শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৭

হোয়াইট হাউসের কথা

তানভীর আহমেদ
প্রিন্ট ভার্সন
হোয়াইট হাউসের কথা

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে রয়েছে হোয়াইট হাউস। ধবধবে সাদা এ বাড়িটি একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের অফিস ও তার পরিবারের বাসস্থান। হোয়াইট হাউসের ভিতরকার ছবি ও খবর নিয়ে মানুষের কৌতূহল কম নয়। দেশ-বিদেশের পর্যটকরাও বেড়াতে আসেন এখানে। বিশ্বনেতা ও তারকাদের আপ্যায়ন অনুষ্ঠানেও জমে উঠে হোয়াইট হাউস। হোয়াইট হাউসের ভিতরে ভূতের উৎপাত রীতিমতো বিশ্বজুড়ে আলোচিত। ধর্মীয় ও জাতীয় উৎসবে হোয়াইট হাউসের চিত্র একেবারেই পাল্টে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের অফিসের ভাবগাম্ভীর্য ঠিক রেখেই এখানে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করা হয়। কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে হোয়াইট হাউস বিশ্ববাসীর কৌতূহলে সব সময়ই ভিন্ন আবেদন রাখে—

 

টার্গেট যখন হোয়াইট হাউস

বিভিন্ন সময় আন্দোলনকারী, সন্ত্রাসীদের টার্গেট হয়েছে হোয়াইট হাউস। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের অফিস ও তার পরিবারের বাসভবন বলেই কঠোর নিরাপত্তায় মোড়ানো থাকে হোয়াইট হাউস। তবু নানা সময় নিরাপত্তার ফাঁক গলে সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে এখানে। ১৮৪০ সালে এক নেশাগ্রস্ত লোক প্রেসিডেন্টকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মেরেছিলেন। ১৯১২ সালে মাইকেল উইন্টার হামলা করেছিলেন এখানে। প্রথমবার নিরাপত্তা গেট অতিক্রম করার সময় রক্ষীরা ছেড়ে দিলেও কয়েক মিনিট পরই লোকটি আবারও অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেন। এবার আর ছাড় দেওয়া হয়নি। গ্রেফতার করা হয় এবং তার পকেট থেকে ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়। ছুরি নিয়ে প্রবেশের সময় ধরা পড়ার পর বড় ঘটনা ঘটে ১৯৭৬ সালে। হোয়াইট হাউসে অনুপ্রবেশের সময় প্রথম গুলি বিদ্ধের ঘটনাটি ঘটে সে বছর। চেস্টার প্লাম্মার নামে এক ট্যাক্সিচালক হোয়াইট হাউসের ৮ ফুট দেয়াল টপকানোর চেষ্টা করেন। ঠিক সেই মুহূর্তে প্রেসিডেন্টের গুপ্তচর তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। মার্কিন মুদ্রা থেকে ‘ইন গড উই ট্রাস্ট’ কথাটি মুছে ফেলতে অ্যান্থনি হেনরি নামে এক ব্যক্তি কারাতে স্যুট পরিহিত অবস্থায় হাতে বাইবেল নিয়ে হোয়াইট হাউসে প্রবেশের চেষ্টা করেন। ১৯৯৪ সালের অক্টোবরে ফ্রান্সিসকো মার্টিন ডুরান ভবনটি লক্ষ্য করে ২৯ রাউন্ড গুলি ছোড়েন। এ সময় তিনিও গ্রেফতার হন। তার ৪০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০০১ সালে প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ তখন ব্যক্তিগত বাসভবন থেকে কয়েক ফুট দূরে ছিলেন। রবার্ট পিকেট নামে আইআরএসের সাবেক অ্যাকাউন্ট্যান্ট হোয়াইট হাউস লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়েন। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দশ মিনিটের মাথায় গোয়েন্দা সংস্থার লোকদের হাতে তিনি গ্রেফতার হন।  ২০১১ সালের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে খ্রিস্টবিরোধী বলে ৮ রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান অস্কার রামেরিও নামের এক ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় পেনসিলভেনিয়ার এক হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ২৫ বছরের জেল দেওয়া হয়। ২০১৩ সালের ৯ জুনের ঘটনা, জোসেফ ক্রিফোর্ড নামের এক ব্যক্তি অদ্ভুত ঘটনা ঘটান। একটি চালকবিহীন জিপ দিয়ে হোয়াইট হাউসের সিকিউরিটি গেটে আঘাত করেন। পরে অবশ্য তিনি নিজেকে বায়োপোলার ডিস অর্ডার রোগী বলে দাবি করেন। তবে সেটা ধোপে টেকেনি। তাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

 

হোয়াইট হাউস সামলানো চাট্টিখানি কথা নয়

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর নতুন করে ক্ষমতায় আসা প্রেসিডেন্টের জন্য অপেক্ষা করে নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ। বিশ্বের অন্যতম সুষ্ঠু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার পালাবদল হলেও গত দশকেও অবস্থা ছিল ভিন্ন। বারাক ওবামা যখন ক্ষমতায় আসেন তখন থেকেই শান্তিপ্রিয় একটি পরিবেশের মাধ্যমে হোয়াইট হাউসের দায়ভার নতুন প্রেসিডেন্টের হাতে পৌঁছানোর চিত্রগুলো লোকের চোখে পড়ে। তবে হয়রানি এলো কোথা থেকে— এমন প্রশ্ন জাগতেই পারে। হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট বুশের আগমনের ইতিহাসটা তবে জানা যাক। ২০০০ সালে সামান্য ব্যবধানে রিপাবলিকান জর্জ ডব্লিউ বুশ জয়লাভ করেন। হোয়াইট হাউসে তিনি এলেন। এসে রীতিমতো ভিরমি খেলেন তিনি। পুরো হোয়াইট হাউসের ভিতরে নানা ধরনের ফাঁদ পাতা রয়েছে, পা দিলেই বোকার মতো ফেঁসে যেতে হবে। এ ছাড়া মজা করার নামে হেনস্তা হতে হবে, সে আয়োজনও ভালো মতোই করা আছে। জিনিসপত্র ভেঙেচুরে রাখা হয়েছে। অভিযোগের তীর ছিল ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের স্টাফদের দিকে। হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাওয়ার আগে এই কাণ্ড করে গেছেন তারা। হোয়াইট হাউসে পুরুষদের বাথরুমে দেখা গেছে কারা যেন দেয়ালে নানা ধরনের কথা লিখে রেখে গেছেন। আক্রমণাত্মক এবং অশ্লীল কথাবার্তায় ভরা ছিল সেসব। অফিসের ডেস্কগুলোরও বেহাল দশা। তৈলাক্ত এবং আঠালো কিছু একটা জিনিস ঢেলে সব নষ্ট করে রেখে গেছেন। বাদ যায়নি টেলিফোনের অ্যানসারিং মেশিনও। সেখানেও রেকর্ড করে রাখা হয়েছে অশ্লীল বার্তা। হয়রানির এখানেই শেষ নয়। বেশকিছু কম্পিউটারের কিবোর্ড থেকে ডব্লিউ অক্ষরটা খুলে নেওয়া হয়েছে। যেগুলোতে ডব্লিউ অক্ষরটি ছিল ওটাকে চেপে উল্টো করে আটকে দেওয়া হয়েছে। একটি বিশেষ ঘরে টেলিফোন এক্সটেনশন কাজ করছিল না। শুধু জর্জ ডব্লিউ বুশই নন, হোয়াইট হাউসে প্রথম প্রথম সব প্রেসিডেন্টকেই এ ধরনের হয়রানির মধ্যে পড়তে হয়। সর্বোচ্চ স্তরে ফেডারেল সরকারের যে ২ হাজার পদ আছে— একজন নতুন প্রেসিডেন্ট এসেই এতে পরিবর্তন আনেন। হোয়াইট হাউস সামলানো যে চাট্টিখানি কথা নয়, সেটা বুঝতে বাকি থাকার কথা নয় নিশ্চয়ই।

 

ভূতের উৎপাত

নির্জন, প্রায় ধ্বংসের মুখে থাকা জঙ্গলবাড়িতে ভূতের উৎপাতের কথা হরহামেশাই শোনা যায়। ভূতের হাঁটাচলা, নাকি কান্না, গান আর ছোটাছুটির গল্প মুখে মুখে ছড়িয়েছে বিভিন্ন সময়। কখনো প্রমাণ না মিললেও ভূতের দেখা পেয়েছেন এমন দাবি করা মানুষের সংখ্যা কিন্তু কম নয়। তাই বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে ভূতের উৎপাত! এ তো একটু বাড়াবাড়িই হয়ে গেল। তবে এ কথা আমেরিকানদের বোঝাতে আসবেন না। ভূতের ব্যাপারে তারা মজা করতেও আগ্রহী নয়। আর সেটা যদি হয় হোয়াইট হাউসের ভূত তাহলে কথা ওখানেই থাক। হ্যাঁ, হোয়াইট হাউসে ভূতের বাড়াবাড়ি রকমের উৎপাতের গুজব এখন আর গুজব নয়। স্রেফ ভয় দেখানো আর ভয় পাওয়ার উপসঙ্গও নয়। সত্যি সত্যি হোয়াইট হাউসে ভূতের উৎপাতের কথা জানিয়েছেন সেখানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রাত গহিনে ভূতের আনাগোনা বাড়ে এখানে। বিশাল প্রাসাদের বাড়িটা রাতের আঁধারে গা ছমছমে পরিবেশ তৈরি করে। মানুষের ব্যস্ততা কমে গেলে বাড়ির ভিতরে গুমোট পরিবেশ তৈরি হয়। সামান্য শব্দেই গায়ে কাঁটা দেয়। হোয়াইট হাউসের সবচেয়ে জনপ্রিয় অথবা ভয় জাগানিয়া ভূত আর কেউ নন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন। আব্রাহাম লিংকন ঘোড়ায় চড়ে এই বাড়িতে প্রবেশ করেন মধ্যরাত পেরিয়ে গেলেই। তারপর নাকি ঘুরে বেড়ান বাগান আর বাড়ির অলিগলি। ভূতের যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে আরেক প্রেসিডেন্ট হেনরি ট্রুম্যান তার স্ত্রীকে লিখেছিলেন, ‘আমি পৃথিবীর এক জঘন্য জায়গায় থাকি’। পৃথিবীর অন্যতম শক্তিধর রাষ্ট্রের রাষ্ট্রনায়কের এ চিঠি নিয়ে পরবর্তীতে বিশ্লেষণ করে অনেকেই মনে করেছেন, হয়তো ভূতের যন্ত্রণায় কাবু তিনি। হোয়াইট হাউসের ভূতের গল্প এখানকার কর্মচারীদের মুখে মুখে। প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম হেনরি হ্যারিসন এখনো হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বসে আছেন! এটা কোনো কথা? কে না জানে, তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অফিসেই মারা গিয়েছিলেন। এ কথা শুনে, সবাই ছুটে যান চিলেকোঠায়। কিন্তু সেখানে এবার তাকে দেখা গেল না। ছায়ামানুষের উৎপাত হোয়াইট হাউসে তাই বলে থামেনি। আরেকটা ঘটনা বলা যেতে পারে। ১৯৭০ সাল। হঠাৎই প্রেসিডেন্ট হেনরি ট্রুম্যানের দেহরক্ষী হঠাৎ ছুটতে শুরু করলেন। তিনি স্পষ্ট শুনতে পেলেন কেউ একজন বার বার চিৎকার করে বলছেন, ‘আই অ্যাম ডেভিড বার্ন’। কে এই ডেভিড বার্ন? কেউ জানে না, তাকে খুঁজেও পাওয়া যায়নি। হোয়াইট হাউসের জমির মালিক ছিলেন এই ডেভিড বার্ন। মরে গিয়েও বেচারা হোয়াইট হাউসের মায়া ছাড়েননি। যেখানে প্রেসিডেন্টের প্রেস কনফারেন্স হয় সেখানের ছবি অনেকেরই চেনা। জায়গাটার নাম রোজ গার্ডেন। ১৮ শতকের ফার্স্ট লেডি রোজ গার্ডেন প্রতিষ্ঠা করেন। এর এক শতক পর ফার্স্ট লেডি ইলেন উইলসন গার্ডেনটি উত্খাতের নির্দেশ দেন। সে বাগানে যারা কাজ করেন, তারা বলাবলি করতে লাগলেন ডলি মেডিসনের আত্মা নাকি গার্ডেনে ঘুরে বেড়ায়। হোয়াইট হাউসের বেজমেন্টেও অতৃপ্ত আত্মা ঘুরে বেড়ানোর বদনাম রয়েছে। ১৯৫০ সালে হোয়াইট হাউসের বেজমেন্ট পুনর্নির্মাণের সময় সেখানে বিশাল আকৃতির বিড়াল দেখা যায়। অনেকে আবার ছোট বিড়াল ছানা দেখতে পান। প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান একবার বলেছিলেন, আব্রাহাম লিংকন নাকি তার দরজায় কড়া নেড়েছিলেন। ২০০২ সালের একটি ঘটনায় সাড়া পড়ে যায়। সেবার হোয়াইট হাউসে আগত অতিথিরা দোতলার পশ্চিম দিকের রুমেও অ্যাডামসের স্ত্রী এবিগেইলকে দেখেন। আরেকবার দেখা গেছে এক ব্রিটিশ সেনাকে। ১৮১২ সালের যুদ্ধের সময় এই ব্রিটিশ সেনা যে ঘরে আগুন দিতে চেয়েছিলেন, সে ঘরেই তাকে দেখা যায়। আরেকবার প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসনের মেয়ে লিন্ডার দাবি, তিনি নাকি প্রেসিডেন্ট লিংকনের ছেলে উইলিকে দেখেছেন। আশ্চর্যের বিষয় হলো, উইলি মাস্টার বেডরুমটিতে বেশি সময় থাকতেন এবং এখানেই মারা যান। দ্য ইয়েলো ওভাল রুমটি প্রেসিডেন্ট লিংকনের ব্যক্তিগত লাইব্রেরি ছিল। অনেকে বলেন, রুমটির জানালায় প্রায়ই লিংকন দাঁড়িয়ে থাকেন। ফার্স্ট লেডি গ্রেস ক্লোজিও একই দাবি করেছিলেন। ভৌতিক রহস্য থেকে হোয়াইট হাউসের সদর দরজাটিও বাদ যায়নি। অনেকে বলেন, ব্রিটিশ সেনারা নাকি এখনো তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন!

 

গোপন টানেল

১৯৫০ সালের দিকে ট্রুম্যানের আদেশে গোপন টানেল নির্মাণে মনোযোগী হয়। নতুন করে নিরাপত্তাব্যবস্থা সাজানো হয় সে সময়। এজন্য বড় ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। যেটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে তাতে মাটির নিচে হোয়াইট হাউসের গোপন অংশ ছিল রীতিমতো কল্পকথার মতো। হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগনের সঙ্গে এই গোপন টানেলের যোগ থাকতে পারে বলে সন্দেহ করেছেন অনেকে। কংক্রিট ও ইস্পাতের বিম দিয়ে মাটির নিচে এই নির্মাণযজ্ঞ চলে। হোয়াইট হাউসের পূর্ব ও পশ্চিমের দালানগুলোর সঙ্গেও নতুন করে গোপন করিডর তৈরি করা হয় বলে ধারণা করা হয়। এ ছাড়া নির্মাণ করা হয় বোম্ব শেল্টার। ভয়াবহ পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণেও এই সুরক্ষিত ঘর প্রেসিডেন্ট ও রাষ্ট্রীয় শীর্ষ কর্মকর্তাদের আশ্রয় দেবে। ১৯৮৭ সালে আরও কিছু গোপন টানেল নির্মাণের দাবি করেছেন অনেকে। সেবার ওভাল অফিসের যেখানে প্রেসিডেন্ট বসেন তার পায়ের নিচেই এই গোপন টানেল নির্মাণের কথা জানা যায়।

 

হোয়াইট হাউস সাদা কেন?

হোয়াইট হাউসের নাম কিন্তু প্রথমে হোয়াইট হাউস ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বাসভবন ও সরকারি অফিস বলে একে প্রেসিডেন্টস প্যালেস, প্রেসিডেন্টস হাউস এক্সিকিউটিভ ম্যানশন... এমন বহু নামেই ডাকা হতো। ১৭৯২ সালে এই প্রাসাদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। শেষ হয় ১৮০০ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রাসাদ হিসেবে একে আখ্যায়িত করা হতো তখন। সে সময়ই হোয়াইট হাউসের নির্মাণ ব্যয় ছিল ২ লাখ ৩২ হাজার ডলারেরও বেশি। জন্মসূত্রে আয়ারল্যান্ডের অধিবাসী জেমস হোবান এর নকশা তৈরি করেন। তখন বিল্ডিংটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছিল ধূসর রঙের পাথর। তাই হোয়াইট হাউস যে সাদা রঙের ছিল না, এ কথা স্পষ্ট। অবশ্য শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়। নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার ১২ বছর পরের কথা। ১৮১২ সালে ইংল্যান্ডের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধ চলাকালে ১৮১৪ সালের ২৪ আগস্ট ব্রিটিশ সেনাবাহিনী হোয়াইট হাউস জ্বালিয়ে দেয়। বেশ ভালোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ভবনটি।  জেমস হোবানের পরামর্শ মতো আবার এটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। শেষ হয় ১৮১৭ সালে। পোড়া দাগে ভবনটিকে চেনাই দায় ছিল। যে কারণে নির্মাণ কাজের শেষ পর্যায়ে নতুন রং লাগানো হয়। বিল্ডিংটির বিভিন্ন জায়গায় তখন আগুন ও ধোঁয়ার দাগ ঢাকতে এর দেয়ালে সাদা রং দেওয়া হয়। ধবধবে সাদা এই বাড়িকে তখন থেকেই ‘হোয়াইট হাউস’ বা সাদা বাড়ি বলে ডাকেন অনেকে। অবশ্য সরকারিভাবে হোয়াইট হাউস নামের প্রবর্তন হয় আরও পরে। প্রায় ৮৫ বছর। ১৯০১ সালে আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট থিয়েডোর রুজভেল্ট সরকারিভাবে বিভিন্ন কাগজপত্রে এই নামটি ব্যবহার করেন।

 

সাদা বাড়িতে কত কী!

►  হোয়াইট হাউসে ১৩২টি কক্ষের পাশাপাশি ১৬টি পরিবার থাকার আয়োজন রয়েছে। রান্নাঘরেরও রয়েছে নানা ভাগ। একটি মূল রান্নাঘর, একটি ডায়েট কিচেন ও অন্যটি পারিবারিক রান্নাঘর।

►  হোয়াইট হাউসে ১৩২টি কক্ষ, ৩৫টি গোসলখানা রয়েছে।

►   ছয়তলা উঁচু হোয়াইট হাউসে ৪১২টি দরজা, ১৪৭টি জানালা, ২৮টি ফায়ারপ্লেস, ৮টি সিঁড়ি এবং ৩টি লিফট রয়েছে। এখানে কাজ করেন ১৭ হাজার কর্মী ও কর্মকর্তা।

►   প্রেসিডেন্ট জেমস পোলক হোয়াইট হাউসে প্রথম ছবি তোলেন। প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট প্রথম হোয়াইট হাউসে মোটরগাড়ি চালিয়ে আসেন। তিনি প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ভ্রমণে গিয়েছিলেন। অবশ্য প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টও আরেকটি প্রথমের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন। তিনি প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি বিমানে চড়েন।

►   হোয়াইট হাউসে সুবিশাল একটি রান্নাঘর রয়েছে। প্রতিবার এই রান্নাঘর থেকে ১৪০ জন অতিথিকে রাতের খাবার আপ্যায়নের সমপরিমাণ সক্ষমতা রয়েছে। একবারে ১ হাজার জন অতিথিকে নাস্তা করানোর ব্যবস্থাও এখানে রয়েছে।

►   পুরো হোয়াইট হাউসের বাইরের দেয়ালে রং করতে ৫৭০ গ্যালন রঙের প্রয়োজন হয়।

►   প্রতি সপ্তাহে হোয়াইট হাউসে ৩০ হাজারের বেশি দর্শনার্থী যান। এ ছাড়া সপ্তাহব্যাপী ৬৫ হাজার চিঠি, প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ফোনকল, ১ লাখ ই-মেইল এবং ১ হাজার ফ্যাক্স হোয়াইট হাউসের ঠিকানায় আসে।

►   ভবনটিতে একটি সিনেমা থিয়েটার, বোলিং খেলার ব্যবস্থা, ইনডোর এবং আউটডোর পুল, বিলিয়ার্ড এবং পিংপং টেবিলসহ একটি খেলার রুম, জগিং ট্র্যাক এবং টেনিস কোর্ট রয়েছে।

 

অন্যরকম

►   এ বছরের শুরুতে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানান, হোয়াইট হাউসের পশ্চিম বিল্ডিংয়ে ইঁদুরের উৎপাতে থাকা দায়। এ ছাড়া হোয়াইট হাউস নেভি কক্ষেও পেস্ট কন্ট্রোলের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

►   হোয়াইট হাউসের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তাই রয়েছেন যিনি প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় টিভি অনুষ্ঠান রেকর্ড করে রাখেন। অফিশিয়াল ও ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকায় কোনো অনুষ্ঠান মিস করলে সেটি পরে দেখে নেন তারা।

►   হোয়াইট হাউসের বেজমেন্টে প্রেসিডেন্ট পরিবারের দাঁতের চিকিৎসায় ব্যক্তিগত ডেন্টিস্টের জন্য রয়েছে অফিস।

►   হোয়াইট হাউসের ক্ষমতার পালাবদলে প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবারকে হোয়াইট হাউস ছাড়তে সময় লাগে মাত্র ৬ ঘণ্টা। ৯৩ জন্য কর্মী মালপত্র গুটিয়ে নিতে সাহায্য করেন।

 

►   দুনিয়া কাঁপানো ছবিগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয় এই ছবিটিকে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ও রক গায়ক এলভিস প্রিসলি হাত মিলিয়েছিলেন। ১৯৭০ সালের ঘটনা। আমেরিকার সবচেয়ে জনপ্রিয় গায়ক, রক অ্যান্ড রোলের জনক এলভিস প্রিসলির বয়স তখন ৩৫। তিনি হাজির হন যুক্তরাষ্ট্রের সে সময়কার প্রেসিডেন্ট নিক্সনের বাসভবন হোয়াইট হাউসে। পরবর্তীতে ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছিল তাকে। ইউএসএ ন্যাশনাল আর্কাইভ হিস্টোরিতে এই ছবিটিকে মোস্ট রিকুয়েস্টেড ফটোগ্রাফ হিসেবে সম্মান জানানো হয়।

এই বিভাগের আরও খবর
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা
ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা
দেশে দেশে কোরবানি
দেশে দেশে কোরবানি
ত্যাগের মহিমাময় কোরবানি যেন নষ্ট না হয়
ত্যাগের মহিমাময় কোরবানি যেন নষ্ট না হয়
পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা
পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা
হারিয়ে গেল ক্যাপ্টেন সিতারা
হারিয়ে গেল ক্যাপ্টেন সিতারা
আশিরের বিমান থেকে ড্রোন
আশিরের বিমান থেকে ড্রোন
দাপিয়ে চলছে মন্টু মিয়ার আজব ভ্যান
দাপিয়ে চলছে মন্টু মিয়ার আজব ভ্যান
বাংলার মাটি থেকে রকেট যাবে মহাকাশে
বাংলার মাটি থেকে রকেট যাবে মহাকাশে
দেশজুড়ে যত উদ্ভাবন
দেশজুড়ে যত উদ্ভাবন
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বৃত্তান্ত
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বৃত্তান্ত
ডিজিটাল দুনিয়ায় কী আছে
ডিজিটাল দুনিয়ায় কী আছে
সর্বশেষ খবর
নাইক্ষ্যংছড়িতে এক লাখ ইয়াবা উদ্ধার
নাইক্ষ্যংছড়িতে এক লাখ ইয়াবা উদ্ধার

১১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

হত্যা মামলায় ফজলে করিম, নদভী-লতিফসহ ১০ জনকে শ্যোন অ্যারেস্ট
হত্যা মামলায় ফজলে করিম, নদভী-লতিফসহ ১০ জনকে শ্যোন অ্যারেস্ট

৪৫ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আগের সীমানা বহাল চান বিএনপি নেতারা
আগের সীমানা বহাল চান বিএনপি নেতারা

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এখনো স্বস্তি ফেরেনি দেশের অর্থনীতিতে
এখনো স্বস্তি ফেরেনি দেশের অর্থনীতিতে

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ইরানে ইসরায়েলি হামলায় ১২ দিনে নিহত বেড়ে ৬২৭
ইরানে ইসরায়েলি হামলায় ১২ দিনে নিহত বেড়ে ৬২৭

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পেসারদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ লঙ্কান কোচ
পেসারদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ লঙ্কান কোচ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ করে অস্ত্র সংকটে পড়েছে ইসরায়েল: এনবিসি
ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ করে অস্ত্র সংকটে পড়েছে ইসরায়েল: এনবিসি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জার্মানি বাংলাদেশের উন্নয়নের নির্ভরযোগ্য অংশীদার: প্রধান উপদেষ্টা
জার্মানি বাংলাদেশের উন্নয়নের নির্ভরযোগ্য অংশীদার: প্রধান উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৮ আগস্ট নতুন বাংলাদেশ দিবস
৮ আগস্ট নতুন বাংলাদেশ দিবস

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান: ট্রাম্প
আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান: ট্রাম্প

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৬ জুলাই ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ ঘোষণা
১৬ জুলাই ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ ঘোষণা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কতিপয় দলের নেতার কণ্ঠে আওয়ামী লীগ নেতাদের বয়ান শোনা যাচ্ছে : প্রিন্স
কতিপয় দলের নেতার কণ্ঠে আওয়ামী লীগ নেতাদের বয়ান শোনা যাচ্ছে : প্রিন্স

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইরানের সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধে জিততে ইসরায়েলের যে ভয়ঙ্কর কৌশল ব্যর্থ হয়!
ইরানের সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধে জিততে ইসরায়েলের যে ভয়ঙ্কর কৌশল ব্যর্থ হয়!

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার
নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রেমিকাকে যৌনপল্লিতে বিক্রি, গ্রেফতার ১
প্রেমিকাকে যৌনপল্লিতে বিক্রি, গ্রেফতার ১

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নছিমনের ধাক্কায় নিহত ১
নছিমনের ধাক্কায় নিহত ১

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এক টাকার জিনিস ২০ টাকায়, অর্থনীতিতে বোঝা : বাণিজ্য উপদেষ্টা
এক টাকার জিনিস ২০ টাকায়, অর্থনীতিতে বোঝা : বাণিজ্য উপদেষ্টা

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গণঅভ্যুত্থান দিবসসমূহ পালনে ৩৬ সদস্যের জাতীয় কমিটি
গণঅভ্যুত্থান দিবসসমূহ পালনে ৩৬ সদস্যের জাতীয় কমিটি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরান সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছে, স্বীকার করলেন ট্রাম্প
ইরান সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছে, স্বীকার করলেন ট্রাম্প

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাঠ দিবস
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাঠ দিবস

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেরপুরে ৩৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের কমিটি গঠন
শেরপুরে ৩৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের কমিটি গঠন

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল শিক্ষার্থীর
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল শিক্ষার্থীর

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে আরও ৯ জনের করোনা শনাক্ত
চট্টগ্রামে আরও ৯ জনের করোনা শনাক্ত

৪ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

কাতারের আমির ও প্রধানমন্ত্রীকে উপহার পাঠালেন খালেদা জিয়া
কাতারের আমির ও প্রধানমন্ত্রীকে উপহার পাঠালেন খালেদা জিয়া

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দিনাজপুরে তিন জনের করোনা শনাক্ত
দিনাজপুরে তিন জনের করোনা শনাক্ত

৪ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

ইরানে ইন্টারনেট সেবা পুনর্বহাল
ইরানে ইন্টারনেট সেবা পুনর্বহাল

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুকুর থেকে মরদেহ উদ্ধার
পুকুর থেকে মরদেহ উদ্ধার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

'দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রা ২০২৬ সালে সম্পূর্ণভাবে চালু হবে'
'দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রা ২০২৬ সালে সম্পূর্ণভাবে চালু হবে'

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নোবেলের বিয়ে নিয়ে প্রথম স্ত্রীর ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট!
নোবেলের বিয়ে নিয়ে প্রথম স্ত্রীর ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট!

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
ফোনালাপে ইরানের প্রেসিডেন্টকে যা বললেন সৌদি যুবরাজ
ফোনালাপে ইরানের প্রেসিডেন্টকে যা বললেন সৌদি যুবরাজ

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেভাবে ইসরায়েল ইরানে 'পরাজয়' বরণ করল
যেভাবে ইসরায়েল ইরানে 'পরাজয়' বরণ করল

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হত্যার গুজব উড়িয়ে জনসমাবেশে দেখা গেল ইরানের কুদস প্রধানকে
হত্যার গুজব উড়িয়ে জনসমাবেশে দেখা গেল ইরানের কুদস প্রধানকে

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইরানিদের মাঝে হতাশা
ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইরানিদের মাঝে হতাশা

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের হামলায় ধ্বংসযজ্ঞ, ক্ষতিপূরণের ৩৯ হাজার আবেদন ইসরায়েলে
ইরানের হামলায় ধ্বংসযজ্ঞ, ক্ষতিপূরণের ৩৯ হাজার আবেদন ইসরায়েলে

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে আবারও হামলার হুমকি দিলেন ট্রাম্প
ইরানে আবারও হামলার হুমকি দিলেন ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতির জন্য ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের নেপথ্যে যা ঘটেছিল
যুদ্ধবিরতির জন্য ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের নেপথ্যে যা ঘটেছিল

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাহায্য করতে চেয়ে ট্রাম্পকে ফোন করেছিলেন পুতিন
সাহায্য করতে চেয়ে ট্রাম্পকে ফোন করেছিলেন পুতিন

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌‘ইরানের হাত ট্রিগারেই আছে’
‌‘ইরানের হাত ট্রিগারেই আছে’

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল 'যুদ্ধবিরতিতে ভূমিকা', ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব নোবেল শান্তির জন্য
ইরান-ইসরায়েল 'যুদ্ধবিরতিতে ভূমিকা', ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব নোবেল শান্তির জন্য

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘প্লিজ! সব বিষয়ে কথা বলবেন না’ — শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে রনি
‘প্লিজ! সব বিষয়ে কথা বলবেন না’ — শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে রনি

১৬ ঘণ্টা আগে | টক শো

সুষ্ঠু ভোট হলে তারা একটা দুইটা আসনও হয়তো পাবে না : রুমিন ফারহানা
সুষ্ঠু ভোট হলে তারা একটা দুইটা আসনও হয়তো পাবে না : রুমিন ফারহানা

১৪ ঘণ্টা আগে | টক শো

ইরানের পরমাণু ক্ষেত্র অক্ষত, মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট
ইরানের পরমাণু ক্ষেত্র অক্ষত, মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার প্রকাশ্যে এলেন সাবেক সংসদ সদস্য আবু সাঈদ ও হাবিবে মিল্লাত
এবার প্রকাশ্যে এলেন সাবেক সংসদ সদস্য আবু সাঈদ ও হাবিবে মিল্লাত

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নিউইয়র্ক সিটির ৪’শ বছরের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম মেয়র প্রার্থী জোহরান
নিউইয়র্ক সিটির ৪’শ বছরের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম মেয়র প্রার্থী জোহরান

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল-ইরান ১২ দিনের যুদ্ধ কি সত্যিই শেষ? কে কী পেল এই সংঘাতে?
ইসরায়েল-ইরান ১২ দিনের যুদ্ধ কি সত্যিই শেষ? কে কী পেল এই সংঘাতে?

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামলার পর ফরদোর পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিল ইসরায়েলি এজেন্টরা: ট্রাম্প
হামলার পর ফরদোর পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিল ইসরায়েলি এজেন্টরা: ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইএইএর সঙ্গে সহযোগিতা বন্ধের বিল পাস করল ইরানের পার্লামেন্ট
আইএইএর সঙ্গে সহযোগিতা বন্ধের বিল পাস করল ইরানের পার্লামেন্ট

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সবার মাথায় হাত, মালেকের বাজিমাত
সবার মাথায় হাত, মালেকের বাজিমাত

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কমলাপুর স্টেশনে ট্রেনের টয়লেটে যাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, রেলওয়ে কর্মচারী আটক
কমলাপুর স্টেশনে ট্রেনের টয়লেটে যাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, রেলওয়ে কর্মচারী আটক

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গাজায় অতর্কিত হামলায় ৭ ইসরায়েলি সেনা নিহত
গাজায় অতর্কিত হামলায় ৭ ইসরায়েলি সেনা নিহত

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামলায় পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে: ইরান
হামলায় পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে: ইরান

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৭০০ জনকে গ্রেফতার করেছে ইরান
ইসরায়েল সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৭০০ জনকে গ্রেফতার করেছে ইরান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘বাবাকে মাঝে মধ্যে শক্ত ভাষা ব্যবহার করতে হয়’ : ট্রাম্পের গালির বিষয়ে ন্যাটো প্রধান
‘বাবাকে মাঝে মধ্যে শক্ত ভাষা ব্যবহার করতে হয়’ : ট্রাম্পের গালির বিষয়ে ন্যাটো প্রধান

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার গ্রেপ্তার সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল
এবার গ্রেপ্তার সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সচিবালয়ে কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৫
সচিবালয়ে কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৫

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন ওএসডি
দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন ওএসডি

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতিতে এখনো স্বীকৃতি দেননি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা
যুদ্ধবিরতিতে এখনো স্বীকৃতি দেননি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধ্বংস হয়নি ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্র
ধ্বংস হয়নি ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্র

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হার্দিকের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জনে মুখ খুললেন বলিউড অভিনেত্রী
হার্দিকের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জনে মুখ খুললেন বলিউড অভিনেত্রী

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক
মাহাথির বোঝেন ইউনূস বোঝেন না
মাহাথির বোঝেন ইউনূস বোঝেন না

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

জামায়াতের হাতে কেউ কষ্ট পেলে নিঃশর্ত ক্ষমা চাই
জামায়াতের হাতে কেউ কষ্ট পেলে নিঃশর্ত ক্ষমা চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

ঝরনায় মৃত্যুর মিছিল
ঝরনায় মৃত্যুর মিছিল

নগর জীবন

খানাখন্দে বেহাল সড়ক
খানাখন্দে বেহাল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

পাওনা নিয়ে পিডিবি-আদানি দ্বন্দ্ব
পাওনা নিয়ে পিডিবি-আদানি দ্বন্দ্ব

পেছনের পৃষ্ঠা

উপদেষ্টা আসিফকে ক্ষমা চাইতে হবে
উপদেষ্টা আসিফকে ক্ষমা চাইতে হবে

পেছনের পৃষ্ঠা

খেলা হবে-সিন্ডিকেট
খেলা হবে-সিন্ডিকেট

প্রথম পৃষ্ঠা

অপেক্ষা বছরের পর বছর ভোগান্তিতে চালকরা
অপেক্ষা বছরের পর বছর ভোগান্তিতে চালকরা

পেছনের পৃষ্ঠা

চোরাই পণ্যে সয়লাব সিলেট
চোরাই পণ্যে সয়লাব সিলেট

নগর জীবন

কে জয়ী ১২ দিনের যুদ্ধে
কে জয়ী ১২ দিনের যুদ্ধে

প্রথম পৃষ্ঠা

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে অনেকে সর্বস্বান্ত
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে অনেকে সর্বস্বান্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

কমলাপুরে ট্রেনে যাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কমলাপুরে ট্রেনে যাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

পেছনের পৃষ্ঠা

পদাবনতি হয়ে ওসি এখন এসআই
পদাবনতি হয়ে ওসি এখন এসআই

নগর জীবন

প্রথম দিনে ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ
প্রথম দিনে ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

এখনো স্বস্তি ফেরেনি দেশের অর্থনীতিতে
এখনো স্বস্তি ফেরেনি দেশের অর্থনীতিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

আগে স্থানীয় নির্বাচনের অনুরোধ জামায়াতের
আগে স্থানীয় নির্বাচনের অনুরোধ জামায়াতের

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটের সময় প্রকাশে সবাই সন্তুষ্ট
ভোটের সময় প্রকাশে সবাই সন্তুষ্ট

প্রথম পৃষ্ঠা

ট্রেনে কাটা পড়লেন দুই মোটরসাইকেল আরোহী
ট্রেনে কাটা পড়লেন দুই মোটরসাইকেল আরোহী

দেশগ্রাম

জামালপুরে পিপির কক্ষে তালা
জামালপুরে পিপির কক্ষে তালা

খবর

ছিনতাইকারীর ঘুসিতে সাংবাদিক নিহত
ছিনতাইকারীর ঘুসিতে সাংবাদিক নিহত

খবর

জুলাই আন্দোলনের শহীদ ওমরের লাশ উত্তোলন
জুলাই আন্দোলনের শহীদ ওমরের লাশ উত্তোলন

নগর জীবন

আইকনিক চরিত্রে কিয়ারা
আইকনিক চরিত্রে কিয়ারা

শোবিজ

খাল বাঁচাতে আবর্জনা অপসারণে ছাত্র-জনতা
খাল বাঁচাতে আবর্জনা অপসারণে ছাত্র-জনতা

দেশগ্রাম

সীতাকুণ্ডে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড
সীতাকুণ্ডে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড

নগর জীবন

হত্যা মামলায় ফজলে করিম, নদভী ও লতিফ শ্যোন অ্যারেস্ট
হত্যা মামলায় ফজলে করিম, নদভী ও লতিফ শ্যোন অ্যারেস্ট

নগর জীবন

রাজধানীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
রাজধানীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন

নগর জীবন

চমেক হাসপাতালে র‌্যাবের অভিযানে ২১ দালাল গ্রেপ্তার
চমেক হাসপাতালে র‌্যাবের অভিযানে ২১ দালাল গ্রেপ্তার

নগর জীবন

১৯ জুলাইয়ের সমাবেশ সফল করার আহ্বান জামায়াতের
১৯ জুলাইয়ের সমাবেশ সফল করার আহ্বান জামায়াতের

নগর জীবন

রায়পুরায় চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার
রায়পুরায় চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার

খবর