শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ০৯ মার্চ, ২০২৩

ভয়াবহ যত বিস্ফোরণ

আবদুল কাদের
প্রিন্ট ভার্সন
ভয়াবহ যত বিস্ফোরণ

২০২০ সালের আগস্ট- বিশ্ববাসী হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে দেখল বিশাল এক বিস্ফোরণ। যার নাম ‘বৈরুত এক্সপ্লোশন’। মুহূর্তে হতাহতের সংখ্যা দাঁড়িয়ে গেল হাজারের কোটায়। জোড়া বিস্ফোরণে ল-ভ- হয়ে যায় লেবাননের রাজধানীর বৈরুত বন্দর। এই বিস্ফোরণই কেবল বিশ্বকে কাঁপিয়ে তোলেনি। মানবসৃষ্ট অসংখ্য ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা রয়েছে- যা আক্ষরিক অর্থে নাড়িয়ে দিয়েছে সমগ্র বিশ্বকে। আর সেই তালিকাটিও নেহায়েত কম বড় নয়।  পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা থেকে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বিস্ফোরণ; সব বিপর্যয়েই ছিল মানুষের হাত।  এর বাইরেও আছে নানা কারণ। সেসব বিপর্যয়ের ঘটনা নিয়ে রকমারি

 

বৈরুত বিস্ফোরণ

লেবানন : ২০২০ সাল

তীব্র শব্দে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকাগুলোয় ব্যাপক কম্পনের সৃষ্টি হয়েছিল।  একের পর এক বিস্ফোরণে বন্দরনগরী ল-ভ- হয়ে যায়।

২০২০ সালের ৪ আগস্ট; বিশ্ববাসী দেখেছিল এক ভয়াবহ বিস্ফোরণ। লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ওই বিধ্বংসী বিস্ফোরণে দেখা গিয়েছিল মৃত্যুর মিছিল। হতাহতের সংখ্যা পেরোয় কয়েক হাজারে। তীব্র শব্দে রাজধানীসহ আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকায় কম্পনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছিল। পরপর জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা বন্দর। পুরো এলাকা ল-ভ- হয়ে যায়। বৈরুতের বন্দর এলাকায় এই বিস্ফোরণের কারণ ছিল অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। প্রায় আড়াই হাজার টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মজুদ ছিল সেখানে। বিস্ফোরণের কারণে কম্পন অনুভূত হয়েছিল ২৪০ কিলোমিটার দূরে সাইপ্রাস দ্বীপেও।

২০২০ সালের ৪ আগস্ট মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে ছোট এক বিস্ফোরণের পর বৈরুত বন্দরের পাশের একটি ভবনে আগুনের সূত্রপাত। এর কিছুক্ষণ পর দ্বিতীয় বিস্ফোরণ, মুহূর্তেই আশপাশে কয়েক ডজন ভবন ও স্থাপনা ধসে যায়। এই বিধ্বংসী বিস্ফোরণে বৈরুতের আকাশ কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। যার অনেক ভিডিও ভাইরাল হয় ইন্টারনেটে। ভিডিওতে দেখা যায়, বৈরুতের বন্দর এলাকায় বিশালাকারের ধোঁয়ার কুন্ডলী, কিছুক্ষণের মধ্যে বিকট শব্দে উড়ে যায় গাড়ি এবং ভবন।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছিল, এই বিস্ফোরণের ফলে ৩ দশমিক ৩ মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছিল। আর এতে ধসে যায় শত শত অবকাঠামো। রয়টার্স তাদের প্রতিবেদনে জানায়, বিস্ফোরণে বাড়িঘর এমনভাবে কেঁপে ওঠে যে, স্থানীয়রা ভেবেছিল ভূমিকম্প হচ্ছে। মুহূর্তেই রাজধানীজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। বাড়িঘরের জানালার কাচ ও ব্যালকোনি ভেঙে আহত হন অনেকে। আহতদের চিকিৎসাসেবা দিতেও হিমশিম খেতে হয় স্থানীয় হাসপাতালগুলোকে। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে দেখা দেয় রক্ত সংকট। স্থানীয় গভর্নর মার্কিন সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, প্রথম বিস্ফোরণের পর আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দ্বিতীয় বিস্ফোরণে সম্পূর্ণ নিখোঁজ হয়ে যায়। বিস্ফোরণের ভয়াবহতায় এক নিমিষে যেন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় গোটা এলাকা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভেঙে পড়ে ঘরবাড়ি, জানালা। রক্তাক্ত অবস্থায় মানুষকে ছোটাছুটি করতে দেখা যায় রাস্তায়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতই ভয়াবহ ছিল যে, বহুদূর পর্যন্ত শোনা যায় সেই শব্দ। আগুন ছড়িয়ে পড়ার পরই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। আকাশ থেকেও চলে আগুন নেভানোর কাজ। স্থানীয় লোকজন বিস্ফোরণকে পরমাণু বিস্ফোরণ বলে মন্তব্য করে। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাড়িও ভেঙে চুরমার হয় বিস্ফোরণে। যদিও প্রাণে বেঁচে যান তিনি। কী করে এত বড় ধ্বংসযজ্ঞ ঘটল তার কারণ অনুসন্ধানের পর লেবাননের নিরাপত্তা প্রধান জানিয়েছিলেন, এটি একটি দুর্ঘটনা। আলজাজিরাও তাদের প্রতিবেদনে বলে, ভয়াবহ ওই বিস্ফোরণে রাজধানী বৈরুত থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে ভূমধ্যসাগরের অপর পাড়ের সাইপ্রাসেও ঘটনাস্থলের ১০ কিলোমিটার দূরের বাড়িগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

পারমাণবিক বিস্ফোরণ বাদ দিলে বৈরুতের ওই বিস্ফোরণ বিশ্বের অন্যতম প্রাণঘাতী বিস্ফোরণ। কিন্তু এই ঘটনার পর বিশ্ব যেভাবে নড়েচড়ে বসেছিল, তাতে ধারণা করা হয়েছিল এর সুরাহা হবে। কিন্তু এক বছর পর এসে দেখা যাচ্ছে, প্রত্যাশার বিপরীতে প্রাপ্তি শূন্য। কারণ, এই বিস্ফোরণের পর অনেকে কাজ হারিয়েছেন। এখনো দুর্দশার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন বৈরুতবাসী।

 

জার বোম্বা

রাশিয়া : ১৯৬১ সাল

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন মেতে ওঠে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায়। যার অংশ হিসেবে ১৯৬১ সালের ৩০ অক্টোবর রাশিয়ার উত্তরে কোলা উপদ্বীপের ওলেনয়া এয়ারফিল্ডে ইউএসএসআর অর্থাৎ সোভিয়েত ইউনিয়ন তু-৯৫ আণবিক বোমার পরীক্ষা চালায়। ১৯৪৯ সালের ২৯ আগস্ট জো-১ পরমাণু বোমার পরীক্ষা চালায় সোভিয়েত ইউনিয়ন। ১৯৫৮ সালের মধ্যে দেশটি ৩৬টি পরমাণু বোমার পরীক্ষা চালায়। কিন্তু তু-৮৫ বা জার বোম্বার তুলনায় এ বোমাগুলো কিছুই নয়। জার বোম্বা এতই বড় ছিল যে, কোনো বিমানে তা আটানো ছিল কষ্টসাধ্য। বিশাল বোমাটি ছিল ৮ মিটার লম্বা, ২.৬ মিটার ব্যাস এবং ওজন ছিল ২৭ টন। হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে ব্যবহার করা লিটল বয় ও ফ্যাটম্যানের মতো প্রলয়ঙ্করী ছিল এই বোমা। বার্নেট সাগরের জনমানবহীন নোভইয়া জেমলিয়া দ্বীপপুঞ্জে এই বোমার পরীক্ষা করা হয়। প্যারাস্যুট দিয়ে যখন বোমাটি নামানো হয় তখন তা ১৩ হাজার ফুট নিচে নেমে বিস্ফোরিত হয়।  ওই হাইড্রোজেন বোমার শক্তি ছিল ৫০ হাজার কিলো টন। ঘটনাস্থল থেকে বোমারু বিমান ছিল মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে। দুই পাইলট ভাগ্যের জোরে বেঁচে যান। প্রায় ৬৪ কিলোমিটার উঁচু মেঘের সৃষ্টি হয় যার বিস্তার ছিল ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। বিস্ফোরণে সৃষ্ট মাশরুম আকৃতির মেঘ এভারেস্টের উচ্চতার সাতগুণ উচ্চতায় পৌঁছে যায়। এই মেঘের সামনের অংশ ৯৫ কিলোমিটার বিস্তৃত হয়। এটি ছিল লিটল বয় ও ফ্যাটম্যান থেকে দেড় হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী। যার ফলে আশপাশের অঞ্চলে এই বিস্ফোরণের প্রভাব ছিল ধ্বংসাত্মক। টেস্ট সাইটের ৫৫ কিলোমিটার দূরে সেভারি দ্বীপের সমস্ত কাঠ এবং পাথরের বাড়ি এবং স্থাপনা ধূলিসাৎ হয়ে যায়। বোমা বিস্ফোরণের পর কয়েক ঘণ্টার জন্য স্থানীয় রেডিও যোগাযোগ সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে গিয়েছিল।

 

হ্যালিফ্যাক্স বিস্ফোরণ

কানাডা : ১৯১৭ সাল

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন কানাডার হ্যালিফ্যাক্স বন্দর উত্তর আমেরিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌঘাঁটি হিসেবে বিবেচিত হতো। ১৯১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর কানাডার পূর্বের আটলান্টিক প্রদেশের নোভা স্কোশিয়ার রাজধানী হ্যালিফ্যাক্সে ঘটেছিল স্মরণকালের ইতিহাসের ভয়াবহ মানবসৃষ্ট বিস্ফোরণ; যা ১৯৪৫ সালের আণবিক বোমা বিস্ফোরণের আগে ঘটিত বিশেষ উল্লেখযোগ্য বিপর্যয়রূপে ইতিহাসে আলোচিত হয়। সেদিন সকাল ৯টায় নরওয়ের জাহাজ এসএস ইমো প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বেলজিয়াম রিলিফ কমিশনের বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে হ্যালিফ্যাক্স বন্দরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। একই সময়ে নিউইয়র্ক থেকে আগত ফ্রান্সের বাষ্পচালিত একটি জাহাজ এসএস মন্ট ব্লাঁ বন্দর অভিমুখে যাত্রা করলে এসএস ইমোর সঙ্গে বিরাট সংঘর্ষ হয়। মন্ট ব্লাঁ জাহাজটি ২ হাজার ৯৩৫ টন বিস্ফোরক বহন করছিল। বিস্ফোরক বহনকারী জাহাজের লাল পতাকার হুঁশিয়ারি উত্তোলন করার বিধান থাকলেও জাহাজটি তা করেনি। মন্ট ব্লাঁ জাহাজে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়লে তা ব্যাপক শব্দে বিস্ফোরিত হয়। ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বিশাল এক জলোচ্ছ্বাস তীরবর্তী বিস্তৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। এ বিস্ফোরণে হ্যালিফ্যাক্সের সৈকত থেকে উত্তরে ৮০০ মিটার বিস্তৃত অঞ্চল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে ছিল কানাডার ফার্স্ট নেশন মিকমা সেটেলমেন্টের টার্টেল কোভ অঞ্চল, আফ্রিকান নোভা স্কোটিয়ান সম্প্রদায়ের জন্য নির্ধারিত আফ্রিকভিল এলাকা, রেললাইন ও ডার্টমাউথ হারবারের অনেকাংশ। এই বিস্ফোরণে প্রায় ২ হাজার নিরীহ অধিবাসী নিহত হন। ৯ হাজার মানুষ আহত হন। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের ২৫ হাজারের বেশি অধিবাসী পর্যাপ্ত আশ্রয়ের অভাবে গৃহহীন হয়ে পড়েন। কানাডার সুপ্রিম কোর্ট ও লন্ডনের প্রিভি কাউন্সিল জুডিশিয়াল কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ বিপর্যয়ের জন্য দুটি জাহাজই সমানভাবে দায়ী।

 

আরএএফ ফল্ড

ইংল্যান্ড : ১৯৪৪ সাল

আরএএফ ফল্ড মূলত একটি সামরিক দুর্ঘটনা; যা ঘটেছিল ইংল্যান্ডের স্টাফোর্ডশায়ারের একটি ভূগর্ভস্থ সামরিক স্টোরেজ ডিপোতে। সেখানে সংরক্ষিত ছিল সামরিক বাহিনীর অসংখ্য গোলাবারুদ। ১৯৪৪ সালের শেষ দিকে- ২৭ নভেম্বর সকাল সোয়া ১১টায় হঠাৎ এক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা স্টাফোর্ডশায়ার; যা ছিল বিশ্বের বৃহত্তম অপরমাণু বিস্ফোরণ। ইংল্যান্ডের ইতিহাসে আরএএফ ফল্ড বিস্ফোরণই সবচেয়ে বৃহৎ সামরিক বিপর্যয়। সেদিন স্টাফোর্ডশায়ারের হ্যানবুরি গ্রামে ওই ভূগর্ভস্থ সামরিক স্টোরেজ ডিপোতে ভয়ানক বিস্ফোরণ ঘটে। সরকারি তথ্য মতে, আরএএফ ফল্ডে সংরক্ষিত থাকা ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার টন অস্ত্র-গোলাবারুদ বিস্ফোরিত হয়। যেখানে সংরক্ষিত ছিল সামরিক বাহিনীর বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ। ভয়াবহ বিস্ফোরণ হলেও ভাগ্যক্রমে ক্ষয়ক্ষতি আর নিহতের পরিমাণ ছিল সীমিত। তবে বিস্ফোরণে আশপাশের এলাকা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরকারি তথ্যমতে, বিস্ফোরণে স্টাফোর্ডশায়ারের আশপাশের খামারগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। এমনকি স্থানীয় একটি জলাশয়ের পানি পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ফলে বন্যার সৃষ্টি হয়। সে সময়ের প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং আকাশজুড়ে ছিল বিশাল ধোঁয়ার কুন্ডলী; যা দেখতে অনেকটা মাশরুম আকৃতির। ভয়ানক বিস্ফোরণের পর হ্যানবুরি গ্রামে প্রায় ১২ একর এলাকাজুড়ে প্রায় ৪০০ ফুট (১২০ মিটার) গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়। স্টাফোর্ডশায়ারের হ্যানবুরির পূর্বদিকে ফল্ডের ঠিক দক্ষিণে গর্তটি এখনো দৃশ্যমান। স্থানীয়দের কাছে এটি এখনো হ্যানবুরি ক্রেটার নামে পরিচিত। সেদিনের বিস্ফোরণে মৃত্যের সংখ্যা এখনো অজানা। তবে ধারণা করা হয়, বিস্ফোরণে সৃষ্ট বন্যায় ৭০ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করেছিল। আহত হয় আরও কয়েক শ মানুষ।

 

টেক্সাস সিটি বিস্ফোরণ

যুক্তরাষ্ট্র : ১৯৪৭ সাল

বৈরুত বিস্ফোরণ ১৯৪৭ সালের টেক্সাস বিস্ফোরণের ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দেয়। টেক্সাস স্টেট হিস্টোরিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (TSHA) অনুসারে, সে বছর ১৬ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বন্দরের একটি মালবাহী ফরাসি জাহাজ এস এস গ্র্যান্ড ক্যাম্প অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট নিয়ে রওনা হচ্ছিল। ঠিক সেই সময় জাহাজেরই এক কর্মী খুব সম্ভবত ধূমপান শেষে জ্বলন্ত সিগারেটের অংশ হেলায় ছুড়ে ফেলেছিল কাগজের বস্তাবন্দি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের স্তূপে। ফলাফল- ভয়াবহ বিস্ফোরণ। সেদিন বন্দরে কর্র্তব্যরত একজন কর্মীও প্রাণে বাঁচেননি। বিস্ফোরণে ৫৬০ জনের বেশি মৃত্যু হয় এবং অসংখ্য ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়।

 

পেপকন বিস্ফোরণ

যুক্তরাষ্ট্র : ১৯৮৮ সাল

৩৫ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাস উপত্যকা দেখেছিল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিস্ফোরণ। বিশ্ব দরবারে ঘটনাটি পেপকন বিস্ফোরণ নামে পরিচিত। সময় তখন ১৯৮৮ সালের ৪ মে। অঞ্চলটির হেনডারসনের প্যাসিফিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড প্রোডাকশন করপোরেশন অব নেভাদার (পেপকন) প্ল্যান্টের একটি ভবনে আগুন লেগে যায়। মাত্র ৪ মিনিটের মধ্যে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং পর পর তিনটি ব্যাপক বিস্ফোরণ ঘটায়। সেদিন প্রায় ৯ মিলিয়ন পাউন্ড রকেটের জ্বালানি নির্গত হয়েছিল। এতে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলারের জ্বালানির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। নেভাদার দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয় এবং ৩৭২ জন আহত হন।

 

তিয়ানজিন বিস্ফোরণ

চীন : ২০১৫ সাল

২০১৫ সালের ১২ আগস্ট; সময় তখন রাত সাড়ে ১১টা। আকস্মিক জোরালো বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে চীনের উত্তরাঞ্চলের বন্দরনগরী তিয়ানজিন। সরকারি তথ্য অনুসারে, কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে দুটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্রতা ছিল মাঝারি মাপের ভূমিকম্পের সমান। বিস্ফোরণের পর দাবানলে পরিণত হয় গোটা বন্দর। যেখানে ছিল গাড়ির কারখানা, বিমান নির্মাণ কারখান, বিভিন্ন ধরনের উৎপাদন শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং গবেষণা সংস্থার দফতর। গুদাম জ্বলে যায়। কালো ধোঁয়ার কুন্ডলী ঢেকে দেয় নগরী। সে দিনের দুর্ঘটনায় আহত হন হাজারের বেশি এবং প্রাণ হারান ১৭৩ জন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল ১.১ বিলিয়ন ডলার।

 

সাইপ্রাস বিস্ফোরণ

সাইপ্রাস : ২০১১ সাল

২০১১ সালে ১১ জুলাইয়ের ভোরবেলা সাইপ্রাস দ্বীপের ইভানজেলোস ফ্লোরাকিস নৌঘাঁটিতে হঠাৎ এক বিস্ফোরণ ঘটে। যেখানে প্রচুর পরিমাণে সামরিক সরঞ্জাম সংরক্ষণ করা হয়েছিল। যার মধ্যে ছিল- গানপাউডার ও আর্টিলারিশেল। সরকারি তথ্য অনুসারে, নৌঘাঁটিতে ৯৮ কনটেইনার গানপাউডার ছিল। এদের মধ্যে দুই কনটেইনারে আগুন ধরে গেলে এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় পার্শ্ববর্তী একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই বিস্ফোরণে আশপাশ অঞ্চলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রায় তিন কিলোমিটার দূরের একটি বাড়ি ও একটি রেস্টুরেন্টের দরজা-জানালা উড়ে যায়। ভয়াবহ নৌঘাঁটি বিস্ফোরণে ১৩ জন নিহত এবং ৬২ জন আহত হন।

 

বান্সফিলএড বিস্ফোরণ

ইংল্যান্ড : ২০০৫ সাল

সময়টা ২০০৫ সালের শেষ- ১১ ডিসেম্বর ইংল্যান্ডের বান্সফিলএড-এ বৃহত্তম ওয়েল বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের মাত্রা ছিল ২.৪ এবং এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা ইউরোপে; যা মহাকাশ থেকেও দৃশ্যমান হয়। বান্সফিলএডের ওই বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ১২৫ মাইল দূর থেকেও শোনা গিয়েছিল। বৃহত্তম ওই ওয়েল ডিপোর একটি ট্যাঙ্কারে আকস্মিক বিস্ফোরণ ঘটে এবং প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার লিটার পেট্রল জ্বলে যায়। আর মুহূর্তেই ডিপোটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। আশ্চর্যজনকভাবে ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত নেদারল্যান্ডস এবং ফ্রান্সে এর প্রভাবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে স্থানীয় বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে যায়।

 

সীতাকুন্ড বিস্ফোরণ

চট্টগ্রাম : ২০২২

২০২২ সালের ৪ জুন, সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত ১১টায় চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার পর সারা রাত থেমে থেমে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলের আশপাশের অন্তত চার বর্গকিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। অনেকের ঘরের জানালার কাচ, দরজা ভেঙে যায়। বেশির ভাগ বাসার টেলিভিশন, রেফ্রিজারেটর ও বৈদ্যুতিক পাখা নষ্ট হয়ে যায়। কনটেইনার ডিপোতে ‘হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড’ নামের বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক থাকায় আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। বিস্ফোরণে পুরো এলাকায় কেমিক্যালের বিষাক্ত ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। কনটেইনার ডিপোতে এত বড় দুর্ঘটনা আগে ঘটেনি। ঘটনার পর পরই আগুন নেভাতে ও আহতদের উদ্ধারে নামে ফায়ার সার্ভিস। হতাহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার এবং নিরাপত্তা দলও। ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় অন্তত ৪৭ জন নিহত এবং প্রায় ৪৫০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

 

গুলিস্তান বিস্ফোরণ

ঢাকা : ২০২৩

সময় তখন ৪টা ৫০ মিনিট। সন্ধ্যা নামলে নেমে যেত দোকানের শাটার। ব্যস্ত নগরী প্রস্তুতি নিত পবিত্র শবেবরাতের। কিন্তু সন্ধ্যা নামার আগেই আচমকা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ঢাকার গুলিস্তান এলাকা। গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজার এলাকা নিমিষেই পরিণত হয় ধ্বংসস্তূপে। দেয়াল ভেঙে এসে পড়ে রাস্তায়। বহু মানুষ উড়ে এসে রাস্তায় পড়েছেন। সড়কে থাকা বহু গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পার্শ্ববর্তী ভবনগুলোও। ভেঙে পড়েছে অনেক ভবনের কাচ। বাসযাত্রী থেকে শুরু করে পথচারী পর্যন্ত আশপাশে থাকা সবাই হতাহত হয়েছেন। তারপর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে শুধুই আর্তনাদ আর অ্যাম্বুলেন্সের শব্দ। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ২০, আহত শতাধিক। বিস্ফোরণে আহতদের মধ্যে ঢামেক বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছে ৩০ জন। বিস্ফোরণের কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। র‌্যাব জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- বিস্ফোরণ ভবনের বেজমেন্ট থেকে হয়েছে। গ্যাস জমে কিংবা অন্য কোনোভাবে বিস্ফোরণ ঘটেছে।

এই বিভাগের আরও খবর
ডিজিটাল দুনিয়ায় কী আছে
ডিজিটাল দুনিয়ায় কী আছে
ফিলিপাইন থেকে আসা সেই পেট্রিয়াকা এখন জনপ্রতিনিধি
ফিলিপাইন থেকে আসা সেই পেট্রিয়াকা এখন জনপ্রতিনিধি
ফিরে গিয়ে সিলভা আর যোগাযোগ রাখেননি
ফিরে গিয়ে সিলভা আর যোগাযোগ রাখেননি
বিয়ে করতে সিলেটে উড়ে এলেন ব্রাজিলিয়ান তরুণী
বিয়ে করতে সিলেটে উড়ে এলেন ব্রাজিলিয়ান তরুণী
হোগল-রহিমার অবাক প্রেমে মুগ্ধ সবাই
হোগল-রহিমার অবাক প্রেমে মুগ্ধ সবাই
প্রেমের টানে বাংলাদেশে
প্রেমের টানে বাংলাদেশে
পোপের প্রভাব বিশ্বজুড়ে
পোপের প্রভাব বিশ্বজুড়ে
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের  সংসার
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের সংসার
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
সর্বশেষ খবর
গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে: সারজিস
গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে: সারজিস

৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

আগামী ২০ বছরের মধ্যে সব সম্পদ বিলিয়ে দেবেন বিল গেটস
আগামী ২০ বছরের মধ্যে সব সম্পদ বিলিয়ে দেবেন বিল গেটস

৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণসমাবেশে ছাত্রজনতার ঢল
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণসমাবেশে ছাত্রজনতার ঢল

২৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

বিলবাওকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ফাইনালে ম্যানইউ
বিলবাওকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ফাইনালে ম্যানইউ

২৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

যেখান থেকেই ইরানি স্বার্থে আঘাত আসবে, সেখানেই পাল্টা হামলা হবে
যেখান থেকেই ইরানি স্বার্থে আঘাত আসবে, সেখানেই পাল্টা হামলা হবে

৩০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল
সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল

৩৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জুলাই শহীদের কন্যাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
জুলাই শহীদের কন্যাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভারতের ৭৭ ড্রোন ভূপাতিতের দাবি পাকিস্তানের
ভারতের ৭৭ ড্রোন ভূপাতিতের দাবি পাকিস্তানের

৫৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চুল পরিষ্কার না হওয়ার লক্ষণ
চুল পরিষ্কার না হওয়ার লক্ষণ

৫৪ মিনিট আগে | জীবন ধারা

পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলার পরামর্শ
পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলার পরামর্শ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনাকে হত্যার দাবি হামাসের
বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনাকে হত্যার দাবি হামাসের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে হামলায় নবজাতকসহ নিহত ৫
পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে হামলায় নবজাতকসহ নিহত ৫

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাথাব্যথার কারণ ও প্রতিকার
মাথাব্যথার কারণ ও প্রতিকার

১ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

কুবিতে টেন্ডার কেলেঙ্কারি : প্রায় ১০ লাখ টাকা লোকসান
কুবিতে টেন্ডার কেলেঙ্কারি : প্রায় ১০ লাখ টাকা লোকসান

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

শ্রীলঙ্কায় সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৬
শ্রীলঙ্কায় সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৬

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুম হওয়া বিএনপি নেতার বাসায় পুলিশ, এসআইকে প্রত্যাহার
গুম হওয়া বিএনপি নেতার বাসায় পুলিশ, এসআইকে প্রত্যাহার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যমুনার সামনেই জুমা পড়লেন আন্দোলনকারীরা
যমুনার সামনেই জুমা পড়লেন আন্দোলনকারীরা

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মাদারীপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
মাদারীপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুসলমানের জীবনযাপনে শালীনতা
মুসলমানের জীবনযাপনে শালীনতা

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ
যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাভারে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে ট্রাকের ধাক্কা, প্রাণ গেল দুইজনের
সাভারে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে ট্রাকের ধাক্কা, প্রাণ গেল দুইজনের

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেলিম গ্রেফতার
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেলিম গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ, তৈরি হচ্ছে মঞ্চ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ, তৈরি হচ্ছে মঞ্চ

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি
রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: শত শত মানুষকে সরিয়ে নিলো ভারত
সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: শত শত মানুষকে সরিয়ে নিলো ভারত

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খায়রুজ্জামান লিটনের সাবেক এপিএস স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা টিটু আটক
খায়রুজ্জামান লিটনের সাবেক এপিএস স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা টিটু আটক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জের হত্যা মামলায় কারাগারে আইভী
সিদ্ধিরগঞ্জের হত্যা মামলায় কারাগারে আইভী

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান
উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান
‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
চীনের তৈরি বিমান দিয়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান
চীনের তৈরি বিমান দিয়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'পাকিস্তান আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলে সারা পৃথিবী জানবে'
'পাকিস্তান আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলে সারা পৃথিবী জানবে'

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ জম্মুতে পরপর বিস্ফোরণ, দাবি ভারতের
পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ জম্মুতে পরপর বিস্ফোরণ, দাবি ভারতের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করার দাবি ভারতের
পাকিস্তানের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করার দাবি ভারতের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের ৪০-৫০ সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানি মন্ত্রীর
ভারতের ৪০-৫০ সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানি মন্ত্রীর

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: একজন প্রত্যাহার, দু’জন বরখাস্ত
আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: একজন প্রত্যাহার, দু’জন বরখাস্ত

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার
সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি
রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত এই মুহূর্তে পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে চায় না: রাজনাথ সিং
ভারত এই মুহূর্তে পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে চায় না: রাজনাথ সিং

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ
পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান
‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান
উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইভীকে আটকে অভিযান, রাস্তা অবরোধে সমর্থকরা
আইভীকে আটকে অভিযান, রাস্তা অবরোধে সমর্থকরা

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সংবাদ সম্মেলনে যেসব বিষয় এড়িয়ে গেলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
সংবাদ সম্মেলনে যেসব বিষয় এড়িয়ে গেলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সত্যিই কি পরমাণু যুদ্ধে জড়াবে ভারত-পাকিস্তান? যা ছিল পুরনো মার্কিন গবেষণায়!
সত্যিই কি পরমাণু যুদ্ধে জড়াবে ভারত-পাকিস্তান? যা ছিল পুরনো মার্কিন গবেষণায়!

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিরস্কারের পর চয়নিকা চৌধুরীকে জামিন দিলেন আদালত
তিরস্কারের পর চয়নিকা চৌধুরীকে জামিন দিলেন আদালত

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ
যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের
ভারতের সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও’র দায়িত্ব ছাড়লেন মীর স্নিগ্ধ
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও’র দায়িত্ব ছাড়লেন মীর স্নিগ্ধ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ
নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত : সাতক্ষীরার ১৩৮ কিমি সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত : সাতক্ষীরার ১৩৮ কিমি সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’ : যুক্তরাষ্ট্র
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’ : যুক্তরাষ্ট্র

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিমনিতে সাদা ধোঁয়া, ভ্যাটিকান পেল নতুন পোপ
চিমনিতে সাদা ধোঁয়া, ভ্যাটিকান পেল নতুন পোপ

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনর্গল ইংরেজি’ বলার দক্ষতা ছাড়া যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে থাকা যাবে না
‘অনর্গল ইংরেজি’ বলার দক্ষতা ছাড়া যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে থাকা যাবে না

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হঠাৎ 'ব্ল্যাকআউট', মাঝপথে পরিত্যক্ত আইপিএল ম্যাচ
হঠাৎ 'ব্ল্যাকআউট', মাঝপথে পরিত্যক্ত আইপিএল ম্যাচ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এএসপি পলাশ সাহার বাড়িতে শোকের মাতম
এএসপি পলাশ সাহার বাড়িতে শোকের মাতম

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ, ভয়ের কোন কারণ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ, ভয়ের কোন কারণ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইরান
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইরান

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা : নাহিদ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা : নাহিদ

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
বাবাকে হত্যা করে পুলিশে ফোন মেয়ের
বাবাকে হত্যা করে পুলিশে ফোন মেয়ের

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রস্তাবে চার জাতির পিতা
প্রস্তাবে চার জাতির পিতা

প্রথম পৃষ্ঠা

হামিদের দেশত্যাগে তোলপাড়
হামিদের দেশত্যাগে তোলপাড়

প্রথম পৃষ্ঠা

সচিবালয়ে সমাবেশ, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সচিবালয়ে সমাবেশ, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

পেছনের পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজধারীরা আসতে পারবেন বিএনপিতে
আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজধারীরা আসতে পারবেন বিএনপিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ জিম বসুন্ধরায়
দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ জিম বসুন্ধরায়

মাঠে ময়দানে

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তছনছ জীবন
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তছনছ জীবন

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আলোর মুখ দেখছে না তদন্ত প্রতিবেদন
আলোর মুখ দেখছে না তদন্ত প্রতিবেদন

নগর জীবন

চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলায় গুরুত্ব সেনাপ্রধানের
চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলায় গুরুত্ব সেনাপ্রধানের

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐকমত্য গঠনে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরুর তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার
ঐকমত্য গঠনে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরুর তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

ফের হামলায় যুদ্ধবিমান ড্রোন
ফের হামলায় যুদ্ধবিমান ড্রোন

প্রথম পৃষ্ঠা

তারিক-শিহাব-মিথিলার দৃষ্টিতে সেরা কে
তারিক-শিহাব-মিথিলার দৃষ্টিতে সেরা কে

শোবিজ

প্রথম আলোর প্রতিবাদ এবং আমাদের বক্তব্য
প্রথম আলোর প্রতিবাদ এবং আমাদের বক্তব্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ন্যায়বিচার হলে কোনো জালিম এ দেশে আসবে না
ন্যায়বিচার হলে কোনো জালিম এ দেশে আসবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

মামলার রায় ঘোষণা শুরু
মামলার রায় ঘোষণা শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতির ধারাবাহিকতা চান গভর্নর
মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতির ধারাবাহিকতা চান গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

আইসিসিবিতে শুরু হলো চিকিৎসা খাদ্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী
আইসিসিবিতে শুরু হলো চিকিৎসা খাদ্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী

নগর জীবন

এ অচলায়তন ভাঙতে হবে
এ অচলায়তন ভাঙতে হবে

সম্পাদকীয়

পলাশের বাড়িতে মাতম
পলাশের বাড়িতে মাতম

পেছনের পৃষ্ঠা

ফিরিয়ে আনা হচ্ছে রিশাদ-নাহিদকে
ফিরিয়ে আনা হচ্ছে রিশাদ-নাহিদকে

মাঠে ময়দানে

বড় ধরনের কোনো যুদ্ধের আশঙ্কা নেই
বড় ধরনের কোনো যুদ্ধের আশঙ্কা নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে বিনামূল্যে ২১ রোগীর অপারেশন
বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে বিনামূল্যে ২১ রোগীর অপারেশন

নগর জীবন

সংবাদে হাসিনাকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ উল্লেখ, পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর আগুন
সংবাদে হাসিনাকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ উল্লেখ, পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর আগুন

নগর জীবন

মানবিক করিডর প্রক্রিয়ায় চীন যুক্ত নয়
মানবিক করিডর প্রক্রিয়ায় চীন যুক্ত নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-মালদ্বীপ মুখোমুখি আজ
বাংলাদেশ-মালদ্বীপ মুখোমুখি আজ

মাঠে ময়দানে

সুন্দরবনে হরিণের মাংস জব্দ
সুন্দরবনে হরিণের মাংস জব্দ

দেশগ্রাম

বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খাত হুমকিতে
বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খাত হুমকিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

আইভীকে আটকে অভিযান, অবরুদ্ধ দেওভোগ
আইভীকে আটকে অভিযান, অবরুদ্ধ দেওভোগ

পেছনের পৃষ্ঠা

মোহামেডানের দরকার ৪৩
মোহামেডানের দরকার ৪৩

মাঠে ময়দানে