ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়েত মৈত্রী হলে আসন সংকট নিরসনের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বাধায় বাসভবনে ঢুকতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৫০মিনিটে নিজের বাসভবনে ঢোকার সময় শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে পড়েন তিনি। পরে নিজের কার্যালয়ে ফেরত যান।
এর আগে, আজ সোমবার দুপুর থেকে তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেন কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, দাবির বিষয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার পর প্রশাসনিক ভবনস্থ উপাচার্যের কার্যালয়ে তার সঙ্গে বৈঠকে করেন শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল। তবে ওই বৈঠক থেকে দাবির বিষয়ে সমাধান না পাওয়ায় অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থী।
সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে উপাচার্য তার নিজের গাড়ি নিয়ে তার বাসভবনে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় তার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান ও রেজিস্টার প্রবীর কুমার সরকার আসেন। তবে উপাচার্য বাসভবনের প্রবেশ মুখেই বসে পড়েন শিক্ষার্থীরা।আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন প্রক্টর। তবে নিজেদের দাবিতে অনড় থাকেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় দশ মিনিট বাসভবনের প্রবেশ মুখে অপেক্ষার পর গাড়ি ঘুরিয়ে প্রশাসনিক ভাবনস্থ নিজের কার্যালয়ে ফেরত যান তিনি।
এর আগে, কয়েক দফায় হলের আবাসিক শিক্ষকদের একটি দল সেখানে এসে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার কথা জানালেও আন্দোলন থেকে সরে আসেনি শিক্ষার্থীরা। তারা উপাচার্যের কাছে আসন সংকটের তাৎক্ষণিক সমাধান হিসেবে কুয়েত মৈত্রী হলের তিনশত শিক্ষার্থীকে অন্য হলে স্থানান্তরের দাবি জানাচ্ছেন। তাদের অন্য দাবির মধ্যে আছে, হলের আসন সংখ্যার সঙ্গে সমন্বয় রেখে শিক্ষার্থী সংযুক্তি দেওয়া এবং মূল ভবনের প্রতি কক্ষে ছয় জনের বেশি শিক্ষার্থী বরাদ্দ দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট না করা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, উপাচার্য আমাদের অন্য দুটি দাবির সাথে একমত হয়েছেন। কিন্তু তিনি আসন সংকটের তাৎক্ষণিক কোন সমাধান দিতে পারেননি। তিনশত শিক্ষার্থী স্থানান্তরের দাবির ব্যাপারে তিনি বলেছেন, এতে প্রশাসনিক জটিলতা আছে। কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতার কথা বলে তিনি দায় এড়াতে পারেন না। এর জন্য তারাই দায়ী। এর জন্য আমরা কেন ভুক্তভোগী হবো? প্রশাসনিক জটিলতা থাকলে সেটা সমাধান করার দায়িত্বও তাদের।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল