শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২১ আপডেট:

জমিদারি ছেড়ে মরমি সাধক হাসন রাজা

সাইফ ইমন
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
জমিদারি ছেড়ে মরমি সাধক হাসন রাজা

মাত্র ১৫ বছর বয়সে জমিদারি শুরু করেন হাসন রাজা। বর্ষায় বজরা নৌকা সাজিয়ে গান-বাজনা করে ঘুরে বেড়াতেন। এ সময় একের পর এক গান লিখতে থাকেন। জীবনে চলার মাঝে আধ্যাত্মিক বোধের জন্ম নেয় তাঁর মনে। ছেড়ে দেন জমিদারি। তাঁর প্রেমের গভীরতা মহাকাল স্পর্শ করে। বিলাসী পোশাক ছেড়ে গ্রহণ করেন সাধারণ পোশাক; হয়ে ওঠেন মরমি সাধক।

 

বাংলা সাহিত্যে মরমি ধারা যুগ যুগ ধরেই বহমান রয়েছে। সাধারণভাবে মরমি বলতে বোঝানো হয় বিশ্ব প্রকৃতির মর্মে যিনি প্রবিষ্ট, তিনিই মরমি। মরমি সাধনা হাসন রাজার গান এবং দর্শনে পাওয়া যায়। তিনি সর্বমানবিক ধর্মীয় চেতনার এক লোকায়ত ঐক্যসূত্র রচনা করেছেন। হাসন রাজার গানগুলো শুনলে মনের মাঝে আধ্যাত্মবোধের জন্ম হয়। কবি জীবনানন্দ দাশ এই বোধের কথাই হয়তো বলতে চেয়েছেন এভাবে- ‘আলো অন্ধকারে যাই, মাথার ভিতরে/ স্বপ্ন নয়, কোন এক বোধ কাজ করে!/ স্বপ্ন নয় শান্তি নয় ভালোবাসা নয়, / হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়!’

আবার হাসন রাজার দার্শনিকতার পরিচয় মেলে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের মাধ্যমে। কবিগুরু প্রভাতকুমার শর্মার মাধ্যমে হাসন রাজার গানের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন। সেই গানগুলোর মাধ্যমে কবিগুরু হাসন রাজাকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে উল্লেখ করেন, ‘পূর্ববঙ্গের একটি গ্রাম্য কবির গানে দর্শনের একটি বড় তত্ত্ব পাই। সেটি এই যে, ব্যক্তিস্বরূপের সহিত সম্বন্ধ সূত্রেই বিশ্বসত্য।’ ১৯২৫ সালে দর্শন কংগ্রেসের সভায় ও পরবর্তীকালে লন্ডনে হিবার্ট বক্তৃতায় কবিগুরু হাসন রাজা সম্পর্কে এই বক্তব্য প্রদান করেন। অর্থাৎ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই হাসন রাজার মনে বোধের আগুন জ্বলেছিল। তাই হাসন রাজা গানে গানে বলেন, ‘আগুন লাগাইয়া দিল কনে’। হাসন রাজার নামের আগে মরমি শব্দটির সঙ্গে দার্শনিক শব্দটিও যুক্ত করতে কোনো বাধা নেই। হাসনের পূর্বপুরুষের অধিবাস ছিল ভারতের উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায়। বংশপরম্পরায় তারা সনাতন হিন্দু ছিলেন। পরবর্তীতে তারা দক্ষিণবঙ্গের যশোর জেলা হয়ে সিলেটে এসে আবাস গড়েন। হাসন রাজার দাদা বীরেন্দ্রচন্দ্র সিংহদেব মতান্তরে বাবু রায় চৌধুরী সিলেটে এসে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। হাসন রাজার জন্ম ১৮৫৪ সালের ২১ ডিসেম্বর, সেকালের সিলেট জেলার সুনামগঞ্জ শহরের নিকটবর্তী সুরমা নদীর তীরে ল²ণছিরি পরগনার তেঘরিয়া গ্রামে। হাসন রাজা জমিদার পরিবারের সন্তান। তাঁর পিতা দেওয়ান আলী রাজা চৌধুরী ছিলেন প্রতাপশালী জমিদার। হাসন রাজা তাঁর তৃতীয় পুত্র। আলী রাজা তাঁর খালাতো ভাই আমির বখ্শ চৌধুরীর নিঃসন্তান বিধবা হুরমত জাহান বিবিকে পরিণত বয়সে বিয়ে করেন। হুরমত বিবির গর্ভেই হাসন রাজার জন্ম। পরবর্তীতে হাসন রাজার অনেক কবিতা ও গানে হিন্দু-মুসলিম অসাম্প্রদায়িকতার মেলবন্ধন পাওয়া যায়। হাসনের দাদার মৃত্যুর পর তাঁর বাবা মাতৃ এবং পিতৃবংশীয় সব সম্পদের মালিক হন। ১৮৬৯ সালে তাঁর পিতা আলী রাজার মৃত্যুর ৪০ দিন পর তাঁর বড় ভাই ওবায়দুর রেজা মারা যান। মাত্র ১৫ বছর বয়সে হাসন জমিদারিতে অভিষিক্ত হয়েছিলেন। অনেকে দাবি করেন- অপরিপক্ব বয়সে এত সম্পদের মালিক হয়ে হাসন রাজা বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন। যৌবনে তিনি ছিলেন ভোগ-বিলাসী এক শৌখিন জমিদার। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো তথ্য-প্রমাণ অবশ্য পাওয়া যায়নি। হাসন রাজা নিজেই এক গানে উল্লেখ করেছেন, ‘সর্বলোকে বলে হাসন রাজা লম্পটিয়া’। বর্ষা মৌসুমে বজরা নৌকা সাজিয়ে গান-বাজনার আয়োজন করে হাসন রাজা চলে যেতেন এবং বেশ কিছুকাল নিজেকে নিমজ্জিত করে রাখতেন নিজের মধ্যে। এরই মধ্যে তিনি প্রচুর গান রচনা করে ফেলেন, এসব গান নৃত্য এবং বাদ্য সহকারে গাওয়া হতো। আশ্চর্যের বিষয় যে, বিলাসী জমিদারই এক সময় পরিবর্তিত হয়ে যান। হাসন রাজার মধ্যে ধীরে ধীরে এক আধ্যাত্মিক বোধের জন্ম নিতে থাকে। যা তাঁর স্বপ্ন ও জীবন দর্শনে আমূল প্রভাব ফেলে। তাঁর মনের দুয়ার খুলে যায়। ব্যস্ত জমিদার থেকে তাঁর চরিত্রে এক শান্তভাব চলে আসে। বিলাসী জীবন ছেড়ে তিনি সাদামাটা জীবন বেছে নেন। জমকালো পোশাক ত্যাগ করে সাধারণ পোশাক পরতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে তিনি গেয়ে উঠলেন, ‘আমি না লইলাম আল্লাজির নামরে, না করলাম তাঁর কাম।’ তাঁর বহিঃজগৎ ও অন্তর্জগতে আসে বিরাট পরিবর্তন। বিষয়-আশয়ের প্রতি তাঁর এক ধরনের অনীহা, এক ধরনের বৈরাগ্য তৈরি হয়। হাসন রাজার স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য সিলেট নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজারে গড়ে তোলা হয়েছে একটি জাদুঘর, যার নাম ‘মিউজিয়াম অব রাজাস’। এখানে দেশ-বিদেশের দর্শনার্থীরা হাসন রাজা ও তাঁর পরিবার সম্পর্কে নানা তথ্য জানতে প্রতিদিন ভিড় করেন। এ ছাড়াও সুনামগঞ্জ শহরের তেঘরিয়া এলাকায় সুরমা নদীর কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে হাসন রাজার স্মৃতিবিজড়িত জমিদারবাড়ি।

 

সুনামগঞ্জের হাসন রাজা জাদুঘর

হাসন রাজার স্মৃতিচিহ্ন এখনো অবশিষ্ট আছে সুনামগঞ্জে। সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে হাসন রাজা জাদুঘর। উনিশ শতকের শুরুর দিকের সেই সময়টাতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে এ জাদুঘর। ছোটখাটো কিন্তু সংরক্ষণের জন্য অনন্য সব জিনিস আপনাকে মুগ্ধ করবে নিশ্চিত। রাজার আয়েশি জীবন থেকে শুরু করে আপনি দেখতে পাবেন কবি জীবনের সব সংগ্রহ। বাদক যন্ত্র থেকে রাজার জমিদারি ম্যাপ সবই আছে এখানে। রয়েছে হাসন রাজার খড়মসহ ব্যবহার্য জিনিসপত্র। ঘরের এবং ঘরের বাইরের সব সংগ্রহের পাশাপাশি স্থান পেয়েছে বিশিষ্টজনের সঙ্গে রাজার সাক্ষাৎ ও দর্শনার্থীদের ভ্রমণের বিশেষ কিছু ছবি। এ মরমি সাধককে নিয়ে আজ দেশ-বিদেশে চলছে বিস্তর গবেষণা। তাঁর জীবনের বোধ এতই গভীর যে, গবেষকরা বলেন তা সব সময়ের জন্যই আধুনিক। সুনামগঞ্জের এই জাদুঘরের পাশাপাশি আপনি হাসন রাজা সম্পর্কে আরও জানতে চাইলে অন্য একটা মিউজিয়ামও ঘুরে আসতে পারেন। সিলেট শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই মিউজিয়ামের নাম ‘মিউজিয়াম অব রাজাস’। এটা শহরের জিন্দাবাজার এলাকায় অবস্থিত। এখানেও সংরক্ষিত রয়েছে হাসন রাজার ব্যবহৃত অনেক জিনিসপত্র। যা আপনাকে মুগ্ধ করবে।

 

বৈরাগ্যের সূচনা...

খাদ্যের অভাবে হাসনের অনেক পশু-পাখির মৃত্যু হয়েছে। এরপর তাঁর মনে জীবন সম্পর্কে কঠিন বৈরাগ্যের সূচনা করে। হাসন রাজার প্রথম জীবনের কালো অধ্যায়ের ইতি ঘটে

হাসন রাজা পশু-পাখি ভালোবাসতেন। ‘কুঁড়া’ ছিল তাঁর প্রিয় পাখি। ঘোড়াও পুষতেন হাসন। তাঁর প্রিয় দুটি ঘোড়ার একটি হলো জং বাহাদুর, আরেকটি চান্দমুশকি। এরকম আরও ৭৭টি ঘোড়ার নাম পাওয়া গেছে ইতিহাসবিদদের মতে। হাসন রাজার আর এক মজার শখ ছিল ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের জড়ো করে রুপার টাকা ছড়িয়ে দেওয়া। বাচ্চারা যখন হুটোপুটি করে কুড়িয়ে নিত, তা দেখে তিনি খুব মজা পেতেন। পশু-পাখির যত্ন ও লালন-পালনের পেছনে বিপুল অর্থ ব্যয় করেছেন।

১৮৯৭ সালের ১২ জুন আসাম এবং সিলেট এলাকায় ৮.৮ রিখটার স্কেলের এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে মানুষসহ অনেক পশু-পাখি প্রাণ হারায়। পরে এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে হাসন রাজা দেখলেন তাঁর অনেক নিকটাত্মীয়ের মৃত্যু হয়েছে। খাদ্যের অভাবে হাসনের অনেক পশু-পাখির মৃত্যু হয়েছে। এরপর তাঁর মনে জীবন সম্পর্কে কঠিন বৈরাগ্যের সূচনা করে। হাসন রাজার প্রথম জীবনের কালো অধ্যায়ের ইতি ঘটে। আবার অনেকে বলে থাকেন এক দিন হাসন রাজা একটি আধ্যাত্মিক স্বপ্ন দেখলেন এবং এরপরই তিনি নিজেকে পরিবর্তন করা শুরু করলেন। বৈরাগ্যের বেশ ধারণ করলেন। তবে যেভাবেই পরিবর্তন ঘটুক না কেন এরপর থেকে হাসন রাজা নিয়মিত প্রজাদের খোঁজখবর রাখা থেকে শুরু করে এলাকায় বিদ্যালয়, মসজিদ এবং আখড়া স্থাপন করেন। সেই সঙ্গে চলতে লাগল গান রচনা। তাঁর অন্তর্জগতেও বিরাট পরিবর্তন আসে। অত্যাচারী জমিদার থেকে বনে গেলেন বাউল সাধক। সাধারণ মানুষের খোঁজখবর নেওয়া হয়ে উঠল তাঁর প্রতিদিনের কাজ। সেই সঙ্গে চলতে থাকে গান রচনা। হাসন রাজা মুখে মুখে গান রচনা করতেন। আর তাঁর সহচরবৃন্দরা সেসব লিখে রাখতেন। হাসন রাজা নিজেও লিখতেন অনেক সময়। তাঁর স্বভাবকবিত্ব এসব গানে জন্ম নিত। নিন্দুকেরা অনেকে বলেন- হাসন রাজার গানে পরিমার্জনের সুযোগ খুব একটা মিলত না। তাই কখনো কখনো তাঁর গানে অসংলগ্নতা, গ্রাম্যতা, ছন্দপতন ও শব্দপ্রয়োগে অসতর্কতা লক্ষ্য করা যায়। তা সত্ত্বেও হাসন রাজার গানে অনেক উজ্জ্বল পঙ্ক্তি, মনোহর উপমা-চিত্রকল্পের সাক্ষাৎ মেলে।

 

হাসন রাজার প্রেমিকা...

নানা রকম লোককথা প্রচলিত রয়েছে যে, হাসন রাজা ভোগ-বিলাসী ও শৌখিন। আবার অনেকে বলেন- হাসন রাজা যৌবনের শুরুতে ছিলেন প্রেমিক পুরুষ। এগুলো হাসন রাজাকে নিয়ে অপপ্রচার। কারণ এসবের ঐতিহাসিক ভিত্তি পাওয়া যায়নি। প্রচলিত আছে, হাসন রাজা এক দিন এক পুকুরঘাটের পাশ দিয়ে আসার সময় গ্রামের এক মেয়ের সঙ্গে দেখা হয় এবং তার রূপে মুগ্ধ হয়ে নিজের গলার মালা ছুড়ে দেন আর গেয়ে ওঠেন, ‘সোনা বন্দে আমারে দেওয়ানা বানাইল, দেওয়ানা বানাইল মোরে পাগল করিল।’ আরেকবার পিয়ারীর প্রেমে পড়েছিলেন হাসন রাজা। পিয়ারী ছিলেন লখনৌ থেকে আসা একজন বাইজি। তিনিও খুব সুন্দরী ছিলেন। এই পিয়ারীর প্রেমে পড়ে হাসন গেয়েছিলেন, ‘নেশা লাগিল রে বাঁকা দুই নয়নে নেশা লাগিল রে/হাসন রাজা পিয়ারীর প্রেমে মজিল রে।’ তবে সবচেয়ে বেশি ভালোবেসেছিলেন দিলারামকে। দিলারামও হাসন রাজাকেই তার সর্বস্ব মানতেন। দুজনের প্রেম ভালো জমেছিল। কিন্তু বাদ সাধেন হাসন রাজার মা। পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে তার মা দিলারামকে গ্রাম ছাড়তে বাধ্য করেন। কিন্তু দিলারাম বলেছিলেন, ‘আমি চলে গেলে অঘটন ঘটে যাবে মা’। অনেকে বলেন- এর পরপরই হাসন রাজা বাইজিবাড়ি আর শরাবে ডুবে থাকতেন।

 

গানের রাজা

ইদানীং হাসন রাজার উত্তর পুরুষদের অনেকের লেখার মধ্যে হাসন রাজা সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়। হাসন রাজার গানে আধ্যাত্মিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি যে অদৃশ্য নিয়ন্ত্রকের হাতে বাঁধা ঘুড়ি সে কথাও ব্যক্ত হয়েছে-

‘গুড্ডি উড়াইল মোরে, মৌলার হাতের ডুরি।

হাসন রাজারে যেমনে ফিরায়, তেমনে দিয়া ফিরি।

মৌলার হাতে আছে ডুরি, আমি তাতে বান্ধা।

জযেমনে ফিরায়, তেমনি ফিরি, এমনি ডুরির ফান্ধা।’

১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে হাসন রাজা রচিত ২০৬টি গান নিয়ে একটি সংকলন প্রকাশিত হয়। এই সংকলনটির নাম ছিল ‘হাসন উদাস’। এর বাইরে আরও কিছু গান ‘হাসন রাজার তিন পুরুষ’ এবং ‘আল ইসলাহ’সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ধারণা করা হয়, হাসন রাজার অনেক গান এখনো সিলেট-সুনামগঞ্জের লোকের মুখে মুখে আছে এবং বহু গান বিলুপ্ত হয়ে গেছে। পদ্যছন্দে রচিত হাসনের অপর গ্রন্থ ‘শৌখিন বাহার’-এর আলোচ্য বিষয় ছিল ‘স্ত্রীলোক, ঘোড়া ও কুঁড়া পাখির আকৃতি দেখে প্রকৃতি বিচার। এ পর্যন্ত পাওয়া গানের সংখ্যা ৫৫৩টি। অনেকে অনুমান করেন- হাসন রাজার গানের সংখ্যা হাজারেরও বেশি। হাসন রাজার চিন্তাভাবনার পরিচয় পাওয়া যায় তাঁর গানে। তিনি কত গান রচনা করেছেন তার সঠিক হিসাব কেউই বলতে পারেননি। সৈয়দ মুর্তজা আলীর ‘মরমি কবি হাসন রাজা’ রচনায় এক জায়গায় হাসন রাজার বর্ণনা দিতে গিয়ে লিখেছেন, হাসন রাজা সুনামগঞ্জের একজন মুকুটহীন রাজা ছিলেন। হাসন রাজা সম্পর্কে বিশিষ্ট দার্শনিক অধ্যক্ষ দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ লিখেছেন, রাজাসুলভ সত্তায় একটি অতি কোমল দয়ালু মনের পরিচয় পাওয়া যায়। সুনামগঞ্জের আরেক প্রথিতযশা সাহিত্যিক গবেষক আবদুল হাই রচনা করেছেন ‘হাসন পছন্দ’ নামে একটি গ্রন্থ। ইদানীং হাসন রাজার উত্তর পুরুষদের অনেকের লেখার মধ্যে হাসন রাজা সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়। হাসন রাজার গানে আধ্যাত্মিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি যে অদৃশ্য নিয়ন্ত্রকের হাতে বাঁধা ঘুড়ি সে কথাও ব্যক্ত হয়েছে-

‘গুড্ডি উড়াইল মোরে, মৌলার হাতের ডুরি।

হাসন রাজারে যেমনে ফিরায়, তেমনে দিয়া ফিরি।

মৌলার হাতে আছে ডুরি, আমি তাতে বান্ধা।

জযেমনে ফিরায়, তেমনি ফিরি, এমনি ডুরির ফান্ধা।’

অনেকে দাবি, ঈশ্বরানুরক্তি, জগৎজীবনের অনিত্যতা ও প্রমোদমত্ত মানুষের সাধন-ভজনে অক্ষমতার খেদোক্তিই তাঁর গানে প্রধানত প্রতিফলিত হয়েছে। গানে গানে হাসন রাজা অদৃশ্য এক মহাশক্তির কথা বলেছেন বারবার। এই মহাশক্তি কেবল অনুভবের যোগ্য। শুধু তৃতীয় নয়ন খুললেই তাঁকে দেখা যায়। কিন্তু হাসন রাজা সংসারের মায়ায় বাঁধা পড়েছিলেন, তাই বলেন, ‘স্ত্রী হইল পায়ের বেড়ি পুত্র হইল খিল। কেমনে করিবে হাসন বন্ধের সনে মিল।’ এই আত্মবিশ্লেষণ ও আত্মোপলব্ধির ভিতর দিয়েই হাসন রাজা মরমি-সাধন-লোকের সন্ধান পেয়েছিলেন।

হাসন রাজা জাগতিক সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে সর্বমানবিক ধর্মীয় চেতনার এক লোকায়ত ঐক্যসূত্র রচনা করে গেছেন। হাসন রাজার সংগীত, সাধনা ও দর্শনে এই চেতনার প্রতিফলন আছে। হাসন লিখেছেন-

‘আমি যাইমুরে যাইমু, আল্লার সঙ্গে,

হাসন রাজায় আল্লা বিনে কিছু নাহি মাঙ্গে।’

আবার হাসনই বলেন, ‘হিন্দুয়ে বলে তোমায় রাধা, আমি বলি খোদা’। স্পষ্টই হাসন রাজার সংগীতে অসাম্প্রদায়িক মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের পুরাণ ও ঐতিহ্যের সমন্বয় ঘটেছে। এ বিষয়ে তিনি ছিলেন লালন ও অন্যান্য মরমি সাধকের সমমনা। হাসন রাজার কোনো গুরুর নামোল্লেখ নেই। কেউ কেউ বলেন, তিনি চিশতিয়া তরিকার সাধক ছিলেন। হয়তো তার গুরু কেউ ছিলেন। যিনি আড়ালেই রয়ে গেছেন। সুফিতত্ত্বের বর্ণনা ও প্রভাব হাসনের সংগীত ও দর্শনে ভালোভাবেই রয়েছে। সুফিমতের সঙ্গে দেশীয় লোকায়ত মরমি ধারা ও নিজস্ব চিন্তা-দর্শনের সমন্বয়ে তাঁর সাধনার পথ নির্মিত হয় বলে অনেকে বিশ্বাস করেন।

 

দর্শন

বৈরাগ্যভাব আসার সঙ্গে সঙ্গেই হাসন রাজা সম্পূর্ণ বদলে গেলেন। জীব-হত্যা ঘৃণা করতেন। কেবল মানব সেবা নয়, জীব সেবাতেও তিনি নিজেকে নিয়োজিত করলেন। শাসক থেকে হয়ে গেলেন সাধক। এক সময় তিনি গেয়ে উঠেছিলেন-

‘ও যৌবন ঘুমেরই স্বপন সাধন বিনে নারীর সনে হারাইলাম মূলধন।’ এর মধ্যেই আছে আত্মোপলব্ধির এক মরমি পর্যায়। আর এর ভিতরেই আমরা খুঁজে পাই দার্শনিক হাসন রাজাকে। হাসন রাজা সিলেটে এক ভয়াবহ ভূমিকম্প দেখেছিলেন।

কলিঙ্গ যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে সম্রাট অশোকের যেমন বোধোদয় হয়েছিল, ছেলেবেলার সেই ভূমিকম্প হাসন রাজার চিন্তারও মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। হাসন রাজা প্রেমিক ছিলেন। এক সময় তাঁর প্রেমের গভীরতা মহাকাল স্পর্শ করে। হাসন রাজার গানগুলো শুনলেই আমরা দেখতে পাই আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়া। হাসন রাজার কাছে মনে হয়েছে মানুষের জীবন ক্ষণস্থায়ী। জগৎ নশ্বর। কপিলাবস্তুর রাজকুমার সিদ্ধার্থ দুঃখকে জয় করার জন্য এ রকম পরিস্থিতিতে ঘর ছেড়েছিলেন।

রাজকুমার বহু বছরের সাধনায় সিদ্ধি লাভ করে হয়েছিলেন গৌতম বুদ্ধ। কিন্তু হাসন রাজা সংসার ত্যাগ করেননি। বরং সংসারে থেকেই তাঁর দার্শনিক ভাবনার ভিতর দিয়ে পেয়ে গেছেন তাঁর অন্তর্লোকের বন্ধুকে। কবি নজরুল গানে গানে যাকে বলেছেন, ‘মোর ঘুম ঘোরে এলে মনোহর।’ এই মনোহরের কাছেই হাসন পেয়েছিলেন তাঁর সব প্রশ্নের জবাব। অন্তরের নূরের ঝলক মনের চোখ দিয়ে উপলব্ধি করেছিলেন। এরপর থেকেই তিনি মরমি কবি।

এই বিভাগের আরও খবর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার
কী আছে ১০ দফা ইশতেহারে
কী আছে ১০ দফা ইশতেহারে
আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদের ৬৫ প্রতিশ্রুতি
আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদের ৬৫ প্রতিশ্রুতি
দখল-দূষণে বিপর্যস্ত শতবর্ষী দিঘি
দখল-দূষণে বিপর্যস্ত শতবর্ষী দিঘি
প্রজাদের সুপেয় পানির জন্য যার জন্ম
প্রজাদের সুপেয় পানির জন্য যার জন্ম
মসলিন সুতোর স্মৃতি মিশে আছে যেখানে
মসলিন সুতোর স্মৃতি মিশে আছে যেখানে
ভাওয়াল রাজার দিঘি
ভাওয়াল রাজার দিঘি
সর্বশেষ খবর
পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আফগানিস্তানকে ১৫৫ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ
আফগানিস্তানকে ১৫৫ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ

২১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে কোনো হুংকারেই নির্বাচন ঠেকানো যাবে না: জাহিদ হোসেন
জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে কোনো হুংকারেই নির্বাচন ঠেকানো যাবে না: জাহিদ হোসেন

২৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

সিরাজগঞ্জের ডাকাতি মামলার আসামি শ্রীপুরে গ্রেফতার
সিরাজগঞ্জের ডাকাতি মামলার আসামি শ্রীপুরে গ্রেফতার

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিবচরে যুবককে কু‌পি‌য়ে হত্যা: ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
শিবচরে যুবককে কু‌পি‌য়ে হত্যা: ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

৫৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কারাবন্দিদের করানো হচ্ছে ডোপ টেস্ট
কারাবন্দিদের করানো হচ্ছে ডোপ টেস্ট

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ডাবল সেঞ্চুরি
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ডাবল সেঞ্চুরি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চাঁদপুরে জব্দকৃত ৬০ কেজি গাঁজা ধ্বংস
চাঁদপুরে জব্দকৃত ৬০ কেজি গাঁজা ধ্বংস

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে শাবিপ্রবিতে স্মারকলিপি
নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে শাবিপ্রবিতে স্মারকলিপি

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

শ্রীমঙ্গলে জামায়াতের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভা
শ্রীমঙ্গলে জামায়াতের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভা

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

নতুন নেতৃত্বে গোবিপ্রবি সাহিত্য সংসদ
নতুন নেতৃত্বে গোবিপ্রবি সাহিত্য সংসদ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কুড়িগ্রামে বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
কুড়িগ্রামে বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঢাকাস্থ চীনের ভিসা অফিস বন্ধ থাকবে ৮ দিন
ঢাকাস্থ চীনের ভিসা অফিস বন্ধ থাকবে ৮ দিন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডোপ টেস্টে পজিটিভ, নিষিদ্ধ ডাচ পেসার
ডোপ টেস্টে পজিটিভ, নিষিদ্ধ ডাচ পেসার

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৬৫
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৬৫

১ ঘণ্টা আগে | ডেঙ্গু আপডেট

বিস্ফোরক মামলায় মির্জা ফখরুলসহ ৬৬ জনকে অব্যাহতি
বিস্ফোরক মামলায় মির্জা ফখরুলসহ ৬৬ জনকে অব্যাহতি

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ : হাইকমিশনার
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ : হাইকমিশনার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে ১৫০০ শিক্ষার্থীর মাঝে স্কুল ড্রেস বিতরণ
লক্ষ্মীপুরে ১৫০০ শিক্ষার্থীর মাঝে স্কুল ড্রেস বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় দুলাল হত্যাকাণ্ডের রহস্য ফাঁস
কুমিল্লায় দুলাল হত্যাকাণ্ডের রহস্য ফাঁস

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইয়েমেনের বন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা
ইয়েমেনের বন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের ‘স্পষ্ট অবস্থান’ জানতে চান জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের ‘স্পষ্ট অবস্থান’ জানতে চান জেলেনস্কি

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারাগারগুলোতে চলছে মাসব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান-ডোপ টেস্ট
কারাগারগুলোতে চলছে মাসব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান-ডোপ টেস্ট

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে বিজ্ঞান মেলা শুরু
চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে বিজ্ঞান মেলা শুরু

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সিলেটে অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা সরাতে আল্টিমেটাম
সিলেটে অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা সরাতে আল্টিমেটাম

২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ভালুকায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা
ভালুকায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বোয়ালমারীতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা
বোয়ালমারীতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মী গ্রেফতার
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মী গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

লালমনিরহাটে আবারও তিস্তার পানি বৃদ্ধির শঙ্কা
লালমনিরহাটে আবারও তিস্তার পানি বৃদ্ধির শঙ্কা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সুনামগঞ্জ সীমান্তে ১২ ভারতীয় গরু আটক
সুনামগঞ্জ সীমান্তে ১২ ভারতীয় গরু আটক

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কিছু আসনের লোভে জাতীয় স্বার্থের বাইরে গিয়ে কেউ পিআর চাইছে: সালাহউদ্দিন
কিছু আসনের লোভে জাতীয় স্বার্থের বাইরে গিয়ে কেউ পিআর চাইছে: সালাহউদ্দিন

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান: পরিসংখ্যানে কে এগিয়ে?
বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান: পরিসংখ্যানে কে এগিয়ে?

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর
পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অস্থায়ী প্রশাসক বসছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকে
অস্থায়ী প্রশাসক বসছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকে

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়া-বেলারুশের সামরিক মহড়ায় হঠাৎ হাজির মার্কিন কর্মকর্তারা
রাশিয়া-বেলারুশের সামরিক মহড়ায় হঠাৎ হাজির মার্কিন কর্মকর্তারা

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনবিআরে ১৮২ জনের দপ্তর বদল, বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্ত ২
এনবিআরে ১৮২ জনের দপ্তর বদল, বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্ত ২

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েল আর কোনো হামলা চালাবে না কাতারে : ট্রাম্প
ইসরায়েল আর কোনো হামলা চালাবে না কাতারে : ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারাদেশে টানা বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের
সারাদেশে টানা বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আফ্রিদি-জয় শাহর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল
আফ্রিদি-জয় শাহর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানাল বাংলাদেশ
কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানাল বাংলাদেশ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাঝ আকাশে অসুস্থ যাত্রীকে বাঁচালেন রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মাঝ আকাশে অসুস্থ যাত্রীকে বাঁচালেন রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আম্বানিপুত্রের চিড়িয়াখানায় অবৈধ প্রাণী-বাণিজ্য, অভিযোগ ভিত্তিহীন
আম্বানিপুত্রের চিড়িয়াখানায় অবৈধ প্রাণী-বাণিজ্য, অভিযোগ ভিত্তিহীন

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুপার ফোরে যেতে বাংলাদেশের সামনে যে সমীকরণ
সুপার ফোরে যেতে বাংলাদেশের সামনে যে সমীকরণ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ সেপ্টেম্বর)

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা
লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, বসছে প্রশাসক
পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, বসছে প্রশাসক

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ফের ভেনেজুয়েলার কথিত ‘মাদকবাহী’ নৌযানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩
ফের ভেনেজুয়েলার কথিত ‘মাদকবাহী’ নৌযানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিন ট্রিলিয়ন ডলারের ক্লাবে অ্যালফাবেট
তিন ট্রিলিয়ন ডলারের ক্লাবে অ্যালফাবেট

২০ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

চীনে আইফোন ১৭ উন্মাদনা, দাম নিয়ে কেউ ভাবছে না
চীনে আইফোন ১৭ উন্মাদনা, দাম নিয়ে কেউ ভাবছে না

৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‘ভাঙ্গায় আন্দোলনে ফ্যাসিস্টরা ঢুকে সহিংসতা চালিয়েছে’
‘ভাঙ্গায় আন্দোলনে ফ্যাসিস্টরা ঢুকে সহিংসতা চালিয়েছে’

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এলডিসি থেকে উত্তরণ ৩ বছর পিছিয়ে দিতে চায় সরকার : বাণিজ্য সচিব
এলডিসি থেকে উত্তরণ ৩ বছর পিছিয়ে দিতে চায় সরকার : বাণিজ্য সচিব

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে সবাই সমান অধিকার পাবে : প্রধান উপদেষ্টা
নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে সবাই সমান অধিকার পাবে : প্রধান উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জে ৬ কারখানার বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
নারায়ণগঞ্জে ৬ কারখানার বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিসিএস পরীক্ষার জন্য কর্মসূচির সময় পরিবর্তন করল জামায়াত
বিসিএস পরীক্ষার জন্য কর্মসূচির সময় পরিবর্তন করল জামায়াত

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দশ বছর ধরে ছাদে পাখিদের আপ্যায়ন
দশ বছর ধরে ছাদে পাখিদের আপ্যায়ন

১০ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি মানবিকভাবে দেখা উচিত
ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি মানবিকভাবে দেখা উচিত

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘আমার নাম স্বস্তিকা, আমি বুড়িমা নই’
‘আমার নাম স্বস্তিকা, আমি বুড়িমা নই’

১২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ৬
আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ৬

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি গণনার জন্য লিখিত আবেদন উমামার
ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি গণনার জন্য লিখিত আবেদন উমামার

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রিন্ট সর্বাধিক
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

মৌসুমি বাধা মানছে না আম
মৌসুমি বাধা মানছে না আম

পেছনের পৃষ্ঠা

স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়
স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়

পেছনের পৃষ্ঠা

লিটনদের সামনে আফগান বাধা
লিটনদের সামনে আফগান বাধা

মাঠে ময়দানে

ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক
ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেখানে ব্যতিক্রম রামপাল
অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেখানে ব্যতিক্রম রামপাল

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী
বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী

নগর জীবন

সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ
সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ

শিল্প বাণিজ্য

রশিদপুরের পুরোনো কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস সঞ্চালন শুরু
রশিদপুরের পুরোনো কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস সঞ্চালন শুরু

নগর জীবন

ইয়াবার হটস্পট নাইক্ষ্যংছড়ি
ইয়াবার হটস্পট নাইক্ষ্যংছড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজা খাঁর বিলে কৃষিবিপ্লব
রাজা খাঁর বিলে কৃষিবিপ্লব

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির একাধিক প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক
বিএনপির একাধিক প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক

নগর জীবন

‘ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ!’
‘ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ!’

শোবিজ

দেশে গমের আবাদ সর্বনিম্ন পর্যায়ে
দেশে গমের আবাদ সর্বনিম্ন পর্যায়ে

পেছনের পৃষ্ঠা

সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা
সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভেঙে পড়েছেন গাজী আবদুল হাকিম
ভেঙে পড়েছেন গাজী আবদুল হাকিম

শোবিজ

একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে
একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে

নগর জীবন

গ্রাহকের আস্থা ধরে রেখেছে এবি ব্যাংক
গ্রাহকের আস্থা ধরে রেখেছে এবি ব্যাংক

শিল্প বাণিজ্য

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা, বন্যার শঙ্কা
বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা, বন্যার শঙ্কা

পেছনের পৃষ্ঠা

আরাকান আর্মির কাছে বন্দি ১০৪ জেলে
আরাকান আর্মির কাছে বন্দি ১০৪ জেলে

পেছনের পৃষ্ঠা

সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের অপ্রাপ্তি
সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের অপ্রাপ্তি

শোবিজ

অর্থনীতিতে নারীর অদৃশ্য ঘাম
অর্থনীতিতে নারীর অদৃশ্য ঘাম

পেছনের পৃষ্ঠা

ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে

সম্পাদকীয়

ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি
ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি

প্রথম পৃষ্ঠা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ

প্রথম পৃষ্ঠা

সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস
সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস

প্রথম পৃষ্ঠা

১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর
১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর

নগর জীবন

সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু
সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু

প্রথম পৃষ্ঠা

নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে
নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে

দেশগ্রাম