সাবান তৈরির মূল উপাদান পানি, ছাই এবং প্রাণী বা উদ্ভিদের ফ্যাট। এ তিনটি জিনিস একত্রে একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। সে বিক্রিয়া থেকে আলাদা এক জিনিসে পরিণত হয় যাকে আমরা সাবান বলি।
যখন সাবান তৈরির জন্য রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে তখন দুই ধরনের অণু তৈরি হয়। সাবানের দুটি ধরনের অণু, এক হাইড্রোফোবিক এবং দুই হাইড্রোফিলিক।
হাইড্রোফোবিক অণুগুলো সাধারণত হাত বা দেহের ময়লা এবং তেল ধরে রাখে। আর হাইড্রোফিলিক অণুগুলো সুড বা লাথার তৈরি করে পানির সঙ্গে মিশে যায়। এ দুই ধরনের অণু শরীর থেকে ময়লা সরিয়ে নিয়ে যায়। অদ্ভুত না ব্যাপারটা! চল একটা পরীক্ষার মাধ্যমে দেখে নেওয়া যাক-
যা যা লাগবে :
► প্লেট বা গোলাকার কেক প্যান
► দুধ (সম্পূর্ণ তরল দুধ)
► দুই-তিন ধরনের তরল খাবারের রং
► ডিশ সাবান।
যা করতে হবে :
১. একটি প্লেট বা কেক প্যানে সাবধানে পর্যাপ্ত পরিমাণ দুধ ঢেলে নাও। (যাতে দুধ সাইড গড়িয়ে না পড়ে যায়।)
২. দুধের মধ্যে দুই/তিন ফোঁটা খাবারের রং দাও। দুধগুলোকে খুব বেশি নাড়াচাড়া না করে এতে রং মেশাতে থাক।
৩. সাবধানে দুধের প্লেটের একদম মাঝামাঝি এক/দুই ফোঁটা ডিশ সাবান দাও।
৪. দেখবে রংগুলো দুধে মিশে হারিয়ে যাচ্ছে।
দুধ, পানি, চর্বি- খনিজ ও প্রোটিনে তৈরি। তাই সাবান দুধকে স্পর্শ করলে চর্বি অন্যান্য জিনিস থেকে দূরে সরে যায় এবং চুম্বকের মতো সাবানের দিকে চলে আসে।