শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১২ মার্চ, ২০২২

গোলটেবিল বৈঠক

করোনাকালে দলিত ও আদিবাসী নারীর প্রতি সহিংসতা

Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
করোনাকালে দলিত ও আদিবাসী নারীর প্রতি সহিংসতা

করোনা মহামারিকালে দলিত ও সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে নারীর প্রতি সহিংসতা, মেয়েদের স্কুল থেকে ঝরে পড়া, বাল্যবিয়ে ও যৌন নির্যাতন ভয়াবহ আকারে বেড়েছে। বেসরকারি সংস্থা হেকস ইপারের এক গবেষণায় এমন চিত্র উঠে এসেছে।  এ নিয়ে গত ৮ মার্চ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে নারীর প্রতি বৈষম্য ও সহিংসতা প্রতিরোধে অভিমত তুলে ধরেন বক্তারা। হেকস ইপারের সহযোগিতায় বৈঠকটির আয়োজন করে ক্রিয়েটিভ মিডিয়া ও বাংলাদেশ প্রতিদিন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন  হেকস ইপারের প্রকল্প (পিদিম) ব্যবস্থাপক ইসরাত জাহান বিজু।  আলোচনার চুম্বকাংশ তুলে ধরেছেন- শামীম আহমেদআকতারুজ্জামান। ছবি তুলেছেন- রোহেত রাজীব

 

নারী-পুরুষ সমান অধিকার ভোগ করলে সবাই উপকৃত হবে

ডা. দীপু মনি

শিক্ষামন্ত্রী

যে নারীকে দেবী বলে পূজা করা হয়, তাকে কেন প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হয় না? একজন সন্তানের কাছে মায়ের কথা শিরোধার্য। কিন্তু একই নারী তার স্বামী বা ভাইয়ের কাছে প্রাপ্য সম্মানটুকু পান না। যে কোনো পর্যায়েই হোক একজন নারী কিন্তু নির্যাতিত হচ্ছে। হয়তো নির্যাতনের স্তরটি আলাদা আলাদা। একজন নারী একজন পুরুষের পরিপূরক। নারী-পুরুষ সমান অধিকার ভোগ করলে সমাজ ও বিশ্বের সবাই উপকৃত হবে। নারীদের সমস্যা বা শত্রু পুরুষ নয়। শত্রু ও সমস্যা হচ্ছে পুরুষতান্ত্রিকতা। এ সমস্যা দূর করতে হবে। সবাই একসঙ্গে কাজ করলে এ সমস্যা দূর করা যাবে। নারীরা পৃথিবীর সব থেকে কঠিন ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকেন। সেটি হচ্ছে সন্তান গর্ভে ধারণ, জন্মদান ও লালন-পালন করা। প্রকৃতি বলে দিয়েছে নারীর প্রতি ভরসা করা যায়। ২০০৯ সালে যখন আমাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তখন অনেকেই যেন ইতস্ততবোধ করেছিল। মন্ত্রীর চেয়ারটিতে একজন নারীকে অনেকে ভালোভাবে মেনে নিতে চাননি। একজন নারী মন্ত্রীকে সব সময় তার যোগ্যতা প্রমাণ করতে হয় এবং লড়াই করতে হয়। অথচ পুরুষের বেলায় তার যোগ্যতা নিয়ে কেউ কথা বলেন না। নারীরা যেদিন পুরুষের মতো অধিকার নিয়ে বাঁচবে সেদিন একটি সুন্দর পৃথিবী তৈরি হবে।

 

দলিত অনগ্রসরদের বিষয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে

অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার

সংসদ সদস্য

দেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু অনেক পরিবারেই নারীরা পরাধীন হিসেবেই রয়ে গেছে। তবে এর ব্যতিক্রমও কিছু রয়েছে। এসডিজি গোল অর্জন করতে চাইলে নারী-পুরুষ সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে এগোতে হবে। কাউকে ফেলে রেখে এই অর্জন সম্ভব নয়। দলিত ও অনগ্রসরদের নিয়ে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানাই।

সর্বত্রই এখন নারীরা নিজ যোগ্যতায় তাদের অবস্থান করে নিচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও নারীরা দায়িত্ব পালন করছে।

দলিত বা অনগ্রসর গোষ্ঠীর একটি মেয়ে যখন শিক্ষিত হচ্ছে, যখন চাকরির জন্য মনোনিবেশ করছে, তখন ওই গোত্রে যারা মাতব্বর রয়েছে তারা কিন্তু চায় না এই অনগ্রসরদের কেউ উচ্চশিক্ষিত হোক। কারণ এরা উচ্চশিক্ষিত হলে এই মাতব্বরদের নানা চাতুরতা, চালবাজিগুলো সম্পর্কে জেনে যাবে। নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য অন্যদের তারা বড় অবস্থানে দেখতে চায় না। দলিত বা অনগ্রসর গোষ্ঠীর কেউ যখন চাকরির জন্য চেষ্টা করে তখনো অনেক বাধা পেরোতে হয় তাদের।

 

আইন বাস্তবায়নে আরও মনোযোগী হতে হবে

অ্যাডভোকেট তারানা হালিম

সাবেক প্রতিমন্ত্রী

নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে বাংলাদেশে যৌতুক নিরোধ আইন, বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন, শিশু নির্যাতন নিরোধ আইন, ডমেস্টিক ভায়োলেন্স প্রিভেনশন অ্যান্ড প্রটেকশন অ্যাক্টসহ অনেক আইন আছে। দরকার শুধু আইন বাস্তবায়নে আরও মনোযোগী হওয়া। আমাদের সংবিধানে বারবার সমতার কথা বলা হয়েছে। সেখানে পাহাড়ি বা দলিত বলে কাউকে বাদ দেওয়া হয়নি। আমাদের তাদের অধিকার, আইনগত সুরক্ষার জায়গাগুলো সম্পর্কে তথ্য পৌঁছে দিতে হবে। কীভাবে আইনি সহায়তা পাবেন, কার কাছে যাবেন সেই তথ্য তাদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। কভিডকালীন নারীর প্রতি সহিংসতা সারা বিশ্বে বেড়েছে। হয়তো পুরুষ চাকরি হারিয়েছেন, ঋণ শোধ করতে পারছেন না, সেই ক্ষোভে ঘরে গিয়ে নারী নির্যাতন করেছেন। যুদ্ধবিগ্রহ বাদ দিয়ে প্রতিটি রাষ্ট্রের উচিত এই বিষয়গুলো সমাধানে মনোযোগী হওয়া। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সরকার ৬০টির বেশি ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার করেছে। এটা পাহাড়ি এলাকায় প্রয়োজন অনুপাতে আছে কি না সেটা দেখা দরকার।

 

এখনো প্রান্তিক নারীরা দুই বেলা খান না

ডোরা চৌধুরী

কান্ট্রি ডিরেক্টর, হেকস ইপার বাংলাদেশ

হেকস ইপার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রান্তিক মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের সমস্যাগুলো তুলে আনার চেষ্টা করছে। আমি ভারত থেকে এসেছি। বাংলাদেশের অনেক জায়গায় গিয়ে আমি দলিত ও আদিবাসী নারীদের অবস্থা দেখে হতবাক হয়েছি। বাংলাদেশ উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক এগিয়েছে, কিন্তু ওইসব স্থানে এখনো নারীরা দুই বেলা খায় না। এটা অবিশ্বাস্য। এখানে অনেক নারীই আছেন যারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে নিজেদের প্রমাণ করেছেন। সবাই আমাদের কাজে সহযোগিতা করতে পারেন। গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ, যেসব জায়গায় আমাদের কাজ হয়, আপনারা আসুন। আমরাও গণমাধ্যমকর্মীদের ফেলোশিপের ব্যবস্থা করব।

 

নারীর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে সমস্যা তৈরি হচ্ছে

ফরিদা ইয়াসমিন

সভাপতি, জাতীয় প্রেস ক্লাব

যেসব নারী সফল হয়েছেন, সামনে উঠে এসেছেন তারা প্রত্যেকে সংগ্রাম করে উঠে এসেছেন। প্রত্যেক নারীর ভিতরে একটি শক্তি রয়েছে। সেটি বুঝতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। নারীর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ঘরে ঘরে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। নেতিবাচক এ দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে সবার। নারী এগিয়ে গেলে পরিবার ও সমাজ এগিয়ে যাবে। নারীদের নিয়ে সবার মনোজগতের পরিবর্তন আনা বেশি জরুরি। করোনাকালে নারীর প্রতি নির্যাতন বেশি হয়েছে। দলিত ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে যত কথা বলতে দেওয়া হবে ততই তাদের সমস্যাগুলো সামনে চলে আসবে। প্রান্তিকদের নিয়ে এমন আয়োজনে আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই।  কিন্তু গণমাধ্যমে প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠীকে নিয়ে খুব বেশি লেখালেখি হয় না। এসব সমস্যা নিয়ে ফেলোশিপ প্রদান করা গেলে মূলধারার গণমাধ্যমে দলিত ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সমস্যাগুলো উঠে আসবে।

 

প্রতিকূলতা পার হয়েই নারীরা সফল হন

কামাল উদ্দিন আহমেদ

সদস্য, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। কিন্তু বাস্তব চিত্রটি কী সেটিও দেখতে হবে। বাস্তব চিত্রের অভিজ্ঞতা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। যেসব নারী সফল হন তারা অনেক প্রতিকূলতা পার হয়েই সফল হন। আমাদের মনোজগতে এটি আনতে হবে। পৃথিবীতে নারীদের মধ্যে যারা এগিয়ে গেছেন সবার এগিয়ে যাওয়ার গল্প রয়েছে। বৈষম্য, বঞ্চনা আর অসমতার গল্পও আছে। আমরা একেক নারীর সঙ্গে একেক ধরনের আচরণ করি। দলিত নারীরা আরও পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠী। তাদের এগিয়ে যাওয়ার অনেক অন্তরায় রয়েছে। তারা কেউ থানায় মামলা করতে গেলে নানান জটিলতা তৈরি করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে তাদের কথাগুলো উঠে আসে না। সংস্কৃতি, দেশের কাঠামো তাদের এই বিভাজন করে দিয়েছে। এটি নিরসনে করণীয় কী তা নির্ধারণ করতে হবে। শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না। সবাইকে সোচ্চার হয়েই কাজ করতে হবে।

 

নারীদের সফলতার গল্প সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে

সৈয়দ বোরহান কবীর

চেয়ারম্যান, ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেড

একটি সমাজ যখন এগিয়ে যায় তখন সমাজে বৈষম্য বাড়ে। আর বৈষম্য যখন বাড়ে তখন সবচেয়ে বেশি শিকার হন নারীরা। সমাজের উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত নারীরা নির্যাতিত হন। এগিয়ে যাওয়া সব নারীর একটি গল্প রয়েছে। সে গল্প হার না মানার গল্প। আমরা যদি নারীর মুক্তি চাই, নারীর সফলতা চাই তবে নারীর সফলতার গল্পগুলোকে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। এ ছাড়া প্রত্যেকের জীবনে অসম্ভবকে সম্ভব করার একটা প্রেরণা ছিল, সে গল্পগুলোকে আমাদের একত্রিত করতে হবে। শুধু হতাশার গল্প শোনালে চলবে না। কতগুলো শিশু বাল্যবিয়ের শিকার হলো সেটি প্রচার না করে কতগুলো শিশুর বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়েছে সে গল্পগুলো আমাদের প্রচার করতে হবে। সব সময় ইতিবাচক গল্পগুলো সামনে নিয়ে এলে নারীরা আরও প্রেরণা পাবেন, নারী নির্যাতনও বন্ধ হবে। এভাবেই আমরা ভবিষ্যতে বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে পারব।

 

সবার আগে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার

সৈয়দ ইসতিয়াক রেজা

এডিটর ইন চিফ, জিটিভি

বৈষম্য বিলোপ আইনটি দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন প্রয়োজন। তাহলে নারী নির্যাতনকেন্দ্রিক আইনগুলো বাস্তবায়নেও পরিবর্তন আসবে। গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাকালে পারিবারিক ও যৌন সহিংসতা বেড়েছে। কিন্তু কী কারণে এই সহিংসতার ঘটনাগুলো ঘটছে সেটা বিস্তারিত তুলে আনা দরকার। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, করোনার দুই বছরে সারা বিশ্বেই সহিংসতা বেড়েছে। তার মধ্যে পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা সবচেয়ে বেশি। আমাদের এখানে সাংঘাতিক একটা আইনি সমস্যা রয়ে গেছে, যেখানে পুলিশেরও পরোক্ষ মদদ আছে। নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা ঘটলে তখন তার পোশাক, চলাফেরা, জাতপাত, শ্রেণি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এগুলোই যেন অপরাধ! সবার আগে এই দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার। গণমাধ্যমেরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। গণমাধ্যমে আমরা বড় বড় অপরাধের জায়গাগুলোতে দৃষ্টি দিলেও প্রান্তিক মানুষের সমস্যাগুলোয় মনোযোগ দিচ্ছি না। এদিকেও নজর দেওয়া দরকার।

 

মেয়েদের স্কুলে ফিরিয়ে আনতে বর্ধিত কর্মসূচি প্রয়োজন

সাইবুন নেসা

ম্যানেজার, অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড রাইট বেইজড ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, হেকস ইপার বাংলাদেশ

বিশ্বব্যাপী আমরা নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ করছি। কিন্তু নারীরা এখন পর্যন্ত ঘরে-বাইরে, পরিবারে সর্বত্র কোনো না কোনোভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন।

করোনার এ দুই বছরে সমতলের আদিবাসী বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে অনেক সহিংস ঘটনা দেখেছি। তখন আমরা আমাদের কর্ম-এলাকায় একটা গবেষণার কাজ হাতে নেই। তাতে বাল্যবিয়ে, নারীর প্রতি সহিংসতা, স্কুল থেকে ঝরে পড়াসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে। করোনাকালে মেয়েশিশুর স্কুল থেকে ঝরে পড়া ও বাল্যবিয়ের ঝুঁকিটা অনেক বেড়ে গেছে। করোনা-পরবর্তী পিছিয়ে পড়া এই জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে মেয়েদের বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করতে, তাদের বিদ্যালয়মুখী করতে, বর্ধিত আকারে শিক্ষা উপবৃত্তি ও স্কুল ফিডিং চালু করার জন্য শিক্ষামন্ত্রীকে অনুরোধ করছি।

 

পারিবারিক বন্ধন হালকা হওয়ায় কিশোরীরা বেশি ভুল করছে

হামিদা পারভিন

ডিসি, উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন, ডিএমপি

করোনাকালীন আমরা অনেক রকম অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছি। অন্য সময়ের তুলনায় কভিড সংক্রমণের সময়ে নারীকেন্দ্রিক বেশি মামলা হয়েছে। অনেকে মামলা করে একপর্যায়ে এসে হাল ছেড়ে দিয়েছেন। অনেক কিশোরী এ সময়ে নিজেদের ঘর ছেড়েছে। তারা স্বপ্নের জগৎ মনে করে বেরিয়ে গেছে। তারা যে পরিবেশে বেড়ে উঠেছে তারা সে পরিবেশে আর থাকতে চায়নি। মহামারির সময়ে শিশু নিখোঁজের ঘটনাও ছিল বেশি। দারিদ্র্য নাকি অন্য কোনো কারণে এ সমস্যা তৈরি হয়েছিল তা ভেবে দেখতে হবে। আমাদের পারিবারিক বন্ধনগুলোও দিন দিন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। বন্ধন হালকা হওয়ার কারণেই কিশোরী মেয়েরা পরিবারে বেশি ভুল করছে। সুশিক্ষার অভাবে কিশোররা দিন দিন অপরাধে জড়াচ্ছে। শিশু-কিশোরদের মানসিক উন্নয়নে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান করতে হবে।

 

আমার এলাকায় কোনো বাল্যবিয়ে হতে দেব না

মুক্তি রানী পাহান

ইউপি সদস্য, চেরাগপুর, মহাদেবপুর, নওগাঁ

বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখেছি আমরা কত পিছিয়ে আছি। কোনো অফিসে গেলে কেউ মূল্য দিত না। আমাদের এলাকায় বাল্যবিয়ে, নারী নির্যাতন, মাদকের সহজলভ্যতাসহ অনেক সমস্যা। তখন আমি ভাবলাম, আমার যদি ক্ষমতা থাকত তাহলে আমি এলাকার সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারতাম। আমি দুবার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয়বার বিজয়ী হই। অনেকে বলে, নারী হয়ে আমি এলাকার কোনো সমস্যা সমাধান করতে পারব না। নিচু জাত বলেও আমাদের হেয় করার চেষ্টা করত অনেকে। কিন্তু আমি থেমে থাকিনি। ভোটের আগে সবাইকে এটি বোঝাতে সক্ষম হই যে, বিজয়ী হলে সবার জন্য কাজ করতে পারব। ভোটাররা আমার কথা গ্রহণ করলে আমি বিজয়ী হই। আমি এ প্রতিজ্ঞা করতে চাই যে, আমার এলাকায় কোনো বাল্যবিয়ে হতে দেব না। আমরা নারীরা যেন সমাজে নির্যাতিত না হই, অবহেলিত না হই, আমরা যেন স্বাধীনভাবে আমাদের মতামত দিতে পারি সেটি নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে।

 

পরিকল্পনাগুলো পূর্ণাঙ্গ হলে নারী নির্যাতন রোধ সম্ভব

জিনাত আরা হক

নির্বাহী পরিচালক, আমরা পারি

আমাদের পরিবারগুলো মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দায়মুক্ত হওয়ার কথা বলে। মেয়ে কি বোঝা? নারীমুক্তির জন্য সবার আগে এ ধরনের মনস্তত্ত্ব পরিবর্তন দরকার। সমতলের অনেক আদিবাসী নারীর শিক্ষা আমাদের থেকেও ভালো। তবে শিক্ষিত হয়েও তারা চাকরিতে আসছেন না। ভয় কাজ করে। তাদের মুখ থেকে তাদের সমস্যা শুনতে হবে। দলিতের সমস্যা থেকে দলিত নারীর সমস্যা ভিন্ন। সমস্যাগুলো পৃথকভাবে চিহ্নিত করে সমাধান করতে হবে। পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা থাকলেই সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যখন কভিড পরিস্থিতি নিয়ে পরিকল্পনা দিয়েছে, সেখানে কভিডকালীন নির্যাতিত নারীরা কোথায় যাবেন সে বিষয়টি ছিল না। অনেক নারী আমাদের ফোন দিয়ে নির্যাতনের কথা জানিয়েছেন। আমরা ৯৯৯-এ ফোন দিয়েছি। সেখান থেকে বলেছে, ‘আপা এখন না, এখন লকডাউন নিয়ে ব্যস্ত।’ থানায় গেলে পুলিশ বলেছে, পরে আসেন। ইউনিয়ন পরিষদে গেলে বলেছে, তারা ত্রাণ নিয়ে ব্যস্ত।

 

সহিংসতা কমাতে মনের যত্নে গুরুত্ব দিতে হবে

ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ

মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট

চিকিৎসাবিজ্ঞানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাময়িকী দি ল্যানচেট-এর সম্পাদক রিচার্ড হরটনের মতে, এই কভিড প্যান্ডামিক একটা সময় সিন্ডেমিকে পরিণত হবে। অর্থাৎ প্যান্ডামিকের প্রভাব আমরা পাব ১০, ২০, ৩০ বা ১০০ বছর পরও। আজ যে মানুষ বিষণ্নতায় ভুগছে, যে শিশু বিষণ্নতায় ভুগছে, যে পরিবারে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, সেই পরিবার ৩০ বছর পরও এর প্রভাব ভোগ করবে। মানসিক অসুস্থতা সহিংসতার জন্ম দেয়। আমাদের এখন মনের যত্নে গুরুত্ব দিতে হবে। এ জন্য সহিংসতাকেন্দ্রিক যে কোনো গবেষণার সুপারিশে মনের যত্নের বিষয়টা রাখা উচিত। আমরা প্রতিদিন একে অপরকে ধন্যবাদ দিই। সবাইকে বলব, ভালো কাজের জন্য প্রতিদিন নিজে নিজেকে ধন্যবাদ দেন। তাহলে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে। মনের যত্নের একটা কাজ হবে।

 

পরিচয়ের কারণে নিগ্রহ গ্রহণযোগ্য নয়

. দেবাশীষ কুমার কুণ্ডু

সহযোগী অধ্যাপক, সমাজতত্ত্ব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

পরিচয়ের কারণে কোনো মানুষ নির্যাতিত হবে, নিগৃহীত হবে এটা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। বাংলাদেশে দলিতের সংখ্যা এত কম যে, আমাদের মূলধারার গণমাধ্যম তাদের খুঁজে পায় না। বিভিন্ন সেমিনারে তারা তাদের কষ্টের কথা বলেন। তখন আমাদের মনে হয় সমস্যাটা ঠিক হওয়া দরকার। মজার ব্যাপার হলো, নারীরা একই সঙ্গে পিতৃতন্ত্রের শিকার, আবার নিজেরাই পিতৃতন্ত্র লালন করেন। যে কারণে স্ত্রীর সঙ্গে আমার মনোমালিন্য হলে আমার মা নারী হয়েও আমার পক্ষ নেন। সরকারেরও অঙ্গীকার আছে নারী ও শিশু নির্যাতনমুক্ত একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করার। এ জন্য ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, শেল্টার হোম করা হয়েছে। কিন্তু মাত্র শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ জানেন, এমন জায়গা আছে। সাম্যের সমাজ গঠনে সবার সমান কর্তব্য আছে।

 

অনলাইন ক্লাসে চরমভাবে হোঁচট খেয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা

ইলিরা দেওয়ান

মানবাধিকার কর্মী

স্বল্প আয়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা করোনাকালে ঢাকা ছেড়েছে। তাদের ওপর নির্যাতনও বেড়েছে করোনাকালে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠীর ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাকালীন অনলাইন ক্লাসে চরমভাবে হোঁচট খেয়েছে। তাদের ৭৫ শতাংশই এই ক্লাসে অংশ নিতে পারেনি। ইন্টারনেট না থাকা, বিদ্যুৎ না থাকাসহ আরও অনেক সমস্যা ছিল তাদের। আদিবাসী শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের ভাষায় বই লেখা হচ্ছে। কিন্তু শিক্ষকরা এই বই পড়াতে পারছেন না। ফলে বইগুলোর ব্যবহার হচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে এই বই বস্তাবন্দি থাকছে।  এই শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও পুস্তক প্রণয়নের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় দরকার। একই সঙ্গে প্রান্তিক এ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সরকারের নির্দেশনা ও কঠোর মনিটরিং প্রয়োজন।

 

বর্ণবৈষম্য বিলোপ আইনটি দ্রুত দরকার

শিপন রবিদাস

সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ রবিদাস ফোরাম

সমতলের আদিবাসী, দলিত নিয়ে বাংলাদেশের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর সংখ্যা গড়ে ১ কোটি। এ মানুষগুলো শিক্ষা থেকে শুরু করে দেশের উন্নয়ন ধারায় তাল মেলাতে পারছে না। আমরা মূলধারার সঙ্গে মিশতে চাইলেও পারছি না অস্পৃশ্যতার কারণে। এখনো উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে অস্পৃশ্যতার চর্চা হচ্ছে। হোটেলে দলিত শ্রেণিকে পরোটা দেওয়া হয় দূর থেকে।  জয়পুরহাট জজ কোর্টের উকিল অ্যাডভোকেট বাবুল রবিদাস কিছু সাঁওতাল, রবিদাস সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে বার সমিতির ক্যান্টিনে খাবার পর সব প্লেট-গ্লাস বস্তায় ভরে তাকে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল-মূল্য পরিশোধ করে এগুলো নিয়ে যেতে হবে। ২০১৪ সাল থেকে বর্ণবৈষম্য বিলোপ আইনটি দাবি করছি। আইনটি পাস হলে বড় একটা অভিশাপ থেকে আমরা মুক্তি পাব।

 

করোনাকালে স্কুল ছেড়েছে ১৩ ভাগ মেয়েশিশু

রায়হান এইচ সারওয়ার

প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, হেলিয়াস কনসালট্যান্সি

বাংলাদেশে প্রায় ৬৫ লাখ দলিত ও ১৫ লাখ ৮০ হাজার সমতলের আদিবাসী রয়েছে। এ জনগোষ্ঠীর মধ্যে করোনাকালে নারীর প্রতি সহিংসতা, মেয়েদের স্কুল থেকে ঝরে পড়া, বাল্যবিয়ে, অবৈতনিক গৃহকর্ম, যৌন নির্যাতন ভয়াবহ আকারে বেড়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, এই সময়ে ১৩ ভাগ মেয়ে শিক্ষার্থী স্কুল ছেড়েছে। ৭৫ ভাগ শিক্ষার্থীর অনলাইন ক্লাসে যোগ দেওয়ারই সুযোগ ছিল না। বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে ১১ ভাগ মেয়ে। পারিবারিক নির্যাতন বেড়েছে ২০ ভাগ। অবৈতনিক গৃহকর্ম বেড়েছে ৬৬ ভাগ। পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ৩২ ভাগ ভুক্তভোগী আইনি সহায়তা পেতে সমস্যায় পড়েছেন। যৌন হয়রানির ঘটনা বেড়েছে ৬৭ ভাগ। অনিচ্ছা সত্ত্বেও স্বামীর কারণে অনাকাক্সিক্ষত গর্ভধারণের শিকার হয়েছেন ৪৬ ভাগ নারী।

এই বিভাগের আরও খবর
স্ক্যাল্পেও চাই সানস্ক্রিন
স্ক্যাল্পেও চাই সানস্ক্রিন
বয়স ৪০, এখনো ব্রণের সমস্যা
বয়স ৪০, এখনো ব্রণের সমস্যা
সোনিয়া রহমান রন্ধনশিল্পী
সোনিয়া রহমান রন্ধনশিল্পী
৩৩০০ বছর পরেও নেফারতিতি এখনো বেশ অনুপ্রেরণীয়
৩৩০০ বছর পরেও নেফারতিতি এখনো বেশ অনুপ্রেরণীয়
মুখমণ্ডলের লোম অপসারণ : কী পরামর্শ দেন ডার্মাটোলজিস্টরা
মুখমণ্ডলের লোম অপসারণ : কী পরামর্শ দেন ডার্মাটোলজিস্টরা
কখন থেকে সানগ্লাস
কখন থেকে সানগ্লাস
জিন্স কাহন
জিন্স কাহন
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানীদের গল্প
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানীদের গল্প
এআই বিপ্লব : আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ
এআই বিপ্লব : আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ
ইরানের সেকাল-একাল
ইরানের সেকাল-একাল
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানসাধক
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানসাধক
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
সর্বশেষ খবর
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি

১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা
শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিশুদের মনোজগতে ভার্চুয়াল থাবা
শিশুদের মনোজগতে ভার্চুয়াল থাবা

১ ঘণ্টা আগে | অন্যান্য

শেষ হলো বিয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম
শেষ হলো বিয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন বজায় রাখার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার
উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন বজায় রাখার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

চোটে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস
চোটে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী
আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অক্টোবরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ
অক্টোবরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চেলসি ছেড়ে আর্সেনালে তারকা ফরোয়ার্ড
চেলসি ছেড়ে আর্সেনালে তারকা ফরোয়ার্ড

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে
নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭
সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘বিএনপি অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে’
‘বিএনপি অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে’

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের
১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জয়পুরহাটে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
জয়পুরহাটে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১
সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রংপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২
রংপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ
জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিলেটে বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ
সিলেটে বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ

৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মৌন মিছিল
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রংপুর মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল
রংপুর মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নীলফামারীতে বিএনপির মৌন মিছিল
নীলফামারীতে বিএনপির মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজবাড়ীতে শহীদ গণির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল
রাজবাড়ীতে শহীদ গণির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : প্রিন্স
আবার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : প্রিন্স

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা
উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কুলাউড়া সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে
কুলাউড়া সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতকড়াসহ আসামির পলায়ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতকড়াসহ আসামির পলায়ন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে
বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে

১৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে
কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান
যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা
ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস
সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে
রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক
স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ
হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম
শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া
ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান
সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু
বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা
ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা
ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা

১৮ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের
বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম
সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল
গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র
গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ
মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুলাই)

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যাংকিং খাত উচ্চঝুঁকিতে
ব্যাংকিং খাত উচ্চঝুঁকিতে

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০
গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী
চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন
চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বড় জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু বাংলাদেশের যুবাদের
বড় জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু বাংলাদেশের যুবাদের

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এমবাপ্পের বকশিশ পেয়ে বিপদে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা
এমবাপ্পের বকশিশ পেয়ে বিপদে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
রোগী নেই দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতালে
রোগী নেই দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতালে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান
বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান

প্রথম পৃষ্ঠা

গোপালগঞ্জজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক
গোপালগঞ্জজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক
কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক

পেছনের পৃষ্ঠা

কুমিল্লায় এক খন্ড হংকং নগরীর গল্প!
কুমিল্লায় এক খন্ড হংকং নগরীর গল্প!

শনিবারের সকাল

অপরাজিত থাকার প্রত্যাশা আফঈদাদের
অপরাজিত থাকার প্রত্যাশা আফঈদাদের

মাঠে ময়দানে

আজকের ভগ্যচক্র
আজকের ভগ্যচক্র

আজকের রাশি

এপিএসের পোষা বিড়াল যখন মন্ত্রী
এপিএসের পোষা বিড়াল যখন মন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

বড় ধাক্কার মুখে রাজস্ব খাত
বড় ধাক্কার মুখে রাজস্ব খাত

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই গণ অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন
জুলাই গণ অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

আমাদের কালের মিষ্টি নায়িকা কবরী
আমাদের কালের মিষ্টি নায়িকা কবরী

শোবিজ

নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন না
নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন না

মাঠে ময়দানে

জনগণের সম্মতি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে
জনগণের সম্মতি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভুটানে সাবিনা-ঋতুপর্ণার ডাবল হ্যাটট্রিক
ভুটানে সাবিনা-ঋতুপর্ণার ডাবল হ্যাটট্রিক

মাঠে ময়দানে

ব্যাটিংয়ে কাইলি মায়ার্স বোলিংয়ে খালেদ
ব্যাটিংয়ে কাইলি মায়ার্স বোলিংয়ে খালেদ

মাঠে ময়দানে

সবজি মুরগির দাম চড়া নাগালের বাইরে ইলিশ
সবজি মুরগির দাম চড়া নাগালের বাইরে ইলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

যুবাদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ
যুবাদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ

মাঠে ময়দানে

বন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ‘আগুনের পরশমণি’
বন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ‘আগুনের পরশমণি’

শোবিজ

পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে দেশ
পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল
গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংকঋণ যাচ্ছে সরকারি বন্ডে
ব্যাংকঋণ যাচ্ছে সরকারি বন্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

পাঁচ চলচ্চিত্রে আফজাল হোসেন
পাঁচ চলচ্চিত্রে আফজাল হোসেন

শোবিজ

নান্দনিক নওয়াববাড়ি মসজিদ
নান্দনিক নওয়াববাড়ি মসজিদ

শনিবারের সকাল

মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান টাইগাররা
মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

শান্তির নীড় মাটির ঘর
শান্তির নীড় মাটির ঘর

পেছনের পৃষ্ঠা

১৩ হাজারি ক্লাবে বাটলার
১৩ হাজারি ক্লাবে বাটলার

মাঠে ময়দানে

কক্সবাজারে অপহৃত তিন কিশোর উদ্ধার
কক্সবাজারে অপহৃত তিন কিশোর উদ্ধার

নগর জীবন

অবসর শেষে মৎস্য খামার
অবসর শেষে মৎস্য খামার

শনিবারের সকাল

আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী
আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনে করার কিছু নেই
হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনে করার কিছু নেই

প্রথম পৃষ্ঠা