রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ২৩-২৫ অক্টোবর হতে যাচ্ছে ‘বাংলাদেশ-চীন গ্রিন টেক্সটাইল এক্সপো ২০২৫’ (বিসিজিটিএক্স-২০২৫)। এতে পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই উপায়ে পোশাক উৎপাদন, পণ্য প্রদর্শনী, উন্নত ফ্যাব্রিক প্রযুক্তি, গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্কশপ এবং উচ্চপর্যায়ের নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট থাকছে। এটি আয়োজিত হচ্ছে চায়নিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ এবং চীনা দূতাবাসের সহায়তায়। বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) নলেজ পার্টনার হিসেবে এ এক্সপোতে রয়েছে।
আয়োজকরা জানান, এটি বিশ্বের বৃহত্তম টেক্সটাইল প্রস্তুতকারক (চীন) এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারকের (বাংলাদেশ) মধ্যে সবুজ উদ্ভাবন, টেকসই প্রযুক্তি এবং পরিবেশবান্ধব অনুশীলনের প্রসারে একটি অপরিহার্য প্ল্যাটফর্ম। এ এক্সপোতে সর্বাধুনিক সবুজ পোশাক সমাধান, উন্নত ফ্যাব্রিক প্রযুক্তি, গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালা
প্রধান্য পাবে। ইভেন্টের এক গতিশীল প্রদর্শনী হবে, যা শিল্পের ভবিষ্যৎ পুনর্গঠনে ডিজাইন করা হয়েছে। বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে তুলাভিত্তিক পোশাক উৎপাদনে শীর্ষস্থানীয় দেশ। এখন দেশের জন্য ম্যানমেড ফাইবার বা কৃত্রিম তন্তুভিত্তিক ভ্যালু চেইনে যুক্ত হওয়া একটি কৌশলগত প্রয়োজন। এ সংযুক্তি শুধু বৈশ্বিক বাজারে বড় অংশীদারি নিশ্চিত করার জন্যই নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা গড়ে তোলা এবং উচ্চমূল্যের পণ্য তৈরি করার জন্য। বাংলাদেশের পারফরম্যান্স স্পোর্টসওয়্যার, যেখানে ম্যানমেড ফাইবার অপরিহার্য, সেই বাজারে প্রবেশের জন্যও জরুরি। বিসিজিটিএক্স-২০২৫ এ রূপান্তর সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও জ্ঞানের সরাসরি সংযোগ তৈরি করছে। আন্তর্জাতিক উচ্চপর্যায়ের সহযোগিতার কারণে এ প্রদর্শনীর গুরুত্ব আরও বাড়ছে। অনুষ্ঠানের সহযোগী অংশীদার হিসেবে রয়েছে খ্যাতনামা সাংহাই ক্লাইমেট উইক, যা বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রতি তাদের অভিন্ন অঙ্গীকারের প্রতিফলন।