নওগাঁর ধামইরহাট পৌরসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে ২২ জন মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরুতে পারেননি। নির্বাচনে মেয়র, সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে মোট ৫৬ জন লড়ছেন। তবে শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও নির্বাচনী লড়াইয়ে পিছিয়ে নেই ওইসব প্রার্থী। মানুষের সেবা প্রদান তাদের মূল লক্ষ্য এ ভেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় ধামইরহাট পৌরসভার নির্বাচন ব্যালট পেপারের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে ৩ জন,সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৭ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীদের দাখিলকৃত হলফ নামায় দেখা যায় মেয়র পদে তিনজন প্রার্থীই শিক্ষিত। এদের মধ্যে স্বতন্ত্র নারিকেল গাছ মার্কা প্রার্থী আইয়ুব হোসেন সর্বোচ্চ ডিগ্রি এম,এ এবং এলএলবি পাস। নৌকার প্রার্থী বর্তমান মেয়র আমিনুর রহমান বিএ পাস। এছাড়া ধানের শীষের প্রার্থী সাবেক পৌর প্রশাসক মাহবুবুর রহমান চৌধুরী চপল এইচএসসি পাস। সংরক্ষিত ৩টি ওয়ার্ডের ১৭ নারী প্রার্থীর মধ্যে এইচএসসি পাস ২ জন, এসএসসি পাস ৩ জন, ১০ম শ্রেণি পাস ১ জন, ১০ জন ৮ম শ্রেণি পাস এবং একজন প্রার্থী নিরক্ষর। অপরদিকে ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৩৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে এম,এ পাস ৬ জন, বিএ পাস ৪ জন, এইচএসসি পাস ৫ জন, এসএসসি পাস ১০ জন, ৮ম শ্রেণি পাস ৯ জন, ৭ম শ্রেণি পাস ১ জন এবং একজন প্রার্থী অক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন। প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা যাই হোক না কেন সবাইকে সমানতালে নির্বাচনী লড়াইয়ে রয়েছেন। মানুষের সেবা প্রদান করার জন্য তারা প্রার্থী হয়েছেন। এক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার তাদের বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আগামী ৩০ জানুয়ারি ধামইরহাট পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ৩৮টি বুথে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োগ করা হবে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ৩৮টি বুথের জন্য ৩৮ জন প্রিজাইডিং অফিসার এবং ৭৬ জন পোলিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তাদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে ১২ হাজার ৬৪০ জন মোট ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ৬ হাজার ২২৭ এবং নারী ৬ হাজার ৪১৩ জন ভোটার রয়েছেন।
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া জানান, গতকাল বগুড়ায় দুই বিদ্রোহী প্রার্থীসহ বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার হয়েছেন। গাবতলী পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির দুই বিদ্রোহী এবং তাদের সমর্থক তিনজনসহ ৫ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতারা হলেন- গাবতলী পৌর কৃষকদলের সভাপতি আইয়ুব হোসেন রাজু, পৌর যুবদলের সেক্রেটারি সাজেদুল আলম, পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জাফর ইকবাল রেজা, বর্তমান পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল করিম এবং ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি সুজন আহমেদ। এদের মধ্যে গাবতলী পৌর নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আইয়ুব হোসেন রাজু জগ প্রতীকে এবং নারিকেল গাছ প্রতীকে সাজেদুল আলম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মঙ্গলবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তাদের বহিষ্কারের কথা জানানো হয়। বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা এ কথা নিশ্চিত করেছেন।