৫ জুলাই, ২০২২ ১৬:৪৭

ঢাকা-বরিশাল রুটে ঈদের আগে সব কেবিন বুকিং শেষ

ঈদের আগে ৩ দিন স্পেশাল সার্ভিস

রাহাত খান, বরিশাল

ঢাকা-বরিশাল রুটে ঈদের আগে সব কেবিন বুকিং শেষ

বরিশাল নদী বন্দর। ফাইল ছবি

পদ্মা সেতু চালু হলে বরিশাল-ঢাকা নৌপথে যাত্রী কমবে ধারণা ছিল সবার। কিছুটা কমেছেও। কিন্তু এবারের ঈদ যাত্রায় বরিশালমুখী কোনো লঞ্চের কেবিন খালি নেই। কেবিন বিক্রি হয়েছে করোনাকালে স্বল্প যাত্রী পরিবহনের জন্য সরকার নির্ধারিত ভাড়ায়। করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ার পর লঞ্চগুলোতে টইটম্বুর করে যাত্রী পরিবহন করা হলেও ভাড়া কমায়নি তারা।

অন্যান্য বছর ঈদের আগে বাড়ি ফেরার জন্য লঞ্চের কেবিন টিকিটের জন্য হুড়োহুড়ি শুরু হতো। বরিশালমুখী লঞ্চের কেবিনের জন্য করতে হতো নানা তদবির। গত ২৬ জুলাই পদ্মা সেতু সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার পর এবারের ঈদে নৌ পথে বাড়ি ফিরতে ভিড় থাকবে না বলে ধারণা ছিলো সবার। সেতু উদ্বোধন পরবর্তী কয়েকদিন লঞ্চে যাত্রী কিছুটা কমলেও ঈদের আগ মুহূর্তে বরিশালমুখী সব লঞ্চের কেবিন বুকিং শেষ হয়ে গেছে। কেবিন বিক্রি হয়েছে আগের পুরনো দরে।

বরিশাল-ঢাকা রুটের সুন্দরবন নেভিগেশনের বরিশাল কাউন্টার ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন বলেন, নৌ পথে ঈদ যাত্রায় ৬ জুলাই থেকে চাপ পড়বে। ৮ জুলাই পর্যন্ত ঢাকা থেকে বরিশালমুখী সব কেবিন বুকিং সম্পন্ন হয়েছে। ঈদের পর ফিরতি কেবিনের জন্য চাহিদা এখন পর্যন্ত নেই। 

তিনি বলেন, ঈদ যাত্রায় সিঙ্গেল নন এসি ১ হাজার ৩০০ এবং এসি সিঙ্গেল কেবিন ১ হাজার ৪০০, নন এসি ডাবল কেবিন ২ হাজার ৩০০ এবং এসি ডবল কেবিন ২ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ডেক যাত্রী ভাড়া রাখা হবে সরকার নির্ধারিত সাড়ে ৩০০ টাকায়। ভিআইপি ও বিজনেস ক্লাসের ভাড়াও আগের দরে নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।

একই রুটের এমভি কীর্তনখোলা লঞ্চ কোম্পানির ম্যানেজার সরোয়ার হোসেন স্বপন বলেন, ৬, ৭ ও ৮ জুলাই ঢাকা থেকে বরিশালমুখী লঞ্চে যাত্রীর চাপ থাকবে। তারা সিঙ্গেল নন এসি কেবিন ১ হাজার ২০০ এবং এসি সিঙ্গেল কেবিন ১ হাজার ৩০০, নন এসি ডাবল কেবিন ২ হাজার ৩০০ এবং এসি ডাবল কেবিন ২ হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। ঈদের এই সময়ে লঞ্চে ঘরমুখো যাত্রীর প্রচুর চাপ থাকবে বলে ধারণা করছেন তারা।

লঞ্চ মালিক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, ঈদ যাত্রার প্রস্তুতি হিসেবে ৭, ৮ ও ৯ জুলাই তিনদিন ঢাকাপ্রান্ত থেকে এবং ঈদের পর ১৫ ও ১৬ জুলাই বরিশালপ্রান্ত থেকে লঞ্চের স্পেশাল ট্রিপ চালাবেন তারা। পদ্মা সেতু উদ্বোধন পরবর্তী পরিস্থিতিতে লঞ্চগুলো স্ট্যান্ডবাই রাখা হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী রুটে চালানো হবে। ভাড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার বা মালিক সমিতি ভাড়া কমায়নি। কেউ কম নিলে সেটা ভিন্ন বিষয়।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর