শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৫ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

হয়রানির শেষ নেই চট্টগ্রাম পাসপোর্ট অফিসে

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

অফিসের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দালাল চক্রে বন্দী চট্টগ্রামের চান্দগাঁওর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস। পাসপোর্ট আবেদনকারীদের পদে পদে হয়রানি ও ভোগান্তি নিত্য চিত্র। এমনকি দালাল ছাড়া পাসপোর্ট আবেদন করতে গেলে দুর্ব্যবহার ও মানসিক হয়রানির শিকার হন আবেদনকারীরা। অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মাসুম হাসান বলেন, ‘পাসপোর্ট অফিসের অভ্যন্তরে দালালের কোনো কার্যক্রম নেই। অফিসের বাইরে কী হয় তা জানা নেই।’ দুর্ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে এমন ঘটনা ঘটেছে। পরে তা মীমাংসা করা হয়েছে।’ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের হয়রানি ও ভোগান্তির কথা স্বীকার করেছেন পাসপোর্টের এক ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা। তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নিয়ে প্রতিনিয়তই আমরা অভিযোগ পাই। এরই মধ্যে কয়েকটি ঘটনা তদন্ত করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ জানা যায়, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসকে ঘিরে গড়ে উঠেছে দালাল চক্রের শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এ চক্রে পাসপোর্ট অফিসের শীর্ষ দুই কর্মকর্তা ছাড়াও রয়েছেন উচ্চমান সহকারী কামরুল হাসান, আবু সায়েদ, অফিস সহকারী বিশ্বজিৎ, দিপঙ্করসহ কয়েকজন। তাদের সহযোগী হিসেবে রয়েছেন নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত কয়েকজন আনসার ও নাইট গার্ড। এদের পাসপোর্টপ্রতি আবেদনকারীকে সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে অতিরিক্ত দেড় থেকে ২ হাজার টাকা দিতে হয়। গত ছয় মাসে পাসপোর্ট করাতে গিয়ে কর্মকর্তাদের দুর্ব্যবহার ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের দুই অধ্যাপক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষক অন্যতম। পাসপোর্ট করাতে গিয়ে মানসিক হয়রানির শিকার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের এক অধ্যাপক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘দুই মাস আগে পাসপোর্ট আবেদন নিয়ে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যাই। এ সময় ওই অফিসের কর্মকর্তারা আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। তাদের হাতে চরম অপদস্ত হওয়ার পর এ বিষয়ে পাসপোর্টের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর