শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১২ মার্চ, ২০২২

গোলটেবিল বৈঠক

করোনাকালে দলিত ও আদিবাসী নারীর প্রতি সহিংসতা

Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
করোনাকালে দলিত ও আদিবাসী নারীর প্রতি সহিংসতা

করোনা মহামারিকালে দলিত ও সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে নারীর প্রতি সহিংসতা, মেয়েদের স্কুল থেকে ঝরে পড়া, বাল্যবিয়ে ও যৌন নির্যাতন ভয়াবহ আকারে বেড়েছে। বেসরকারি সংস্থা হেকস ইপারের এক গবেষণায় এমন চিত্র উঠে এসেছে।  এ নিয়ে গত ৮ মার্চ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে নারীর প্রতি বৈষম্য ও সহিংসতা প্রতিরোধে অভিমত তুলে ধরেন বক্তারা। হেকস ইপারের সহযোগিতায় বৈঠকটির আয়োজন করে ক্রিয়েটিভ মিডিয়া ও বাংলাদেশ প্রতিদিন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন  হেকস ইপারের প্রকল্প (পিদিম) ব্যবস্থাপক ইসরাত জাহান বিজু।  আলোচনার চুম্বকাংশ তুলে ধরেছেন- শামীম আহমেদআকতারুজ্জামান। ছবি তুলেছেন- রোহেত রাজীব

 

নারী-পুরুষ সমান অধিকার ভোগ করলে সবাই উপকৃত হবে

ডা. দীপু মনি

শিক্ষামন্ত্রী

যে নারীকে দেবী বলে পূজা করা হয়, তাকে কেন প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হয় না? একজন সন্তানের কাছে মায়ের কথা শিরোধার্য। কিন্তু একই নারী তার স্বামী বা ভাইয়ের কাছে প্রাপ্য সম্মানটুকু পান না। যে কোনো পর্যায়েই হোক একজন নারী কিন্তু নির্যাতিত হচ্ছে। হয়তো নির্যাতনের স্তরটি আলাদা আলাদা। একজন নারী একজন পুরুষের পরিপূরক। নারী-পুরুষ সমান অধিকার ভোগ করলে সমাজ ও বিশ্বের সবাই উপকৃত হবে। নারীদের সমস্যা বা শত্রু পুরুষ নয়। শত্রু ও সমস্যা হচ্ছে পুরুষতান্ত্রিকতা। এ সমস্যা দূর করতে হবে। সবাই একসঙ্গে কাজ করলে এ সমস্যা দূর করা যাবে। নারীরা পৃথিবীর সব থেকে কঠিন ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকেন। সেটি হচ্ছে সন্তান গর্ভে ধারণ, জন্মদান ও লালন-পালন করা। প্রকৃতি বলে দিয়েছে নারীর প্রতি ভরসা করা যায়। ২০০৯ সালে যখন আমাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তখন অনেকেই যেন ইতস্ততবোধ করেছিল। মন্ত্রীর চেয়ারটিতে একজন নারীকে অনেকে ভালোভাবে মেনে নিতে চাননি। একজন নারী মন্ত্রীকে সব সময় তার যোগ্যতা প্রমাণ করতে হয় এবং লড়াই করতে হয়। অথচ পুরুষের বেলায় তার যোগ্যতা নিয়ে কেউ কথা বলেন না। নারীরা যেদিন পুরুষের মতো অধিকার নিয়ে বাঁচবে সেদিন একটি সুন্দর পৃথিবী তৈরি হবে।

 

দলিত অনগ্রসরদের বিষয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে

অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার

সংসদ সদস্য

দেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু অনেক পরিবারেই নারীরা পরাধীন হিসেবেই রয়ে গেছে। তবে এর ব্যতিক্রমও কিছু রয়েছে। এসডিজি গোল অর্জন করতে চাইলে নারী-পুরুষ সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে এগোতে হবে। কাউকে ফেলে রেখে এই অর্জন সম্ভব নয়। দলিত ও অনগ্রসরদের নিয়ে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানাই।

সর্বত্রই এখন নারীরা নিজ যোগ্যতায় তাদের অবস্থান করে নিচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও নারীরা দায়িত্ব পালন করছে।

দলিত বা অনগ্রসর গোষ্ঠীর একটি মেয়ে যখন শিক্ষিত হচ্ছে, যখন চাকরির জন্য মনোনিবেশ করছে, তখন ওই গোত্রে যারা মাতব্বর রয়েছে তারা কিন্তু চায় না এই অনগ্রসরদের কেউ উচ্চশিক্ষিত হোক। কারণ এরা উচ্চশিক্ষিত হলে এই মাতব্বরদের নানা চাতুরতা, চালবাজিগুলো সম্পর্কে জেনে যাবে। নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য অন্যদের তারা বড় অবস্থানে দেখতে চায় না। দলিত বা অনগ্রসর গোষ্ঠীর কেউ যখন চাকরির জন্য চেষ্টা করে তখনো অনেক বাধা পেরোতে হয় তাদের।

 

আইন বাস্তবায়নে আরও মনোযোগী হতে হবে

অ্যাডভোকেট তারানা হালিম

সাবেক প্রতিমন্ত্রী

নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে বাংলাদেশে যৌতুক নিরোধ আইন, বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন, শিশু নির্যাতন নিরোধ আইন, ডমেস্টিক ভায়োলেন্স প্রিভেনশন অ্যান্ড প্রটেকশন অ্যাক্টসহ অনেক আইন আছে। দরকার শুধু আইন বাস্তবায়নে আরও মনোযোগী হওয়া। আমাদের সংবিধানে বারবার সমতার কথা বলা হয়েছে। সেখানে পাহাড়ি বা দলিত বলে কাউকে বাদ দেওয়া হয়নি। আমাদের তাদের অধিকার, আইনগত সুরক্ষার জায়গাগুলো সম্পর্কে তথ্য পৌঁছে দিতে হবে। কীভাবে আইনি সহায়তা পাবেন, কার কাছে যাবেন সেই তথ্য তাদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। কভিডকালীন নারীর প্রতি সহিংসতা সারা বিশ্বে বেড়েছে। হয়তো পুরুষ চাকরি হারিয়েছেন, ঋণ শোধ করতে পারছেন না, সেই ক্ষোভে ঘরে গিয়ে নারী নির্যাতন করেছেন। যুদ্ধবিগ্রহ বাদ দিয়ে প্রতিটি রাষ্ট্রের উচিত এই বিষয়গুলো সমাধানে মনোযোগী হওয়া। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সরকার ৬০টির বেশি ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার করেছে। এটা পাহাড়ি এলাকায় প্রয়োজন অনুপাতে আছে কি না সেটা দেখা দরকার।

 

এখনো প্রান্তিক নারীরা দুই বেলা খান না

ডোরা চৌধুরী

কান্ট্রি ডিরেক্টর, হেকস ইপার বাংলাদেশ

হেকস ইপার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রান্তিক মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের সমস্যাগুলো তুলে আনার চেষ্টা করছে। আমি ভারত থেকে এসেছি। বাংলাদেশের অনেক জায়গায় গিয়ে আমি দলিত ও আদিবাসী নারীদের অবস্থা দেখে হতবাক হয়েছি। বাংলাদেশ উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক এগিয়েছে, কিন্তু ওইসব স্থানে এখনো নারীরা দুই বেলা খায় না। এটা অবিশ্বাস্য। এখানে অনেক নারীই আছেন যারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে নিজেদের প্রমাণ করেছেন। সবাই আমাদের কাজে সহযোগিতা করতে পারেন। গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ, যেসব জায়গায় আমাদের কাজ হয়, আপনারা আসুন। আমরাও গণমাধ্যমকর্মীদের ফেলোশিপের ব্যবস্থা করব।

 

নারীর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে সমস্যা তৈরি হচ্ছে

ফরিদা ইয়াসমিন

সভাপতি, জাতীয় প্রেস ক্লাব

যেসব নারী সফল হয়েছেন, সামনে উঠে এসেছেন তারা প্রত্যেকে সংগ্রাম করে উঠে এসেছেন। প্রত্যেক নারীর ভিতরে একটি শক্তি রয়েছে। সেটি বুঝতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। নারীর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ঘরে ঘরে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। নেতিবাচক এ দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে সবার। নারী এগিয়ে গেলে পরিবার ও সমাজ এগিয়ে যাবে। নারীদের নিয়ে সবার মনোজগতের পরিবর্তন আনা বেশি জরুরি। করোনাকালে নারীর প্রতি নির্যাতন বেশি হয়েছে। দলিত ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে যত কথা বলতে দেওয়া হবে ততই তাদের সমস্যাগুলো সামনে চলে আসবে। প্রান্তিকদের নিয়ে এমন আয়োজনে আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই।  কিন্তু গণমাধ্যমে প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠীকে নিয়ে খুব বেশি লেখালেখি হয় না। এসব সমস্যা নিয়ে ফেলোশিপ প্রদান করা গেলে মূলধারার গণমাধ্যমে দলিত ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সমস্যাগুলো উঠে আসবে।

 

প্রতিকূলতা পার হয়েই নারীরা সফল হন

কামাল উদ্দিন আহমেদ

সদস্য, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। কিন্তু বাস্তব চিত্রটি কী সেটিও দেখতে হবে। বাস্তব চিত্রের অভিজ্ঞতা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। যেসব নারী সফল হন তারা অনেক প্রতিকূলতা পার হয়েই সফল হন। আমাদের মনোজগতে এটি আনতে হবে। পৃথিবীতে নারীদের মধ্যে যারা এগিয়ে গেছেন সবার এগিয়ে যাওয়ার গল্প রয়েছে। বৈষম্য, বঞ্চনা আর অসমতার গল্পও আছে। আমরা একেক নারীর সঙ্গে একেক ধরনের আচরণ করি। দলিত নারীরা আরও পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠী। তাদের এগিয়ে যাওয়ার অনেক অন্তরায় রয়েছে। তারা কেউ থানায় মামলা করতে গেলে নানান জটিলতা তৈরি করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে তাদের কথাগুলো উঠে আসে না। সংস্কৃতি, দেশের কাঠামো তাদের এই বিভাজন করে দিয়েছে। এটি নিরসনে করণীয় কী তা নির্ধারণ করতে হবে। শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না। সবাইকে সোচ্চার হয়েই কাজ করতে হবে।

 

নারীদের সফলতার গল্প সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে

সৈয়দ বোরহান কবীর

চেয়ারম্যান, ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেড

একটি সমাজ যখন এগিয়ে যায় তখন সমাজে বৈষম্য বাড়ে। আর বৈষম্য যখন বাড়ে তখন সবচেয়ে বেশি শিকার হন নারীরা। সমাজের উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত নারীরা নির্যাতিত হন। এগিয়ে যাওয়া সব নারীর একটি গল্প রয়েছে। সে গল্প হার না মানার গল্প। আমরা যদি নারীর মুক্তি চাই, নারীর সফলতা চাই তবে নারীর সফলতার গল্পগুলোকে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। এ ছাড়া প্রত্যেকের জীবনে অসম্ভবকে সম্ভব করার একটা প্রেরণা ছিল, সে গল্পগুলোকে আমাদের একত্রিত করতে হবে। শুধু হতাশার গল্প শোনালে চলবে না। কতগুলো শিশু বাল্যবিয়ের শিকার হলো সেটি প্রচার না করে কতগুলো শিশুর বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়েছে সে গল্পগুলো আমাদের প্রচার করতে হবে। সব সময় ইতিবাচক গল্পগুলো সামনে নিয়ে এলে নারীরা আরও প্রেরণা পাবেন, নারী নির্যাতনও বন্ধ হবে। এভাবেই আমরা ভবিষ্যতে বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে পারব।

 

সবার আগে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার

সৈয়দ ইসতিয়াক রেজা

এডিটর ইন চিফ, জিটিভি

বৈষম্য বিলোপ আইনটি দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন প্রয়োজন। তাহলে নারী নির্যাতনকেন্দ্রিক আইনগুলো বাস্তবায়নেও পরিবর্তন আসবে। গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাকালে পারিবারিক ও যৌন সহিংসতা বেড়েছে। কিন্তু কী কারণে এই সহিংসতার ঘটনাগুলো ঘটছে সেটা বিস্তারিত তুলে আনা দরকার। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, করোনার দুই বছরে সারা বিশ্বেই সহিংসতা বেড়েছে। তার মধ্যে পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা সবচেয়ে বেশি। আমাদের এখানে সাংঘাতিক একটা আইনি সমস্যা রয়ে গেছে, যেখানে পুলিশেরও পরোক্ষ মদদ আছে। নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা ঘটলে তখন তার পোশাক, চলাফেরা, জাতপাত, শ্রেণি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এগুলোই যেন অপরাধ! সবার আগে এই দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার। গণমাধ্যমেরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। গণমাধ্যমে আমরা বড় বড় অপরাধের জায়গাগুলোতে দৃষ্টি দিলেও প্রান্তিক মানুষের সমস্যাগুলোয় মনোযোগ দিচ্ছি না। এদিকেও নজর দেওয়া দরকার।

 

মেয়েদের স্কুলে ফিরিয়ে আনতে বর্ধিত কর্মসূচি প্রয়োজন

সাইবুন নেসা

ম্যানেজার, অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড রাইট বেইজড ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, হেকস ইপার বাংলাদেশ

বিশ্বব্যাপী আমরা নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ করছি। কিন্তু নারীরা এখন পর্যন্ত ঘরে-বাইরে, পরিবারে সর্বত্র কোনো না কোনোভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন।

করোনার এ দুই বছরে সমতলের আদিবাসী বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে অনেক সহিংস ঘটনা দেখেছি। তখন আমরা আমাদের কর্ম-এলাকায় একটা গবেষণার কাজ হাতে নেই। তাতে বাল্যবিয়ে, নারীর প্রতি সহিংসতা, স্কুল থেকে ঝরে পড়াসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে। করোনাকালে মেয়েশিশুর স্কুল থেকে ঝরে পড়া ও বাল্যবিয়ের ঝুঁকিটা অনেক বেড়ে গেছে। করোনা-পরবর্তী পিছিয়ে পড়া এই জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে মেয়েদের বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করতে, তাদের বিদ্যালয়মুখী করতে, বর্ধিত আকারে শিক্ষা উপবৃত্তি ও স্কুল ফিডিং চালু করার জন্য শিক্ষামন্ত্রীকে অনুরোধ করছি।

 

পারিবারিক বন্ধন হালকা হওয়ায় কিশোরীরা বেশি ভুল করছে

হামিদা পারভিন

ডিসি, উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন, ডিএমপি

করোনাকালীন আমরা অনেক রকম অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছি। অন্য সময়ের তুলনায় কভিড সংক্রমণের সময়ে নারীকেন্দ্রিক বেশি মামলা হয়েছে। অনেকে মামলা করে একপর্যায়ে এসে হাল ছেড়ে দিয়েছেন। অনেক কিশোরী এ সময়ে নিজেদের ঘর ছেড়েছে। তারা স্বপ্নের জগৎ মনে করে বেরিয়ে গেছে। তারা যে পরিবেশে বেড়ে উঠেছে তারা সে পরিবেশে আর থাকতে চায়নি। মহামারির সময়ে শিশু নিখোঁজের ঘটনাও ছিল বেশি। দারিদ্র্য নাকি অন্য কোনো কারণে এ সমস্যা তৈরি হয়েছিল তা ভেবে দেখতে হবে। আমাদের পারিবারিক বন্ধনগুলোও দিন দিন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। বন্ধন হালকা হওয়ার কারণেই কিশোরী মেয়েরা পরিবারে বেশি ভুল করছে। সুশিক্ষার অভাবে কিশোররা দিন দিন অপরাধে জড়াচ্ছে। শিশু-কিশোরদের মানসিক উন্নয়নে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান করতে হবে।

 

আমার এলাকায় কোনো বাল্যবিয়ে হতে দেব না

মুক্তি রানী পাহান

ইউপি সদস্য, চেরাগপুর, মহাদেবপুর, নওগাঁ

বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখেছি আমরা কত পিছিয়ে আছি। কোনো অফিসে গেলে কেউ মূল্য দিত না। আমাদের এলাকায় বাল্যবিয়ে, নারী নির্যাতন, মাদকের সহজলভ্যতাসহ অনেক সমস্যা। তখন আমি ভাবলাম, আমার যদি ক্ষমতা থাকত তাহলে আমি এলাকার সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারতাম। আমি দুবার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয়বার বিজয়ী হই। অনেকে বলে, নারী হয়ে আমি এলাকার কোনো সমস্যা সমাধান করতে পারব না। নিচু জাত বলেও আমাদের হেয় করার চেষ্টা করত অনেকে। কিন্তু আমি থেমে থাকিনি। ভোটের আগে সবাইকে এটি বোঝাতে সক্ষম হই যে, বিজয়ী হলে সবার জন্য কাজ করতে পারব। ভোটাররা আমার কথা গ্রহণ করলে আমি বিজয়ী হই। আমি এ প্রতিজ্ঞা করতে চাই যে, আমার এলাকায় কোনো বাল্যবিয়ে হতে দেব না। আমরা নারীরা যেন সমাজে নির্যাতিত না হই, অবহেলিত না হই, আমরা যেন স্বাধীনভাবে আমাদের মতামত দিতে পারি সেটি নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে।

 

পরিকল্পনাগুলো পূর্ণাঙ্গ হলে নারী নির্যাতন রোধ সম্ভব

জিনাত আরা হক

নির্বাহী পরিচালক, আমরা পারি

আমাদের পরিবারগুলো মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দায়মুক্ত হওয়ার কথা বলে। মেয়ে কি বোঝা? নারীমুক্তির জন্য সবার আগে এ ধরনের মনস্তত্ত্ব পরিবর্তন দরকার। সমতলের অনেক আদিবাসী নারীর শিক্ষা আমাদের থেকেও ভালো। তবে শিক্ষিত হয়েও তারা চাকরিতে আসছেন না। ভয় কাজ করে। তাদের মুখ থেকে তাদের সমস্যা শুনতে হবে। দলিতের সমস্যা থেকে দলিত নারীর সমস্যা ভিন্ন। সমস্যাগুলো পৃথকভাবে চিহ্নিত করে সমাধান করতে হবে। পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা থাকলেই সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যখন কভিড পরিস্থিতি নিয়ে পরিকল্পনা দিয়েছে, সেখানে কভিডকালীন নির্যাতিত নারীরা কোথায় যাবেন সে বিষয়টি ছিল না। অনেক নারী আমাদের ফোন দিয়ে নির্যাতনের কথা জানিয়েছেন। আমরা ৯৯৯-এ ফোন দিয়েছি। সেখান থেকে বলেছে, ‘আপা এখন না, এখন লকডাউন নিয়ে ব্যস্ত।’ থানায় গেলে পুলিশ বলেছে, পরে আসেন। ইউনিয়ন পরিষদে গেলে বলেছে, তারা ত্রাণ নিয়ে ব্যস্ত।

 

সহিংসতা কমাতে মনের যত্নে গুরুত্ব দিতে হবে

ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ

মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট

চিকিৎসাবিজ্ঞানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাময়িকী দি ল্যানচেট-এর সম্পাদক রিচার্ড হরটনের মতে, এই কভিড প্যান্ডামিক একটা সময় সিন্ডেমিকে পরিণত হবে। অর্থাৎ প্যান্ডামিকের প্রভাব আমরা পাব ১০, ২০, ৩০ বা ১০০ বছর পরও। আজ যে মানুষ বিষণ্নতায় ভুগছে, যে শিশু বিষণ্নতায় ভুগছে, যে পরিবারে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, সেই পরিবার ৩০ বছর পরও এর প্রভাব ভোগ করবে। মানসিক অসুস্থতা সহিংসতার জন্ম দেয়। আমাদের এখন মনের যত্নে গুরুত্ব দিতে হবে। এ জন্য সহিংসতাকেন্দ্রিক যে কোনো গবেষণার সুপারিশে মনের যত্নের বিষয়টা রাখা উচিত। আমরা প্রতিদিন একে অপরকে ধন্যবাদ দিই। সবাইকে বলব, ভালো কাজের জন্য প্রতিদিন নিজে নিজেকে ধন্যবাদ দেন। তাহলে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে। মনের যত্নের একটা কাজ হবে।

 

পরিচয়ের কারণে নিগ্রহ গ্রহণযোগ্য নয়

. দেবাশীষ কুমার কুণ্ডু

সহযোগী অধ্যাপক, সমাজতত্ত্ব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

পরিচয়ের কারণে কোনো মানুষ নির্যাতিত হবে, নিগৃহীত হবে এটা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। বাংলাদেশে দলিতের সংখ্যা এত কম যে, আমাদের মূলধারার গণমাধ্যম তাদের খুঁজে পায় না। বিভিন্ন সেমিনারে তারা তাদের কষ্টের কথা বলেন। তখন আমাদের মনে হয় সমস্যাটা ঠিক হওয়া দরকার। মজার ব্যাপার হলো, নারীরা একই সঙ্গে পিতৃতন্ত্রের শিকার, আবার নিজেরাই পিতৃতন্ত্র লালন করেন। যে কারণে স্ত্রীর সঙ্গে আমার মনোমালিন্য হলে আমার মা নারী হয়েও আমার পক্ষ নেন। সরকারেরও অঙ্গীকার আছে নারী ও শিশু নির্যাতনমুক্ত একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করার। এ জন্য ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, শেল্টার হোম করা হয়েছে। কিন্তু মাত্র শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ জানেন, এমন জায়গা আছে। সাম্যের সমাজ গঠনে সবার সমান কর্তব্য আছে।

 

অনলাইন ক্লাসে চরমভাবে হোঁচট খেয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা

ইলিরা দেওয়ান

মানবাধিকার কর্মী

স্বল্প আয়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা করোনাকালে ঢাকা ছেড়েছে। তাদের ওপর নির্যাতনও বেড়েছে করোনাকালে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠীর ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাকালীন অনলাইন ক্লাসে চরমভাবে হোঁচট খেয়েছে। তাদের ৭৫ শতাংশই এই ক্লাসে অংশ নিতে পারেনি। ইন্টারনেট না থাকা, বিদ্যুৎ না থাকাসহ আরও অনেক সমস্যা ছিল তাদের। আদিবাসী শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের ভাষায় বই লেখা হচ্ছে। কিন্তু শিক্ষকরা এই বই পড়াতে পারছেন না। ফলে বইগুলোর ব্যবহার হচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে এই বই বস্তাবন্দি থাকছে।  এই শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও পুস্তক প্রণয়নের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় দরকার। একই সঙ্গে প্রান্তিক এ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সরকারের নির্দেশনা ও কঠোর মনিটরিং প্রয়োজন।

 

বর্ণবৈষম্য বিলোপ আইনটি দ্রুত দরকার

শিপন রবিদাস

সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ রবিদাস ফোরাম

সমতলের আদিবাসী, দলিত নিয়ে বাংলাদেশের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর সংখ্যা গড়ে ১ কোটি। এ মানুষগুলো শিক্ষা থেকে শুরু করে দেশের উন্নয়ন ধারায় তাল মেলাতে পারছে না। আমরা মূলধারার সঙ্গে মিশতে চাইলেও পারছি না অস্পৃশ্যতার কারণে। এখনো উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে অস্পৃশ্যতার চর্চা হচ্ছে। হোটেলে দলিত শ্রেণিকে পরোটা দেওয়া হয় দূর থেকে।  জয়পুরহাট জজ কোর্টের উকিল অ্যাডভোকেট বাবুল রবিদাস কিছু সাঁওতাল, রবিদাস সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে বার সমিতির ক্যান্টিনে খাবার পর সব প্লেট-গ্লাস বস্তায় ভরে তাকে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল-মূল্য পরিশোধ করে এগুলো নিয়ে যেতে হবে। ২০১৪ সাল থেকে বর্ণবৈষম্য বিলোপ আইনটি দাবি করছি। আইনটি পাস হলে বড় একটা অভিশাপ থেকে আমরা মুক্তি পাব।

 

করোনাকালে স্কুল ছেড়েছে ১৩ ভাগ মেয়েশিশু

রায়হান এইচ সারওয়ার

প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, হেলিয়াস কনসালট্যান্সি

বাংলাদেশে প্রায় ৬৫ লাখ দলিত ও ১৫ লাখ ৮০ হাজার সমতলের আদিবাসী রয়েছে। এ জনগোষ্ঠীর মধ্যে করোনাকালে নারীর প্রতি সহিংসতা, মেয়েদের স্কুল থেকে ঝরে পড়া, বাল্যবিয়ে, অবৈতনিক গৃহকর্ম, যৌন নির্যাতন ভয়াবহ আকারে বেড়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, এই সময়ে ১৩ ভাগ মেয়ে শিক্ষার্থী স্কুল ছেড়েছে। ৭৫ ভাগ শিক্ষার্থীর অনলাইন ক্লাসে যোগ দেওয়ারই সুযোগ ছিল না। বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে ১১ ভাগ মেয়ে। পারিবারিক নির্যাতন বেড়েছে ২০ ভাগ। অবৈতনিক গৃহকর্ম বেড়েছে ৬৬ ভাগ। পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ৩২ ভাগ ভুক্তভোগী আইনি সহায়তা পেতে সমস্যায় পড়েছেন। যৌন হয়রানির ঘটনা বেড়েছে ৬৭ ভাগ। অনিচ্ছা সত্ত্বেও স্বামীর কারণে অনাকাক্সিক্ষত গর্ভধারণের শিকার হয়েছেন ৪৬ ভাগ নারী।

এই বিভাগের আরও খবর
ইরানের সেকাল-একাল
ইরানের সেকাল-একাল
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানসাধক
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানসাধক
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন যার স্বপ্ন
নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন যার স্বপ্ন
সড়কেই উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎ
সড়কেই উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎ
মাছের খামারে নিরাপত্তা দেবে ‘পন্ডগার্ড’
মাছের খামারে নিরাপত্তা দেবে ‘পন্ডগার্ড’
কৃষকের কাজে কিষানি ড্রোন
কৃষকের কাজে কিষানি ড্রোন
দেশজুড়ে যত উদ্ভাবন
দেশজুড়ে যত উদ্ভাবন
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা
ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা
দেশে দেশে কোরবানি
দেশে দেশে কোরবানি
ত্যাগের মহিমাময় কোরবানি যেন নষ্ট না হয়
ত্যাগের মহিমাময় কোরবানি যেন নষ্ট না হয়
সর্বশেষ খবর
সংস্কারের নামে জনগণকে বিভ্রান্ত না করে দ্রুত নির্বাচনের দাবি রিজভীর
সংস্কারের নামে জনগণকে বিভ্রান্ত না করে দ্রুত নির্বাচনের দাবি রিজভীর

এই মাত্র | রাজনীতি

৪ নদীবন্দরে সতর্কতা, দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা
৪ নদীবন্দরে সতর্কতা, দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা

১ মিনিট আগে | জাতীয়

প্রকাশ্য দিবালোকে ইউক্রেনের গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা
প্রকাশ্য দিবালোকে ইউক্রেনের গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা

২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রয়লার  ১৬৫–১৭০, মাছেই স্বস্তি খুঁজছেন ক্রেতারা
ব্রয়লার ১৬৫–১৭০, মাছেই স্বস্তি খুঁজছেন ক্রেতারা

১০ মিনিট আগে | জাতীয়

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজট
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজট

২৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বেলুচিস্তানে বাস থামিয়ে ৯ যাত্রীকে অপহরণের পর হত্যা
বেলুচিস্তানে বাস থামিয়ে ৯ যাত্রীকে অপহরণের পর হত্যা

২৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গায়ানাকে গুঁড়িয়ে ৮ রানে জয় রংপুরের
গায়ানাকে গুঁড়িয়ে ৮ রানে জয় রংপুরের

২৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে বৃষ্টির সম্ভাবনা, কমতে পারে তাপমাত্রা
রাজধানীতে বৃষ্টির সম্ভাবনা, কমতে পারে তাপমাত্রা

২৭ মিনিট আগে | জাতীয়

সারা বছর সুস্থ থাকতে নিয়মিত খান এই ৭টি খাবার
সারা বছর সুস্থ থাকতে নিয়মিত খান এই ৭টি খাবার

২৯ মিনিট আগে | জীবন ধারা

খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুদের হত্যা করল ইসরায়েলি বাহিনী
খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুদের হত্যা করল ইসরায়েলি বাহিনী

৩৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এসএসসি: লক্ষ্মীপুরে পাসের হার ৬৬.১৫ শতাংশ
এসএসসি: লক্ষ্মীপুরে পাসের হার ৬৬.১৫ শতাংশ

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইরান ভ্রমণে না যেতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
ইরান ভ্রমণে না যেতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান

৫৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ, বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি
একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ, বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রামগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পিকআপ চালকের মৃত্যু
রামগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পিকআপ চালকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রহ্মপূত্রের ওপর চীন বাঁধ নয় ‘ওয়াটার বোমা’ তৈরি করছে : অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী
ব্রহ্মপূত্রের ওপর চীন বাঁধ নয় ‘ওয়াটার বোমা’ তৈরি করছে : অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি থেকে ফিরেছেন ৮২ হাজার ৪১৬ হাজি
সৌদি থেকে ফিরেছেন ৮২ হাজার ৪১৬ হাজি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজা যুদ্ধ থেকে ফিরে আরেক ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা
গাজা যুদ্ধ থেকে ফিরে আরেক ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

মৃত্যুর পর মা-বাবার হক যেভাবে আদায় করব
মৃত্যুর পর মা-বাবার হক যেভাবে আদায় করব

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঢাকা যেভাবে মসজিদের শহর হয়ে ওঠে
ঢাকা যেভাবে মসজিদের শহর হয়ে ওঠে

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

খুলাফায়ে রাশেদা পরবর্তী মুসলিম বিশ্ব
খুলাফায়ে রাশেদা পরবর্তী মুসলিম বিশ্ব

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বাণিজ্য সম্পর্কের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ দিকই স্পর্শ করা হয়েছে
বাণিজ্য সম্পর্কের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ দিকই স্পর্শ করা হয়েছে

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কানাডার পণ্যে ৩৫% শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের
কানাডার পণ্যে ৩৫% শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই
বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই

২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

কক্সবাজারে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় আত্মহত্যা
কক্সবাজারে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় আত্মহত্যা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় পুষ্টি সহায়তা নিতে আসা শিশুদের ওপর হামলা, নিহত ১৫
গাজায় পুষ্টি সহায়তা নিতে আসা শিশুদের ওপর হামলা, নিহত ১৫

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাভারে ৫শ' পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
সাভারে ৫শ' পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এসএসসি: চাঁদপুরে পাসের হার ৫৫.৮৫ শতাংশ
এসএসসি: চাঁদপুরে পাসের হার ৫৫.৮৫ শতাংশ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আজ ও আগামীকাল কাস্টম হাউজ খোলা
আজ ও আগামীকাল কাস্টম হাউজ খোলা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৬৮.৪৫
এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৬৮.৪৫

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই গণহত্যার দায় স্বীকার, রাজসাক্ষী হলেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুন
জুলাই গণহত্যার দায় স্বীকার, রাজসাক্ষী হলেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুন

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত
এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরিচালকের সঙ্গে পরকীয়া, অন্তঃসত্ত্বা ও ৭৫ লাখ দাবি: ‘বাহুবলীর রাজমাতার’ পুরনো বিতর্ক ফের চর্চায়
পরিচালকের সঙ্গে পরকীয়া, অন্তঃসত্ত্বা ও ৭৫ লাখ দাবি: ‘বাহুবলীর রাজমাতার’ পুরনো বিতর্ক ফের চর্চায়

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের সাফল্য
এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের সাফল্য

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে
কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল
নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার
১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার
দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৭ কিমি যানজটে চরম ভোগান্তি
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৭ কিমি যানজটে চরম ভোগান্তি

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝাড়খণ্ডে ট্রেন থেমে রইল দুই ঘণ্টা; রেললাইনে সন্তান জন্ম দিল মা হাতি!
ঝাড়খণ্ডে ট্রেন থেমে রইল দুই ঘণ্টা; রেললাইনে সন্তান জন্ম দিল মা হাতি!

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাস ও জিপিএ-৫ কমার কারণ জানাল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড
পাস ও জিপিএ-৫ কমার কারণ জানাল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভিসা নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস
ভিসা নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাসের হারে শীর্ষে রাজশাহী, পিছিয়ে বরিশাল
পাসের হারে শীর্ষে রাজশাহী, পিছিয়ে বরিশাল

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের ১০ বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি হামাস
ইসরায়েলের ১০ বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি হামাস

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেই আলফি পাস করেছে
সেই আলফি পাস করেছে

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইংরেজিতে ফেল করলেও ফের পরীক্ষা দেওয়ার সংকল্প ৫২ বর্ষী দুলুর
ইংরেজিতে ফেল করলেও ফের পরীক্ষা দেওয়ার সংকল্প ৫২ বর্ষী দুলুর

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লোহিত সাগরে আরেকটি বাণিজ্যিক জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথিরা, নিহত ৩
লোহিত সাগরে আরেকটি বাণিজ্যিক জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথিরা, নিহত ৩

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনী প্রস্তুতির নির্দেশনায় ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুল
নির্বাচনী প্রস্তুতির নির্দেশনায় ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুল

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের
আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পিআর পদ্ধতি সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রতিবন্ধকতা : নাসির উদ্দিন
পিআর পদ্ধতি সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রতিবন্ধকতা : নাসির উদ্দিন

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভিকারুননিসায় কমেছে জিপিএ-৫, বেড়েছে ফেল
ভিকারুননিসায় কমেছে জিপিএ-৫, বেড়েছে ফেল

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মতিঝিল আইডিয়ালে পাসের হার ৯৭.৯৫ শতাংশ
মতিঝিল আইডিয়ালে পাসের হার ৯৭.৯৫ শতাংশ

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফাইনালে দুই তারকাকে ছাড়াই নামবে পিএসজি
ফাইনালে দুই তারকাকে ছাড়াই নামবে পিএসজি

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৩৪ প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করেনি কোনো শিক্ষার্থী
১৩৪ প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করেনি কোনো শিক্ষার্থী

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজশাহী বোর্ডে পাশের হার ৭৭.৬৩, এগিয়ে মেয়েরা
রাজশাহী বোর্ডে পাশের হার ৭৭.৬৩, এগিয়ে মেয়েরা

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন
এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

৯৮৪ প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস
৯৮৪ প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

‘আপনি এত সুন্দর ইংরেজি শিখলেন কোথায়?’— লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্টকে ট্রাম্পের প্রশ্ন
‘আপনি এত সুন্দর ইংরেজি শিখলেন কোথায়?’— লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্টকে ট্রাম্পের প্রশ্ন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
পাঁচ আঙুল হারানো মারুফ পাচ্ছেন ২৮ কোটি টাকা
পাঁচ আঙুল হারানো মারুফ পাচ্ছেন ২৮ কোটি টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

পদকের টাকা ফেরত দিচ্ছেন ভোটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা
পদকের টাকা ফেরত দিচ্ছেন ভোটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা

পেছনের পৃষ্ঠা

তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম
তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়িকাদের অন্য পেশা
নায়িকাদের অন্য পেশা

শোবিজ

রেকর্ড ৩২ শতাংশ ফেল
রেকর্ড ৩২ শতাংশ ফেল

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সন্ত্রাসীদের রক্ষক যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সন্ত্রাসীদের রক্ষক যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

তিন গভর্নরের নথি তলব দুদকের
তিন গভর্নরের নথি তলব দুদকের

পেছনের পৃষ্ঠা

ঘুম ভাঙে ছেঁড়া পলিথিন ভিজে গেলে
ঘুম ভাঙে ছেঁড়া পলিথিন ভিজে গেলে

পেছনের পৃষ্ঠা

নারী কর্মকর্তাদের স্যার সম্বোধনের নির্দেশিকা বাতিল
নারী কর্মকর্তাদের স্যার সম্বোধনের নির্দেশিকা বাতিল

পেছনের পৃষ্ঠা

নেপালের তিন দরবার স্কয়ার
নেপালের তিন দরবার স্কয়ার

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে সিআইডি
প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে সিআইডি

প্রথম পৃষ্ঠা

মোবাইল খুঁজতে সেপটিক ট্যাংকে চারজনের মৃত্যু
মোবাইল খুঁজতে সেপটিক ট্যাংকে চারজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই
বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সবাই খুশি
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সবাই খুশি

প্রথম পৃষ্ঠা

চার কারণে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ
চার কারণে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় চীন
বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় চীন

প্রথম পৃষ্ঠা

এসএসসিতে কেন এ ফল বিপর্যয়
এসএসসিতে কেন এ ফল বিপর্যয়

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ১১ টুকরা
স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ১১ টুকরা

প্রথম পৃষ্ঠা

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লির কাছে ক্ষতিপূরণ চান ত্রিপুরার মন্ত্রী
দিল্লির কাছে ক্ষতিপূরণ চান ত্রিপুরার মন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসি নিয়োগ
ডিসি নিয়োগ

সম্পাদকীয়

হাসিনাকে দিয়েই বিচার শুরু
হাসিনাকে দিয়েই বিচার শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

জি এম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী
জি এম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী

প্রথম পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই
গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই

সম্পাদকীয়

ভোট বাতিল ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি
ভোট বাতিল ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে স্বামীর আত্মহত্যা
স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে স্বামীর আত্মহত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রধান বিচারপতি নিয়োগে দুই বিষয়ে ঐকমত্য
প্রধান বিচারপতি নিয়োগে দুই বিষয়ে ঐকমত্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে ১১৫ প্রতীক নেই শাপলা
ভোটে ১১৫ প্রতীক নেই শাপলা

পেছনের পৃষ্ঠা

তালাবদ্ধ ঘর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
তালাবদ্ধ ঘর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

পেছনের পৃষ্ঠা