ভোলায় মাকে গলা কেটে এবং মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলার দৌলতখান উপজেলার পশ্চিম জয়নগর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের দুদু মিয়া পাটোয়ারির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই বাড়ির নিজ বসতঘর থেকে মা শাহনাজের (৩০) গলা কাটা ও অগ্নিদগ্ধ এবং ৯ মাস বয়সী মেয়ে মোহনার অগ্নিদগ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল ভোরে দৌলতখান থানার ওসি ওই লাশ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত শাহনাজের স্বামী ট্রাকচালক বিল্লাল হোসেনকে পুলিশ আটক করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, স্বামী বিল্লাল স্ত্রীকে হত্যা করে ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে বিষয়টিকে অগ্নিকাণ্ড বলে চালানোর চেষ্টা করেছিলেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্বামী বিল্লালের পরকীয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্ত্রী শাহনাজের সঙ্গে পারিবারিক কলহ চলছিল। শুক্রবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে বিল্লাল তার স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। পরে বিষয়টিকে অগ্নিকাণ্ড বলে চালানোর উদ্দেশ্যে নিহত শাহনাজকে কাঁথায় মুড়ে ওই কাঁথায় কেরসিন দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে বিল্লাল তার ছয় বছর বয়সী ছেলে মেহেদিকে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আগুন আগুন বলে চিৎকার করতে থাকে। এ সময় প্রতিবেশী ও আশপাশের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ৯ মাস বয়সী মেয়ে মোহনাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে বিল্লাল তার ছেলে মেহেদিকে দাদির কাছে রেখে নিজে এসে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। খবর পেয়ে দৌলতখান থানার পুলিশ গতকাল ভোরে গিয়ে নিহত মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে। ভোলার পুলিশ সুপার মোকতার হোসেন জানান, স্ত্রী-কন্যাকে হত্যার অভিযোগে বিল্লালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পারিবারিক কলহের জের ধরে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে বিল্লাল।