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা
শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিশুদের মনোজগতে ভার্চুয়াল থাবা
শিশুদের মনোজগতে ভার্চুয়াল থাবা

১ ঘণ্টা আগে | অন্যান্য

শেষ হলো বিয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম
শেষ হলো বিয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন বজায় রাখার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার
উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন বজায় রাখার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

চোটে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস
চোটে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী
আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অক্টোবরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ
অক্টোবরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চেলসি ছেড়ে আর্সেনালে তারকা ফরোয়ার্ড
চেলসি ছেড়ে আর্সেনালে তারকা ফরোয়ার্ড

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে
নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭
সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘বিএনপি অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে’
‘বিএনপি অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে’

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের
১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জয়পুরহাটে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
জয়পুরহাটে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১
সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রংপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২
রংপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ
জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিলেটে বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ
সিলেটে বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ

৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মৌন মিছিল
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রংপুর মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল
রংপুর মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নীলফামারীতে বিএনপির মৌন মিছিল
নীলফামারীতে বিএনপির মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজবাড়ীতে শহীদ গণির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল
রাজবাড়ীতে শহীদ গণির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : প্রিন্স
আবার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : প্রিন্স

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা
উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কুলাউড়া সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে
কুলাউড়া সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতকড়াসহ আসামির পলায়ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতকড়াসহ আসামির পলায়ন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে
বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে

১৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে
কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান
যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা
ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস
সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে
রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক
স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ
হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম
শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া
ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান
সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু
বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা
ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা
ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা

১৮ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের
বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম
সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল
গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র
গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ
মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুলাই)

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যাংকিং খাত উচ্চঝুঁকিতে
ব্যাংকিং খাত উচ্চঝুঁকিতে

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০
গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী
চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন
চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বড় জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু বাংলাদেশের যুবাদের
বড় জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু বাংলাদেশের যুবাদের

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এমবাপ্পের বকশিশ পেয়ে বিপদে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা
এমবাপ্পের বকশিশ পেয়ে বিপদে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
রোগী নেই দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতালে
রোগী নেই দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতালে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান
বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান

প্রথম পৃষ্ঠা

গোপালগঞ্জজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক
গোপালগঞ্জজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক
কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক

পেছনের পৃষ্ঠা

কুমিল্লায় এক খন্ড হংকং নগরীর গল্প!
কুমিল্লায় এক খন্ড হংকং নগরীর গল্প!

শনিবারের সকাল

অপরাজিত থাকার প্রত্যাশা আফঈদাদের
অপরাজিত থাকার প্রত্যাশা আফঈদাদের

মাঠে ময়দানে

আজকের ভগ্যচক্র
আজকের ভগ্যচক্র

আজকের রাশি

এপিএসের পোষা বিড়াল যখন মন্ত্রী
এপিএসের পোষা বিড়াল যখন মন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

বড় ধাক্কার মুখে রাজস্ব খাত
বড় ধাক্কার মুখে রাজস্ব খাত

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই গণ অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন
জুলাই গণ অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

জনগণের সম্মতি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে
জনগণের সম্মতি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আমাদের কালের মিষ্টি নায়িকা কবরী
আমাদের কালের মিষ্টি নায়িকা কবরী

শোবিজ

নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন না
নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন না

মাঠে ময়দানে

ভুটানে সাবিনা-ঋতুপর্ণার ডাবল হ্যাটট্রিক
ভুটানে সাবিনা-ঋতুপর্ণার ডাবল হ্যাটট্রিক

মাঠে ময়দানে

ব্যাটিংয়ে কাইলি মায়ার্স বোলিংয়ে খালেদ
ব্যাটিংয়ে কাইলি মায়ার্স বোলিংয়ে খালেদ

মাঠে ময়দানে

যুবাদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ
যুবাদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ

মাঠে ময়দানে

সবজি মুরগির দাম চড়া নাগালের বাইরে ইলিশ
সবজি মুরগির দাম চড়া নাগালের বাইরে ইলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে দেশ
পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ‘আগুনের পরশমণি’
বন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ‘আগুনের পরশমণি’

শোবিজ

গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল
গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংকঋণ যাচ্ছে সরকারি বন্ডে
ব্যাংকঋণ যাচ্ছে সরকারি বন্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

পাঁচ চলচ্চিত্রে আফজাল হোসেন
পাঁচ চলচ্চিত্রে আফজাল হোসেন

শোবিজ

নান্দনিক নওয়াববাড়ি মসজিদ
নান্দনিক নওয়াববাড়ি মসজিদ

শনিবারের সকাল

শান্তির নীড় মাটির ঘর
শান্তির নীড় মাটির ঘর

পেছনের পৃষ্ঠা

মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান টাইগাররা
মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

১৩ হাজারি ক্লাবে বাটলার
১৩ হাজারি ক্লাবে বাটলার

মাঠে ময়দানে

কক্সবাজারে অপহৃত তিন কিশোর উদ্ধার
কক্সবাজারে অপহৃত তিন কিশোর উদ্ধার

নগর জীবন

অবসর শেষে মৎস্য খামার
অবসর শেষে মৎস্য খামার

শনিবারের সকাল

আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী
আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনে করার কিছু নেই
হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনে করার কিছু নেই

প্রথম পৃষ্ঠা